নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অর্ক

অহরিত

কিছু বলার নেই।

অহরিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট্ট নিশি এবং তার হতভাগ্য পিতা

১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:২২

আমি অনেকক্ষণ হলো ড্রয়িংরুমে অপেক্ষা করছি।মাঝে একবার ছোট্ট একটি কাজের মেয়ে এসে চা দিয়ে গেছে যাতে আবার চিনি কম।এতে অবশ্য মাইন্ড খাইনি।আমি জানি এই সামান্য চা দেয়ার ভদ্রতাটুকুও আরিয়ার থেকে আমার পাওয়ার কথা নয়।৫ বছর আগে ডিভোর্স দেয়া স্ত্রীর কাছে কোন কিছুরই প্রত্যাশা করা যায়না।আসলে ডিভোর্স দেয়া বললে ভুল শোনায়,আরিয়াই আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলো।মনে আছে, যখন আরিয়া বাক্স-পেটরা গোছগাছ করে আমাদের মালিবাগের দুই কামরার ছোট্ট বাসা ত্যাগ করে তখন সে অসম্ভব শক্ত ছিলো।আমি হাসিমুখে আরিয়াকে বলেছিলাম, “My Dear Wife, be happy and fall in a new love soon”. আরিয়া আমার দিকে তীব্র ঘৃণা ভরা দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে ছিলো। আমি এখনো সেই ঘৃণার কথা ভুলতে পারিনি,কখনো পারবো বলে আশা করিনা।



সেই দিনের পর আজ পাঁচ বছর হলো, আমি আবার আরিয়ার সাথে দেখা করতে এলাম।আজকের দেখা হওয়ার পূর্ব প্রেক্ষাপট পাঠককে জানানো দরকার।সেদিন ছিলো বৃহস্পতিবার।আমি প্রতি বৃহস্পতিবার নিয়ম করে নীলেক্ষেত যাই কাগজ কেনার জন্য।নীলক্ষেতের তেহারীর দোকানের পাশে বীথি পেপার হাউস নামে যে দোকানটি আছে সেটি আমার গন্থব্য। তারা আমাকে বেশ সস্তায় রেডিও বন্ড কাগজ বিক্রয় করে।আমার পেশাটাও জানিয়ে দেই।আমি একজন দুইনাম্বারী লেখক।দুই নাম্বারী এ অর্থে যে আমি অন্যের লিখা অনুবাদ করি।হ্যা, নিজেরও বেশ কিছু লিখা আছে,কিন্তু সেগুলো পাঠক নজর দেয়নি।কিন্তু তবুও লিখালিখি আমার ভালোবাসা,আমার চলার পথের একমাত্র অর্থ উপার্জনের বাহন।পাঠককে আরো জানিয়ে রাখি আমার প্রাক্তন বউ আমার প্রেমে পড়েছিলো এই লিখালিখির কল্যাণেই।সেই ঘটনা আরেকদিন জানাই।



মূল গল্পে ফিরে আসি।আরিয়ার সাথে আমার মাসখানেক আগে দেখা হয় নীলক্ষেতে(শুধুই একটি কাকতাল মাত্র)।আমাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর এই প্রথম ওর সাথে আমার দেখা।আমি জানতাম সে সাড়ে চার বছর আগে USA এর উইস্কনসিন স্টেট এর গ্রীন বে নামে ছোট্ট একটি শহরে স্থায়ী হয়েছে।ভাবিনি এভাবে দেশে দেখা হবে আবার।প্রথমে ওকে দেখে আমি অবাক হয়ে একটু ভদ্রতার হাসি দেয়ার চেষ্টা নিয়েছিলাম,কিন্তু যখন ওর ওই ঘৃণাভরা চোখের কথা মনে হলো তখন আর কিছু ভাবতে ইচ্ছা করছিলোনা।বুকটা অনেকদিন পর কেমন যেন প্রচন্ড ব্যথায় মুচড়িয়ে উঠলো।আরিয়া আমাকে দেখে নিজেই এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করে, “কেমন আছো?”

আমি একটু হতভম্ব হয়েই ওকে জানালাম ভালো আছি।আরিয়া এরপর খুব দ্রুত একটা কাগজ বের করে একটি ঠিকানা লিখে আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো, “তোমার সাথে আমি নিজেই দেখা করতে চাচ্ছিলাম।তুমি আমার এই ঠিকানায় এসে একবার দেখা করে যেয়ো।”



ওই ঘটনার পর আমার মোট ২৬ দিন ১৬ ঘন্টা লেগেছে সাহস জোগাড় করে আরিয়ার সাথে দেখা করতে।আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে কেমন যেন ফুরফুরে লাগছিলো।খপাখপ একটা বিষণ্ণ নাগরিক জীবন নিয়ে কবিতা লিখে ফেললাম এবং এরপর সিদ্ধান্ত নিলাম আরিয়া ম্যাডামের সাথে আজকে দেখে করবোই করবো।আমি আমার বহুমাত্রায় প্রিয় কিছুটা ছেঁড়া নীল পাঞ্জাবী পড়ে ওর বাসায় রওনা হলাম।



কাজের মেয়ের দেয়া তিক্ত চা খেয়ে মেজাজটা গরম হলেও কিছুক্ষণ পর আবার মেজাজটা ভালো হলো আরিয়াকে আসতে দেখে।আরিয়া আমার থেকে কিছু দূরত্ব নিয়ে একটা চেয়ার টেনে বসলো।তারপর গম্ভীর কন্ঠে বললো, “শওকত,তোমাকে জানানো হয়নি।তোমাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর আমার একটি মেয়ে হয়েছিলো।দুঃখজনক ভাবে মেয়েটা তোমারও।আমি অনেক ভাবনা চিন্তা করে দেশে এসেছি তোমাকে এবং তোমার মেয়েকে দেখা করিয়ে দেবার জন্য।আশা করি তুমি ব্যাপারটা সহজভাবে নেবে"”।



আমি মুর্তির মত বসে রইলাম আরিয়ার পাশে বহুক্ষণ।এরপর আমার বিখ্যাত কাষ্ঠ হাসি দিলাম।আমি বুঝতে পারছিলামনা আমি কি বলবো।আমি একই সাথে অস্থির এবং ক্লান্ত অনুভব করলাম।আমি জানিনা আমার এখন সুখী অথবা দুঃখী কোনটি হওয়া উচিত।আমি শুধু আরিয়াকে শান্ত স্বরে বললাম “ধন্যবাদ আরিয়া।আমার মেয়ে কোথায়?তাকে একটু দেখতে পারি”



আরিয়া আমার দিকে তাকিয়ে বললো, “না পারোনা।তবে কালকে পারবে।আমি ওকে তোমার বাসায় পাঠিয়ে দেবো কাল।তুমি দুইদিন ওকে নিয়ে তোমার কাছে রাখবে।এরপর আমার কাছে দিয়ে যাবে।আমি চিটাগং যাবো চারদিন পর।ওখান থেকেই ওকে নিয়ে একেবারে ফিরে যাবো স্টেটস এ”



আমি আরিয়ার বাসা থেকে চলে এলাম এরপর।সারাদিন পল্টন প্রেস ক্লাবের আশেপাশে প্রখর রৌদ্রছায়ায় হেঁটে বেড়ালাম।আমি অনুভূতিহীন ছিলাম।আমি একটিবারের জন্যও পেটে ক্ষুধা অনুভব করিনি।আমার মনে তখন শুধু একটিই ভাবনা, আমার মেয়েটা দেখতে কেমন।সে বাংলা জানে তো?

