নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলার কিংবদন্তীঃ কমলা রানীর দিঘি

১৩ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৪৫

কদিন আগে রামসাগর দিঘি নিয়ে একটা পোস্ট লিখেছিলাম । আজকের লেখার বিষয় হচ্ছে কমলা রানী দিঘি । এদেশের বড় এবং বিখ্যাত প্রায় সব দিঘি নিয়েই কোন না কোন কিংবদন্তীর প্রচলন রয়েছে । গল্প গুলোর ভেতরে সাদৃশ্য বিদ্যমান । একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই ধরনের গল্প সেগুলো । এই কমলা রানীর দিঘি নিয়েও সেই রকম কিছু গল্প চালু রয়েছে । কমলা রানীর দিঘি নিয়ে লেখার আগে ভাবলাম আগে একটু সার্চ দিয়ে এটার ব্যাপারে সাধারণ কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক । কিন্তু গুগলে সার্চ দিয়ে দেখলাম এই রানী দিঘি নিয়ে নানা রকম তথ্য বিদ্যমান রয়েছে । একস্থানে লেখা এটা মৌলবিবাজার এক স্থানে লেখা নেত্রকোনা অন্য স্থানে নোয়াখালি । আমার গুগল ক্রমে এখন প্রায় সাতটা ট্যাব খোলা রয়েছে যেখানে সাত রকম তথ্য দেওয়া । তবে সব স্থানেই একটা এই দিঘির পেছনের গল্পটা প্রায় একই রকম !

আগে সেই কিংবদন্তি জানা যাক ।
সময়টা ষোলশ শতক । রাজনগরের প্রজাবৎসল রাজা সুবিধ নারায়ন । স্ত্রী সন্তান নিয়ে সে তার রাজ্য সুখেই বসবাস করছে । একদিন দেবী তাকে স্বপ্নে আদেশ দিলেন যে সে যেন তার রাজ্যে ১২ একর, ১২ বিঘা, ১২ পোয়া ১২ ছটাক জায়গা নিয়ে একটা বড় দিঘি খনন করেন । এবং সাথে সাথে এও বলে দিলেন যে দিঘি খনন কাজে যে লোকটা প্রথম সেখানে কোদাল মারবে রাজা যেন তাকে সোনার হার উপহার দেন ।
রাজা দেবীর আদেশ অনুযায়ী কাজ শুরু করে দিলেন । স্বপ্নে দেবী যা যা করতে বললেন তাই করলেন । কিন্তু দিঘি কাটার পরেও দিঘিতে কোন পানি দেখা পাওয়া গেল । রাজা খানিকটা চিন্তি্ত বোধ করলেন । তার মনে হতে লাগলো যে দেবী তাকে যেভাবে যেভাবে কাজ করতে বলেছিলেন তিনি হয়তো ঠিক মত সেই কাজ করেন নি । এর কয়েকদিন পরে দেবী আবারও রাজার স্বপ্নে এসে হাজির হলেন । এবার দেবী তাকে বললেন দিঘিতে পানি উঠানোর জন্য রাজাকে কী কাজ করতে হবে । দেবীর কথা শুনে রাজা সুবিধ নারায়ন চমকে উঠলেন । দেবী তাকে বললেন যদি রাজ্যের রানী পুকুরে নেমে গঙ্গা দেবীর পুজা করেন তাহলেই দিঘিতে পানি দেখা মিলবে ।
রাজা এই কথা কোন ভাবেই রানীকে বলতে পারলেন না । তবে এক সময়ে রানী নিজেই রাজাকে জিজ্ঞেস করলেন । রাজা তখন রানীর স্বপ্নের কথা রানীকে জানালো । রানী হাসি মুখেই সেই শর্ত মেনে নিলেন ।
রানী নির্ধারিত দিনে স্বামী সন্তান আর প্রজাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে দিঘিতে পা রাখলেন । রানীর পা রাখার সাথে সাথেই পানি উঠতে শুরু করলো । তারপর যখন পানির পায়ের গোড়ালী ডুবে গেল তখন চারিদিক দিয়ে পানি ওঠা শুরু করলো এবং এক সময়ে রানী পানির নিচে চলে গেলেন ।
প্রাণপ্রিয় রানীকে হারিয়ে রাজা তখন পাগল প্রায় । নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে ঘরে নিজেকে বন্দী করে রাখলেন । রাজ্য পরিচালনার কাজে তার মন নেই । এমন এক সময়ে রানী রাজার স্বপ্নে এলেন । এবং তাকে বললেন যে প্রতিদিন সূর্যদোয়ের সময় রাজা যেন তার সন্তানদের নিয়ে সেই পুকুর ঘাটে আসে । রানী তার সন্তানদের দুধ পান করাবে । কিন্তু রাজা যেন কোন ভাবেই রানীকে স্পর্ষ না করে । এই ভাবে যদি ১২ বছর পার করতে পারেন তাহলেই রাজা আবার রানীকে ফেরৎ পাবে ।

