![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Original Post
মিথ্যা ও প্রতারণাপূর্ণ অভিজিৎ বন্দনা!
লিখেছেন শাহবাজ নজরুল
সূচনা: অভিজিৎ রায়ের অনাকাঙ্খিত ও আকস্মিক মৃত্যুর পর প্রায় মাস দেড়েক অতিবাহিত হলো। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এখনো এই হত্যা রহস্যের তেমন কোনো কুল-কিনারা করে উঠতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন। বিষয়টি বেশ দুঃখজনক। যাইহোক, আমাদের পক্ষ থেকে অতি সত্বর জড়িতদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো ছাড়া কিছু করার নেই। সেই দাবি জানিয়েই শুরু করছি।
অভিজিৎ রায়ের মৃত্যুর পরে তার অন্ধ ভক্ত ও অনুসারীদের অযৌক্তিক অতিশয়োক্তি সম্পর্কে আজ কিছু বলার ইচ্ছে রইল। 'মুক্তমনা'র প্রবর্তক, সম্পাদক, আয়োজক ও পুরোধা হিসেবে অভিজিৎ বাংলাদেশে নব্য-নিধর্মীদের মধ্যমনি ছিলেন। তাই তার আকস্মিক মৃত্যু হঠাৎ করেই নব্য-নাস্তিক্যবাদীদের এক গভীর শুন্যতায় ফেলে দেয়। সেই আকস্মিক শুন্যতা, শোক, মনস্তাপ থেকেই হোক কিংবা অন্তরে লুকিয়ে থাকা পৌত্তলিকতা থেকেই হোক – অভিজিতের মৃত্যুর পরে এই নব্য-নিধর্মী অনুসারী ও সমমনা সেক্যুলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে শুরু হয় অযৌক্তিক আবেগের বিস্ফোরণ। অনেক জায়গাতে দেখলাম অভিজিৎকে সম্বোধন করা হচ্ছে হাজার বছরের মধ্যে জন্মানো ক্ষণজন্মা এক আলোকিত মানুষ, যুক্তিবাদী, গবেষক, বিজ্ঞানী, বিজ্ঞানমনষ্ক, একবিংশ শতকের রেনেসাঁ, বাংলার সক্রেটিস, বাংলার গ্যালিলিও, মুক্তচিন্তার মানুষ, প্রগতিশীল, মানবতাবাদী, আধুনিক-প্রগতিশীল চিন্তার ধারক-বাহক-গবেষক ও বিশ্লেষক, অসাম্প্রদায়িক, সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী, বিস্তীর্ণ তৃণভূমির মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা মহীরূহ, বামুনদের দেশে অতিকায় মানব, অন্ধকারে নিমজ্জিত একপাল মানুষের মধ্যে আলো হাতে এক অগ্রপথিক, আমেরিকান প্যাটেন্টধারী, বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষক, আমেরিকার কোনো এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, … ইত্যাদি হিসেবে। যেখানে মুক্তমনারা নিজেদের যুক্তিবাদী ও প্রমাণ-ভিত্তিক প্রাণী হিসেবে দাবী করে থাকেন – সেখানে তাদের এই অযৌক্তিক অতিশয়োক্তি আসলেই মনে বিস্ময় জাগায়!
অভিজিতের সার্বিক পরিচিতি খুবই সহজ – সে ছিল বাংলাদেশে নব্য-নাস্তিক্যবাদের পুরোধা। নব্য-নাস্তিক্যবাদী বলতে নিধর্মীদের সেই ধারাকেই বুঝাচ্ছি যারা রিচার্ড ডকিন্সের নেতৃত্বে বিজ্ঞানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নাস্তিক্যবাদের প্রচার ও প্রসারে নিবেদিত ছিল ও আছে – আর অভিজিৎ ছিলেন বাংলাদেশে এই ধারারই পুরোধা। এম আহমদের ভাষায় এদেরকেই বলে 'মিলিট্যান্ট নাস্তিক।'
