নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খাজকাটা জানালার প্রান্ত ঘেষে একজন প্রবীণ।রেলের টিকেট দিয়ে যাচ্ছে।সাদা চুলের সাথে মোটা ডাটের চশমা।পুষ্ট কাচ থেকে বোঝাই যাচ্ছে, জীবন চশমার উপর নির্ভরশীল।
আধ বয়সী মানুষেরা পরিজনের উদ্দেশ্যে টিকেট কাটার লাইনে দাড়িয়ে।বাদাম ওয়ালা চুলোর আগুনে লাকড়ি দিতে ব্যস্ত।ছেড়া প্যন্ট,ধুলোমাখা শরীর,আর অবসন্ন দেহ নিয়ে সাহেবদের ভারী পকেটের দিকে তাকিয়ে ফুটপাতে আশ্রিতের দল।
মধ্যবয়সী এক মহিলার হাতের নীচে দাড়ানো বছর দশেকের একটা ছেলে।জীবনে প্রথম ট্রেন দেখবে সে।
দূর থেকে একটা আলো এগিয়ে আসছে স্টেশনের দিকে।সাহেবরা ব্যাগ গোছাতে ব্যস্ত।
অবসন্ন দেহগুলো সচল হয়ে উঠছে সাহেবদের অসতর্কটাকে কেন্দ্র করে।বস্তির ভেতর দিয়ে এগিয়ে আসছে রেল।প্রতিদিনকার জীবনে এরা অসতর্ক নিজেদের ভবিষ্যতের ব্যপারে।কিন্তু রেলের পদতলে কেউ মাথা দেয় না।
সতর্ক কেউ একজন প্রেমের ভাঙ্গনে আত্মহুতি দিবে,এমন সময় কারো হাতের স্পর্শে ভয়াতুর ভাবে চিৎকার করে উঠল বাচাও! বাচাও!!
মৃত্যুর সময়ও ওদের আমরা ভয় পাই,আর ওরা কেবলই দু'মুঠো অন্ন খুঁজে।
বেলা বারোটা। খাঁ খাঁ রোদের ঝিলিক ইস্পাতের রেল লাইনের উপরে। আমি আনমনে হাটছি।একটা দাঁড়কাক ডেকেই যাচ্ছে।রেলগাড়ি স্টেশন থেকে ছেড়ে যাচ্ছে।কারো এলিয়ে পড়া কেশ অতি পরিচিত।
রেলের জানালায় বাতাস, তার কেশ উড়ছে,সানসিল্কের ঘ্রাণটা এখনো পাচ্ছি,কাকটা উড়ে গেছে, কেশ গুলো ঝাপসা হতে হতে দৃষ্টির বাহিরে,অথচ গতকালও এমনটি হবার কথা ছিলনা।
ঝকঝকঝক ট্রেন চলছে....
(অনেক আগের লেখা)
০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৩
অধীতি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: অদ্ভুত ব্যাপার স্যাপারে আমার বিশ্বাস কম।
৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
ব্যতিক্রমী চিন্তা।++
১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৫
অধীতি বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০০
আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার। অধীতি শব্দটির অর্থ অধ্যয়ন নয় কি?
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৪
অধীতি বলেছেন: অধ্যয়ন=পঠন
অধীত=পঠিত
অধীতি=পাঠক
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: অপসৃয়মান এলিয়ে পড়া কেশ এর ঝাপসা হতে হতে দৃষ্টির বাইরে চলে যাবার দৃশ্যটা বড় চমৎকার এঁকেছেন।
পোস্টে ভাল লাগা + +।