নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

©All Rights Reserved

আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

বিবর্তনবাদী

আপাততঃ আমি একজন কনফিউজড মানুষ। জীবনে বিবর্তনের অপেক্ষায় আছি, দেখি বিবর্তনের পরে কিসে পরিনত হই...

বিবর্তনবাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোবাইল কেচ্ছা

১৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪০



প্রথমেই একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে নেই। ভাবতে এখন অবাক লাগে এই চার বছর আগেও আমার মোবাইল ছিল না। শুধু কি আমার! আমাদের বাসায়ই কোন মোবাইল ছিল না। আর এখন, মোবাইল ছাড়া গলির মুখের দোকানেও যাওয়া হয় না। মোবাইল ভুলে বাসায় ফেলে গেলে মনে হয় নির্জন কোন দ্বীপে আটকে গেছি, কোথাও কেউ নেই। শুধু কি তাই, মোবাইল কোন কারনে না পেলে অনেকেই রীতিমত ঝাড়ি দিয়ে থাকেন, বলেন ‘মোবাইলটা কি চেহারা দেখতে নিছস?’। X(





বাংলাদেশে মোবাইল কমিউনিকেশন এসেছে বোধ হয় ১৫ বছর হতে চলল। এই যন্ত্রের সাথে আমার পরিচয় খুব বেশি হলে বছর দশেক হবে। আমার এক খালুর মোবাইল ছিল, বিশালাকার ফিলিপসের বা প্যানাসনিকের সেট। এরপর থেকে মাঝে মাঝে বিভিন্ন লোকের শুন্য দিয়ে শুরু হওয়া নম্বর চোখে পড়ত। আমার নিজের কাছে কারো মোবাইল নম্বর থাকার প্রশ্নই ছিল না তখন। :|





ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হবার কিছুদিন পরে জানলাম আমাদের এক বন্ধু মোবাইল নিয়েছে, ওর নম্বর লিখে রাখলাম। পরে আরো দুই একজন নিলেও আমার তেমন আগ্রহ ছিলতো নাই বরং ছাত্রদের জন্য এটা একটা বাজে খরচ বলেই গন্য করতাম। হঠাৎ একদিন দেখি বড় মামাও মোবাইল নিয়েছে। মামা বাসায় আসলে মাঝে মাঝে ফোন করতাম ঐ বন্ধুদের। মামার সনি এরিকসনের সেই সেটটাতেই আমার প্রথম মোবাইল ব্যবহার। তখন পর্যন্ত মোবাইল আমার কাছে মধ্যবিত্তের গাড়ি কেনার মতই একটা ব্যাপার। তাছাড়া মোবাইলের তেমন দরকারও হত না। আমার কথা বলার মানুষ ছিল একজন, আর দু’জনেরই টিএন্ডটির ফোন ছিল। ফোনে না পেলে চিঠি লিখতাম, পরের দিন মনের কথা চিঠিতেই পড়ে ফেলত সে।





ধিরে ধিরে পরিচিতজনদের মাঝে মোবাইলের ব্যবহার বাড়তে থাকল। অল্প অল্প আগ্রহ বাড়তে থাকলেও, সাতটাকা মিনিটের হিসেব মাথায় আসলেই আগ্রহ উবে যেত। তাছাড়া প্রতি ২১ দিনে ৩০০টাকা শুধু কথা বলার পেছনে খরচ আমার জন্য অপচয়ের চাইতে বেশি কিছু ছিল না। তখন আমার বাবাও মোবাইল ছিল না। বন্ধুরা মাঝে মাঝে, বলত তোর বাবার ফোন দিয়ে কল দিস। আমি বলতাম, বাবার মোবাইল নাই তো। ওরা রীতিমত অবাক হত, বাপের টাকায় বা টিউশনির টাকায় তারা মোবাইল ব্যবহার করছে অথচ আমার সরকারি কর্মকর্তা বাবার মোবাইল নাই। এক পর্যায়ে বাবার মোবাইল না নিয়ে আর উপায় থাকল না। সে নোকিয়া ২১০০ সেটটা নিল সাথে একটেলের সীম। এদিকে বাসায় একটা মোবাইল এসে যাওয়ায় এবার আমার শখ হল মোবাইলের। ক্লাসের চব্বিশ জনের মাঝে শুধু আমাদের ছয় জনের মোবাইল ছিল না তখন। টিউশুনির টাকা জমাতে শুরু করলাম। বাসায়ও বললাম, বাবা মন বেজার করে মায়ের মাধ্যমে খবর দিল জুন মাসের দিকে চেষ্টা করবে মোবাইলের ব্যবস্থা করার, আর যতদিন অপেক্ষা করব ততদিনেতো সেটের দামতো আরো কমবে। তাই শুরু হল অপেক্ষার পালা।





