![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দূরত্ব হলো যখন, আমি তোমার পাশে থাকি কিন্তু তুমি জানো না যে আমি তোমাকে কতটা ভালবাসি !! ---রবি ঠাকুর মেইল: [email protected]
-- স্লামুআলাইকুম স্যার, আসব ?
-- হুম, কোন কোম্পানী ?
-- স্যার, কিউব ফার্মা ।
-- যা বলার ৩০ সেকেন্ডে শেষ করবেন । আপনি আগে আসছেন বলে পেশেন্ট বসিয়ে আপনাকে ভিসিট দিলাম ।
-- ধন্যবাদ স্যার । স্যার আপনার কাছে আজ আসছি কিছু প্রোডাক্ট নিয়ে যেগুলো আপনি আপনার রেগুলার প্রাকটিসে প্রায়ই লিখে থাকেন । আমদের Omeprazole স্যার Beclo, ২০ এবং ৪০ মিঃ গ্রাঃ ট্যাবলেট, আমাদের Azithromycin স্যার Vimax, ৫০০ এবং ২৫০ মিঃ গ্রাঃ ট্যাবলেট । আর স্যার আমাদের আরেকটা প্রিপারেশন Losartan স্যার Bangilock, ৫০ এবং ১০০ মিঃ গ্রাঃ । স্যার সবগুলো পাশের দোকানগুলোতে দেয়া আছে । আপনি যদি একটু প্রেসক্রিপশন করেন স্যার ?
-- আচ্ছা ঠিক আছে লিখে দিবনে ।
-- ধন্যবাদ স্যার । স্যার আপনার জন্য কিছু স্যাম্পল রেখে গেলাম স্যার, আসি।
-- দাঁড়ান, এত কম স্যাম্পল দিলে হবে? অন্যদেরতো মাসে মাসে টাকা দেন, বিদেশ ভ্রমনে পাঠান আর আমার কাছে আসলে আপনার স্যাম্পলও শেষ হয়ে যায় না ? বের হন রুম থেকে, বের হন ।
-- স্লামুআলাইকুম স্যার ।
নতুন আসা এই ডাক্তারের রুম থেকে প্রবল ঝাড়ি খেয়ে বের হলেও ফরহাদ হাসি হাসি মুখে হাঁসপাতালের OPD তে পায়চারী করছে, যেন একটু আগে কিছুই হয় নি । MIO দের এত সহজে রাগ করলে হয় না । আর সত্যি কথা বলতে ফরহাদ এগুলো নিয়ে আর ভাবতেও চায় না। মাস্টার্স পড়ুয়া ফরহাদের কথায় মিলি যখন এক কাপড়ে ঘর থেকে বের হয়ে এলো, এ চাকরিটা তখন এক প্রকার বাধ্য হয়েই নিতে হল ।
গাইনীর রুবিনা ম্যাডাম রুমে আছেন । তাকে একটা ভিসিট দেয়া দরকার।
-- আপা আসব ?
-- আরে জহির না? আসেন ।
-- আপা আমি ফরহাদ, কিউব ফার্মা ।
-- ও ফরহাদ আসুন । আপনার স্ত্রী কেমন আছেন । ক’মাস চলছে ওনার ?
ফরহাদের মনটা খুশিতে নেচে ওঠে । মিলি আজ পাঁচ মাসের গর্ভবতী । আপার কাছেই প্রথম মাসে একবার নিয়ে এসেছিল সে । আপা সে কথা আজও মনে রেখেছে ।
-- আপা পাঁচ মাস ।
-- ও আচ্ছা, স্ত্রীর দিকে ভালমত খেয়াল রাখবেন কেমন । আর আপানার জন্য কি করতে পারি ?
-- আপা আমার দুটো ড্রাগ Bantonix আর Teclon টা যদি একটু লিখে দিতেন, আমার বাজেট টা হয়ে যেত আপা ।
-- আচ্ছা ঠিক আছে আপানার কার্ডের পেছনে নাম দুটো লিখে দিয়ে যান।
-- ধন্যবাদ আপা, আসি ।
ধন্যবাদ দিয়ে আপার রুম থেকে বের হয়ে আসে ফরহাদ । সব ডাক্তারগুলো এমন কেন হয় না? একটু ভাল ব্যাবহার করলে মান ইজ্জত কি আর থাকবে না?
