নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহিলা সিট,ঢাকার আতংক সিটিং বাস আর আমার কিছু কথা

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৮

ঘটনা-১
সকালে অফিস এর উদ্দেশ্য যাচ্ছি বাসে করে । এখন ঢাকার অনেক বড় আতংকের নাম সিটিং সার্ভিস । তেমন ই এক সিটিং সার্ভিস এ উঠলাম । যথারীতি লোক উঠছে । আমি বসেছি জানালার সাইডের সিট এ । আমার পাশে এক লোক বসল ব্লেজার পরা এক লোক । তবে দেখে বোঝা যাচ্ছিল এর মধ্যে ঘাপলা আছে । যাই হোক যখন কন্টাক্টর সিটিং ভাড়া চাইল তখন এই লোক বলল, "ওই সিটিং এ সব সিট সমান, মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য যে সিট আছে লেইখা রাখছোস কাল কে মুইছা দিবি" । কথাটা শোনার সাথে সাথে আমার কান গরম হয়ে ছিল । পারলে দিতাম একটা । তারপর নিজেকে সামলে বললাম, " ভাই আপনার মা আছে? বা বোন অথবা বিয়ে করেছেন?" তিনি বললেন, কেন? আমি বললাম না জানতে ইচ্ছে হচ্ছে আপনার মা,বোন বা বউ দাঁড়িয়ে থাকলে তখন আপনার কেমন লাগবে? আপনার মত দুপেয়ের মধ্যে চারপেয়ের বৈশিষ্ট্য বিদ্দমান । লোক টা রেগে বলল কি? আমি চুপ করে গেলাম কারণ মহাপুরুষ আরিফ রায়হান অপু বলেছেন,মুর্খের সাথে তর্ক করে নিজের সম্মানহানি করিও না ।

ঘটনা-২
অফিস থেকে বাসায় ফিরছি । বিকেল বেলা তখন ৪ টা বাজে । কলেজ গেট থেকে এক আপু উঠল । তখন বাসে সিটি ছিল না । মানে সিটিং বাস সিট ছাড়া লোক উঠিয়েছে । ইচ্ছে হচ্ছিল কিছু বলার । কিন্তু ঝগড়া করার ইচ্ছে হচ্ছে না । তাই আপু কে সিট ছেড়ে দিয়ে আমি দাঁড়িয়ে গেলাম । কিন্তু অন্য কেউ সিট ছাড়েনি ।

উপর এর ঘটনা গুলো আমার বা আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত ঘটে থাকে বা দেখে থাকেন । প্রথম এ যেটা বলার আছে তা হলো ঢাকার এখন আতংক সিটিং বাস । ঢাকায় এখন সিটিং বাস এর ছড়াছড়ি । সব জায়গাতেই আছে এই বাস । গাজীপুর টু গুলিস্তান বলেন আর মিরপুর টু সদরঘাট ই বলেন আপনি এই বাস পাবেন । এরা আবার দাঁড়িয়ে লোক নেয় না । কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু মানুষ আছে যারা নিয়ম না মেনেই বাসে চড়ে দাঁড়িয়ে থাকে । এতে এদের কি দোষ তাই না । যদি ভাড়ার কথা জিজ্ঞেস করেন তবে মোবাইল কম্পানির এক রেট এ কথা বলা যায় এই অফার এর কথা মনে আসে ।

সেটা যাইহোক, বাসে মহিলাদের জন্য সিট সংরক্ষিত আছে । এটা সবার জানা । কিন্তু তবুও কিছু গোবর গনেশ আছে যারা মহিলা সিট এ জমিয়ে বসে থাকে । অথচ তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে কোন মহিলা । এদের আমার পুরুষ বলতে লজ্জা হয় । সবচেয়ে যেটা খারাপ লাগে তা হলো স্মার্ট বা দেখে বোঝা যআআচ্ছে তার মধ্যে শিক্ষার একটা ছাপ আছে সেই লোক ও যখন জমিয়ে বসে থাকে । এরা তৃতীয় লিঙ্গ এর ও অধম । আমি জানি এই লোক গুলোর মাঝে পাঠ্যপুস্তক এর জ্ঞান ছাড়া আর কিছু নেই । খুব দেখতে ইচ্ছে হয় এদের মা,বোন বা বউ যখন বাসে দাঁড়িয়ে যায় এবং এরা তাকিয়ে থাকে যাতে কেউ সিট ছেড়ে দেয় ।