এদিকে, বাংলালিংক যে দিন সীম মার্কেটে ছাড়ল (খুব সম্ভবত ২০০৪ এর মার্চ মাস ) সেই দিনই একটেল ঘোষণা দিল অল্প কিছুদিনের মাঝে তাদের সীমে ৬০০ টাকা রিচার্জ করলে এক বছরের মেয়াদ থাকবে। মনে হল আকাশের চাঁদ হাতে পেলাম। ৬০০টাকা এক বছর ধরে খরচ করব। আমার আর মোবাইলে কথা বলার কে আছে, শুধু মিসকল মেসেজ দিব। এই থিউরিতে বিশ্বাস করে একটেলের একটা সীম কিনলাম ২৫০ টাকা দিয়ে আর তাতে ৬০০ টাকাও ভরলাম। উফ্‌! কি উত্তেজিতই না ছিলাম সেদিন। বিকেলের দিকে সীম নিয়ে আসলাম। বাবার সেটে সীম লাগিয়েই এক বান্ধবিকে ফোন করে নাম্বার দিলাম। সেই বেচারিও অনেক কষ্ট করে কিছুদিন আগেই মোবাইল নিয়ে আমাদের ব্যাচের অ্যান্টি-মোবাইল গ্রুপ থেকে নাম কাটিয়ে মোবাইল গ্রুপে ঢুকেছে। ওর নোকিয়া ২৬০০ সেটটা আমার খুব পছন্দ হয়। দাম ছিল ৬,৭০০ টাকা। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম আমি ঐ সেটই নেব।





যাইহোক, আমি সীম পকেটে নিয়ে ঘুরি, পরিচিত জনকে নাম্বার দেই, আর বলি, ‘জুন-জুলাইয়ে ফোন করব’। সীম কেনার প্রায় এক মাস পূর্ণ হবার আগেই একদিন বিকেলে বাবা ফোন করল বাসায়, বলে তার অফিসে চলে আসতে, আমাকে মোবাইল নিয়ে দেবে। আহ! বাবার সেই মিস্টি কন্ঠস্বর এখনও কানে বাজে। মনে হল, ইলেক্ট্রিক শক খেলাম। অতি উৎসাহে মা আর ছোটবোনকে খবরটা দিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে, সোজা বাবার অফিসে। ঘটনা হচ্ছে, অফিসের এক আংকেলের সাথে বাবা বলছিল আমার সীমের কথা। ‘ছেলেটা সীম কিনে বসে আছে, সেটের জন্য জুন নাগাদ অপেক্ষা করতে হবে’। তা ঐ আংকেলের কাছে তখন টাকা ছিল, উনি জোর করে বাবাকে দিয়ে বলেছিলেন, ‘এখনই ভাতিজারে সেট কিনা দাও’। স্টেডিয়ামে পরিচিত এক দোকানে খোঁজ নিয়ে বাবা নিজেই ঠিক করল আমাকে নোকিয়া ১১০০ কিনে দেবে, সেটার দাম তখন প্রায় ৪,৫০০ টাকা। বাবার এই সিদ্ধান্তের খবর আমি আবার জানতাম না।





