নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অ্যাডভোকেট মোঃ রাকিবুল ইসলাম (রুবেল)। মনের আনন্দে লিখি, সেগুলির কিছু কিছু প্রকাশ করি।

অনন্ত৪২

পাগলের প্রলাপ লিখে প্রকাশ করি

অনন্ত৪২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশা ও সুপ্রিম কোর্ট দিবস

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৬


শহীদের রক্তে লেখা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৪(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে - "বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট নামে বাংলাদেশের একটি সর্বোচ্চ আদালত থাকিবে এবং আপীল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ লইয়া তাহা গঠিত হইবে।" আমাদের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম কর্ম দিবস ছিল ১৮ ডিসেম্বর, ১৯৭২। সেদিন ছিল ছুটির দিন, কিন্তু তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সায়েম ছুটি বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম শুরু করেন।

সুপ্রিম কোর্টের যাত্রার ঠিক দুদিন আগে ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম শাসনতন্ত্র (সংবিধান) প্রবর্তিত হয় [অনু-১৫৩]। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের শুধু একটি দেশ উপহারই দেন নি। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত, ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশকে লিখিত সংবিধান দিয়েছিলেন। জাতির জনকের সংবিধান বক্তৃতায় উনি শহীদদের স্মরণ করে বলেছিলেন 'এই সংবিধান শহীদের রক্তে লেখা'। দেশের কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন সার্বিক মুক্তির আশায়। জনগণের এই আকাঙ্ক্ষা মূর্ত হয়েছিল ’৭২-এর সংবিধানে।

দেশ স্বাধীনের এতোগুলি বছর পরেও বিচারপ্রার্থী মানুষের ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল সুপ্রিম কোর্ট দিবস পালিত হয় নি। ২০১৭ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর তারিখে সুপ্রিম কোর্টের যাত্রার শুভক্ষণে জাতির জনক এসেছিলেন। উঁনার বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্ট কিভাবে পরিচালিত হবে তার একটি চমৎকার দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। জাতির জনক বলেছিলেন -

‘আইনের শাসনে আমরা বিশ্বাস করি এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই অনেকে আমরা সংগ্রাম করেছি এবং এই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অনেক মানুষের রক্ত দিতে হয়েছে। বাংলাদেশে আইনের শাসনই প্রতিষ্ঠিত হবে। সেজন্যই শাসনতন্ত্র এত তাড়াতাড়ি দিয়েছিলাম। যদি ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা, যদি রাজনীতি করতাম আপনারা নিশ্চয়ই আমার পাশে যারা বসে আছেন জানেন যে, তালে তাল মিলিয়ে, গালে গাল মিলিয়ে বহুকাল ক্ষমতায় থাকতে পারতাম। কিন্তু ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করি নাই, রাজনীতি করেছিলাম মানুষের মুক্তির জন্য। সে মানুষের মুক্তি মিথ্যা হয়ে যাবে যদি মানুষ তার শাসনতন্ত্র না পায়। আইনের শাসন না পায়।’

দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের কাছে প্রতিটি মানুষের প্রত্যাশা অনেক। জাতির জনকও তার বক্তব্যের শেষে সুপ্রিম কোর্টের কাছে প্রত্যাশা রেখে গিয়েছিলেন। তা আজও প্রতিটি মানুষেরই মনের অব্যক্ত প্রত্যাশা। জাতির জনক প্রত্যাশা জানিয়ে বলে গিয়েছিলেন -

‘এত বিপদ-আপদ, এত অভাব-অনটন, দুঃখ-কষ্টের মধ্যে শাসনতন্ত্র দিয়েছি। এত তাড়াতাড়ি এজন্য দিয়েছি যে আইনের শাসনে বিশ্বাস করি এবং সেজন্য শাসনতন্ত্র দেওয়া হয়েছে। আজ আমরা স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক। আমাদের শাসনতন্ত্র হয়েছে যার জন্য বহু রক্ত গেছে, এদেশে আজ আমাদের সুপ্রিম কোর্ট হয়েছে। যার কাছে মানুষ বিচার আশা করে।’

বঙ্গবন্ধুর এই প্রত্যাশার কথাগুলির পর ৫০ বছর পর সুপ্রিম কোর্টের কাছে আমরা কি চাই তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বিচারপ্রার্থী শোষিত মানুষ বিচার পাক, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বাস্তবায়িত হোক।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৮

সোনাগাজী বলেছেন:



শেখকে হত্যার পর, জেনারেল জিয়া সামরিক প্রশাসক থাকাকালীন সময়ে বিচারপতি সায়েম সাহেব দেশে প্রেসিডেন্টের পদে ছিলেন; এই ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কি?

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩০

সোনাগাজী বলেছেন:



"স্মার্ট বাংলাদেশ" কি আপনার কথা? স্মার্ট বাংলাদেশ হলে, উহাতে কি থাকবে?

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৬

অনন্ত৪২ বলেছেন: স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে গড়বেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্মার্ট বাংলাদেশ চারটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হবে-
স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি।

৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০১

সোনাগাজী বলেছেন:



সবকিছু সামনে "স্মার্ট" শব্দ লাগায়ে দিয়েই কি উহা করা হবে? কিছু লিখতে একটু ভেবে লিখবেন।

৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫৭

অনন্ত৪২ বলেছেন: আমার ভাবনার সাথে আপনার ভাবনার অমিল ই আমার লেখার সৌন্দর্য। মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: দেশে কি শুধু বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশা গুলোই পূরন হবে? সাধারন মানুষের প্রত্যাশা গুলো পূরন হবে না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.