নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাগ্রত চৌরঙ্গী ( ১ম পর্ব )

০৭ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

গাজীপুর চৌরাস্তা গাজীপুরের এক প্রান কেন্দ্র বলা যায় । যার এই জায়গাটিকে চেনেন তারা সবাই জানে এইখানে একটি মূর্তি বা ভাস্কর্য রয়েছে । কিন্তু অনেকেই এর পিছনের ঘটনা জানেনা । এই ভাস্কর্যটি কিসের বা কেন এই ভাস্কর্য টি তৈরি হয়েছে । এমন কি অনেক গাজীপুরবাসীই বলতে পারবে না । কেন এটিকে এখানে স্থাপন করা হয়েছে ।


গাজীপুর চৌরাস্তায় যে ভাস্কর্য টি রয়েছে তার নাম " জাগ্রত চৌরঙ্গী " । এটি ১৯৭১ সালের গাজীপুরের সশস্ত্র যুব্ধের স্বরনে নির্মান করা হয় ।
এটির আকার ভিত বা বেদিসহ জাগ্রত চৌরঙ্গীর উচ্চতা ৪২
ফুট ২ ইঞ্চি। ২৪ ফুট ৫ ইঞ্চি ভিত বা বেদির
ওপর মূল ভাস্কর্যের ডান হাতে গ্রেনেড ও
বাঁ হাতে রাইফেল। কংক্রিট, গ্রে সিমেন্ট, হোয়াইট সিমেন্ট ইত্যাদি দিয়ে ঢালাই করে নির্মিত এ ভাস্কর্যটিতে ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৩ নম্বর সেক্টরের ১০০ জন ও ১১ নম্বর সেক্টরের ১০৭ জন শহীদ সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম উৎকীর্ণ করা আছে।
শিল্পী আব্দুর রাজ্জাক যিনি মতিঝিল শাপলা চত্বরের নির্মাতা তিনি এটি নির্মান করেন ।


১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষনের পর পুরোদেশ এ আন্দোলন শুরু হয় । ততকালিন সরকার পূর্ব পাকিস্তানে তাদের সামরিক শক্তি বাড়াতে থাকে । এর একটি অংশ হিসেবে ১৯ মার্চ শুক্রবার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পাচটি ভ্যান জয়দেবপুর সেনা ছাউনিতে পৌছে । তারা ছাউনিতে পৌঁছার পর পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস বাহিনীর একটি দলকে নিরস্ত্র করার চেষ্টা করে। ফলে পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস বাহিনীর সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর
ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। মুহূর্তের মধ্যে এই খবর পুরো গাজীপুরে ছড়িয়ে পরে । বিদ্যুত স্ফুলিঙ্গের মত করে জনগন ঝাপিয়ে পরে সংঘর্ষে । তারা গাজীপুরে ঢোকা বা বের হওয়ার রাস্তা গাছের গুড়ি ফেলে বন্ধ করে দেয় । পাকিস্তানি বাহিনী ছিল ভারী অস্ত্র সস্ত্র সজ্জিত আর অপরদিকে মাত্র তিনটি বন্ধুক দিয়ে গাজীপুরবাসী লড়াই শুরু করে । পাকিস্তানী সৈন্যরা জবাধা প্রাপ্ত হয়ে নির্বিচারে গুলি শুরু করে । এতে করে হুরমত উল্ল্যা(১৪), মনু সহ প্রায় ২০ জন শহীদ হন এবং ১৬ জন আহত হন । কিন্তু পাকিস্তানিরা তা অস্বীকার করে তারা বলে ৩ জন নিহত আর ৫ জন আহত হয় । পৌনে ৪টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত গুলি চলে এবং পরে ৬ টা থেকে সন্ধ্যাকালিন আইন জারি করা হয় ।

এটা বলা যায় যে স্বাধীনতার প্রথম সশস্ত্র আন্দোলন গাজীপুর থেকেই শুরু হয় ।

গাজীপুরের বাসীন্দা হিসেবে গর্ব হচ্ছে যে স্বাধীনতার প্রথম সশস্ত্র যুব্ধ এখানেই শুরু হয়েছিল যা পরবর্তিতে পুরো দেশে ছড়িয়ে পরে । তার ই স্মৃতি এই ভাস্কর্যটি ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.