নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
হঠাৎ করেই একটি বিষয় মাথায় ঘুরছে। যদিও এই বিষয়টি এখানে বললে আমার কিছু বন্ধুদের গায়ে লাগবে। তবে বিষয়টি আসলে এমনই যে আজকে না বলে থাকাও যাচ্ছে না।
বেশি না ৫/৬ বছর আগের কথা তখন কিছু মানুষের মুখের বুলি ছিল হেনতেন ভাতের ফ্যান। এটা করেনি, এটা করেছে। উড়িয়ে দিয়েছে, ছিড়ে ফেলেছে। এমনকি বঙ্গবন্ধুর নামটা পর্যন্ত তারা বিকৃতি করে বলত।
আজকাল তারাই মিছিলের আগে থাকে। তারাই প্রিয় অভিভাবক বলে চেটে চেটে অস্থির হয়ে যায়। ভেবে পাই না এরা এত রং কিভাবে বদলায়। আমি একজন বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম "বন্ধু এই কয়েক বছর আগেই যারা বাংলাদেশ জংগি হয়ে যাচ্ছে, সরকার এই করছে সেই করছে বলে গালাগালি দিত, আজ তারা পুরো গনেশ উলটে দিল কিভাবে?'।
তখন তার উত্তর ছিল ব্যাপার সোজা কারণ তারা নিশ্চিত ভাবে কোন সুবিধা পাচ্ছে। এটাই সম্ভবত মূল কাহিনী।
আপনারা অনেকে আই হেইট পলিটিক্স নিয়ে হাসাহাসি করেন। ভাবেন এরা রাজনীতির কি বোঝে। এই যদি রাজনীতির অবস্থা হয় তখন আই হেইট পলিটিক্স প্রজন্ম কে করবে না।
মজার কথা হচ্ছে আমি যেই কথা গুলো লিখতে চাচ্ছি আসলে সেগুলো লিখতে পারছি না। কারণ এটাও সবাই জানে। বর্তমান সাইবার নিরাপত্তা আইন আমাদের আটকে দিয়েছে জালে। আপনি চাইলেও সত্য লিখতে পারবেন না। বলতে হয়ত পারবেন তবে সব জায়গাতে পারবেন কিনা সেটা দেখার বিষয়। আসলে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এমন একটা জায়গাতে দাড়িয়েছে যে আপনি আমি যদি প্রতিবাদ করতেও চাই সেটাও করা যাচ্ছে না।
তাহলে এই রাজনীতি, এই গনতন্ত্র কাদের জন্য। কিসের স্বার্থে এই রাজনীতি। তাহলে সাধারণ জনতা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। না কোন সমালোচনা করা যাবে, না প্রতিবাদ করা যাবে, এমনকি কোন সত্য কথাও বলা যাবে না। তাহলে এই রাজনীতির কি দরকার।
আর একটি ঘটনা বলি,
আমি বাড়ি গিয়েছি ছুটিতে। তখন একদিন রাস্তায় হাটতে বেড়িয়েছি। এক ছোট ভাইয়ের সাথে দেখা। তখন সে ক্লাস সিক্সে পড়ে। আমাকে বলছে, ভাই আমি অমুক ওয়ার্ডের ক্রীড়া সম্পাদকের পদ পেয়েছি, কোন কিছু লাগলে আমাকে জানাইয়েন।
বিষয়টা তো অবাক করার মতো। স্কুলেও রাজনীতি ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। ছোট বেলা থেকেই হাতে খড়ি হয়ে যাচ্ছে। এরাই আমাদের মাথার উপর বসবে।
রাজনীতি নিয়ে আমার জ্ঞান খুব অল্প। আমি যেটা বুঝি সেটা হচ্ছে জনগণের জন্য রাজনীতি। রাজনীতি সাধারণ মানুষের।
এই গিরগিটি রাজনীতি আর অল্প বয়সে পেকে যাওয়া রাজনীতি না। একটা সময় শুনতাম রাজনীতি করতে নাকি বেশ পড়াশোনা জানা থাকা দরকার। আসলেই কি বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটা দেখা যায়। আদৌ কি সেটার কোন প্রভাব আমরা দেখতে পাই।
এখন তো কোন ভাবে একটা পদ পেলেই হল। এরপর আরকি সারাজীবনের বসে খাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যায়। এই বসে খাওয়ার সুবিধার জন্যই এখন মুলত রাজনীতিতে পা দিচ্ছে সবাই। কারণ টাকা পয়সা আসার কোন হিসেবে তাদের কাছে নেই। আর দলের হলে তো চাদা পাওয়া যাবেই। অথচ শুনেছি আগে নাকি ঘর বাড়ি বিক্রি করে মানুষ রাজনীতি করত। তাদের কোন ভাল বাড়ি ঘর ছিল না। তাহলে এখন কয়েক বছরের মধ্যে এত বড় দালান বাড়ি কিভাবে তারা তৈরি করে।
আসলে আমি ছোট মানুষ মাথা ছোট তাই রাজনীতি নিয়ে আমার জ্ঞানও অল্প। আমি শুধু সাধারণ মানুষের কথা জানি। আমি জানি একটা সময় যারা রাজনীতি করতেন তারা মানুষের কথা ভাবতেন। তারা দেশের কথা ভাবতেন। সেই সব মানুষ গুলো আজ নেই। তাই হয়ত মানুষের কথা ভাবার কেউ নেই।
এই যদি হয় রাজনীতির অবস্থা। তাহলে সাধারণ জনগণ রাজনীতিতে কেন আসবে।
১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৫৫
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
এইটাই এখন আসল রাজনীতি।
২| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: সাধারন মানুষের রাজনীতি থেকে দূরে থাকাই মঙ্গল।
১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
তাহলে পরিবর্তন আসবে না। আবার সাধারণ মানুষ রাজনীতিতে ভাল করবেও না, কারণ রাজনীতির মারপ্যাচ তারা জানে না।
৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:০৫
সোহানী বলেছেন: কি কমু ছোট ভাই, কওনের কিছু নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২৯
মোগল সম্রাট বলেছেন:
১৫ তারিখ যারা কেক খাইতো তাগো অনেকেরেই দেহি এহন শোক দিবসের খিচুড়ি বিতরন করে।