নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অ্যাডভোকেট মোঃ রাকিবুল ইসলাম (রুবেল)। মনের আনন্দে লিখি, সেগুলির কিছু কিছু প্রকাশ করি।

অনন্ত৪২

পাগলের প্রলাপ লিখে প্রকাশ করি

অনন্ত৪২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'বঙ্গবন্ধুর দুর্নীতিবিরোধী ভাষণ–বক্তৃতা পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ কেন নয়\' - হাইকোর্ট

০২ রা মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৮



আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুল সহ আদেশ দেন-

'বঙ্গবন্ধুর দুর্নীতিবিরোধী ভাষণ–বক্তৃতা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটগুলোর সিলেবাসে (পাঠ্যসূচি) অন্তর্ভুক্ত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, শিক্ষাসচিব, আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।'

'দুর্নীতি রোধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাষণ–বক্তৃতা হলফনামা আকারে দাখিল করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ৩০ দিনের মধ্যে এগুলো দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত বলেছেন, অডিও–ভিডিও থাকলে তা–ও দাখিল করতে হবে।'

দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে কার্যধারা (অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা ইত্যাদি) পরিচালনার সময় বঙ্গবন্ধুর দুর্নীতিবিরোধী ভাষণ-বক্তৃতার চেতনা মাথায় রাখতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৪ জুন দিন রেখেছেন আদালত।

১৫ আগস্ট, ২০২০ সালে জাতির পিতার শেষ ভাষণ নিয়ে একটি লেখা লিখেছিলাম আপনাদের জন্য আবার শেয়ার করলাম -

বঙ্গবন্ধুর জীবনের শেষ ভাষণ
'দুর্নীতিবাজদের খতম করতে হবে'



১৯৭৫ সালে ২৬ মে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে সোহরাওয়ার্দ্দী উদ্যানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবনের শেষ ভাষণ দেন। তৎকালীন পত্রিকায় এই প্রোগ্রামের বিজ্ঞাপনে লেখা হয়েছিল এটি 'বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচির ব্যাখ্যা’। বঙ্গবন্ধু তার জীবনের শেষ বক্তৃতায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেশকে কিভাবে এগিয়ে নেবেন তার একটি সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল।

সুদীর্ঘ এই বক্তৃতায় জাতির জনক কয়েকটি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন ।
১। দুর্নীতিবাজদের খতম করতে হবে
২। কলকারখানা ও ক্ষেতে খামারে প্রোডাকশন বাড়াতে হবে।
৩। পপুলেশন কন্ট্রোল অর্থ্যাৎ ফ্যামিলি প্লানিং করতে হবে।
৪। জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

৯ মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর একটি ভঙ্গুর দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন জাতির পিতা। রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, খাদ্য দ্রব্য, ব্যাংক রিজার্ভ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পোর্ট কিছুই ছিল না এই রাষ্ট্রের। পাকিস্তান সামরিক জান্তারা নিশ্চিত পরাজয় জেনে কার ফিউ জারি করে বাড়ি বাড়ি যেয়ে প্রায় ৩ শতাধিক বাঙালি বুদ্ধিজীবীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। ওরা ভেবেছিল বাঙালিকে মেধাশূণ্য করলে হয় তো বাঙালি খুব বেশি দিন স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারবে না। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে বঙ্গবন্ধু সবার সাথে বন্ধুত্ব রক্ষার পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছিলেন। দেশ গঠনে পাকিস্তানের কাছ থেকে প্রাপ্য বুঝে পাবার জন্য যুদ্ধ বন্দীদের ক্ষমাও করেন। কিন্তু পাকিস্তান কথা রাখে নি বাঙালির প্রাপ্য ১ কানা কড়িও ফেরত দেয় নি। ব্যাংকে রিজার্ভকৃত টাকা, স্বর্ণ কিছুই ফেরত দেয় নি। বঙ্গবন্ধু তার দেয়া সব ওয়াদার একটি ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। তা করতে না পারার জন্য এই দিন আক্ষেপ প্রকাশ করেন।