রাজা রানীর কথা মত প্রতিদিন সূর্যদোয়ের সময়ে তার সন্তানদের নিয়ে ঘাটে গিয়ে হাজির হত । দুর থেকে দেখতেন রানী তার সন্তানদের যত্ন নিয়ে দুধ খাওয়াচ্ছে । রাজা কাছে যেতে চাইতেন কিন্তু রানীর সাবধান বানী মনে করে আবার ফিরে আসতেন । কিন্তু একদিন আর নিজেকে সংবরন করতে পারলেন না । তিনি রানীকে স্পর্শ করে ফেললেন । এই ঘটনার সাথে সাথে রানী রানী চিৎকার দিয়ে পানিতে ঝাঁপ দিলেন এবং পানির নিচে অদৃশ্য হয়ে গেলেন । তারপর রানীকে আর কোনদিন দেখা যায় নি ।

এই ঘটনার পরে এক সময়ে আস্তে আস্তে রাজার সকল সন্তানেরা মারা গেলেন । রাজা নিজেও এক সময় মারা গেলেন । সুবিধ নারায়নের বংশ শেষ হয়ে গেল। মোটামুটি কমলা রানীর দিঘির পেছনের গল্পটা এটা । এই দিঘিটা অবস্থিত মৌলবীবাজার জেলার রাজনগরে । এই দিঘির একটা ছবি দেওয়া হল নিচে

ছবি সুত্র- pic source

তবে উইকি থেকে আরেকটা রানীদিঘির খোজ পাওয়া গেল । এই রানী দিঘিটার অবস্থান হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলাতে অবস্থিত । এখানেও একই ভাবে রাজা একটা দিঘি খনন করেন । তবে সেটা দেবীর আদেশ পেয়ে নন, তিনি দিঘি খনন করেন প্রজাদের পানির কষ্ট দুর করতে । একই ভাবে দিঘি খননের পরেও দিঘিতে পানি উঠে না । তখন স্বপ্নে জানতে পারেন যে যদি কমলা রানী নিজেকে দিঘিতে আত্মবিষর্জন দেন তাহলেই পানি উঠবে । কমলা রানী তাই করেন । উপরের কিংবদন্তিতে যেমন পরে রানী উঠে এসে নিজ সন্তানদের দুধ খাওয়াতেন, এই অংশ টুকু এখানে নেই । এখানে রাজা ছিলেন সামন্ত রাজা পদ্মনাভ । তার স্ত্রীর নাম ছিল কমলা দেবী ।
বানিয়াচং ডট কম থেকে প্রাপ্ত একটা ছবি যুক্ত করে দিলাম । যদিও আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আগের ছবি আর এই ছবিটা একই পুকুরের !

ছবি সুত্রঃ pic source

এরপরের কমলা রানী দিঘির অবস্থান হচ্ছে নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের কাছে । এখানে রানী দিঘির পেছনের গল্পটাও ঠিক একই রকম । তবে এই রাজার নাম ছিল জানকি নাথ । এবং এই রাজার একটা মাত্র সন্তান ছিল । যার নাম রঘুনাথ । আর সব ঘটনা একই রকম । একই রকম ভাবে পুকুর কাটা হয় কিন্তু সেখানে পানি উঠে না । রানী সেই পুকুরে নামে তারপর পানি ওঠে । নেত্রকোণা জেলার সরকারি ওয়েবসাইটেও এই তথ্য বিদ্যমান ! ঐ দিঘির একটা ছবি পাওয়া গেল নেটে ।

ছবিসুত্রঃ pic source

এরপরের কমলা রানী দিঘির অবস্থান পটুয়াখালি জেলার বাউফল উপজেলাতে । কমলা রানীর পুকুরটি তেতুলিয়া নদীর পাশে অবস্থিত । প্রায় সাড়ে পাঁচশ বছর আগে পুকুরটি খনন করা হয়েছিলো । এখানকার গল্পটাও একই রকম । এই গল্পে রাজা জয়দেবের কোন পুত্র সন্তান ছিল না । তার ছিল দুই কন্যা । তাদের একজন হচ্ছে কমলা সুন্দরী । তাকে রাজা বিয়ে দেন বলভদ্র বসুর সাথে । জয়দেব মারা যাওয়ার পরে রাজ্য কমলা সুন্দরীর হাতে দিয়ে যান । একসময় কমলা সুন্দরী প্রজাদের জন্য একটা বড় পুকুর খনন করান । কিন্তু সেখানে কোন পানি উঠছিলো না । তারপরের কাহিনী একই রকম । এই রকম তথ্য রয়েছে বউফল উপজেলার সরকারী ওয়েবসাইটে ।

