নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক
ঘড়িতে দুইটার কিছু বেশি বাজে ! লিটার মাথাটা একটু ভার ভার ঠেকছে । সেই সন্ধ্যা থেকে ল্যাপটপের সামনে বসেছে বশির স্যারের ক্লাস প্রেজেন্টেশন নিয়ে ! একেবারে শেষ করে তার পরেই উঠলো ! একটানা মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকার জন্য চোখটাও কেমন একটু জ্বালা পোড়া করছে ! এখন একটু রেষ্ট দরকার চোখের ! কেবল চোখের না পুরো শরীরেরই বিশ্রাম দরকার !
একবার চোখে পানি দিয়ে আসবে কি না ভাবছে !
নাহ ! চিন্তাটা বাদ দিয়ে দিল ! এখন আর কিছু ভাল লাগছে না ! লাইটা অফ করে কোন মতে বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিতে পারলেই হল ! আজ আর শরীরে কিছু নিচ্ছে না !
ল্যাপটপটা বন্ধ করার আগে শেষ বারের মত ফেসবুকটা একবার চেক করে নিল ! এখন অবশ্য কেউই অনলাইনে নেই ! আর এখন থেকেও কোন লাভ নেই ! কাল সকালে ক্লাস । জলদি জলদি ঘুমানো দরকার । কোন মতে বন্ধ করে শুতে পারলে বাঁচে । যা হবে কালকে হবে !
লিটা লগ আউট করতে যাবে তখনই ম্যাসেজের বাক্সটা একটু লাল হয়ে উঠলো !
কেউ ম্যাসেজ পাঠিয়েছে !
একটু বিরক্ত হল লিটা !
রাত দুইটা বেজে গেছে ! এখন আবার কে ম্যাসেজ পাঠিয়েছে । ইদানিং কিছু ছেলে ম্যাসেজ পাঠানো শুরু করেছে ! অদ্ভুদ টাইপরের কথা বার্তা লেখা !
তাদেরই এক জন কে না কে জানে ?
খানিটা বিরক্ত হয়েই ম্যাসেজ বাক্সটা ওপেন করলো !
আবীর হাসান নামে কেউ একজন পাঠিয়েছে ! সে লিখেছে
আপু ! একটু আগে আমার বাবা মোটরসাইকেল এক্সসিডেন্ট করেছে । খুব ক্রিটিক্যাল ! ঢাকা মেডিক্যালে আছে !
আপু ! আমার বাবাকে বাঁচান আপু !
ডাক্তার বলেছে রক্ত লাগবে ! বি নেগেটিভ রক্ত লাগবে !
অনেক রক্ত লাগবে !
প্লিজ আপু ! আমার বাবাকে বাঁচান !
লিটার প্রথম কয়েক সেকেন্ড তাকিয়েই রইলো মেসেজটার দিকে ! ছেলেটার আকুতি বড় পরিচিত মনে হল লিটার কাছে !
আমার বাবা কে বাঁচান !
লিটার বুকের ভেতরে একটা কাঁপন অনুভব করলো ! মুহুর্তের ভেতর সব ক্লান্তি দুর হয়ে গেল মন থেকে ! মনের ভিতর কেবল একটা কথাই ঘুরপাক খেতে লাগলো বাবাকে বাঁচাতে হবে ! একজন বাবাকে বাঁচাতে হবে !
দুই
-লিটা কোথায় তুই ?
-ক্লাসে ! কেন ?
-একটু আসতে পারবি ?
লিটার মনের ভিতর কু ডেকে উঠলো । মায়ের কন্ঠটা এমন কেন শোনাচ্ছে ! কি হয়েছে ! বাবা কিছু হয়েছে !
লিটা বলল
-কি হয়েছে মা ? বাবার কিছু হয়েছে ?
কয়েকদিন থেকেই বাবার শরীর টা ভাল যাচ্ছে না ! কাল রাতে একটু যেন বেশিই খারাপ যাচ্ছে !
লিটার আবার বলল
-মা বল ? কি হয়েছে ? কথা বলছো না কেন ? কোথায় আসবো ? বাসায় ?
