নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

কলকাতার যা কিছু প্রথম - পূর্ণেন্দু পত্রী

২৪ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৩







সব কিছুর প্রথম নাকি সুন্দর হয়। আবার বলা যায় প্রথম ব্যাপারটি একটু বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ন হয়ে থাকে। পৃথিবীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত প্রথম স্থান দখল করেছে অনেক কিছুতেই। সব গুলো বিশেষ স্থান না পেলেও কিছু কিছু বিষয় ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে রয়েছে। এই যেমন বলা যায় মানুষের চাদে অবতরন।

এটা নিয়ে তর্ক বিতর্ক আলাদা করে রাখে ভেবে দেখুন তো প্রথম বার মানুষ চাদে পা রেখেছে, যা স্বপ্নেও হয়ত অনেকে ভেবে দেখেনি। এখন তো মানুষ মঙ্গলে থাকার পরিকল্পনা করছে। যাক সেসব কথা, তবে আমাদের ইতিহাসের একটা অধ্যায় হচ্ছে এই ভারতবর্ষ বিশেষ ভাবে কলকাতা। কলকাতাকে ঘিরে অনেক ইতিহাস লেখা হয়েছে আবার হবে। তবে কলকাতার ইতিহাসের প্রথম মানে এখানে প্রথম হয়েছে এমন কিছু নিয়ে লেখা হয়েছে “কলকাতার প্রথম” বইটি, লিখেছেন পূর্ণেন্দু পত্রী
.
ইতিহাসের পাতায় কলকাতার নাম এসেছে বহুভাবে। কলকাতা জুড়ে রয়েছে ইতিহাস আর বিশেষ ভাবে বাঙালিদের ইতিহাসের সাথে কলকাতার নাম জড়িয়ে আছে সর্বাজ্ঞ ভাবে। যতদূর ইতিহাস ও গবেষকরা মনে করেন ১৬৯০ সালের ২৪ শে আগস্ট নাকি কলকাতার জন্ম হয়েছিল। যদিও এ নিয়ে বিস্তর মতভেদ রয়েছে। তা সেই ইতিহাস আজও জমে রয়েছে কলকাতার অলিতে গলিতে।

যাঁরা সেই ইতিহাস সন্ধানে আগ্রহী তাঁদের রসদের অভাব ঘটার কথা নয়। আছেন শ্রী রথীন মিত্র, হরিপদ ভৌমিক, বিনয় ঘোষ, শ্রীপান্থ প্রমুখ দিকপাল গবেষক-লেখকরা। এঁদের লেখায় যে কলকাতাকে পাই, সে 'বড়োদের কলকাতা'। ঠিক তেমনি, ছোটোরাও যাতে এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলতে পারে গোটা কলকাতাকে, এক দৌড়েই তাদের চেনা হয়ে যায় পুরোনো শহরটাকে,সেই তাগিদ থেকেই কলকাতা নিয়ে কম করে আটটি বই লিখেছিলেন পূর্ণেন্দু পত্রী।
.
এই বই গুলো হচ্ছে কলকাতার রাজকাহিনী,পুরনো কলকাতার পড়াশোনা, ছড়ায় মোড়া কলকাতা, কী করে কলকাতা হলো, এক যে ছিল কলকাতা, জোব চার্নক যে কলকাতায় এসেছিলেন, কলকাতার গল্পসল্প, কলকাতার প্রথম। আমি যদিও এদের মধ্যে মাত্র দুটি পড়েছি। একটি কলকাতার রাজকাহিনী ও অপর এই কলকাতার প্রথম। যেই বইটি নিয়ে এখন লিখছি। তবে বাকি গুলো সংগ্রহ করব। সেসব পরের কথা। আপাতত বই নিয়ে আলোচনা করা যাক।
.
“কলকাতার প্রথম” বইটি ছোট বলে মোটেও ছোট নয়। বইটি তথ্য ভান্ডারে ভরপূর। ছোট বইটিতে গল্পের মাধ্যমে লেখক তুলে এনেছেন কলকাতার ইতিহাস। কলকাতার ইতিহাসের প্রথম বই থেকে শুরু করে প্রথম কংগ্রেস সভাপতি। সেই সাথে সার্কাস থেকে শুরু করে নাট্যশালা। আবার আমরা দেখতে পাই পলাশীর যুদ্ধের আগে ও পরের কলকাতাকে।