দুপুর ১.৩০ বাজে, ফরহাদ গত ৩০ মিনিট ধরে এনামুল হকের চেম্বারের সামনে দাঁড়ান । এনামুল হক মেডিসিনের বড় ডাক্তার । তাকে ভিসিট না দিয়ে তো আর দুপুরের মত কাজ শেষ করা যায় না । অবশেষে তার এনামুল হকের রুমে ঢুকার পালা ।
-- স্লামুআলাইকুম স্যার, আসব ?
-- না, বের হন রুম থেকে ।
-- স্যার আমি আপনার বেশি সময় নিবনা । দুইটা মিনিট সময় দেন স্যার ।
-- এক মিনিট ও না । আমি আপনাকে কি বলছিলাম বলেনতো ? মনে আছে?
-- স্যার আমি তো কতৃপক্ষকে জানিয়েছি, কিন্তু তারা যদি........................
-- আমি আপনার কাছে Samsung এর সামান্য একটা ট্যাব চাইছি আর আপনে আমায় হাইকোর্ট দেখান? আপনাদের যে সাপোর্ট আমি দেই, এইটা অন্য কোম্পানীকে দিলে আমি একবার চাইলেই হত ।
-- স্যার আমি চেষ্টা .....................
-- কোন চেষ্টা ফেস্টা নাই । সামনে আসলে ট্যাব নিয়ে আসবেন নাহলে আসবেন না । এই সলিম একে রুম থেকে বের কর তো ।
সলিমকে আসতে হল না, হাসি হাসি মুখ করে ফরহাদ নিজেই রুম থেকে বের হয়ে গেছে । ফরহাদের নিজের কাছেই আশ্চর্য লাগে ও কিভাবে হাসতে পারছে ভেবে। ফরহাদ মনে মনে ভাবছে, একটু আগে ডাক্তাররা যা বলব এক হিসাবে তো ভুল বলেনি । তার কোম্পানী তো প্রায় বেশিরভাগ ডাক্তারকেই প্রতি মাসেই কিছু টাকা অথবা দামী কোন উপহার যেমন ফ্রিজ, এসি নাহয় প্রতি বছরই বিদেশ থেকে ঘুড়িয়ে আনে, তো এই ডাক্তারগুলো তো চাইবেই । কিন্তু এসব ব্যাপারে সেই বা কি করতে পারে, এগুলোর জন্য বড় বড় স্যাররা আছে । তাদেরকে সে বলেওছে, কিন্তু সে কি করবে ?
রুম থেকে বের হয়েই আরেক বিপদে পড়েছে ফরহাদ । আজ শনিবার, তার সামনে দাড়িয়ে আছে তার সুপারভাইজার ও জোনাল হেড । একের পর এক প্রশ্ন আসছে বাজেট, সেল আর টার্গেট নিয়ে ।
-- ফরহাদ আপনার এই মাসে বাজেট কত ছিল?
-- স্যার ৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা ।
-- এই পর্যন্ত কত হল?
-- স্যার ৩ লাখ ৮০ হাজার ।
-- এই মিয়া কি করেন সারাদিন ? *ল ফেলান ? মাসের অর্ধেক শেষ আর আপনার ৪ লাখ টাকাও সেল নাই । বাপ দাদার চাকরী করেন নাকি?
-- স্যার এই মাসে ক্লিনিকগুলোর অর্ডার কিছু কম আসছে তো...