ওপাশ থেকে কোন কথা শোনা গেল না কিছুক্ষন ! লিটার মনে ততক্ষনে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে ! ও নিশ্চিত ওর বাবার কিছু একটা হয়েছে ।
কি হয়েছে ?
-মা ! কথা বলছো না কেন ?
আরো বেশ কিছুটা সময় পরে লিটার মা কথা বললেন
-তুই কি তোর কয়েকটা বন্ধুকে নিয়ে আসতে পারবি ! রক্ত লাগতো কিছু !
-কোথায় আসবো ?
-বারডেমে আয় !
-মা তুমি কিছু চিন্তা কর না ! বাবার কিছু হবে না ! আমি কিছু হতে দেবো না ! মা তুমি কিছু চিন্তা কর না ! আমি আসছি !
যদিও মা কে শান্তনা দেওয়ার জন্য কথা গুলো কথাটা বলল কিন্তু নিজেই যেন ঠিক মত ভরশা পেল না ! ওর বাবার ক্যান্সার ধরা পরেছে বেশ কিছুদিন আগেই ! জানে হয়তো ওদের চার বোনের আসলেই কিছু করার নেই । কিন্তু তবুও লিটা এটা মেনে নিতে পারে না !
তিন
-হ্যালো !
-হুম ! বল !
-কি ঘুমাচ্ছিস ?
-লিটা এখন কটা বাজে ?
-দুইটা ! রাত দুইটা !
-রাত দুইটার সময় তুই আমাকে ফোন করে বলতেছিস ঘুমাচ্ছিস ! ফাজলামি পাইছিস ?
অন্য সমসয় হয়ে জিমকে একটা ধমক লাগাতো কিন্তু এখন কিছু বলল না ! খনিকটা নরম সুরে বলল
-আচ্ছা ! তোকে একটু দরকার !
-এখন ?
কিছুক্ষন নিরবতা ! তারপর বলল
-আচ্ছা বল !
-তোকে একটু ঢাকা মেডিক্যালে যেতে হবে !
-কি বললি ?
-ঢাকা মেডিক্যাল ! ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে !
-তুই কি আমার সাথে সত্যিই ফাজলামী করছিস ? এই রাত দুইটার সময় তুই বলছিস ঢাকা মেডিক্যালে যেতে ?
-একজনের রক্ত দরকার ! খুব দরকার ! প্লিজ ! একটু দেখ না !! তোর তো বি নেগেটিভ ! একটু দেখ !
ওপাশ থেকে কিছুক্ষন নিরবতা !
-জিম ! শুনছিস ?
-হুম ! ক'ব্যাগ লাগবে ?
-অনেক ! বাইক এক্সসিডেন্ট করেছে !
-আচ্ছা আমি যাচ্ছি ! নাম কি বললি ..
চার
-আঙ্কেল !
-আরে লিটা যে ! কি মনে করে !
লিটার মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল ! গত কালকেই কথা হয়েছে ! এমন রমিজ আঙ্কেল বলছে কি মনে করে !
লিটা তবুও বলল
-গত কালকে কথা হয়েছিল আপনার সাথে !
রমিজ সাহেব একটু হাসলেন ! এমন একটা ভাব করলেন যেন কিছু একটা মনে করার চেষ্টা করতেছেন !
-ও হ্যা ! মনে পড়েছে ! তোমার বাবার জন্য রক্ত দরকার !
-জি ! আঙ্কেল ! আপনার আর বাবার রক্তের গ্রুপ তো এক !
-হুম ! বুঝতেছি ! কিন্তু একটা সমস্যা হয়ে গেছে !
-কি সমস্যা আঙ্কেল ?
-আসলে সকাল থেকেই আমার শরীরটা ঠিক ভাল যাচ্ছে না ! এই শরীর খারাপের ভিতরের রক্ত দেওয়াটা ঠিক হবে কি না বুঝতেছি না !
লিটা কোন কথা না বলে কেবল রমিজ আঙ্কেলের দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষন ! কি বলবে কিছু বুঝতে পারছে না !