এই নব্য-নিধর্মীদের আরেকটা গুণ হলো ধার্মিকদের ধরাশায়ী করা, বিশেষত বিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে। অভিজিৎও গত ১৪-১৫ বছর ধরে এই-ই করে গেছেন। আর ধর্মের সমালোচক বলে দাবি করলেও সে-সহ মুক্তমনা ছিল মূলত ইসলাম-বিদ্বেষের সূতিকাগার, পাঠশালা ও প্রচারকেন্দ্র। অভিজিতের মূল পরিচয় আসলে এই দুটিই – অর্থাৎ বাংলাদেশে নাস্তিকতা প্রচারণার পুরোধা ও ইসলাম-বিদ্বেষীতা। এর বাইরের তথাকথিত ক্ষণজন্মা গুণীজন, গবেষক, বিজ্ঞানী, বিজ্ঞানমনষ্ক, প্যাটেন্টধারী, মানবতাবাদী, ইত্যাদি, ইত্যাদি – এসব পরিচিতি তার আংশিক, অতিরঞ্জন, অসম্পূর্ণ ও মাঝেমধ্যে মিথ্যে পরিচয়। এই পরিচয়গুলোকে আংশিক, অসম্পূর্ণ ও মাঝেমধ্যে মিথ্যে বলার কারণগুলোকে এখানে সাজিয়ে লিখার চেষ্টা করছি।
অভিজিৎ বিজ্ঞানী কিংবা গবেষক ছিলেন না
যদিও অভিজিৎ বুয়েট থেকে পাশ করে সিঙ্গাপুরে পিএইচডি শেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ওখানে কোথাও কর্মরত ছিল – কিন্তু ঠিক কী কারণে তাকে নানা জায়গাতে বিজ্ঞানী বলে পরিচয় করিয়ে দেয়া হচ্ছে তা বুঝতে কষ্ট হয়। হ্যাঁ, অভিজিৎ উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন – কিন্তু এমন তো বাংলাদেশে অনেকেই নিয়েছেন – আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাত্রই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সবাই উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন, পিএইচডি করেছেন – কিন্তু তাই বলে তাকে যদি বিজ্ঞানী কিংবা গবেষক বলে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় – তবে সে অর্থে অভিজিৎ দেশে বিদেশে ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার গবেষক/বিজ্ঞানীদের একজন মাত্র। কিন্তু তার অন্ধ অনুরক্তরা সেই অর্থে অভিজিৎকে বিজ্ঞানী বলছেন না নিশ্চয়! তাহলে কী অর্থে তারা তাকে বিজ্ঞানী বলছেন? সেই পিএইচডি আমলের পর থেকে অভিজিৎ তেমন কোনো মৌলিক গবেষণার সাথে জড়িত ছিল বলে জানা যায় না। এই দু'টো পেপার [1, 1a] ছাড়া অভিজিতের কোনো পাবলিকেশন খুঁজে পাওয়া যায় না। আর পেপার দু'টো তার পিএইচডি আমলের। তাহলে বিজ্ঞানী হিসেবে তার মৌলিক গবেষণাটি কী ছিল? কেউ কি জানাবেন?
এইখানে এসে অনেকেই হয়তো বলবেন যে, অভিজিৎ যে বিজ্ঞানী ছিলেন, গবেষক ছিলেন – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার দু'টো প্যাটেন্ট থাকাই এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ। কথাটা অবশ্য ফেলে দেয়া যায়না। যুক্তরাষ্ট্রের প্যাটেন্টের আসলেই কদর আছে। যেখানে কোডাক আর নরটেল এর মতো ঢাউস কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতায় না টিকতে পেরে বসে পড়ল, তখন কেবল তাদের অধীনে থাকা প্যাটেন্টগুলো তারা ভালো দামে বিক্রি করতে পেরেছিল [2, 3] – বাকি স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি নাকি পানির দামে বিক্রি হয়ে গেছে। আদিল মাহমুদের লেখাটি [4] থেকে আমি প্রথম জানতে পারি যে অভিজিতের দু'টো আমেরিকান প্যাটেন্ট আছে – যদিও অভিজিৎ নিজে কখনো এ দাবী করেছে বলে মনে পড়েনা। পরে অবশ্য অভিজিতের অসামান্য বিজ্ঞান বোধিকে প্রমাণ করতে সচলায়তন আর বিডিনিউজ২৪-এ [5] একই দাবি নিয়ে আসে। হয়তো সবার আগে এই দাবী প্রকাশিত হয় অভিজিৎ-এর নামে করা উইকি পেজে [6]। আর এদিকে আমি নেমে পড়ি অভিজিৎ মারা যাবার পরে হঠাৎ করে গড়ে ওঠা এই দাবির সত্যতা যাচাইয়ে।
অভিজিৎ রায়ের কোনো প্যাটেন্ট নেই!
