নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা ব্যান্ড এর ইতিকথা (শেষ পর্ব)

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

নোভা বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ব্যান্ড। এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আহমেদ ফজল করিম। ৮০'র দশকের শেষ ভাগে এই ব্যান্ডের আত্মপ্রকাশ। প্রথম অ্যালবামের নাম আহবান। অ্যালবমের আহবান গান টি তখন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। মাদক বিরোধী এই গান সে সময় সরকারের কাছ থেকে বিশেষ পুরস্কার লাভ করে। দ্বিতীয় অ্যালবামে স্থান পায় বেশ কয়েকটি বক্তব্যধর্মী গান। এর মধ্যে একটি ছিল রাজাকারের তালিকা চাই শীর্ষক গান। গান টি পিঙ্ক ফ্লয়েড এর বিখ্যাত গান অ্যানাদার ব্রিক ইন দ্য ওয়াল এর আদলে গাওয়া। এদের তিন টি এলবাম বের হয়েছিল আহবান, রাজাকারের তালিকা চাই, স্কুল পলাতক মেয়ে ।
কিন্তু তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পায় রাজাকারে তালিকা চাই ।
‘রাজাকারের তালিকা চাই’ অ্যালবাম এর শিরোনাম গানের কথা । সেই প্রথম স্বাধীনতার ১৯ বছর পর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম প্রজন্মের কণ্ঠে প্রকাশ্য রাজাকারদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে সারা বাংলাদেশের স্কুল কলেজ এর সকল কিশোর তরুনদের মাঝে ‘রাজাকার’দের ঘৃণা করতে শিখিয়েছিল এই গানটি। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম প্রকাশ্য রাজাকারদের বিরুদ্ধে গানে গানে গর্জে উঠেছিল যে নোভা ও ফজল ভাই। এই গানটি প্রকাশের পরপরই তৎকালীন স্বৈরাচার সরকার বাংলাদেশ টেলিভিশনে নোভা ব্যান্ড কে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে যা ৯১ সালে প্রথম গণতান্ত্রিক সরকার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে নোভা ও ফজল কে সারা বাংলাদেশে প্রকাশ্য গানটি পরিবেশনার অনুমতিও দেয় । এরপর যেখানেই যে কনসার্টে নোভা ছিল সেইখানেই ‘রাজাকারের তালিকা চাই’ গানটি ছিল একটি অবশ্যই পরিবেশনার তালিকায় থাকা গান যা দিয়ে হাজার লক্ষ তরুন তখন গানে গানে রাজাকারদের প্রকাশ্য ঘৃণা জানিয়েছিল বারবার। যে গানটি শুধুই একটি অসামান্য সাহসী গান নয় যে গানটি ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের একটি ছোট্ট ইতিহাস ।


চাইম বাংলাদেশের অন্যতম একটি ব্যান্ড। এটি ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় । আশিকুজ্জামান টুলু, শওকত আলী ইমন এরা প্রথম দিকে এই ব্যান্ডের সদস্য ছিলেন । ব্যান্ডটি ঈগলস, এলটন জন-এর সংগীত দ্বারা প্রভাবিত । ব্যান্ডটির পূর্ব নাম ছিল ফ্রিজিং পয়েন্ট। চাইম (১৯৮৫), চাচির দুঃখ (১৯৮৭), নারী (১৯৯৬), জন্ম (২০০২), কীর্তনখোলা (২০০৫) । ব্যান্ডটির বর্তমান সদস্য হচ্ছে খালিদ (ভোকাল), বাহাদুর (লিড গিটার ), বিপ্লব(ড্রামস), রিয়াজ(কি-বোর্ড), নাদিম(বেজ গিটার), আশিক মোস্তফা(রিদম গিটার) । যদিও ব্যান্ডি তেমন সফল না । কিন্তু ব্যান্ডের ভোকাল খালিদ চান এদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যান্ড মিউজিক ইনিস্টিটিউট গড়ে তুলতে।


