নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেয়েটি কত সময় ধরে দৌড়াচ্ছে সে বলতে পারবে না । তার কাছে মনে হচ্ছে অন্তত কাল ধরে দৌড়াচ্ছে । পায়ের নিচে শক্ত মাটির আঘাতে মেয়েটির নরম পা ক্ষত বিক্ষত হয়ে যাচ্ছে কিন্তু সেদিকে মেয়েটির কোন লক্ষ্য নেই । তার কেবল একটা কথাই মনে হচ্ছে তাকে সামনে দৌড়াতে হবে । নয়তো সেই জন্তুটা তাকে ওকে ঠিকই ধরে ফেলবে । মেয়েটি ভয়ের কারণে পেছনে তাকাতেও পারছে না । জন্তুটার পায়ের শব্দ ঠিকই শুনতে পাচ্ছে । মেয়েটির কেবল মনে হচ্ছে ওর থামলে চলবে না । ওকে দৌড়ে যেতেই হবে । নয়তো জন্তু টা ওকে ধরে ফেলবে । আর যদি জন্তুটা ওকে ধরতে পারে তাহলে কি হবে সেটা ও ঠিকই জানে না । মেয়েটা দৌড়াতে থাকে । তাকে দৌড়াতে হবে ।
এক
মানুষটার দিকে তাকিয়ে অনিক বেশ অবাক হল। ও ভেবেছিল হয়তো অনেক বয়স্ক কোন লোক হবে । নয়তো লম্বা আলখাল্লা পরা কেউ, চুল দাড়ি দিয়ে মুখ ভর্তি থাকবে। তাই যখন মিশুকে ওকে নিয়ে এই ক্যাফেতে আসলো ও মিশুকে বলেছিলো যে জায়গাটা ঠিক আছে কি না ! মিশু সেই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ওকে চুপ করে অপেক্ষা করে থাকতে বলল । তারপরই এই মানুষটাকে ওদের দিকে এগিয়ে আসতে দেখলো । মিশুকে উঠে দাড়াতে দেখে অনিকের মনে হল হল এই কি সেই লোক ? কিন্তু সে তো অন্য কাউকে আশা করেছে! এই লোক দেখা যাচ্ছে দিব্যি আধুনিক স্মার্ট লোক! এই লোক ভূতের ওঝা!
অনিকের আবার মনে হল হয়তো মানুষটা মিশুর পরিচিত কেউ । ওরা যার সাথে কথা দেখা করতে এসেছে এই লোক সে নয় ।
অনিক মিশুকে একটু খোঁচা দিয়ে বলল
-ইনি কে ? আমাদের লোক কোথায় ?
মিশু অনিকের কথায় কান দিল না। এমন একটা ভাব করলো অনিকের কথা শুনতেই পায় নি। সে এক ভাবে এগিয়ে আসা মানুষটার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। মিশুর চোখে অন্য কিছু রয়েছে।
কালো জিন্স আর কালো শার্ট পরা মানুষটা ওদের সামনে এসে বসতে বসতে বলল
-কি ব্যাপার এতো জরুরি তলব?
মিশুর কন্ঠ যেন একট বদলে গেল। অভিমান ভরা কন্ঠে মিশু বলল
-আপনি আমার কথা কত শুনেন! ডাকলেই যেন আসেন!
সামনের মানুষটা হাসলো। অনিক অবাক হয়ে তার বন্ধুটির সাথে সামনে বসা মানুষটার কথোপকথন শুনতে লাগলো। স্পষ্ট অনিক বুঝতে পারছে যে সামনে বসা মানুষটাকে মিশু ভালবাসে। এই জন্য মিশু আজ পর্যন্ত কাউকে পাত্তা দেয় নি। কত মানুষ মিশুর পেছনে ঘুরে অথচ মিশু তাদেরকে একটাবার ঘুরেও দেখে না।
হঠাৎ মানুষটা অনিকের দিকে চোখ তুলে তাকালো। তখনই অনিকের বুকের ভেতরটা ধক করে উঠলো। মানুষের চোখ যে এতো তীক্ষ্ণ হতে অনিকের ধারনা ছিল না। একটু আগে অনিকের যে ধারনা হয়েছিল যে ও হয়তো সময় নষ্ট করছে। কাজের কাজ কিছু হবে না সেটা সাথে সাথে বদলে গেল। অনিকের বুঝতে কষ্ট হল না যে ওরা যার সাথে দেখা করতে এসেছে এই লোকই সেই লোক । সাথে সাথে এও মনে হল এই মানুষটাই ওকে সাহায্য করতে পারবে।
মিশু সামনের মানুষটাকে বলল
-এ হচ্ছে অনিক। আমার বন্ধু। ও খুব বিপদে পড়েছে।
মিশুর কথা শুনে মানুষটা হাসলো । তারপর বলল
-ও বিপদে পড়েছে নাকি অন্য কেউ?
