নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতি আর শৈশবের সত্যজিৎ - যখন ছোট ছিলাম

০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৫৪







রায়, সত্যজিৎ রায়। শুরুটা একটু আধুনিক ভাবেই করা যায়। অনেকটা বন্ড, জেমস বন্ড এর মত শুরু করলাম। রায় সাহেব কে নিয়ে নতুন ভাবে কিছু বলার নেই। তিনি এক এবং অদ্বিতীয়। তিনি তার কর্ম দিয়ে প্রমাণ করে গিয়েছেন তিনি কি ছিলেন। তার কাজের ধারা এবং চিন্তা সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ কে অবাক করে। কারণ তখনকার সময় চিন্তা করলে এমন অনেক কিছু বের হবে যা এক প্রকার অসম্ভব ছিল। কিন্তু তিনি করেছেন।
.
তাহলে এই যে এই মানুষটি, জানতে তো ইচ্ছে হতেই পারে তার শৈশব ক্যামন ছিল। বলা যায় বিখ্যাত মানুষের শৈশব থেকে মৃত্যু সব কিছুই একটা জানার বিষয়। কেমন ছিল তাদের জীবন। শৈশবের স্মৃতি কতটুকুই বা তিনি মনে করে রাখতে পেরেছিলেন। তার শৈশবের মানুষ গুলো কেমন ছিল।
.
তার ছেলেবেলাটা হিংসে করার মত। কেন তা একটু পরেই বলছি। সুকুমার রায় তার বাবা। এটা সবাই জানি। কিন্তু তিনি বাবাকে হারিয়েছেন খুব ছোট বয়সে। বাবার সাথে তার স্মৃতি খুব বেশি মনে করতে পারেন না। তার আসে পাশের মানুষ গুলো এবং তার মাকে ঘিরেই তার শৈশবের স্মৃতি। তার মায়ের স্মৃতি তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে।
.
সত্যজিৎ নামটা শুনলে পথের পাঁচালী, অপরাজিত, অপুর সংসার থেকে ফেলুদা সব কিছু যেন সাজানো। মনে হবে যেন ওনার জীবনটাই একটা পুরো সিনেমা। উনি নিজেই যেন বেড়ে উঠেছেন এভাবে যে পরবর্তিতে উনি হবে বাংলা সিনেমার পথ প্রদর্শক।
বলছিলাম ওনার ছেলেবেলাটা ছিল হিংসে করার মত। এর কারণ ওনার চারপাশে সবাই বিখ্যাত মানুষ। ওনার বাবা থেকে দাদা, মামা, কাকু সবাই এক একজন বিখ্যাত মানুষ। সবাই কোন না কোন জায়গাতে নিজের নাম প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যার যার জায়গাতে সবাই নিজেদের কে প্রমাণ করে গিয়েছেন। আর হয়ত এটাই সত্যজিৎ কে অনুপ্রেরনা দিয়েছে। এটা শুধুই আমার মত। উনি নিজেই নিজেকে এই উচ্চতায় এনেছেন।
.
ছোট থাকা অবস্থায় উনি সব কিছুর অভিজ্ঞতা নিয়েছেন। মজার একটা বিষয় হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের সাথে দেখা করার পর তাকে একটা বেগুনী খাতা দিয়ে বলেছিলেন লিখে দিতে। পরে দু দিন পরে খাতা এনে যে লেখাটি পাওয়া গেল। তা হল –

“বহু দিন ধরে, বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি, বহু দেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা
দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দু পা ফেলিয়া
একটি ধানের শীষের উপর
একটি শিশির বিন্দু”


সত্যজিতের মায়ের সাথে তার একটি ছবি আছে। এটা ঘটনা সবাই জানে। তবুও বলছি। ছবিটি শাটার ক্যামেরার সাথে সুতা বেধে তার পর তোলা হয়েছে। এই যে ক্যামেরার অসাধারণ কারিকুরি হয়ত তিনি বলেই পেরেছেন। তখন থেকেই হয়ত তিনি যেনে গিয়েছিলেন ক্যামেরাই তাকে নিয়ে যাবে তার গন্তব্যে।
.
তার জীবনে সন্দেশের কথা না বললেই নয়। যদিও মাঝে কিছুটা সময় সন্দেশ বন্ধ ছিল। কিন্তু কেন সেটা তিনি ছেলে বেলায় বুঝতে পারেননি।
.
যদিও সবার ছোট বেলা এক হয় না হাসি কান্না আনন্দ বেদনা নিয়েই জীবন। তবে বিখ্যাত মানুষে জীবনের চারপাশ যে সেভাবে গড়ে ওঠে। যেন এটা নিয়তি অমোঘ নিয়ম। এভাবেই সত্যজিতে বেড়ে ওঠা। চারপাশের মানুষ ও তাদের জীবনের প্রতিচ্ছবি তার জীবনের এবং সিনেমার একটা অংশ হয়ে ছিল একটা সময়। তার ছেলেবেলার কিছু কিছু প্রতিচ্ছবি তিনি ক্যামেরায়ও ফুটিয়েছেন।
.
সত্যজিৎ রায়, মহারাজা তোমারে সেলাম।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০২১ রাত ১২:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: সত্যজিৎ ওস্তাদ লোক। দারুন প্রতিভাবান।

২| ০৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:০৮

স্থিতধী বলেছেন: উনি সুতো বেঁধে ক্যামেরায় যে ছবিটা তুলেছিলেন, আমার ধারণা সেটাই হয়তো দুনিয়ার প্রথম সেলফি ছিলো।

৩| ০৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:১২

আমি সাজিদ বলেছেন: জয় বাবা সত্যজিৎ

৪| ০৮ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২৬

সোহানী বলেছেন: সত্যজিৎ রায়, সুকুমার রায়, উপেন্দ্রকিশোর রায়...... পড়েই বড় হয়েছি। বাবা দারুন ভক্ত ছিলেন উনাদের সবার লিখার। যার কারনে বাসা ভর্তি বই ছিল সবার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.