হ্যাঁ, উপরের কথাটি ঠিকই পড়েছেন। অভিজিতের নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো প্যাটেন্ট নেই। বিষয়টির প্রমাণ পেতে তেমন বেগ পেতে হয় না। USPTO এর PAIR ওয়েবসাইটে [7] সকল প্যাটেন্টের আদ্যোপান্ত দেখা যায়। অভিজিতের নামে যে দুটি প্যাটেন্ট আছে বলে দাবি করা হচ্ছে সেগুলোর নাম্বার হচ্ছে US 2011/0136262 ও US 8,209,218. প্রথমটি একটি প্যাটেন্ট পাবলিকেশন আর দ্বিতীয়টি একটি প্যাটেন্ট।
Patents by Avijit Roy
প্যাটেন্ট পাবলিকেশন হচ্ছে মূল প্যাটেন্ট আবেদনের পাবলিকেশন – যা পরবর্তীতে একটি পরিপূর্ণ প্যাটেন্ট হিসেবে গ্র্যান্ট পেতে পারে কিংবা নাও পেতে পারে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে গ্র্যান্টেড পরিপূর্ণ প্যাটেন্ট। যাইহোক, এবার অনুসন্ধানের গভীরে যাওয়া যাক। গ্র্যান্টেড প্যাটেন্টটির উদ্ভাবকের নামের মাঝে কিন্তু অভিজিৎ রায় লিখা আছে – সাথে আছে আরো তিন জনের নাম, অতনু বসু, জয়দীপ বিশ্বাস ও বাপ্পাদিত্য মন্ডল। সন্দেহটা এখানেই ঘণীভূত হলো – উদ্ভাবকের চার জনই হিন্দু নামধারী! ভাবলাম এমন হবার সম্ভবনা তো খুবই কম। বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর কিংবা যুক্তরাষ্ট্র যেখানেই অভিজিৎ এই গবেষণা থেকে প্যাটেন্ট করুক না কেন – একসাথে চার জন উদ্ভাবক কী করে হিন্দু নামধারী হয় – অভিজিৎ ভারত থেকে গবেষণা করলে না হয় একটা কথা ছিল!!! যাইহোক, গুগল প্যাটেন্টস থেকে মূল প্যাটেন্টটি নামাতেই গোমর ফাঁক হয়ে গেল। দেখা গেল এই 'অভিজিৎ রায়' আসলে কোলকাতার লোক, আর সাথের আরো তিন জনও ভারতের!
US 8209218
PAIR থেকে আরো বিস্তারিত নামালাম। ADS (Application Data Sheet) থেকে জানা গেল US 8,209,218 -প্যাটেন্টটির উদ্ভাবক কলকাতার জনৈক অভিজিৎ রায় – যার নিবন্ধিত ঠিকানা হচ্ছে ৭৭/৩/এ সন্তোষপুর অ্যাভিনিউ, কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। লে হালুয়া! কৈ যাই বলেন?
ADS kolkata
প্রথম কিস্তি যখন মাত হলো তখন মনেপ্রাণে চাইছিলাম অন্য প্যাটেন্ট অবেদনটি অন্তত আসল অভিজিৎ রায়ের হোক। গুগল প্যাটেন্টস থেকে দ্বিতীয় প্যাটেন্ট পাব্লিকেশনটি নামালে দেখা গেল যে নাহ্ – এই অভিজিৎ রায় অন্তত যুক্তরাষ্ট্রেরই। কিন্তু সন্দেহ থেকেই গেল উদ্ভাবকের ঠিকানা পেনসিলভেনিয়ার স্প্রিংফিল্ড-এ দেখে। যতদূর জানি অভিজিৎ তো জর্জিয়ার আটলান্টাতে থাকতেন।
US20110136262
তথাপি বেনিফিট অব ডাউট দিলাম – ভাবলাম হয়তো অভিজিৎ আসলেই কখনো পেনসিলভেনিয়ার স্প্রিংফিল্ড-এ ছিলেন। কিংবা হয়তো যে অফিসে সে কাজ করে এই প্যাটেন্টটির জন্যে আবেদন করেছে, তার কর্পোরেট হেড কোয়ার্টার হয়তো পেনসিলভেনিয়ার স্প্রিংফিল্ড-এ। আরো এগিয়ে গেলাম। ADS থেকে দেখলাম এই অভিজিৎ রায়ের পুরো ঠিকানা দেয়া আছে – 219 South Highland Road, Springfield, PA 19064.
