নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

সময়ের ফাদে আটকে পরা এক ভ্রম - ইন্দ্রজাল ২ (বুক রিভিউ)

১০ ই মে, ২০২১ রাত ১:০৯







অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ এই তিনটি আমাদের সকলের কাছেই অজানা। মনে হতে পারে অতীতে তো আমরা জানি। যে চলে গিয়েছে সেটাই অতীত। যেটা এই সময়ে হচ্ছে সেটা বর্তমান এবং যা হবে সেটাই ভবিষ্যৎ। কিন্তু আসলে তা নয়। তিনটি সময়ের আলাদা আলাদা একটি ধার এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে সেটা সময় ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। আর এই সময়ের মধ্যেই মানুষের জীবন পরিলক্ষিত হয়।

প্লট/কাহিনী বিন্যাসঃ

“আমরা যেটাকে বর্তমান বলছি, সেটা হয়তো কারো কাছে অতীত; কারো কাছে ভবিষ্যৎ।’’

সায়মন তার নিজের সময়ে বর্তমান। সে নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। তবে তার জন্য কি অপেক্ষা করছে সে নিজেও জানত না। হঠাৎ করেই তার কাছে একদল মানুষ আসে একটি চিত্র নিয়ে এবং সেটি সম্পর্কে জানতে চায়। পরবর্তিতে জানা যায় যে সে মানুষটি একটি দেশের রাজকুমারী। কিন্তু সায়মন ঘুণাক্ষরেও টের পাইনি তার কারণেই সেই রাজকুমারীর কি পরিনতি হয়েছে।
.
সেই লোক গুলো সেই রাজকুমারীর ছবিটি একটি মিউজিয়াম থেকে নিয়েছে। সেখানে সে গিয়ে খোজ করতেই একটি সত্য আবিস্কার করে যে সে সিজারের স্ত্রী কালপূর্ণিয়ার চিত্র একেছে। কিন্তু সে কিছুতেই মনে করতে পারে না যে আসলে এটা কিভাবে হল। নানা প্রশ্ন তাকে কিছুটা বিচলিত করে তুলেছে। তবে প্রশ্নের উত্তর নেই।
.
এছাড়া তার দুঃস্বপ্ন গুলো বার বার ফিরে আসছে। কোন কিছুতেই সে দূর করতে পারছে না। অলিম্পাসে বসে দেবী আফ্রোদিতিও তাকে নিয়ে বেশ চিন্তিত। কিন্তু তার কিছুই করার নেই। সময় তার আপন গতিতেই চলবে। তবে কি বার বার যা হয়েছে তাই হবে। নাকি এবার কিছুটা ব্যতিক্রম কিছু হতে যাচ্ছে। সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। কারণ কর্মফলের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।
.
অপর দিকে দেবী আফ্রোদিতির সাথে পোসাইডন এবং তার বাবা জিউসের অনেকটাই সংঘর্ষ লেগে যায় সায়মন কে নিয়ে। জিউস বার বার না করে স্বত্ত্বেও আফ্রোদিতি তার বাধা উপেক্ষা করেও সায়মনে স্বপ্নে দেখা দিতে থাকেন। ওই দিকে পোসাইডন বলেই দিয়েছেন যে সে যা করবে সেটা তার কর্মফল।
.
সায়মন প্রশ্নের উত্তর খুজতে খুজতে সেই গ্রীসে আবার আগমণ ঘটে। তাকে এবার খুজে পেতেই হবে। কিন্তু সে আবারও সেই দুয়ার এবং সেই তীর বিদ্ধ কঙ্কাল খুজে পায়। কি করবে ভেবে পায় না। তার সবকিছু ঝাপসা হয়ে আসে।
.
অবশেষে তার কৌতুহলের কাছে সে ধরা দেয়। আবার তার আগমণ অতীতের সময় ঘটে। আর সময়টা – সিজারের। সায়মনের কিছু কিছু বিষয় মনে পরে তবে সেটা ঝাপসা আকারে। সব কিছু নিয়েই সে বিচলিত। আর ইসাবেলাকেও সে চিনতে পারে। তবে সেটা সে নিজের কাছেই গোপন রাখে।
.
এই দিকে ইতিহাস তার আপন গতিতেই চলতে থাকে। সেখানে ব্যতিক্রম আসে না। তবে কিছুটা পরিবর্তন আসে। সেটাও সায়মনের কারনেই। তবে এবার সে সর্তক থাকে। এর মাঝেই তার দেখা হয় সাধক মানিউখিনের সাথে। সায়মন তার প্রশ্নের উত্তর গুলো তার কাছে জানতে চায়। কিন্তু সেই সাধক তাকে জানায় যে সে যেন কোন কিছু অবহেলা না করে। তাকে যেন অসহায় না করে তোলে কোন কিছু। তাহলে তার পরিনতি ভাল হবে না।
.
এছাড়া সে আরও জানতে পারে যে সে নিজের সময় যে বার বার ফিরে পেতে চাইছে এর পরিনতি শেষ পর্যন্ত কি হতে পারে। তার বা ইসাবেলার পরিনতি কি হবে সেটা যেন পূর্ব নির্ধারিত।
.
তবে কি এবারও একই পরিনতি ঘটবে?
.
পাঠ প্রতিক্রিয়া/পর্যালোচনাঃ