অনিকের তখনই মনে হল এই মানুষটা সব জেনে গেছে। ওর দিকে একবার তাকিয়েই বুঝে গেছে। ওর ভেতরের সব কথা লোকটা বুঝতে পেরেছে । ঐ চোখ সেই কথাই বলছে ।
মিশু অনিকের দিকে তাকিয়ে বলল
-অনিক, ইনি হচ্ছে রাফায়েল। তোর সমস্যা এনাকে বল।
অনিক প্রথমে কি বলবে ঠিক বুঝতে পারলো না কি বলবে! মনে মনে কিছুটা সময় গুছিয়ে নিল। তবে এই পরিচিত আবহাওয়াতেও অনিকের কেন জানি একটু ভয়ভয় করতে লাগলো সামনের বসা মানুষটাকে । অথচ মানুষটা ওর দিকে হাসি মুখেই তাকিয়ে আছে । সামনের মানুষটাকে ভয় পাওয়ার কোন কারণ সে খুজে পাচ্ছে না তবুও একটা ভয়ের অনুভূতি ঠিকই কাজ করছে । এই অনুভূতির উৎস অনিকের অজানা !
দুই
জেনি সারা রাত জেগে থাকে । রাতে না ঘুমাতে না ঘুমাতে জেনির চোখের নিচে কালি পরে গেছে । যে কেউ ওর দিকে এখন তাকালে ও চমকে ওঠে । আগে ওর চেহারাতে একটা সজিবতা কাজ করতো কিন্তু দিন দিন সেই সজিবতা কেমন যেন মিইয়ে যাচ্ছে ।
জেনির মা বাবা দুজনেই এই নিয়ে চিন্তিত কিন্তু তারা ঠিক বুঝতে পারছে না তাদের মেয়ের আসলে কি হয়ে হয়েছে । মেয়ে তার ছোট বেলা থেকেই একটু চাপা স্বভাবের । মানুষের সাথে কম কথা বলে । জেনির মা অনেক বার ওকে জিজ্ঞেস করেছ কিন্তু ও কাউকে এই কথা বলতে পারছে না । সারাটা সময় একটা চাপা ভয় কাজ করে ওর ভেতরে । তার থেকেও বেশি কাজ করে একটা লজ্জা ।
তবে এই কদিনে আগের থেকে জেনি একটু ভাল আছে । কদিন আগেই একটা অপরিচিত মানুষের সাথে ওর পরিচয় হয়েছে ফেসবুকে ।রাতে তো আর ঘুমাতে পারে না তাই সারা রাতই জেগে থাকে । সময় কাটানোর জন্য ছেলেটার সাথে কথা বলে । ছেলেটাও ওকে সারা দিনে নক দেয় না। রাত তিনটা পার হওয়ার পরেই ছেলেটার সাথে ওর কথা হয় । অনেক কথা বলে ছেলেটার ও । যে কথা কারো সাথে বলতে পারে না সেই কথাটা ছেলেটার সাথে বলতে পারে । ছেলেটাকে ও চেনে না, ছেলেটাও ওকে চেনে না । তাই হয়তো এতো সহজে কথা গুলো বলতে পারে ।
ছেলেটাকেই প্রথমে বলেছিলো জন্তুটার কথা । সারা রাত পর্যন্ত জেগে থাকে দেখে ছেলেটাই ওর কাছে জানতে চেয়েছিলো যে সে কেন জেগে থাকে। তখনই জেনি প্রথম বারের মত সত্য কথাটা ছেলেটাকে বলে ফেলে ।
-কেন রাতে ঘুমাও না বলতো ?
-বললে বিশ্বাস করবে না । তবে এর পেছনে একটা কারণ তো আছেই। আমি আগে কখনও এতো রাত পর্যন্ত জেগে থাকি নি । কোন দিন না।
-তাহলে এখন কেন থাকো ?
জেনি প্রথমে কিছুটা সময় চুপ করে রইলো । ভাবলো যে কথাটা বলা ওর ঠিক হবে কি না ।তারপর মনে হল এই ছেলেটাকে বলা যায় । ছেলেটা ওকে চেনে না । ওর কেবল নাম ছাড়া আর কিছুই দেওয়া নেই প্রোফাইলে । আইডিটাও কদিন আগেই খুলেছে যখন এই ঝামেলাটা শুরু হয়েছে তখন থেকে । আর ছেলেটাকেও চেনে না । সুতরাং একে বলাই যায় ।
জেনি তারপর বলল
-আমি আসলে ঘুমাতে ভয় পাই ।
ছেলেটা অবাক হওয়ার ইমুজি দিল । তারপর বলল
-ঘুমাতে কেউ আবার ভয় পায় নাকি ?