ADS 1
ঠিকানাটা গুগলে পাঞ্চ করতেই বেরিয়ে এলো কোম্পানির নাম- Q Bio-Systems LLC. সাথে কোম্পানির যোগাযোগের জন্যে অভিজিৎ রায়ের নামও লিখা আছে।
Q Bio LLC
এরপরে ৪১১ পিপল সার্চে গিয়ে দেখলাম স্প্রিংফিল্ড পেনসিলভেনিয়ার অভিজিৎ রায়ের বয়স ৫৫ বছর! আর তার পুরো নাম Avijit B Roy! অর্থাৎ সে কোনোভাবেই আমাদের মুক্তমনার ৪৩ বছরের অভিজিৎ রায় হতে পারেনা – তা নিশ্চিৎ হলাম।
ppl srch 411
সেই পিএইচডি করার পরে অভিজিতের না আছে কোনো মৌলিক গবেষণা না আছে কোনো প্যাটেন্ট – তাই আশা করছি অভিজিৎকে বিজ্ঞানী বলতে অপারগতার জন্যে পাঠকবর্গ আমাকে ক্ষমা করবেন।
অভিজিৎ বিজ্ঞানমনষ্ক ছিলেন না
অভিজিৎকে তার অনুসারীরা অবলীলায় বিজ্ঞানমনষ্ক, বিজ্ঞানের ধারক-বাহক হিসেবেই পরিচয় করিয়ে দেয়। কিন্তু এই পরিচিতিটুকু খণ্ডিত, অংশিক কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে প্রতারণাপূর্ণ। এক্ষেত্রে 'মুক্তমনা'দের সাম্প্রতিক সংজ্ঞার আলোকেই অভিজিতের বিজ্ঞানমনষ্কতার বিচার করা যেতে পারে। এই লেখাতে সেক্যুলার ফ্রাইডে বিজ্ঞানচর্চা ও বিজ্ঞানমনষ্কতার সংজ্ঞা দেন এভাবে-
বিজ্ঞানচর্চা আর বিজ্ঞানমনস্কতা সমার্থক নয়; যদিও উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ এবং অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। বিজ্ঞানচর্চা হলো শুধুমাত্র প্রাযুক্তিক জ্ঞানের অনুশীলনের মধ্য দিয়ে একটি নির্দিস্ট দক্ষতা অর্জন; পক্ষান্তরে বিজ্ঞানমনস্কতা হলো বুদ্ধিবৃত্তি ও বোধশক্তিতে সংস্কারমুক্ত ভাবে ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিং বা সমালোচনামূলক চিন্তাধারায় দক্ষতা অর্জন। ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিং এর জন্য প্রয়োজন হয় সচেতনতার, যার চরিত্র স্বতঃপ্রণোদিত, সুশৃঙ্খল, স্বসংশোধনমূলক। সচেতন চর্চার অর্থ হচ্ছে মুলত জ্ঞানার্জন, অভিজ্ঞতা এবং অনুভবের মাধ্যমে বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ অনুভুতির বিজ্ঞানমনস্ক অনুধাবন, উপলব্ধি ও প্রয়োগ।
সংজ্ঞাটিকে সহজ করে সাজালে এই ফরম্যাটে আসে-
বিজ্ঞানমনষ্ক ব্যক্তিকে/ব্যক্তির -
১. হতে হবে সংস্কারমুক্ত;
২. থাকতে হবে ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিং-এর শক্তি;
৩. চিন্তায় থাকতে হবে সচেতনতা- আর চিন্তা হতে হবে স্বতঃপ্রণোদিত, সুশৃঙ্খল, স্বসংশোধনমূলক; ইত্যাদি।
আদতে অভিজিতের উপরের কোনো গুণই পরিপূর্ণভাবে ছিলনা। অভিজিতের চিন্তা-চেতনা ছিল পরাধীন অর্থাৎ সংস্কারযুক্ত – সংস্কারমুক্ত তো নয়-ই। অভিজিতের বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের চর্চা ছিল একপক্ষীয়, একপেশে, পক্ষপাতদুষ্ট ও সেই অর্থে অ-বিজ্ঞানসুলভ। তিনি বিজ্ঞানে নাস্তিকতা খুঁজতেন মাইক্রোস্কোপ লাগিয়ে – আর খুঁজে পেলে সেটি লিখে সবার কাছে বিক্রি করতেন। তার লেখাগুলো বলতে গেলে নব্য-নাস্তিকদের লেখার অনুবাদ ছাড়া কিছুই নয়। অভিজিতের নিজের মৌলিক কোনো যুক্তি, অভিমত, মতামত, তত্ত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। বিজ্ঞানের ছাতার তলে থেকে নিজ ধর্মকে জাতে তোলার অভিসন্ধিকে কি আপনারা বিজ্ঞানমনষ্কতা বলবেন? কেন বলবেন? কীভাবে বলবেন? বিজ্ঞানের পথ ধরে চলা মানে হচ্ছে বিজ্ঞান ও যুক্তি যেদিকে নিয়ে যায় সেদিকে যাওয়া। অথচ অভিজিতের কর্মপদ্ধতি ছিল উপসংহারে আগে এসে তারপরে বিজ্ঞানের ঘাড়ে চড়ে নিজের বিশ্বাসকে প্রমোট করা। এই রীতি কিংবা শৈলীতে বিজ্ঞানমনষ্কতা নেই – আছে বিজ্ঞান-ব্যবসা। আমার মতে অভিজিতের আসল পরিচিতি ছিল বিজ্ঞান-ব্যবসায়ী।
