| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 
ছবি প্রথম আলো
আগে একটা সময়ে সাত মসজিদ রোড দিয়ে আমার নিয়মিত চলাচল ছিল । সাত মসজিদ হয়ে ঝিগাতলা সিটিকলেজ এই রাস্তা যাতায়াত ছিল প্রতিদিন । এই রাস্তার মাঝখানে ডিভাইডারের উপরে বেশ কিছু গাছ ছিল গাছ গুলো ছিল বেশ বড় বড় । সব থেকে উল্লেখযোগ্য গাছ ছিল কৃষ্ণচুড়া গাছ । ফুল ফোটার সময় এলেই এই রাস্তাটা বড় মনরোম মনে হত । 
তারপর আমার যাওয়ার রুট পরিবর্তন হল । এখন সাতাস নম্বর পর্যন্তই যাই । আর এই রাস্তায় যাওয়া হয় না বললেই চলে । মাঝে মাঝে যাওয়া হত । অনেক দিন বাদে এই মাসের এক তারিখে পনের নম্বরে যাওয়া হয়েছিলো । যাওয়ার সময় রিক্সায় ছিলাম । বন্ধুর সাথে গল্প করতে অন্য দিকে খেয়াল করি নি খুব একটা । ফেরার সময়ে ব্যাপারটা খেয়াল করলাম । এই রাস্তায় কোন গাছ নেই । কত গাছ এখানে ছিল মাঝের ডিভাইডারে সব গায়েব হয়ে গেছে । নতুন করে ডিভাইডার বসানো হচ্ছে । তাই সব বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হয়েছে । আবহানী মাঠের কাছ বেশ কয়েকটা গাছ কেটে ফেলার অবস্থায় রয়েছে । পরের গাছ গুলো কাটা হবে ! ফেসবুকে দেখলাম বেশ প্রতিবাদ । সবাই গাছ কাটতে বাঁধা দিচ্ছে বটে তবে সেটাতে খুব একটা কাজ হয় নি । রাতের আধারে সকল গাছ কাটা শেষ হয়েছে । 
দুদিন আগে ২৭ নম্বর দিয়ে মিরপুর রোডে যাওয়ার সময়ে দেখলাম সেখানে ডিভাইভাইডার ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে । সেখানে থাকা গাছ গুলো সব কেটে ফেলা শুরু করেছে । আশা করি কয়েক দিনের ভেতরে মিরপুর রোডের সব গাছ গুলোও কেটে সাফ করে ফেলা হবে !
রাস্তার মাঝে নতুন করে ডিভাইডার লাগানোর কী এমন দরকার পড়লো ! রাস্তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি কি আসলেই খুব বেশি জরুরী যে গাছ কেটে ফেতে হবে? এমন কিন্তু না যে ডিভাইডার গুলো ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । দিব্যি ভাল রয়েছে সেগুলো । আর যদিও নতুন করে ডিভাইডার  যদি বানাতেই হয় তাহলে গাছ গুলোকে রেখে কি সেটা বানানো একেবারেই অসম্ভব কাজ ? সেগুলো বাঁচিয়ে কি নতুন করে ডিভাইডার বানানো যেত না?  
আমি গতকাল সাইকেল নিয়ে সাতমসজিদ রোডটা ঘুরে এলাম । কেবল ন্যাড়া করে ফেলেছে পুরো রাস্তাটা । উন্নয়নের জন্য এভাবে গাছ কেটে ছাফ করে কেবল বুঝি এই দেশেই হয় । 
পরিবেশ বাদী সংগঠন, এলাকাবাসী মিলে এই গাচ হত্যা করা ঠেকাতে চেয়েছে কিন্তু কোন কাজ হয় নি । 
জানি এখানে এই পোস্ট লিখে আসলে কোন লাভই হবে না । কেবল মন খারাপ লাগলো, তরতাজা গাছ গুলোকে এভাবে কেটে ফেলতে দেখে ! 
ডেইলি স্টারের নিউজ
 