আরেকটা কমলা দিঘির সন্তান পাওয়া যায় কক্সবাজার জেলাতে । চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়নে । ত্রিপুরার রাজা ধন্যমানিক্যের স্ত্রীর নাম ছিল কমলা সুন্দরী । এই নাম আলাদা করলে অন্য সব গল্প গুলো একই রকম ! একই রকম পুকুর খনন করা হয় কিন্তু পানি ওঠে না । তারপর রানীর আত্মাহুতি দেওয়ার পরে পানির দেখা পাওয়া যায় ।

এই কমলা রানী দিঘির কিংবদন্তীকে কেন্দ্র করে আমাদের পল্লী কবি জসিম উদ্দিনের একটা লেখা আছে । তিনি লিখেছেন
ধীরে ধীরে রাণী দাঁড়াইল আসি সাগর দীঘির মাঝে,
লক্ষ লক্ষ কাঁদে নরনারী শুকনো তটের কাছে।
পাতাল হইতে শতধারা মেলি নাচিয়া আসিল জল,
রাণীর দুখান চরণে পড়িয়া হেসে ওঠে খল খল।...


(ডঃ এম এ আলী ভাইয়ের মন্তব্য থেকে প্রাপ্ত কিছু তথ্য সংযোজন করে দিই । কেবল মন্তব্যে থাকলে হয়তো অনেকের চোখে পড়বে না।)

কবি দ্বিজ কানাই রচিত ময়মনসিংহ গীতিকায় থাকা ‘কমলা’ পালাটিতে ১৭ টি অঙ্কে মোট ১৩২০ টি ছত্র রয়েছে । কমলা পালাতে প্রিয়তমা স্ত্রীর শখ পূরণ করতে রাজা জানকিনাথ মল্লিক তার স্ত্রীর নামে ‘কমলা সায়র’ দীঘি খনন করেছিলেন । কিন্তু দৈব ক্রমে দীঘিতে জল উঠলনা । এ কারণে রাজার পুর্বপুরুষেরা নরকপ্রাপ্ত হতে পারে বলে রাজা চিন্তিত হলে রানী কমলা স্বামীকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলেন । তিনি তার দুগ্ধপুষ্যা শিশুকে দাসিদের হাতে সমর্পন করে সদ্য খোঁড়া দীঘিতে নিজকে উৎসর্গ করে চিরতরে হারিয়ে গেলেন। রাজা শোকে পাথর হয়ে কিছুদিনের মধ্যে মৃত্যুবরন করেন । এই বিয়োগান্ত কাহিনী নিয়ে রচিত হয়েছে ‘কমলা‌’ পালা । ময়মনসিংহ গীতিকার ভুমিকায় বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা আলোচনা করে ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন ধারণা করেছেন এই কাহিনীর মুল ঘটনা সত্য ।

ময়মনসিংহ গীতিকার আরেক কবি কবি দ্বিজ কানাই কমলার যৌবনাগমনের কথা লিখেছেন সুন্দর করে ।

কমলা--যৌবনাগমে
- কবি দ্বিজ কানাই
দেখিতে সুন্দরী কন্যা পরথম যৌবন |
কিঞ্চিত্ করিব তার রূপের বর্ণন ||
চান্দের সমান মুখ করে ঝলমল |
সিন্দুরে রাঙ্গিয়া ঠুট তেলাকুচ ফল ||
জিনিয়া অপরাজিতা শোভে দুই আখি |
ভ্রমরা উড়িয়া আসে সেই রূপ দেখি ||
দেখিতে রামের ধনু কন্যার যুগল ভুরু |
মুষ্টিতে ধরিতে পারি কটিখানা সরু ||
কাকুনি সুপারি গাছ বায়ে যেন হেলে |
চলিতে ফিরিতে কন্যা যৌবন পরে ঢলে ||
আষাঢ় মাস্যা বাশের কেরুল মাটি ফাট্যা উঠে |
সেই মত পাও দুইখানি গজন্দমে হাটে ||
বেলাইনে বেলিয়া তুলিছে দুই বাহুলতা |
কণ্ঠেতে লুকাইয়া তার কোকিলে কয় কথা||
শ্রাবণ মাসেতে যেন কাল মেঘ সাজে |
দাগল-দীঘল কেশ বায়েতে বিরাজে ||
কখন খোপা বান্ধে কন্যা কখন বান্দে বেণী |
কূপে রঙ্গে সাজে কন্যা মদনমোহিনী ||
অগ্নি-পাটের শাড়ী কন্যা যখন নাকি পরে |
স্বর্গের তারা লাজ পায় দেখিয়া কন্যারে ||
আযাইঢ়া জোয়ারে জল যৌবন দেখিলে |
পুরুষ দূরের কথা নারী যায় ভুলে |