এক বার ও কি মনে হয় না সিট ছেড়ে দিয়ে বসতে দেই সেই মেয়ে বা মা কে । অনেক এই দেখি সংরক্ষিত ছিট নেই বলে মেয়েদের বাসে উঠতেই দেয় না । কিন্তু দেখা যায় যে মহিলা সিটে পুরুষ বসে আছে । আমি উত্তরা টু গাজীপুর প্রায় প্রতিদিন ই যাওয়া আসা করি । মাঝে মাঝে সিট পেলেও ছেড়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে যাই । যদি কোন বয়স্ক আংকেল বা আন্টি অথবা কোন আপু থাকে সিট ছেড়ে দেই । এজন্য না যে তারা দুর্বল বা অন্য কিছু ভেবে । এটা সম্মানের একটা বিষয় ।

আমি যখন দেখি আপু বা আন্টি মানে আমার মায়ের বয়সি কেউ বাসে দাঁড়িয়ে যায় নিজের কাছেই খারাপ লাগে । একবার চোখ বুলিয়ে নেই দেখি কার কি অবস্থা । তারপর একটু হেসে দাঁড়িয়ে যাই । আমি কি ভাড়া দেই না । দেই বরং তারা যেই ভাড়া চায় সেই ভাড়া ই দেই । তবুও সিট ছেড়ে দেই ।

একবার ভেবে দেখুন তো পুরো বাস জুরে কোন সিট খালি নেই । আপনি আর আপনার মা দাঁড়িয়ে আছেন । কেউ সিট ছাড়ছে না । তখন ভিতর এ কি ফিল হবে । মনে হবে না যদি পারতেন বাস কিনে ফেলতেন । যখন নিজের ঘাড়ে পরে তখন সবাই ঠিক ই সোজা হয়ে যায় ।
আমি নারীবাদী না । আমি সাধারণ মানুষ । আমার এই লেখা আসলে সেই মানুষ যারা বাসে উঠে সেই বাস কে নিজের জমিদারি মনে করে । সম্মান দিতে না পারলে সম্মান পাবেন এমন আশা করা বোকামি ছাড়া কিছু ই না ।

পরির্বতন আসবে জানি । এক দিন অন্ধকার কে হারিয়ে সব আলোকিত হবে ।

এই আশায়,
ভাল থাকুন । সুস্থ থাকুন । আর আপনার চারপাশ পরিস্কার রাখুন ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


মেয়ে, মহিলা, বাচ্ছা ও বয়স্কদের সীট ছেড়ে দেয়ার মতো সাধারণ, সহজ বিষয় মাথায় না ঢুকলে, আধুনিক বিশ্বে্র কঠিন সব বিষয় কি করে জাতির মাথায় ঢুকবে?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: এদের সহজ বিষয় জটিল করার ক্ষমতা দারুন । এই জাতি নিজের প্লেট থাকলে ও আর একজনের প্লেটের দিকে তাকিয়ে থাকে । তাহলে এদের মাথায় সহজ বিষয় কিভাবে ঢুকবে.

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

সুমন কর বলেছেন: মহাপুরুষ আরিফ রায়হান অপু বলেছেন, ...............

সংরক্ষিত সিট থাকেই কয়টা (৬/৯টি)?? এতে কি আর হয়??

আজই আমি কিন্তু এক মহিলার জন্য সিট ছেড়ে দিয়েছি।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: হা হা হা

সত্যি এত অল্প সিট কেন সেটাই আমার প্রশ্ন ।

তাছাড়া দাদা আপনি না বললেও আমি জানি আপনি সিট ছেড়ে দিবেন ।

৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩

চৌধুরী মাহবুব বলেছেন: অামরাতো নিতে অভ্যস্থ হয়ে পড়েছি ছাড় দেয়াতো ভুলতে বসেছি । সম্মান করাকে হীনতা , ছোট হওয়া মনে করি। নারী ,শিশু, বৃদ্বরাতো সম্মান, স্নেহের পাত্র । এটি জানার নাম হল ভদ্রতা। অমরা ভদ্র হতে ইচ্ছুকনা , অামরা অভদ্রতাকে অহংকার জাহির করা মনে করি। যে কোন ভদ্রতা মানুষের রুচির পরিচয়। সভ্যতার পরিচয়। অামাদের অারো ভদ্রতা শিখতে হবে তবে অামরা নারী, শিশু, বৃদ্বের জন্য সিট ছেঢ়ে নয় হা ধরে রাস্তাো পার করে দিতে শিখব।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৩

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: আর কবে শিখব?

বই পত্র থেকে সব উঠেই গেছে । এখন ও আশা রাখি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.