রমিজ সাহেব বললেন
-আচ্ছা ! আজকে শরীর টা ঠিক ভাল লাগছে না ! তুমি দুদিন পরে না হয় এসো ! তখন দেখা যাক কি করা যায় ! চা খেয়ে যেও কিন্তু !
এই বলে রমিজ সাহেব উঠে চলে গেলেন !
লিটা আরও কিছুক্ষন বসে রইলো ! মনের ভিতর খানিকটা আশা হয়তো এখনই রমিজ সাহেব আসবে আর বলবেন চল । শরীরের কথা পরে চিন্তা করলেও চলবে !
কিন্তু এমন টা হয় না ! লিটা কে ফিরে আসতে হয় ! আজকের দিনে এই নিয়ে তিন জনের কাছ থেকে ফিরে এল লিটা ! প্রথম প্রথম রক্ত যোগার করা গেছে । কিন্তু দিন যত এগুতে লাগো রক্ত পাওয়াটা একটু কষ্টের হয়ে উঠলো ! আর এখন সবাই প্রথমে বলে যে দিবে কিন্তু পরে মন বদলে ফেলে !
এমনটা কেন করে ?
একটু রক্তই তো !
আর কিছু না ! টাকা পয়সা তো চাচ্ছে না !
রমিজ আঙ্কেলের কাছে আবার আসতে হবে ! হয়তো উনি আবার মানা করে দিবেন কিন্তু আবার আসতে হবেই !
প্রতি সপ্তাহে লিটার বাবার জন্য তিন ব্যাগ রক্ত দরকার হয় ! যেভাবে হোক এই রক্ত তাকে জোগার করতেই হবে ! মানুষ তাকে ফিরিয়ে দিবে তবুও লিটার তাদের কাছেই ফিয়ে যেত হবে !
যে কোন ভাবেই তাকে বাবাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে !
পাঁচ
-হ্যালো লিটা ?
-শুভ ভাই ! আপনাকেই ফোন করতে যাচ্ছিলাম !
-খবর পেয়েছ ?
-হুম !
-কত টুকু ম্যানেজ করতে পেরেছ ?
-তিন ব্যাগ ! এখনও চার ব্যাগ দরকার !
-আচ্ছা সমস্যা নাই ! হয়ে যাবে ! কোন চিন্তা করো না ! তুমি তোমার তিনজন কে পাঠিয়ে দাও মেডিক্যালে ! আমি দেখছি !
-জিম চলে গেছে ! এতোক্ষনে হয়তো ব্লাড নেওয়া শুরুও হয়ে গেছে !
-গুড ! আমি দেখছি !
লিটা ফোন রেখে আবার ফেসবুকে ঢু মারলো ! তখনই একটা স্টাটাস দিয়েছিল ! সাত ব্যাগ বি নেগেটিভ রক্ত লাগবে এই তথ্য দিয়ে কে জানে কি করম রেসপনস এসেছে !
তিনটা ইনবক্স এসে হাজির ! তিন জনই ঢাকা মেডিক্যালের আসে পাশে আসে । সবার কাছে খবর চলে গেছে । ওরা সবাই রক্ত দিতে আগ্রহী !
লিটার মনটা খুশি হয়ে উঠলো !
রক্ত পাওয়া গেছে ! একজন বাবা মনে হয় বেঁচে উঠবেন ! ছেলেটার আকুতি মনে হয় বিফলে যাবে না !
ছয়
সারা দিন লিটা পুরো ঢাকা শহরে ঘুরে বেরিয়েছে ! কোন আনন্দ ভ্রমনের জন্য নয় ! আজকের জন্য কোথায় রক্ত পাওয়া যায় নি ! এমন কোন ব্লাড ব্যাংক নাই এমন কি এমন হাসপাতালও নাই যেখানে লিটা ঢু মারে নি !
সেই সকাল থেকে ওরা চার বোন বেরিয়েছে রক্তের খোজে ! কোথাও পাওয়া যায় নি রক্ত !
লিটা কিছু ভাবতে পারছে না ! ওর বাবার রক্তের সেল গুলো নির্দিষ্ট সময়ের পরেই ভেঙ্গে পড়বে ! তখন ও কি করবে ? লিটা আর কিছু ভাবতে পারছে না !