তথ্যসুত্রঃ
বাংলা কিংবদন্তী (সংকলক আসাদুজ্জামান জুয়েল)
ওয়েবসাই টলিংক এক
ওয়েবসাইট লিংক দুই
ওয়েবসাইট লিংক তিন
ওয়েবসাইট লিংক চার
পত্রিকা লিংক

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপনা।
বেশিরভাগ বড় দিঘীর এই একই রকম কাহিনী প্রচলিতো।
আরেকটি কাহিনী আছে ডেগ উঠা নিয়ে। সেটি শেষ হয় চুরি করার মধ্যদিয়ে।
+

১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০০

অপু তানভীর বলেছেন: বড় আর পুরাতন বেশির ভাগ দিঘি নিয়ে এই রকম কাহিনী খুব প্রচলিত । আপনার মত আমিও এমন একটা পুকুরের কাহিনী শুনেছিলাম যেখানে পুকুরের কাছে চাইলে পিতলের বাসন পত্র উঠতো । পরে সেগুলো ধুয়ে আবার ফিরিয়ে দিতে হত । একবার একজন লোভে পড়ে একটা বাসন রেখে দেওয়া ফলে তার উপরে অনেক বিপদ নেমে এল ! এই রকম কাহিনীটা ছিল !
এই রকম আরও কত কাহিনী যে আছে তার ঠিক নেই ।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ! ভাল থাকুন সর্বদা !

২| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১৭

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: দেশের প্রায় সব বড় দিঘি নিয়ে এমন রূপকথা গাঁথা আছে। নর বলি দেয়ে পানি উঠার গল্পও আছে। সুনিপন বর্ননায় গল্প শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা।

১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০২

অপু তানভীর বলেছেন: নরবলির গল্পটা আমি শুনেছিলাম ভুত এফএমে । দেখি আরও দেখি সার্চ করে এমন কিছু লেখা যায় কিনা !

ভাল থাকুন সব সময় !

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম আপনার পোস্ট থেকে। বরিশালে এই ধরনের একটা বড় দিঘি আছে।

বরিশালের নানান প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিদর্শনের মধ্যে বরিশালের ঐতিহ্যবাহী দূর্গা সাগর অন্যতম। এ দীঘি দেখতে দেশ বিদেশ থেকে শতাধিক মানুষের সমাগম হয় প্রতিদিন।

বরিশাল-বানারীপাড়া সড়কের জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশায় স্থানীয় জনগণের পানি সঙ্কট নিরসনে ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে এ দীঘিটি খনন করেন চন্দ্রদ্বীপের পরগনার তৎকালীন রাজা শিব নারায়ন। স্ত্রী রানী দূর্গাবতী একবারে যতদূর পর্যন্ত হেঁটে গিয়েছিলেন ততদূর পর্যন্ত এ দীঘি খনন করা হয় তিন লাখ টাকা ব্যয়ে। আর রানী দূর্গাবতীর নামেই দিঘীটির নামকরণ করা হয় দূর্গা সাগর। দিঘী খননে এক রাতে রানী প্রায় ৬১ কানি জমি হেঁটেছিলেন।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী দীঘিটি ৪৫ একর ৪২ শতাংশ জমিতে অবস্থিত। এর ২৭ একর ৩৮ শতাংশ জলাশয় এবং ১৮ একর চার শতাংশ পাড়। এছাড়া দীঘির চারপাশ দিয়ে ১.৬ কিলোমিটার হাঁটার রাস্তা রয়েছে।

দীঘির পশ্চিমে শ্রীপুর, পূর্বে কলাডেমা, উত্তরে পাংশা এবং দক্ষিণে শোলনা ও ফুলতলা গ্রাম। চার গ্রামের মধ্যস্থানে এক শুভদিনে হাজার হাজার লোক দীঘি খনন কাজ শুরু করেন। চন্দ্র দ্বীপ রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম হতে প্রজারা দীঘি খননে অংশ নেয়। দীঘি খনন কাজ শেষ করতে প্রায় ছয় মাস সময় লাগে। সারাদিন কাজ করে শ্রমিকরা পশ্চিম পাশে একটি দীঘিতে মাটি কাটার যন্ত্র ধুতেন। এ দীঘির নাম দেয়া হয় কোদাল দীঘি। দীঘি খনন ও অর্চনার জন্য রাণী রাজকোষ হতে তিন লাখ টাকা ব্যয় করেন। চারপাশে পঞ্চাশ ফুট বিস্তৃত চারটি পাকা ঘাট নির্মাণ করেন।