সারারাত না ঘুমিয়ে পরদিন সকালে চোখা লাল করে আমি আমার বাসার ছোট্ট নোংরা বারান্দা দিয়ে নিচে তাকিয়ে থাকলাম।কখন আমার ছোট্ট চার বছরের মেয়েটি আমার কাছে আসবে এই চিন্তায় বিভোর হয়ে রইলাম।আপনাদের এর মাঝে জানিয়ে দেই, কেন আমার সাথে আরিয়ার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলো।



তখন আরিয়ার সাথে আমার মাত্র দুবছর হলো বিয়ে হয়েছে।আমাদের বিয়েটা ছিলো প্রেমের বিয়ে।কারো বাবা মাই কোন আপত্তি করেনি।কিন্তু বিয়ের পর দিন দিন আরিয়া বদলে যেতে থাকলো।আমার সাথে প্রতিদিন ঝগড়া করতো।ওর অভিযোগ ছিলো আমি ওকে ভালোবাসিনা,সময় দেইনা।সারাদিন লিখালিখি নিয়ে পড়ে থাকি।আমার খুব অপরাধবোধ হত।কিন্তু সংসার চালানোর জন্য প্রকাশকদের হাজার অপমান সহ্য করে আমাকে সঠিক সময়ে লিখা জমা দিতে হতো।ভালোবাসার সংসারে সুখ আসে অর্থ দিয়ে, এই ভয়ংকর সত্য বাস্তবটা আরিয়াকে কে বোঝাবে?



এক বছর পর যখন আরিয়া সন্তাসম্ভবা হয়, তখন একটু শান্ত হয় পরিস্থিতি।আমি হাফ ছেড়ে বাচি।কিন্তু দুঃসময় আমার পিছু ছাড়েনি।হতভাগ্য এই দুইনাম্বারী লেখকের জীবনে ভয়ংকর অভিশাপ হয়ে আসে যখন পাচ মাসের প্রেগনেন্ট আরিয়া ডাক্তার দেখিয়ে রাস্তায় হাটতে যেয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে এবং আমাদের শিশুটি সকল স্বপ্ন নিয়ে হারিয়ে যায়।আরিয়া দোষ দেয় আমার এবং শুধুই আমার।আমিও জানতাম যে আমিই অপরাধী, আমিই সেই পাপী যে আরিয়াকে সময় দিতে পারিনি।তার এমন অবস্থায়ও তাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে পারিনি,ছেড়ে দিয়েছি মাঝপথে একা,একেবারেই একা।



এসকল কিছু ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করে দেখতে পাই আরিয়াকে একটি গাড়ী থেকে নামতে। সাথে একটি ছোট্ট দেবশিশু।আমি কোনরকমে নিচে যাই, এবং বাসার গেটের কাছে গিয়ে আরিয়া আর শিশুটির দিকে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকি।আরিয়া আমার কাছে এসে দাঁড়িয়ে নিশির(আমার মেয়ের নাম) দিকে তাকিয়ে বলে, “মামানী এটা তোমার আব্বু।তুমি তোমার আব্বুর কাছে দুদিন থাকবে,ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়াবে।আর রাত হলে আমাকে একবার শুধু ফোন দেবে।ঠিক আছে?”



নিশি বড় বড় চোখ করে তার মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো, “ঠিক নাই মা।আমি থাকবোনা বাবার কাছে।আমি তো ওকে চিনিনা।”প্রথমবার মেয়ের মুখে ফুটফুটে বাক্য শুনে আমি অত্যন্ত অবাক হয়ে গেলাম।কত সুন্দর করে আমার মেয়েটা কথা বলে।আমি কখন ওকে একটু কোলে নিয়ে আদর করবো ভাবছিলাম।কিন্তু মেয়ে আমার সাথে থাকতে রাজী হবে তো!তার এই দুর্ভাগা পিতার সাথে দুটি দিনের জন্য সে থাকবে তো!



আরিয়া তার মেয়েকে কিভাবে যেন বুঝিয়ে রাজী করে ফেললো।আমি মেয়েকে নিয়ে আমার দুইরুমের নোংরা বাসায় এনে হাজির হলাম।আরিয়া গেটের বাহির থেকেই বিদায় নিলো।যাওয়ার আগে মেয়ের যা যা লাগে সব দিয়ে গেলো।আমাকেও সাবধান করে দিলো যেন মেয়ের কোন সমস্যা না হয়।আমি জ্বি আচ্ছা বলে ওর সব কথায় সায় দিয়ে গেলাম।

ঘরে ঢুকে আমার মেয়ে প্রথম যে কথাটা বললো তা হলো, “ছি! তুমি কত নোংরা, যারা লিখালিখি করে তারা তো অনেক পরিচ্ছন্ন হয়।”আমি টাসকি খেলাম এবং বিশাল ঢোক গিললাম।মেয়ের দিকে কাচুমাচু হয়ে বললাম, “মামনি কথা সত্য।কিন্তু আমি পচা লেখক তো তাই ঘর এমন অপরিচ্ছন্ন।”



এরপর বাপ মেয়ে মিলে মিশন ঘর গোছানো শুরু করলাম।টম ক্রুসের আব্বাও এমন কঠিন কাজ করতে পারতো কিনা জানিনা।আমার মেয়েটা বিশ্বাস করুন এই চার বছর বয়সেই এত সুন্দর সুন্দর সব আইডিয়া দিতে লাগলো আমি তাজ্জব হয়ে গেলাম।ঘর গোছগাছ করতে করতে দুপুর হয়ে গেলো।আমি আরিয়া জুনিয়রকে নিয়ে গুলশান-১ আলমাস গেলাম।আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম, ও কি খাবে। ও লজ্জায় মুখ লাল করে বললো, সব খাবো।



আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আমার মেয়েটা তার পিতার মত পেটুক হয়েছে।ওকে আমি যাই দেখিয়ে জিজ্ঞেস করে খাবে কিনা, সে কুটকুট করে বলে খাবো।আমি একটু পরপর ওর দিকে তাকাই।ছোট্ট দুইফুটের আমার মেয়ে বড় বড় চোখ নিয়ে আশেপাশে তাকিয়ে থাকে, আর আমাকে একের পর এক প্রশ্ন করে।আমি কখনো চিন্তাও করিনি মেয়ে এত তাড়াতাড়ি এত ঘনিষ্ট হয়ে যাবে আমার।একটু পর সে নিজ থেকেই আমাকে বললো তার পায়ে বেদনা,সে কোলে উঠে ঘুরবে।আমি ওকে নিয়ে বহু মার্কেট, বহু জায়াগায় ঘুরলাম সারা বিকাল সন্ধ্যা।গুলশানের নোংরা লেক ওর সবচেয়ে ভালো লাগলো।কি কারণে জানিনা।



রাতে যখন ডিনার করে রিকশা নিয়ে বাসায় ফিরছিলাম, ও আমাকে জিজ্ঞেস করে আমি ভালোবাসাবাসি করি কিনা।আমি এইটুক মেয়ের মুখে এমন কথা শুনে আবার ভিড়মি খেলাম।তাকে জানালাম আমাকে কেউ বেল দেয়না।আপনাদের অবগতির জন্য অত্যন্ত কষ্টের সাথে জানানো যাচ্ছে আমার মেয়ের সাথে আমার সব কথোপকথন ইংরেজীতে হয়েছিলো।সে বাংলা ভালো বলতে পারেনা।আমি যে ইংরেজীতে কথোপকথনে অভ্যস্ত তা কিন্তু নয়।কিন্তু চালিয়ে নিতে পারি।



এরপরের দিন আমি একেবারে ভোরে তাকে নিয়ে রমনা বটমূলে চলে যাই।তাকে আমাদের দেশের বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের গল্প বলি।প্রতি ১লা বৈশাখে এখানে যে অনুষ্ঠান হয় সেটা তাকে জানাই।আমার মেয়ে সব শুনে দাবী করে তাকে পহেলা বৈশাখের শাড়ী কিনে দিতে হবে।আমি তথাস্তু বলে তাকে নিয়ে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে যেয়ে একটি ছোট্ট শাড়ি কিনে দিয়ে সন্তষ্ট করি।অনেক দিন পর আমি ঢাকা শহরে স্বস্তির শ্বাস নিয়ে বেঁচে ছিলাম।



কাল ও চলে যাবে একথা মনে করে রাতে প্রচন্ড মন খারাপ নিয়ে আমার মেয়ের সাথে নিজের হাতের খিচুরী ডিম নিয়ে ডিনার করছিলাম। নিশি মামনী হঠাৎ জিজ্ঞেস করে, “বাবা, মা তোমাকে কেন ছেড়ে গেল?”

আমি নিশির দিকে তাকিয়ে দেখি সে উত্তরের জন্য চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।কিন্তু আমি কি উত্তর দিবো আমার মেয়েকে যেটা সে বুঝতে পারবে?



আমি চুপ করে খেতে লাগলাম।আমার মেয়ে আবার আমাকে জিজ্ঞেস করলো, “বাবা তুমি আমাকে ছেড়ে থাকতে পারবে?”



আমি চোখের জল চেপে তাকে উত্তর দিলাম, “নারে মা।আমি তোর সাথে এবার চলে যাবো আমেরিকায়।”



আমার মেয়ে হঠাৎ কেঁদে উঠে বললো, “আমাকে যখন কেউ মিথ্যা বলে আমি সেটা বুঝি।বাবা আমি তোমার জন্য প্রতি রাতে একটা করে কবিতা লিখি।আমার ক্লাসমেটদেরকে বলি আমার বাবা কবি,আমিও একজন কবি হবো।মা আমাকে প্রতি জন্মদিনে তোমার হয়ে একটা করে কার্ড দেয়।আমি তোমার দেয়া সব কার্ড ছিড়ে ফেলে দেই।কারণ তুমি পচা।কখনো তুমি আমার সাথে দেখা করোনা,গল্প বলোনা”।"



আমার চোখ ভিজে গেলো।আমি আবারো নিজেকে একজন ব্যর্থ বাবা হিসেবে আবিষ্কার করলাম।আমি জীবনের প্রতি ক্লান্ত, বিমর্ষ একজন ব্যর্থ পিতা যার নিজের সন্তানটিকে প্রতিরাতে একটু আদর করে কপালে চুমু খাওয়ার অধিকারটাও নেই।আমি নিশিকে বুকে টেনে নিয়ে বললাম, “মা আমি সত্যিই তোর সাথে নিয়মিত দেখা করবো।”



আমার মেয়েটা সারা শরীর কাঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে শুধু এটুকুই বললো, “You are a liar, you are a liar”



পরদিন সকালে আরিয়া তার মেয়েকে নিয়ে চলে গেলো।আমি যাওয়ার পথে আরিয়াকে একটি চিঠি দিলাম।বারবার অনুরোধ করলাম একবার যেন সে চিঠিটা পড়ে।একটিবারের জন্য।আরিয়া কঠিন চোখে আমার দিকে তাকিয়ে চিঠিটা নিলো এবং আর কিছু না বলে চলে গেলো।আমি রাস্তায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম আমার ছেড়া নীল পাঞ্জাবী নিয়ে।আমার মেয়েটা একটা বার আমার সাথে কথা বলেনি সকালে।আমি শুধু মেয়েটাকে কোলে নিয়ে গালে একটুকরো চুমু দিতে পেরেছিলাম।একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম, “প্রিয় নিশি মা, তুমি কি জানো তোমার বাবা তোমাকে কতটুকু ভালোবাসে?”নিশি আমার দিকে একবারও না তাকিয়ে গাড়িতে উঠে পড়লো।আহারে! আমার মেয়েটা এই ছোট্ট বয়সে কি যন্ত্রণা বুকে বহন করে নিয়ে যাচ্ছে, আমি তার অভিশপ্ত পিতা শুধুই পারি ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকতে।



আরিয়া কি আমার চিঠিটা পড়বে একটিবারের জন্য, আমি জানতাম না।আমার চিঠিতে আমি লিখেছিলামঃ