-- শোনেন এই সমস্ত *লের আলাপ বাদ দেন ? হয় বাজেট করেন নাইলে বউয়ের আঁচলের নিচে বসে থাকেন গিয়া । নবাবদের জন্য এই চাকরী না .................................।
এসব কথা শুনতে শুনতে কান লাল হয়ে যায় ফরহাদের । বিপর্যস্ত ফরহাদ যখন হাঁসপাতাল ছেড়ে বের হয় তখন দুপুর ২.৩০ । মুখে যদিও একটা হাসি হাসি ভাব, কিন্তু এই হাসি হাসি ভাব আর কতদিন থাকবে ফরহাদ তা জানে না । ইস্পাতকেও একটা তাপমাত্রায় এসে গলে যেতে হয় বৈকি ।
মোবাইলটা অনেকক্ষণ ধরেই ভাইব্রেট করছে । মোবাইলটা বের করতেই মুখের হাসিটা একটু প্রশস্ত করে লাইনটা কেটে দেয় ফরহাদ, মিলির ফোন । বাসায় যাওয়া দরকার । বাসায় ফেরার পথে গনি মুন্সির দোকানের বা পাশের বাসায় To-Let লেখা সাইনবোর্ড চোখ এড়ায় না ফরহাদের ।
কলিংবেলে চাপ দিয়ে দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে ফরহাদ । ছোট্ট দুই রুমের একটা বাসা ঠিক করে এসেছে আজ । বাড়ীওয়ালা যেদিন হুট করেই তাকে বাসা ছাড়তে বলল, একেবারে অথৈ জলে পড়েছিল সে । অনেক বাসাই সে দেখেছে কিন্তু হয়নি । কয়েকজন বাড়ীওয়ালাতো বলেই দিল “MIO দের কাছে বাড়ী ভাড়া দিব না” । দাতে দাত চেপে হাসিমুখে সে বের হয়ে এসেছে তখন।
দরজা খোলার শব্দে সামনে তাকায় ফরহাদ । দরজা ধরে দাড়িয়ে আছে তার সাত রাজার ধন মিলি । চোখ দুটো ভেজা । ফরহাদের হাত থেকে ব্যাগটা নিয়ে ঘরের দিকে যাত্রা শুরু করেও যাওয়া হয়না মিলির । ফরহাদ পেছন থেকে তার হাতটা ধরে বুকে জড়িয়ে নিয়ে মনে মনে ভাবে, “সবাই চলে গেলেও আমাকে রেখে তুমি চলে যেও না”। অস্ফুটে বলে ওঠে মিলি, “যাব না, কক্ষনো যাব না” ।
পরিশিষ্টঃ ব্লগে এবং ব্লগের বাইরের সকল ডাক্তার আপু এবং ভাইয়াদের প্রতি যথাযথ সম্মান জানিয়ে বলতে চাই যে, এখানে আমি ডাক্তারদের হেয় করার জন্য কিছু বলিনি । আমি চেয়েছি শুধু একজন MIO কে সারাদিন কতটা কষ্টের মধ্যে যেতে হয় সেটা একটু হলেও বোঝাতে । আর সবার প্রতি একটা অনুরোধ, যদি সম্ভব হয় আমরা যেন MIO/ MR দের প্রাপ্য সম্মান দেই, অন্তত অপমান যেন না করি ।
“মানুষ তো মানুষের জন্য,
জীবন তো জীবনের জন্য,
একটু সহানুভূতি কি
মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু ?” .।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:২৭
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: ধন্যবাদ শুঁটকি মাছ ।
কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্ট টু নো, এই নিকের মাজেজা কি?
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৮
শায়মা বলেছেন:
আমি ডাক্তার হলে তোমার কথা মনে রাখতাম ভাইয়া তবে আমার পরিচিত ডাক্তারদেরকে বলে দেবো।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১৭
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: মন খারাপ করো না আপু । তুমি শুধু এসব খেটে খাওয়া মানুষদের একটু সম্মানের চোখে দেখ তাহলেই হবে ।
৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৭
