![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০০৬ সালে এই ব্লগে প্রথম আসা। একজন জনপ্রিয় ব্লগারের সিআরপি এর ভেলোরী টেলরের জন্য ন্যায্য অধিকারের দাবী নিয়ে জানানো একটি প্রতিবাদী পোস্ট তখন বেশ সাড়া ফেলেছিলো। আজকাল ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে ভাইরাল শব্দটা খুব বিখ্যাত। এখনকার যুগের সব ভাইরালের বাবা ছিলো সেই পোস্টটি। লেখাটি পড়ে মনে হয়েছিলো আমিও এমন পোস্ট লিখতে পারি। তারপর ২০০৮ সালে সম্ভবত আমার প্রথম ব্লগটি লিখেছিলাম। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম, তাই নিজের ছাত্রজীবন নিয়েও মাঝে মাঝে পোস্ট করতাম। দুর্ভাগ্যবশত যেহেতু আমার সেসময়ের বিশ্ববিদ্যালয়টি মিলিটারী শাসিত ছিলো এটা নিয়ে টিপিক্যাল অনেক দেশী মানুষজন বেশ ছোট করে কথা বলতো। বয়স কম, তাই খারাপ লাগতো। আজকে প্রায় ১৫ বছর পরে আমি যখন জার্মানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকের চেয়ারে বসে এই ব্লগটি লিখছি, তখন তাদেরকে আমি মন থেকেই শুভকামনা জানাতে চাই। তারপর বিডি আর হত্যাকান্ডের সময় আর্মিতে চাকরী করা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ভাই খুব হৃদয়বিদারক একটা পোস্ট দিয়েছিলেন যেটা আমি এই ব্লগে শেয়ার করেছিলাম। পোস্টটা পরবর্তীতে পিনড হয়েছিলো। এবং সেখানে আমি আমাদের স্বরুপটা আরো চমৎকারভাবে দেখতে পাই। ক্ষণে ক্ষণে কিভাবে মানুষের অনুভূতি, বিচার করার ক্ষমতা বদলে যেতে পারে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ ছিলো সেই পোস্টটি।
তার অনেক অনেকদিন পর আমি আমার প্রথম গল্পটি এখানে লিখাছিলাম - আধ ঘন্টার প্রেম, অতঃপর বিয়ে। আমার আসলে এরপর ব্লগের প্রতি ধারণাটা অনেক বদলে গেলো। সেসময় মাসে, দুমাসে একটা হলেও আমার লেখা প্রকাশ করতাম। এবং পাঠক হিসেবে যাদেরকে পেয়েছি, এরা বাংলাদেশের সবচেয়ে এলিট এবং সুন্দর মনের পাঠক। আমার আগের ব্লগপোস্টগুলোতে যে নিম্ন রুচির পরিচয় পেয়েছিলাম, লেখালিখি প্রকাশের পর তার আর দেখা পায়নি। এখন তো অনেকেই ফেসবুকে যা মনে আসে, রুচিকর অরুচিকর যা খুশি লিখে বেড়ায়। কিন্তু সেসময় এই ব্লগটা ছিলো একটা এলিট প্ল্যাটফর্ম এবং যারা এখানে লেখালিখি করতো তারা কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা ভাইরাল হওয়ার ধান্দায় লিখতোনা। সেই মানুষগুলোর জন্য শ্রদ্ধা। সাথে কৃতজ্ঞতা এই ব্লগের প্রতি এমন একটা প্ল্যাটফর্ম আমার মত এমন উঠতি লেখকদের দেয়ার জন্য।
আজকে এতোকিছু লিখলাম, এর কারণ আমার প্রথম বই "দেখা অদেখা" এবার উপকথা প্রকাশন থেকে বইমেলায় এসেছে। এতো বছরে প্রকাশক থেকে শুরু করে অনেক সুপ্রিয় পাঠক আমাকে জিজ্ঞেসা করেছেন, বই প্রকাশ করছিনা কেন? তাদের প্রতি প্রথমত কৃতজ্ঞতা। আসলে গবেষণা এবং উচ্চশিক্ষার ফাকে সময় বের করাটা খুব কঠিন। আমার মতো যারা এই পেশায় আছেন তারা হয়তো বুঝবেন। তাছাড়া ব্যক্তিগত জীবনের ব্যস্ততা তো ছিলোই। তবুও নতুন পুরনো কিছু লেখার সম্মিলনে বইটি প্রকাশ করেই ফেললাম। সেইসময়ের যে পাঠকেরা আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন, বই এর কথা জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য এই বইটি।
