নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঢাকাতে সেই ২০১১ সাল থেকে আমি একটি পরিবারের সাথেই রয়েছি । এর মাঝে তারা চারবার বাসা বদলেছে, আমিও তাদের সাথে সাথেই বাসা বদল করেছি । আমার জন্য ফ্লাটে একটা রুম বরাদ্দ থাকতো। পরিবারটি হিন্দু তবে আমার তাদের বসবাসে কখনও সমস্যা হয় নি । আমাদের মাঝে ধর্ম কোন দিন আসে নি ।
পরিবারের মোট চারজন সদস্য । আমি সহ পাঁচ জন । তাদের দুই ছেলে । সময় আর সকাল । নাম গুলো চমৎকার না ?
আমি যখন প্রথম সাবলেট নিয়ে থাকতে আসি তখন সময় স্কুলে পড়তো । অন্য দিকে সকাল আমার চোখের সামনেই হয়েছে । আমার মনে আছে যেদিন সকালের দাদা দাদিকে আমিও হসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম । এবং স্ট্যান্ডবাই রক্তদাতা হিসাবে আমি ছিলাম । দীর্ঘ ১৩ বছর আমি এই পরিবারটির সাথেই রয়েছি ।
আজকে সময় পড়তে দেশের বাইরে চলে গেল । এই যে রাত এগারোটার সময় তার ফ্ল্যাইট ছিল । দিদিদের অনেক আত্মীয় স্বজন আছে ঢাকার আশে পাশেই । গতকাল রাত থেকেই বাড়ি ভর্তি মানুষ জন । চিৎকার চেঁচামিচি চলছেই । অথচ এখন একেবারে শান্ত সব । একটু আগে সবাই বাসায় ফিরে এসেছে । অথচ কারো মুখ কোন কথা নেই ।
প্রতিদিন আমি যখন রাতে বাসায় আসি তখন বাড়িতে মোটামুটি একটা হইচই লেগেই থাকে । বিশেষ করে ছোট সকাল সব সময় চিৎকার চেঁচামিচি করতেই থাকে । অথচ আজকে সেও নিশ্চুপ । তার দাদা চলে গেছে ।
সকালের ঠিক বিপরীত তার বড় ভাই। আমার সাথে মিল । বাসায় থাকলে আমরা কেউ টেরই পাই না অন্যজন বাসায় রয়েছি । নম্র ভদ্র শান্ত স্বভাবের । দেশ ছেড়ে দুর দেশে চলে যে গেল ছেলে টা একা একা । সেই ছোট স্কুলে পড়া ছেলেটা এখন প্লেটে উঠে চলে গেছে জার্মানির পথে সম্ভবত । মাঝে ট্রান্সজিট হবে সম্ভবত !
আমার মনে আছে আমি যখন স্কুলে পড়ি আমার বড় ভাই গিয়েছিলো দেশের বাইরে । সেই সময়ে আমাদের বাসায় কান্নাকাটির রোল যেন পরেছিলো । বিশেষ করে আমার বাবা আর মা ।
আমি জানি না সময়ের মায়ের মনের অবস্থা এখন কেমন ! আসলে সেটা আমার পক্ষে অনুমান করাও সম্ভব না । যদিও আমি সব সময় দেখে এসেছি সে সব সময় বকাবকিই করে চলে তবে এটাও ঠিকই জানি যে মায়ের মনের ভেতরে এই বকাবকির আড়ালে রয়েছে মায়াময় একটা চেহারা !
সময়ের সাথে যাওয়ার সময়ে আমার দেখা হয় নি । দুপুরের দিকে আজকে আমি বের হয়েছিলাম । বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত হল । বাসায় এসে দেখি সব ফাঁকা । মানে সবাই এয়ারপোর্ট চলে গেছে ।
সম্ভবত আর সময়ের সাথে দেখা হবে না । এখন যেহেতু গিয়েছে দুই বছরের আগে আর দেশে আসবে না । আর আমি দুই বছর ঢাকাতে থাকবো কিনা সেটার ব্যাপারে কোন নিশ্চয়তা নেই ।
১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৩
অপু তানভীর বলেছেন: হ্যা সে তো কষ্ট পাবেই । আসলে সকালের বাবা মা দুজনেই চাকরি করে । দিনের পুরোটা সময়ই থাকে বাইরে । স্কুলের পরে তার ভাইয়ের সাথেই সে থাকতো এতোদিন । এখন সেই পথ বন্ধ হয়ে গেল ।
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
সময়ের সাথে ভিডিও কলে কানেক্ট থাকবেন।
১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৩
অপু তানভীর বলেছেন: নাহ । ভিডিও কলে কথা বলব না ।
৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৭
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এবার বুঝলাম আপনি কেন হুমায়ূন আহমেদকে এত্ত পছন্দ করেন !!