আত্মমগ্ন আিম বলেছেন: খুব কাছ থেকে কয়েকজনের জীবন দেখেছি। চেষ্টা করি সাবাইকেই কম বেশী সাপোর্ট দিতে। আমার কাছে যার কথাবার্তা আন্তরিক মনে হয় তার কোম্পানিরটা লিখি, তবে অবশ্যই ওষুধের কোয়ালিটি আমার কাছে বেশী ইম্পরট্যান্ট।।
রিপ্রেজেন্টেটিভ ভাইদের প্রতি একটা অনুরোধ আমার, ডাক্তার এর টাইপ বুঝে তাকে ট্রিট করুন।।
টাকাভর্তি বাক্স পকেটে গছায়া দেবার চেষ্টা করায় এক নামকরা কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজারকে বারডেম থেকে বিদায় করে দিছিলাম। ২ সপ্তাহ তার একটা ওয়ুধ লিখি নাই।। তাই ভাই সবাইকে এক পাল্লায় মেপে কাজ করতে গেলে কট্ খাইতে পারেন।।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২০
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । আপনার কথা শুনে ভাল লাগল । আপনাদের সহযোগিতার আশায় এক একটা ছেলে সকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত বসে থাকে । যদি পারেন সহযোগিতা করবেন আশা করি ।
৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৭
চাদের জোসনা বলেছেন: হৃদয় ছোঁয়া গল্প। খারাপ লাগল। আমি যখন এমন ভাইদের কোথাও দেখি শ্রদ্ধায় সম্মান জানাতে ইচ্ছা করে। হাজার স্যালুট তোমাদের মত খেটে খাওয়া শিক্ষিত তরুনদের।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২২
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: ধন্যবাদ চাদের জোসনা ।
আমি যখন এমন ভাইদের কোথাও দেখি শ্রদ্ধায় সম্মান জানাতে ইচ্ছা করে।
আপনার এই মানসিকতার প্রতি শ্রদ্ধা রইল ।
৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: অশ্রু কারিগড়,
জানিনে, আপনি সত্যি সত্যিই কোনও একজন ফার্মাসিউটিক্যাল'স রিপ্রেজেন্টেটিভ কিনা । যাই ই হোন না কেন , একদম বাস্তব কথা বলেছেন হুবহু ।
আপনার লেখা নিয়ে কোনও মন্তব্য নেই । তবে বক্তব্য নিয়ে খানিকটা বলতে চাই । (যদিও বলার আছে অনেক কিছু । সীমিত পরিসরে সারছি )
আসলেই এম.আই.ও কিম্বা এম.পি.ও দের প্রচন্ড পরিশ্রমের ভেতর দিয়ে যেতে হয় । সন্দেহ নেই, খুব কষ্টসাধ্য একটি কাজ । চিকিৎসা জগতের সাথে জড়িত এবং সাধারন মানুষেরা, যারা এটা জানেন না তারা এঁদের কে তাচ্ছিল্যের চোখেই দেখেন । অবশ্য তার কারনও আছে । অনেক কারনের ভেতরে একটি হলো - এই চ্যালেঞ্জিং পেশাটিকে বর্তমানের অসংখ্য অথর্ব এম.আই.ও কিম্বা এম.পি.ও রা পঁচিয়ে ফেলেছেন । আগে সব ডাক্তার সাহেবেরাই ওষুধ কোম্পানীর লোকজনদের জন্যে অপেক্ষা করতেন । তাদের জ্ঞান-প্রোডাক্ট নলেজ, পোষাক-আশাক, চলন-বলন, ঠমক-গমক ডাক্তার সাহেবদের সমীহ আদায় করে নিতো । এমোনকি অনেক ডাক্তার সাহেবেরাই তাদের কথাবলার ষ্টাইল অনুকরন করতে চাইতেন । আজ হয়তো সময় পাল্টেছে, বেড়েছে প্রতিযোগিতা তাই কথা বলার জ্ঞান গৌন হয়ে গিয়ে টাকার বা গিফটের প্রশ্ন এসে যাচ্ছে । কিন্তু এটা সকল ডাক্তার সাহেবদের কতো শতাংশ ? ভগ্নাংশ মাত্র । প্রিয় পাঠকদের এটা ভুলে গেলে চলবেনা ।
