নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রায় ৪৩ বছর পার হয়ে গেছে । এর মধ্যে আমরা অনেক কিছু অর্জন ও করেছি আবার হারিয়েও ফেলেছি । ইতিহাস হয়ে গেছে অনেক কিছু । তেমন ই একটি ইতিহাস শোনাচ্ছি ।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র যা এখন বাংলাদেশ বেতার নামে পরিচিত । মুক্তিযুব্ধ শুরু হওয়ার পরে পাকিস্তানি শাসকরা বেতার কেন্দ্র দখল করে নেয় এবং নানা প্রকার ভুল সংবাদ তুলে ধরে । ঠিক তখন ই বেলাল আহমেদ এবং তার সাথে আর কয়েক জন চট্টগ্রামের কালুরঘাটে " স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার " এই নামে রেডিও চালু করে । পাকিস্তানি শাকরা প্রচার করত বাংলাদেশের কোথাও কোন সমস্যা নেই । আর বিপ্লবী বেতার থেকে প্রচার হত যা পাকিস্তানি শাকরা করছে তার ঘটনা । স্বাধীনতা ঘোষনা হয়ে যাওয়ার পর বিপ্লবী এটির নাম স্বাধীন বাংলা বেতার করা হয় । কিন্তু পাকিস্তানি শাসকরা এই কেন্দ্রটি গুড়িয়ে দেয় । কেউ হতাহত হয়নি কিন্তু সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায় । কিন্তু তাই বলে তাদের দমাতে পারেনি । স্বাধীন বাংলা বেতার এর প্রতিটা কর্মী নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করে ।প্রতিষ্ঠাতা দশ জন সদস্য দুটি দলে ভাগ হয়ে আগরতলা আর ত্রিপুরা চলে যান ।
কয়েকজন বেতার কর্মী একটি অক্ষত ট্রান্সমিট মেশিন খুজে পান । সেটা দিয়েই আবার যাত্রা শুরু হয় । কিন্তু সেটাও বেশি দূর এগোতে পারেনি । তারপর তাজউদ্দিন আহমেদ অল ইন্ডিয়া রেডিওর শিলিগুড়ি কেন্দ্র কে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করে ঘোষনা দেন ।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ১০ এপ্রলি মুজিব নগরে সরকার গঠনের পর মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভারত সরকার ৫০ কিলোওয়াটের ট্রান্সমিট প্রদান করে । তারপর থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে কলাকুশলীরা আসতে থাকেন । ঢাকার কেন্দ্র থেকেও আসেন অনেকে ।
২৫ মে এর কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিনে সম্প্রচার শুরু হয় । " জয় বাংলা ,বাংলার জয় " এই গানটি দিয়ে সম্প্রচার শুরু হত । চরমপত্র ,জল্লাদের দরবার ছিল জনপ্রিয় অনুষ্ঠান । এছাড়া আরো অনেক অনুষ্ঠান ছিল যা মুক্তিযোব্ধের যুব্ধ ক্ষেত্রে জয়ের সাহস জুগিয়েছে ।
স্বাধীন বাংলা বেতার
কেন্দ্র আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি কামাল
লোহানী বলেন[তথ্যসূত্র প্রয়োজন], "আমাদের
জন্য বেতার ছিল মনস্ত্বাত্বিক যুদ্ধক্ষেত্র,
যার মাধ্যমে আমরা জনগণের সাহস
বাড়াতে সহায়তা করি"।
এই সব কন্ঠ যোব্ধারা তাদের কন্ঠ দিয়ে যুব্ধ করেছে । তাদের কন্ঠ দিয়ে দিয়েছেন সান্ত্বনা । জুগিয়েছেন জয়ের প্রেরনা । দিয়েছেন লড়াই করারা উতসাহ । তারা হয়ত মাঠে যুব্ধ করেননি । কিন্তু মন যাতে ভেঙ্গে না পরে ,মুক্তিযোব্ধারা যাতে মনবল হারিয়ে না ফেলে সেজন্য তাদের সব সময় জয়ের জন্য অনুপ্রেরনা জুগিয়েছেন ।
আজ আমরা তাদের ভুলে যেতেই বসেছি । তারা হয়ত প্রত্যক্ষভাবে যুব্ধ করেনি কিন্তু পরোক্ষ ভাবে যুব্ধ জয়ে সাহায্য করেছে ।
২১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: এ জন্য সবার আগে নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস জানতে হবে ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৫৩
সালমান মাহফুজ বলেছেন: তারা হয়ত প্রত্যক্ষভাবে যুব্ধ করেনি কিন্তু পরোক্ষ ভাবে যুব্ধ জয়ে সাহায্য করেছে । -- তাঁদের এই পরোক্ষ অবদান নিশ্চয়ই প্রত্যক্ষ অবদানের চেয়ে কম কাজে আসে নি । তাঁদের এই অবদানের যথাযথ মূল্য দিতে হবে ।