নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাভারতের আড়ালের থাকা মানুষঃ রাধেয় (বুক রিভিউ)

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩০










সূর্যের তেজদিপ্ততা নিয়ে তার জন্ম । কিন্তু জন্ম যেন তার আজন্ম পাপ । জন্মের পরে অজানার উদ্দেশ্য যাত্রা তার । ভূমিষ্ঠ হবার পরই তাকে মাতৃক্রোড় ত্যাগ করতে হয় । নিয়ত হয়ত এটাই চাইছিল । ভাগ্য হয়ত তার জন্য ভেবে রেখে ছিল অন্য কিছু । নাটকের মঞ্চে তাকে আর্ভিভূত হতে হবে অন্য ভাবে ।
.
বড় হয়েছেন এক সূতপুত্র হিসেবে । যাদের না আছে কোন আশা না তারা কোন ধর্ম । তাদের সব সময় নিচু জাত হিসেবেই বিবেচিত করা হয়েছে । তবুও মনের সুপ্ত বাসনা । শিখেবন অস্ত্র চালনা । যুদ্ধ ও তীর ধুনক চালনা শিখেবেন । শিখবেন রণ কৌশল । তবে সেটাতেও যে সমাজের বাধা । নিচু জাত বলে তাদের এইসব শেখা নিষেধ ।
.
কিন্তু ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় । নিজেই শুরু করলেন শেখা । পিতা মাতার অগোচরেই চলে তার অস্ত্র বিদ্যা শিক্ষা । কিন্তু পিতা তার সব ই জানেন, তবে পুত্র স্নেহে কিছুই বলেন না । তবে তার পিতা ভবিতব্য দেখতে পান । তার পুত্র কে সাবধান করে দেন । কিন্তু অদৃষ্ট্যে লিখন কে খন্ডাতে পারে ।
.
বাড়ি ছেড়ে শুরু করেন যাত্রা । উদ্দেশ্য অস্ত্র বিদ্যার মহাগুরুর কাছে শিখবেন অস্ত্র রন কৌশল বিদ্যা । তার প্রচেষ্টা সফল হয় । গুরুর কাছে দিক্ষা লাভ করেন । তবে সেই সাথে গুরুর ক্রোধে অভিশপ্তও হন । একই সাথে আশীর্বাদ ও অভিশাপের বোঝা নিয়ে ফিরে আসেন । তবে আপন গৃহে ফিরতে পারেনি ।
.
নিয়তির ফেরে হয়ে বসেন রাজা । তবে যেন পুতুল রাজ । বন্ধুত্ত্বের মুল্য দিতে গিয়ে হয়ে পরেন একা । যেন তাকে কেউ চাবি দিয়ে ঘোরাচ্ছে । তবুও মন চাইতো বের হতে কিন্তু পারতেন না । খেলার দাবার মুল গুটি যেন তিনি । তিনি সবার কাছে না থেকেও সবার মাঝে রয়েছেন ।
.
যুদ্ধ আসন্ন । প্রস্তুতিও সম্পন্ন । কিন্তু এ যুদ্ধের নিয়তি যে আগে থেকেই ঠিক করা ছিল । সব কিছু তো উপরে ঠিক হয়ে গিয়েছে । তবুও যুদ্ধ অনিবার্য । আর এই যুদ্ধই তার শেষ হবে । শেষ হবে এক উপখ্যানের । এই যোদ্ধার যাকে ইতিহাস মনে রেখেও রাখেনি ।
.
বলছিলাম মহাভারতের কর্নের কথা ।
.
সূর্য দেব যার পিতা এবং মানব কন্যা কুন্তী যার মাতা । তবুও কর্ন তার পরিচয় পায় সূতপুত্র হিসেবে । কর্নের পরিচয় ও তার উপখ্যান নিয়ে ই রচিত হয়েছে “রাধেয়” উপন্যাসটি । যদিও এটি ইতিহাস নির্ভর । তবে বইটিতে কর্নের ছোট একটা আত্মজীবনীও বলা যায় ।
.
বইয়ের সব কিছু ইতিহাস থেকে নেয়া । বিষয়টি ভাল লেগেছে । তবে কয়েক জায়গাতে নাম উল্লেখ এর ক্ষেত্রে এক জায়গাতে কর্নে নাম বলা হয়েছে কর্ন । আবার শুরুতে বষুসেন । কিন্তু চরিত্র সব সময় বষুসেন দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে । তার হঠাৎ করে নাম কর্ন হয়ে যাওয়াটা একটু খারাপ লেগেছে । এছাড়া বইটির প্রচ্ছদ আরও সুন্দর হতে পারত । কর্নের ব্যাপারে যতদূর জানি সে তীর ধনুকে অবিশ্বাস্য ছিল । সেটাকেই প্রচ্ছদ করা যেত ।
.
যেহেতু বইটি বেশি বড় নয় তাই আর কিছু লিখলাম না । বইটি পড়ে দেখতে পারেন । মহাভারতের একটা চরিত্র সম্পর্কে ধারনা পাবেন ।

বইঃ রাধেয়
লেখকঃ মাহমুদুর রহমান
প্রকাশনীঃ নালন্দা

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২০

রাজীব নুর বলেছেন: এত এত বই পড়ার সময় পান কখন!

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৮

রাশিয়া বলেছেন: পান্ডবদের জন্ম নিয়ে আমার একটা প্রশ আছে। কর্ণ থেকে শুরু করে যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল আর সহদেবের জন্ম কিভাবে হয়েছিল? এদের মায়েরা কি সংশ্লিষ্ট দেবতাদের সাথে যৌন মিলনে গর্ভধারণ করেছিল নাকি অন্য কোন উপায়ে? যদি তারা ঐসব দেবতাদেরই সন্তান হবে, তো তাদেরকে 'পান্ডব' কেন বলা হবে? পিতা পান্ডুর সাথে তাদের তো বায়োলজিকাল কোন সম্পর্ক নেই। এমনকি হস্তিনাপুরের রাজত্বেও তাদের কোন অধিকার থাকতে পারেনা, কারণ তারা রাজরক্তের অধিকারী নয়। তাহলে বাসুদেব কৃষ্ণ কেন সবসময়ে তাদের পক্ষ নিয়ে বেড়াত?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.