আজকের সূর্যটা কে যেন আর বেশি নিষ্ঠুর মনে হচ্ছে ! কেবল সূর্য না আশে পাশের যা কিছু দেখছে সব কিছু কেমন একটা প্রানহীন মনে হচ্ছে ! মনে হচ্ছে যেন আজকে সবাই ওর দিকে নিষ্ঠুরতার হাসি হাসছে !
লিটার একবার মনে হল হাতে একটা ছুরি নিয়ে রাস্তায় নেমে যায় ! যাক সামনে পায় তার হাতের রগ কেটে রক্ত নিয়ে নেয় জোর করে !
কি হয় একটু রক্ত দিলে !
নির্দিষ্ট সময় পরে রক্তের কনিকা গুলো তো এমনিতেই নষ্ট হয়ে যায় !
কি হয় একজন মানুষের প্রান বাঁচালে !
লিটার চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছা করে ! চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করে আমাকে এক ব্যাগ রক্ত দাও !
শুনছো ! আমাকে এক ব্যাগ রক্ত দাও !
সাত
-শুভ ভাই !
-হুম ! খবর ভাল !
-রোগী ?
-ওটিতে আছে ! আমরা আছি কাছাকাছি ! প্রয়োজনীয় রক্ত সরবারহ করা হয়েছে ! কোন চিন্তা কর না ! লাগলে আরো দেওয়া হবে !
-আচ্ছা ! আমাকে আপডেট দিয়েন !
-আচ্ছা ! তুমি শুয়ে পড় ! কাল না তোমার ক্লাস আছে ?
-হুম ! ব্যাপার না ! একটা দুইটা ক্লাস মিস হয়ে গেলে কোন কিছু হবে না !
আট
-আপু !
বড় আপু লিটার দিকে একবার তাকিয়েই অন্যদিকে চোখ ফিরিয়ে নিল !
বড় আপুর চোখটা কেমন ঘোলাটে দেখাচ্ছে ! কিছু বলার দরকার হল না !
লিটা কেবল শূন্য দৃষ্টি তাকিয়ে রইলো !
রক্ত জোগার হয় নি !
রক্ত পাওয়া যায় নি !
তার বাবাকে হয়তো বাঁচানো যাবে না !!
নয়
-হ্যালো !
-লিটা বলছো ?
লিটা মোবাইলের নাম্বারটা আবার দেখলো ! আবীবের নাম্বার ! সেদিনের পরে আর বেশ কয়েকবার আবীবের সাথে কথা হয়েছে ! ওর বাবার খোজ খবর নিয়েছে ! কিন্তু আজকে আবার কে ফোন করলো !
লিটা একটু ইতস্তর করে বলল
-জি ! বলছি !
-তুমি ভাল আছো মা ?
-জি আছি ! আপনি ?
-আমি .....। আমি অবীরের বাবা !
-ও ! আপনি ! আপনি কথা বলছেন !
-হুম ! তোমার কারনে ! তা না হলে তো ....
-ছিঃ ছিঃ কি বলছেন ! এমন কেন হবে !
-ঠিকই বলছি মা ! তুমি ....
দশ
লিটার কান্না আসছে না !
কেন আসছে না ও ঠিক বুঝতে পারছে না ! আসে পাশের সবার চোখে পানি অথচ সে কাঁদতে পারছে না ! এই তো খানিক দুরেই তার জগতের সব থেকে কাছের মানুষটা শুয়ে আছে চুপ করে !
কোন কথা বলছে না !
আর কোন দিন কথা বলবে না !
কখনও আর ধমক দিয়ে কথা বলবে না ! একটু দেরী করে বাসায় ফিরলে আর কোন দিন চোখ রাঙ্গাবে না !
আদর করে বুকে জড়িয়ে নিবে না !
বিকেল বেলা তার হাত ধরে বাড়ির সামনের পার্কটাতেও হাটা হবে না !
পাশে বসিয়ে শোনা হবে না মুক্তিযুদ্ধে গল্পগুলো !
আর কোন দিন হবে না !
লিটার কাঁদা উচিৎ ! কিন্তু লিটা কাঁদতে পারছে না !
