"একটি ভালবাসার রশিদ"

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৩০

কন্যা তোমার ভালবাসার বাজার দর তো বেশ চড়া লোকমুখে শোনা!
দিবে কি আমাকে নতুন করে কেনার সুযোগ??
আজ বৃষ্টিতে ভিজে গেছে সেই রশি....।
নাকি আবার নিলামে হেরে যাব এই ভেবে হেসে লুটোপুটি খাচ্ছো?
জানি কবে সেই তোমার জন্য হেকেছিল বিশ্বের সব কটি আশ্চর্য, পারে নি তোমার স্পর্শ পেতে। সপ্তাশ্চর্য তো আসলে হওয়া উচিত ছিল তোমার তনুমন।
কেন জানি মনে পড়ে সেই রুবি রায়দের কথা, কেন যেন মনে হয় তুমিও হয়ত রুবি রায়দের পথেই চলছো!
সবচেয়ে বিভ্রান্তিকর তোমার চোখের চাহনি; মনের আকুতি! তুমি তো হতে পারতে কোন কবি সাহিত্যিকের রূপকী নারীদেহ যার মাধ্যমে প্রকাশিত হত তার মনের সুপ্ত বাসনা!
ডাক্তারের সাথে যেমন শত্রুতা করলে রোগীর সমস্যা সমস্যা ই থেকে যায় ঠিক তেমনি তোমার মনের মত কাজ না করতে পারলে তোমার সাথে থাকা যায় না। আমি হারিয়ে ফেলেছি সে ধৈর্য, ইচ্ছা কিংবা ভাললাগা! ভুলে গেছি নারীদেহ যে শুধু কামনা আর বাসনার বাইরে অন্য কিছু হতে পারে সে বিষয়টা! আমি আজ কামূক, চরিতার্থ করি তোমার সুডৌল দেহের সুধা! পারি না ভুলতে সে গন্ধ, স্পর্শ আর স্বর্গ সুখ! যেগুলো ছিল এক সময়ের আবেগ আজ সেটি বিরক্তির উদ্রেক করে তোমার।

যদি আজ আমি কলুষিত করে ফেলি নিজেকে যদি না পাই সেই রশিদ তাহলে কি করে মনে রাখবে কেউ একজন ভিন্ন ধারা খদ্দের ছিল তোমার? তুমি তো আজ খুব বেশি করে মনে রাখবে সেই ভালবাসার রশিদ, যে রশিদের ছিল লেখা তোমার আমার প্রেমোপাখ্যান! হারিয়ে ফেলেছি সব নষ্ট করে ফেলেছি। যখন জেনেছি সব কিছু একদিন চলে যাবে নষ্টদের অধিকারে!
আবোল তাবোল আমি চলেছি আবার আবোল তাবোলের দেশে! আজ সেই রশিদের যদি নতুন মালিকানা হয় তাহলে যেন সবটা দিয়ে বাজি ধরার মত বোকার আর অভাব হবে না!

'একটি ভালবাসার রশিদ' নামমাত্র; দেশের মুদ্রা ব্যবস্থার মত চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে!
শুভেচ্ছা রইল, চললাম নষ্টদের দলে যোগ দিতে। আজ আর তুমি-শ্রেণি, কাম উদ্রেককারী দেহ ব্যতীত কিছু না।
চললাম নতুন রশিদ নিতে।

হয়ত আবার দেখা হবে কোন রশিদ সংগ্রহের সময়।

এই কামনায়,
অতঃপর আমি

০ টি +০/-০