নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Onim

Onim › বিস্তারিত পোস্টঃ

জার্মানিতে মুসলিমমেয়েদের জন্য ফিটনেসস্টুডিও

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯

পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে মুসলিম

নারীদের খাপ

খাওয়ানাটা খুব সহজ নয়৷

বিশেষ করে মাথায় হিজাব

দিলে তো কথাই নেই৷

বাঁকা চোখে দেখা হয় তাঁদের৷

সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশ গ্রহণ

করতে পারেন না তাঁরা৷

জার্মানিতে বসবাসকারী রক্ষণশীল

মুসলিম পরিবারের মেয়েদের কঠোর অনুশাসনের

মধ্যে থাকতে হয়৷ মেনে চলতে হয়

পর্দা প্রথা৷ পুরুষদের

সামনে খেলাধুলা বা সাঁতার

কাটাও নিষেধ৷ স্বাস্থ্যের জন্য কিছু

করতে চাইলে বাড়িতে ব্যায়াম

করা ছাড়া আর উপায় থাকে না৷

এক্ষেত্রে এক ব্যতিক্রম এনে দিয়েছে একটি ফিটনেস

স্টুডিও৷ কোলন শহরের মুসলমান মেয়েদের জন্য

পাঁচ বছর আগে এক খোলা হয়েছে এটি,

যেখানে তাঁরা নিঃসংকোচে ধর্মীয়

বিধি নিষেধ লঙ্ঘন না করে অংশ গ্রহণ

করতে পারেন৷ কেননা এই ফিটনেস

স্টুডিওটিতে পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ৷

মুসলিমনারীরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ

করেন

নুর্গ্যুল কোরুক-র কাছে ফিটেনেস স্টুডিওর

‘ট্রেডবেল্ট' বা যে বেল্টের ওপর দ্রুত

হাঁটতে হয়, সেই যন্ত্রটি সবচেয়ে পছন্দ৷

এটি শুধু যে মজার তাই নয়, ট্রেনিং-এর

সময় আশে পাশের মেয়েদের সঙ্গেও গল্পগুজব

করা যায়৷

২৬ বছর বয়স্ক নুর্গুল সবসময়

খেলাধুলা পছন্দ করতেন৷ স্কুলে স্পোর্টস-এর

ক্লাসে প্রথম সারির একজন ছিলেন তিনি৷

মাথায় হিজাব থাকলেও তাঁর

কোনো অসুবিধা হতো না৷

সহপাঠীরা তাঁকে এইভাবেই

দেখতে অভ্যস্ত৷ কিন্তু স্কুলের পড়া শেষ

হওয়ার পর খেলাধুলার পাটও চুকে গেছে৷

নুর্গ্যুল কোরুক বলেন,

‘‘আমি ঢেকে ঢুকে থাকি বলে সাধারণ

স্টুডিওতে ফিটনেস ট্রেনিং চালানো সম্ভব

হতো না৷ সেখানে পুরুষরাও অংশগ্রহণ করে,

আবার প্রশিক্ষণকারীরাও পুরুষ৷

অগত্যা নিজে নিজেই

দৌড়াদৌড়িটা চালিয়ে গিয়েছি৷ কিন্তু ফিটনেসের

যন্ত্রপাতিতে ট্রেনিং চালানো সম্ভব হয়নি৷''

পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ

সৌভাগ্যবশত মুসলিম মেয়েদের জন্য কোলনের

বিকেনডর্ফ-এ স্থাপিত ফিটনেস স্টুডিওর

খবরটি তাঁর কানে এল৷

সেখানে পুরুষরা ঢুকতে পারেনা৷ তাই

মেয়েরা হিজাব ছাড়াই এখানে ট্রেনিং-এ

অংশ নিতে পারে৷ এই বিশেষ ধরনের ফিটনেস

স্টুডিওটি স্থাপন করেছেন তুর্কি বংশোদ্ভূত

এমিনে আয়ডেমির ২০০৭ সালে৷

সম্পূর্ণভাবে মেয়েদের জন্য একটি ফিটনেস স্টুডিও

জার্মানিতে কোনো বিরল ব্যাপার নয়৷

তবে হায়াত-এ অন্যান্য কিছু নিয়ম কানুন

রয়েছে, যা এটিকে অনন্য করে তুলেছে৷

এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘‘সন্তান জন্মের

পর আমার ওজন খুব বেড়ে গিয়েছিল৷ তাই

ওজন কমানোর জন্য কিছু করার

কথা মনে হচ্ছিল৷ একটি সাধারণ ফিটনেস

স্টুডিওতে আমি ট্রেনিং শুরু করি৷ কিন্তু

সেখানে হিজাব খোলা যেত না৷

কেননা সেই স্টুডিওর মালিক একজন পুরুষ,

যিনি প্রায়ই সেখানে আসতেন৷

জানালা পরিষ্কার করতে এবং ডাক

নিয়েও আসতেন পুরুষরা৷''

মেয়েদের জন্য ফিটনেস স্টুডিও ‘হায়াত'

তাই ৪৩ বছর বয়স্ক এমিনে শুধুই মেয়েদের

জন্য একটি ফিটনেস স্টুডিও গড়ে তোলেন, নাম

দেন ‘হায়াত'৷ যার অর্থ জীবন৷ এর

আগে একটি তরিতরকারির দোকান ছিল তাঁর,

তাই আত্মনির্ভর হওয়ার

ব্যাপারে কোনো ভয় ছিল না এমিনের৷ ১০০

জন সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু হয় এই

স্টুডিওর, আজ ৪০০ মেয়ে ট্রেনিং নিতে আসেন

এখানে৷ এর মধ্যে ৫০ জন জার্মান৷

এমিনে আইডেমিনের ভাষায়, ‘‘আমার

সদস্যরা আন্তর্জাতিক৷ তুর্কি, আরব,

ইয়োগোস্লাভিয়ান, পোলিশ, জার্মান – সব

দেশেরই আছেন৷ অমুসলিম

মেয়েরা আশে পাশে বসবাস করেন

বলে এবং আমাদের প্রবেশ মূল্য

তুলনামূলকভাবে কম হওয়ার

কারণে এখানে আসেন৷''

বেশ কিছু বিধি বিধান রয়েছে

সম্পূর্ণভাবে মেয়েদের জন্য একটি ফিটনেস স্টুডিও

জার্মানিতে কোনো বিরল ব্যাপার নয়৷

তবে হায়াত-এ অন্যান্য কিছু নিয়ম কানুন

রয়েছে, যা এটিকে অনন্য করে তুলেছে৷

এমিনে জানান, ‘‘আমাদের ইসলাম ধর্মে,

মেয়েদের পরস্পরের মধ্যেও আব্রু বজায়

রেখে চলতে হয়৷ সবার জন্য গণস্নানাগার

নয়,

বরং এখানে রয়েছে আলাদা আলাদা শাওয়ার

কেবিন৷ কেউ কাউকে দেখতে পায় না৷ স্টিম

বাথ নিতেও একটি টাওয়েল জড়িয়ে যান

মেয়েরা৷''

এমিনে আইডেমির-এর খদ্দেররা এসব ছাড়াও

সাধারণ ফিটনেস স্টুডিওর মতোই সবরকম

সুযোগ সুবিধা পান৷ যেমন

এখানে রয়েছে কার্ডিওভাসকুলার ট্রেনিং,

স্টিম বাথ, সোলারিয়াম ইত্যাদির

ব্যবস্থা৷ ব্যক্তিগত

চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনিং প্রোগ্রাম

তৈরি করা হয়৷ বাচ্চাদের দেখাশোনার

ব্যবস্থাও রয়েছে এই স্টুডিওতে৷ বেশিরভাগই

মহিলাই কোনোদিন খেলাধুলা করেননি৷ যদিও

মুসলমান মেয়েদেরই এক্ষেত্রে প্রয়োজনটা বেশি৷

এমিনের কথায়, ‘‘আমাদের

খাবারে মাংসের প্রাচুর্য থাকে৷ তার

ওপর কোনো শারীরিক পরিশ্রম যদি না হয়,

তাহলে ওজন বাড়তে থাকে৷ বাচ্চাদের

সাথে নাস্তা করতে হয়, বান্ধবীর

সাথে দুপুরের খাবার, স্বামীর

সঙ্গে রাতের খাবার খেতে হয়৷

সপ্তাহান্তে আসেন অতিথি, তাদের

সঙ্গে না খাওয়াটা হয় অভদ্রতা৷

তাই এই সব মেয়ের জন্য এই রকম

একটা স্টুডিওর দরকার ছিল৷''

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪

বেলা শেষে বলেছেন: Good writing, good Information...
thenk you verymuch...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.