বঙ্গবন্ধুর ৩ বছরের শাসনামলে একটি কাগুজে সরকার থেকে দেশ গঠনে সর্বাত্মক অবদান রেখে গেছেন। বিভিন্ন দেশ ও আর্ন্তজাতিক সংগঠনের সম্পর্ক তৈরি করেন। দেশে রাস্তাঘাট নির্মাণ করেন, ১ কোটি মানুষের বাড়িঘর নির্মাণ করেন, বিদেশ থেকে ২২ হাজার কোটি মণ খাদ্য এনে বাংলার গ্রামে গ্রামে দিয়েছিলেন, ব্যাংকে কোনো রিজার্ভ ছিল না, স্বর্ণ ছিল না জনগণের কাছে থাকা স্বর্ণ নিয়ে ব্যাংক রিজার্ভ গঠন করেন, পোর্ট, বৈদেশিক ডিপার্টমেন্ট, প্লানিং ডিপার্টমেন্ট, ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট তৈরি করেন। সেনাবাহিনী ও পুলিশ পুর্নগঠন করেন। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের পর সবাইকে অস্ত্র জমা দিতে বলেন। পাকিস্তানি কিছু প্রেতাত্মা যারা ঘাপটি মেরে ছিল এদেশে তারা অস্ত্র জমা না দিয়ে লুটতরাজ শুরু করেন। বাংলার নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে শুরু করে। ৫ জন পার্লামেন্ট সদস্য, আওয়ামী লীগের প্রায় ৩ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য শাসনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন দিয়ে বিপুল ভোটে জয় লাভ করলেন। প্রেসিডেন্টশিয়াল সরকার গঠন করলেন। কিন্তু বিদেশি শত্রুরা দেশের ক্রমাগত ক্ষতি করে গেল। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসে লিপ্ত হলো। বঙ্গবন্ধু মানুষকে বাঁচানোর জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন। বঙ্গবন্ধু এই ভাষণে বলেন -

'আমার চোখের সামনে মানুষের মুখ ভাসে, আমার দেশের মানুষের রক্ত আমার চোখের সামনে ভাসে। আমারই মানুষেরই আত্মা আমার চোখের সামনে। সে সমস্ত শহীদ ভাইরা ভাসে যারা ফুলের মত ঝরে গেল, শহীদ হলো। তাদের আত্মার কাছে রোজকিয়ামতে কি জবাব দিব ‘আমরা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করলাম তোমরা স্বাধীনতা নস্যাৎ করেছো, তোমরা রক্ষা করতে পার নাই।’

বঙ্গবন্ধু বন্দুকের নলের ক্ষমতায় বিশ্বাস করতেন না। তিনি বিশ্বাস করতেন ক্ষমতা জনগণের হাতে। জনগণ না চাইলে তিনি একটি দিনও ক্ষমতায় থাকবেন না। বঙ্গবন্ধু দুঃখী মানুষের রাজনীতি করতেন তিনি শোষণহীন সমাজ কায়েমের রাজনীতি করতেন। বঙ্গবন্ধু আমলের শেষ দিকে এসে দুর্নীতিবাজরা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। বঙ্গবন্ধু কারা দুর্নীতিবাজ সে সম্পর্কেও এই ভাষণে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন-

"আজ কে দুর্নীতিবাজ? যে ফাঁকি দেয় সে দুর্নীতিবাজ। যে ঘুষ খায় সে দুর্নীতিবাজ। যে স্মাগলিং করে সে দুর্নীতিবাজ। যে ব্ল্যাক মার্কেটিং করে সে দুর্নীতিবাজ। যে হোর্ড করে সে দুর্নীতিবাজ। যারা কর্তব্য পালন করে না তারা দুর্নীতিবাজ। যারা বিবেকের বিরুদ্ধে কাজ করে তারাও দুর্নীতিবাজ। যারা বিদেশের কাছে দেশকে বিক্রি করে তারাও দুর্নীতিবাজ। এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম শুরু করতে হবে। আমি কেন ডাক দিয়েছি? এই ঘুণে ধরা ইংরেজ আমলের, পাকিস্তানী আমলের যে শাসন ব্যবস্থা তা চলতে পারে না। একে নতুন করে ঢেলে সেজে গড়তে হবে। তাহলে দেশের মঙ্গল আসতে পারে, না হলে আসতে পারে না। আমি তিন বছর দেখেছি। দেখে শুনে আমি আমার স্থির বিশ্বাসে পৌঁছেছি। এবং তাই জনগণকে পৌঁছিয়ে দিতে হবে শাসনতন্ত্রের মর্মকথা।"

বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন শুধুমাত্র আইন করে দুর্নীতি খতম করা যাবে না। তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে বলেন। তিনি জানান জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে তিনি কাউকে ক্ষমা করবেন না, কাউকে ছাড় দেবেন না। তিনি তাদের নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন এই ভাষণে তারও একটা রূপরেখা দিয়েছিলেন। তিনি বলেন-

'আপনাদের গ্রামে গ্রামে আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলন করতে পারে কে ছাত্র ভাইরা পারে, পারে কে যুবক ভাইরা পারে, পারে কে বুদ্ধিজীবীরা পারে, পারে কে জনগণ পারে। আপনারা সংঘবদ্ধ হন। ঘরে ঘরে আপনাদের দুর্গ গড়তে হবে। সে দুর্গ গড়তে হবে দুর্নীতিবাজদের খতম করার জন্য, বাংলার দুঃখী মানুষের দুঃখ মোচন করার জন্য। এই দুর্নীতিবাজদের যদি খতম করতে পারেন তা হলে বাংলাদেশের মানুষের শতকরা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ দুঃখ চলে যাবে। এত চোরের চোর, এই চোর যে কোথা থেকে পয়দা হয়েছে তা জানি না। পাকিস্তান সব নিয়ে গিয়েছে কিন্তু এই চোর তারা নিয়ে গেলে বাঁচতাম। এই চোর রেখে গিয়েছে। কিছু দালাল গিয়েছে, চোর গেলে বেঁচে যেতাম।'

জাতির জনক শিক্ষিত সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলেন। আমরা শতকরা ২০/২৫ জন শিক্ষিত তার মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ জন পরিপূর্ণভাবে শিক্ষিত। তিনি বলেন শিক্ষিত দুর্নীতিবাজদের প্রতি হুশিয়ারি দেন -

"শিক্ষিতদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন আমি যে এই দুর্নীতির কথা বললাম, আমার কৃষক দুর্নীতিবাজ? না। আমার শ্রমিক? না। তাহলে ঘুষ খায় কারা? ব্লাকমার্কেটিং করে কারা? বিদেশী এজেন্ট হয় কারা? বিদেশে টাকা চালান দেয় কারা? হোর্ড করে কারা? এই আমরা, যারা শতকরা ৫ জন শিক্ষিত। এই আমাদের মধ্যেই ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ। আমাদের চরিত্রের সংশোধন করতে হবে আত্মশুদ্ধি করতে হবে। দুর্নীতিবাজ এই শতকরা ৫ জনের মধ্যে এর বাইরে নয়।"

বঙ্গবন্ধু এই ভাষণে এটাও মনে করিয়ে দেন ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার লাখ লাখ টাকা এদেশের গরিব দুঃখী মানুষের। তাদের প্রতি যথার্থ দায়িত্ব পালন করতে। বঙ্গবন্ধু বলেন -

" সরকারী কর্মচারীদের বলি, মনে রেখ এটা স্বাধীন দেশ। এটা বৃটিশের কলোনী নয়। পাকিস্তানের কলোনী নয়। যে লোককে দেখবে তার চেহারাটা তোমার বাবার মত, তোমার ভায়ের মত, ওরই পরিশ্রমের পয়সা, ওরাই সম্মান বেশী পাবে।"

বঙ্গবন্ধু হোটেল কন্টিনেন্টালে বসে মদ্যপ ব্লাক মার্কেটিং করাদেরও আঘাত করে বলেন - 'মদ খেয়ে অনেষ্টির কথা বলার দাম নাই'।

বঙ্গবন্ধু এই ভাষণে বুদ্বিজীবীদের বলেন তারা যেন তাদের মেধা যেন দেশের খেদমতে ব্যবহার করেন। জাতির জনক তৎকালীন সময়ে চলা নকলের মহা উৎসব নিয়েও কথা বলেন। টিচারদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন পাশের হার কম দেখিয়ে বাহাদুরি নেবার কিছু নেই। ছাত্রদের ঠিক ভাবে মানুষ করে গড়ে তুলুন, রাজনীতি কম করুন।

জাতির জনক তার এই শেষ বক্তৃতার বেশির ভাগ অংশেই দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন - 'সমাজ ব্যবস্থায় যেন ঘুণ ধরে গেছে। এই সমাজের প্রতি চরম আঘাত করতে চাই যে আঘাত করেছিলাম পাকিস্তানীদের। সে আঘাত করতে চাই এই ঘুণে ধরা সমাজব্যবস্থাকে। আমি আপনাদের সমর্থন চাই। আমি জানি আপনাদের সমর্থন আছে।'