স্টেডিয়ামের দোকানে গিয়ে দেখি বাবা কোন সেট চয়েজ করতে দেয় না। যেহেতু আগেই কথা বলাছিল তাই দোকানীও নোকিয়া ১১০০ বের করে দিল। কপাল ভাল আমার হাতে টিউশনি থেকে জমানো ২,৫০০ টাকা ছিল। বাবাকে বললাম, “আমি নোকিয়া ২৬০০ সেটটা নেব, দাম ৬,৫০০ টাকা। আমার নিজের জমানো টাকা দিলাম”। বাবা বিরক্তই হল, তার কাছে ৬,৫০০ টাকার সেট মানে মহা দামি তার উপর আবার রঙিন মনিটর, পলিফোনিক সাউন্ড ইত্যাদি আছে। বাবা বলে, “এই সব সেট ব্যবহার করে তো ছিনতাইকারির টার্গেট হবে”। আমি দমলাম না একেবারেই। যাইহোক শখ করে টাকা জমিয়েছি তাই বাবাও আর বেশি কিছু বলল না, নিয়ে নিলাম। হাতে আমার নিজের মোবাইল, কি আনন্দ!





একটেলে ভরা প্রথম ৬০০টাকা যে একবছর যায়নি সেটার কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না, কারন তার আগেই আমি সীম পাল্টালাম। ততদিনে আমাদের দু'জনেরই মোবাইল হয়ে গেছে। দুইজনেই বাংলালিংকের সীম কিনেছিলাম, মিরপুর ১০ নম্বর থেকে। ২০০ টাকার সীমে ছিল ভেতরে ৩০০ টাকা আর ১০০০ এসএমএস। বাংলা লিংকের সীমটাতে ব্যাপক লাভ হয়েছিল, একবার ৬০০ টাকা রিচার্জ করে ৪০০ টাকা বোনাসও পেয়েছিলাম। এরপর এল একটেল জয়। ঝাপিয়ে পড়ে জয় কিনলাম। প্রায় অনেক দিন ব্যবহার করলাম। তারপর আবার বাংলালিংক দেশে ফিরে এলাম। ওয়ারিদ আসার পরে কিছুদিন ওয়ারিদ ব্যবহার করেছি। গ্রামীন আমি কখনই ব্যবহার করি নাই, মাগনা পাওয়া ডিজুসের একটা সীমও অবশ্য আছে। সীমটা বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে গেলে কাজে আসে, ডিজিউস থেকে এসএমএস করে দেখালে একটা টিকেটের সাথে আর একটা দেড়শত টাকার টিকেট ফ্রি কোন সিনেমা আসার প্রথম সাত দিন। এই একবছর আগ পর্যন্ত সস্তা সার্ভিস আসার সাথে সাথেই অপারেটর সুইচ করতাম, বর্তমানে সীম সংখ্যা খুব সম্ভবত ছয় কি সাত। টেলিটক আর সিটিসেল কখনই ব্যবহার করা হয় নাই। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের অনেক গালি খেয়েছি তারপরও বার বার এই সীম সেই সীম সুইচ করেছি। এই একবছর হল সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর সুইচ করব না, শুধুই বাংলালিংক।





সেই নোকিয়া ২৬০০ ব্যবহার করলাম প্রায় সাড়ে তিন বছরের মত। কখনই কোন সমস্যা হয় নাই। এই বছরের জুনে চাচা গিফট করল Sony Ericsson K810i। সেটটা ভালই, সব ফিচারই আছে। এই হল আমার মোবাইল ব্যবহারের কাহিনী। কয়েকমাস আগে ব্লগার মানুষ তার মোবাইল ইতিহাস নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলেন, আজকে অরণ্যচারীর এরকম একটা পোস্ট দেখে ভাবলাম আমিও একটা লিখে ফেলি। ফেললাম ও!! সবাই ভাল থাকুন, কমেন্ট করুন। :|:P



মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪

রাশেদ বলেছেন: আমার এখনেরটা K850. :P

আমার প্রথমে নকিয়ার এক ধামা সেট তারপর ৫৫১০ মনে হয়। ভুলে গেছি।

১৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩

বিবর্তনবাদী বলেছেন:

coooollllllllllllllllllll seetttttttttt

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭

তারিন১৯৭৫ বলেছেন: ভাল লাগলো আপনার ধৈয্য দেখে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:০১

বিবর্তনবাদী বলেছেন: হুন :|

৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

অরণ্যচারী বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার কাহিনী।

আমি মোবাইল ইউজার মাত্র ২ বছর ধরে। তবে বাসায় মোবাইল ছিল আগে থেকেই। আমি এখনো আমার প্রথম সেটটাই ইউজ করছি - প্যানাসনিক এক্স ১০০।

নতুন একটা সেট কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেটা নিয়ে একটা পোস্টও দিয়েছিলাম। তবে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয় নি।

+++

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:০১

বিবর্তনবাদী বলেছেন: সেট নিয়া পোস্ট দিয়েন।

৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো লাগলো কেচ্ছা।
০৪ এপ্রিল ২০০৪-এ সনি এরিকসন টি-১০০ আর জিপি গোল্ড নিয়ে যাত্রা শুরু। কতো সিম, কতো সেট, কতো কাড়ি কাড়ি টাকা গেলো। এখন দেখি মোবাইল আমার সব নিয়ে গেছে, দিয়ে গেছে অমানবিক অস্থিরতা।

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:০২

বিবর্তনবাদী বলেছেন: হুম...... জীবনে মোবাইল রিলেটেড অস্থিরতাও কম পাই নাই। :(

৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৫

মৃত হাসানের প্রেতাত্মা বলেছেন: আমারও মোবাইল নিয়ে মজার কাহিনী আছে। সবারই আছে হয়ত। যাই হোক আপনার লেখা পড়ে নিজের কথাটা মানে পড়ে গেল। তবে ব্যপারটা হচ্ছে সবাই মোবাইল কেনে কথা বলাব জন্য। কিন্তু আমি মোবাইল কিনেছিলাম গান শোনার জন্য। আনেক হিসাব করে দেখেছিলাম mp3 Player কেনার চেয়ে মোবাইল কেনা Better। কারণ মোবাইলে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা গান শোনা যাবে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:২৪

বিবর্তনবাদী বলেছেন: কেমন চলতেছে?

৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৩

জেসন বলেছেন: হেভি মজা পাইলাম মোবাইল কাহিনি হুইন্না। তাই প্লাসাইলাম। আপনিও ভালা থাকেন।

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:৩০

বিবর্তনবাদী বলেছেন: ওকে

৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৮

রাতমজুর বলেছেন: পয়লাডা আছিলো নকিয়া ২১০০, তারপরে বহুত ব্রান্ড ঘুইরা আবার নকিয়া তে ফিরত আইছি এন৭৩এমই ।

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:৩৯

বিবর্তনবাদী বলেছেন: হুম, অনেক দিন নোকিয়া ইউজ করছি।

৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২১

জেসন বলেছেন: K850i ফালতু একটা সেট!! কিন্না ধরা খাইছি।
১০ দিন ধইরা ওয়ারেন্টিতে পইরা রইছে, আর ফাংশন মনে হয় মান্দাতার আমলের পিসির মত, পেন্টিয়াম-১, দুনিয়া স্লো। সেন্ট বাটনে ক্লিক কইরা বইসা থাকতে হয়।

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:৪০

বিবর্তনবাদী বলেছেন: আপনে কোনখান দিয়া কিনছিলেন? ইস্টার্ণ প্লাজা?

৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

শফিকুল বলেছেন: AMAR PROTHOM MOBILE SILO PHILIPS DIGA.

AKHON USE KORI MAXIMUS S90.

BANGLA LEKHA HOSSE NA.

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:৪৩

বিবর্তনবাদী বলেছেন: আপনি কি মোবাইল দিয়া ব্লগিং করতেছেন নাকি?