অভিজিতের ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিং-এর শক্তিও ছিল বলে মনে হয় না। কেউ যদি দেখাতে পারেন যে, অভিজিৎ কোনো একটা বিষয়ে অমুক বা তমুকের মতামত হুবুহু আত্মস্থ করে পুনরাবৃত্তি করা ছাড়া নিজ থেকে অন্য কিছু বলেছেন – তাহলে সত্যই কৃতার্থ হই। অভিজিতের কিছু ধর্মগুরু ছিলেন। এরা হলেন ডকিন্স, হকিং, ম্লাদিনো, ক্রাউস, গুথ, হ্যারিস প্রমুখ। অভিজিতের চিন্তাশক্তি ছিল এসব গুরুদের কাছ থেকে হুবহু ধার করে নেয়া। ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিং পাওয়ার থাকলে উনি গুরুদের মতামতকে কিছুটা হলেও মাঝেমধ্যে অন্যভাবে চিন্তা/উপস্থাপন করতেন। কোনো বিষয়ে বিপরীত ধারণাটি বেশি শক্তিশালী কিংবা বিজ্ঞানসম্মত হলেও অভিজিৎ কোনোদিনই বিপরীত ধারণাকে প্রশ্রয় দেননি। এই ধরণের মনোভঙ্গিকে কোনোভাবেই সংস্কারমুক্ত, সচেতন কিংবা স্বসংশোধনমূলক বলেনা। তাই মুক্তমনাদের সংজ্ঞা অনুসারেই অভিজিৎ বিজ্ঞানমনষ্ক ছিলেন না।
এবার কিছু উদাহরণ দেয়া যাক। অনন্ত মহাবিশ্ব আর শূণ্য থেকে মহাবিশ্ব ছিল অভিজিতের বিজ্ঞানের সাম্প্রতিকতম লেখাগুলোর বিষয়। এই দুটি বিষয় নিয়ে উনি বলতে গেলে বিগত ৫-৬ বছর ধরে লিখেছেন। কিন্তু ভেবে দেখুন সে যদি বিজ্ঞানমনষ্কই হয়ে থাকবে তবে এই বিষয়গুলি নির্বাচন কেন? অনন্ত মহাবিশ্ব এর তাত্ত্বিক ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বেশ দূর্বল – কেননা যদি এমন অনেক মহাবিশ্ব পাশাপাশি থেকেও থাকে – আমাদের এই মহাবিশ্ব থেকে সেসব মহাবিশ্বে কোনোভাবেই প্রোব করে এর সত্যতা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। এনিয়ে অনেক বিজ্ঞানী ও পদার্থবিদ নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। পল ডেভিস, জর্জ এলিস, জিম ব্যাগট, ডেভিড গ্রস, পল স্টাইনহার্ডট প্রমুখ অনন্ত মহবিশ্ব তত্ত্বকে সমালোচনা করেছেন। সমালোচকরা বলেছেন মাল্টিভার্স তত্ত্বটি যতটা না বৈজ্ঞানিক তার চাইতে বেশি দার্শনিক – মূলত এর ফলসিফিকেশন টেস্ট করা সম্ভব নয় বলে। অভিজিৎ রায় সবসময়ই অনন্ত মহাবিশ্বের দুর্বলতাগুলোকে এড়িয়ে গেছেন – কেননা এই ধারণাটি ফাইন টিউনিং ও অ্যান্থ্রোপিক তত্ত্বকে টেক্কা দিতে পারে। ভেবে দেখেন যেখানে এই মহাবিশ্বেই আমরা ফাইন টিউনিং এর ফলাফল সরাসরি দেখছি – যেখানে আমি আপনি-সহ এই সূর্য, চাঁদ, গ্যালাক্সি থেকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অণু-পরমাণু'র অস্তিত্বের জন্যে মহাবিশ্বের ধ্রুবকগুলো ফাইন টিউনিং এর ফলাফল, সেখানে চোখের সামনের এই জলজ্যান্ত প্রমাণকে হালকা করে দিয়ে কল্পিত, বুদবুদীয়, অপ্রামাণ্য অনন্ত মহাবিশ্বের তত্ত্বকে উনি এমনভাবে হাইলাইট করেন – যেন এটাই বিজ্ঞান, আর এভাবে চিন্তা করাটাই বিজ্ঞানমনস্কতা। আর যখন দেখা গেল যে, স্ট্রিং তত্ত্ব যা অনন্ত মহাবিশ্ব তত্ত্বকে ভিত্তি দেয় সেটাই মৃতপ্রায় – তখন তো তিনি বিজ্ঞানের তরতাজা খবরগুলো আমাদের জানালেন না [8]। কেন জানালেন না? নিজের ধর্ম বিশ্বাসে টান পড়বে দেখে? সঠিক অর্থে বিজ্ঞানমনষ্ক হলে তো নিজের ধর্মান্ধতা বিজ্ঞানের পথে বাঁধা হবার কথা নয়। তখন এহেন বিজ্ঞান চিন্তাকে কী বলবেন? বিজ্ঞানমনস্কতা না বিজ্ঞান-ব্যবসা?
