নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
আজ কাল আমি অনেক হাপিয়ে উঠি । আমার শরীর ছোট খাটো । তবে ইদাংনী কালে ভুড়ি বেড়ে যাচ্ছে । যা বড়ই বেমানান । তাই ঘরে বসে ব্যায়াম করার চেষ্টায় আছি । এখনো বিয়ে করিনি তো । তাই নিজেকে একটু ফিট রাখার দরকার । তা দৌড় ঝাপ লাফ সব ই করি । পেটের ফ্যাট যদি কমে । কিন্তু কমছে ই না । বহুত টেনশনে আছি ।
না আজকের লেখার বিষয় আমাকে নিয়ে নয় । বিষয়টা দুঃখজনক একটা বিষয় নিয়ে । আমাএ কাছে দুঃখজনক । গতকাল রাস্তায় এই ছবির পতাকাটি পরে থাকতে দেখছি । আসলে হাটাহাটি করতে গিয়েছিলাম । তো বাসার পাশেই তো টোকিও স্কয়ার । আরে জাপানে না, মোহাম্মদপুরের শপিংমল যেটা সেটা । গেট দিয়ে বেরোতেই এটা চোখের সামনে পরল । ফুটপাতের উপর অনাদরে ফেলা রাখা ।
উঠিয়ে বুক পকেটে নিয়ে রাখলাম । এটা তো আমার দেশ । একে তো বুকে বা মাথায় রাখা দরকার । কিন্তু সে আজ ধুলায় লুটোপুটি খাচ্ছে । এটাই কি চেয়ে ছিল মুক্তিযোদ্ধারা । এমন একটা বাংলাদেশের স্বপ্ন কি তারা দেখেছিলেন । নাকি তারা পরবর্তি প্রজন্মের জন্য একটা সুন্দর বাংলাদেশ এর স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধ করেছেন । স্বপ্ন দেখেছেন সোনার বাংলার । তাদের পরবর্তি প্রজন্ম যাকে নিয়ে যাবে বহুদুর । যারা দেশ কে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসবে । কিন্তু সেটা কি আসলেই হয়ে উঠছে । আসলেই কি আমাদের মধ্যে সেই দেশপ্রম আজ জাগ্রত?
এখানে আমি ব্লগার চাঁদগাজী স্যার কে প্রশ্ন রেখে গেলাম, স্যার আপনি বাংলাদেশ কে কি এভাবেই দেখতে চেয়েছিলেন?
যারা মুক্তিযুদ্ধো করেছেন তারা নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন । দেশের কথা ভেবেছেন । নিজের জন্মভুমির কথা ভেবেছেন । শুধু একটাই চিন্তা ছিল দেশ স্বাধীন করতে হবে । আমরা তাদের কতটা ফিরিয়ে দিতে পেরেছি । আমি আজও ভাবি । প্রতিটি মুহূর্ত ভাবি । তারা দেশের জন্য রক্ত দিয়েছেন । আমরা কি দিয়েছি ?