শেষাংশ
লিটার মনটা সিক্ত হয়ে উঠলো ! সাথে সাথে চোখটাও ! ওপাশে লোকটা কাঁদছে ! চোখে না দেখলেও তার কান্নার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে !
কাঁদছে লিটাও ! তবে আজকে এই কান্না টা কষ্টের না !
আনন্দের !
আজকে ও জয়ী ! রক্ত জোগারের যুদ্ধে আজকে ও জয়ী হয়েছে !
আজকে সে জয়ী !
আমাদের দেশে প্রতি বছর প্রায় ৬ লক্ষ ব্যাগ রক্ত দরকার হয় ! এর ভেতড় প্রায় ৩০ ভাগ জোগার হয় লিটা এবং লিটাদের মত মানুষদের প্রচেষ্টায় ! কোন কিছুর বিনিময়ে না ! কেবল মানুষের জন্য ! যাকে হয়তো চিনেও না, যাকে কোন দিন দেখে নি, এমন কি তার সাথে হয়তো এর পরে আর কোন দেখাও হবে না, তার জন্য ছুটে চলেছে রক্ত দেওয়ার জন্য !
এমন কিছু মানুষই থাকে ! এমন কিছু মানুষের জন্যই আসলে এখনও এই পৃথিবীটা টিকে আছে । যারা নিজেদের জন্য নয় মানুষের জন্য সারাটা জীবন কাজ করে যায় !
এমন একজন মানুষ ব্লগার টেস্টিং সল্ট ! গল্পটা তার জীবন থেকে খানিক মিল রেখে লেখা !
আসুন আমরাও কিছুটা পথ এগিয়ে আসি ! একটু হাত বাড়িয়ে দেই !
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৯
অপু তানভীর বলেছেন: অনেক বেশি শুভ কামনা !!
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৭
নৈঋত বলেছেন: অনেক ভালো লিখেছেন ভাইয়া. ধন্যবাদ
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৯
অপু তানভীর বলেছেন:
৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
মামুন রশিদ বলেছেন: টিভিতে লিটা'র প্রোগ্রামটা দেখেছি, ফিল প্রাউড এজ এ ব্লগার ।
গল্পে ভাললাগা ++
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২
অপু তানভীর বলেছেন: আসলেই ফিল প্রাউড !! এমন একজন মানুষ আসেপাশে আছে !!
ধন্যবাদ !!
৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: অনেক অনেক শুভকামনা লিটাপুর জন্য.......
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: হুম ! অনেক বেশি শুভকামনা !!
৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: খুব ভালো লাগলো অপু আপনার এই লেখাটা পড়ে।
আমি কালই অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করলাম ব্লাড ডোনেটর হিসেবে। আপনি, আপনারাও করুন। মুমূর্ষু ব্যক্তির প্রয়োজনে রক্ত দিন।
শুভকামনা থাকলো।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !!
আসলেই আমাদের সবারই অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা উচিৎ !
৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৬
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: অপু, আমি জানি না আপনি এই গল্পটা কেন লিখেছেন, আমি আজকে কাঁদতে চাইনি।
আমার বাবা যেদিন মারা গেছেন সেদিন আমি কাঁদতে পারি নি। সেদিন খুব দরকার ছিলো আমার কাঁদার। সেদিন কাঁদতে পারলে হয়তো আজকে আমি অমানুষের মতো পাথর হতাম না।
সত্যিকারের ঘটনা গুলো আরও কষ্টকর ছিলো। রমিজ আঙ্কেলের ঘটনা টা, আপনি লিখেছেন "লিটা আরও কিছুক্ষন বসে রইলো !" আমাকে সেদিন বসতেও বলা হয় নি।
আব্বু যখন চলে গেলো, আব্বুর পায়ের কাছে বসে ছিলাম আমি। কি ঠান্ডা, রক্ত হীন হয়ে গেলে মানুষের টেম্পারেচার অনেক কমে যায় জানেন?
