নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভেসে আসি সমুদ্রের ঢেউয়ে,বালুচর চুষে নেয় আমারে।

অধীতি

আপনারেই চিনার তরে,পরিচয় দেই কি করে??

অধীতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

হ্যাশট্যাগ

২০ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:৩৫

বিলিয়ন বিলিয়ন হ্যাশট্যাগ দিয়ে একটা বারুদও ঠেকানো যাবেনা। মুখে যতটুকো বলা যায় কাজে তার ১০ভাগ করতে পারলেও যথেষ্ট।
অস্ত্রের প্রতিরোধ অস্ত্র দিয়েই করতে হবে এটাই নিয়ম। জন্ম থেকেই জুমার খুৎবায় ফিলিস্তিন, কাশ্মীর ও আরাকানের জন্য দোয়া শুনে আসতেছি। ফলাফল শূন্য।

ফেসবুকে মাতামাতির ফলে যে ক্রোধ জন্মে পরে সেটা সলিম-কলিমের উপর বর্তায়। এখানে প্রধান কারণ হলো ক্ষমতা। ক্ষমতা এবং অস্ত্রে যার নিয়ন্ত্রণ বেশি সেই আধিপত্য বিস্তার করবে বেশি। একজন রিকশাওয়ালা কিছু না বুঝে একটা বল্ল ফলে সেখানে তাকে হত্যা করতেও কারো দ্বিধা হবেনা।কারন তার ক্ষমতা নেই। আর যার ক্ষমতা আছে সে বল্লে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কিছুক্ষণ চেচামেচি করা হয়।

ফেসবুকের এসব হ্যাশট্যাগের কারণে মানুষের ভেতর উচ্ছৃঙ্খলা বৃদ্ধি পায় এবং সেটা নিম্ন আয়ের ক্ষমতাহীন মানুষের উপর বর্তায়। পরবর্তীতে সেখান থেকে আরজ আলিরা জন্ম নেয়।

ম্যাক্রো থেকে শুরু যারা ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য দিছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা মিছিলে সোচ্চার হয়েছি কারণ ফ্রান্স থেকে এসে কেউ আমার মত ছলিম কে খুঁজবে না। নিজের যেখানে ক্ষতির শংকা নেই সেখানে বিদ্রোহ মিছিল করে ফাটিয়ে দিয়ে ফিলিস্তিন রক্ষায় হ্যাশট্যাগ দেয়াই যায়। ফলাফল ফাঁকা।

বাংলাদেশে ইসলামের বিরুদ্ধে, নবীর বিরুদ্বে, আল্লাহর বিরুদ্ধে বলে অনেকেই কামিয়াব অর্জন করেছেন কিন্তু মোল্লাতন্ত্রের বিরুদ্ধে বলে টিকতে পারেন নাই। এর দুটো কারণ হতে পারে একটা আমরা রুপক বুঝিনা, অথবা ক্ষমতা ও সম্পদকে সমীহ করি।
দ্বিতীয়টা হলো নিজের গায়ে না বিঁধলে চেয়েও দেখিনা।

আমার কাছে বাংলাদেশের সব থেকে বড় আউলিয়া মনে হয় দেওয়ানবাগীকে। সারাজীবন নবীকে,আল্লহকে নিয়ে কটুক্তি করে গেছেন কিন্তু কখনো মোল্লাতন্ত্রের বিরুদ্ধে কিছু বলেন নি। ওনার বিরুদ্ধে কিছুই হয়নি। উনি চ্যালচালাইয়া কবরে গেছেন। আমরা ওনার রুহের আজবের জন্য স্টাটাস দিছি।

কেউ কেউ আবার ৩১৩ জন নিয়ে সংসদ ভবন ঘেরাও করে। জিহাদ জিহাদ করে দেশে উচ্ছৃঙ্খলার সৃষ্টি করে চলেছেন এনারা। পূর্বেও মোনাফেকরা দাড়ি-টুপি পরেই মোনাফেকি করেছেন। আজ থেকে দশ বছর আগে মাহফিলের বক্তাদের ভাষার ব্যবহার এতটা সমাজ ঘনিষ্ঠ ছিল যে শোনার পরে মানুষ দু'দিন হলেও ভালো থাকতো। এসলাহি ওয়াজ হত। এখন টিকটক,ভাইরাল কুরুচির গান আর জিহাদের নামে স্টেজ গরম ছাড়া কোন ওয়াজ হয় না।বক্তৃতার একটা নীতিমালা দেয়া উচিত।

জিহাদের দুটো অর্থ চলমান একটা শত্রুর আক্রমন প্রতিহত করতে জীবন দিয়ে দ্বিধাহীন চিত্তে লড়াই করে যাওয়া।
আরেকটা নিজের বিরুদ্ধে যেটা সবার আগে প্রয়োজন। উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারের সন্ধিক্ষণে আউলিয়ায়ে কেরাম খানকা প্রতিষ্ঠা করে মানুষের মাঝে নফছের জিহাদ চালু করে দিয়েছিলেন। কালের ক্রম বিবর্তনে সেটা বিলুপ্ত হবার পথে। মধ্য প্রাচ্যের সংস্কৃতির অনুসরণ ছাড়া ইসলামের কিছুই নেই বলতে গেলে।