১০ ই মে, ২০২৩  রাত ১০:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: সেখানেই দেখিবে গাছে সেখানই এটা কাটাকাটি চালু করে দিবে ।
২| 
০৯ ই মে, ২০২৩  দুপুর ২:৫৪
নতুন বলেছেন: সরকারী মালামাল কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি অনেক বড় ব্যবসা। 
ঠিকাদারেরাও টাকা পায়, অফিসারেরও ভাগ পায়।  ![]()
 
১০ ই মে, ২০২৩  রাত ১০:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: জন্ম থেকে এই কাজই দেখছি ।
৩| 
০৯ ই মে, ২০২৩  দুপুর ২:৫৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে পরিচিতি ছিল বটের তল। যে কাউরে বলতাম বা বলা হয় বটের তলে দাঁড়াও। কুরিয়ার অথবা অনলাইনে  পন্য আনলে সার্ভিসের লোকরে বলতাম বটের তলে আসেন। আজ মেট্রোরেলের জন্য এত পুরাতন বট গাছ কেটে, উপড়ে ফেলা হচ্ছে। মতিঝিলের এই পাশটা কেমন যেন খাঁ খাঁ বিরানভূমি বানায় ফেলছে। অজস্র গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।  এত কষ্ট লাগে দেখলে।
ফেসবুকে এই স্ট্যাটাস টা দিয়ে এসে দেখি আপনার পোস্ট ![]()
 
১০ ই মে, ২০২৩  রাত ১০:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন: প্রতিটা স্থানে এই উন্নয়ন সৌন্দর্য্য বর্ধনের নামে এই ধ্বংসজজ্ঞ চলছে । কবে শেষ হবে কে জানে । গরম তো আর এমনি এমনি পড়ছে না ।
৪| 
০৯ ই মে, ২০২৩  বিকাল ৩:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: উন্নয়নে করতে গেলে, গাছ কেন কেটে ফেলতে হয়? আপনি মনে হয় দুধের বাচ্চা, কিছুই বোঝেন না। এই উন্নয়ন দেশ বা এলাকার উন্নয়ন না। এটা ক্ষমতাধরদের পকেটের উন্নয়ন। এই দুই উন্নয়নই জরুরী। পকেটের উন্নয়ন না হলে উনারা দেশ উদ্ধারের জোশ-জজবা কোথা থেকে পাবে? আমাদের স্বার্থের জন্য উনাদের পকেটের উন্নয়ন নিঃস্বার্থভাবে ঘটাতে হবে। 
এই যে, ডিভাইডার ভাঙ্গা-গড়ার খেলা, গাছ কাটা, আবার কিছু দূর্বল গাছ লাগানো, আবার সেগুলো সরিয়ে ফুলের গাছ লাগানো.......এই সবই ওই উন্নয়নের স্বার্থে।
দেশটাকে লুটে পুটে খাওয়ার যেই সিন্ডিকেট, এর গোড়া অত্যন্ত শক্ত। টপ টু বটম সবাই এটার বেনিফিসিয়ারী। আর আপনারা যারা এই উন্নয়নের বিরুদ্ধাচারণ করবেন, সবাই রাজাকার। আপনাদের পাকিস্তানে চলে যাওয়াই ভালো।
 