আমার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ভিত্তি আমার বাবা । তিনি আমাকে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছেন । তারপর আমি বই পত্র পড়েছি যারা জীবিত মুক্তিযোদ্ধা আছেন তাদের সাথে কথা বলেছি । আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ কারন একটা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি । নিজদের মত করে বাচতে পারছি । নিঃশ্বাস নিতে পারছি । অথচ তাদের সেই বলি দান আজ ধুলায় লুন্ঠিত । কষ্ট হয় দেখে । ভীষন কষ্ট হয় । আমি সকল মুক্তিযোদ্ধার কাছে ক্ষমা প্রার্থী ।
আমি ছোট বেলা থেকে শহীদ মিনার আর স্মৃতি সৌধে জুতা পায়ে উঠি না । এটা আমার নীতি আমি মেনে চলি । আমি সবাই কে এটাই বলি । এটা আমার দেশের জন্য যারা প্রান দিয়েছেন এবং জীবিত আছেন তাদের সকলের প্রতি সম্মান জানানো । কিন্তু এখানে আমাকে প্রতি বার হাসির পাত্র হতে হয় । আমার কর্মকান্ড কেন সবাই কে হাসি এনে দেয় আমি জানি না । তবে আমি সম্মান করা ছাড়তে পারি না । আমার এটা রক্ত মিশে আছে । আমি ছাড়তে পারব না । মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত পারব না ।
আমি জাহাঙ্গীনগর এ একটা মাস্টার্স প্রোগ্রামে পড়াশুনা করছি । খেয়ে পরে তো বাচতে হবে । তার জন্য কিছুটা হলেও পড়াশুনা দরকার । কি বলেন । তো সেখানের যে শহীদ মিনার আছে সেটা তেও জুতা পায়ে উঠা নিষেধ । কিন্তু আজ আমি যা দেখলাম সেটা তো আমার চোখে অশ্রু এনে দিয়েছে । রাগে আমার শরীর জ্বলে যাচ্ছিল । জুতা পায়ে উঠে সেলফি কুলফি । বাদাম খাওয়া । লাফানো ঝাপানো সব চলছে । তারচেয়ে চলছে পুরো দমে প্রেম । একে অন্যের গায়ের উপর পরে যাচ্ছে । পারলে কোলে উঠে যেতো । সরি নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে পারিনি ।
চলে গেলাম মূল বেদির কাছে । জুতা মুজা খুলে উঠলাম । এক ভাইয়া আর আপু বসে । জিজ্ঞেস করলাম আপনার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিনা । তারা হ্যা বলল । বললাম মুক্তিযুদ্ধ আর ভাষা আন্দোলন বিশ্বাস করেন কিনা । তাও হ্যা বলল । তারপর বললাম ভাইয়া এখানে জুতা নিয়ে উঠা যে নিষেধ সেটা জানে না । ওনারা হাসা শুরু করল । আমি বললাম ভাইয়া আমি হাসির কিছু বলি নাই । এটা একটা সম্মানের জায়গা । উঠবেন সমস্যা নেই কিন্তু প্রাপ্য সম্মানটুকু দেখান । তারা রেগে যাচ্ছে বুঝলাম । বললাম ভাইয়া আপনি রেগে না গিয়ে ভেবে দেখুন এই শহীদ মিনার এ লেগে আছে ভাষা শহীদের রক্ত । সেখানে এভাবে উঠা ঠিক না ।
এরপর এক ইয়ো ইয়ো আপুর কাছে গেলাম । আল্ট্রা মর্ডান উনি । তাকে কি বলব বুঝার আগেই উনি আমাকে বললেন একটা ছবি তুলে দিন । আমি শহীদ মিনার ছবি তুলে বললাম এই জায়গাটা সম্মানের আগে সম্মান দিতে শিখুন । লেখা আছে জুতা পায়ে উঠবেন না । লেখা না থাকলেও এটা তো কমন সেন্স যে এখানে জুতা পায়ে উঠা ঠিক না । শুধু একুশে ফেব্রুয়ারিতে খালি পায়ে সম্মান দেখাবেন আর বাকি দিন গুলো কি এখানে ছবি তোলার জন্য । উনিও আমার উপর রেগে গেলেন । তাই হতাশ মনে ফিরে আসলাম । ক্লাসে চলে গেলাম । কি করব তারা তো আমার কথা শুনবে না ।
সত্যি আমি মাঝে মাঝে অনেক হতাশ হয়ে পরি । নিজেকে একা মনে হয় । মনে হয় একাই লড়াই করে যাচ্ছি । আসেপাশে কেউ নেই । আমার কাজ গুলো লোকের হাসির খোরাক হয় । অথচ এগুলো আমাদের করার কথা । আমাদের ভিতর থেকে আসার কথা । মনের মধ্যে থাকার কথা । হৃদয়ে থাকার কথা । বাংলাদেশ থাকবে হৃদয়ে । প্রানের মাঝে মিশে থাকবে এ দেশ ।
ভাল থাকবেন । সুস্থ থাকবেন । আপনার চারপাশ পরিস্কার রাখবেন ।
আজকের ব্লগটি মুক্তিযোদ্ধা চাঁদগাজী স্যার এবং সকল জীবিত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, বীরঙ্গনা, বুদ্ধিজীবিদের উৎসর্গ করলাম
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৩
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
ধন্যবাদ । আর আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম ।
আশা করি এ ধরনের আরো লেখা দিতে পারব ।
২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৪
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আসলেই চিন্তার বিষয়.....