-হ্যা । আসলে আমি ঘুমাতে ভয় পাই কারণ ঘুমালেই আমার স্বপ্ন আসে আর স্বপ্নের ভেতরে সেই জন্তুটা আসে ।
এবার যেন ছেলেটা কৌতুহলী হয়ে উঠলো । ওর কাছে আরও বিস্তারিত জানতে চাইলো । জেনিও বলতে শুরু করলো । এতো দিন কাউকে বলতে না পারা কথা গুলো বলতে পেরেও যেন জেনির ভাল লাগছিলো ।
কবে থেকে এই সমস্যাটা শুরু হয়েছে জেনির সেই দিনটার কথা ঠিক ঠিক মনে পড়ে । ওরা ঠিক যেদিন এই নতুন ফ্ল্যাটে এসে উঠলো তার দুতিন পর থেকেই এই সমস্যাটা শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা বেলা পাশের বাসার ভাড়াটিয়ারা ওদের সাথে দেখাও করতে এল । অনেকের সাথে কথা হল।
তবে ওদের সাথে আরও দুটো পরিবার সেদিন এই বাসাতে উঠেছিলো । তাদের ভেতরে একটা পরিবার ওদের একদম পাশের ফ্ল্যাটে! সিম্পল একটা পরিবার । স্বামী আর স্ত্রী । তাদের কোন সন্তান নেই । তবে কাপলটার বয়স খুব বেশি মনেও হল না । জেনিদের সাথে চমৎকার ভাবে হেসে কথা বলছিলো । তবে এতো কিছু মধ্যে জেনির কেন জানি স্বামীটির চোখের দৃষ্টি খুব একটা ভাল লাগে নি । ওর মনে হল লোকটা ওর দিকে কেমন চোখে যেন তাকাচ্ছিলো । তবে সেটা খুব বেশি সময় স্থায়ী হয় নি । তারা বেশি সময় থাকেও নি । ঠিক ঐ রাতে জেনি প্রথম স্বপ্নটা দেখতে পায় ।
ও যেন একটা বিরান ভূমিতে দাঁড়িয়ে আছে একা । চারিদিকে কেবলই ধূ ধূ করা মাঠ । আর কিছু যেন নেই । পায়ের নিচে শক্ত পাথুরে মাটি । জেনি একা একা হাটতে লাগলো । ওর কিছুই মনে হচ্ছিলো না । কিন্তু কিছু সময় হাটার পরেই হঠাৎ করেই কেউ যেন ওর উপর চেপে বসলো।
ওর ঠিক পেছন থেকেই ঝাপিয়ে পড়েছে ওর উপর । তারপর ওকে চেপে ধরলো মাটির সাথে । জেনি ঠিক দেখতে পাচ্ছিলো না সে জিনিসটার চেহারা । তবে আকৃতিটা অনেকটাই মানুষের মতই মনে হল । ওর একটা হাত ওর পিঠের সাথে চেপে ধরে অদ্ভুদ একটা কাজ করতে শুরু করলো। জেনি অনুভব করলো সেই মানুষের মত জন্তুটা ওর দেহের বিভিন্ন জায়গাতে হাত দিচ্ছে ।
ফাঁকা হাতটা দিয়ে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করতে লাগলো কিন্তু শক্তিতে কিছুতেই পেরে উঠছিলো না । তখনই জেনির হাতে একটা আস্ত পাথর লেগে যায়। সেটা হাতে নিয়ে ও পেছনের দিকে না তাকিয়েই ছুড়ে মারে এবং সেটা ঠিক জায়গা মত লেগেও যায় । সাথে সাথেই জেনিকে ছেড়ে দেয়।
জেনি নিজেকে ছাড়িয়ে যখন পেছন ফিরে তাকায় তখন প্রথম বারের মত সেই মানুষের আকৃতির যন্তুটাকে দেখতে পায়। দেখার সাথে চিৎকার করে উঠে । আর সাথে সাথেই ঘুম ভেঙ্গে যায় ওর। সারা শরীর ঘেমে গেছে। ও স্বপ্ন দেখছিলো ।
তবুও নিজের ভেতরে নিজেকে ফিরে পেতে একটু সময় লাগলো ওর ।
জেনি তাকিয়ে দেখে তখন প্রায় ভোর হয়ে এসেছে । ওর সারা দেহে আবসাদ ছেয়ে আছে । আর বাঁ হাত টা নাড়াতে গিয়েই একটা তীব্র ব্যাথা অনুভব করলো । তখনই জেনির মনে পড়লো সেই জন্তুটা ওকে এই বাঁ পেছন দিকে চেপে ধরেছিলো ।
এই জন্যই কি ব্যাথা?