রানী দুর্গাবতির নামানুসারে এই দিঘি এখন দুর্গা সাগর নামে পরিচিত।

১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৯

অপু তানভীর বলেছেন: এই রকম আরও বেশ কিছু দিঘি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে । এই সমস্ত দিঘি নিয়ে খুব বেশি আসলে নেটে খুজে পাওয়া যায় না । তাই মানুষ জন জানতে পারে না । কেবল বাংলাতেই নয়, ইংরেজিতেও আরও বিস্তারিত ভাবে আরও বিস্তারিত ছবি নিয়ে লেখা দরকার । সরকারের উদ্যোগেই এমন পদক্ষেক গুলো নেওয়া দরকার । তাহলে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে । কিন্তু এই সব দিকে যথাযত পদক্ষেপ কখনও গ্রহন করা হয় না ।

আপনার মন্তব্যের তথ্যের জন্য ধন্যবাদ । দেখা যাক আরও কিছু জানা যায় কিনা !

৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৩৩

সাসুম বলেছেন: আমাদের এলাকায় একটা আছে- নাম কালাপানিয়া দিঘী। জনশ্রুতি আছে- কালা রংগের কুত্তার গায়ে থাকা জিনেরা এক রাতে খনন করেছিল সেই দিঘী।

এখন ছোট হয়ে এসেছে মানুষের দখলে, দেখতে পুকুরের মত লাগে।

১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১০

অপু তানভীর বলেছেন: আমার বাড়ির ঠিক পেছনেই আছে কানা পুকুর নামে এক পুকুর । সেই পুকুর দিয়েও জ্বীনের কাহিনী সংযুক্ত আছে ।
এই রকম আরও কত কাহিনী যে আছে ঠিক নাই !

৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৪১

জুন বলেছেন: এসব নিয়ে কত আজগুবি গল্প, কত প্রবাদই না আছে। আমি শুনেছিলাম বিটিভির সামনে রামপুরা ব্রিজ বানানোর সময়ও নাকি অনেক মানুষের রক্ত দিতে হয়েছিল । না দেয়া পর্যন্ত ব্রীজ বারবার ভেংগে পরছিল অপু :(
+

১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১২

অপু তানভীর বলেছেন: আমি আবার ভুত এফএমের নিয়মিত শ্রোতা । সেখানে একবার গল্প শুনেছিলাম যে মানুষের মাথা দেওয়ার কথা । মানুষ কত ভয়ংকর কাজ করতে পারে । খুব বেশি দুরের কথাও তো না কদিন আগেই না শোনা যাচ্ছিলো যে পদ্মাসেতুর জন্য মানুষের মাথা লাগবে । দেখা যাবে ১০০ বছর এটাও কোন এক কিংবদন্তী হয়ে গেছে । পদ্মাসেতু তৈরিতে মানুষের মাথা লেগেছে !

৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন কিংবদন্ন্তির কমলা রানীর দীঘি নিয়ে বেশ কিছু মুখরোচক গল্প কাব্য কথা আছে ।
কমলা রানীর দীঘি নামে অভিহিত বেশ কয়েকটি দীঘির মধ্য বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার সাগরদীঘি মৌজায় অবস্থিত কমলা রাণীর দীঘিটিই সব চেয়ে বড়, প্রায়
৬৬ একর জায়গার উপর অবস্থিত ।কবি জসীমউদ্দীন বানিয়াচংয় পরিদর্শনে কালে নয়নাভিরাম সাগরদীঘির
প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে ‘রানী কমলাবতীর দীঘি’ নামে একটি কবিতা লিখেছিলেন, যা তার
সূচয়ণী কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত । সেই ঐতিহাসিক কবিতারই কয়েকটি চরণ আপনার পোষ্টে উঠে
এসেছে সুন্দর করে, পাঠে মুগ্ধ ।

তবে নেত্রকোনায় অবস্থিত কমলা রানীর দীঘিটিউ বিবেচনার দাবী রাখে । ময়মনসিংহ গীতিকায় থাকা
কবি দ্বিজ কানাই রচিত কমলা পালায় কমলাকে নিয়ে অনেক কথাই আছে ।
নেত্রকোনার বিরিসিরিতে থাকা কমলা রাণীর দিঘীর যে সুন্দর ছবি দিয়েছেন তাতে করে দীগীটির
বর্ণনা নীজেই দেয় । দিঘিটির উপাশে গাড়ো পাহাড়ের ছায়া যেন দিঘীটিতে ছাপিয়ে পরে । দেখতে
খুবই সুন্দর তার পেনরমিক ভিউ, দীঘির সৌন্দর্যের কথাই বেশী করে প্রতিভাত করে।

