নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভেসে আসি সমুদ্রের ঢেউয়ে,বালুচর চুষে নেয় আমারে।

অধীতি

আপনারেই চিনার তরে,পরিচয় দেই কি করে??

অধীতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

শীতে বাড়ি ভ্রমন

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৩


শীতের পিঠা খেতে হঠাৎ বাড়িতে আসা। বোন জামাই বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে তিন খালের একটা মোহনা। পাশেই উত্তর দিকে একটা ঘাটলা। তিনটে বাচ্চা খেলছে। ঘাটলার লাগোয়া একটা মসজিদ। মসজিদের পূর্ব পাশে মাঠের অপর প্রান্তে জীর্ণ একটি টিনের ঘর। ওটা হলো মক্তব। আছরের নামাজ পড়ে সিএনজি ধরতে যাবো। মোহনায় হারিয়ে যাওয়া গরু,নৌকো ও মানুষের গল্প শুনছিলাম। তখনি খালের অপরপ্রান্তে এই করুন দিনযাপন চোখে পড়ল।

তিনটি খালের মোহনায় এরকম একটি বাড়ি। সম্বল একটা নৌকা। কলস দেখে মনে হলো দুধ দিতে যায়। মানে কয়েকটি গরু আছে। সন্ধ্যার সময় কিশোরী মেয়েটা মাকে বলতেছে "ও মা,মুই গেলাম দুধ দিয়া আইতে"। অনেকটা সময় দাড়িয়ে রইলাম। সন্ধ্যার মলিনতা ধীরে গ্রাস করছিলো শীতের করুণ সূর্যকে।কুয়াশা নামার দাড় প্রান্তে মনে হলো পৃথিবী সন্ধ্যার মতই মলিন।




বাড়ি আসার দ্বিতীয় দিন গোসলে যাবার সময়ে হঠাৎ গাছটাকে নজরে পড়লো। প্রতিদিন এমন দৃশ্য দেখে অভ্যস্ত তবুও গাছের দু'প্রান্তে দুইটি নৌকো বিষয়টা ভালো লাগল।
ওনারা সকাল থেকে বঁড়শি ফেলে চিংড়ি মাছ ধরেন। শীতের নদী পুকুরের মত শান্ত। নরম রোদে গা জুড়ায়, মনের সুখে গান গায় আর চিংড়ি ধরে সন্ধ্যার হাটে বেঁচে।




বাড়িতে ফজরের নামাজ পড়েও খানিকটা ঘুমোই। ওদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে উঠে মনে হলো ৭ টাও বাজেনি। নদীর পাড়ে গিয়ে দেখি সূর্য অনেক চেষ্টা করেও পারেনি। নদীর শান্ত জ্বলে দু'একটা নৌকা আসা যাওয়া করে। ঢাকা থেকে আসার পরে এমন একটা সকালে কানটা বড়ই অদ্ভুত আচরণ করে। এত নিরবতা কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। মাঝে মাঝে নৈঃশব্দের মাঝেও কেমন ঝিঃ ঝিঃ করে।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- নিজ গ্রামে বেড়াতে যাওয়ার সুখ থেকে আমি আবার বৌ-বাচ্চারা বঞ্চিত। :( আমরা ঢাকার স্থায়ি বাসিন্দা, দাদা-নানা বাড়ি সব এইখানেই। :(

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১০

অধীতি বলেছেন: আপনার শৈশব কৈশরে যে ঢাকাকে দেখেছেন, সেটার কথা চিন্তা করলে সারাদিন কান্না আসবে। আমার বাড়ি শহরে একদম বাসস্ট্যান্ডের সাথে এবং ঘরের সাথেই নদী। বেড়াতে আসেন একদিন।

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৪৯

জুল ভার্ন বলেছেন: হাওর অঞ্চলে এমন বাড়ি দেখা যায়। এমন সুন্দর দ্বীপের মতো বাড়িতে থাকার মোজা আলাদা!

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১২

অধীতি বলেছেন: এমন বাড়ির শখ আছে, কিন্তু ঐ পরিবারটির কথা, আমি এতদিন বিভিন্ন উপন্যাসে দেখেছি, আজ নিজেও দেখলাম একটি মেয়ে নৌকো বেয়ে শীতের সন্ধ্যায় যাচ্ছে।

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটা ভ্রমন কাহিনী।
তা কি কি পিঠা খেলেন?

