নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভেসে আসি সমুদ্রের ঢেউয়ে,বালুচর চুষে নেয় আমারে।

অধীতি

আপনারেই চিনার তরে,পরিচয় দেই কি করে??

অধীতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

জৌলুশ ও রুচিবোধ

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২১

কিছুদিন আগে জয়া আহসান তার সাক্ষাৎকারে বলেছিল যে, তিনি ঢাকাতেই থাকেন,ঢাকাই তার প্রথম নিবাস। তবে কলকাতা ভাল লাগে। কেনো? সে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন আমাদের থেকে কলকাতার মানুষজন পুরোনো ঐতিহ্য সম্পর্কে আগ্রহী, সচেতন ও ভালবাসে। পশ্চিমবঙ্গে এখনো বহু পুরোনো বাড়ি আছে যেগুলো ওরা খুব নান্দনিক সজ্জায় সাজিয়েছে। এজন্য ঢাকার থেকে কলকাতায় তার ভালো লাগে।

এবার আসি আমাদের এখানকার পরিস্থিতি। চোখের সামনে, বাসার পাশে আমরা যারা ঢাকায় থাকি, তারা ক'জন নান্দনিক কিছু দেখতে পান? ক'টা গাছ? রমনা আর চন্দ্রিমা উদ্যান বাদ দিলে ঢাকায় কি থাকে? ২০১৫ সালে রমনায় যতগুলো গাছ ছিল এখন তার ৪০% নেই। রাস্তা বড় করেছে, সুন্দর করেছে, লেকের পাশে রেলিঙের দেয়াল করেছে। যেই উদ্যানটা গাছের ছায়া ঘেরা নিবিড় ছিল, এখন সেখানে গাছই নেই। হাটার জন্য অতবড় রাস্তার কি দরকার? ঘাসগুলো মরে যাচ্ছে। গাছের ছায়া পড়েনা কোথাও। আমাদের জাতিগত স্বভাব আমরা গাছ দেখতে পারিনা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তো গাছ নেই বল্লেই চলে। এগুলো একধরনের আক্ষেপ হয়ে দাড়িয়েছে।

সাহিত্য পড়া ছাত্ররা ইঞ্জিনিয়ার হয়না বোধয়। যার কারনে গাছের এমন উজাড় দশা। সাহিত্যের সাথে যার সম্পর্ক ঘটে তার প্রকৃতির সাথে একটা আত্মিক যোগাযোগ তৈরি হয়। একটা দূর্বা ঘাসের লতিকার জন্যও তার বড্ড মায়া হয়।

ফেসবুক থেকে ছবি দুইটি নেয়া। এরকমটা যদি একই স্থানের চিত্র হয় সেক্ষেত্রে অতি গরম বিষয়টা আপনার মেনে নিতে হবে চোখ বন্ধ করে। প্রকৃতি এমন বিষয় যে আপনাকে অফুরন্ত দেবে কিন্তু আপনি যতই ক্ষতি করবেন ততই আপনার প্রয়োজন বাড়বে এবং কৃত্রিম সৃষ্ট বস্তুর প্রতি আগ্রহী হবেন। ফলাফল স্বরুপ আপনার টেবিলে প্লাস্টিকের ফুলগাছ শোভা পাবে এবং নিজেকে একজন প্রকৃতি প্রেমী হিসেবে দাবী করবেন।

আমার বন্ধুর এক ওস্তাদ বলেছিল "টাকা দিয়ে জৌলুশ কেনা যাবে কিন্তু রুচিবোধ নয়।" কথা মনে ধরেছিল। আমাদের নব্য ধনী সম্প্রদায় প্লাস্টিকের ফুলদানিতে রঙ্গিন আলোর পসরা সাজিয়ে আনন্দ লাভ করে এবং বনের গাছ উজার করে জৌলুশ কিনে।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৫

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: ভাল লেখেছেন
আগাম ঈদ মোবারক জানাই
ভাল থাকবেন--------

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৬

অধীতি বলেছেন: আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা।

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১

রবিন.হুড বলেছেন: গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭

অধীতি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৪২

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। উন্নয়নের সাথে সাথে পরিবেশ বিষয়ক ভাবনাগুলোর সমন্বয় সরকারের করা উচিত। কোথায় যেন পড়েছি, সৌদিতে ওরা সবুজায়ন করে প্রাকৃতিকভাবেই বৃষ্টির পরিমাণ বাড়িয়েছে। প্রতিটি উন্নত দেশ এখন সাসটেইনএবিলিটি শব্দটিকে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছে। জার্মানি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বের হয়ে এসেছে, আমরা শুরু করলাম।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭

অধীতি বলেছেন: আমরা নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের মানুষ। তাই সুখে থাকতে ভুতে কিলায়।

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৪

নতুন বলেছেন: পরিবেশের কথা এখনই চিন্তা করতে হবে নতুবা দূভোগ প্রতি বছরই বাড়বে।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮

অধীতি বলেছেন: ধনী ব্যক্তিরা এ ব্যপারে সচেতন না।

৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২০

অর্ক বলেছেন: সত্যি তাই ভ্রাতা। রমনা পার্কের অবস্থা করুণ। ওটাওটা অপ্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্থাপনা নির্মাণ করে পার্কটাকে শেষ করে দিলো। প্রচুর গাছপালা কাটা পড়েছে। কেমন শূন্য শূন্য লাগে আজ। কাঠবিড়ালি কাকসহ অন্যান্য পশুপাখির আনাগোনা কমে গেছে। একসময় প্রচুর দেখা যেতো। বড়ো দুঃখ হয় ভাই। আহা, কতো কথা কতো স্মৃতি জড়িয়ে আছে রমান পার্কের সাথে। একসময় মাঝরাত পর্যন্ত দৌড়তাম, ব্যায়াম করতাম। দেয়াল টপকে বেরোতাম। সাথে মনে পড়ছে পুরানো অজস্র বন্ধু শুভাকাঙ্ক্ষীদের।

গুলশানের বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কের অবস্থাও একইরকম। ইদানীং দেখি, বিরাট একটা রেস্টুরেন্ট খুলে বসেছে। সবসময় মাছের বাজারের ভিড়। পার্কের অভ্যন্তরে অতো বড়ো রেস্টুরেন্ট খোলার লাইসেন্স যে কীভাবে দেয় সিটি করপোরেশন! আজব! কোথাও কোনও প্রতিবাদ নেই। প্রতিরোধ নেই। এগুলোকে কি আদৌ পার্ক বলা যায় আর? আমাদের দেশে ভালো কিছু স্থায়ী হতে পারে না। সবখানে দূর্নীতি অসাধুতা অর্থ ঢুকে পড়ে গোল্লায় নিয়ে যায়।

ধন্যবাদ। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বলেছেন। শুভেচ্ছা থাকলো। (আগের মন্তব্যটা ডিলিট করে দিন প্লিজ।)

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৪০

অধীতি বলেছেন: সেটাই দেখতেছি। রমনা এখন কৃত্রিম হয়ে গেছে। টিকটকার আর ফালতু লোকে ভর্তি। সবাই ছবি তুলে, আর লেকের পারে করিডোর দেয়ায় পানির বোতল সব লেকে ফেলে লেক নষ্ট করতেছে।

৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৩

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার লেখার একটা লাইন অবশ্যই সত্য নয়।
আমি একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং সাহিত্য চর্চা করি। আপনাকে সেই ব্যাপারে কোন সন্দেহ আছে?
মোট তিনটা উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।
গাছপালা কাটার ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ারদের দায়ী করবেন না এজন্য মানুষজন দায়ী।
মানুষজন বাড়ি প্লান করার জন্য ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে যেয়ে বলে এক ইঞ্চি জায়গাও ছাড়া যাবে না। আপনি পারলে এরকম ডিজাইন করে দেন নাহলে আমি অন্য আরেকজনের কাছে যাব। আর এই জন্য আপনি ইঞ্জিনিয়ারদের দায়ী করছেন।
জয়া আহসান কি বলেছে সেটা আমি জানি না। তবে কলকাতায় আমি অনেক জায়গাতেই ঘুরেছি। সেটা ঢাকার চেয়েও কিছু কিছু জায়গার চরমতম নোংরা। যে নিজের দেশকে সম্মান করতে চায় না তাকে কোনো সম্মান দেওয়া ঠিক না।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৬

অধীতি বলেছেন: আপনি ইঞ্জিনিয়ার জেনে ভাল লাগল। আপনার কথাও সত্য। তবে ঘাপলাটা কোথায়

৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: এ ব্যাপারে কমবেশী আমরা সবাই দায়ী। অতিরিক্ত কাগজের ব্যাভার-কাঠের ফার্নিচারের ব্যাবহারও গাছ কাটতে উৎসাহিত করে।
প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষভাবে কিছুটা দায়তো আমাদের আছেই। তবে ভাল কথা যে মানুষ এখন আগের থেকে অনেক সচেতন- তবুও কিছু ক্ষমতাবান লোভী আর দস্যুদের সাথে পেরে উঠছে না, গাছ কাটা দেখে প্রতিবাদ না করতে পেরে অনেকেই মনে মনে গালি দেয়।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৬

অধীতি বলেছেন: হ্যাঁ, একদম। গাছ দেখলেই ওদের শরীরে জ্বালাপোড়া করে।

৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: জয়ার এই বক্তব্যের প্রমাণ মেলে পরমব্রত (অভিনেতা) র বাড়ি দেখলে। বিদেশে লেখাপড়া শেষ করে কলকাতায় ফিরে পরম প্রায় দেড় শতাধিক বাড়ি দেখে, খুঁজে পেতে পুরনো একটা দোতলা বাড়ি কিনেছেন। বাড়িতে ঐতিহ্য আর আধুনিকতা পাশাপাশি বাস করে। বাড়িটা বারান্দা নিয়ে পরমের যে ভাবনা এবং বর্ননা, এক কথায় সত্যি অসাধারণ।