১০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪

অ্যামাটার বলেছেন: shuru theke-i nokia6610i use korchi, pray 5yrs!...ssc-r por theke;
r sob network-e polti khaiya ekhon teletalk-e aisa thitu hoichi, desher taka deshe-i thak, na hoy service-ta ektu kharap-i pelam!

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:৪৪

বিবর্তনবাদী বলেছেন: তা ঠিক। টেলিটক বিষয়ে কৌশিক ভাইয়ের পোস্ট দেখেছ?

১১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ওরে কত কথা বলে রে!:)
ভালো লাগলো মোবাইল কাহিনী।
ভালো থাকো।
কথা বলো যত খুশী।
শুভেচ্ছা।

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:৪৫

বিবর্তনবাদী বলেছেন: হে হে জ্বী আপু, অনেক কথা বলা হয়:)


ভাল থেকো, শুভকামনা

১২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৪৯

বিবেক সত্যি বলেছেন: আমার প্রথম মোবাইল ব্যবহার ছিলো, কল রিসিভ করা । বাজারের দোকানে কল আসবে, আগেই খবর দিয়ে গেছিলো.. যখন কল রিসিভ করে ফোনটা আমার হাতে দিলো, ফোনের সাথে চার্যারের তার লাগানো.. অতি সাবধানে আমি ঘাড় বাকা করে সেদিন কথা বলছিলাম, যেন চার্যারের তারে টান না পড়ে আবার... : / ৭ টাকা কল রিসিভের চার্য হৈসিলো .. :-)

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:৪৬

বিবর্তনবাদী বলেছেন: ওহ হ্যা, দোকানে গিয়াও অনেক ফোন করসি। খেয়ালই ছিল না:)

১৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১২:২৯

তারিক-আল-হাসান বলেছেন: writer says আপাততঃ আমি একজন কনফিউজড মানুষ। জীবনে বিবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছি। দেখি, বিবর্তনের পর কিসে পরিনত হই... ...

i am also observing

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:০০

বিবর্তনবাদী বলেছেন: কারে?

১৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:০৩

ফারহান দাউদ বলেছেন: নোকিয়া ২৬০০ নিসে ২টা হাইজ্যাকার,এখন ১১০০ টাকার ১টা সিটিসেল ব্যবহার করি ২ বছর হইল,কল আসে কল যায়,আর কি লাগে?:)

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:২৮

বিবর্তনবাদী বলেছেন: ঠিক আর কিছু লাগে না:)

১৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:২০

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: হাইজ্যাকের ভয়ে নয়, স্বয়ং মোবাইল ফ্যাশানের ব্যাপারে আমার বরাবরই ভীষণ অনাসক্তি। তার উপর মিসড কলের উৎপাত, উটকো মেসেজ , সময় জ্ঞানহীন মানুষের অপরিচিত কন্ঠস্বর থেকে বাচতে মোবাইলই বন্ধ করে রাখতাম। ওদিকে মানসিক রোগী ছেলের কি সর্বনাশ হল ভেবে মা মাথা খারাপ করে ফেলতেন। সহপাঠী মহলে জিএসএম আর সিডিএম প্রযুক্তি নিয়ে দিতাম ভারি ভারি টেক আড্ডা। মোবাইল আমার কাছে শখ বা নেশা নয়, অনেকটাই প্রয়োজন ছিল। আমেরিকায় এসে মোবাইল কলের অত্যাধিক চার্জ দেখে আর কেনারই সাহস হচ্ছেনা। কার সাথেই বা কথা বলব এ দেশে? বাথরুমে বসেও হাই স্পীডে নেট ব্রাউজ করা যায়।

দামি বাহারি ল্যাপটপ দেখে লোল ফেলতাম আইডি বি তে গিয়ে, বেতনের টাকা দিয়ে কেনা যন্ত্রটাই সাথে নিয়ে এসেছি পরম যত্ন করে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:৪৮