“আরিয়া, আমি অতীতে যে ভুল করেছি তার সাফাই আগেও গাইনি এখনও গাইবোনা।আমি ভুল করেছি, তোমার কাছে আমি অপরাধী।কিন্তু যে অর্থ কষ্টে আমি তখন জর্জরিত ছিলাম তার থেকে উত্থানের জন্য আমার পুরো সময়টুকু শুধু আমি লিখালিখির জন্য, তা থেকে সামান্য কিছু আয়ের জন্য দিয়েছি।আমি জানিনা তুমি কখনো বুঝেছিলা কিনা যখন প্রতি রাতে আমি তোমার ঘুমন্ত মুখের দিকে জোসনা থাকুক আর না থাকুক তাকিয়ে থাকতাম আমাদের ভাঙ্গা জানালার মাঝ দিয়ে বের হয়ে আসা ছোট্ট রুপালী আলোর ছটায়।তোমাকে আমি একটি কবিতাও দেইনি, যে কবিতাগুলো আমি তখন লিখতাম।আমি তোমাকে কখনো আমার ভালোবাসা জানাইনি,আজও জানাতে পারবোনা হয়ত।শুধুই বলবো, তুমি যত দূরে থাকো আমি তোমাকে প্রতি রাতে দেখতে পাই।এই পাঁচ বছরে লিখে রাখা আমার ১৮২৭টি চিঠি আমি সব তোমার মুখের দিকে চেয়ে লিখেছি।আমি আমাদের ভালোবাসার ওই ছোট্ট বাসাটি আজও ছাড়তে পারিনি।আমি ভাঙ্গা জানালাটি মেরামত করিনি।আমি এখনো রাত জেগে জানালার বাধা ভেঙ্গে বিছানায় পাঁপড়ি মেলা জোসনার আলো দেখি।



আজ এতদিন পর এই ভালোবাসার দাবী নিয়ে তোমার কাছে একটি শুধু অনুরোধ রাখবো।আমার মেয়েটাকে তুমি সারাজীবন বুকের মাঝে আগলিয়ে রেখ।কখনো ওকে কষ্ট দিয়োনা।আমি সারাজীবন অভিশপ্ত হয়ে থাকবো হয়তো আমার মেয়েকে একটি স্নেহময় বাবা দিতে না পারার জন্য।কিন্তু আমি তোমাতে বিশ্বাস রাখি।আমি জানি তুমি আমার অভাব তাকে বুঝতে দিবেনা।ওকে শুধু প্রতিরাতে একবার আমার হয়ে কপালে একটা চুমু খেয়ে জানিয়ো, আমার মেয়েকে আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে ভালোবাসি।

ভালো থেকো”।"



এরপর দুমাস কেটে যায়।আমি স্বার্থপর লেখক নিজের পেটের ধান্দায় দুইনাম্বারী কাজ করে যেতে থাকি।হঠাৎ করে একদিন আরিয়ার থেকে একটা চিঠি পাই যা নিম্নরূপঃ



“শওকত, আমি জেনে খুব বিরক্ত হয়েছি যে তুমি আমার ঘুমন্ত মুখের দিকে প্রায় সময় তাকিয়ে থাকতে।হয়তো একারণেই আমি তোমার সাথে সংসার করার সময় কখনোই ঠিকমত ঘুমুতে পারিনি।আমি অনেক চিন্তা ভাবনা করে ঠিক করেছি তিন দিন পর ঢাকা আসবো এবং বাকী জীবন তোমাকে এই বিরক্তিকর কর্মের জন্য শাস্তি দিয়ে যাবো।অনুগ্রহ পূর্বক তোমার ভাঙ্গা জানালা সারিয়ে ফেলো।তোমার অবগতির জন্য জানাই, নিশি আমার এই সিদ্ধান্তে একটু পর পর ফুটবলের মত লাফ দিচ্ছে আবার ভ্যা ভ্যা করে কাদছে।”



এই চিঠি পাওয়ার সময় আমি তখন নিজের স্বতন্ত্র একটা প্রেমের উপন্যাস লিখছিলাম।চিঠি পাওয়ার পর থেকে আমি বারবার লিখার পাতা ভিজিয়ে ফেলেছি।চিঠিটা একটু দেরীতে পড়লেই বোধ হয় ভালো হতো।ভুল হয়েছে!

********************************************************************

আবার একটা গল্প লিখলাম।এটাও ভালোবাসার গল্প।কিন্তু ধরনটা ভিন্ন বলেই দাবী করি।বোধ করি, আবারো একটি অখাদ্যই হয়েছে।আমি যারপরনাই আনন্দিত হবো যদি আপনারা তবুও এই লিখাটি হজম করতে পারেন।বদহজম হলে ক্ষমাপ্রার্থী।

মন্তব্য ১৩৫ টি রেটিং +৬৯/-০

মন্তব্য (১৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৪২

বডটজসৃ বলেছেন: আপনি কি বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা..আমি কাদছি..।সত্যি অসাধারণ লিখেছেন!! অগুণতি প্লাস!!

১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:২৫

অহরিত বলেছেন: বিশ্বাস করলাম।আমার সামান্য লিখা আপনার হৃদয় ছুয়ে গেছে বলে যারপরনাই আনন্দিত।ধন্যবাদ।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৪২

ভালবাসা চাই বলেছেন: nice story. I like it. :) :)

১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:২৭

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৪৪

মুন্না_৯৭ বলেছেন: চমৎকার ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ....
একটানা পড়েছি...
++++++++++++++++

১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:২৮

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ মুন্না।

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৪৫

মন্দিরা বলেছেন: এক নিমিষেই শেষ করলাম।খূব-খুব ভাল লেগেছে লেখাটি।আমি আমার ৪ বছরের ছেলেটি কৌশিক-কে ছাড়া একদম থাকতে পারিনা ভাই।

১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৩০

অহরিত বলেছেন: তাই।কৌশিকের জীবন সুন্দর হোক এই প্রার্থনা করি।ভালো থাকুন।

৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৫০

কে এম খান বলেছেন: গল্পটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে........!!! লাস্ট কয়েক লাইনের লেখাগুলো না পড়লে বুঝতেই পারতাম না যে এটি গল্প...!! আপানি আপনার জীবন কাহিনী মনে করে পড়ছিলাম।...............আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতসুন্দর লেখার জন্য...!!!