আগে নিজের দেশ ও সংস্কৃতি পরে বাকি সব। ইসলামের সন্ধিক্ষণ থেকে এদেশের সংস্কৃতির সাথে ইসলামি সংস্কৃতির মিশ্রণে যে নান্দিক ধারার সৃষ্টি হয়েছিল সেটা বৃটিশদের "ডিভাইড এন্ড রুলের" ফাঁদে পরে ধর্মীয় উগ্রবাদে পরিণত হয়েছিল সেটার ধারা এখনো জারি। ফলে সৌদি আরাবিয়ান সংস্কৃতির হুবহু আমদানি এখন সচারাচর হয়েগেছে।

মূলত জ্ঞানের চর্চা এবং আত্মার সংশোধন এটাই কাম্য।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্রিটিশ আমলের শুরুতে আলেম ওলামারা প্রথমে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে। পরে যুদ্ধে বারবার পরাজয়ের কারণে তারা তাদের পরিকল্পনা পরিবর্তন করে পূর্বের আওলিয়াদের মত দাওয়াত ও আধ্যাত্মিক উন্নতির পথে চলা শুরু করে এবং দেওবন্দ ও অনুরুপ প্রতিষ্ঠানের উদ্ভব হয়। ফলে ভারতে এখনও ভালো ইসলামী নেতারা ও মুসলমানেরা সেই পথেই আছে এবং সহিংসতা পরিহার করে চলছে। ফলে রাজনৈতিক কারণে ভারতে সাধারণ মুসলমানরা সমস্যা কবলিত হলেও ওখানকার আলেমদের গুরুত্ব বজায় আছে। বাংলাদেশের আলেম ওলামারা এখনও সহিংশতাকে দাবি আদায়ের হাতিয়ার মনে করে। দেশ ইসলামী ব্যবস্থায় চলছে না এই কথাটা ওনারা বুঝতে পারছেন না। ফলে তারা গায়ের জোর খাটাতে গিয়ে বারবার পরাজিত হচ্ছে। ইসলামী নেতাদের এখন উচিত আগে নিজেদের স্বভাব চরিত্র সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করা। নিম্ন মানের চরিত্র দিয়ে আন্দোলন ও দাবি আদায় হয় না। মাওলানা ভাসানি যখন ডাক দিতেন তখন কখনও ব্যর্থ হতেন না কারণ ওনার সেই চরিত্র ও সম্মান ছিল। বর্তমান বাংলাদেশে ইসলামের নেতাদের মধ্যে ঐ ধরণের চরিত্র খুঁজে পাওয়া যাবে না। বরং অনেকেই দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজে জড়িত (জামাতে ইসলামের নেতারা ছাড়া। তাদের অন্য সমস্যা আছে)। ফলে সাধারণ মানুষের সমর্থন নেই। কোন দাবি সাধারণ মানুষের সমর্থন ছাড়া আদায় করা কঠিন। সহিংসতার পথ না ছাড়লে এই ধরণের আন্দোলন বারবার ব্যর্থ হবে।

৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯

অধীতি বলেছেন: যথার্থ বলেছেন।

২| ২০ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:৪১

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: ভাই, অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম এই বিষয় নিয়ে কিছু লিখবো, কিন্তু হয়ে উঠে নাই। খুব ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ।

৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯

অধীতি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: ব্যাঙ জানতো যে তার প্রোসাবে ইব্রাহিমের অগ্নিকুন্ড নিভা তো দুরের কথা আগুন টেরও পাবেনা। জিব্রাইল এসে জিজ্ঞেস করলো কি ব্যাপার তোমার প্রোসাবে তো আগুনের কিছুই হবেনা। ব্যাঙ বললো সেটা আমি জানি কিছু হবেনা,তবে আমি আমার আল্লার কাছে এটা প্রমান করতে চাই যে, আমি ইব্রাহিমের পক্ষে আছি, নমরুদের বিপক্ষে আছি।
#হ্যাস ট্যাগ কেন দিব?
কারন আমরাও জানাতে চাই আমরা ইজ্রায়েলের বিপক্ষে আছি, ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি। যদিও হ্যাস ট্যাগে কারো কিছু যায় আসেনা।

৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:০১

অধীতি বলেছেন: বিষয়টা যৌক্তিক ভাবে বলেছেন। ধন্যবাদ।

৪| ২০ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:৫৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: শুধু দোয়ায় দৃশ্যত পরিপার্শ্বিক অবস্থার খুব কমই কিছু পরিবর্তন হয়।যে কোন পরিবর্তনের জন্য দোয়ার সাথে দাওয়াও জরুরী।হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে কারোর চরিত্র হরন করা অনেক সহজ এটা সত্যি তবে বারুদের বা গোলার জবাব গোলাতেই সম্ভব হ্যাশ ট্যাগে নয়।

৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:০২

অধীতি বলেছেন: হ্যাঁ সেটাই। ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টের শেষ বাক্যটির সাথে সর্বাংশে একমত।
সাড়ে চুয়াত্তর এবং মোহামমদ কামরুজজামান এর মন্তব্যদুটো ভালো লেগেছে। + +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.