বহু বছর হলো বাংলাদেশে যাইনা, এক প্রকার ক্ষোভ থেকেই যাইনা। দেশেও কেউ নেই তেমন। আমি জানি দেশের মানুষ আরো বদলে গেছে। এখন টিকটক, ফেসবুক রীল, ভ্লগ আরো কি কি যেন এসেছে। আমি সেগুলো ওভাবে বুঝিনা, বা বোঝার সময়ও পাইনা। কিন্তু একটা ব্যাপার বেশ ভালোই বুঝি। যেই সুন্দর মনের পাঠকেরা আমাদের মত অধম লেখকদের লেখাকে ভালোবাসতেন তারা হয়তো এখানেই কোথাও না কোথাও আছেন। আমার প্রকাশিত বইটি কিনতে হবেনা, শুধু একবার ধরে কয়েকটা লাইন পড়লেই আমি কৃতজ্ঞ থাকবো। একজীবনে আপনার ভালোবাসা শোধ করা সম্ভব বলে আমি মনে করিনা।
ভালো থাকুন, শুভকামনা।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৮
অহরিত বলেছেন: আমার বইয়ের ফ্ল্যাপ - "কিছুদিন আগে একটা অদ্ভুত ঘটনা আপনাদের পত্রিকায় চোখে পড়েছিলো কিনা জানিনা। সাতক্ষীরার দিকে বাস করা এক মহিলা তার নিজের পরিবারের ঘুমন্ত মানুষগুলোকে জ্যান্ত মেরে খেয়ে ফেলে। লোকমুখে শোনা যায়, মহিলা না মানুষ ছিলো, না ছিলো অশরীরি। আবার আমাদের এই অতি পরিচিতি ঢাকা শহরেরই নয় দশ বছরের টোকাই ছেলেটা এক বয়স্ক লোকের চোখ তুলে কুকুরকে খাইয়ে দেয়। তারপর আবার সেদিন জানা গেলো এক পরিচিত বড় ভাই তার নিজের মেয়েকে গলা টিপে মেরে ফেলেছে। এইসব অসহ্য ঘটনাগুলো খুব কাছ থেকে যারা দেখেছেন, জেনেছেন তাদের অভিজ্ঞতাগুলোই এই বইয়ে গ্রন্থিত হয়েছে। এখানে একজন অসুস্থ যুবকের শেষ সম্বল, তার ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে ফেলার গল্প বলা হয়েছে। আছে অভিমানী অরুন্ধতীর জীবনকথা যে সুদূর ফিলিস্থিনে তার হারিয়ে ফেলা মানুষটিকে একবার দেখার জন্য জনম জনম অপেক্ষারত। অতিপ্রাকৃত অথবা অসহ্যরকম ভালোবাসা বয়ে বেড়ানো এই মানুষগুলোর জগতে আপনাকে স্বাগতম! কিন্তু এই জগতের ভার আপনি বইতে পারবেন কি?"
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: দেশে আসুন।
আমাদের জাজান দিয়ে বইমেলায় যান। আমরা বইমেলা যাবো। বই সংগ্রহ করবো এবং আপনার সাথে সেলফি তুলবো।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৯
অহরিত বলেছেন: প্রিয় নুর, দেশে তো আসতেই হবে। শুভকামনা।
৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭
সমূদ্র সফেন বলেছেন: বইটির জন্য শুভকামনা।
আপনার ব্লগিং অভিজ্ঞতা অনুপ্রেরণামূলক।
দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখি চালিয়ে যাওয়ার জন্য আপনার ধৈর্য ও পরিশ্রম প্রশংসনীয়।
পাঠকদের প্রতি আপনার কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা স্পষ্ট।
পরামর্শ:
বইটির প্রচারের জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত লেখালেখি চালিয়ে যান।
নতুন প্রজন্মের পাঠকদের সাথে সংযোগ স্থাপন করার চেষ্টা করুন।
আপনার লেখালেখি ও ভাবনার ধারাবাহিকতা কামনা করি।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৮
অহরিত বলেছেন: প্রিয় ব্লগার, অনেক ধন্যবাদ।
৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৩