মন মানতে চাইলো না। তবে একটা ভয় যে ওর ভেতরে কাজ করতে লাগলো সেটা ও ঠিকই বুঝতে পারছিলো।
পরের দিন রাতের বেলাও ঠিক একই ভাবে স্বপ্নের মাঝে সেই জন্তুটা হাজির। তবে এবার আর পেছন থেকে নয় সামনে থেকে এসে হাজির হল। তাই প্রাণীটাকে ভাল করে দেখতেও পেল ও । মানুষের থেকে আরও ফুট খানেক লম্বা প্রাণীটা। পুরো শরীর জুড়ে কালো লোমে ভর্তি । তবে লোম গুলো বড় না । গরুর গায়ে যেমন লোম থাকে সেরকম ।
হাতে বড় বড় আঙ্গুল তবে আঙ্গুলের সংখ্যা চারটা । পায়ের কোন আঙ্গুল নেই । পা টা গরুর খুরের মত। প্রাণীটার মুখটা মানুষের মত হলেও আরও লম্বাটে । আর মাথায় দুটো শিংও জন্মেছে। কুৎসিত দাঁত বের করে জেনির দিকে তাকিয়ে আছে । যেন হাসছে ।
জেনি জন্তুটার চোখের দৃষ্টি দেখেই কেঁপে উঠলো । দৃষ্টিটা ঠিক এমন না ওকে হামলা করে মেরে ফেলবে । বরং দৃষ্টিটার ভেতরে কামের একটা তীব্র প্রভাব রয়েছে । গতদিন প্রাণীটা ওর দেহের বিভিন্ন অংঙ্গে কেন হাত দিচ্ছি সেটা বুঝতে জেনির কষ্ট হয় নি । আজকেও তেমন কিছুই ইচ্ছে প্রাণীটার।
জেনির মুখ থেকে আরেকটা চিৎকার বের হয়ে এল । তারপর সে দৌড়াতে লাগলো ।
তারপর থেকে জেনি প্রতিদিন এই একই প্রাণীটাকে স্বপ্নে দেখতে লাগলো । যার কাছ থেকে ওকে দৌড়ে পালাতে হয়। কারণ জেনি জানে যদি প্রাণীটা ওকে ধরতে পারে তাহলে কি করবে। সেই ভয়েই জেনি ঘুমাতে পারে না । তবে দিনের বেলা ঘুমালে এই সমস্যা হয় না । কিংবা ভোরের আযানের পরপরই ঘুমালেও স্বপ্নে সেই প্রাণীটা আসে না ।
এসব কথা কেউ বিশ্বাস করবে না । কাউকে বলেও না । জেনির বাবা মা দুজনেই বাস্তববাদি মানুষ । ভূত প্রেত কিংবা অস্বাভাবিক কোন কিছুতে তাদের বিশ্বাস নেই । জেনি জানে এই কথা যদি তাদেরকে বলা হয় তাহলে পরদিন তারা তাকে কোন ভাল সাইক্রায়াটিসের কাছে নিয়ে যাবে। সেখানে ওকে ঘুমের ঔষধ দেওয়া হবে । ফলাফল হবে ওকে রাতে ঘুমাতে হবে যা জেনি কিছুতেই চায় না । কোন ভাবেই না।
তিন
-আন্টি ভাল আছেন ?
-হ্যা বাবা । তুমি ভাল আছো ?
-হ্যা ।
-তা কোন দরকারে এসেছিলে ?
-একটু দরকার ছিল ।
-বল !
-আসলে আমার একটা কিবোর্ডের পিন পরিস্কার করছিলাম বারান্দায় বসে। হঠাৎ করেই সেটা হাত থেকে পড়ে যায় । ভেবেছিলাম যে হয়তো নিচে পড়বে কিন্তু বাতাসের কারণে সেটা আপনাদের বারান্দাতে গিয়ে পড়েছে । যদি কিছু মনে না করেন একটু খুজে দেখতাম পাওয়া যায় কি না !