লেখক তার কলমে কলকাতার তখনকার অবস্থার বর্ণনা যেমন সাবলীল ভাবে করেছেন তেমনি দেখিয়েছেন তখনকার সমাজ ব্যবস্থার। তুলে এনেছেন তখনকার কুসংস্কার ও অন্ধকারাচ্ছন সময়কে। আমরা একই সাথে দেখতে পাই কিছু মানুষ যারা সমাজের বিশেষ ভাবে বাঙালি সমাজের মধ্যে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছেন, ঠিক অপর দিকে তাদেরই বিরোধীতা করছে সেই বাঙালি সমাজের একাংশ।
.
এই বইটি থেকে একটা মজার তথ্য হচ্ছে আমি স্কুলে পড়ার সময় বাংলার প্রথম পত্রিকা নিয়ে পড়েছিল “সমাচার দর্পন” এবং “বাঙ্গালা গেজেট” দুটোই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কোনটি প্রথম এই নিয়ে বির্তক রয়েছে। এখনও বিতর্ক আছে কিনা সঠিক ভাবে আমার জানা নেই। তবে পূর্ণেন্দ পত্রীর তথ্য অনুযায়ী প্রথম বাংলা পত্রিকা হচ্ছে “বাঙ্গালা গেজেট”। এ সম্পর্কে বলা যায় যে পত্রিকাটি একজন বাঙালি প্রকাশ করেছিলেন। অপর দিকে “সমাচার দর্পন” মিশনারীরা বের করেছিল। এই নিয়ে বিতর্ক থাকুক। চলুন অন্য দিকে দেখা যাক। সেটা হচ্ছে বাংলার সাহিত্য, আবার বলা যায় প্রথম উপন্যাস কোনটি বাংলার।
.
টেকচাঁদ ঠাকুরের নাম আমরা কতজন শুনেছি। এটা প্যারীচাঁদ মিত্রের ছদ্মনাম। তিনি বাংলার প্রথম উপন্যাস “আলালের ঘরের দুলাল” লিখেছেন। এক্ষেত্রে আমরা যাকে সাহিত্য সম্রাট বলি সেই বঙ্কিমচন্দ্র বলেছেন যে, তিনি প্রথম দেখিয়েছেন আমাদের কাছেই অনেক উপাদান রয়েছে লেখার মত। আমাদের ধার করার কোন দরকার নেই। এর কারণ ছিল এই উপন্যাসের আগে সব কিছুই ইংরেজি বা সংস্কৃত থেকে নিয়ে লেখা হত বা অনুবাদে করা হত।
.
এছাড়া প্রথম স্কুল, প্রথম বাগান সব কিছুর ইতিহাস উঠে এসেছে এই বইটিতে। বইটিতে এত তথ্য একেবারে নেয়াটা কিছুটা কষ্টসাধ্য তবুও লেখকের লেখনিতে তার কোন ছাপ নেই। দারুন ভাবে সব কিছু গুছিয়ে লিখেছেন।।

বইটি যদিও মনে হবে ছোটদের তবে এটা পড়ার পর মনে হচ্ছে অনেক কিছুর ইতিহাস এখনও জানা হয়নি। তবে এটা বলতে পারি বাঙালির ইতিহাসে কলকাতার গুরত্ব অনেক বেশি। প্রথম বই থেকে শুরু হয়ে নাটক, নাট্যশালা, সার্কাস থেকে প্রথম সিভিলিয়ান সব কিছুকেই ঘিরে আছে কলকাতা। আর লেখক সেসব তুলে এনেছেন ইতিহাসের পাতা থেকে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



কলকাতায় ১ম স্কুল কোন জাতি করেছে?

২৪ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:

বই অনুযায়ী কলকাতার প্রথম স্কুল সেটা সম্ভবত হেয়ার স্কুল। ১৮২৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর ১৮৪৮ সালে মেয়েদের একটা স্কুল তৈরি করা হয় যা বেথুন কলেজ নামে পরিচিত।

২| ২৪ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




নামটা কি হেয়ার স্কুল, নাকি "সেইন্ট থমাস"?

২৪ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


আমি দুঃখিত।

হেয়ার স্কুল হচ্ছে প্রথম ইংরেজি স্কুল। ডেভিড হেয়ার এই স্কুলের উদ্যোগতা ছিলেন। আর স্কুল হিসেবে সেইন্ট থমাস প্রথম স্কুল। উইকি মতে এই স্কুলটি ১৭৮৯ প্রতিষ্ঠিত হয়।

৩| ২৪ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৫১

শোভন শামস বলেছেন: অনেক কিছু জানার আছে, ধন্যবাদ

৪| ২৫ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: 'কলকাতার যা কিছু প্রথম' বইটার নাম অনেক শুনেছি। কিন্তু পড়া হয়নি। তবে পড়বো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.