আর আমার নিজের মনেই স্বগতভাবে প্রশ্ন জাগে – অনন্ত মহাবিশ্বের মডেল বুদবুদীয় কেন? বুদ্বুদগুলোর মধ্যে ইন্টারসেকশন বা কমন এরিয়া নেই কেন? এটা কি ইন্টারসেকশন এর ফিজিক্সের ব্যাখ্যা না দিতে পারার ফলশ্রুতি? কিংবা একটি মহাবিশ্বের মধ্যে আরেকটা মহাবিশ্ব আছে – অনন্ত মহাবিশ্বের এমন কোনো মডেল নেই কেন? মানে বিশাল বলের মধ্যে আরেকটা বল, তারমধ্যে আরেকটা বল, তারমধ্যে আরেকটা … এমন মডেল। কোয়ান্টাম দোদুল্যময়তার ফলে অসদ বুদ্বুদ তৈরির মাধ্যমেই যদি শিশু মহাবিশ্ব উদ্ভবের প্রক্রিয়া হয় – তাহলে সেই শিশু মহাবিশ্ব তো আমাদের এই মহাবিশ্বের মধ্যেই আরেকটি তৈরী হতে পারে – এমনটা হয় না কেন? এই ধরণের প্রশ্ন অভিজিৎকে করতে দেখা যায় না – কেননা এসব প্রশ্ন করলে দুর্বল ভিত্তির উপর গড়ে তোলা দালান সাথে সাথেই ধ্বসে পড়বে।
একইভাবে অভিজিৎকে গত কয়েক বছর ধরে অসম্ভব পরিশ্রম করতে দেখা গেছে 'শূন্য থেকে মহাবিশ্ব' ও 'কোনো কিছু না থাকার বদলে কেন কিছু আছে' এই ধরণের বিষয় নিয়ে লেখালিখি করতে। মূলনীতি কিন্তু সেই-ই থাকলো। এগুলো বিজ্ঞানের বিষয় হলেও এখনো আছে তাত্ত্বিক আদলে। ন্যূনতম কমন সেন্স থাকা লোকও বলতে পারবে কিংবা ধারণা করতে পারবে ৯৫% অজানা মহাবিশ্বে এখনই এই বিষয়গুলো নিয়ে চূড়ান্ত কথা বলার সময় আসেনি। যেখানে বলা হচ্ছে মহাবিশ্বের ভরের উপাদানের ৮৫ শতাংশই আমাদের অজানা – সেখানে কোয়ান্টাম দোদুল্যময়তায় তৈরী ভরবাহী মহাবিশ্বের মডেলে ভরের হিসেব কতখানি সঠিক হবে? আগেতো জানা-অজানাটুকু সমাধান হোক (ডার্ক ম্যাটার) – এরপরে না অজানা-অজানাটুকু সমাধান করা যাবে (কোয়ান্টাম শুন্যতা থেকে মহাবিশ্বের উৎপত্তি)!!! না এই ধরণের যৌক্তিক মানসিকতা অভিজিতের ছিলনা। সে তার সমস্ত শ্রম মেধা নিয়োগ করেছে অজানা-অজানার গল্পকে সাজাতে – কেননা সেই গল্পটা নাস্তিকতার জয়গান গায়। সেই গান গাইতে যদি বলতে হয় শূণ্যতা মানে আসলে কোয়ান্টাম ফোমের সাগর, কিংবা বিজ্ঞানের মধ্যে দর্শনের জায়গা নেই, কিংবা "কেন?" প্রশ্ন করা যাবে না করতে হবে "কীভাবে?" – তবে তা-ই করা হবে। আর Question Everything এর বিজ্ঞান হয়ে যাবে লরেন্স ক্রাউসের Ask the question what I ask you to ask – এই জাতীয় ছদ্ম-বিজ্ঞান। এই ধরণের আরাধ্য উপসংহারের দিকে নিজের ইচ্ছেমতো বিজ্ঞানের গাড়িকে চালানোকে বিজ্ঞানমনষ্কতা বলেনা – এটাকে বলে বিজ্ঞান-ব্যবসা। নিজের পণ্য বিক্রির ফন্দি ফিকির। আর কিছু নয়। যাইহোক, আপাতত এটুকুই থাক পরে এনিয়ে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে রইল।
অভিজিৎ রায় বুয়েটের শিক্ষক ছিলেন না
অভিজিতের অন্ধ ভক্তকুল তাকে গবেষক, প্যাটেন্টধারী, বিজ্ঞানী, বিজ্ঞানমনষ্ক, ইত্যাদি বানানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেন নাই – এরপরে তাকে বুয়েটের শিক্ষকও বানিয়ে ছেড়েছেন [9, 10, 11, 12]।