১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৪
অপু তানভীর বলেছেন: আমি তো অনেক আগে থেকেই তার লেখা পছন্দ করি । যদিও এই লেখা থেকে কিভাবে সেটা বুঝলেন সেটা আমি বুঝলাম না।
৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৫
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনি কি গ্রামে ফিরে যাওয়ার জন্য মনস্থির করেছেন ? নাকি অন্য কোথাও ।
১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৬
অপু তানভীর বলেছেন: হ্যা কিছুটা এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে । এতোদিন গ্রামে বড় ভাই ছিল আমার কোন টেনশন ছিল না তাদের নিয়ে । তবে সামনে বড় ভাই দেশের বাইরে যাওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে । সেই হিসাবে বাসায় কেউ থাকবে না ।
৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: এখন অনেকটা সহজ হয়ে গেছে কষ্ট ছিল আসলে আমাদের সময়ে ! বহু চেষ্টা করে রাশিয়া থেকে এক মাসেও একটা কল করতে পারিনি- কোনমতে লাইন পেলে ঘ্যাস ঘ্যাস খ্যাস খ্যাস করত কোন কথাই শোনা যেত না বেশিরভাগ সময়। আর একটা চিঠি আসছে যেতে প্রায় তিন মাস সময় লাগতো বুঝুন কি ভয়াবহ অবস্থায় ছিল তখন কান্নাকাটি হতে সেই সময় কেউ বিদেশে বা দেশে মরে গেলে সে খবর পেতে ওদের দুই মাস সময় লাগত!
আমি আমার ছেলের কথা ভাবছি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ও কয়েক বছর বাদে জার্মানি যেতে চাচ্ছে উচ্চ শিক্ষার্থে। ও যাওয়ার পরে কেমন লাগবে সেই কথা চিন্তা করে এখনই অস্থির লাগছে।
১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: আসলে যখন চলে যাবে সেই সময়ের অনুভূতি শত চেষ্টা করেও আপনি এখন অনুভূত করতে পারবেন না । বাবা হিসাবে সেটা তখনই বুঝতে পারবেন যখন সেটা আপনি নিজে অনুভব করতে পারবেন কেবল । কিছু অনুভূতি কখনই আগে থেকে বোঝার উপায় নেই ।
হ্যা এখন অনেক সুবিধা আছে সত্যি । চাইলেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে, ফোন করা ভিডিও কলে দেখা সহজ কিন্তু তারপরেও সেই দুরে চলে যাওয়ার অনুভূতি কিন্তু সেই একই রকম আছে ! প্রিয় জনের দুরে চলে যাওয়ার কষ্টে কোন কমতি আসে নি ।
৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেখা হবে না কেন। অবশ্যই দেখা হবে। পৃথিবী এখন ছোট হয়ে গেছে। যোগাযোগ খুব সহজ। তবে সামনা সামনি দেখা কমে যেতে পারে।
১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮
অপু তানভীর বলেছেন: ভিডিও কলে আমি খুব কম কথা বলি মানুষের সাথে । এমন কি বাড়িতেও কেবল ফোনেই কথা হয় ভিডিও কলে না । আমি আসলে সরাসরি দেখা করার কথা বলেছি।
৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৭
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ জনপ্রিয় কেন জানেন ?
কিছু মধ্যবিত্ত পরিবার তাদের খুনসুঁটি আর দুঃখ তুলে আনবার জন্য । যারা অন্য পরিবারের সাথে খুব বেশি সৌহার্দ্যপূর্ণ হয়ে যায় তারাই সবচেয়ে বেশি হুমায়ূনকে পছন্দ করে । আপনিও তাই , একটা পরিবারের সাথে আপনি মিশে গেছেন । আপনি কী খেয়াল করেছেন হুমায়ূনের প্রায় রচনাতে আপনার মত চরিত্র পাওয়া যায় !!
হুমায়ূন আমার পছন্দ না । এক সময় হিমু ছিলাম বলে হিমু পড়তাম । আমার কাছে হিমু ছিল সাইকেডেলিক রহস্যের আঁধার । তাই পড়তাম ও সেইভাবে চলতাম । এই বাদে কিছুই না ।
১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬
অপু তানভীর বলেছেন: উহু ঠিক হল না । আমি যখন থেকে এই পরিবারের সাথে থাকা শুরু করেছি ততদিনে হুমায়ুন আহমেদের সব কিছু আমার পড়া শেষ । সেই হিসাবে তার লেখা পছন্দ শুরু হয়েছে এখানে আসার আগেই । দুটো ঘটনা একে অন্যের সাথে সম্পর্কহীন।
৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩১
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনি বোঝেননি ।
যারা অন্য পরিবারের সাথে খুব বেশি সৌহার্দ্যপূর্ণ হয়ে যায় তারাই সবচেয়ে বেশি হুমায়ূনকে পছন্দ করে
মানে যারা এমন মিশতে পারে তাদের কাছেই হুমায়ুন আহমেদ খুব প্রিয় !
