নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাগ্রত চৌরঙ্গী ( শেষ পর্ব )

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

গাজীপুরের জাগ্রত চৌরঙ্গী ভাস্কর্যটি বাংলাদেশের প্রথম ভাস্কর্য যা মুক্তিযুব্ধের স্মৃতিতে নির্মান করা হয় । এটি মুক্তি যুব্ধের প্রথম সশস্ত্র আন্দোলনের স্মৃতিও জড়িয়ে আছে এতে ।

মুক্তিযুব্ধের পর দেশে অনেক পরিবর্তন হয় । কিন্তু মেজর জেনারেল (অব) আমীন তিনি তখন আহম্মদ চৌধুরী এটি তৈরির উদ্যোগ নেন । তিনি এবং ভাস্কর আব্দুর রাজ্জাক এটি নির্মানে অগ্রামী ভূমিকা পালন করেন । তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন ভাস্কর হামিদুজ্জামান এবং প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এটির নির্মানে এগিয়ে আসেন । এটি আর্ট কলেজ যা বর্তমানে চারুকলা ইনস্টিটিউট এ নির্মান করা হয় ।


ঢাকায় তখন একটি মাত্র ক্রেন ছিল । সেটি দিয়ে উঠিয়ে একে জয়দেবপুর আনা হয় । এতে দুই দিন সময় লাগে । আনার পর দেখা যায় যে হাটুর কাছে একটু ফাটলের মত দেখা যায় তাই আমীন স্যার এর খুতখুত লাগে । তাছাড়া মূর্তিটির এক হাতে মশাল আর এক হাতে বন্দুক ছিল । মশাল ছিল জাসদের প্রতিক তাই সেটাকে জয়দেবপুরের রাজবাড়িতে স্থাপন করা হয় । কারন সবাই ভাবতে পারে আমীন আহম্মদ চৌধুরী জাসদের সাপোর্ট করেন ।


কিন্তু বর্তমানে আমরা যেটি কে দেখি সেটা আমীন স্যার ই তৈরি করিয়েছিলেন এক বছর সময় নিয়ে । তবে শুধু মশালের বদলে গ্রেনেড দিয়ে দিয়েছিলেন । তারপর ১৯৭৩ এটি স্থাপন সম্পন্ন হয় গাজীপুর ,চৌরাস্তায় । আমীন স্যার তখন জয়দেবপুরের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার ছিলেন । তার একার প্রচেষ্টায় আজ জাগ্রত চৌরঙ্গী প্রতিষ্ঠত ।


উদ্বোধন নিয়েও আছে আর এক কাহিনী । এটি স্থাপনের পর কে উদ্বোধন করবে সেটা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা কল্পনা । কে করতে পারে ,কে করতে পারে । আমীন স্যারের ইচ্ছে ছিল বঙ্গবন্ধু উপস্থিতিতে শহীদ হুরমদের মাকে দিয়ে উদ্বোধন করাবেন । কিন্তু প্রভাবশালী অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে । অনেকে আমীন স্যার কে উদ্বোধন করতে বললেন । কিন্তু আমীন স্যার বিনয়ের সাথে না করে দিলেন ।


তাই আজও এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়নি । আমীন স্যার মারা যান ২০১৩ এর ১৯ এপ্রিল । কিন্তু তিনি হয়ত এই কষ্টটা বয়ে বেড়িয়েছিলেন যে আজও স্বাধীনতার প্রথম ভাস্কর্যটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়নি ।


আর আমরা এটার কি অবস্থা করছি তা দেখেই বুঝা যায় । আসলে স্বাধীনতার যত গুলো স্তম্ভ আছে সব গুলোর অবস্থা একই রকম হয় রাজনীতি বিদের পোষ্টার বা সিনেমার পোষ্টার লাগিয়ে এর সম্মানটাই নষ্ট করে ফেলেছে । কারন এর সঠিক ইতিহাস আমরা জানি না ।


ইতিহাসকে জানার চেষ্টা করুন । আর স্বাধীনতার সম্মান করুন ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.