চাকচিক্যের আড়ালে কোথায় যেন আমরা প্রশান্তিকে বিকিয়ে দিচ্ছি। যার মূল্য চুকানো প্রায় অসম্ভব।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৯

অধীতি বলেছেন: সেটাই, প্রশান্তি নেই বল্লেই চলে। আমার দুঃসম্পর্কের এক চাচার ঢাকায় বাড়ি। বাড়ির সামনে কিছুটা জায়গা থাকায় সবাই বলে ফাঁকা রাখলেন কেনো?

৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:২০

কিরকুট বলেছেন: বাংলাদেশের অবস্থা দিনে দিনে আরো খারাপের দিকে যাবে। গরীব মানুষ হঠাৎ করে পয়সা ওয়ালা হলে যেমন হয় ঢাকার অবস্থা তেমনি। আমি কোলকাতা ঢাকার তুলনা করতে চাই না। এই দুইটা শহরের প্রতি উভয় দেশের মানুষের হা পিত্যেশ আছে। পুরানা কোলকাতা তার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। সেখানে এখনো পাড়া কালচার চলে। পুরান ঢাকায় ও আছে কিন্তু তা বেশিরভাগ উর্দু কালচার মোটেও বাংগালী কালচার নয়। কিন্তু আধুনিক কোলকাতায় গেলে বুঝবেন ঢাকার জন্য কোলকাতার মানুষের হাহাকাত কেনো।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৫০

অধীতি বলেছেন: ধন্যবাদ। কোলকাতায় যাবো শুধু ট্রামে চড়তে।

১০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: জয়া আহসানের কথা সিরিয়াস নেওয়ার কিছু নাই।

আমার বন্ধু শাহেদ জামাল রমনা পার্ক নিয়ে অনেক হায় আফসোস করে।
ঢাকা শহর কে একদম হাওয়ায় উড়িয়ে দেবেন না। এই শহর অনেক পুরাতন শহর। কি নেই এই শহরে? আপনি বাংলাদেশের যেখানেই থাকেন না কেন ঢাকা আপনাকে আসতেই হবে।

কলকাতা আমি গিয়েছি। কলকাতায় বৈঠকখানা রোডে আমাদের একটা বাড়ীও আছে।
কলকাতা গেলে মনে হয় তা অন্য একটা শহরে এসেছি। একদম ঢাকা শহরের মতোণ।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৫১

অধীতি বলেছেন: সিরিয়াস নেইনি। কিন্তু আমাদের এখানকার পুরাতন বাড়িগুলো অযত্নে অবহেলায় এখন শত্রু হয়ে উঠেছে। যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম।

১১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:১৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আমাদের সাহিত্য প্রেমিকদের সংখ্যায় তো ফেসবুক পূর্ণ। আপনি অর্ধেকেরও বেশি পাবেন সাহিত্য প্রেমি। ফেসবুক বাদ দেন, বাস্তবিক অর্থে যারা নিজেদেরকে সাহিত্যিক ভাবেন, এই যেমন আমরা। আমরাই বা কতটুকু প্রকৃতি রক্ষার জন্য চেষ্টা করেছি। আজ প্রকৃতির এই বিপর্যয়ে আমরা যখন অশান্তিতে নিমজ্জিত তখনই আমরা তা নিয়ে কথা বলি। আগামীকাল যখন আমাদের এই কষ্ট থাকবে না, তখন যদি আমাদের চোখের সামনে হাজারো বৃক্ষনিধনের যুদ্ধ শুরু হয়, আমরা তখন আজকের কষ্টের কারণ ভুলে যাব।
বস্তুত আমাদের সচেতনতার বড় অভাব।
আপনাকে ধন্যবাদ, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লেখার জন্য।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫

অধীতি বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।

১২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৫

মিরোরডডল বলেছেন:




সোহরাওয়ার্দী উদ্যান একসময় ভীষণ সুন্দর ছিলো, সবুজ আর সবুজ!
এখন সেগুলো কোথায়! গাছপালার বিকল্প নেই।

যত উন্নত প্ল্যানিং হোক না কেনো, সেটা যদি গাছপালাবিহীন হয়, তাহলে সেটা কাম্য নয়।

একটা দূর্বা ঘাসের লতিকার জন্যও তার বড্ড মায়া হয়।

সেইম হিয়ার, আমারও এমনটা দেখলে মন কেমন করে।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৬

অধীতি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। প্রকৃতির মত স্নিগ্ধ থাকুন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.