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১৪

অধীতি বলেছেন: হরেকরকম পিঠাই খেলাম, সুজি পিঠা, রসের পিঠা তিন চার পদ, আরো অনেক তবে এবারও খেজুর রসের জন্য আফসোস রয়ে গেলো।

৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পৃথিবী সন্ধ্যার মতোই মলিন - অনেক তাৎপর্যপূর্ণ একটা কথা বলেছেন।

ভালো লিখেছেন।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১৫

অধীতি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ঐ সময়টা আপনি থাকলে হয়ত একটি গানও লিখে ফেলতেন।

৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ভাগ্যবান যে আপনার গ্রামের বাড়ির কাছে নদী আছে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১৭

অধীতি বলেছেন: আসেন একদিন, জীবনানন্দের কার্তিকের জোৎস্না খেয়ে যান।

৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধানসিঁড়ি নদী আমার গ্রামের বাড়ি থেকে বেশী দূরে না। আমার গ্রামটা জীবনানন্দের ধানসিঁড়ি ইউনিয়নে পড়েছে।

অনেক ধন্যবাদ আমন্ত্রন জানানোর জন্য। সময় সুযোগ হলে যাব নিশ্চয়ই। আপনাকেও আমন্ত্রন আমার গ্রামে। ভালো থাকবেন।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:১২

অধীতি বলেছেন: ঝালকাঠি বাসস্ট্যান্ড হয়েইতো যান। আমার বাসা ওখানেই নদীর পাড়ে।

৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:



ছবিতে কোন নদী? কোন জেলায়?

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:১২

অধীতি বলেছেন: সুগন্ধা নদী, ঝালকাঠি জেলা।

৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:২৪

সোনাগাজী বলেছেন:



বড়শী দিয়ে ১ জন মানুষ কতটুকু চিংড়ি পেয়ে থাকেন?

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:১৪

অধীতি বলেছেন: গড়ে একেকজন ২৫ টার মত পান। কোনদিন কম, কোনদিন বেশি।

৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: দুর্গাপুরে আমার দাদাবাড়ি সহ সব পড়শিদের বাড়ি বিলের মধ্যে অমন উঁচু উঁচু ঢিবির উপরে ছিল।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩

অধীতি বলেছেন: এইসব জায়গাগুলো পূর্নিমা রাতে বেশ উপভোগ্য হয়।

১০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হরেকরকম পিঠাই খেলাম, সুজি পিঠা, রসের পিঠা তিন চার পদ, আরো অনেক তবে এবারও খেজুর রসের জন্য আফসোস রয়ে গেলো।

ভাপা পিঠা খাননি? দুধ চিতই? পাটিসাপটা?
আপনাদের অঞ্চলে কি বিবিখানা পিঠা হয়। খেতে দারুন।
খেজুরের রস আহামরি কিছু ন। স্বাদও তেমন কিছু না।

১১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আমার বাড়ি শহরে একদম বাসস্ট্যান্ডের সাথে এবং ঘরের সাথেই নদী। বেড়াতে আসেন একদিন।
- ঠিকানা পেলে হুট করে কোনো একদিন চলে যাওয়া যায়।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

অধীতি বলেছেন: ঝালকাঠি সদর বাসস্ট্যান্ড। আমিতো ঢাকাতে থাকি।

১২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
নদী নদীর ছবি দেখতে ভালই লাগে।

১৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
১৯৯৩ সাল তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ি। উত্তরবঙ্গের সৈয়দপুর ক্যানবোর্ড স্কুলে পড়ি পাশেই বিমানবন্দর। স্কুলের ফাকে সেথায় যাই। ম দিয়ে এক বন্ধু(নামটা পড়ছেনা না) মন পড়লে জানাব(মন্তব্য লেখার আগে অনেক চেষ্টা করেও মনে আসেনি নামটি কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনে পড়ল)........উফ মনে পড়ল মোয়জ্জেম সে বলেছিল তার বাড়ি ঝালকাঠি তার বাবাও আর্মিতে চাকরি করত। সেই থেকে ঝালকাঠি নামটা উচ্চারণ করলেই সেই বন্ধুটির কথা মনে পড়ে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৯

অধীতি বলেছেন: বেড়াতে আসার নিমন্ত্রণ রইল।

১৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: "পৃথিবী সন্ধ্যার মতই মলিন" - তুলনাটা খুব সুন্দর হয়েছে।
"একটি মেয়ে নৌকো বেয়ে শীতের সন্ধ্যায় দুধ বেচতে যাচ্ছে" - এটাই তাদের জীবন সংগ্রাম, এটাই তাদের জীবনে রূঢ় বাস্তবতা। আপনার কলমে মাত্র কয়েকটি বাক্যে এ সংগ্রাম কাহিনী বেশ জীবন্ত হয়ে ফুটে উঠেছে।
পোস্ট ভালো লেগেছে। + +

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৪৫

অধীতি বলেছেন: অনেক ভালবাসা ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.