নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুরে এলাম কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ ও গুরুদায়াল কলেজ

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৪০



বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্য গুরুদয়াল সরকারী কলেজ একটি। আমি সম্ভবত স্কুলে থাকতে এই কলেজের নাম শুনেছিলাম। কিন্তু কোন এক কারণে মনে নেই কিসে শুনেছি বা পড়েছি।

যখন কিশোরগঞ্জ ঢুকলাম মনে পরল আরে গুরুদয়াল কলেজ তো এখানেই। যদি সম্ভব হয় এর সামনে একটা ছবি তুলতে হবে। কিভাবে জানি কলেজের সামনে চলে এসেছি। ভাবলাম একটা ছবি নেয়া যাক৷

বাংলাদেশের পুরাতন ও বিখ্যাত কলেজ এটি। যদিও পুরাতনের দিক থেকে হয়ত অনেক পিছিয়ে থাকবে তবুও কলেজটি এই বছর তার ৮০ তম প্রতিষ্ঠা পালন করছে বা করবে। কারণ এটি প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৪৩ সালে৷

মজার ব্যাপার হচ্ছে গুরুদয়াল মহাবিদ্যালয় এর স্থাপিত সন লেখা ছিল ১৩৪৯। ব্যাপারটা বেশ ভালো ছিল আমার সাথের ভাই দেখেই বলল ভাই এইটা কত আগের দেখছেন। আমি বলেছি এটা বাংলা সন।

বাংলা সন লেখার আইডিয়াটা খারাপ না। ইংরেজির পাশাপাশি এটাও লিখে রাখা উচিত।

যাইহোক প্রচুর রোদ থাকার কারণে গুরুদয়াল কে বিদায় জানালাম। সেখানে আর দাড়াইনি। যেতে যেতে পিছন ফিরে একবার দেখে নিয়েছি বাংলাদেশের অন্যতম পুরাতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেখানে জন্ম হয়ে অনেক বিখ্যাত মানুষের।



বাংলাদেশে মসজিদের সংখ্যা এখন কত মানে বর্তমান সংখ্যা কত হবে সেটা বলা মুশকিল। কারণ এখন একই গলিতে দুই তিনটা মসজদিও থাকে৷ কিন্তু একটা সময় এমন ছিল না।

বাংলাদেশে পীর আউলিয়ার অভাব নেই। সব জায়গাতেই কোন না কোন পীর আউলিয়া আছেন। যারা একটা সময় মানুষের কল্যানে কাজ করেছেন। তাদের কথা ভেবে অনেক কিছু করে গিয়েছেন। তেমনই একটা মসজিদ হচ্ছে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ।
কিশোরগঞ্জ গিয়েছেন কিন্তু পাগলা মসজিদ ঘুরতে যাননি তবে এমন কাউকে পাওয়া যাবে না আমার মনে হয়৷ পাগলা মসজিদের নাম শুনে আমারও ইচ্ছে হল। তাই নিকলী ঘুরতে যাবার আগেই পাগলা মসজিদ ঘুরতে গেলাম।

এই মসজিদ নিয়ে অনেক জনশ্রুতি আছে। বলা যায় মিথ হিসেব এই মসজিদের ইতিহাস অনেক। তবে কিছু কিছু জনশ্রুতি অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়।



কিশোরগঞ্জ সদরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত এই মসজিদ। তিন তলা বিশিষ্ট মসজিদটিতে একটি সুউচ্চ মিনার রয়েছে। মসজিদ কমপ্লেক্সটি ৩ একর ৮৮ শতাংশ জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত। ১৯৭৯ সালের ১০ মে থেকে ওয়াকফ্ স্টেট মসজিদটি পরিচালনা করছে।

এই মসজিদের নামকরণের জনশ্রুতি আছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক হয়বতনগর জমিদার বাড়ির ঈসা খানের বংশধর দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর ‘পাগলা সাহেব’ নামক একজন আধ্যাত্মিক ব্যক্তি নরসুন্দা নদীর তীরে বসে নামাজ পড়তেন। পরবর্তীতে স্থানটিতে মসজিদটি নির্মত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারে মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়।

অপর দিকে আবার শোনা যায় পাগলা সাহেব’ খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর মধ্যস্থলে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদের কাছে উপস্থিত হন এবং তাকে ঘিরে আশেপাশে অনেক ভক্তকূল সমবেত হন। তার ইবাদত-বন্দেগির জন্য দেওয়ান পরিবারের পক্ষ থেকে পাগলা সাহেবের নিজের পছন্দের স্থান নরসুন্দা নদীর মাঝখানে টিলার ওপর একটি টিনের ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়। ওই ঘরটি পরবর্তীতে ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