আপনার মত চরিত্র যে পাওয়া যায় না এটা তো অস্বীকার করতে পারবেন না !
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৭
অপু তানভীর বলেছেন: এটাও অবশ্য খুব একটা খাটে না । আমি অনেক দিন এই পরিবারের সাথে রয়েছি । এই কারণেই এদের সাথে এমন একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছে । এটা ছাড়া আর কারো বা অন্য কোন পরিবারের সাথে অবশ্য আমার এই সম্পর্ক নেই । মানুষের সাথে আমি কম মিশি । এড়িয়ে চলি বেশি ।
৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০২
শায়মা বলেছেন: আমার মনে হচ্ছে তোমার সাথে তার আবার দেখা হবে।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৮
অপু তানভীর বলেছেন: হ্যা হতে পারে যদি সে ছুটিতে দেশে আসে । তবে সেটা সম্ভবত কম । বছর দুইয়ের ভেতরে সে দেশে আসবে না যতদুর জানি । আর আমার বছর দুইয়েক ঢাকাতে থাকবো কিনা সেটা নিশ্চিত নয় !
১০| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭
শাওন আহমাদ বলেছেন: মন ভালো করা মতো লেখা।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৯
অপু তানভীর বলেছেন: তবে একটু মন খারাপের ঘটনা । প্রায়ই আমাদের মন খারাপের ঘটনা গুলো নেয়া লেখা মানুষের মনে দাগ রেখে যায় ।
১১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০২
করুণাধারা বলেছেন: পৃথিবীটা গোল। তাই মনে হয় একসময় আবার দেখা হবে।
দেখা নাও হতে পারে আর কোনদিন... এভাবেই জীবন থেকে প্রতিদিনের পরিচিত অনেক মানুষ হারিয়ে যায়!!
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪০
অপু তানভীর বলেছেন: সেটাও একটা কথা । হয়তো কোন না কোন ভাবে দেখা হয়ে যাবে।
১২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার পোস্ট! ছোট্ট, কিন্তু গভীর আবেগ জড়িয়ে আছে কিছু কিছু বাক্যে। যেমন, মায়ের বকাবকির আড়ালে মায়াময় একটি অবয়ব গোপনে লুকিয়ে থাকা। "বাসায় এসে দেখি সব ফাঁকা" - এটাও সেরকমই একটা বাক্য।
স্ট্যান্ডবাই রক্তদাতা হিসেবে দাঁঁড়িয়ে থাকার কথাটাও ভালো লেগেছে। এ সু-অভ্যাসটির চর্চা যতদিন পারেন, চালিয়ে যাবেন।
শিরোনাম দেখে ভেবেছিলাম সময় নিয়ে হয়তো কিছু লিখেছেন। পোস্ট পড়ে দুই ভাই এর নাম দুটো ভালো লাগল। মিরোরডডল ঠিকই বলেছেনঃ সময়ের চলে যাওয়া সবচেয়ে বেশি মিস করবে সকাল।
ও যাওয়ার পরে কেমন লাগবে সেই কথা চিন্তা করে এখনই অস্থির লাগছে। - @শেরজা তপন, মন মোচড়াবে থেকে থেকে, সময়ে সময়ে। আর যখন নাতি-নাতনিরা যাবে, মোচড়টা কলজে নিঙরে দেবে, একেবারে নিঃস্ব করে দিয়ে যাবে। একজন বাবা ও দাদা হিসেবে আমি এ ব্যথাগুলো সহ্য করি, করে চলেছি।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৪
অপু তানভীর বলেছেন: আসলে আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই এমন কত গল্প রয়েছে । আমরা অনেকেই সেগুলো হয়তো প্রকাশ করি না । এগুলো আসলে আমাদের প্রতিদিনকার ঘটনা । সবার জীবনেই ঘটে ।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৫৯
মিরোরডডল বলেছেন:
হ্যাঁ নাম দুটো ভালো।
মা তো কষ্ট পাবেই, কিন্তু সময়ের চলে যাওয়া সবচেয়ে বেশি মিস করবে সকাল।