নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রুদ্রাক্ষ

তোমায় গান শোনাবো,তাইতো আমায় জাগিয়ে রাখো... ওগো ঘুমভাঙানিয়া,ওগো দুখজাগানিয়া ...

ব্যবচ্ছেদ

একাকী আমি লিখছি জীবনের গলিতে গলিতে যে জীবন-গল্পের শেষ নেই... অন্তহীন !

ব্যবচ্ছেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ রবীন্দ্রসংগীতঃ আজকের অতিরঞ্জন

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৭

আজকাল পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে যা চলছে তা স্রেফ অতিরঞ্জন বই কিছু নয় । রবীন্দ্রসংগীত সবসময়ই আধুনিক ছিল , এখনো আছে , আর ভবিষ্যতেও আধুনিকতা ধরে রাখার মত আবেদন তার আছে। কিছু জিনিস সব সময়েই ,সবযুগেই,সবকালেই চির নতুন। রবীন্দ্র সংগীতের মত চির আধুনিক জিনিসকে সময়ের উপযোগী করার প্রতিযোগিতাটা অনাবশ্যক আড়ম্বরই প্রকাশ করবে, কিন্তু কখনই আর আধুনিক হতে পারবে না। কারণ এই "আধুনিক" হতে হলে তাকে তার চিরায়ত রুপ-রস-গন্ধ,আবেদন ,তাল-লয়কে হারাতে হয় - হারাতে হয় তার বিশুদ্ধ আবেদনময়তাকে । আমি বিশ্বাস করি পৃথিবীর সব জিনিস সবার জন্য নয়। পৃথিবীর 'এত কিছুর' মধ্যে যা সত্য, পবিত্র, শাশ্বত তার বিশুদ্ধ রূপটিকেই আমরা গ্রহণ করব । আর যা বিশুদ্ধ সৃষ্টি তা কখনোই মহাকালের অতল তলে তলিয়ে যায়না। প্রতিটি মানুষের মৌলিক সৃষ্টিকে সম্মান জানানো শিখতে হয় । যে জাতি তা পারে না , সে জাতি কখনোই সময়োপযোগী আধুনিক হয়ে উঠে না। এইসব অনর্থক, নিস্প্রয়োজনীয় বাগাড়ম্বর শুধুমাত্র বাঙ্গালিদের দ্বারাই সম্ভব ... কারণ বাঙ্গালির স্নায়ুতে স্নায়ুতে অতিরঞ্জন । কোন এক বিশুদ্ধ সৃষ্টিকে অবিকৃত রাখতে না পারাটা বাঙ্গালির চিরকালের মানসিক দৈন্যতা ।



বিশেষ দ্রষ্টব্য ঃ খোদ রবীন্দ্রনাথই তাঁর নিজের গান শোনা নিয়ে খুঁতখুঁতে ছিলেন । খুব কমসংখ্যক শিল্পীর মুখেই তিনি নিজের গান শুনতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন । আর সেইসব দুর্লভ মানুষদের মধ্যে একজন হলেন - অনিতা সেন , যিনি কিনা বাংলাদেশরই মেয়ে ।

আর আজকাল বাংলার বাজারে রবীন্দ্রনাথের এতই সস্তাভাবে কাটতি যে ব্যান্ডদলগুলোও অ্যালবাম বের করতে কিচ্ছুটি ছাড়ে না । দুর্বোধ্য সব যান্ত্রিক বাজনা আর স্বেচ্ছাচারী গায়কী ঢঙ দেখলে রবিবাবুর আত্মারাম খাঁচা থেকে বের হয়ে যেত এ বিলক্ষণ অনুমান করতে পারি ।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.