জাবিরটা প্রথমে অনেকেই বুঝতে পারে না....
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪২
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আমি জানি এটা প্রথমে অনেকেই বুঝতে পারে না । তবে যারা এখানে ছাত্র ছাত্রী তারও এমন করবে । এটা মেনে নেয়া আমার জন্য কষ্ট কর ।
৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৪
ফেইরি টেলার বলেছেন: খুব সাহসী ভূমিকা রেখেছেন । কিন্তু ছাত্রদের সাথে ক্যাচালে জাড়াবেন না, একবার টার্গেট করে বসলে লাইফ হেল করে ছেড়ে দেবে ।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৪
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
জানি সেটা । কিন্তু এসব দেখে সহ্য করার ক্ষমতা একে বারে কম । বন্ধুরা থেকে আমাকে টেনে নিয়ে যেতো সেখান থেকে । জানে আমি এসব দেখতে পারি না ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: উৎসর্গে ভালোলাগা !
সত্যি ই এ সাধারণ শ্রদ্ধাবোধ টুকু ও অনেকের নেই।
আপনার প্রচেষ্টায় স্যালুট।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৭
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
চেষ্টা তো করে যাচ্ছি । কত দিন ধরে রাখতে পারব জানি না ।
ধন্যবাদ আপু ।
৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৫
আরোগ্য বলেছেন: অসভ্য সমাজে সভ্যকেই অসভ্য বলে। আর অসভ্যরা হল আধুনিক।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৮
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
কি করতে পারি আমরা । আমরা আসলে এক হতে পারি না । এটা আমাদের দোষ । আমরা ভাল মন্দ আর শ্রদ্ধার জায়গা কে মিশিয়ে গুলিয়ে খেয়ে ফেলে দিয়েছি ।
৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১২
ল বলেছেন:
ক্ষমতার লোভে ------------------
হত্যা-------------------------------
ধর্ষণ------------------------
খুন----------------------------------
গুম----------------------------------
লুটতরাজ ------------------------------
আতন্ক---------------------------------------
গুলি করে হত্যা------------------------------------------
অত্যাচার----------------------------------
নির্মম ষ্টীম রোলার-------------------------------------------
একাত্তরের সেই দিনের করুণ গণহত্যার বিভৎসতারব বর্ণনা এখনো সমাজে আছে ---------------------
মিনার আর মাজার দিয়ে কি হবে?-----------------------------
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩১
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
চেষ্টা তো করতে পারি ।
মিনার আর মাজার দিয়ে কি হবে?
তাহলে আমাদের কাছে সুযোগ থাকবে । আমরা সুযোগ পাবো আমাদের ইতিহাস পরবর্তি প্রজন্ম কে জানানোর । আগ্রহ তৈরি করতে হবে তাদের মাঝে ।
৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:৩৫
রাফা বলেছেন: চমৎকার,কে বললো আগামি প্রজন্মের মধ্যে আমাদের গৌরবের ইতিহাস নিয়ে অহংকার ও সচেতনতা নেই ! হতাশ হবেননা আর হাল ছেড়ে দিবেননা।নষ্ট প্রজন্মের ভুল ভাঙানোটা খুব জরুরি।মুক্তিযুদ্ধকেই মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে ৩০ লক্ষ শহিদের এই দেশে।
সেটা করতে সফল যখন হয়নি।স্বমহিমায় আবার উজ্জলতায় ভাস্বর হবে সব কিছু।
তখন আর কেউ এমন দৃষ্ঠতা দেখাবেনা আশা করি।
ধন্যবাদ,অ.দ্যা.গ্রেট।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
হাল তো ছাড়িনি । তবে ক্লান্ত হয়ে পরি মাঝে মাঝে । চেষ্টা করছি কিছু করার পরিবর্তন আসবে আশা রাখি ।
ভুল ভাঙ্গাতে গিয়ে গালিও কম খাইনি ।
তবে হাল এত তাড়াতাড়ি ছাড়ছি না ।
ধন্যবাদ মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ।
৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: লেখাটার প্রতি পরতে পরতে মুগ্ধ হলাম। দেশমাতৃকার প্রতি এক অসম্ভব শ্রদ্ধাবোধ না থাকলে এমন করে দেখা সম্ভব নয় ।
উৎসর্গে শ্রদ্ধা।
শুভ কামনা প্রিয় অপুভাইকে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই,
আসলে শ্রদ্ধাবোধটা নিজের মধ্যে । ভেতর থেকে আসতে হয় । না হলে এটা সম্ভব নয় ।
আপনার নতুন কোন লেখা পাচ্ছি না । ব্যস্ততা কাটিয়ে লেখা দিন ।
ভাল থাকবেন ।
৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী জ্ঞানে, রুচিতে এবং আন্তরিকতায় অতুলনীয়।
৭১ এবং দেশের রাজনীতি নিয়ে অকপটে সট্য কথা বলে দেন।
অপু ভালো লিখেছেন।
ওস্তাদ চাঁদগাজীর মন্যব্যের অপেক্ষায়।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
ভাই গতকাল রাতে আপনার কথা স্মরন করেছি । ভাবছিলাম আজ আপনার ব্লগে একটা ঢু মারব ।
জ্বী স্যার চাঁদগাজী এমন বলে তাকে আমার আরও বেশি ভাল লাগে ।
আমিও তার মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করছি ।
১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৩
নজসু বলেছেন:
ভাষা আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করাটা বড় কথা নয়।
এই দুটো তো আমাদের ইতিহাস। যে ইতিহাস অস্বীকার করলে নিজেকে অস্বীকার করা হবে।
বিষয়টা শ্রদ্ধার। বিবেকের।
দেশের শহিদদের প্রতি যার শ্রদ্ধাবোধ আছে সে কি তাদের হৃদয়ে জুতাসহ উঠতে পারে?
অনেকদিন আগে পত্রিকায় দেখেছিলাম দেশের কোন এক বড় নেতা জুতা পায়ে শহিদ মিনারে ফুল দিয়েছিলেন।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
কি বলব আজ কাল নীতি নৈতিকতা বিবেক বুদ্ধি সব কিছু লোপ পেয়েছে ।
শ্রদ্ধার জায়গা আর নেই । সবার কাছে এগুলো এখনো শো অফের বিষয় । বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি, সহ সকল দিবস আর শুধু নামে আছে আর কিছু নেই ।
১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮
হাসান রাজু বলেছেন: আমাদের উপর তলায়ও কিছু গলদ আছে। আমরা সচেতন জাতি না। আমাদের বেশিরভাগ মানুষই অশিক্ষিত। এটা কোন নতুন ব্যাপার না। তাই শহীদ মিনার স্মৃতিসৌধ বানানোর সময় বা ডিজাইন করার সময় এর সম্মান রক্ষার ব্যাপারেও সচেতন থাকা আবশ্যক।
যেমন ধরুন শহীদ মিনারের কথা। বিশাল জায়গা জুড়ে এর অবস্থান। কিন্তু ঢাকা শহরের এমন কোলাহল পূর্ণ এলাকায় এটা এমনভাবে উন্মুক্ত অবস্থায় পড়ে আছে যে কুকুর মানুষ সবাই নির্বিঘ্নে সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেখানে শহরে একটু নিরিবিলতে বসার জায়গা নেই সেখানে এতো বড় জায়গা পবিত্রতার নামে বরাদ্ধ দিয়ে সংরক্ষণের দায় এড়িয়ে গেলে কভাবে হবে? এরচেয়ে মিনারের পাশে সামান্য অংশ পবিত্রতার ঘোষণা দিয়ে সংরক্ষণের ব্যাবস্থা করে, বাকি অংশ উন্মুক্ত / অবাধ করে দিলেই হত।
আমরা সম্মান শ্রদ্ধা নিয়ে একটু বেশিই ঘ্যানর ঘ্যানর করি। এইসব কালচার এসেছে পাশ্চাত্য থেকে। তারা কিন্তু সম্মানের সময় সম্মান দেখায় আবার সেলফি ও তোলে। গুগোলে ঘাঁটলেই পাবেন। আবার জাতীয় পতাকা দিয়ে বানানো অন্তঃবাস বেশ জনপ্রিয় এবং ওপেন মার্কেটে বৈধ পন্য হিসেবে বিক্রি ও হচ্ছে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আমাদের উপর তলায় গলদ আছে সেটা আমি জানি । আমরা সচেতন না এটা ঠিক না । কারন নিজের ঘাড়ে যখন আসে সবাই তখন সচেতন হয়ে যায় । আবার আমাদের শিক্ষার ক্ষেত্রেও তাই । আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে ইতিহাস আর আমাদের সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে পারিনি ।