আর এ পেশাটি তো হলো - "সেলসম্যানশীপ " । একজন সেলসম্যানের কাজই তো হলো কথা বলা । এখানে কথা বলা (ডিটেইলিং) তো একটি আর্ট বা শিল্প । ( উপরের কথোপকথনে কোন্ও শিল্প আছে কি ? ) আজ কি এম.আই.ও সাহেবেরা সেই আর্ট জানেন ? বলবেন , বলার সুযোগ নেই , ডাক্তার সাহেবেরা শুনতে চান না । কথা বলতে জানলে শোনার লোকের অভাব নেই, এটাও মনে রাখতে হবে । এটা এম.আই.ও দের খাটো করার জন্যে বলছিনে । বাস্তবের ছবি দিয়েছি । কারন অধিকাংশরাই এই পেশাতে স্বেচ্ছায় আসেন না , আসেন বাধ্য হয়ে । তাই এখানে ডেডিকেশান থাকে না খুব একটা । এটা্ও এমোনতরো বাস্তবের একটি গল্প হয়ে ওঠার কারন ।
শেষে বলি - আসলেই এম.আই.ও দের জীবনের বর্তমানের বাস্তব চালচিত্র কষ্টকর ভাবেই ফুটে উঠেছে আপনার লেখাতে । আমি সমব্যথী । পাশাপাশি এও বলি - এম.আই.ও ভাই-বোনেরা আরো যত্নবান হবেন তাদের কাজে, কথাকে শিল্পের পর্য্যায়ে উন্নীত করবেন , জ্ঞানে-বুদ্ধিতে ঝকমকে হয়ে দ্যুতি ছড়াবেন , চলনে-বলনে অনুকরনীয় হয়ে উঠবেন যাতে করে ডাক্তার সাহেবেরা তাদেরকে সমীহ করার কারন খুঁজে পান ।
আর ডাক্তার সাহেবদেরকেও বলি - এদেরকে বুঝতে চেষ্টা করুন । এক একটি শিক্ষিত ছেলেমেয়ে আপনার সহযোগিতার আশাতেই সারাটি দিন আপনার অপেক্ষায় থাকেন, সকাল সাতটা থেকে রাত বারোটা-একটা অবধি । গল্পের ফরহাদের এই হৃদয় নিংরানো কথাটি - “সবাই চলে গেলেও আমাকে রেখে তুমি চলে যেও না” র সূত্র ধরেই বলি - এদের কাছেই থাকুন ।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:০৯
অশ্রু কারিগড় বলেছেন:
প্রিয় আহমেদ জী এস, প্রথমেই আপনার দীর্ঘ ও সুচিন্তিত মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনার কথার সাথে আমি একমত । তবে কিছু কথা থেকেই যায় ।
চিকিৎসা জগতের সাথে জড়িত এবং সাধারন মানুষেরা, যারা এটা জানেন না তারা এঁদের কে তাচ্ছিল্যের চোখেই দেখেন । অবশ্য তার কারনও আছে । অনেক কারনের ভেতরে একটি হলো - এই চ্যালেঞ্জিং পেশাটিকে বর্তমানের অসংখ্য অথর্ব এম.আই.ও কিম্বা এম.পি.ও রা পঁচিয়ে ফেলেছেন ।
সহমত । কিন্তু ভাই যদি কোন ডাক্তারের কাছে কোন এম.আই.ও কিম্বা এম.পি.ও অথর্ব মনে হয় তাহলে তাকে সাপোর্ট দেয়া বন্ধ করলেই হল, এত বাজে ব্যাবহারের কোন প্রয়োজন দেখি না ।
আজ হয়তো সময় পাল্টেছে, বেড়েছে প্রতিযোগিতা তাই কথা বলার জ্ঞান গৌন হয়ে গিয়ে টাকার বা গিফটের প্রশ্ন এসে যাচ্ছে ।
সহমত । তবে কথায় যদি চিড়ে না ভিজে তবে টাকার বা গিফটের বিকল্পই বা কি, যেখানে আপনি না দিলে অন্য কেউ দিবে ।
কিন্তু এটা সকল ডাক্তার সাহেবদের কতো শতাংশ ? ভগ্নাংশ মাত্র । প্রিয় পাঠকদের এটা ভুলে গেলে চলবেনা ।
দুঃখিত আপনার সাথে একমত হতে পারছি না । সংখ্যাটা ভগ্নাংশ নয় বরং অধিকাংশ । যারা মেডিক্যাল অফিসার তাদের পিছনে কোম্পানীগুলো হয়ত খুব বেশি বিনিয়োগ করে না কিন্তু রাঘব বোয়ালদের অধিকাংশই কোন না কোন ভাবে এদের বিভিন্ন সাপোর্ট গ্রহণ করে । কেউ সরাসরি টাকা নেয়, কেউ দামি গিফট (এসি, ফ্রিজ, এল সি ডি টিভি, হালের নতুন স্মার্টফোন ইত্যাদি), কেউ বিদেশের কনফারেন্স, কেউ দামি বই ইত্যাদি । আমি এসবের জন্য ডাক্তারদের দোষ দেই না। আপনি চাওয়ার আগেই যদি আপনার কাছে এতসব পৌঁছে যায় তাহলে কতক্ষন পর্যন্ত নিজেকে ধরে রাখা সম্ভব ?