আমার সব কয়টা বোনের ব্লাড গ্রুপ এ পজেটিভ, সবাই আমার আব্বাকে রক্ত দিয়েছিলো, আমি হতভাগা একটা, আমার ব্লাড গ্রুপ ও পজেটিভ, আমি আমার বাবাকে রক্ত দিতে পারি নি।
চেষ্টা করছি, আমার মত কষ্ট পেয়ে কেউ না শিখুক, আমাকে দেখে শিখুক। আমি আমার আব্বার পাশে থাকতে পারিনি, পথে পথে ছিলাম। এখন রোগীর আত্মীয়রা না হয় রোগীকে একটু সময় দিক। উনাদের রক্তর চিন্তা আমার।
একজন অসুস্থ রোগীর পাশে তাঁর সন্তানদের বসে থাকা ঐ রোগীর জন্য অনেক বেশি মানসিক শান্তির, জানেন ?
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
অপু তানভীর বলেছেন: আমি ঠিক জানি না কেন গল্পটা লিখেছি । সেদিন প্রোগ্রামটা দেখে মন সিক্ত হল । মনে হল এমন একটা কিছু লেখা দরকার ।
আর হ্যা একটা কারন অবশ্য আছে ! কারন টা আপনি নিজেই বলে দিয়েছেন ! আপনি যে কষ্ট টা অনুভব করেছেন তা যেন অন্য মানুষ না করে ! আপনাকে দেখে যেন মানুষ কিছু শিখে !
আমার এই লেখা পড়ে যদি একটা ব্যাগ রক্তও দেয় দেয় তাহলেই এই লেখা সার্থক !!
যা করছেন সব সময় সেই কাজই করে যাবেন ! পেছনে তাকিয়ে দেখবেন আপনি মোটেই একা নন !
ভাল থাকবেন ! শুভ কামনা রইলো !
৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
শাহিন বলেছেন: আমি বরাবরই আন্ডার ওয়েট ছিলাম এখনো আছি । কিন্তু তবুও এক সময় বইমেলা, পহেলা বৈশাখ ইত্যাদি দিবসে রক্তদান করতাম । অনেকগুলো ডোনার কার্ড জমা ছিল । অনেককে সেগুলো দিয়েছিলাম রক্ত উত্তোলনের জন্য । প্রায় ১৫টি কার্ড ছিল আরও বহুবার রক্ত দিয়েছি বিভিন্ন হাসপাতালে । কিন্তু আমি বিয়ে করার পর থেকে (গত ৪ বছর) আর রক্ত দিতে পারিনা বউ এর যন্ত্রনায় । কোয়ান্টাম থেকে আমাকে ৫/৬ মাস পরপর ফোন করা হতো । আমার বউ কোয়ান্টামে নিষেধ করার পর থেকে তারা আমাকে আর ফোন করে না । মনে পড়ে প্রায় ২ বছর আগে একবার রক্ত দিয়ে ছিলাম নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে । সেটা নিয়ে বউ অনেক ঝামেলা করেছিল । আমার বউ আমাকে রক্ত দিতে দেয় না এজন্য যে, সে বলে তোমার নিজেরইতো রক্ত দরকার । কিন্তু আপনার গল্প পড়ে মনে হচ্ছে আবার রক্ত দেয়া উচিৎ । আমি আগে ভাবতাম, আমি যদি কাউকে রক্ত না দিই তাহলে আমার প্রয়োজনে কে আমাকে রক্ত দিবে ? আমি আবার রক্ত দিতে চাই । সুন্দর গল্রের জন্য শুভেচ্ছা রইলো ।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৬
অপু তানভীর বলেছেন: ঠিক এই কথাটাই ! আমি যদি কাউকে রক্ত না দিই তাহলে আমার প্রয়োজনে কে আমাকে রক্ত দিবে ?
ধন্যবাদ !!
৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১
টুম্পা মনি বলেছেন: ছুঁয়ে গেলো আপনার লেখা। টেস্টিং সল্ট আপুকেও নতুন করে চিনলাম। অনেক দোয়া আর শুভকামনা আপনাদের দুজনের জন্য।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪২
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !!
অনেক দোয়া আর শুভকামনা টেস্টিং সল্টের জন্য !!
৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৩
ইখতামিন বলেছেন: +++++++++
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !!