জেনির মা কি বুঝলো সেটা কে জানে তবে হাসি মুখেই অনিককে ভেতরে আসতে দিল । অনিকের কথাটা একটু ভাল করে লক্ষ্য করলেই সে কিবোর্ডের পিনের ব্যাপারটা ধরে ফেলতো ! কিন্তু সেটা ধরতে পারলো না। অনিক জানে এই সময় জেনি বাসায় থাকে না । এই ফাঁকেই তাকে কাজটা করতে হবে । তাই নিজের বারান্দা থেকে একটা দড়ির সাথে কিছু পিন আর ইলেক্ট্রিকের যন্ত্রপাতি জেনির বারান্দাতে ফেলেছিলো ।
অনিকের রুমের একদম নিচের রুমটাই জেনির । তাই ব্যাপারটা এতো সহজে হয়ে গেছে ।
জেনির আম্মু অনিককে জেনির রুমের ভেতরে নিয়ে এল । বারান্দায় এসে দেখলো আসলেই সেখানে কিছু পিন জাতীয় কিছু পড়ে আছে । জেনির আম্মু তুলতে যাচ্ছিলো তখনই অনিক বলল
-আরে আন্টি । আপনি কেন কষ্ট করছেন । আমি করছি !
এই বলে অনিকে সেখানে বসে পড়লো । তারপর খুব যত্ন সহকারে সেগুলো আস্তে আস্তে তুলতে লাগলো । আর অপেক্ষা করতে লাগলো কখন জেনির আম্মু চলে যাবে ! কিছু সময় পরে জেনির আম্মু বলল
-আচ্ছা বাবা তুমি তাহলে তোমার জিনিস গুলো নিয়ে চলে যেও ! কেমন! যাওয়ার সময় আমাকে একটু বলে যেও ।
-জি আন্টি !
জেনির আম্মু চলে যাওয়ার সাথে সাথেই পকেট থেকে আসল জিনিস পত্র বের করলো । চারটা হলুদ রংয়ের লেবুর মত ফল । এই ফল গুলো কিসের ফল সেটা অনিক বলতে পারবে না । রাফায়েল নামের সেই অদ্ভুদ মানুষটা তাকে এগুলো দিয়েছে । এগুলো রাখতে হবে জেনির বিছারার চার কোনাতে । দ্রুত কাজ টা করে ফেলল । এরপরে ওর খাটের এক কোনায় একটা চিহ্ন আকতে হবে । ব্যাস তাহলে ওর কাজ শেষ ।
আজকে রাতেই হয়তো সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে । আজকে রাতেই জন্তুটার কাছ থেকে জেনিকে মুক্ত করতে পারবে বলে আশা করছে ।
ঐদিন রাফায়েল নামের মানুষটার সাথে দেখা করার পর জেনির ব্যাপারে সব কিছু খুলে বলে সে । মেয়েটা যে খুব কষ্টে আছে সেটা নিয়েই কথা হয় । পরদিনই রাফায়েল অনিকের বাসায় এসে হাজির হয় । ওর রুমের ভেতরে কিছুটা সময় বসে থাকে । যেন কিছু বোঝার চেষ্টা করছে । পরে কাধের ব্যাগ থেকে একটা বই বের করে । তারপর কয়েক পাতা উল্টিয়ে একটা পাতা দেখায় অনিক কে ।
জন্তুটার ছবি দেখে অনিক খানিকটা চমকে উঠে । কারণ জেনি ওকে ঠিক যেরমক বর্ণনা দিয়েছিলো এটা একদম সেরকম । অনিক কিছু পড়ার চেষ্টা করলো কিন্তু ভাষাটা অনিকের পরিচিত নয় ।
অনিক বলল
-এটা কোন ভাষা ?
-অনেক পুরাতন একটা ভাষা । যাই হোক এটার নাম জাস্কোন্রিব । সহজ করে বললে এটা হচ্ছে ড্রিম ডিমোন । এর কাজ হচ্ছে মানুষের স্বপ্নের ভেতরে ঢুকে তাদের ক্ষতি করা কিংবা জেনির যা হচ্ছে সেসব করা!
-এখন ?
-আমার যতদূর মনে হচ্ছে যে এই কাজটা করছে সে এই বিল্ডিংয়েই থাকে কিন্তু এভাবে তাকে খূজে বের করা যাবে না । ওকে ধরতে হবে স্বপ্নের ভেতরে গিয়েই ।
-কিভাবে?
-এক রিস্ক আছে!
-যেমন ঐ জাস্কোন্রিব জেনির স্বপ্নে যে কাজটা করতে চাচ্ছে সেটা করতে যদি সে সফল হয় তাহলে বাস্তবেই কিন্তু জেনি আন্তঃসস্তা হয়ে পড়বে । এবং আরেকটা জাস্কোন্রিবের জন্ম হবে । তেমনি ভাবে তুমি যদি ঐ স্বপ্নে ওকে ধরতে গিয়ে কোন ভাবে আঘাত প্রাপ্ত হও তাহলে বাস্তবেও কিন্তু সেটার ফল পাবে, সেটা বাস্তবেও রয়ে যাবে । এখন বল সাহায্য করতে চাও?
