![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কৌতুক করেই বলেছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, ‘এবার আর ৪-০ হবে না।’ গতবার এই বাংলাদেশ সফরেই ৪-০তে ধবলধোলাই হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। যেটি ক্রিকেটে ‘বাংলাওয়াশ’ নামে সুখ্যাত। এবার অবশ্য সিরিজের তিনটি ম্যাচ বলে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মজা করেই বলেছিলেন কথাটা। তবে ৪-০ না হোক, ৩-০ তো হতেই পারে! আজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটিও ৪০ রানে জিতে সেই সম্ভাবনা জাগাল বাংলাদেশ।
প্রথমে ব্যাট করে তামিম ইকবালের ফিফটির সুবাদে ২৪৭ রান করা বাংলাদেশ আজ নিউজিল্যান্ডকে আটকে দিয়েছে ২০৭ রানে। তিনটি করে উইকেট নিয়ে বোলিংয়ে বাংলাদেশের নায়ক সোহাগ গাজী ও মাশরাফি বিন মুর্তজা। শুরুটা মাশরাফিই করেছিলেন। ১ রানে কিউই ওপেনার হামিশ রাদারফোর্ডকে বোল্ড করে। টিম সাউদির স্টাম্প উপড়ে ফেলে শেষটাও করলেন মাশরাফিই।
মাশরাফি রাদারফোর্ডকে ফেরানোর পরপরই সোহাগ আর রাজ্জাক জোড়া আঘাত হানলে মাত্র ৩৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল নিউজিল্যান্ড। চতুর্থ উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশি বোলারদের ভালোই ভোগাচ্ছিলেন টেলর আর কোরি অ্যান্ডারসন। ২৭তম ওভারে এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছেন মাশরাফিই। উইকেটের পেছনে দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
আজ বাংলাদেশের সব বোলারই মোটামুটি ভূমিকা রেখেছেন। যে সময় দরকার ছিল, ঠিক সেই সময় যেমন বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিলেন পার্টটাইম বোলার মুমিনুল হক। মুমিনুল প্রথমে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে। ভাঙেন টেলরের সঙ্গে কিউই অধিনায়কের ২৪ রানের জুটিটাও। দুই বল পরেই রানআউটের ফাঁড়ায় পড়ে বিদায় নেন টম ল্যাথাম। ১৩১ রানেই নেই নিউজিল্যান্ডের ৬ উইকেট।
মাঝখানে বোলিংয়ের নায়ক সোহাগ। প্রথম পাঁচ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে এক উইকেট নেওয়া সোহাগ দ্বিতীয় পাওয়ার প্লেতে বোলিং করতে এসে যেন আরও দুর্দান্ত বোলিং করলেন। পাওয়ার প্লেতে করা নিজের দ্বিতীয় ওভারেই সোহাগ ফিরিয়ে দিলেন নিশামকে। এর পরের ওভারে ফিরিয়েছেন গলার কাঁটা হয়ে উইকেট আঁকড়ে পড়ে থাকা রস টেলরকেও (৪৫)। মুমিনুল আবার আক্রমণে ফিরে এসে তুলে নেন ২৩ বলে ২৫ করা নাথান ম্যাককালামকে ।
১৯৪ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের জয়টা ছিল সময়ের ব্যাপার। বোলিং আক্রমণে ফেরা মাশরাফি ৪৭তম ওভারের চতুর্থ বলে সাউদিকে ফিরিয়ে দিয়ে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের ২-০।
বাংলাওয়াশ এবারও হচ্ছে কি না, সেটি নিশ্চিত হবে ৩ নভেম্বর ফতুল্লায়। তবে তার আগেই বাংলাদেশের সিরিজ জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
সুত্রঃ প্রথম আলো
©somewhere in net ltd.