নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওসামা বিন নূর

আমি ওসামা বিন নূর। আমি ভালবাসি নিজে সচেতন হতে এবং অন্যদের সচেতন করতে আর ভালবাসি লেখালেখি, সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ, শিশুদের কিছু করা, কমিউনিটি সার্ভিস ইত্যাদি। আমি বাস্তবতায় বিশ্বাস করি। মানুষের জন্য এমন কিছু করতে চাই যেন তারা আমাকে নিয়ে অহংকার করতে পারে।আ

ওসামা নূর

আমি ওসামা বিন নূর। আমি ভালবাসি নিজে সচেতন হতে এবং অন্যদের সচেতন করতে আর ভালবাসি লেখালেখি, সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ, শিশুদের কিছু করা, কমিউনিজি সার্ভিস ইত্যাদি। আমি বাস্তবতায় বিশ্বাস করি। মানুষের জন্য এমন কিছু করতে চাই যেন তারা আমাকে নিয়ে অহংকার করতে পারে। আমি বাংলাদেশের প্রথম কমিউনিটি সংবাদপত্র 'সাপ্তাহিক মুক্তমন' উত্তরা (ঢাকা-১৮ আসন) এ ষ্টাফ রিপোর্টার পদে এবং অনলাইন সংবাদপত্র 'ন্যাশনাল নিউজ' এ ঢাকা মহনগরীর রিপোর্টার হিসেবে কাজ করছি। www.nationalnews.com.bd পছন্দ করি প্রকৃতি এবং বাস্তবজীবনের ছবি তুলতে, ভ্রমন করতে, সাইকেল চালাতে, কার্টুন আঁকতে।

ওসামা নূর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন বাঁধ পাগলাদিয়া : আমাদের ভূমিকা : বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ

২৮ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৩১

বাঁধ নিয়ে ইতিমধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশের বাংলাদেশের প্রতি তাদের দৃষ্টি সম্পর্কে হয়তবা জনগন অবগত হয়েছেন। কারণ গঙ্গার ফারাক্কা ব্যারাজ এ তিস্তার গলজডোবা ব্যারাজ তৈরিতে দেশের জীব বৈচিত্রের, প্রকৃতি ও পরিবেশ অপরিসীম ক্ষতি করে জাতীয় মুক্তির আকাঙ্খাকে কিভাবে বাধাগ্রস্থ করে দিচ্ছে সেটাও সকলেই উপভোগ করছেন।

ফারাক্কা বাধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মরুকরণের যে চক্রান্ত ছিল তার বিরুদ্ধে বাংলার জনসাধারন রুখে দাড়ায়। ফারাক্কা বাঁধ এবং গলজডোবা বাঁধ নিয়ে অনেক আন্দোলন, গোলটেবিল বৈঠক, টক শো, কলাম ইত্যাদি ইত্যাদি হয়েছে। অবশেষে প্রতিবেশীদের মনপাওয়ার আশায় অদৃশ্য শক্তির বলে নির্মাণ হল ফারাক্কা এবং গলজডোবা বাঁধ। বন্যা মৌসুম, ফসলি মৌসুম, পরিবেশ প্রকৃতির মারাত্মক অবনতি, নদীর স্রোত হীনতা এবং মৎস সম্পদের ক্ষতি থেকেও বাধেঁর অপকারিতা সম্পর্কে জ্ঞাত হয়েছি। তিলে তিলে টের পাচ্ছি বাঁধ নির্মাণ পরিবর্তী অবস্থা নিয়ে। যদিও বন্ধু দেশ ভারত বার বার বলে গিয়েছে এই বাঁধ নির্মাণে বাংলাদেশের কোন ক্ষতি হবে না বরং লাভবান হবে। তাদের উক্তি থেকেও এ প্রশ্ন সকলেরই জাগতে পারে যে আমাদের ক্ষতি কি তারা লাভ বলে উপহাস করছে আর জাতীয় নীতি নির্ধারকরা এই টোপ গিলে দেশের ক্ষতি সাধনে কেনইবা সহায়তা করছে?

টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে কিছু কথা। ভারত ১৯৫৫ সালে সিলেট জেলার পূর্ব সিমান্ত থেকে একশ কিলোমিটার উজানে ভারতের মনিপুর রাজ্যর চূড়াচাদপুর জেলায় টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সে পরিপ্রক্ষিতে বাংলাদেশ পানি সম্পদ অধিদপ্তর তাদের নিকট লিখিত প্রতিবাদ পেশ করে। ২০০৬ সালে ঢাকা সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে টিপাইমুখ বাধ নিমার্ণে আপত্তি জানায়। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী টিপাইমুখ বাধ নির্মাণ না করার আশ্বাস দেন। অবশেষে বর্তমান সরকার আমলে টিপাইমুখ বাধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। টিপাইমুখ বাধে বাংলাদেশের ক্ষতির হচ্ছে তা আর নতুন করে বলার নেই।

তবে আমাদের জন্য দুঃসংবাদ এই যে, ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে ব্রক্ষ্মপুত্র নদের উৎসমুখে পাগলাদিয়ায় একটি বাঁধ নির্মাণ করছে। এখান থেকে বিদুৎ উৎপাদন করবে বলেও জানা যায়। পাহাড়ী পাগলাদিয় নদী শুকনো মৌসুমেও ব্রক্ষ্মপু্ত্রের নাব্যতা টিকে থাকতে সহায়তা করে। তাই এই বাধ নির্মান হলে বাংলাদেশ মারাত্মকভাবে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। টিপাইমুখ ও পাগলাদিয়া বাঁধ নির্মান হলে বাংলাদেশ আর সুজল সুফলা শষ্য শ্যামলা সোনার বাংলা নাম অতীত স্মৃতি হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের এই ভবিষ্যতে আমাদের কি ভূমিকা?

পাগলাদিয়া বাঁধ সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য ক্লিক করুন http://brahmaputraboard.gov.in/pagladia.htm

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.