নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
আদর্শ হিন্দু হোটেল, উপন্যাসটি সততা থেকে সামর্থ্য আর সামর্থ্য থেকে সাফল্যের গল্প। মানুষ যখন তার সততা, কর্মনিষ্ঠা, অধ্যাবসায় এবং অবশ্যই স্বপ্নকে নিয়ে এগিয়ে চলে তখন তার বিশ্বাস বাস্তবে রূপ নিয়ে সব সাধনার স্বীক্ররতি দেয়। বয়স মানুষকে থামিয়ে রাখতে পারে না ।
রাণাঘাটের রেল-বাজারে বেচু চক্কত্তির "আদর্শ হিন্দু হোটেল" বিখ্যাত হোটেল। এই হোটেলে রাঁধুনি বামুণের কাজ করে হাজারী ঠাকুর। মাসিক সাত টাকা, দুইবেলা আহার পায় হোটেল থেকে। রাতে হোটেলেই ঘুমায় সে। তার বাড়ি এঁড়োশোলা গ্রামে, গ্রামে তাঁর স্ত্রী, মেয়ে টেঁপি(আশালতা), ছেলে খোকা থাকে। সেখান থেকে কাজের সন্ধানে রাণাঘাট এসে সে বেচু চক্কত্তির হোটেলে কাজ শুরু করেছে আজ থেকে পাঁচ বছর আগে।
বেচু চক্কত্তির "আদর্শ হিন্দু হোটেল" এর উন্নতির পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান হাজারী ঠাকুরেরই। তার মত ওস্তাদ বামুণ রাণাঘাটে আর কেউ নেই। যারা একবার তার হাতের রান্না খেয়েছে, তারা বারবার এসেছে তার রান্না খাওয়ার জন্য। প্রতিবারই, লোকজন এসে তার রান্না খেয়ে প্রশংসা করে যায়, হাজারী ঠাকুরও বড্ড খুশি হয় প্রশংসাবাক্য শুনলে।
হোটেলের একজন বাদে সবাই তাকে ভালো জানে, হাজারী ঠাকুর মানুষটাও আগাগোড়া ভালো।
হোটেলের একজনই তাকে দেখতে পারে না, পদ্ম ঝি। হাজারী ঠাকুর তাকে "পদ্মদিদি" ডাকে। এই পদ্মঝি'র কথাই হোটেলের শেষকথা। এমনকি বেচু চক্কত্তিও তার কথার ওপরে কথা বলেনা। বেচু চক্কত্তির সাথে পদ্মঝি'র কোনো সম্পর্ক আছে কী না এ নিয়েও লোকজন বহু কথা বলে।
পদ্মঝি পদেপদে হাজারী ঠাকুরকে অপমান করে, বেচু চক্কত্তির কাছে হাজারী ঠাকুর সম্পর্কে বহু মিথ্যাচার করে তাকে অপদস্থ করে প্রায়শই। এ নিয়ে হাজারী ঠাকুরের কোনো অভিযোগ নেই, সব মিথ্যা অপবাদ সে মুখবুজে সহ্য করে নেয়। পদ্মদিদিকে সে ভীষণ ভয়ও পায়।
হাজারী ঠাকুরের বড় ইচ্ছে, সে একটা হোটেল খুলবে। রান্না, বাজার করা সে জানেই। এখন চারশো টাকার মত হলেই সে হোটেল খুলতে পারে। কিন্তু, টাকা কে দেবে? হোটেল নিয়ে অনেক বড় পরিকল্পনা তার। কিন্তু, টাকার প্রসঙ্গ এলেই সব পরিকল্পনা কেমন যেন চুপসে যায় ।
একদিন, পদ্মঝি'র ষড়যন্ত্রে মিথ্যা চুরির অপবাদে হাজারী ঠাকুরকে "আদর্শ হিন্দু হোটেল" এর চাকরী ছাড়তে হয়। কপর্দকহীন হয়ে রাস্তায় নেমে আসে হাজারী দেবশর্মা।
এখন কী করবে হাজারী ঠাকুর? তার হোটেল করার স্বপ্ন কী সত্যি হবেনা?
স্বপ্ন পূরনের জন্য ইচ্ছে আর উদম্য থাকলেই কেবল সফল হওয়া সম্ভব ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: হ্যা । দারুন মোটেভেশনাল বই।
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২১
জাহিদ হাসান বলেছেন: প্রকাশনী,প্রাপ্তিস্থান, মূল্য কত কিছুই লিখলেন না যে!
আগামীতে এই গুলো লিখতে ভুলবেন না।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: প্রকাশনী ও প্রাপ্তিস্থান তো লেখা সম্ভব নয় । কারণ এ ধরনের বইয়ের স্বত্ব অনেক প্রকাশনীর কাছে। তবে মুল্য লেখা যেত। আশা রাখি পরে ভুল হবে না।
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চমৎকার বই...... বিভূতিভূষণের আরেকটা ভালো বই....
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
হ্যা ।
বইটা না শেষ করে উঠতে পারিনি ।
৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৬
নাজমুল আব্দুল্লাহ মানিক বলেছেন: পছন্দের একটা বই
৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪৯
শায়মা বলেছেন: মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর একটা বই হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: বইটা পড়েছি। খুব ভালো।