অনিক তখন দৃঢ় কন্ঠে বলল
-হ্যাঁ চাই ।
রাফায়েল একটু হাসলো । তারপর বলল
-তবে একটা সুবিধাও অবশ্য আছে । এটা স্বপ্ন, তোমার স্বপ্ন! তুমি সেখানে নিজেকে নিজের মত করে সাজিয়ে নিতে পারবে, যা ইচ্ছে তাই করতে পারবে! বুঝেছো?
অনিক কিছু বুঝলো না প্রথমে । রাফায়েল বলল
-মনে কর তুমি চাইলে তুমি উড়তে পারো কিংবা খুব দ্রুত হাটতে পারো, দৌড়াতে পারো । জেনিও পারে এসব করতে কিন্তু ও এই তথ্যটা জানে না । আর ও খুব ভয় পেয়ে আছে এই জন্য পারছে না । বুঝেছো ?
অনিক মাথা ঝাকালো ।
রাফায়েল আবার বলল
-এখন শুনো তোমাকে কি কি কাজ করতে হবে ।
চার
চোখ মেলেই জেনির বুকটা কেঁপে উঠলো ভয়ে । ও আবার সেই জাগয়াটাতে পৌছে গেছে । সেই ধূসর পাথুরে প্রান্তর । দুর থেকে দুরান্তে কেউ নেই । কেবল ও একা দাড়িয়ে আছে । কেবল ঘুমিয়ে পরলো ও এখানে পৌছে যায় । আজকে তাহলে ও ঘুমিয়ে পড়েছে ! জেনির ভয় করতে লাগলো । ও যখন এখানে এসেছে এর অর্থ হচ্ছে ওর এখন সেই প্রাণীটার সাথে দেখা হয়ে যাবে । জন্তুটা ওর উপর আবার হামলা করবে। ওর সাথে কিছু করার চেষ্টা করবে ।
জেনি এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো । কোন দিকে দৌড় দিবে সে বুঝতে পারছে না । ও ভয়ে ভয়ে আসে পাশে তাকাতে লাগলো । ঘুম ভাঙ্গার আগে যদি আজকে জন্তুটা ওকে দেখে ধরে তখন ওর সাথে কি হবে সেটা ভাবতেই জেনির হাত পা ঠান্ডা হয়ে এল ।
ঠিক তখনই একটা কালো বিন্দু দেখতে পেল ও । ওর দিকে এগিয়ে আসছে । বুঝতে আর বাকি রইলো না যে ঐ জন্তুটাই এগিয়ে আসছে ওর দিকে । এখনই ওকে চেপে ধরবে তারপর ....। অফ .. আর ভাবতে পারলো না জেনি । উল্টো দিকে দৌড় দিলো প্রাণপণে । প্রাণীটা থকে দুরে যেতেই হবে । কোন ভাবেই তার হাতে পড়া যাবে না ।
কেবল দৌড়াতেই থাকলো । ওকে দৌড়াতেই হবে । কিন্তু কয়েক মুহুর্তের পরেই জেনি অবাক হয়ে দেখলো ও যেদিকে দৌড় দিয়েছিলো সেদিকেই সেই দোপেও জন্তুটা দাড়িয়ে । ও একেবারে সেটার মুখে গিয়ে পড়েছে । তাহলে একটু আগে যেটাকে আস্তে দেখেছে সেটা কি? জেনি তাকিয়ে দেখলো জন্তুটা ওর দিকে তাকিয়ে হাসছে । জেনির পুরো শরীর গুলিয়ে উঠলো ।
ওর কেবল মনে হল ওর এখন এই জন্তুর কাছ থেকে পালাতে হবে । ও কোনভাবেই চায় না এই জন্তুটা ওকে চেপে ধরুক । ওর প্রথম দিনের স্মৃতির কথা খুব ভাল করে মনে আছে । সেই অভিজ্ঞতা ও আর পেতে চায়না । কিন্তু অনেক দেরী হয়ে গেছে । জন্তুটা এক লাফে ওর কাছে চলে এল । তারপর ওকে চেপে ধরলো ।
জন্তুটা ওর থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী,জেনি নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো কিন্তু পারলো না । ওর বুঝতে কষ্ট হল না আজকে ওর সাথে কি হতে চলেছে । ঐদিন জন্তুটা যে কাজটা করতে পারে নি আজকে সেটা সে ঠিকই করবে । চোখ ফেঁটে কেবল কান্না এল । জানে চিৎকার দিয়ে কোন লাভ নেই । কেউ ওকে বাঁচাতে আসবে না । আজকে ওর সাথে সেই ঘৃণ্য ঘটনাটা ঘটেই যাবে ।
জন্তুটা জেনিকে উপুর করে ফেলল । জেনি অনুভব করলো যে সেটা ওর নিচের পাজামা টেনে খোলার চেষ্টা করলো । জেনি নিজের সর্ব শক্তি দিয়ে ওকে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলো কিন্তু কোন লাভ হল না । নিজেকে কিছুতেই জন্তুটার কাছ থেকে মুক্ত করতে পারলো না । একটা সময় কেবল মনে হল জেনির শরীরে আর কোন শক্তি নেই । সব আশা যখন ছেড়ে দিবে ঠিক সেই সময়ই থপ করে একটা শব্দ হল । মাংশের উপর শক্ত কিছুর আঘাত হলে যেমনটা হয় ঠিক তেমন আওয়াজ । তারপর আরেকবার ! তারপর আরেকবার !