এছাড়া অনেকেই আবার বলেন যে তৎকালীন কিশোরগঞ্জের হয়বতনগর জমিদার পরিবারের এক নিঃসন্তান বেগমকে জনগণ ‘পাগলা বিবি’ বলে ডাকত। দেওয়ানবাড়ির এ বেগম নরসুন্দার তীরে স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে একটি মসজিদ নির্মাণ করলে ‘পাগলা বিবির মসজিদ’ নামে পরিচিতি পায়।

যেটাই হোক না কেন, মসজিদের স্থাপত্যশৈলীতে এর প্রভাব পরেনি। মসজিদটি তিন গম্বুজ এর সাথে একটি সুউচ্চ মিনার রয়েছে। যা দূর থেকেই পরিলক্ষিত হয়৷

পাগলা মসজিদটি শুধু ইসলাম ধর্মাবলম্বীর কাছে নয়, বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও এর আশেপাশের অঞ্চলে সব ধর্মাবলম্বীর কাছে অত্যন্ত পবিত্র ধর্মীয় স্থান হিসেবে পরিগণিত। এই মসজিদে মানত কিংবা দান খয়রাত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়- এমন বিশ্বাস থেকে বিভিন্ন বয়সী হিন্দু-মুসলিমসহ নানা ধর্ম-বর্ণের নারী-পুরুষ মানত নিয়ে এখানে আসেন।

তবে যে যাই মানত করুক বা দান করুক। মসজিদের কারণেই জায়গাটি এখন অনেক বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে। কিশোরগঞ্জ গেলে পাগলা মসজিদ ঘুরে আসতে পারেন৷

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু দ্যা গ্রেট,



এতোদিন কোথায় ছিলেন ? ওয়েলকাম ব্যাক।

কিশোরগঞ্জ ঘুরে এলেন বটে কিন্তু মাঝেমাঝে ব্লগ ঘুরে গেলে ক্ষতি কি ?

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৫৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আমি ব্লগে এসেই আপনার মন্তব্য পাবো এটা ভাবিনি। কেউ মনে রেখেছে এটাও ভাবিনি।

আসলে সব কিছু মিলিয়ে জীবনের উপর দিয়ে কিছু ঝড় চলে গিয়েছে। এই দিকে ব্লগের নিক, ইমেইল ভুলে বসে ছিলাম। তবে সামুর টিমের সহায়তায় আবার সব ফিরে পেলাম।

এবার থেকে নিয়মিত থাকব।

আপনি ভালো আছেন?

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৫৭

আরোগ্য বলেছেন: আপনার পোস্ট দেখে লগইন করলাম। সত্যি বলতে দু এক দিন আগেই আপনার কথা মনে হয়েছিল, আর আজকে আপনার পোস্ট। অনেক দিন পর ব্লগে এলেন, আশা করি ভালো আছেন।

মনে হয় আপনি ঘোরাঘুরি করে ব্লগে আসার সময় পান না। আমার অত ঘোরাফেরা পছন্দ না তাই ঘুরেফিরে সামুতেই আসি। :)

১০ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:০৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
ধন্যবাদ।

আসলে জীবনের চাকা এমন ভাবে ঘুরে গিয়েছিল যে উঠে দাড়াতে একটু সময় লাগল। নতুন ভাবে আবার শুরু করতে হচ্ছে। তাই ব্লগে আসিনি। এছাড়া লগইন আইডি পাস সব ভুলে বসে ছিলাম।

আশা করি এখন থেকে নিয়মিত আবার ব্লগে আসতে পারব।

ধন্যবাদ ভাই।

৩| ১০ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:২২

কামাল১৮ বলেছেন: কিসের ছবি দেখালেন কলেজের, না মটর বাইকের।শেষের ছবিটা খুবই সুন্দর হয়তো মোটর বাইক নেই বলে।

১০ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:

যেহেতু বাইকে ঘোরা বেশি হয় তাই। যেখানেই যাই সেখানে এটার সাথেই ছবি তোলা হয়।

৪| ১০ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:০২

অহরহ বলেছেন: অনেক কিছু জানা গেল। ধন্যবাদ ভাইয়া.........।

১০ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:

আপনাকেও স্বাগতম

৫| ১০ ই আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৬:০৮

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: কিসের ছবি দেখালেন কলেজের, না মটর বাইকের।শেষের ছবিটা খুবই সুন্দর হয়তো মোটর বাইক নেই বলে।

১০ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


আমার একটা সময় ছিল না। এখন হয়েছে।

৬| ১০ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:২৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: শেষের ছবিটি কিন্তু চমৎকার হয়েছে। আর আপনার প্রমোশন হয়েছে দেখে ভালো লাগলো, সাইকেল ছেড়ে বাইক। B-)

১০ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:

সেটা অবশ্য ভালো বলেছেন। এটাকে এক প্রকার প্রমোশন বলা যায়।

৭| ১০ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


পাগলার দানবাক্স ফেলে এসেছেন কিছু?

১০ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


এই দান বাক্সে কিছু ফেলিনি। এছাড়া এটাতে এমনইতেই লোকজন দিয়ে ভরে রাখে। তেলা মাথায় আমি তেল দেই না।

৮| ১০ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

শায়মা বলেছেন: গুরুদয়াল কলেজের কথা মনে হয় প্রথম শুনলাম তবে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।

১২ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:১৩

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:

গুরু দয়াল বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত ও পুরাতন কলেজের একটি।

৯| ১১ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১৯৯৬ সালে এই কলেজের পাশে একটা হোটেলে ১ মাস ছিলাম।

১২ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:১৩

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
স্কুলে পড়ার সময় এই কলেজের নাম শুনেছিলাম।

১০| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




কিশোরগঞ্জ নামটি দেখে এখানে এলাম ।
কিশোরগঞ্জের প্রতি আমার একটি বিশেষ টান আছে ।
আমার নানার পৈত্রিক বাড়ী নরসুন্দার পাড়ে কিশোরগঞ্জের নিউটাউনে ।
নিউটাউন এখন আর নিউ নেই ,যদিও প্রায় শত বছর আগেই ওটা নিউটাউন
নামে পরিচিত/অভিহিত । ঐ নিউটাউনের মাঝ বরাবর একটিই কাঁচা রাস্তা ছিল।
রাস্তার দুই পাশে ছিল শুধু টিনের বাড়ী, কোন পাকা বাড়ী ছিলনা । এখন আমার
নানার বাড়ীতেই প্রায় ডজন খানেক ৪/৫ তলা ফ্লাট বাড়ী। এখন সেই নিউটাউনের
শান শওকত দেখলে মাথা ঘুরে যায় ।

এক সময়ের ভরা যৌবনা কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা নদীটি নদীখোরদের কারণে এখন একটি খালের
আকার ধারণ করছে দেখলে মনটা ব্যথাতুর হয়ে যায় ।
দুকুল উপচে পড়া এককালের অপরূপ সৌন্দর্যময় নরসুন্দা নদী একটি ছবি।

ঐতিহ্যবাহী গুরুদয়াল কলেজের কথামালা পোষ্টে উঠে আসায় ভাল লাগল ।
শায়মা আপুর মত অনেকের কাছেই এই কলেজটি হয়তবা অনেকটাই অপরিচিত ।
এই লিংকে গিয়ে অগ্রহী যে কেও জেনে নিতে পারবেন কলেজটির বিষয়ে সচিত্র
আদি অন্ত অনেক কথা ।
গুরুদয়াল কলেজ স্বপ্ন যেখানে ডানা মেলে
জানা যাবে কলেজটি বিষয়ে আনেক অজানা কথা। জানা যাবে সেখানে পাশাপাশি
রয়েছে খালেদা জিয়া ও শেখ হাছিনা নামে দুটি মনোরম মহিলা ছাত্রীনিবাস ।

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের কথা ইদানিং বেশ ছড়িয়ে পরেছে ।
মিডিয়ার কারণে এর প্রচার বাড়ছে । আমার একান্ত বিশ্বাস মানুষ
মনপ্রাণ ঢেলে নিবেদিত হৃদয়ে আল্লার কাছে কিছু প্রার্থনা করলে
হয়তবা আরো বহুগুন সুফল পেতে পারে । যাহোক, এটা যার যার
একান্ত বিশ্বাসের বিষয়। কথায় বলে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদুর।
তবে মানত/দানের টাকা, সোনাদানা অনেক মহতি কাজে ব্যয় হচ্ছে।
এটাও অনেক বড় পাওয়া ।

শুভেচ্ছা রইল

১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০৫

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। অনেক কিছু জানতে পারলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.