১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৩৫

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ এম খান।

৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৫৩

অশ্ব ডিম্ব বলেছেন: আমি এত সুন্দর করে চিন্তা করতে পারি না, এজন্যই মনে হয় আপনি লেখক আর আমি মিস্ত্রি।

১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৩৬

অহরিত বলেছেন: হা হা আমিও তড়িৎ মিস্ত্রী আর রবিবাবুও উকালতি পড়তে গিয়েছিলেন বিলাতে।

৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৫৯

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
আপনাকে বলছি, আমি লগইন করেছি শুধু একটা অসম্ভব ভাললাগা জানিয়ে দেয়ার জন্য । অন্তত: দশবার পড়েছি কোন কৌশলে চোখ ভিজিয়ে ফেলা বোঝার জন্য, আলাদা করতে পারিনি

ভাল থাকবেন অনেক।

১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৩৭

অহরিত বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।আপনিও ভালো থাকুন।

৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:১১

ডেইফ বলেছেন: নামটা ঠিক মনে আসছে না, কিন্তু ভাইয়া আপনার গল্পটা যে হুমায়ুন আহমেদের এক গল্পের সাথে হুবহু মিলে গেল শুধু শেষের কয়েকটি লাইন বাদে।

১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৪০

অহরিত বলেছেন: যদিও সন্ধ্যা নামে হুমায়ুন স্যারের একটি লিখা ছিলো।অবশ্যই আমার গল্পের সাথে তার ওই উপন্যাসের কাহিনী বিন্যাসের বেশ মিল আছে(হয়তো উনার লিখা অন্য আরো কারো লিখার সাথে মিলে যায়)।কিন্তু আমি তার লিখা কপি করিনি এটা আশ্বস্ত করতে পারি।

৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:১১

রুচি বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের লেখা একই গল্প অবলম্বনে একটা উপন্যাস পড়েছিলাম। সেখানেও নায়কের নাম শওকত তবে সে লেখক না আর্টিস্ট। তবে তার লেখা এতটা হৃদয়ষ্পর্শি ছিল না। পড়তে ড়পতে চোখটা বার বার ভিজে যাচ্ছিল। শুভকামনা+++++

১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৪৪

অহরিত বলেছেন: উপন্যাসটির নাম ছিলো "যদিও সন্ধ্যা"।সেখানে নায়কের নামটা ঠিক মনে নেই।যদি শওকত হয়ে থাকে তাহলে বড়ই অবাক হচ্ছি।আমার খুব প্রিয় উপন্যাস ছিলো।হয়তো একারণে সেই নায়কের মত আরেকটি চরিত্র তৈরী করতে যেয়ে ঐ নামটি লিখে ফেলেছি।

আমার লিখা হৃদয়স্পর্শী কিনা তা জানিনা।তবে আপনার ভালো লেগে থাকলে ধন্যবাদ।

১০| ১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৩২

এম. হাবীব বলেছেন: অসাধারণ লেখা; হজমে কোন গোলমাল হয় নাইক্কা;++

১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৪৫

অহরিত বলেছেন: হজমে গোলমাল না হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

১১| ১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:২০

অক্রুর মাঝি বলেছেন: Salute!

১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:২৬

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ

১২| ১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:৩২

মুহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেছেন: অফিসে সবার সামনে পড়েও চোখে পানি এসে গেলো।।ভাই এটা কি আপনার বাস্তব জীবনের গল্প?সত্য ঘটনা?

১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:৪২

অহরিত বলেছেন: না না! আমার জীবনের গল্প এতোটা বৈচিত্রময় নয়।

ভালো থাকুন।

১৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:৪৩

উপদেশ গুরু বলেছেন: পড়তে পড়তে চোখে পানি চলে আসলো...................

লাস্ট কয়েক লাইনের লেখাগুলো না পড়লে বুঝতেই পারতাম না যে এটি গল্প...!! আপানি আপনার জীবন কাহিনী মনে করে পড়ছিলাম।..










সরাসরি প্রিয়তে।

১৪ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৩১

অহরিত বলেছেন: লিখা ভালো লেগে থাকলে ধন্যবাদ।

১৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:৫৮

শায়মা বলেছেন: গল্পটা প্রিয়তে নিলাম।


কিছুই বলার নেই।


শুধু সবশেষে মনে হলো গল্প গল্পই।

বাস্তবের সাথে তার বড়ই ফারাক আর তাই তো আমরা গল্প পড়ি। হাসি কাঁদি, আনন্দে ভাসি।

১৪ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৩৭

অহরিত বলেছেন: ভালো বলেছেন।আসলেও গল্প গল্পই।

আপনাকে ধন্যবাদ।

১৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৪৯

ঘাসফুল বলেছেন: চমৎকার লেখা...

১৪ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:১৯

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ ঘাসফুল।

১৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:০৯

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: অসাধারন হয়েছে....................। বহুত দিন পরে একটা ভালো লেখা পড়লাম...............।

১৪ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৪২

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ মেহেদী।

১৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১০ রাত ৯:২১

সায়েম মুন বলেছেন: গল্প বেশ ভাল লাগল ড়ৎশড়!

১৫ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:০৩

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ সায়েম।

১৮| ১৫ ই জুলাই, ২০১০ রাত ২:৩০

একরামুল হক শামীম বলেছেন: আবারও আপনার গল্প পড়ে মুগ্ধ হইলাম। আপনি যে দারুন লেখেন তা আবারও জানিয়ে গেলাম।

১৫ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:০৪

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ শামীম ভাই।

১৯| ১৫ ই জুলাই, ২০১০ ভোর ৪:০০

শয়তান বলেছেন: মনটা ভীষন খারাপ ছিলো আজ। দুপুরেই দেখেছি লেখাটা তবে পড়া হয়নি তখন । এখন পড়লাম । এবং আশ্চর্য্য হয়ে লক্ষ্য করলাম মন খারাপের ব্যপারটা সম্পুর্ন উধাও হয়ে গেছে কখন যেন ।

অসংখ্য ধন্যবাদ এজন্য ।

১৫ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:০৬

অহরিত বলেছেন: আপনার মন ভালো হয়ে থাকলে নিঃসন্দেহে বলতে হয় আমার এই লেখা সার্থক।

২০| ১৫ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:০৮

স্পর্শক বলেছেন: শেষের টুকু অবাস্তব হয়ে গেলো। আর বাস্তবতা দিয়ে কি হবে ? অবাস্তব যদি বাস্তবতার চেয়ে সুন্দর হয় তাহলে অবাস্তবই সই ....
আপনার কাছে বিশেষ অনুরোধ , লেখাটার ব্যাকআপ রাখবেন। সামুর মালিকপক্ষের কথা বলা যায় না , কোনদিন গায়েব করে দেয় কে জানে ?
আমি এর আগে শেষ কবে কোনো লেখা পড়ে কেঁদেছি মনে নেই ... এটা মনে থাকবে ...