বাংলাদেশের ব্যান্ড দল গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো "মাকসুদ ও ঢাকা" । এটি ১৯৯৬ তে প্রতিষ্ঠিত হয় । ফিডব্যাক এর ভোকাল মাকসুদুল হক ফিডব্যাক ছেড়ে এই ব্যান্ড টি প্রতিষ্ঠা করেন । ১৯৯৭ সালে প্রকাশ হয় ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম 'প্রাপ্ত বয়স্কদের নিষিদ্ধ'। ১৯৯৯ সালে মাকসুদ ও ঢাকা ব্যান্ডের সর্বশেষ অ্যালবাম 'ওগো ভালোবাসা' প্রকাশিত হয়। মজার বিষয় হচ্ছে "প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নিষিদ্ধ" এই এলবামটি নিষিদ্ধ হবে বলে ভেবেছিল সবাই । এটি ওই সময়ের জন প্রিয় গান এর একটি ।


বাংলা ব্যান্ড এর সবচেয়ে উজ্জ্বল ব্যান্ড হচ্ছে এল আর বি ।
১৯৯০ সালের ৫ই এপ্রিল এই কিংবদন্তি ব্যান্ডটি যাত্রা শুরু করে। পুরো নাম লাভ রান্‌স ব্লাইন্ড। শুরুতে ব্যান্ডটির নাম রাখা হয়েছিল লিটল রিভার ব্যান্ড। আরো পরে এই নাম টিও পরিবর্তন হয়ে এখন হয়েছে লাভ রান্‌স ব্লাইন্ড। ব্যান্ডটির প্রতিস্ঠাতা আইয়ুব বাচ্চু। ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকে এর যাত্রা শুরু, একটি ডব্‌ল্‌ এলবাম দিয়ে। এল আর বি-র প্রথম এই ডবলস্-টি বের হয়েছিল মাধবী এবং হকার নামে। এটি বাংলাদেশ এর ইতিহাসের প্রথম ডব্‌ল্‌ এলবাম। তাদের জনপ্রিয় এলবাম গুলো হচ্ছে এল আর বি-১ (১৯৯২),এল আর বি-২ (১৯৯২), সুখ (১৯৯৩),তবুও (১৯৯৪), ঘুমন্ত শহরে (১৯৯৫), স্বপ্ন (১৯৯৬), ফেরারি মন (১৯৯৬),আমাদের (১৯৯৮), বিস্ময় (১৯৯৮), মন চাইলে মন পাবে (২০০১), অচেনা জীবন (২০০৩), মনে আছে নাকি নাই (২০০৫), স্পর্শ (২০০৮), যুদ্ধ (২০১২),গ্রেটেস্ট হিটস, কালেকশন অব এল আর বি ।


এবার একটু বর্তমান এ আসি । এখন জন প্রিয় ব্যান্ড দল গুলো মধ্যে আর্টসেল, শিরোনামহীন, অর্থহীন, লালন, চিরকুট, জলের গান, দলছুট,আরবোভাইরাস,নেমেসিস,শুন্য,ব্ল্যাক, ক্রিপটিকফেইট এরা রয়েছে ।

শেষ কথা এই যে বাংলা ব্যান্ড এর এক সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে । যাদের পরিশ্রমে বাংলা ব্যান্ড আজ এই পর্যায়ে এসেছে তাদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

মাহমুদুল হাসান (সুমন)। বলেছেন: যাদের পরিশ্রমে বাংলা ব্যান্ড আজ এই পর্যায়ে এসেছে তাদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ।
++
B-)

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৮

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:

ধন্যবাদ

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

নিনজা টার্টল বলেছেন: পাইরেসি আমাদের ব্যান্ড শিল্পকে ধংস্ব করে দিল!
৩৫ টাকা দামের সেই ক্যাসেটের জন্য টিফিনের টাকা থেকে টাকা বাচাইতাম।
আর এখন :(

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৪

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:

আসলে ই দিন গুলো ছিল সেই.....

৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

হাসান রাজু বলেছেন: আহা !!! ৩৫ টাকা দামের অমুল্য স্মৃতিমালা ।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৫

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:

১০০ এর উপর এ ছিল

আমার কাছে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.