আজ ১৫ আগস্ট সামনে রেখে জাতির পিতার শেষ ভাষণের রূপরেখা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর সত্যিকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বঙ্গবন্ধু নিজে অকপটে বলে গেছেন শুরুমাত্র আইন দিয়ে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব না। দরকার জন ঐক্য, আন্দোলন, সরকার সবার সততার উৎকর্ষতা, এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে শিক্ষিত সমাজ। একমাত্র তারাই পারবে দেশটাকে সারা বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাড় করাতে। একমাত্র তারাই পারবে শহীদের রক্তে ভেজা এদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের প্রতি ইঞ্চি দুর্নীতিমুক্ত করে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ নির্যাতিতাদের আত্মাকে শান্তি দিতে।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০২৩ রাত ১:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



দেখা যাক হাই কোর্টের নির্দেশের বাস্তবায়ন কি রকম হয় ।
আমরা সকলেই চাই একটি দুর্নিতিমুক্ত বাংলাদেশ ।
এই পোষ্টে থাকা বিদেশ হতে পাওয়া খাদ্য সাহায্য সংক্রান্ত একটি তথ্যের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করছি ।
১৯৭১-৭২ সালে দেশে খাদ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০ লাখ টন সুত্র : সুত্র দৈনিক সমকাল , ৪ এপ্রিল ২০২১
https://samakal.com/todays-print-edition/tp-editorial-comments/article/210492037/খাদ্য-ঘাটতির-দেশ-যেভাবে-খাদ্যে-স্বয়ংসম্পূর্ণ

সে সময় বিবিধ প্রকারের প্রতুকিল আবস্থার কারণে প্রতি বছর দেশে খাদ্য ঘাটতির পরিমান ছিল ৩০ হতে ৪০ লক্ষ
টনের মত । ঘাটতি মেটাতে হয়েছিল বিদেশ থেকে খাদ্যশস্য আমদানি ও অনুদান হিসাবে প্রাপ্তির মাধ্যমে।
সে হিসাবে বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের ৩ বছর ৭ মাস সময়ে ( জানুয়ারী ১৯৭২ থেকে- আগষ্ট ১৯৭৫ পর্যন্ত )
দেশে খাদ্য ঘাটতির পরিমান ছিল কম/বেশী ১ কোটি টনের মত যা মন হিসাবে দাঁড়ায় ২৭.৫ কোটি মনের মত
( ২৭.৫০ মনে এক টন হয় হিসাবে ) এ হিসাব কিছুটা কম বেশীও হতে পারে ।

তাই আপনার পোষ্টে বলা ২২ হাজার কোটি মন খাদ্য সাহায্য প্রাপ্তির অংকটা আবারো একটু পরী্ক্ষা করে
সংশোধন করে দেয়ার কথা ভাবতে পারেন । মন হিসাবে অংকটা সম্ভবত ২২ কোটি মন হবে ।
যাহোক, সেটিও ছিল বঙ্গবন্ধুর কাছে অত্যন্ত পীড়াদায়ক। তাই তিনি বলেছিলেন, 'খাদ্যের জন্য অন্যের
ওপর নির্ভর করলে চলবে না। আমাদের নিজেদের প্রয়োজনীয় খাদ্য নিজেদেরই উৎপাদন করতে হবে।
সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য বঙ্গবন্ধু কৃষি বিপ্লবের আহ্বান জানান। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৬ অনুচ্ছেদে তিনি
কৃষি বিপ্লব বিকাশের কথা স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করেন।

১৯৭৫ সনের ২৬ মার্চে ,সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল জনসভায় বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত অগ্নিঝরা সেই কণ্ঠস্বর
শেষবারের মতো মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন জাগ্রত করেছিল।

এখন ঐক্যবদ্ধভাবে জাতিকে একটি দুর্নিতমুক্ত দেশ গঠনে সচেষ্ট হতে হবে একনিষ্টভাবে ।

২| ০৩ রা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:১২

রাজীব নুর বলেছেন: আসল কথা হচ্ছে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু করতে পারবেন, মেট্রোরেল করতে পারবেন। কিন্তু দূর্নীতি বন্ধ করতে পারবেন না কোনো দিন।
ঢাকার দুই মেয়র কোনোদিন ফুটপাত দখল মুক্ত করতে পারবেন না। বিশেষ করে গুলিস্তান এলাকার ফুটপাত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.