পল্লী কবি জসীম উদ্দিন কমলা রাণীর দীঘিটি পরিদর্শন করে কমলার করুন পরিনতির কথা
বলেছেন সুন্দর করে । ময়মনসিংহ গীতিকার আরেক কবি কবি দ্বিজ কানাই কমলার যৌবনাগমনের
কথা লিখেছেন সুন্দর করে ।
কমলা--যৌবনাগমে
- কবি দ্বিজ কানাই
দেখিতে সুন্দরী কন্যা পরথম যৌবন |
কিঞ্চিত্ করিব তার রূপের বর্ণন ||
চান্দের সমান মুখ করে ঝলমল |
সিন্দুরে রাঙ্গিয়া ঠুট তেলাকুচ ফল ||
জিনিয়া অপরাজিতা শোভে দুই আখি |
ভ্রমরা উড়িয়া আসে সেই রূপ দেখি ||
দেখিতে রামের ধনু কন্যার যুগল ভুরু |
মুষ্টিতে ধরিতে পারি কটিখানা সরু ||
কাকুনি সুপারি গাছ বায়ে যেন হেলে |
চলিতে ফিরিতে কন্যা যৌবন পরে ঢলে ||
আষাঢ় মাস্যা বাশের কেরুল মাটি ফাট্যা উঠে |
সেই মত পাও দুইখানি গজন্দমে হাটে ||
বেলাইনে বেলিয়া তুলিছে দুই বাহুলতা |
কণ্ঠেতে লুকাইয়া তার কোকিলে কয় কথা||
শ্রাবণ মাসেতে যেন কাল মেঘ সাজে |
দাগল-দীঘল কেশ বায়েতে বিরাজে ||
কখন খোপা বান্ধে কন্যা কখন বান্দে বেণী |
কূপে রঙ্গে সাজে কন্যা মদনমোহিনী ||
অগ্নি-পাটের শাড়ী কন্যা যখন নাকি পরে |
স্বর্গের তারা লাজ পায় দেখিয়া কন্যারে ||
আযাইঢ়া জোয়ারে জল যৌবন দেখিলে |
পুরুষ দূরের কথা নারী যায় ভুলে |

দীঘির সাথে কবি দ্বিজ কানাই এর কবিতার স্বরে কন্ঠ মিলিয়ে কমলা রাণী বন্দনাও
কিছুটা করে গেলাম ।

দীঘি তৈরী করে তাকে জলে পুর্ণ করার জন্য কমলা রাণীর মত কারো যেন করুন পরিনতি ভোগ
করতে না হয় সে কামনাও রইল এ সাথে ।

কিংবদন্তির কমলা রানীর দীঘি নিয়ে সুন্দর একটি পোষ্ট পরিবেশনের জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:০৪

অপু তানভীর বলেছেন: প্রিয় ডঃ এম এ আলী ভাই, আপনার কমেন্ট সব সময়ই যে কোন পোস্টে আলাদা শোভা বর্ধন করে । প্রতিটি কমেন্টেই তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে । এতো চমৎকার আর তথ্যবহুল কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ ।

তাহলে কবি জমিসউদ্দিন বানিয়াচংয়ের কমলাদিঘি নিয়ে তার কবিতাটা লিখেছিলেন ! এই বিষয়টা নিয়ে আমার মাঝে একটু কনফিউশন ছিল যে কোন কমলাদিঘিকে নিয়ে তার এই কবিতা লেখা ।
আর কবি দ্বিজ কানাইয়ের কথাটা কমেন্টে জানানোর জন্য ধন্যবাদ । এটা পোস্টের শোভা আরও একটু বাড়িয়ে দিল । আপনাকে আবারও অশেষ ধন্যবাদ

আসলে আপনার মন্তব্যের জবাবে যাই লিখি না কেন বারবার কেন জানি মনে হয় যে সঠিক ভাবে কমেন্টের জবাব দেওয়া হল না বুঝি । আরও কিছু লেখার দরকার ছিল । আশা করি সঠিক ভাবে জবাব না দেওয়া কিংবা দিতে না পারার অপারগতাকে ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন ।

সব সময় ভাল থাকুন ! শুভেচ্ছা রইলো !

৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সত্যি ই সব বড় বড় দিঘি নিয়েই এমন কাহিনী আছে।

১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: বড় আর পুরাতন প্রায় সব পুকুরকে নিয়ে কোন না কোন গল্প প্রচলিত আছেই । মানুষ গল্প ছড়াতে পছন্দ করে । সেই হিসাবেই এই গল্প গুলো মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে সব সময় ।

৮| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




উপরে থাকা আমার ৬ নং মন্তব্যের সাথে আরো কিছু সংযোজন -
কবি দ্বিজ কানাই রচিত ময়মনসিংহ গীতিকায় থাকা ‘কমলা’ পালাটিতে ১৭ টি অঙ্কে মোট
১৩২০ টি ছত্র রয়েছে । কমলা পালাতে প্রিয়তমা স্ত্রীর শখ পূরণ করতে রাজা জানকিনাথ মল্লিক
তার স্ত্রীর নামে ‘কমলা সায়র’ দীঘি খনন করেছিলেন । কিন্তু দৈব ক্রমে দীঘিতে জল উঠলনা ।
এ কারণে রাজার পুর্বপুরুষেরা নরকপ্রাপ্ত হতে পারে বলে রাজা চিন্তিত হলে রানী কমলা স্বামীকে
উদ্ধার করতে এগিয়ে এলেন । তিনি তার দুগ্ধপুষ্যা শিশুকে দাসিদের হাতে সমর্পন করে সদ্য
খোঁড়া দীঘিতে নিজকে উৎসর্গ করে চিরতরে হারিয়ে গেলেন। রাজা শোকে পাথর হয়ে কিছুদিনের
মধ্যে মৃত্যুবরন করেন । এই বিয়োগান্ত কাহিনী নিয়ে রচিত হয়েছে ‘কমলা‌’ পালা । ময়মনসিংহ
গীতিকার ভুমিকায় বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা আলোচনা করে ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন ধারণা করেছেন
এই কাহিনীর মুল ঘটনা সত্য ।

১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:০৭

অপু তানভীর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । এই কমেন্ট দুইটা আমি পোস্টের সাথে সংযুক্ত করে দিবো । অনেকে মন্তব্য পড়ে না সেই ক্ষেত্রে এই চমৎকার সংযোজন অনেকের চোখে পড়বে না ।

আবারও ধন্যবাদ তথ্যবহ মন্তব্যের জন্য !

সদা ভাল থাকুন !

৯| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ২:০৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অবিশ্বাস্য মনে হলো। রাণীর জীবনের বিনিময়ে পুকুরে পানি বিষয় টি নির্মম। আমি রাজা হলে রাণীকে মরতে দিতাম না।

লিখেছেন বেশ।

১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১০

অপু তানভীর বলেছেন: আমি হলেও কাজটা করতে দিতাম না হয়তো । ঘটনা আসলেই এমন কিছু ছিল কিনা জানি তা কেবল লোকগল্প এটাও একটা বড় প্রশ্ন । এখানে রানী কমলার স্যাকরিফাইস দেখানো হয়েছে !

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য !

১০| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট। একটা কারেকশন আছেঃ
এরপরের কমলা রানী দিঘির অবস্থান পটুয়াখালি জেলার বাউফল উপজেলাতে । কমলা রানীর পুকুরটি তেতুলিয়া নদীর পাশে অবস্থিত । প্রায় সাড়ে পাশ বছর আগে পুকুরটি খনন করা হয়েছিলো।
এখানে মনে হয় পাশ এর জায়গায় পাঁচশ হবে।
আমি যে কোন লেখা খুটিখুটিয়ে পড়ি। ধন্যবাদ।

১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১৬

অপু তানভীর বলেছেন: খুটিখুটিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ নয়তো আমার ভুল হয়তো আমার কোন দিন চোখেই পড়তো না । আপনার জন্য ধরা পরলো আর ঠিক হল ।

ভাল থাকুন সব সময় !

১১| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫১

শায়মা বলেছেন: আহারে কমলারাণী! :(


ভাইয়া রামসাগর বা যে কোনো সুন্দর বড় ঐতিহাসিক দিঘীগুলির সব গল্পই প্রায় একই রকম।


এই দিঘী তো কমলারাণীর মতই সুন্দর!

১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২২

অপু তানভীর বলেছেন: সত্যিই তাই । সব বড় আর পুরাতন পুকুর নিয়ে এই সকম কাহিনী প্রচলিত রয়েছে । আামর তো রাজার জন্য মন খারাপ বেশি লাগছে । বেচারা রানীর প্রেমে কেমন পাগল হয়ে আছে ! আমি যেমন একজনের জন্য আছি । রাজার দুঃখ তাই বেশি বুঝতে পারছি ! 8-|

১২| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩০

শায়মা বলেছেন: আহালে আর রাণী গাধী যে ভালোবেসে জীবন দিয়ে দিলো। তার জন্য মন খারাপ হলো না!!!!!!!!!!!!!!! X(

১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪১

অপু তানভীর বলেছেন: রানী তো জীবন দিয়েছে প্রজাদের জন্য । রাজার জন্য তো না । রাজা দেখো ভালোবেসে আর বিয়েই করলো না । চাইলেই তো পারতো কত গুলো বিয়ে করতে কিন্তু ভালোবাসাটা দেখো !

১৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪৪

শায়মা বলেছেন: বিয়ে করে কি মরবে!!!!!!!!

প্রজারাই পিটিয়ে মারবে না!!!!!!!

বলবে বদমাইশ রাজা, আমাদের জন্য তোর কথায় জীবন দিলো রাণী!!!!! আর এখন তুই একটা না দুইটা না বিয়ে করিস আবার কত্ত গুলাও!!!!!!!!!!!! X((











:P

১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫২

অপু তানভীর বলেছেন: অবশ্য এটাও একটা কথা ।
তবে রাজার ব্যাপারটা একটু খেয়াল করে দেখো । বেচারা কতই না কষ্ট করে জীবন পার করেছে একা একা !
আহা !

১৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৫

শায়মা বলেছেন: দুই জনের জন্যই আমার কষ্ট লাগতে হবে। :)

১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১২

অপু তানভীর বলেছেন: রাজার জন্য একটু বেশি কষ্ট । আর তুমি তো জানো সুন্দরী কন্যাদের জন্য আমি সব সময় অন্তর থেকে কষ্ট অনুভব করি ।

১৫| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



প্রতি মন্তব্যের নোটিশ পেয়ে শায়মার সাথে
আপনাদের কথোপকথন দেখে হাসতে
হাসতে শেষ :)

১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫৭

অপু তানভীর বলেছেন: আপনে বলেন আমার যুক্তি ঠিক আছে কিনা ? রাজার জন্য কি বেশি দুঃখিত হওয়া উচিৎ না?

১৬| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



বড়ই মুশকিলে ফেললেন
বলেন কোন দিকে যা্‌ই, আমিউ যেএকজন রাজাই
তা্‌ইতো রবিঠাকুর লিখেছেন-
আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে---
নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে?।
আমরা যা খুশি তাই করি, তবু তাঁর খুশিতেই চরি,
আমরা নই বাঁধা নই দাসের রাজার ত্রাসের দাসত্বে---
নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে?।
রাজা সবারে দেন মান, সে মান আপনি ফিরে পান,
মোদের খাটো ক'রে রাখে নি কেউ কোনো অসত্যে---
নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে?
আমরা চলব আপন মতে, শেষে মিলব তাঁরি পথে,
মোরা মরব না কেউ বিফলতার বিষম আবর্তে---
নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে?।


রাজার জন্য দু:খ্ই লাগে
রানীতো পানিতে ডুবে
মরে গিয়েও পুজার নৈবর্ত
পাচ্ছেন ভাল মতেই ।
একাল সেকালের কবিগন রানীরই
প্রসস্তি গাচ্ছেন উচ্চ স্বরে ।
রাজার কথা উঠে আসছে
তার নরকপ্রাপ্ত পুর্বপুরুষদের
নামের সাথে । এহেন কালে
রাজাকেই করে তুলতে হবে
মহান করে , রানীর স্তুতিগান
গাওয়া হচ্ছে বিশ্ব চরাচরে,
সেই দিঘির নামটিউ কমলার
নামে, তার পতিধনের নামটি
জানতে হলে বাটি চালান
দিতে হয় গুগলের অন্তর্জালে।
তাই মহামুনী বাল্মিকীর মত
কোন মানবিকে মহান করে
না তুলে নরপতি স্বামীকেও
না হয় মহিয়ান করে তুলি
এক সাথে । দিঘিটির
রানীর নামের সাথে রাজা
তথা জানকিনাথ মল্লিকের
নামটি জুড়ে দিয়ে দিঘির
নামটি রাখা হোক
জানকি-কমলা রানী দিঘি
রাজা-রানী গলাগলি করে
শুয়ে থাক সুপেয় পানির
জলাধার হয়ে আবহমান
চীর সবুজ বাংলার বুকে,
স্মরিব তাদের দুজনকেই
সমানতালে, রাজা তার
দীর্ঘ দুঃখ যাবে ভুলে।



১৬ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৮

অপু তানভীর বলেছেন: যাক শেস পর্যন্ত আপনিও আমার দলেই এসে হাজির হলেন । সত্যিই রানী তো ডুবে গিয়ে শান্তিতেই আছে কিন্তু রাজা বেচারা বেঁচে থেকে দুনিয়ার সব কষ্ট একা একা ভোগ করছে । এই কষ্টটা আসলে কেউ দেখলো না । সবাই কেবল রানীর আত্মত্যাগ দেখলো । রাজা যে দিনের পর দিন রাতের পর রাত কত বিনিন্দ্রা রজনী পার করলো সেটা কারো চোখেই পড়লো না । যুগে যুগে এভাই অবহেলার স্বীকার হয়েছে পুরুষ । হায় আমার অভাগা পুরুষ হায় অভাগা রাজা !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.