নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আখ্যাত

আমি একজন মন্দ মানুষ বলেই নিজেকে জানি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার উদারতা।

আখ্যাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলো যত বিধি বন্ধন

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮



ওড়না ছাড়া রাস্তায় বের হলেই যত দোষ। একটু হালকাপাতলা ড্রেস পরে ঘুরে বেড়ানোর মতো মৌলিক অধিকারটুকুও স্বীকার করেনা সমাজ। শত শত জোড়া চোখ আপত্তি আর বিরক্তিভরা দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকে।

নারীদের মত শিশুরাও নিষেধাজ্ঞার শিকলে বন্দী। অরিত্রীর কথাই ভাবুন। কতখানি বিক্ষুব্ধ হলে পরে নিজেকে হত্যা করে ফেলা যায়! ওতো ক্লাস নাইনের ছাত্রী ছিলো, নিজের ভালো মন্দ বোঝার মত যথেষ্ট সামর্থ্য ওর হয়েছিলো। শিক্ষকটি অত পাকামো না করলেও পারতো। বিবিসি বাংলার মত বিশুদ্ধ উচ্চারণে এটুকু বলে দিলেই হতো, “সোনামনি, মোবাইল দেখে লেখা বেআইনী, ওটা রেখে দাও, কাল থেকে আর ওটা পরীক্ষার হলে আনবেনা, কেমন?” ব্যাস, এ নিয়ে তাকে জবাবদিহি করা, অপমান করা, বাবা মাকে নালিশ করা, বেশি বেশি কথা শুনানো, এগুলো কী?!
অরিত্রী এদেশের অসংখ্য শিক্ষার্থীকে শিখিয়ে গেছে, কিভাবে নিপীড়নের জবাব দিতে হয়। শিক্ষামন্ত্রী মহদয় বলে দিয়েছেন, অপরাধী শিক্ষককে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। এবার জব্দ হবে ইচড়ে পাকা শিক্ষকের গোষ্ঠী।

অধিকার ও স্বাধীনতার স্বাদ থেকে বঞ্চিত আরেকটি শিশুর নাম ঐশী। স্বাধীনতায় কতখানি প্রতিবন্ধকতা থাকলে নরম শিশুমনেও বিদ্রোহ জ্বলে উঠে, নিজের মা বাবাকেও মেরে ফেলা যায়। শিশুটির পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো জেলে পাঠিয়ে দিলো এই সমাজ, এই সরকার।
ঐশী এদেশের স্বাধীনতা বঞ্চিত শিশুদেরকে দেখিয়ে দিয়েছে, কিভাবে পরিবারের বিধিনিষেধের বেড়াজালকে ছিন্ন করতে হয়।

তবে সময় বদলেছে। নারীরা মুখ খুলতে শুরু করেছে, বুক খুলতে শুরু করেছে। শিশুস্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে আন্দেলনে শিশুরাও অবদান রাখতে শুরু করেছে। ঐশী-অরিত্রীরা তাদেরই প্রতিনিধী।পপপপপতততবব পতাকাবাহী শিশুনেত্রী। ঐশী-অরিত্রীদের কাছে বিবিসি বাংলা প্রশ্ন রাখতে পারে, “স্বাধীনতার পথে কোন জিনিসটিকে আপনারা প্রধান বাধা মনে করেন? কোন জিনিসটি আপনারা ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিতে চান?”

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

চোরাবালি- বলেছেন: ওড়না না পড়া দোষ কে বলেছে? ওড়না ছাড়া যেমন বের হওয়ার অধিকার আছে, তেমনি কারো দেখারও অধিকার আছে। ওড়না ছাড়া পাতলা পোষাক যদি স্বাধীনতা হয় ছেলেদের দুচারটি কথাও স্বাধীনতা।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫০

আখ্যাত বলেছেন: নির্বোধ নারীরা যত বেশিই অশ্লীল হোক, পুরুষ তার দায়িত্ব থেকে মুক্ত হবে না। দৃষ্টিপথকে স্বচ্ছ ও নির্মল রাখার দায়িত্ব।

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

অধৃষ্য বলেছেন: চোরাবালি ভাইয়ের কথার সাথে একমত।

স্বেচ্ছাচার আর স্বাধীনতার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে।

বিবিসি বাংলার মতো বিশুদ্ধ উচ্চারণে .......... কেন বলতে হবে? নবম শ্রেণির ছাত্রীকে দুই বছরের বাচ্চার মতো কেন বলতে হবে? সবাইকে এমন উদার মনে ক্ষমা করা হয় তো পরেরদিন বাকি সবাই মোবাইল নিয়ে আসবে। প্রথমবার হিসেবে তাদেরও ক্ষমা করতে হবে, তাই না? আর পরীক্ষায় সাধারণ ঘড়ি এবং নির্দিষ্ট মডেলের ক্যালকুলেটর ছাড়া বাকি সব ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিষিদ্ধ তা কি জানে না? জবাবদিহি করা অবশ্যই সঠিক, বাবা-মাকে জানানোও সঠিক। সবার সামনে অপমান করা ঠিক না। বাবা-মাকে না জানালে তারা সতর্ক হবে কী করে?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৪

আখ্যাত বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।
প্রাতিষ্ঠানিক বিধিনিষেধ লঙ্ঘনকে প্রশ্রয় দিলে শৃঙ্খলা ভেঙ্গে যাবে।
আর সামাজিক মূল্যবোধকে ছুড়ে ফেলে দিলে সমাজে পচন ধরবে।

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: নেটিং ও চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে অনেক তরুণ-তরুণী শুধু নেশাসক্তই হচ্ছে না, বেয়াদপও হচ্ছে। মোবাইল ব্যবহারের নীতিমালা আবশ্যক।

৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০০

আখ্যাত বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১০

আলমগীর কাইজার বলেছেন: ভালো লিখেছেন, স্বাধীনতা অবশ্যই থাকতে হবে, সাথে শালীনতা এবং ভদ্রতাও থাকতে হবে।
শুভকামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.