১৫ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:১০

অহরিত বলেছেন: আমার প্রতিটি লিখায় আমি অবাস্তবতার ছোয়া দিয়ে রাখি।কারণ আপনার মত আমারো মনে হয়, সুন্দর অবাস্তবতা প্রকাশেই বাস্তবতার জীর্ণতা মলিন হয়ে যায়।

ভালো থাকুন।

২১| ১৫ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৩০

কাশিফ বলেছেন: অসাধারণ।আমি যত ভালো গল্প পড়েছি তার মধ্যে এই গল্পটা অন্যতম।চোখ ভিজে গেছে।সামু তে পড়া বেষ্ট লেখা এটি।

১৫ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:০৪

অহরিত বলেছেন: আপনার প্রশংসা শুনে আমি বেশ লজ্জাই পেলাম বলতে পারেন।আপনাকে ধন্যবাদ।

২২| ১৫ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৩২

রিমঝিম বর্ষা বলেছেন: সকালবেলাতেই আপনার লেখা আমার চোখ ভিজিয়েছে। অফিসে বসে কান্নাকাটি! কি কান্ড বলেনতো! সমাপ্তিটা এত সুন্দর করার জন্যে আপনাকে অনেএএএএক ধন্যবাদ। প্রিয়তে থাকুক।

১৫ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:০৬

অহরিত বলেছেন: তাই!
ভালো লেগে থাকলে ধন্যবাদ।

২৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৩৭

তমসঃ তনু বলেছেন: নাহ্‌। অনেক চেষ্টা করেও চোখের জল আটকানো গেল না। লেখকের ক্ষমতা রয়েছে গল্পের শেষে চরিত্রগুলোর মিলন ঘটানোর । কিন্তু বাস্তব জীবনে কি বিধাতা সবসময় মানুষের ভাগ্যে এই মিলন লিখে রাখেন ?

১৫ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:০৮

অহরিত বলেছেন: হয়তো না!
বাস্তবে যে ভালোবাসা অপূর্ণ থেকে যায়, তাকে গল্পে পূর্ণতা দেয়ার যে আনন্দ তা ভাষায় প্রকাশ করা যায়না।
ধন্যবাদ।

২৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৪০

জনৈক আরাফাত বলেছেন: আমি আরিয়াকে নিয়ে গুলশান-১ আলমাস গেলাম।
নিশি হবে কী?
------------------------------------------------------
আপনার লেখা ভালো লাগে। এটাও ভালো লাগলো।

১৫ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:০৯

অহরিত বলেছেন: আরাফাত ভাই।দারুণ ভুল ধরেছেন।ঠিক করছি।ধন্যবাদ।

২৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৪৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: খুবই দারুন লাগলো....

১৫ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:১৩

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ।প্রোফাইল পিকের শিশুটি আপনার হলে তার জন্য অনেক আদর।

২৬| ১৫ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:৪৭

ধূসর প্রেইরী বলেছেন: ভালো লেগেছে !!! তবে আরিয়া রা ফিরে আসে না কখনো ...................

১৫ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:১৫

অহরিত বলেছেন: সত্যি ওরা আসেনা।
ধন্যবাদ।

২৭| ১৫ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:২০

রো-দ্দু-র বলেছেন: ভয়ানক ভালো লেখা....চোখে পানি এসে গেল।কখন যে নিশি আর আমার প্রজ্ঞা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে....

১৫ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:১৯

অহরিত বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।প্রজ্ঞাকে ভালোবাসা জানাবেন।

২৮| ১৫ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৪৫

অদ্ভুতুড়ে বলেছেন: অনেক সুন্দর হয়েছে। প্লাস।

কিন্তু বাস্তবে যারা চলে যায় তারা আর ফিরে আসে না।

১৫ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:০০

অহরিত বলেছেন: কথা সত্য,সত্যি তারা আর আসেনা।

আপনাকে ধন্যবাদ।

২৯| ১৫ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১১:০১

বায়েস আহমেদ বলেছেন: লেখক ভাই, কেঁদেই ফেললাম.....অসাধারণ.....!!

১৭ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৫১

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ বায়েস।

৩০| ১৬ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:০৮

আরাফাত৫২৯ বলেছেন: শুধুমাত্র গল্পটা প্রিয়তে নেবার কারণে লগইন করা লাগল।
মধুময় বিরক্তি মেশানো প্লাস... B-)) B-)) B-)) B-)) B-))

১৭ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৫২

অহরিত বলেছেন: হাহা!
ধন্যবাদ।

৩১| ১৬ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৫১

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: ধুর , আমি ভাবছিলাম আত্বজীবনী লিখছেন । পরে দেখলাম গল্প

তারপরেও লেখাতে +++++++

১৭ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:৪৬

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩২| ১৬ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:০২

হুপফূলফরইভার বলেছেন: আহ! এমন করেই যদি আমার "টামি" ফিরে আসত!!!

১৭ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:৪৯

অহরিত বলেছেন: হয়তো একদিন আসবে।অপেক্ষায় থাকুন।

৩৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:৪০

অগ্নিশিখা বলেছেন: অসাধারণ ......... + + + + + + +

১৭ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:০৭

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ।বহুদিন পর দেখা আপনার।

৩৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:৩০

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: আপনাকে মাইনাস!!! আপনি যাই লিখেন তাই আত্মজীবনী মনে হয়। এরপর বুঝা যায় এটা গল্প। X( X( X( X(

প্রথম পড়েছিলাম "আধঘন্টায় প্রেম" গল্পটা। পরে বুঝলাম গল্প। "নীরা আর অদিতি" এখনও মনে হয় আপনার জীবনের গল্প।

এইটা পড়ার আগেই বুঝছি গল্প।তাই চমকের আশা ছিল না।

তবে, এইটা একটু অবাস্তব হইয়ে গেছে। আরিয়ারা কখনো ফিরে আসে না। বাস্তব অনেক কঠিন। :( :( :( :(

১৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:৫৫

অহরিত বলেছেন: বাস্তব অনেক কঠিন!!

৩৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১০ রাত ৮:২৫

বরুণা বলেছেন: আমার নাম নিশি।

গল্পটা পড়ে খুব অবাক হলাম!

কাকতালীয় সম্পর্ক বলে একটা কথা শুনেছিলাম। তবুও সেটাতেই অবাক হই!

১৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:৫৮

অহরিত বলেছেন: বলেন কি!!

নিশি আশা করি আপনিও শওকতের মত একজন চমৎকার পিতা এবং আরিয়ার মত মমতাময়ী মায়ের আদরে বড় হয়েছেন।

৩৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৪০

মদন বলেছেন: অসাধারন! অসাধারন!! অসাধারন!!!