এখানে কথা বলা (ডিটেইলিং) তো একটি আর্ট বা শিল্প । ( উপরের কথোপকথনে কোন্ও শিল্প আছে কি ? ) আজ কি এম.আই.ও সাহেবেরা সেই আর্ট জানেন ? বলবেন , বলার সুযোগ নেই , ডাক্তার সাহেবেরা শুনতে চান না । কথা বলতে জানলে শোনার লোকের অভাব নেই, এটাও মনে রাখতে হবে ।
সহমত যে ডিটেইলিং আর সেই পর্যায়ের নেই কিন্ত ভাই এজন্য নিশ্চয়ই ডাক্তার, সমাজ, আমি, আপনি তাদের সাথে এই ব্যাবহার করতে পারি না ।
কারন অধিকাংশরাই এই পেশাতে স্বেচ্ছায় আসেন না , আসেন বাধ্য হয়ে । তাই এখানে ডেডিকেশান থাকে না খুব একটা ।
তীব্রভাবে সহমত ।
কিন্ত যদি বলি কেন মানুষ আজকাল এই পেশাতে আসতে চায় না যেখানে আগে ঢাবি সহ দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা এই পেশায় গর্বের সাথে আসত ? কারণ তাদের প্রতি ডাক্তার, সমাজ ও আমাদের মনোভাব ।
শেষে আপনার কথাই আবার বলি, এক একটি শিক্ষিত ছেলেমেয়ে আপনার সহযোগিতার আশাতেই সারাটি দিন আপনার অপেক্ষায় থাকেন, সকাল সাতটা থেকে রাত বারোটা-একটা অবধি । গল্পের ফরহাদের এই হৃদয় নিংরানো কথাটি - “সবাই চলে গেলেও আমাকে রেখে তুমি চলে যেও না” র সূত্র ধরেই বলি - এদের কাছেই থাকুন ।
ও আমি পেশায় কোন ফার্মাসিউটিক্যাল'স রিপ্রেজেন্টেটিভ নই ।
ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন
৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
মশিকুর বলেছেন:
হৃদয় ছুয়ে গেল+
১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২৩
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: ধন্যবাদ মশিকুর ।
ভাল থাকবেন.।.।.।.।.।
৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫০
শায়মা বলেছেন: আমি মানুষকে অনেক ভালোবাসি ভাইয়া শুধু অকৃতজ্ঞ আর বিশ্বাসঘাতক ছাড়া।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: অকৃতজ্ঞ আর বিশ্বাসঘাতকদের যেটা প্রাপ্য সেটাই তাদের দেয়া উচিত বলেই মনে করি আপু। সুতরাং তাদের না ভাল লাগলেও সমস্যা নাই ।
তবে আমার কাছে সবচেয়ে মেজাজ খারাপ লাগে যখন কাছের মানুষগুলো অহেতুক মিথ্যা বলে, কোন কিছু বলতে না চাইলে না বলবে কিন্ত মিথ্যা কেন বলে?
৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১১
মামুন রশিদ বলেছেন: পেশাটা সত্যিই ভাল ছিল । কিন্তু বাংলাদেশে যেটা হয়, কোন ইন্ড্রাস্ট্রি ভাল করা শুরু করলে সবাই ঐখানে ঝাপিয়ে পড়ে । ইন্ডিয়াতে ইন্সুরেন্স কম্পানি আছে ১৩টা, বাংলাদেশে ৫০উর্ধো । প্রয়োজন ছাড়া এত ব্যাংক হয়েছে, ডিপোজিটের জন্য একজন ম্যানেজার সাহেবকে একজন টাকাওয়ালা নিরক্ষর ক্লায়েন্টের হাত ধরতে হয় । তেমনি ২০টা ওষধ কোম্পানীর বেশি প্রয়োজন নাই, সেখানে আছে তিন শতাধিক । এই স্যাচুরেশনের জন্য পেশাজীবিদের স্ট্যান্ডার্ড ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে ।
ভাল লেগেছে গল্পে একজন এমআইও'র মুখে এই প্রফেশনের কঠিন বাস্তব উঠে আসায় । আবার ভিন্ন কথাও আছে, যা উপরে একজন ডাক্তার সাহেব বলে গিয়েছেন ।
ক্লায়েন্ট হিসাবে একজন ডাক্তার নিঃসন্দেহে প্রথম শ্রেনীর, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সামাজিক অবস্থান সব বিচারেই । একজন ডাক্তার যখন ব্লগার হন, তিনি আরও বেশি সফিসটিকেটেড এবং মানবিক হবেন, এটাই আশা করা যায় । অথচ একজন ডাক্তার সাহেব তার পেশার সাথে সম্পর্কযুক্ত আরেকটি পেশা সম্পর্কে কি ধরনের নিচু মনোভাব পোষণ করেন, তা নিচের লেখা পড়লে বুঝতে পারবেন,
মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ
১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: মামুন ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
এই পেশার আজকের এই অবস্থার জন্য বেশিরভাগ দায় যদিও ফার্মা কোম্পানীগুলোর কিন্ত আমাদের পরোক্ষ দায় কি নেই ? আর স্যাচুরেশনের ব্যাপার তো আছেই ।
গল্প ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল ।
আর আপনার শেষের কথাগুলোর সাথে একমত । আপনার লিঙ্কটা পড়লাম । এরকম বিকৃত মস্তিস্কের গর্ভজাত এই বিকৃত পোস্ট নিয়ে বলার কিছু নেই ।
সাথেই থাকবেন ।
আর সামু দখলের কতদূর ?
৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ভাই এক কালে আমি অত্যাধিক শুকনা ছিলাম।ক্লাসের অনেকেই শুঁটকি মাছ বলে ডাকত।ব্লগে তাই নাম দেয়ার সময় এই নামটাই দিয়ে দিলাম।কিউরিয়াস মাইন্ড বুঝতে পারছে?
১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪১
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ।
কিউরিয়াস মাইন্ড ভাবছিল আপনার হয়ত শুঁটকি মাছ খাবার হিসেবে অনেক পছন্দ, আবার নিকে মিয়াও দেয়া .।.।.।
১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫০
সুমন কর বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। আসলেই ডাক্তাররা টিভি, ফ্রিজ, টিপ ইত্যাদি নিয়ে থাকে এবং এইগুলো পরবর্তীতে তাদের অভ্যাস হয়ে যায়। লেখা ভাল হয়েছে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৯
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: ধন্যবাদ ।
আমার এক বন্ধুর নাম নূপুর কর, আপনি তার কথা মনে করিয়ে দিলেন ।
১১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৭
নষ্টছেলে তানিম বলেছেন: অনেককে এরকম অবস্থায় দেখেছি ।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৫০
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
১২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: বলার ভঙ্গিটা বেশ সুন্দর। আর বাস্তবতা তুলে আনার চেষ্টাটা প্রশংসনীয়।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৭
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: ধন্যবাদ ইসহাক ভাই ।
সামনের দিনগুলোতে সাথেই থাকবেন আশা করি ।
১৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৪
শান্তির দেবদূত বলেছেন: জীবনের গল্প; ভাল লেগেছে। শুভেচ্ছা।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৮
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: দেবদূত, আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমার ও ভাল লাগল ।
ভাল থাকবেন ।
১৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কিছু মানুষের সহানুভূতি, আচরণে যথাযথ পরিবর্তন এই যুবকদের অনেক সাহায্য করতে পারে।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৫
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: সহমত প্রোফেসর ।
কিছু মানুষের সহানুভূতি ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার শুধু ।
১৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৯
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: চমৎকার, চমৎকার এবং অসাধারণ। গল্প অনেক সহজ করে লিখেছেন, কথার ম্যারপ্যাচ নেই, হঠাৎ চমক নেই, অনেক আবেগ-নিরাবেগের কথকতাও নেই। কিন্তু তবু একদম বাস্তব এবং জীবনের গল্প!!
এবার মন্তব্যটি করবো আহমেদ জী এস এর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেঃ
@ আহমেদ জী এস
আপনি কিছু ভালো পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। আমি আপনার মন্তব্যের পয়েন্ট টু পয়েন্ট জবাব দিতে পারি। সেটা দিতে গেলে মন্তব্য অনেক বড় হয়ে যাবে তাই দিচ্ছিনা।
তবু সংক্ষেপে আপনার বক্তব্যের রেশ ধরে কিছু বক্তব্য লিখছি। "সেলসম্যানশিপ", কথার কারুকাজ এবং ডাক্তারকে কনভিন্স করা একজন এমপিও-র দায়িত্ব। কিন্তু ডাক্তার কি সময় দিতে চায়?