বিবর্তনবাদী বলেছেন: খুব হাইফাই মোবাইল ইউজ করার স্বপ্ন ছিল না কখনই তেমন, তবে একদম পানসে মোবাইলও ইউজ করতে মন চায় না:|

১৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:৪৪

ওয়ার হিরো বলেছেন: আমার পরথম মোবাইল আছিল সিটিসেল মটোরোলা টি১৮২সি।এরপর সিমেন্স এ৫০, এরপর কিনলাম স্যমসাং এক্স১০০,এর পর নকিয়া ২৬০০ এরপর অইডা হারায়া মটোরোলা সি৬৫০, হেরপর সনি এরিকসন পি৮০০ এরপর সিমেন্স এসএল৪৫, এরপর নকিয়া ৬৬০০,এরপর মটোরোলা এল৬, এরপর মটোরোলা এল ৭,এরপর নকিয়া ৩২৩০,এরপর নকিয়া ৬৬৮০, এরপর সনি এরিকসন পি ৯১০আই,এরপর নকিয়া ৫২০০, এরপর নকিয়া এন৭০ এমই, এরপর নকিয়া ৫২১০,এরপর নকিয়া এন৭৩ এমই, এরপর সনি এরিকসন কে৮০০আই।
মাঝখানে নকিয়া ১১০০,৩৩১০,৩২০০,২১০০,চাইনিজ হাবিজাবি অনেক কিসুই চালাইছি। অনেক গুলার নাম মনে নাই।

আমার মোবাইল ইউজ নিয়া বেপক কাহানী আছে, সময় পাইলে একটা পোস্ট দিমু নে

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:১৮

বিবর্তনবাদী বলেছেন: আপাততঃ ২২টার নাম পাইলাম। আপনেগো দোকান কোন মার্কেটে?

১৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:২৮

নিহন বলেছেন: +

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:৪৯

বিবর্তনবাদী বলেছেন: ওকে

১৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:৩২

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আমার ও মোবাইক একটা আছে।:) তবে, মাঝে মাঝে এটার প্যানপ্যানানি শুনতে বিরক্ত লাগে খুব।
তারপরও এটা ছাড়া চলেনা।
লেখা ভালো লাগছে।
কি খবর তোর?

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:৪৯

বিবর্তনবাদী বলেছেন: আর কি খবর, বাইচা আছি:) সত্যিই এটা ছাড়া এখন আর চলে না।

১৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:৩৬

রাজামশাই বলেছেন: পছন্দ হইছে লেখা ।

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:৫১

বিবর্তনবাদী বলেছেন: স্বর্ণ টর্ণ দিলেন না যে কিছু?

২০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৩:০১

প্রীটি সোনিয়া বলেছেন: মোবাইল কাহিনী বেশ ভাল লাগলো...আমি বিয়ের পরেই মোবাইল ব্যবহার করেছি...বিয়ের আগে বাসার ফোন ধরতেই বাবার ভয় পেতাম...:(

জীবনে কোনো মজাই করতে পারলাম না....তার আগেই বিয়ে হয়ে গেল।

দুঃখিত এত পেচাল পারার জন্য....আসলে মনটা অনেক খারাপ হঠাৎ করে তাই লিখলাম...:|

ভাল থাকবেন।

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৩:১৯

বিবর্তনবাদী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনিও খুব খুব খুব ভাল থাকুন।

২১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৩:৩৩

ওয়ার হিরো বলেছেন: আমার বস দোকান নাইকা, কইছি না মোবাইলের একটা কাহানী আছে। এর লাইগাই আমি খালি মুবাইল কিনতাম চাই।
সময় পাইলে কাহানীডারে ফরসা করমু নে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৩:৪১

বিবর্তনবাদী বলেছেন: ওকে। পুস্ট দিলে লিংকটা দিয়া যায়েন। ওকে।

২২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ২:৩১

পুষ্প বলেছেন: "যাইহোক, আমি সীম পকেটে নিয়ে ঘুরি, পরিচিত জনকে নাম্বার দেই, আর বলি, ‘জুন-জুলাইয়ে ফোন করব’।"