১০ ই মে, ২০২৩  রাত ১০:৪৭
অপু তানভীর বলেছেন: এই অবস্থা আমাদের এলাকাতেই দেখতে পাচ্ছি । এখানে ডিভাইডারের মাঝে আগে বড় বড় ভাল গাছ ছিল । সেগুলো কেটে নতুন গাছ লাগিয়ে যার চার ভাগের তিন ভাগ এরই ভেতরে শুকিয়ে গেছে । আবার নিশ্চিত নতুন করে গাছ লাগাবে । নতুন প্রজেক্ট নতুন টেন্ডার নতুন টাকা এসে হাজি ! 
এই ভাবেই উন্নয়ন চলছে দিনের পর দিন । আমরা দেখেই যাচ্ছি ।
পাকিস্তান না গিয়ে ইউরোপ আম্রিকা যাওয়ার একটা উপায় থাকলে কাম হত !
৫| 
০৯ ই মে, ২০২৩  বিকাল ৩:৩৩
শাওন আহমাদ বলেছেন: গাছপালা ধ্বংস করে স্থাপনা সুন্দর করার পক্ষে আমি নোই। বরং আমি তাদের পক্ষে যারা গাছপালা বাঁচিয়ে স্থাপনা কে সুন্দর করে তুলে।আমরা মানুষেরা অতিমাত্রায় নিষ্ঠুর। যে গাছের ছায়ায় বসি ,যে গাছের ফল খাই সেই গাছেরই পাতা ছিঁড়ি, ডাল ভেঙ্গে নিয়ে যাই।
 
১০ ই মে, ২০২৩  রাত ১০:৫১
অপু তানভীর বলেছেন: কিন্তু সেই কাজ চলছে পুরো দমে । গাছ কেটে সৌন্দর্য্য বর্ধন চলছে ।
৬| 
০৯ ই মে, ২০২৩  বিকাল ৫:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: আত্ম-ধ্বংসকারী এক ভয়ংকর জাতি আমরা।
 
১০ ই মে, ২০২৩  রাত ১০:৫২
অপু তানভীর বলেছেন: নিজের ভাল পাগলেও বোঝে । কিন্তু আমরা তো আর পাগল নই । তাই বুঝি না আর কি !
৭| 
০৯ ই মে, ২০২৩  বিকাল ৫:৫৪
সুনীল সমুদ্র বলেছেন: ঢাকার রাস্তায় শুধু যে ভালো ডিভাইডার ভেঙে আবার নতুন করে ডিভাইডার তৈরি করা হয় তাই নয়, অনেক ক্ষেত্রেই দেখেছি একেবারে ভালো ফুটপাথ ভেঙ্গেও একটু ভিন্ন ডিজাইনের নতুন ফুটপাথ তৈরি করতে ! .... অথচ পুরনো ঢাকায় বা এ শহরের অন্য অনেক জায়গা আছে যেখানে দিনের পর দিন ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে অনেক কষ্টে মানুষ পার হচ্ছে, কিন্তু রাস্তা গুলো মেরামত করা হচ্ছে না !
 
১০ ই মে, ২০২৩  রাত ১০:৫৯
অপু তানভীর বলেছেন: একই রাস্তা ফুটপাত কতবার যে বানানো হয় আর ভাঙ্গা হয় তার কোন ঠিক নেই । যতবার ভাঙ্গা হবে ততবার টাকা খরচ হবে । তত পকেট ভারি হবে । এটাই হচ্ছে মূলমন্ত্র ।
৮| 
০৯ ই মে, ২০২৩  সন্ধ্যা  ৬:৩৯
আমি সাজিদ বলেছেন: আমাদের এইদিকে দিনে দশ বারের বেশী লোড শেডিং হচ্ছে। ঢাকায় কি অবস্থা? গরম বাড়ছেই তো বাড়ছেই। ঢাকা উত্তরের মেয়রকে যথেষ্ট ভদ্রলোক, উনি বলেছেন অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না। উত্তরে কিছুটা বনায়ন দেখে এসেছি। দক্ষিণের এই হাল কেন? যে আসে সেই এলোমেলো।
 