আমি সবসময় ট্রেনিং এ এমপিওদের কনভিন্স করতে হবে, কনভিন্স করতে হবে বলতাম। তখন প্রথম প্রথম জবে ঢুকেছি। নতুন এমপিওরা যারা একমাস পরে যুদ্ধে যাবে, আমি তাদের বলতাম "আপনার ব্যবহার, কথার যাদু, ডিটেলিং হচ্ছে আপনার মূল অস্ত্র।" এই এমপিওরাই মার্কেটে গিয়ে ধাক্কা খেত! আমি নিজে ডাক্তার ভিজিট করেছি এবং আমি খুব এনজয় করতাম। কিন্তু একজন এমপিওর দিকে ডাক্তার সাহেব যে দৃষ্টিতে তাকান তা সত্যি দুঃখজনক।
আপনি গিফট, স্যাম্পল নেয়া ডাক্তারদের সংখ্যা নিয়ে কথা বলেছেন। মজার গল্প বলি- মেডিনোভার জনৈক ডাক্তার কোন এক কোম্পানি চার হাজার টাকার ছোট একুরিয়াম দিয়েছে বলে সব কোম্পানিকে ভিজিট দেয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। রাজশাহীতে একজন ডাক্তারকে দিনে দু'টো সেফিক্সিম প্রেশক্রিপশনের জন্য একটা "পাক ফ্যান" দিতে হয়েছিল এক কোম্পানিকে। ময়মনসিংহে এক ডাক্তার শুধু একই কোম্পানির ইসোমিপ্রাজল লিখতেন কারণ ঐ কোম্পানি তাকে ২৭ লাখ টাকা দিয়ে কার গিফট করেছিল।
আমার কাছে এমন শত শত গল্প আছে, সব সত্য, সব বাস্তব। আবার আমিই রাজশাহিতে ডায়াবেটিক হাসপাতালের এক ডাক্তারকে একটা কলম দিতে পারিনি। উনি বলেছিলেন "আমাকে পারলে এই কয়টা জার্নাল আর্টিকেল পাঠিয়ে দেবেন ঢাকায় গিয়ে।"
কিন্তু ২য় ধরণের ডাক্তার আমি খুব কম দেখেছি, খুব কম!
আপনি কথোপকথনে কোন শিল্প খুঁজে পাননি কারণ ডাক্তাররা সময় দেননা। একজন এমপিওকে সময় দেয়ার মত সময় নেই।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: জীবনানন্দদাশের ছায়া, আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
আহমেদ জী এস এর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে যে কথাগুলো বলেছেন তাতে সহমত । আমি ওনার মন্তব্যের কিছু অংশ নিয়ে উপরেই কথা বলেছি । আর আপনি যে দুই ধরনের ডাক্তারদের কথা বলেছেন তাদের মধ্যে যে প্রথম ধরণের ডাক্তারই বেশি তাতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই । দেশের প্রত্যেকটি ইন্সিটিউটে আপনি এদের দেখতে পাবেন । শত শত উদাহরণ দেয়া যাবে এদের নিয়ে । কিন্তু ২য় ধরণের ডাক্তার যে নেই তা বলব না, তবে সংখ্যাটা উল্লেখ করার মত না ।
১৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৬
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: @মামুন রশিদ
আপনার মন্তব্যটি খেয়াল করিনি। আপনি যে লিংকটি দিলেন সেটা পড়লাম। ভদ্রলোকের প্রতিটা কথা বাস্তব। আপনি সম্ভবত ওনার লেখাকে ভুলভাবে নিয়েছেন, লেখাটার ভেতর যে সারকাজম আছে সেটা ধরতে পারেননি!
টেকনিক্যালি আপনার এই ধারণাটা ভুল যে ২০ টা কোম্পানি হলেই চলে যাবে। যাহোক এটা ভিন্ন বিষয়। সমস্যা আসলে বহুমাত্রিক। আমাদের দেশে ডাক্তার-ঔষধ কোম্পনি-রোগী-ড্রাগ শপ এই যে পুরো চেইনটা এই চেইনেই গন্ডগোল আছে।
এ বিষয়ে বলতে গেলে অনেক কথা বলতে হবে। অন্য কোন সময় বা এই পোস্টেই অন্য কোন সময় হয়ত সময় পেলে লিখবো
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:০১
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: @ মামুন রশিদ
১৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১৮
অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন:
পরে কমেন্ট করব। কারন পড়ে মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৪২
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: ঠিক আছে, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
শুঁটকি মাছ বলেছেন: বাস্তব গল্প!!!!!
ইস্পাতকেও একটা তাপমাত্রায় এসে গলে যেতে হয় বৈকি ।
সহজ সরল ভাষায় সুন্দর লিখেছেন।