লেখা পড়ে বেশ মজা পেলাম।
+
+
+
আমি গর্বিত আমার কোন মোবাইল সেট নাই,যেদিন কিনব আশা করছি সেদিন নির্ঘাত একটা পোষ্ট দেব।:)

আপনি কখনও টেলিটক আর সিটিসেল ব্যবহার করেন নি অথচ আমাদের বাসায় এ দুটা ছাড়া অন্যগুলা ব্যবহার করা হয় নাই।তবে টেলিটক ছাড়া অন্যগুলা ব্যবহারে আমি পক্ষপাতী নই দেশের টাকা দেশে থাকাই ভাল,কী বলেন?

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৮

বিবর্তনবাদী বলেছেন: হুম........ তাই বলে সহ্যের একটা সীমা থাকা চাই। কি বল?

২৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৮ ভোর ৪:১৪

শিরোনামহীন বলেছেন: আমার ১ম সেট ছিলো নোকিয়া - ৩৩১০
দ্বিতীয় টা ছিলো - সনি এরিকসন T200, ওটা নষ্ট হবার পর অনেকদিন মোবাইল ব্যবহার করিনি. অনেক কষ্টে টাকা জমিয়ে সিমেন্স CX70 কিনি যা কেনার ১৫দিনের মাথায় ছিনতাই হয়। :( তারপর বাবা কিনে দেন নকিয়া ৩২২০। গতবছর ইন্ডিয়ায় গিয়ে ট্রেনে হারিয়ে ফেলি োটা :((। পরে ইন্ডিয়া থেকে কিনি মটোরোলা PEBL U6. পরে আমার সব কাজিনরা মিলে আমাকে গত বছর গিফ্ট করে Sony Ericsson K550i. এখনো ঐটাই চলছে। :)

১৯ শে অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৪:০৬

বিবর্তনবাদী বলেছেন: অনেকেই দেখছি এখন এরিকসনের কে সিরিজের সেট ব্যবহার করছে;)

২৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১২:৪২

জেরী বলেছেন: ভালো।

ডিজুসরে ভালা পাই। এর কল্যাণে একবার পিৎজ্জা হাটে টি-শার্ট ফ্রি পাইছি যদি ও আমার কাজে লাগে নাই।

২০ শে অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৩

বিবর্তনবাদী বলেছেন: ডিজুস দিয়া আমি সিনেপ্লেক্সে কয়েকটা মুভি দেখছি। পয়সা উসুল, যদিও সীমটা মাগনা আছিল।

২৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৩:১৮

যীশূ বলেছেন: ভালো। মজা পাইলাম।

২১ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৯:১৪

বিবর্তনবাদী বলেছেন: মজা দিয়া মজা পাইলাম।

২৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৯

মেসবাহ য়াযাদ বলেছেন: প্রথমবার= ফিলিপস
দ্বিতীয়বার= নকিয়া
তারপর= ফিলিপস
তারপর= স্যামসং
তারপর= স্যামসং
তারপর= নকিয়া
বর্তমানে= স্যামসং
এরপর= নকিয়া

আমি প্রতি ৬/৭ মাস পর পর সেট পাল্টাই

প্রথম লাইন= গ্রামীণ
তারপর= একটেল
বর্তমানে= গ্রামীণ
আমি কোনোদিন প্রি-পেইড ফোন লাইন ব্যবহার করিনি, আফসুস !!

২১ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৯:১৫

বিবর্তনবাদী বলেছেন: আপনের দোকান কোন মার্কেটে :P:P:P

২৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০৮

নকীবুল বারী বলেছেন: নোকিয়া ১১০০ অসাম সেট.................বিষেশ কইরা লোডশেডিং-এর সময় কোন সিড়িতে কোন বিপুলাকায় আন্টির সাথে কলিশন এড়াইতে এর জুড়ি নাই

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১৯

বিবর্তনবাদী বলেছেন: খিকজ্‌

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.