![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বলার তেমন কিছুই নেই , একটা সাধারণ মানুষ www.fb.com/hokkota
নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন একটা চরম বাস্তবতা , একে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই, তারপরও যেহেতু বলা হয়ে থাকে আগামী দুই টার্ম নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে, এখন ধরে নিলাম অবশেষে নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হল , অতপর পাঁচ বছর আবার অচলাবস্থা আবার কে হবে নির্দলীয় সরকারের প্রধান ইত্যাদি ইত্যাদি , আওয়ামী লীগ একজনকে বললে বিএনপি আরেকজনকে বলে ।
তাই এই অবস্থা থেকে মুক্তির একটা ভাল সমাধান আমাদের খোঁজতে হবে । এই জন্য আমাদের এমন একটা পদ্ধতি বের করতে যেখানে যে কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকলেও নির্বাচনকে কোন ভাবেই প্রভাবিত করতে পারবে না ।
হ্যা , আমি একটা শক্তিশালী স্বাধীন এবং ব্যাপক জনবল সমৃদ্ধ একটি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কথা বলতেছি । প্রশ্ন হলো কিভাবে নির্বাচন কমিশন সরকারের বাঁধা অভারকাম করে সুষ্ঠ নির্বাচন করবে ???
বিষয়টি সিম্পল, দেখুন আমাদের সারা দেশে থানা রয়েছে ৬১৫টি( এদিক-সেদিক হতে পারে ), এখন নির্বাচনকালীন সময়ে যদি এই ৬১৫ টি থানার নিয়ন্ত্রণ যদি স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকতাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়, তাহলে কিন্তু নির্বাচনকালীন পুলিশ অনেকটা নিয়ট্রাল হয়ে যায় ।
একই ভাবে, সাত বিভাগের ডি,আই,জি , সকল এস,পি হবেন , তিনমাসের জন্য নির্বাচন কমিশন দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত । আর কিছু লাগে ???
এখানে , একটা কথা বলে রাখা ভাল নতুন সরকার কিন্তু এসেই ঐ সকল পদে পরিবর্তন ঘটায়, তাই তিনমাস আগে ঐ সকল কর্মকতার পদ ছাড়তে কোন অসুবিধা নেই , ওনাদের বেলায় তো নির্বাচিত গণন্ত্রের স্পিরিট খাটে না কারণ ওনারা তো অনির্বাচিত ।
প্রশ্ন হল, এতে নির্বাচন কমিশনের অনেক লোকবল লাগবে , তা কোথা থেকে আসবে । খুব সহজ এগুলো নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্থায়ী ভাবে বেতন প্রাপ্ত নিয়োগের ভিত্তিতে হবে , এবং সকল ধরণের নির্বাচনে তারা এভাবে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে ।
আরেকটা প্রশ্ন? এই ধরণের স্কীলড লোক কমিশন কোথায় পাবে ?
খুব সহজ থানা পর্যায়ে যারা দায়িত্ব নেবে তারা আসবে অবসরপ্রাপ্ত নন-কমিশন সেনা এবং অবসরপ্রাপ্ত নন-বিসিএস পুলিশ হতে আর ডি,এই,জি এবং এস,পি র্যাংককে যারা আসবে তারা আসবে অবসরপ্রাপ্ত কমিশন সেনা অফিসার এবং অবসরপ্রাপ্ত বি,সি,এস (পুলিশ) অফিসার হতে ।
এবং , নির্বাচনে রিটানিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবে নির্বাচন কমিশনের নিজস্বলোক , কোনভাবেই লোক-প্রশাসন এতে জড়িত হবে না।
কোন পুলিশ যদি নির্বাচনকালীন কর্মকতার ন্যায় সঙ্গত চেইন অব কমান্ড না মানেন , তাহলে ঐ নির্বাচনকালীন দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা সেই পুলিশকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করার ক্ষমতা পাবেন , এবং ঐ বহিষ্কৃত পুলিশ পরবর্তীতে সারা জীবন বাংলাদেশের সকল প্রকার সরকারি চাকরি লাভের অযোগ্য হবেন ।
যদি, এভাবে আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা যায় , তবেই কেবল বলা যায় নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় রেখে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব ।
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: কথা সত্য
৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
rafiq buet বলেছেন: নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করলে সমাধান এমনিতেই হয়ে যায়।
৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১৯
ভারসাম্য বলেছেন: নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করতে হবে সন্দেহ নাই তবে একটি সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া পর্যন্ত ক্ষমতাসীন দলের বা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী যে কোন দলের সাথে কোন ভাবে সংশ্লিষ্ট কেউ যদি প্রধানমন্ত্রী থাকেন তবে জনগণের উপর তার একটি মনস্তাত্তিক প্রভাব পড়ে। সেনাবাহিনীর অবস্থানও বড় একটা ফ্যাকটর। নির্বাচন নিয়ে সর্বদলীয় একটা সমঝোতার প্রয়োজন সবার আগে যা সবাই যদি যার যার অবস্থান থেকে কিছু ছাড় দেয়ার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসে তবেই হতে পারে কেবল।
৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৭
আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: হইলে তো ভালই....
কিন্তু আমগো দেশের রাজনীতিবিদদের দিয়া এই কাজ মনে হয় না সম্ভব!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
আমারও বলার ছিল বলেছেন:
