নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
সপ্তাশ্চর্য সম্পর্কে সবার ই মোটামুটি ধারণা আছে। পৃথিবীর সাতটি আশ্চর্য যা মানুষকে মুগ্ধ করেছে এর নির্মাণশৈলী, ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং এর ঐতিহ্যের দ্বারা। তবে তার আগে আমরা জেনে নিব সপ্তাশ্চর্যের যুগ কয়টি।
.
সপ্তাশ্চর্য মুলত তিনটি যুগে বিভক্ত ছিল। সর্বসেষ ২০০৭ সালে নতুন ভাবে সপ্তাশ্চর্য ঘোষণা করা হয়।
.
প্রথম যুগ ছিল - প্রচানী যুগ
১। গিজার মহা পিরামিড
২। ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান
৩। আর্টেমিসের মন্দির
৪। অলিম্পিয়ার জিউসের মূর্তি
৫। রোডস এর মূর্তি
৬। আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর
৭। হ্যালিকারণেসাসের সমাধি মন্দির
দ্বিতীয় যুগ - মধ্যযুগ
১। আগ্রার তাজমহল
২। আলেকজান্দ্রিয়ার ভূগর্ভস্থ সমাধি
৩। চীনের প্রাচীর
৪। ইংল্যান্ডের স্টোনহেঞ্জ
৫। রোমের বৃত্তাকার মঞ্চ
৬। নানকিনের চিনামাটির মিনার
৭। সেন্ট সোফিয়ার মসজিদ
তৃতীয় যুগ - বর্তমান যুগ
১। চীনের প্রাচীর.
২। পেত্রা
৩। ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার
৪। মাচু পিচ্চু
৫। চিচেন ইৎসা
৬। কলোসিয়াম
৭। তাজ মহল
তো তিন যুগের সপ্তাশ্চর্য তো দেখা হল। এখানে উল্লেখ যে সবশেষে অনারারি হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে "গিজার পিরামিড"।
.
এখানে নতুন সপ্তাশ্চর্য নিয়ে কথা বলব। কারণ বির্তকের শুরুটা এখানেই হয়েছে। অনেকেই এই সপ্তাশ্চর্য নির্ধারনে বলেছেনে এখানে সঠিক ভাবে নির্ণয় করা হয়নি। এছাড়া ঐতিহাসিক ভাবে কিছুটা পক্ষপাতিতের অভিযোগ রয়েছে। তবে সব কিছু ছাড়িয়ে বির্তকের জন্ম দিয়েছে ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার । আসুন কেন এই বির্তক সেটা দেখে নেই।
.
বর্তমানের যে সব সপ্তাশ্চর্য রয়েছে সেগুলো নির্মান কালের দিকে একবার তাকিয়ে দেখি চলুন।
.
চীনের প্রাচীরঃ খ্রিস্টপূর্ব ৫ম - ১৬শ শতাব্দী। গবেষকরা এও বলেছেন যে এই প্রাচারী এক রাজার আমলে বানানো সম্ভব হয়নি। এছাড়া এর সাথে রক্তক্ষয়ী ইতিহাসও রয়েছে। বলা হয় প্রাচীর তৈরি সময় মাটির নিচে অনেক মানুষকে কবর দেয়া হয়েছে।
পেত্রাঃ অজানা (উইকি)। তবে বই থেকে জানা যায় যে, আনুমানিক ২০০০ বছর আগে সম্ভবত ৩২১ পূর্বাব্দ সময়ে এই নগরীর প্রতিষ্ঠা পায়। ১৮১২ সালে এই নগরী আবিস্কৃত হয়। এই নগরীটি বর্তমানে জর্ডানের অন্তরভুক্ত।
মাচ্চু পিচ্চুঃ ১৪৫০ খ্রিষ্টাব্দ। ইনকা সভ্যতার স্বর্ণযুগে ১৪৫০ সালের দিকে মাচু পিচু নির্মিত হয়। কিন্তু তার ১০০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এটি পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে। বর্তমানে এটি পেরুতে অবস্থিত।
চিচেন ইৎসাঃ ৬০০ খ্রিষ্টাব্দ। প্রাক-কলম্বিয়ান সময়ের মায়া সভ্যতার একটি বড় শহর ছিল । এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটি মেক্সিকোর ইউকাতান রাজ্যের তিনুম পৌরসভায় অবস্থিত ।
কলোসিয়ামঃ ৮০ খ্রিষ্টাব্দ। ইতালির রোম শহরে অবস্থিত একটি বৃহৎ উপবৃত্তাকার ছাদবিহীন মঞ্চ। ৫০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এই মঞ্চ সাধারণত গ্ল্যাডিয়েটরদের প্রতিযোগিতা এবং জনসাধারণের উদ্দেশ্যে কোন প্রদর্শনীর জন্য ব্যবহৃত হত। এর সাথে সম্রাট নিরোর একটা গভীর সম্পর্ক আছে।
তাজমহলঃ ১৬৪৮ খ্রিষ্টাব্দ। ভারতের উত্তর প্রদেশে আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধি। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম যিনি মুমতাজ মহল নামে পরিচিত, তার স্মৃতির উদ্দেশে এই অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন।
ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারঃ ১৯২২ - ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দ। ব্রাজিলের, রিউ দি জানেইরুতে যিশু খ্রিস্টের একটি মূর্তি যা বিশ্বের বৃহত্তম আর্ট ডেকো মূর্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মূর্তিটি তার স্তম্ভের ভিত্তি ৮ মিটার (২৬ ফু) ছাড়া, ৩০ মিটার (৯৮ ফু) লম্বা এবং তার দুই পাশে প্রসারিত এক একটি হাতের দৈর্ঘ্য ২৮ মিটার (৯২ ফু)।
.
তো আমরা সব গুলো সপ্তাশ্চর্যের নির্মান কাল পেলাম। ভাল ভাবে খেয়াল করে দেখুন এখানে সব গুলো আশ্চর্য ১৭০০ এর আগের। শুধু মাত্র ক্রাইস্ট দ্যা রিডিমার ছাড়া। এটি বিংশ শতাব্দিতে তৈরি হয়েছে।
.
এখান প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে সপ্তাশ্চর্য যখন নির্ধারণ করা হয় তখন কি হয়েছিল? এটা সবার প্রশ্ন তবে কিছু কিছু জায়গাতে যা উল্লেখ রয়েছে সেগুলো বর্ননা করছি।
.
অনেক সাংবাদিক বলেছেন অনলাইন ভোটাভুটি সঠিক হয়নি। এমন কি এর প্রমানও পাওয়া গিয়েছে। কারণ তখন একজন মানুষ পাচটি দশটি ভোট দিয়েছেন। এভাবে নির্ধারণ করা হয়নি যে একজন একবার ই ভোট দিতে পারবেন। তাছাড়া যাদের বিচারক হিসেবে রাখা হয়েছিল তারাও অনেক নাকি পক্ষপাত করেছেন। আবার বলা হয় শুধু ক্রাইস্ট নয় তাজমহল কেও রাখা হয়ত না। কিন্তু কোন এক কারণে রাখা হয়েছে।
কাকতালীয় হলেও ব্যাপারটা সত্যি যে তাজমহলের চেয়েও অনেক গুলো স্থাপত্য রয়েছে যার ইতিহাস অনেক বেশি সমৃদ্ধ। যা সপ্তাশ্চর্যে জায়গা পাবার জন্য একদম সঠিক।
এখানে রিডিমার কে নিরপেক্ষ অন্য দিক থেকে বলা যায় না। কারণ ইতিহাস বিদেরা মনে করেন বিংশ শতাব্দীতে আধুনিকায়নে এটি তৈরি হয়েছে। এর পিছনের গল্পটাও খুব একটা জোরাল নয়। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তৈরি করা। তার চেয়ে পৃথিবীতে আরও রহস্য লুকিয়ে আছে।
আমি দুটি জায়াগার কথা বলব পরোলোকের টেরাকোটা বাহিনী এবং পুমাপুঙ্কু-ভিনগ্রহী সভ্যতা । গুগল করে দেখতে পারেন। বিশাল ইতিহাস চলে আসবে কিন্তু এরা আসেনি সপ্তাশ্চর্যের তালিকায়।
.
এছাড়া আরও দুটো আছে । একটি আমাদের সবার পরিচিত স্টেনহেঞ্জ (এর ছবি আমরা আগে উইন্ডোজ এর ওয়াল পেপার হিসেবে পেতাম) এবং অপরটি হচ্ছে রহস্যমন্দির আঙ্গকর ওয়াট।
এখানে আঙ্গকর ওয়াট হিন্দুদের জন্য বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ন কারণে এটি হিন্দুদের সর্বোচ্চ মন্দির যার অবস্থান ভারত নয় কম্বডিয়াতে।
.
অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে, তাই শেষ করব। তবে আমার কাছে "আশ্চর্য সাত" বইটি পড়ার পর মনে হয়েছে। সত্যিকার অর্থে সপ্তাশ্চর্যের ক্ষেত্রে অনেক খানি পক্ষপাতিত করা হয়েছে।
.
ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। নিরাপদে থাকুন।
.
তথ্যসুত্রঃ উইকি, বই- আশ্চর্য সাত
২| ২২ শে মে, ২০২০ রাত ১১:১৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দরবন আমাদের আশ্চর্য জিনিস
৩| ২২ শে মে, ২০২০ রাত ১১:১৯
শায়মা বলেছেন: সপ্তাশ্চর্য্যের পর অষ্টাশ্চর্য্য, নবমাশ্চর্য্য হলে কি অসুবিধা ছিলো?
৪| ২৩ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৫৫
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: অনেকেই বলতে কি বুঝায়? বেশিরভাগ নাকি কম সংখ্যক।
৫| ২৩ শে মে, ২০২০ রাত ১:০২
নতুন বলেছেন: অনলাইনে ভোট নিলে বেশি ভোট তো অনেকেই দেবে।
আর যদি সপ্তাশ্চষে` সব না আসে তবে দশটা নিলেই হয়।
এমন লিস্টিতে মানুষ সেইগুলি দেখতে যেতে চায় ফলে পয`টনের প্রচারনা বাড়ে তাই এমন লিস্টি বানানো হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মে, ২০২০ রাত ১১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: সল সপ্তাশ্চর্য তো ইন্টারনেট, মোবাইল, কম্পিউটার।