১০ ই মে, ২০২৩  রাত ১১:০৪
অপু তানভীর বলেছেন: ঢাকাতে আমি যে এলাকাতে থাকি সেই এলাকাতে এখনও বেশ ভাল অবস্থা । বিদ্যুতের পরিমান ভাল । যখন গতবছর খুব লোডশেডিং হচ্ছিলো তখনও এখানে অনেক কমই গেছে । 
অবস্থা সামনে আরো খারাপ হবে । ভাল হবে না ।
৯| 
০৯ ই মে, ২০২৩  সন্ধ্যা  ৬:৪৫
কামাল১৮ বলেছেন: ভুল পরিকল্পনার জন্য।মাথা ব্যথা,মাথাই কেটে ফেলো।ঢাকায় অনেক মসজিদ রক্ষা করে রাস্তা বানানো হয় কিন্তু গাছ রক্ষার কোন চেষ্টাই করে না।
 
১০ ই মে, ২০২৩  রাত ১১:০৯
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার ধর্ম নিয়ে চুলকানি আর গেল না !
১০| 
০৯ ই মে, ২০২৩  রাত ৮:৩৮
ইলুসন বলেছেন: ঢাকার প্রতিটি ডিভাইডারের মাঝে গাছ লাগানো দরকার। যদি খুব বেশি জায়গা না থাকে তো গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ লাগাতে হবে। মানুষের বারান্দার টবে যদি গাছ লাগানো যায় তো রাস্তার ডিভাইডারগুলো ফাঁকা পড়ে থাকবে কেন? যেসব জায়গাতে আগে থেকেই বড় কোন গাছ আছে, সেখানে কোন পরিকল্পনা করতে গেলে গাছ রেখেই পরিকল্পনা করতে হবে। এছাড়া প্রতিটি ফ্লাইওভারের নিচে ময়লা আবর্জনা দিয়ে ভর্তি, এসব জায়গাতে সুন্দর সুন্দর ফুলগাছ লাগালে পরিবেশও সুন্দর হবে, আমাদের অক্সিজেনের অভাবও পূরণ হবে।
 
১০ ই মে, ২০২৩  রাত ১১:০৮
অপু তানভীর বলেছেন: কিন্তু জলজ্যান্ত বড় বড় গাছ গুলো কেটে ফেলার কোন মানে আছে কি ! 
সেই ভয়ংকর কাজই হচ্ছে ।
১১| 
০৯ ই মে, ২০২৩  রাত ৯:০৮
শায়মা বলেছেন: গাছ মনে সাধারণ মানুষের বাড়িতে বারান্দায় টবে ছাদেই লাগাতে হবে!!! 
 
এক টুকরো জমিতেও আর গাছ দেখা যাবে না একটা সময়! ![]()
 
১০ ই মে, ২০২৩  রাত ১১:১০
অপু তানভীর বলেছেন: সামনে সত্যিই এমনই হতে চলেছে । ঢাকা শহরের যা অবস্থা সামনের বছর গুলো গাছ কেবল টবেই দেখা যাবে।
১২| 
১০ ই মে, ২০২৩  রাত ১২:৩৭
স্প্যানকড বলেছেন: বাজে অভ্যাস! অবশ্য দেশের নেতাদের অবস্থা যা তাতে বলা যায় মাথা মোটা গোড়া হ্যাংলা ! ভালো থাকবেন খুব।
 
১০ ই মে, ২০২৩  রাত ১১:১১
অপু তানভীর বলেছেন: এই অভ্যাস আমাদের কর্তৃপক্ষের লোকজন রপ্ত করেছে ।
১৩| 
১০ ই মে, ২০২৩  সকাল ১১:৫২
কিরকুট বলেছেন: মানুষ কাটলে জেল ফাঁস হতে পারে তাই কাটে না । সুযুগ থাকলে গাছ বাদ দিয়া মানুষ কাটতো ।
 
১০ ই মে, ২০২৩  রাত ১১:১২
অপু তানভীর বলেছেন: সেইটাও যে কাটে তা তো নয় । সেই সব গুলোর বিচার কি হয়?
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মে, ২০২৩  দুপুর ২:৪৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- গাছ কাটায় সরকারী লোকজন এক্সপার্ট।