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার বইয়ের ফ্ল্যাপ - "কিছুদিন আগে একটা অদ্ভুত ঘটনা আপনাদের পত্রিকায় চোখে পড়েছিলো কিনা জানিনা। সাতক্ষীরার দিকে বাস করা এক মহিলা তার নিজের পরিবারের ঘুমন্ত মানুষগুলোকে জ্যান্ত মেরে খেয়ে ফেলে। লোকমুখে শোনা যায়, মহিলা না মানুষ ছিলো, না ছিলো অশরীরি। আবার আমাদের এই অতি পরিচিতি ঢাকা শহরেরই নয় দশ বছরের টোকাই ছেলেটা এক বয়স্ক লোকের চোখ তুলে কুকুরকে খাইয়ে দেয়। তারপর আবার সেদিন জানা গেলো এক পরিচিত বড় ভাই তার নিজের মেয়েকে গলা টিপে মেরে ফেলেছে। এইসব অসহ্য ঘটনাগুলো খুব কাছ থেকে যারা দেখেছেন, জেনেছেন তাদের অভিজ্ঞতাগুলোই এই বইয়ে গ্রন্থিত হয়েছে। এখানে একজন অসুস্থ যুবকের শেষ সম্বল, তার ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে ফেলার গল্প বলা হয়েছে। আছে অভিমানী অরুন্ধতীর জীবনকথা যে সুদূর ফিলিস্থিনে তার হারিয়ে ফেলা মানুষটিকে একবার দেখার জন্য জনম জনম অপেক্ষারত। অতিপ্রাকৃত অথবা অসহ্যরকম ভালোবাসা বয়ে বেড়ানো এই মানুষগুলোর জগতে আপনাকে স্বাগতম! কিন্তু এই জগতের ভার আপনি বইতে পারবেন কি?"
পড়ে তো ভালোই লাগলো, আগ্রহও জাগলো, লিস্টে রাখলাম...
আবারও শুভ কামনা...
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৮
অহরিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: সাদ আহাম্মেদ নামটি তো সুন্দর।
একজন শিক্ষক গবেষক ও অতি পুরনো সহ ব্লগার হিসেবে আপনাকে পেয়ে ভাল লাগছে। সাফল্য কামনা করছি।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৮
অহরিত বলেছেন: আপনারও সাফল্য কামনা করছি।
৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪১
আরিফ রুবেল বলেছেন: প্রথম বইয়ের জন্য শুভ কামনা। আশা করি 'ভাইরাল' না হলেও বরাবরের মত এলিট ও সমঝদার পাঠকের নজরে বইটি আসবে।
প্রথম জমানার ব্লগে আপনাদের দেখেই সাহস করে ব্লগ একাউন্ট খুলেছিলাম ২০১০ সালে। আমার উদ্দেশ্য অবশ্য বরাবরই এক্টিভিজমের দিকেই ছিল। ফাকতালে কয়েকটা গল্প লিখেছিলাম আর কি। অনেক দিন পর আবার নিক উদ্ধার করে ফিরে এসে আপনাদের পেয়ে ভালো লাগল।
বাংলাদেশের গণমানস নিয়ন্ত্রনে ব্লগের প্রভাব নিয়ে হয়ত কখনও গবেষনা হবে। এই নিয়ন্ত্রনের টুল হিসেবে আমরাও আমাদের দায় এড়াতে পারি না। এখনও অনলাইনস্ফিয়ারে স্বনামধন্য লেখকদের একটা বড় অংশের লেখালেখির মাধ্যমে জনপ্রিয় হবার শুরুটা ছিল ব্লগে। আমার ভালো লাগা এবং খারাপ লাগাটা হচ্ছে ব্লগে লেখার কারণে আমাদের অনেক সহব্লগারকে দেশ ছাড়তে হয়েছে এমনকি হারাতে হয়েছে নিজের জানটাও। আমরা কিছুই করতে পারিনি নীরবে সহ্য করা ছাড়া। সরকার আমাদের উপরে নানান ফরম্যাটে নিয়ন্ত্রন আর সেন্সরের চাবুক ছুড়েছে, আমরাও কোনঠাসা হতে হতে নিজেদের গলা নিজেরাই চেপে ধরেছি সময়ে সময়ে।
যাই হোক, ব্লগে আপনাদের পেলে ভালো লাগবে। জার্মানির জীবন নিয়ে লিখুন। নতুন গল্প দিন। শুভ কামনা রইল।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৯
অহরিত বলেছেন: আপনাকেও শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: বইটার টপিক কি নিয়ে?
শুভ কামনা সবসময়...