এই দাবি যখন দেখলাম তখন থেকেই আমার মনে সন্দেহের দানা বাঁধে। আমি কখনো কোথাও দেখিনি যে অভিজিৎ নিজে দাবি করেছে যে, সে বুয়েটের শিক্ষক ছিল। আর যদি সে শিক্ষক হয়েই থাকবে তাহলে কোথাও না কোথাও এর আঁচ পাওয়া যেত। না, সেরকমের কোনো দাবির কথা অভিজিতের মারা যাবার আগ পর্যন্ত শোনা যায়নি। অকস্মাত অভিজিতের মৃত্যুর পরে এখান ওখান থেকে কথা উঠলো যে, সে বুয়েটের শিক্ষক ছিল। আবার দেশ ছাড়ার আগে সে অটবিতেও কাজ করত। সন্দেহের তীরটা আরো গতি পায় বুয়েট-আর-অটবির সমন্বয়ের কথা শুনে। স্বভাবতই যে বুয়েটে কাজ শুরু করে, সে শিক্ষকতার কাজ ছেড়ে অটবিতে কাজ করতে যাবে এমনটা কোনোভাবেই বিশ্বাস হচ্ছিল না। দেশে খবর লাগালাম এই সংবাদের সত্যতা যাচাই করতে। আমার সূত্র জানালেন (যিনি একাধিক সূত্র যাচাই করে আমাকে জানান) অভিজিৎ বুয়েটে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করে – তবে সে বুয়েটে কখনোই শিক্ষকতা করেনি। সেই সুযোগই সে পায়নি।
আমি আমার সন্দেহের সুরাহা পেলাম। কিন্তু এমনি সময়ে BDNews24 এর সাক্ষাৎকার বাজারে এলো – যেখানে অভিজিতের পিতা অজয় রায় জানালেন যে অভিজিৎ বুয়েটে কিছুকাল শিক্ষকতা করেছে [13]। আমি আবার পড়ে গেলাম বিভ্রান্তির দোলাচলে – অজয় রায় নিশ্চয় এই ব্যাপারে মিথ্যা বলবেন না। আমি আমার বিভ্রান্তির কথা জানিয়ে পুনর্বার খবর নেবার চেষ্টা করলাম দেশ থেকে – ভাবলাম হয়তো শিক্ষক না হলেও অন্য কোনোভাবে সে হয়তো বুয়েটের কাজের সাথে জড়িত ছিল – আর অজয় রায় হয়তো সে কথাই বলতে চাচ্ছেন (যদিও সাক্ষাৎকারে অজয় রায় পরিষ্কারভাবে শিক্ষকতার কথাই বলেছেন)। আমার সূত্র এবার সরাসরি তার যন্ত্রকৌশলের ব্যাচমেটদের কাছ থেকে খবর নিয়ে শতভাগ নিশ্চয়তার সাথেই জানালো যে, অভিজিৎ কোনো ধরণের স্কোপেই বুয়েটের শিক্ষকতার সাথে জড়িত ছিলেন না। পরে অবশ্য অজয় রায়ের অভিজিতের শিক্ষকতার কথা সাক্ষাৎকারে বলার একটা ব্যাখ্যা নিজে নিজে দাঁড় করালাম। ঘন্টা খানেকের সাক্ষাৎকারে দেখা যাচ্ছে অজয় রায় বেশ ঘরোয়া ও সাবলীল ভাবেই কথাবার্তা বলেছেন সাক্ষাৎকারীর সাথে – কেবল ওই অংশটুকু ছাড়া। অভিজিতের কর্মজীবনের ওই অংশটুকু (আধ-মিনিট খানেক হবে) দেখলাম অজয় রায় পড়ছেন লিখে দেয়া এক পাতা থেকে। ভাবলাম এমনো কি হতে পারে যে, তাকে ওই অংশটুকু লিখে দেয়া হয়েছে আর তিনি তা থেকে পড়ে গেছেন যাতে আগে উঠে আসা বুয়েটের শিক্ষকতার বয়ানের সাথে সাক্ষাৎকারে কোনো গড়মিল না থাকে?!? বিষয়টা যদি আসলেই এমন কিছু হয়ে থাকে তাহলে তা বড়ই হতাশাজনক। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে এই সত্যতা প্রতিষ্ঠিত হবে যে – যারা অমিত শাহ সিন্ড্রম আবিষ্কার করলেন, তারা নিজেরাই পরে তা ব্যবহার করলেন।
অভিজিৎ রায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন না
অভিজিৎকে মরিয়া হয়ে বিজ্ঞানী বানানোর জন্য তার অন্ধ ভক্তকুল আরো একধাপ এগিয়ে যেয়ে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো এক (?) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও বানিয়ে দিয়েছেন [14]! কিন্তু অন্যান্য দাবির মতো এই দাবিও কেবল তার মৃত্যুর পরই শোনা গেছে যা মোটেও সত্য নয়। এ প্রসঙ্গে তার এক অন্ধ ভক্ত বলেছেন-
ব্লগার ও অভিজিৎ ভক্তরা এটাকে জঙ্গিদের কাজ বলেই মনে করছেন। ইতোপূর্বে এভাবে আরো কয়েকজন ব্লগার নিহত হয়েছিল। এ হত্যাকাণ্ড তারই ধারাবাহিকতা বলেই অনেকে মনে করছেন। কিন্তু পূর্বের ব্লগারদের চেয়ে বর্তমানের ব্লগার অভিজিৎ নানা দিক দিয়েই আলাদা ও বিশিষ্ট। তিনি কেবল একজন ব্লগার বা লেখকই নন। তিনি একজন প্রকৌশলী, একজন মেধাবী বাংলাদেশি। তিনি সাধারণ ইন্জিনিয়ার নন। তিনি ইন্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকও বটে।
উপসংহার:
১. দেখানো হলো যে, অভিজিতের অন্ধ ভক্তকুলের অযৌক্তিক সীমাহীন বন্দনা সত্ত্বেও অভিজিৎ ছিলেন নিতান্তই সাধারণ মাত্রার একজন গবেষক। পিএইচডি করার পরে অভিজিতের আর কোনো মৌলিক গবেষণার কথা জানা যায় না।
২. অভিজিৎকে বিজ্ঞানী হিসেবে দেখানোর জন্যে মরিয়া হয়ে কে বা কারা চারিদিকে ছড়াতে থাকে যে, অভিজিতের দু'টো প্যাটেন্ট আছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই লেখাতে দেখানো হলো যে, অভিজিতের কোনো প্যাটেন্ট নাই।
৩. হিস্টিরিয়ায় আক্রান্ত অভিজিতের অন্ধ ভক্তকুল চারিদিকে প্রচার করতে থাকে যে, অভিজিৎ বিজ্ঞানমনষ্ক ছিলেন – আর বিজ্ঞানের দেখানো পথের বাইরে তিনি যেতেন না। এখানে দেখানো হলো যে, অভিজিতের তথাকথিত বিজ্ঞানমনষ্কতা আসলে ছিল ছদ্ম-বিজ্ঞানমনষ্কতা কিংবা বিজ্ঞান-ব্যবসা। বিজ্ঞানের দেখানো পথে তিনি চলেননি বরং তার নিজের চলার পথে জোর করে বিজ্ঞানকে টেনে এনেছেন বারংবার।
৪. অভিজিতের অন্ধ ভক্তকুল তার মৃত্যুর পরে চারিদিকে এও ছড়াতে থাকে যে, তিনি বুয়েট ও যুক্তরাষ্ট্রের কোনো এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও ছিলেন। অভিজিৎ জীবিত থাকাকালে এমন দাবি শোনা যায়নি। এখানে দেখানো হলো যে, অভিজিতের বাবা'র সমর্থন সত্ত্বেও নানা নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত নিয়ে নিশ্চয়তার সাথেই বলা যায় যে অভিজিৎ কখনো বুয়েট বা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন না।
অভিজিৎ বলতেন – সত্যিকার মুক্তমনাদের কোন পীর থাকতে নাই। কিন্তু অভিজিতের অন্ধভক্ত মুক্তমনারা দেখছি তাকে পীর বানিয়েই ছাড়বে!!!
২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: একেবারে হাটে হাড়ি ভেংগে দিল যে ভাই !!
৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:
গোড়া আস্তিক আর ত্যাড়া নাস্তিক মারামারি কইরা মরুক। আমরা শান্তিতেই থাকমু তাইলে।
৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৮
অেসন বলেছেন: অভিজিৎকে নিয়ে ব্যাপক গবেষনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। অভিজিৎ যদি সাধারন
মানেরই হয় তাহলে আপনারা কেন তাকে নিয়ে এত গবেষনা করছেন ?
আপনি যা অভিজিৎ বন্দনা বলছেন, তা আমিও শুনেছি তবে তার ভক্তদের কাছ
থেকে না, পত্রিকা মারফত।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: সে যে ইসলাম ধর্মকে গালাগালি করেছে এটাই তো সবচেয়ে বড় অজ্ঞানিক কাজ, আমি আজ পর্যন্ত কোন বৈজ্ঞানিককে দেখি নাই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে। আপনাকে ধন্যবাদ ভিতরেরে গোমর ফাঁস করার জন্য। অনেক কিছু জানতে পারলাম।