১০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু তানভীর,
আপনার লেখা আর অতুলনীয়া টেস্টিং সল্ট এর মন্তব্যটুকু পড়ে আবারো নতুন করে মনে হলো ---- পৃথিবীটা বড় সুন্দর । এখানেও মানুষ আছে আপনাদের মতো ।
একজন টেস্টিং সল্ট, একজন অপু তানভীর এর মতো আমার হাযারো লিটা আর অপু চাই .....
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
অপু তানভীর বলেছেন: আমি অতি সাধারন মানুষ ! আমার মত আর একটা না হলেও চলবে কিন্তু লিটার মত মানুষ আরো চাই !
লিটার মত মানুষ যত বাড়বে পৃথিবীটা তত সুন্দর হবে !
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ !!
১১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
অপু, তোমার এই গল্পটা অন্যান্য গল্পে তুলনায় এক্কেবারেই অন্যরকম হইছে ভাই। ফেবুতে শেয়ার দিলাম।
এর আগে তোমার একটা গল্প খুব ভাল লেগেছিল। নাম মনে নেই কাদের মোল্লার ফাসির আদেশ না হওয়াতে যেটা লিখেছিলে!
ভাল থাক ভাই।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৬
অপু তানভীর বলেছেন: একজন মানুষের কথা আনার চেষ্টা করেছি ! জানি না পেরেছি কি না !!
ধন্যবাদ !
১২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৭
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ব্যতিক্রমী গল্পটা ভাল লাগল।
অক্লান্ত পরিশ্রমী লিটা আপু'র জন্য শুভকামনা।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৭
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !
অক্লান্ত পরিশ্রমী লিটার জন্য শুভকামনা।
১৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: ভালো লাগলো
রক্তের প্রয়োজনে সবাই এগিয়ে আসুক । এই আশা
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৪
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !
সবাইকেই এগিয়ে আশা দরকার !!
১৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব দারুন একটা লেখা। মন ছুয়ে যাওয়ার মত। রক্তের প্রয়োজনে সবাই পাশেই আছি। আমার রক্তের গ্রুপ বি পজেটিভ। কারো লাগলে আমাকে জানাবেন।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩১
অপু তানভীর বলেছেন: সবার মনভাব যদি আপনার মত হয়ে যায় তাহলে এমন দিন আসবে যেখন ঐ ৬ লক্ষ ব্যাগের পুরোটাই স্বেচ্চাসেবিদের মাধ্যমে জোগার হয়ে যাবে !
অবশ্য জানাবো !!
ধন্যবাদ জাদিদ ভাই !
১৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সত্যিকারের মানুষের গল্প। অনুপ্রানিত করল অনেক। প্রিয়তে রেখে দিলাম।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪
অপু তানভীর বলেছেন: আসলেই সত্যকারের মানুষ ! যারা কেবল মানুষের জন্য বাঁচে তারাই তো আসল মানুষ !!
ধন্যবাদ !!
১৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩০
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ভাল লাগল, লেখাটা; হৃদয় ছুঁয়ে গেল। লিটার জন্য শুভকামনা। এদের মত মানুষগুলোর জন্যেই পৃথিবী এখনও সবুজ; শুকিয়ে যায়নি।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩
অপু তানভীর বলেছেন: কথাটা একদম সত্য ! এদের মত মানুষগুলোর জন্যই পৃথিবীটা এখনও সবুজ !
১৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫
আমি ইহতিব বলেছেন: ভালো লিখেছেন অপু ভাই। নাজিম ভাইয়ের শেয়ার থেকে আপনার এই গল্পের লিংক পেলাম। এমন যোদ্ধাদের জন্য শত সহস্র সালাম।
আফসোস আমি এমন যোদ্ধা হতে পারবোনা কখনোই। আমার হিমোগ্লোবিন ই ডিজিজ আছে তাই চাইলেও কাউকে রক্ত দেওয়ার উপায় নেই।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: আসলেই এমন যোদ্ধাদের জন্য শত সহস্র সালাম।
কোন ব্যাপার না !
ভাল থাকবেন !!
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৩
মাগুর বলেছেন: লিটার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা