নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেলুদার ফিরে আসা - "তোপসের নোটবুক" । বুক রিভিউ

২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:০৯






ব্যস্ততা মনে হচ্ছে আমাকে ঘিরে ধরেছে । এত চেষ্টা করছি বই পড়ার হচ্ছেই না । সবচেয়ে চেষ্টা করছি কিছুটা সময় বের করে পড়তে । কিন্তু কেন যেন হচ্ছে না । যান্ত্রিক জীবন যেন শুধু সব কিছু থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে । তারপরও কিছু তো পড়তেই হবে । তাই হাতের কাছে ছিল “তোপসের নোটবুক” । সেটাই পুজি করলাম ।

বইটি বেশি বড় নয় তারপর ও দুই দিন লাগল পড়তে । যদি ধরি তবে এক ঘন্টায় পড়ে শেষ করা যাবে । তবে এটা ঠিক ভাবানার জগতে হারিয়ে যেতে পারেন তবে এটা আপনাকে নিয়ে যাবে উপেন্দ্রকিশোর রায়, বিভূতিভুষন, মানিক, শার্লকহোমস, এমনকি বোমকেশ বক্সী পর্যন্ত বিস্তৃত্ব । সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে বইটিতে সবার পরিচয় খুব সুন্দর ভাবে বর্ননা করা হয়েছে ।

বলা যায় বইটি একটি ইতিহাস । ঠিক যেন ফেলুদা, তোপসে এবং লালমোহন বাবু যাকে আমরা চিনি জটায়ু নামে সবার পরিচয়ের ইতিহাস এখানেই বর্ননা করা হয়েছে । উঠে এসেছে বংশ এবং সেই ইতিহাস ।

বইটির দুই তৃতীয়াংশ জুড়েই আছে ফেলুদা, তোপসে এবং লালমোহনবাবুর বংশ পরিচয় এবং তার ইতিহাস চর্চা যেখানে লেখকের লেখনী স্বাধীনতার গুনে টা আর দশটা জীবনীভিত্তিক কল্প গল্পের থেকে হয়ে উঠেছে অনেকটাই আলাদা | এইখানে দাঁড়িয়ে পাঠকের হয়তো মনে হতেই পারে এই বইটি গতানুগতিক ফ্যান-ফিক্শন এর আওতা থেকে বেরিয়ে আস্তে পারেনি | ঠিক তখন লেখাটা গিয়ার্ চেঞ্জ করে গল্পের মোর ঘুরিয়ে দেয় একেবারে অন্যদিকে|

আমাদের ছোটবেলার গোয়েন্দা হিরো কারা যদি জিজ্ঞেস করা হয় তবে সেটা শার্লক হোমস, এয়ারকুল পেয়ারো, ফেলুদা আর বোমকেশ বক্সী এদের নাম উঠে এলেও । আমাদের মাঝে সবচেয়ে বেশি প্রভাব হয়ত ফেলুদাই ফেলেছেন । এটা বলার অপেক্ষা রাখে না ডিসি আর মার্ভেল কমিকস সুপার হিরোদের মাঝে ফেলুদা উজ্জল হয়ে উঠেছেন নিজের উজ্জলতায়

বইয়ের প্রতিটি পাতায় পাতায় ইতিহাস । প্রতিটি পাতায় মোড় নিয়েছে । মজার ব্যাপার হচ্ছে এখানে কিছু কেসের কথা বলা হয়েছে যার সম্পূর্ন কাহিনী হয়ত জানা সম্ভব নয় । কখন উপরে উঠেছে । আবার কখনও নিচে নেমেছে । এক কেসের সাথে অন্য কেস কিভাবে জড়িয়ে পরেছে সেটাও এক অন্যবদ্ধ ঘটনা ।

তবে হ্যা, আমাদের ফেলুদা যিনি হারতে পারেন না । যিনি প্রতি লক্ষ্যে ছুটে যান আপন গতিতে । যিনি অপরাধীকে নিয়ে যান তার শেষ পরিনতিতে তিনি আজ হেরে গিয়েছেন । এটা সত্যি আমাকে কষ্ট দিয়েছে আবার মুগ্ধ করেছে লেখকের দক্ষতায় । এভাবে বইটি শেষ হবে ভাবিনি । যদিও আমি এখন কোন প্রকার আশা নিয়ে বই পড়া শুরু করি না । তবে ফেলুদার হার সেটাও তো মেনে নেয়া যায় না । সেই ১৯৬৫ সাল থেকে ক্রমাগত জিতেই আসছে সে | এবং এই ৫০ বছরের জিতের শেষে যে ভয়ঙ্কর সত্যের সম্মুখীন হয়ে সে পরাজয় স্বীকার করে, সেই সত্যি যেন আমাদের সত্যি |

তবে কিভাবে কোথায় গিয়ে থেমেছেন সেটা জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে “তোপসের নোটবুক” । লেখক কৌশিক মজুমদার কে ধন্যবাদ ফেলুদাকে ফিরিয়ে আনার জন্য । তবে একটা কথা বলতেই হচ্ছে “You will never meet your heroes” ।

ধন্যবাদ কৌশিক মজুমদার ফেলুদাকে আর একবার আমাদের সামনে নিয়ে আসার জন্য ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:০১

মুক্তা নীল বলেছেন:
অপু ভাই ,
আপনার বই রিভিউ কিন্তু সবসময়ই ভালো হয়। অনেকদিন পর বুক রিভিউ এর মাধ্যমে ফেলুদার সম্পর্কে আবার কিছু পড়লাম পড়েই ভালো লাগলো ।আর রিভিউ চমৎকার হয়েছে । ভালো থাকুন ।

২৮ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৩১

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



ধন্যবাদ ভাই ।

তবে দোয়া করবে ব্লগে কেন জানি সময় দিতে পারছি না । ব্লগে যাতে বেশি সময় দিতে পারি ।

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: বইটা পড়া হয় নাই।
লিস্টে নাম টুকে রাখলাম।
আপনার কলকাতা ভ্রমন কি শেষ?

২৮ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৩২

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


ভাই কলকাতা গেলে আমার জন্য কি কয়েকটি বই এনে দিতে পারবেন?

না । শেষ হয়নি । আরও বাকি আছে । তবে এবারের পর্ব একটু বড় করে লিখব তাই সময় নিচ্ছি ।

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৩৫

ইসিয়াক বলেছেন: মনে হচ্ছে কলকাতা ভ্রমন এখানেই শেষ ।

২৮ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৩২

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


নাহ শেষ হয়নি ।

এবারের পর্ব আর একটু গুছিয়ে একটু বড় ভাবে লিখব যাতে শেষ করতে পারি দ্রুত ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.