নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গল্পটা পড়ার সব থেকে মজার লাইণটা ছিল আই এম হেনরি বিনস এন্ড আই হ্যাভ হেনরি বিনস ! এই হেনরি বিনস এমন একটা রোগ যেটা কিনা এই পৃথিবীতে তিনজন মানুষের আছে এবং এই নাম করন টা করা হয়েছে হেনরি বিনস লোকটার নাম থেকেই । ব্যাপারটা এরকম যে এমন একটা রোগ কেবল আমারই আছে এবং আমার নাম থেকেই নাম করনটা করা হয়েছে । তাহলে কেমন হবে ব্যাপার । তখন হয়তো আমি লিখবো আমি অপু তানভীর এবং আমি অপু তানভীরে ভুগছি ।
যাইহোক, আমাদের এই থ্রি এএম গল্পটা এই হেনরি বিনস নামক লোকটা কে নিয়ে । লোকটা অদ্ভুদ এলটা রোগ আছে । এমন রোগ এই পৃথিবীতে মাত্র তিনজন লোকের আছে । এবং এই রোগে আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তিটির নাম হেনরি বিনস । এই রোগে মানুষস পুরো ২৪ ঘন্টার দিনের ভেতরে মাত্র ১ ঘন্টা জেগে থাকে । এবং বাকি ২৩ ঘন্টা কাটিয়ে দেয় ঘুমিয়ে । আমরা স্বাভাবিক মানুষেরা যেমন ৮ ঘন্টার মত ঘুমিয়ে মোটামুটি ১৫/১৬ ঘন্টা জেগে থাকি এবং জীবনের অন্যান্য কাজ করি কিন্তু হেনরি বিনস দিনে মাত্র একটা ঘন্টা জেগে থাকে । এই এককটা ঘন্টার ভেতরেই তাকে জীবনের সব কাজ করতে হয় । খাওয়া দাওয়া গোছল করা, জগিং থেকে শুরু করে বাকি সব কাজ করে এবং গেম অব থ্রোর্নসও সে দেখে । এবং এই কাজ গুলো তাকে করতে হয় রাট তিনটা থেকে চারটার ভেতরের সময়ে । কারন এই এ সময়টাতেই কেবল সে জেগে থাকে । চারটা বাজার সাথে সাথেই সে কাইত !
এমন ভাবেই তার জীবন চলে আসছিলো এতো দিন । কিন্তু ঘটনা বদলে যায় যখন একদিন ঘুমানোর আগে সে শুনতে পায় রাস্তার ওপাশের বাসা থেকে একটা মেয়ের চিৎকার । ঠিক তার কিছু মুহুর্ত পরেই দেখতে পায় একজন লোক সেই বাসা থেকে বের হয়ে আসছে । এবং সেই বের হওয়া মানুষটা আর কেউ নন, স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ।
আর কিছু করার ছিল না তার কারন ঠিক সেই সময়ে চারটা বেজে যায় এবং সে কোমায় চলে যায় । ঘুম থেকে ওঠে পরদিন তিনটার সময় । উঠেই প্রথমে ইন্টানেটে খোজা করে কোন মার্ডার হয়েছে কিনা তার বাসার আসে পাশে । কিন্তু এমন কোন চোখে পড়ে না ।
যথারীতি জগিং করতে গিয়ে কৌতুহল দমাতে না পেরে সেই বাসার ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং মৃতদেহ আবিস্কার করে । ধরে নেয় যে তাহলে নিশ্চিত ভাবেই প্রেসিডেন্ট খুন করেছে এই মেয়েকে । কিন্তু অন্য কোথায় খোজ করেও মেয়েটার কোন নাম পরিচয় পাওয়া যায় না । কেবল মেয়েটার মোবাইল ফোন আর পোষা বিড়াল পায় সে । এদিক দিয়ে তার লক্ষ্য থাকে না কখন তার ঘুমানোর সময় এগিয়ে চলেছে । তাকে এখন এই বাসা থেকে বের হয়ে যেতে হবে নয়তো যে কেউ তাকে আবিস্কার করে ফেলতে পারে মৃতদেহের সাথে কিন্তু হেটে কিংবা দৌড়ে তার বাসায় যাওয়ার মত সময় তার হাতে নেই । তাহলে এখন সে কি করবে ?