মানুষ কৌতুহলী। তাদের কৌতুহল অনেক বেশি বলেই অনেক সময় নিজের বিপদ নিজেই ঢেকে আনে। তবুও কৌতুহল তো চেপে রাখা যায় না। “ইন্দ্রজাল – ২” বইটি ইন্দ্রজাল সিরিজের দ্বিতীয় বই। বইটিতে সায়মনের বার বার ফিরে আসা এবং তার পরিনতি নিয়েই দেখানো হয়েছে। সে যে কাল ভ্রমণ করছে তার শেষ কি হচ্ছে। দেব দেবী কি চাচ্ছেন তার কাছ থেকে। নাকি সে এই লুপের মধ্যেই আটকে আছে।
.
সায়মন এবার অনেকটাই সর্তক ছিল কিছু বিষয়ে। মৃত্যু থেকে ফিরে এসেছে কারণ ইতিহাস তার গতিতেই চলেছে। আর সেই ইতিহাসের অংশ সেও হয়েছে।
.
তবে সমস্যা হচ্ছে গল্পের পুরো প্লট আগের বইটির ঘটনা ধরে রেখেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আগের বইটির কথা গুলো অনেক উঠে এসেছে। যে কিছুটা হলেও বিরক্ত করেছে আমাকে। এজন্য কিছুটা স্কিপ করে গিয়েছি। আবার ঘটনার সামঞ্জস্যতার জন্য এটা দরকার ছিল না হলে পাঠক বুঝতে পারবে না কোন ঘটনার সাথে কোনটির মিল রয়েছে। তবে লেখিকার দূরদর্শিতাকে আসলেই ধন্যবাদ দিতে হবে কারণ তিনি গল্পটিকে পরে যেতে দেননি। প্রতিটি লাইন খুব গুছিয়ে ভেবে লেখা হয়েছে। এটা বলতেই হবে।
.
কিন্তু এবারও তিনি সায়মনের সাপোর্টিং কে দুর্বল করে রেখেছিলেন। এবার কিছুটা স্ট্রং রাখা যেতো। বিশেষ ভাবে ইসাবেলার চরিত্রকে। যদিও সময় পরিবর্তন হয়নি। তবে চরিত্র তো একটু স্ট্রং করাই যায়। সেটা হলে ভাল ই হতো।
.
এছাড়া যে বলার হচ্ছে বইটির শেষাংশ। এটা নিয়ে আমার অনেক কিছু বলার ছিল কিন্তু বলতে পারছি না। শেষ হয়েও যেন হল না। রহস্যটা পাঠকের জন্য রেখে দেয়া এটা এক হিসেবে ঠিক আছে। নিজের মত করে শেষ করে নেয়া যায়। তবে কষ্টও লাগে। এভাবে শেষ না হলে ভাল হতো । আবেগপ্রবণ মানুষ হিসেবে কিছুটা কষ্টের বলতেই হচ্ছে। কারণ এখান বলে দেই যে, আমি হাসতে ভালবাসি। হাসি আমার জীবনের একটা অংশ। তাই আমি নিজের মত করে একটা শেষ ধরে নিয়েছি।
.
যদি এর পরের কোন পার্ট আসে তবে আশা করি সেভাবেই শেষ হবে যেভাবে ভেবেছি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:১১

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম রুপকথার বই পড়তে মজা। কিন্তু এরকম বই মাথায় দীর্ঘস্থায়ী হয় না।

২| ১০ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৫৭

শায়মা বলেছেন: অপুভাইয়া

তুমি অনেক বই পড়ো বুঝাই যায়।

এই বইটার নামাকরণ দারুন। আমার পছন্দ হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.