১৯ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:১৪

অহরিত বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:২২

রিফাত হক বলেছেন: +++++++++++++++++++++
লেখাটি অনেক ভালো হয়েছে। আপনি বরাবর ভালো লেখেন, আপনার লেখা পড়লেই মন একি সাথে ভালো আর খারাপ দুটোই হয়ে যায়। ভালো হয়, লেখাগুলো পড়লে আর মন খারাপ হ্য়, কারণ আপনার লেখা পড়লেই প্রথমেই মনে পরে দেশের কথা। প্রবাসে যারা থাকেন তারা খুব অল্পতেই নস্টালজিক হয়ে পরেন (সবচেয়ে বড় উদাহারন আমি)।

১৯ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:১৬

অহরিত বলেছেন: প্রিয় রিফাত হক, আপনার প্রবাস জীবন মধুময় হোক এমন প্রার্থনা করি।সাথে তা যেন আমার মত কিছু ছোটখাট ব্লগারের সামান্য লেখালিখিতে কিছুটা হলেও বিষণ্ণ বর্জিত হয় প্রার্থনা করি।

৩৮| ২১ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৮:১৩

শম্পা শাহরিয়ার বলেছেন: অসম্ভব ভাল লাগল পড়ে

২৪ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৯

অহরিত বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৩৯| ২১ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৮:২৭

সুরঞ্জনা বলেছেন: হুমায়ন আহমেদের লিখা এই কাহিনীটা আমার ভালো লেগেছিলো। আপনারটাও লাগলো।

২৫ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৩৮

অহরিত বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৪০| ২১ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৮:৩১

তারানা_শব্দ বলেছেন: হুম! গল্পটা সুন্দর, তবে কিনা এমনটা বাস্তবে হয় না! বাস্তবে তো আরিয়ারা ইউ.এস. সিটিজেন কে বিয়ে করে সুখে থাকে...তবে শান্তিতে থাকে না!! :(

২৫ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৪০

অহরিত বলেছেন: এমনটা বাস্তবে হয় না!

তাই গল্পে হইয়ে দিলাম।

৪১| ২১ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৯:৩০

শিমন বলেছেন: চোখ বুঝে প্রিয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলাম।

২৫ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৪১

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪২| ২১ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১১:০০

আকাশনীল বলেছেন: গল্পের শেষেই আপনার চমক। আমি চমকিত, অভিভূত। খুব সুন্দর একটি গল্প। "যদিও সন্ধ্যা" র সাথে থিমে মিল আছে, তবে আপনার লেখা সম্পূর্ন স্বতন্ত্র। :)

২৫ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৪৫

অহরিত বলেছেন: "আপনার লেখা সম্পূর্ন স্বতন্ত্র"-এই কথাটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। কেউ বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, কিন্তু আমি উনার লিখা মাথায় রেখে আমার এই গল্পটি লিখিনি।

৪৩| ২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ২:৩২

ইষ্টিকুটুম বলেছেন: অগুনিত প্লাস!!! খুব ভাল লেগেছে!! খুব খুব খুব!!

মনটা খারাপ ছিল, এক সুখের গল্প পড়েও মনটা ভাল হয়ে গেল।

ধন্যবাদ!

২৫ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৪৬

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ ইষ্টিকুটুম।

৪৪| ২২ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:২৩

মুকুট বলেছেন: ব্লগের কাঁদাছোড়াছুড়ি দেখে বিরক্ত হয়ে লগিন করি না, শুধু মাঝে মাঝে অফলাইন পাঠক হিসাবে দেখে যাই। আপনার অসম্ভব সুন্দর এই লেখা পড়ে লগিন না করে পারলাম না। মনেই হয়নি এটা গল্প, এজন্য শেষে লাইনগুলো মনে হচ্ছে আপনি ইচ্ছা করেই লিখেছেন, গল্প হিসাবে প্রমাণের জন্য। এখনও চোখের কোনে জল আছে :(


অনেক অনেক ধন্যবাদ, এই লেখার জন্য।

২৫ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৪৮

অহরিত বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৪৫| ২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১০:৪১

লালসালু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, এই লেখার জন্য।

২৫ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৪৯

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ লালসালু।

৪৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:১৩

প্রাকৃত বলেছেন: গল্পটার প্রথম দিক পড়ে কঠোর সমালোচনা করবো ভাবছিলাম। তবে শেষটায় এসে অবিভূত হলাম।সুন্দর লিখেছেন। তবে গল্পটা আরো সতন্ত্র হবার দাবী রাখে।

২৫ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:০৫

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ।
লেখা পোস্ট করার পর তার অসতন্ত্রতা ধরতে পেরেছি।সেহেতু আমি নিজেকে কঠোর সমালোচনারই যোগ্য মনে করি।

৪৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৪৪

নীরজন বলেছেন: ৪৬ তম প্লাস.............একটু দেরীই হয়ে গেল...........

চোখে পানি এনে দেবার জন্য তো আপনার একটা শাস্তি হওয়া উচিত......তাই না????

২৫ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:১৪

অহরিত বলেছেন: হা হা...তা হওয়া উচিত বৈকি।

ধন্যবাদ।

৪৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:০১

দুখী মানব বলেছেন: জটিল হৈসে :)

৩০ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৫৩

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:০৬

১২৩৪ বলেছেন: অনেকগুলি প্লাস...

৩০ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৫৫

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫০| ২৮ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৫৫

বরুণা বলেছেন: লেখক বলেছেন: বলেন কি!!

নিশি আশা করি আপনিও শওকতের মত একজন চমৎকার পিতা এবং আরিয়ার মত মমতাময়ী মায়ের আদরে বড় হয়েছেন।


না আমার গল্পটা অন্যরকম।

তবে গল্পে গল্পেই জীবন হয়। মানুষের জীবন তো একটা গল্পেই গাঁথামালা নয়।

৩০ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৫৮

অহরিত বলেছেন: আপনার গল্প যেমনই হোক, আশা করি তা আরো সুন্দর হয়ে উঠবে প্রতিদিন।

শুভকামনা।

৫১| ২৮ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫০

তাহসিন আহমেদ বলেছেন: সামু তে এসে ভালো লেখা না পেয়ে আর আসা হয় না।শুধু আপনার গল্পের লিংক পেয়ে এসে গেলাম।ভালো লেখা সে লুকিয়ে রাখা যায় না,এর প্রমান এই লেখা।আপনার প্রতি মাসের ১টা গল্প আমার খুব কস্টের জীবনে একটু ভালোলাগা দেয়।

আমি ও মানুষ,আমার ও অনুভুতি অনেক বেশি।আমি ও কাঁদলাম।একটু বেশি..না হয়।অবাক হয়ে ভাবি,কিভাবে এমন লেখা লেখা হয়,যে লিখে তার জীবন টা কেমন?

ভালো থাকবেন।অনেক ভালো লিখেন আপনি :)

৩০ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:০৩

অহরিত বলেছেন: আপনার কষ্টকর জীবন সুখকর হোক এই প্রার্থনা করি।

আমি আপনার মতই সাধারণ একজন মানুষ।মাঝে মাঝে একটু লেখক হওয়ার চেষ্টা করি শুধু।

কারো জীবনই মধুমইয় নয়।তাকে সুন্দর করে গড়ে নিতে হয়।যে যেভাবে জীবনকে দেখে আর কি!

আপনাকে ধন্যবাদ।

৫২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:১২

অ্যামাটার বলেছেন: আপনার গল্পগুলো কেন যে অতি বাস্তব মনে হয়।
পরবর্তী গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম:)

০৭ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৩৬

অহরিত বলেছেন: অবাস্তব গল্পে কিছু বাস্তবতা, এই আর কি

আশা করি ভালো আছেন।ধন্যবাদ।

৫৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৫৬

রাত্রি২০১০ বলেছেন: কেন এটা গল্প--কেন এমন বাস্তবে হয় না?

আপনার উচিত গল্প পোষ্ট করে সাথে সাথে টিসুর বক্স সবাইকে দেয়া! আমি অবশ্য খুব সহজেই কাঁদতে পারি, এই যেমন এখন! তাই আমার কাছে টিসু সব সময় থাকে।

আপনাকে অভিনন্দন। ভাল থাকুন। এমনি লিখতে থাকুন।

০৭ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৫:৪৫

অহরিত বলেছেন: মাঝে মাঝে আমি নিজেও অবাক হই যখন আমার লেখা পড়ে কেউ কেদেছে বলে জানায়।আমি দুঃখিত আপনাকে কাদাবার জন্য।

ধন্যবাদ,ভালো থাকুন।

৫৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৫৫

নথিকবিডি বলেছেন:

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:১৫

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৩

তুসিন আহমেদ বলেছেন: আসলে অনেক সুন্দর হয়েছে...........কত নমলার একটা ঘটনা আপনি কত সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। সত্যি অসাধারন......সত্যি অসাধারন.....................++

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪২

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ,ভালো থাকুন।

৫৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:১৬

রািজ বলেছেন: ki kore je eto valo lekha jhotpot gorgoriye likhe felen :'(.....ami jealous....:(...eto valo lage keno porte....etooooooo!!!!!etoooooo!!!!!!...thik na ekdom thik na:(

২১ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:১৮

অহরিত বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

৫৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৫১

রািজ বলেছেন: apnio valo thakben...notun kichu likhchen na keno:(...amito protidini check kori...r kore hotash hoi:(

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:২৫

অহরিত বলেছেন: লিখেছি!

৫৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৪৬

জেরী বলেছেন: অসাধারণ লেখা তা-ও পড়ার পর মন খারাপ হয়ে গেল ...

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:২৬

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ,ভালো থাকুন।

৫৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:৩৯

অস্থির পোলাপাইন বলেছেন: Just awesome man .
You've got the power :)
carry on... Sry 4 Eng wrtng.

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৩৪

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ.

৬০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:৩০

প্রজ্ঞা জামান বলেছেন: অসম্ভব ভাল লাগল।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৩৪

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ

৬১| ০৩ রা মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:৫১

সানিয়া নাসরিন সানজিদাবাব বলেছেন: জানেন , আমার মানুষটাও কখনো আমাকে মুখ ফুটে বলে নি ভালবাসি,
তবে আমি আরিয়ার মতো দেরী করে নয় অনেক আগেই জেনে ফেলছি আমি না ঘুমালে সে য়ুমায় না... সারাদিন খাটুনির পর ঘুমের ভান নিয়ে জেগে থাকে আমার শান্তিময় , স্থির ঘুমন্ত মুখটার জন্য........

শেষ লাইনের আগে বুঝতেই পারি নি আপনার এলোমেলো পাগলটা গল্পের নায়ক.. আমার পাগলটা কিন্তু আমার...বাইরের টা বড্ড এলোমেলো,অগোছালো অস্থির, কিছুটা রিরক্তিকর...তবে তবে ভিতরটা খুব স্থির, শান্তজলের মতো...
নিশি মনির জন্য খুব কষ্ট লাগলো.. খুব..

অনেক শুভকামনা সুন্দর লেখার জন্যে

০১ লা মে, ২০১১ রাত ৯:০৫

অহরিত বলেছেন: প্রিয় ব্লগার ধন্যবাদ।

৬২| ০১ লা মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৫

আজমান আন্দালিব বলেছেন: মনে হয় অ-নে-ক-দি-ন পর অ-সা-ধা-র-ণ একটা গল্প পড়লাম।

৬৩| ০১ লা মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২১

আজমান আন্দালিব বলেছেন: মনে হয় অ-নে-ক-দি-ন পর অ-সা-ধা-র-ণ একটা গল্প পড়লাম।

০১ লা মে, ২০১১ রাত ৯:০৮

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ আন্দালিব ভাই।

৬৪| ০৮ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:২৪

ধ্রুব রায় বলেছেন: এরকম লেখা!!! অসম্ভব!!! ভাই হৃদয় ছুয়ে গেল। অসাধারন।

০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ৮:৫৫

অহরিত বলেছেন: প্রিয় ব্লগার অসংখ্য ধন্যবাদ।

৬৫| ২৮ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:১১

জাফরিন বলেছেন: আপনার সব লেখাই আমার ভাল লাগে। তবে এটাতে একটা ব্যাপার বেখাপ্পা লেগেছে, তা হল- নিশির বয়স মাত্র চার বছর। এত ছোট একটা মেয়ে সাধারনত “বাবা, মা তোমাকে কেন ছেড়ে গেল?” এ ধরণের প্রশ্ন করে না। নিশির বয়স আরেকটু বেশি হলে ভাল হত।
( এটা নিতান্তই আমার অভিমত)

গল্প ভাল হয়েছে। +

২৮ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪১

অহরিত বলেছেন: বলেন কি, আমার দু বছরের কাজিন তো প্রায়ই বলে সে প্রেম করতে আগ্রহী।

৬৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১২:২৬

শিশিরের বিন্দু বলেছেন: গল্পটা অনেক আগেই পড়েছি মনে হয় কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি।

৬৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২০

স্বপ্নছায় বলেছেন: U try to copy Humahun's "Pencile aka pori"

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫০

অহরিত বলেছেন: প্রিয় ব্লগার হুমায়ুন স্যারের নামের বানানটা ভুল। Humayun

আপনি তথাস্তু বলেছেন। ধন্যবাদ।

৬৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৩

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: গল্পটা খুব ভালো লাগলো। আর এটা অবশ্যই অখাদ্য না। এমন গল্প বলতে পারে কয়জন? আরও লিখেন।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৬

অহরিত বলেছেন: প্রিয় ব্লগার, ধন্যবাদ।

৬৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

নীল আকাশ বলেছেন: গল্পটা কি আরেক টু বড় করা যেতো না ? আরিয়ার দেশে ফেরার পর ভালোবাসার সময় গুলি নিয়ে ? বাবা মেয়ের আবার দেখা হবার সময় গুলি নিয়ে ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.