নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Onim

Onim › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘ধর্মীয়গ্রন্থে নারীরযৌনাঙ্গচ্ছেদেরউল্লেখ নেই’

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫

আফ্রিকা মহাদেশে ধর্ম

এবং ঐতিহ্যের দোহাই দিয়ে মেয়েদের

ওপর চলে নানা ধরনের অমানুষিক

নির্যাতন৷ যৌনাঙ্গচ্ছেদ তাদের

মধ্যে একটি৷ তবে মালিতে সম্প্রতি এর

বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন নারী ও

ধর্মীয় নেতারা৷

মেয়েরা যেন সহবাস উপভোগ

করতে না পারে বা সতীত্ব রক্ষার

নামে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের

দেশগুলোতে নারীদের যৌনাঙ্গচ্ছেদ বা এফজিএম

করা হয়৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক

হিসেব অনুযায়ী, ঐ দুই মহাদেশের

২৯টি দেশের প্রায় ১২০ থেকে ১৪০ মিলিয়ন

নারী অমানবিক এই ঘটনার শিকার

হয়েছেন৷

ইউনিসেফের মতে, মেয়েদের যৌনাঙ্গচ্ছেদের

কারণে তাদের শরীরে তাত্ক্ষণিক ও

দীর্ঘমেয়াদী নানান

সমস্যা দেখা দেয়৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই

অমানবিক কাজটি করানো হয় অনভিজ্ঞ লোক

দ্বারা৷ এছাড়া, কোনো ধরনের

অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়াই এ

কাজটি করা হয়ে বলে এতে যেমন প্রচুর

রক্তপাত হয় তেমন ব্যথাও হয় ভীষণ৷

বাচ্চা প্রসবের সময় এই

নারীরা যে যন্ত্রণা ভোগ করেন

তা ভাষায় বলে বোঝানো মুশকিল৷ এর

ফলে অনেকে মা হবার ক্ষমতা পর্যন্ত

হারিয়ে ফেলেন৷ অনেকে অত্যধিক

রক্তক্ষরণে মারাও যায়৷

মালির অধিবাসী ডিকো অনগোয়িবা যখন ছোট

ছিলেন, তখন তাঁকেও এই পরিস্থিতির

মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে এবং এ

বিষয়ে আলোচনা ছিল নিষিদ্ধ৷ এখন তাঁর বয়স

৪০ বছর৷ অথচ মাত্র ১০ বছর বয়সে তাঁর

যৌনাঙ্গচ্ছেদ হয়েছে৷ নিজের প্রথম ৬ মেয়ের

ক্ষেত্রেও অনগোয়িবা এই কাজ করেছেন৷ কিন্তু

এখন তার উপলব্ধি হয়েছে, এর ফলে সন্তান

জন্মদানে বেশ কষ্ট হয় তাঁর৷ আর তাই

তার ছোট দুই মেয়ের ক্ষেত্রে যৌনাঙ্গচ্ছেদ

না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ তিনি বলেন, এ

সিদ্ধান্ত খুব সহজ নয়, কেননা সমাজের

দ্বারা প্রত্যাখ্যান হওয়ার ভয়

থাকে৷ আর তিনি না করলেও সমাজের লোকজন

জোর করে তাদের করে দিতে পারে৷

বৃহস্পতিবার ছিল ‘জিরো টলারেন্স টু জেনিটাল

মিউটিলেশন' বা আন্তর্জাতিক যৌনাঙ্গচ্ছেদ

বিরোধী দিবস দিবস৷ মেয়েদের যৌনাঙ্গচ্ছেদের

বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে বেসরকারি সংস্থা টোস্তান

সেদিন মালির রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানের

আয়োজন করে৷ এই সংগঠনটিতে আফ্রিকার

আটটি দেশের ৭ হাজার কর্মী কাজ করেন৷

টোস্তানের