জেনি অবাক হয়ে দেখলো জন্তুটা ওকে ছেড়ে দিয়ে তড়াক করে লাফিয়ে উঠেছে । চোখ তুলে তাকালো সে । তারপর অবাক বিশ্ময়ে তাকিয়ে রইলো ছেলেটার দিকে । ছেলেটার হাতে একটা কালো লম্বা লাঠি জাতীয় একটা লাঠি । সেটা দিয়েই জন্তুটাকে সে আঘাত করেছে । জেনি দেখলো জন্তুটার পিঠ কেমন বেকিয়ে গেছে । ঠিক মত যেন নড়তে পারছে না ।
ছেলেটা ওর দিকে তাকালো আরেকবার ।
ছেলেটার নাম যেন কি !
হ্যা ! মনে পড়েছে । অনিক ! ওর উপর তলাতে থাকে । আগে যখন মাঝে মাঝে ছাদে যেত তখন ছেলেটাকে প্রায়ই দেখতো । তবে ওদের মাঝে কোন দিন কথা হয় নি ! কিন্তু অনিক নামের এই ছেলেটা এখানে কিভাবে এল?
অনিক ওর তাকিয়ে একটু হাসলো । কথা না বললেও জেনির মনে অনিক ওকে বলছে যে চিন্তার কোন কারণ নেই । জেনির সত্যিই মনে হল ওর আর কোন চিন্তার কারণ নেই । এই সমস্যাটা শুরুর পর থেকে প্রতিটা সময় ও নিজের মাঝেই কেমন কুকড়ে থাকতো । সব সময় একটা ভয় কাজ করতো ওর মাঝে । তবে এখন কেন জানি ওর মোটেই ভয় লাগছে না । হঠাৎ করেই ভয়টা চলে গেছে ।
এরপর অনিক এগিয়ে গেল জন্তুটার দিকে । জন্তুটা তখন সোজা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু ঠিক মত দাড়াতে পারছে না । জেনির মনে হল প্রথম ঐ তিন আঘাতেই জন্তুটার কোমড় ভেঙ্গে গেছে । অনিকের এমন আতর্কিত হামলার জন্য সে হয়তো প্রস্তুত ছিল না । জন্তুটা ব্যস্ত ছিল জেনিকে নিয়েই । এই সুযোগে অনিক ওদের কাছে এসেছে । তারপর সর্ব শক্তি দিয়ে আঘাত করেছে জন্তুটার শরীরে ।
কিন্তু ছেলেটা কিভাবে এখানে এল?
জেনি তাকিয়ে দেখলো অনিক জন্তুটার সামনে চলে গেছে । অনিকের চেহারা দেখা যাচ্ছে না তবে জন্তুটার চেহারাটা ঠিকই দেখা যাচ্ছে । একটু আগে যে কুটিল আর হিংস্র চেহারাটা দেখা যাচ্ছিলো এখন আর সেটা মোটেই মনে হচ্ছে না । বরং সেখানে একটা করুন ভাব ফুটে উঠেছে । সেখানে বেঁচে থাকার আকুলতা ।
জেনির মনে অনিকও ঠিক এই ব্যাপারটা লক্ষ্য করছে । তাহলে জন্তুটাকে কি ও ছেড়ে দিবে? তাহলে তো আবার ওর সাথে এমন কিছু করবে!