আপনি শহীদ মিনারের কথা বলছেন । হ্যা এই বিষয়টায় আমি একমত ।
আপনি বলেছেন যে আমরা শ্রদ্ধা বোধ নিয়ে বেশি ঘ্যানর ঘ্যানর করি । হ্যা করি । তবে আপনি পাশ্চাত্যের উদাহরন দিলে সেটা মেনে নিতে পারলাম না । কারন আমাদের ইতিহাস আর তাদের ইতিহাস কিছু এক নয় । জাতীয় পতাকা দিয়ে অন্তঃবাস বানান বা টিশার্ট আর শার্ট বানান আমার কাছে সব গুলোই পরিত্যজ্জ । কারন পতাকা সম্মানের বিষয় ।
তারা সেলফ তুলে আবার সম্মান দেখায় । তাদের সাথে আমাদের তুলনা না করাটাই ভালো । কারন তাদের শিক্ষা সংস্কৃতি ইতিহাস সব কিছুই আমাদের থেকে আলাদা ।
১২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দলবাজি, দলান্ধতায় যখন ব্যস্ত প্রশাসন, মিডিয়া, শিক্ষক, সুশীলসমাজ
তখন কে কাকে শেখাবে!
ভাগ্যিস জয়বাংলার কাউকে জ্ঞান দিতে জাননি! হয়তো সুস্থ ফিরতেই পারতেন না!
চেতনায় যখন দলীয় ব্রন্ডিংয়ের হয়ে যায়- জাতির তখন অপরিমেয় ক্ষতি হয়।
যারা ইতিহাসের স্বাক্ষী তারাও যখন দলান্ধতায় ভোগে সত্য তখন গুমড়ে কেঁদে মরে।
নিরপেক্ষ সত্য কার পক্ষে গেল তা বিচার করে যারা সত্যাসত্য নির্ণয় তারা তারা দলকানা!
তাদের হাতেই ক্ষমতা। দশকের পর দশক! অথচ মোলিক শিক্ষাগুলো কত অবহেলিত!
অর্থ আর ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে ভুলে যাচ্ছে জাতিয় অস্তিত্ব রক্ষার মূল শিক্ষার কথা।
আপনার নিরন্তর চেস্টায় সাধুবাদ।
আমিও মেনে চলি, সন্তানদেরও শেখাই।
অবাক চোখকে উপেক্ষা করেই।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৭
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আজকাল যারা তেল বা মাখন দিতে পারে তারাই ভালো । দলের মধ্যে তারই দাম বেশি । সবাই একজন আর একজনের উপর দোষ দেয় । ফাইল এই টেবিল ওই টেবিল ঘুরে বেড়ায় । কিন্তু স্বাক্ষর হয় না ।
এটা সত্য কথা । জয় বাংলার কাউকে বললে আজ নিউজ হয়ে যেতাম । ভাগ্য আমার সত্যি ভালো । বিষয়টা আগে খেয়াল করিনি । আপনার কথায় খেয়াল হল । আজ কেউ আর দেশ আর তার মানুষ নিয়ে ভাবে না । সবাই নিজেদের আখের গুছাচ্ছে ।
আমার মৌলিক শিক্ষা আজ নেই । নীতির বিকাশ নেই । বিবেক আজ অন্ধ । এভাবে চললে পরে আন্দামান নিকোবর এ জায়গা হবে ।
আমিও এভাবেই করে যাবো । ধন্যবাদ । আপনাকে পাশে পেয়ে ।
ভাল থাকবেন ।
১৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধন্যবাদ, জাতীর অবস্হা কিছুটা অনুধাবন করতে পেরেছেন। এমন কি ১৯৭২ সালেও, জাতির বিরাট অংশ আমাদের স্বাধীনতার মুল্য বুঝতে পারেননি: কোটী মানুষ কষ্ট পেয়েছেন, কয়েক লাখ প্রাণ দিয়েছেন, সাধারণ মানুষ যুদ্ধ করেছেন, এগুলোকে সন্মান দেখানো হয়নি শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেবের পক্ষ থেকে।
বেশীরভাগ শিক্ষিত মানুষ যুদ্ধ যাননি, চাকুরী করেছেন; বিজয় আসার পর, তারা নিজেদের অবস্হান বুঝতে পেরে চুপ করেছিলেন, যুদ্ধ ও মানুষের অবদান নিয়ে লিখেননি, মুক্তিযু্দ্ধকে বড় না করে, সন্মান না করে, ইহাকে হারিয়ে যেতে সাহায্য করেছে এরা।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫০
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
স্যার বিষয়টি অনেক আগেই অনুধাবন করেছি । সেই ছোট থেকেই মেনে চলার চেষ্টা করছি । আপনার যা করেছেন তার ঋন কখনও শোধ করার মত না । আমাদের নিজেদের দাঁড়ানোর জায়গা দিয়েছেন । মুক্ত ভাবে বাচার জন্য একটা ভুমি দিয়েছেন ।
