নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুনপোকাঃ জীবনের গভীর রহস্য । শীর্ষেন্দুর প্রথম উপন্যাস (বুক রিভিউ) !!!

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৩










রহস্যময় এই জীবন । আমি ভালবাসতে শিখেছি ।

মানুষের জীবন কত বৈচিত্রময় । মুহূর্তেই সব কিছু পালটে যায় । ঘটে যায় অনেক কিছু । সব কিছু জানা যায় না । আবার সব কিছু বোঝাও যায় না । শুধু থেকে যায় স্মৃতি । হয়ত এর ই মাঝে জীবনের অর্থ খুজে পেতে হয় । বুঝতে নিতে হয় জীবন কে । নয়ত আবার জীবনের মাঝেই হারিয়ে যেতে হয় নিজেকে । এই হারিয়ে ফেলাটাই হয়ত জীবন । কেই বা জানে কি আছে সামনে । তবুও তো ছুটে চলতে হয় ।

শ্যাম চাকরিটা ছেড়ে দিল । তার বস থাকে বাস্টার্ড বলে গালি দিয়েছে । তাই সে আর সেখানে চাকরি করবে না । তবুও জীবনে তো বেচে থাকতে হবে । কিন্তু কি করবে সে । আবার কি বসে কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইবে । নাকি সে নতুন কিছু করবে । করার তো অনেক কিছুই আছে । তবে করতে যে ইচ্ছে করতে যে ইচ্ছে হচ্ছে না । অলস সময় তো কাটছে না ।

একটা সময় ছিল যখন তার জন্য পাগল ছিল মেয়েরা । বয়স এখন একত্রিশ । তেমন বেশি নয় । ইতু নামের মেয়ে পাগল বলতে গেলে । তারপরও কোথায় যেন একটা বাধা । ভাল লাগে না শ্যামের । শ্যাম কোন বাধনে আটকা পড়তে চায় না । সে যে মুক্ত পাখি । উড়বেরাবে দেশ থেকে দেশান্তরে । কিন্তু বেধে ফেললে তো আর সে থাকবে না । খাচা তো তার জন্য নয় । সে তাহলে বাধনে কেন জড়াবে ।

তবুও হঠাৎ করেই কাউকে ভাল লেগে যায় । বুকের ভেতর রেলগাড়ি ঝনঝন শুরু হয় । লীলা । হ্যা হয়ত এই সেই । তবে সে কি পারবে । প্রথম বারের মত ভয় পায় শ্যাম । কই আগে তো এমন হয়নি । চোখে চাহনি আর ইশারাতে যেকাউকে সে ধরাশায়ী করতে পারত । ভবঘুরে জীবনে সে বহুবার এমন করেছে । তখন মনে হয়নি এমন হবে । তাহলে আজ কেন এমন হচ্ছে । তবে এটাই কি প্রেম? এটাই কি ভালবাসা?

এতখন বলছিলাম শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত “ঘুনপোকা” বইয়ের কথা । বইটা এক ভবঘুরে ছন্নছাড়া মানুষ কে নিয়ে লেখা । তার প্রতিটি ঘটনা এবং কর্মকান্ড গুলোর একটা সম্মিলিত রুপ । ভব ঘুরে মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্ম গুলো কেমন হতে পারে বা হয় সেটাই বলা হয়েছে । আবার তাদের চিন্তাভাবনা গুলো কে তুলে ধরা হয়েছে কিভাবে তাদের চিন্তা শক্তি কাজ করে ।

বইটা বেশি বড় নয় । তবে আমার মনে হয় লেখক এটা জাস্ট লিখে ফেলার জন্য ই লিখেছেন । এর ভাষা অনেক কঠিন । বলা যায় বুঝতে সময় লাগবে । কারন লাইন গুলো অনেক ভারী ভারী করে লেখা ।

বইটা লেখক কেন লিখলেন বা কি অনুভূতি হয়েছিল সেটা বুঝতে পারছি না । আমার মনে হয় । উনি লিখতে বসেছিলেন অন্য কিছু সেটা এভাবে বেরিয়ে এসেছে । তবে বইটা শুরু ও শেষ হয়েছে হঠাৎ করেই । মনে হচ্ছে বড্ড তারাহুড়া করেছেন ।

তবে বইটা সবার জন্য নয় । কারন এর সাহিত্য ভাব অনেক গভীর । আমার নিজের ই কষ্ট হয়েছে পড়তে । যদি কেউ চান তবে পড়তে পারেন । তবে বেশি আশা না রাখাই ভাল । ধন্যবাদ ।

বইঃ ঘুনপোকা
লেখকঃ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: বহু বছর আগে পড়েছি বইটি।
ভালো লেগেছে বইটি।
আপনার রিভিউ পড়ার পর বইটা আরেকবার পড়ার ইচ্ছা জাগলো।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অনেক বানান ভুল।

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আবার পড়বো। সুন্দর রিভিউ।

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:২৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ঘুনপোকা পড়েছি আমার কৈশোরে, কিন্তু এটা যে শীর্ষেন্দুর প্রথম উপন্যাস জানা ছিল না

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০১

কোলড বলেছেন: Unfortunately, the best work by Shirsendu was his first novel. What he wrote later was mediocre at best. It is a curse for any writer if his/her first creation is the best one!

৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
সবসময় এটি প্রিয় বইয়ের তালিকায়- আপনার রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো।
যদিও শীর্ষেন্দুর দূরবীন সবচে বেশিবার পড়া হয়েছে।

৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: হ্যালো ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.