কিন্তু অনিক তেমন কিছুই করলো না । জেনি দেখলো অনিক নিজের সর্ব শক্তি দিয়ে জন্তুটার মাথায় আঘাত করলো । তারপর আবার! এভাবে একের পর এক আঘাত চলতেই লাগলো । একটা সময় জন্তুটা মাটিতে লুটিয়ে পড়লো । আর নড়লো না । সন্তুষ্ট হয়ে অনিক ওর দিকে ফিরে তাকালো । ওর মুখে সেই স্মিত হাসি । সেই হাসি বলে দিচ্ছে যে ওর আর কোন ভয় নেই ।
পরিশিষ্টঃ
জেনির যখন ঘুম ভেঙ্গেছে তখন বেশ বেলা হয়ে গেছে । ওর মা ওকে তখনও ডাক দিচ্ছে । চোখ মেলে মায়ের দিকে তাকাতেই জেনির মনটা অসম্ভব ভাল হয়ে গেল । আজকের সকালটা ওর কাছে কেমন অন্য রকম লাগছে । ঘুম থেকে উঠেই ও মায়ের গলা জড়িয়ে ধরলো !
-আরে কি হয়েছে ? আজকে অনেক দিন পর অনেক ক্ষণ ঘুম দিলি !
-এখন থেকে খুব ঘুমাবো !
-তাই ? সত্যিই তো ?
-হ্যা । সত্যি !
-আচ্ছা আচ্ছা বুঝলাম । এখন জলদি উঠে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নে । আমি একটু পাশে ফ্ল্যাটে যাচ্ছি ! এই জন্য তোকে ডাকতে এলাম !
জেনি মায়ের গলা ছেড়ে দিয়ে বলল
-কেন মা ?
-আর বলিস না ! পাশের ফ্ল্যটে যে কাপল টা থাকতো না, রাতের বেলা ছেলেটা মারা গেছে ! ইস ! আমার খুব মায়া লাগছে রে । একটু দেখে আসি !
জেনি মায়ের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো কিছুটা সময় । কদিন আগেও পাশের ফ্ল্যাটের লোকটার সাথে তার দেখা হয়েছে । আর আজকে মরে গেল । যাক সেটা চিন্তা করে লাভ নেই । জেনির কেবলই মাথার ভেতরে একটা চিন্তাই কাজ করছে যে অনিক নামের ছেলেটা কিভাবে ওর স্বপ্নের ভেতরে এল ! এটার উত্তর ওকে জানতেই হবে ! ছেলেটার কথা বলতে হবে ।
রাফায়েল সিরিজ ১২
সকল রাফায়েল সিরিজের পিডিএফ
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য !
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২০
খাঁজা বাবা বলেছেন: ভাল লাগল
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: Thinking more about someone is dangerous for health
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫
অপু তানভীর বলেছেন:
৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৩
নীল আকাশ বলেছেন: রাফায়েলের অ্যাকশন কৈ? আরেকটু বড় হলে ভালো হতো না!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৪
অপু তানভীর বলেছেন: রাফায়েল কিন্তু কোন গল্পেই প্রধান ভূমিকায় থাকে না । সে প্রধান চরিত্রের সাথে থাকে কেবল !
৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৬
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: এতো ভয়ানক একটি ছবি দিয়েছেন। ভাবছি, কি করে রাতে ঘুমাবো।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৪
অপু তানভীর বলেছেন: আরে রাতে ঠিক ঠিক ঘুম চলে আসবে । টেনশন নিয়েন না ! গল্প পড়েন !
৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৭
আবু মুহাম্মদ বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা।ভাল লাগলো
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৫
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য
৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: জি পড়েছিলাম জনাব।
গল্পটি ভালো লেগেছে অনেক অদ্ভুত একটি গল্প। তবে জেনির স্বপ্নেই কেন এসব হয়েছিলো? এবং জেনির স্বপ্নে অনিক কিভাবে আসলো এটাই মাথায় ঢুকছে না।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৮
অপু তানভীর বলেছেন: রাফায়েল সিরিজের সব গল্প গুলো পড়ে ফেলুন । তাহলে হয়তো কিছু কিছু বুঝতে পারবেন ।
৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৩
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: জি অবশ্যই। এমনিতেও আমি একটু কমই বুঝি।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯
অপু তানভীর বলেছেন:
৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:০১
হাসান৬৫৪৩ বলেছেন: অপু ভাই মানেই সেরা গল্প।কোন কথা নাই।
ইদানিং আমার ফেসবুক কেউ ডিজেবল করে দিচ্ছে।অপু ভাইয়ের নিয়মিত পাঠক হওয়ার সুবাদে যেটাতে যাই রিকুয়েস্ট দিই।অতি দুঃখের বিষয় অপু ভাই আমারে ফলোতে পাঠিয়ে দিয়েছেন (:
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ গল্প পড়ার জন্য ।
কি আর করা ! ফেসবুকে আমার সবই পাব্লিক করা । কোন সমস্যা হওয়ার কথা না অবশ্য !
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক দিন পর আবার অতিপ্রাকৃত গল্প পেলাম
ভাল লাগল
+++++