এভাবে কাহিনী এগোতে থাকে । প্রতিদিন ঐ সময়ের ভেতরে জেগে উঠে হেনরি বিনস হত্যা কান্ডের ব্যাপারে খোজ নিতে থাকে । এক সময়ে নিজে নামে অনুসন্ধাতে । এবং আস্তে আস্তে জড়িয়ে পড়তে থাকে ঘটনার ভেতরে । তাকে হত্যা করার জন্য মানুষ পাঠানো হয় এবং একটা সময় স্বয়ং প্রেসিডেন্ট সাহেব তার সাথে দেখা করে । সব কিছু স্বীকার করে বলে যে সে খুন টা করে নি । কিন্তু হেনরি বিনস আবিস্কার করে প্রেসিডেন্ট মিথ্যা বলছে । তাহলে খুনটা কে করেছে প্রেসিডেন্ট নিজে নাকি অন্য কেউ ! এভাবে একের পর এক ঘটনা মিলাতে মিলাতে শেষে গিয়ে হাজির হয় আসল খুনি কে !
সবটা বলে দিলে হয়তো মজাটা নষ্ট হয়ে যাবে । তাই বলছি না । বইটার সব থেকে ভাল লেগেছে এই চমৎকার একটা ক্রিয়েটিভিটিটা । কিভাবে একটা মানুষ মাত্র এক ঘন্টায় জেগে থেকে তার জীবনটা পার করে দিচ্ছে সেই সাথে সব কাজ কর্ম করছে । কেমন করে সময় হিসাবে এগিয়ে চলে তার জীবন । ঠিক কখন তাকে ঘুমানোর জন্য এগিয়ে যেতে হবে বিছানার দিকে ।
বইটার অন্যান্য মজার ঠিকের একটি হল বিড়ার সাথে হেনরি বিনসের কথোপকথন । যেমন
“I guess we'll have to get you a Taser too.”
"Meow."
“No, I'm not getting you a knife.”
"Meow."
“We'll discuss this when I get back.”
তার উপর বইটাকে ঠিক উপন্যাস বলা যাবে না, বলা যেতে পারে বড় গল্প । মাত্র ১০২ পেইজের একটা বড় গল্প । ইংরেজি ভাষা খুবই সাবলীল এবং সহজ । পড়তে কোন কষ্টই হয় নি । একবার শুরু করে আর না শেষ করে উঠি নি । কিন্তু একেবারে শেষে গিয়ে আরেকটু টুইষ্ট থাকলে ভাল লাগতো তবে এটাও অনেক অনেক বেশি চমৎকার লেগেছে ।
আর দেরি না করে আজই পড়ে ফেলুন । বাতিঘর থেকে এটার অনুবাদ বেড়িয়েছে । সেটাও পড়তে পারেন আবার মুল ইংরেজিটাও পড়তে পারেন ।
হেনরি বিনস সিরিজের আরও চার বই সম্ভবত আছে । এই বইটা পড়ার পরে লেখকের অন্যান্য বই গুলোরও পড়ার আগ্রহবোধ করছি !
হ্যাপি রিডিং !
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২২
অপু তানভীর বলেছেন: প্রতিভা কুথায় পাইলেন !!
২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৪
নিরব ঘাতক ফাহিম বলেছেন: nice
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৮
অপু তানভীর বলেছেন:
৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৫
বিজন রয় বলেছেন: নানা বিষয় নিয়ে লেখেন সেজন্য বললাম।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৮
অপু তানভীর বলেছেন: আরে এটা কোন ব্যাপার নাকি
৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৬
উল্টা দূরবীন বলেছেন: রিভিউটা বেশ ভালো লাগলো।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৮
অপু তানভীর বলেছেন: থেঙ্কু
৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৬
বিজন রয় বলেছেন: সেটা তো সবাই পারে না। আপনি পারেন তাই বললাম।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৯
অপু তানভীর বলেছেন: ওহ ! ধন্যবাদ
৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৯
বিজন রয় বলেছেন: প্রতিভা কুথায় পাইলেন
কুথায় মানে তো কোথায়।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫০
অপু তানভীর বলেছেন: কুথায় হল কোথায় এর ফেসবুকীও সংস্করন
৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৪৮
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শুভেছা।।
০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০২
অপু তানভীর বলেছেন:
৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পিডিএফ পাওয়া যাবে মূল বইটার?
ভাল্লাগছে রিভিউ
০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৩
অপু তানভীর বলেছেন: 3 A. M. এখান থেকে ডাউনলোড করতে পারেন !
৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: thank u so much...... i searched but didn't find............ thank u
০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০২
অপু তানভীর বলেছেন: ঐ ওয়েব সাইটে অনেক দুর্লভ বই পাওয়া যায় !
১০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৬
জেন রসি বলেছেন: বাহ! চরম ব্যাপার মনে হচ্ছে। পড়তে হবে।
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪২
অপু তানভীর বলেছেন: এখনও পড়েন নাই । পড়ে ফেলেন !
১১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৬
মহান অতন্দ্র বলেছেন: রিভিউ ভালো লাগলো।।
০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫০
অপু তানভীর বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৮
বিজন রয় বলেছেন: আপনি একজন বিরল প্রতিভা অপু।
++++