প্রতিষ্ঠাতা মলি মেলচিং জানান, এই

আয়োজনের ফলে অনেক মা তাদের সন্তানদের

এই অমানুষিক নির্যাতনের হাত

থেকে বাঁচানোর ব্যাপারে সোচ্চার হচ্ছেন৷

তবে তিনি বলেন, এ জন্য সমাজে নারীর

প্রতি সম্মান বাড়ানোটা খুব জরুরি৷ এমন

সমাজ

গড়ে তুলতে হবে যেখানে অভিভাবকরা তার

সন্তানটিকে এ অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে দিবেন

না এবং যিনি ঐ নারীকে বিয়ে করবেন তিনিও

চাইবেন যে মেয়েটির যৌনাঙ্গচ্ছেদ

না করা হোক ৷

এদিন অনগোয়িবা ঐ যোগ দিয়েছিলেন৷

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মালির ৮৯

ভাগ নারী ও

মেয়ে শিশুরা যৌনাঙ্গচ্ছেদের শিকার৷

ফান্তা করোমা নামে একজন

গৃহিণী জানান, ১৯৮২ সাল

থেকে তিনি এফজিএম এর বিরুদ্ধে কাজ

করে যাচ্ছেন৷ কেননা যৌনাঙ্গচ্ছেদের

কারণে এক মেয়েকে হারিয়েছেন তিনি৷

দ্বিতীয় যে কন্যা সন্তানটি হয়েছে,

তারও জীবন সংশয় রয়েছে৷ বর্তমান

পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিশ্বের অন্তত ৮

কোটি ৬০ লাখ নারী ২০৩০ সালের

মধ্যে এই পরিস্থিতির শিকার

হবে বলে জানিয়েছে ইউএনএফপিএ৷

অনুষ্ঠানে যোগ দেন মালির বিভিন্ন

সম্প্রদায়ের নেতারাও৷

১৪টি সম্প্রদায়ের মুখপাত্র

মোসোকোরা সিদিবে অবশ্য জানান,

তারা তাদের সম্প্রদায়ে জোরপূর্বক

বিয়ে নিষিদ্ধ করেছেন এবং এফজিএম এর

ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন৷

এটিকে ধর্মীয়

প্রথা হিসেবে চালালেও

বর্তমানে কিছু ধর্মীয়

নেতারা বলেছেন, মুসলমানদের পবিত্র

ধর্মগ্রন্থ কোরান শরীফে নারীদের

যৌনাঙ্গচ্ছেদের কথা বলা নেই৷ এসব

নেতারা টোস্তানের সাথে তিন বছর

ধরে কাজ করছেন৷ তাদের

উদ্দেশ্যে জনসমক্ষে বিষয়টি তুলে ধরা,

যাতে প্রতিটি সম্প্রদায় সমাজ

সচেতনে সোচ্চার হয় এবং যৌনাঙ্গচ্ছেদ

বন্ধ করে৷

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: খুবই বাজে এবং অমানবিক একটা কাজ। ঐসব দেশে আইন করে এই চর্চা বাতিল করতে হবে।

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯

এম আর ইকবাল বলেছেন:
এই অমানবিক কাজটা সুধু আফ্রিকায় আছে মনে হয় ।
কিভাবে তা শুরূ হলো কারো কি জানা আছে ?

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১৭

রিমঝিম বৃষ্টি বলেছেন: ছেলেদের হৈতে পারলে মেয়েদের হৈতে সমস্যা কি?

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
খৎনা কোন ধর্মিয় আচার নয় । প্রথা।
ইসলামের অভুদ্যয়ের অনেক আগে থেকেই আরব ও উত্তর আফ্রীকা অঞ্চলে ছেলে মেয়ে উভয়ের খৎনা চালু ছিল। যদিও কোন ধর্মিয় কিতাবে লেখা না থাকলেও এসব প্রথা সেই অঞ্চলের ইহুদি খ্রীষ্টান ও মুসলিম ছেলে মেয়েদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন ভাবে প্রচলিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.