হ্যা স্যার আমি একমত অনেকেই যুদ্ধ চাননি । তারা পাকিদের চেটে চেটে বড় হতে চেয়েছে । আপনারা না থাকলে কি হত সেটা অনুধাবন করার ক্ষমতা তাদের ছিল না ।
চেষ্টা করে যাবো এই সম্মান যেন সারা জীবন ধরে রাখতে পারি ।
১৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৭
উম্মে সায়মা বলেছেন: ভালো একটা জিনিস তুলে ধরেছেন। আসলেই এ ব্যাপার অনেকেই খেয়াল করেনা৷
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫১
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
চেষ্টা করেছি এই বিষয়টা সবাইকে জানানোর যাতে সবাই সর্তক হয় । সম্মান করে ।
ধন্যবাদ ।
১৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৪
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: তরুণপ্রজন্মের বৃহদাংশ ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধকে বোঝার মতো অবস্থনে নেই। দুঃখজনক।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৩
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আসলেই দুঃখজনক । আশা করা যায় পরিবর্তন আসবে ।
১৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মূর্খ এক প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে। আমি হতাশ!
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৪
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
এর জন্য অনেকাংশে আমরাই দায়ী
১৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এত প্রতিকুলতার ভেতরও আপনার সচেতনতা ধরে রেখেছেন এজন্য ধন্যবাদ।
মুল ব্যাপারটি হচ্ছে আদর্শ
আপনি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ আদর্শ ধারণ করেন কি না?
অনেককে দেখবেন মুজিবকে বংগবন্ধু বলেন না।
মুক্তিযুদ্ধের মূল স্লোগান জয়বাংলা উচ্চারণ করে না।
এতে নাকি তাদের অজু নষ্ট হয়ে যায়।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৬
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
নিজের জায়গা থেকে চেষ্টা করছি । আমি মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার আদর্শ ধারন করি ছোট বেলা থেকেই ।
আমার অবস্থান থেকে আমি নিজের জায়গাটা শক্ত করার চেষ্টা করছি ।
১৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: লেখায় অনেক সচেতনতামূলক বানী আছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি লেখা আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৭
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য
১৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: জুতা পায়ে এক চেতনার দোকানিকে দেখলাম শহীদ মিনারে। ভিডিওতে।।। এরা পারেও। ক্যামেরা দেখলে তাদের হুশ থাকেনা
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
ফুটেজ নেয়ার জন্য আর নিজেকে শো করার জন্য এর সব সময় মুখিয়ে থাকে ।
২০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫
বিজন রয় বলেছেন: আমরা স্বাধীনতাকে সঠিক মূল্যায়ন করতে পারলে আজকে দেশের এত বাজে অবস্থা হতো না।
++++
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
ধন্যবাদ দাদা ।
তবে আমি হাল ছাড়ছি না । একজন কে হলেও পরিবর্তন করব ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৩
আলমগীর কাইজার বলেছেন: লেখাটা খুব সুন্দর, শিক্ষণীয়। এই ধরণের লেখা আরও চাই।
আমাদের সকলের উচিত শহিদ মিনারের প্রাপ্য সম্মানটুকু দেখানো।