নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক টাইগারের গল্প

১২ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

আজ বাংলাদেশর টাইগাররা পুরো বিশ্ব কাপিয়ে বেড়াছে । আজ তাদের সব দল ই সমিহ করে । কিন্তু এই অর্জন এক দিনে আসেনি । তাদের পূর্বসরী টাইগারাও ছিল অসীম সাহসী । তাদের মধ্যে একজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব ।


ছেলেটা ক্রিকেট ছাড়া কিছুই বুঝত না । ক্রিকেট ই তার ধ্যান জ্ঞান । ঢাকায় তখন কমনওয়েলথ একাদশ খেলতে আসে এক অনাষ্ঠুনিক ম্যাচ । ভেবেছিল চান্স হবে না । কিন্তু ইচ্ছা শক্তি বলে একটা কথা আছে আর ট্যালেন্ট তো ছিল ই । পাকিস্তান টেস্ট টিমে ঢাক পেয়ে যায় ছেলেটি । আনন্দ আর দেখে কে । কিন্তু বাদ সাধে অন্য যায় গায় । টিমের জন্য গ্রে নিকলস ব্যান্ড এর ব্যাট দেয়া হয় সেটিতে আইয়ুব খানের প্রতীক তলোয়ার এর চিহ্ন ছিল । তার মাথায় তো পুরোই গরম হয়ে গেল । কারন তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুস সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায় । সে তো এই ব্যাট দিয়ে খেলবে না । কি করা যায় ।


এ নিয়ে পরামর্শ করে তার বন্ধু শেখ কামালের সঙ্গে হোটেল পূর্বানীতে বসে । তার বন্ধু তাকে পরামর্শ দেয় সে যেন সে তার গান এন্ড মুরের ব্যাটে বাংলাদেশর মানচিত্র আর জয় বাংলা স্টিকার লাগিয়ে খেলতে নামে । যেই ভাবা সেই কাজ রাতেই স্টিকার যোগাড় করা হল এবং তৈরি করা হল ব্যাট । সবাই উত্তেজিত । কারন অল্প কিছু মানুষ ই জানত এই ঘটনা ।


তারপর এল সেই দিন ১৯৭১ এর ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে পাকিস্তানের আজমতের রানার সঙ্গে ওপেনিং এ নামল ছেলেটি । হাতে জয় বাংলার ব্যাট । এক ফটোগ্রাফার খেয়াল করল ব্যাপারটা । সাথে সাথেই ছবি তুলে নিল আর ওদিকে পুরো স্টেডিয়াম খবর হয়ে গেল পাকিস্তানের হয়ে ওপেনিং করছে এক বাঙ্গালি এবং তার হাতে জয় বাংলা স্টিকার এর ব্যাট । পুরো স্টেডিয়াম চিতকার করে উঠল জয় বাংলা !!!!!

আর সেই ছেলেটি ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে গেল । সে দিনের সেই ছেলেটি ছিল আমাদের সবার প্রিয় এবং শ্রব্ধেয় রকিবুল হাসান স্যার । তিনি একাধারে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ,ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ ,আন্তর্জাতিক ম্যাচ রেফারি । সবচেয়ে বড় কথা তিনি বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান যিনি বাংলাদেশের হয়ে প্রতিরোধ গড়েন । যদিও তিনি তার ক্যারিয়ার বেশি দূর নিতে পারেনি । তাকে সে সুযোগ ও দেয়নি পাকিস্তানিরা । বাঙ্গালি বলে অবহেলিত হন ।


ওই দিনের পর সংসদ ভেঙ্গে যায় । আর মার্চের শুরু দিকে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয় । জহির আব্বাসরা পাকিস্তান ফিরে যাচ্ছেন । যাওয়ার আগে যখন হাত মিলিয়ে কথা হয় রকিবুল হাসান স্যারের সাথে " রকিবুল, পরের বার করাচীতেই আবার দেখা হবে । "

তখন স্যার দৃঢ় কন্ঠে বলেছিলেন " অবশ্যই , তবে আমার সঙ্গে তখন নতুন পাসপোর্ট থাকবে । "

স্যার তার কথা রেখে ছিলেন । নয় মাস যুব্ধ করে এনে দিয়ে ছিলেন এক পতাকা এনেছেন নতুন দেশ । নতুন পাসপোর্ট নিয়ে এই ঘরে ফিরেছিলেন ।

স্যালুট স্যার !!!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রকিবুল হাসান অসাধারণ ব্যাটসম্যান ছিলেন বলেই ওরকম পজিশনে যেতে পেরেছিলেন । রকিবুল হাসান সম্পর্কে চমৎকার তথ্য জানা গেল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.