নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

**আমি একজন দেশ প্রেমিক**আমার পরিচয় অত্যন্ত সরল, কিন্তু গর্বের। আমি একজন দেশ প্রেমিক। আমার হৃদয়ে সবসময় আমার প্রিয় দেশ এবং এই দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গল চিন্তা দানা বাঁধে।

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ

**আমি একজন দেশ প্রেমিক** আমার পরিচয় অত্যন্ত সরল, কিন্তু গর্বের। আমি একজন দেশ প্রেমিক। আমার হৃদয়ে সবসময় আমার প্রিয় দেশ এবং এই দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গল চিন্তা দানা বাঁধে। তাদের উন্নতি, সুখ-শান্তি এবং সুরক্ষা নিয়ে আমি সারাক্ষণ ভাবিত থাকি। এদেশের প্রতিটি কণা, প্রতিটি মানুষ আমার কাছে অনন্য। আমার ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, এবং দায়িত্ববোধ সবসময় আমার দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিবেদিত। নিজের সম্পর্কে বলার মতো আর কিছু নেই, কারণ আমার অস্তিত্বের প্রতিটি নিঃশ্বাস, প্রতিটি ভাবনা আমার দেশ এবং সাধারণ মানুষের জন্য।

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় এক চলচ্চিত্ লিখক (তাইমুর মাহমুদ শমীক)

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭

প্রিয় এক চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের সাথে নাম মিলিয়ে নিজের ছেলের নাম রেখেছি অভি। সে দেখতে কিছুটা হয়েছে আমার মতো, কিছুটা অপলার মতো। অভি'কে গ্যাজেট ফ্রিক বানাইনি। প্রতিদিন বিকালে মাঠে নিয়ে যেতাম। ফুটবল খেলতাম একসাথে। আরো কিছু সাঙ্গোপাঙ্গো জুটে গিয়েছিলো। ভোরবেলা আমি আর অভির হাত ধরাধরি করে পার্কে হাঁটতাম। কতো গাছ চিনিয়েছি তাকে। আমার ছেলেটা গাছের সাথে পাল্লা দিয়ে বড় হয়েছে।
একরাতে অভি'কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছি। আরেকপাশে অপলা। স্বপ্নে দেখলাম ১৫০০ খৃষ্টপূর্ব সময়কালে চলে এসেছি। আমি এক আর্য সুপুরুষ। ক্ষেতের কাজ জানি ভালো। মাড়াই করতে পারি। শারীরিক সক্ষমতার কারণে আমার কাজ করার গতি ঈর্ষনীয়। যে এলাকায় থাকি তার নাম মাদ্রপুর। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে চন্দ্রভাগা নদী। মাঝে মাঝে একে আমি প্রেমিক প্রেমিকাদের নদী নামেও ডেকে থাকি।
কাঁচুলি আর অন্তর্বাস পড়ে অপ্সরীরা এখানে নাইতে নামে। একদিন বসন্তের আশ্চর্য বাতাসে আমার ভেজা শরীরের জল শুকিয়ে যেতে থাকে। আমি গালে হাত দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে মানুষের জন্ম মৃত্যু্র রহস্যের কথা ভাবছিলাম। এক নারীকে দেখে বুকের ভেতর সুখানুভূতি আর তীব্র ব্যাথা হতে থাকে। পরিধেয় কাপড় এখানে সেখানে ফেলে সে জলের সাথে নিজের প্রাগৈতিহাসিক সৃষ্টিরহস্য সুন্দর শরীরটাকে একীভূত করে। আমি সেদিন তার নাম জানতে পারি অপলা।
বিকেলে মেয়ে ঘোড়ার দুধে তৈ্রি মদ খেতে তাকে আমার বাড়িতে আমন্ত্রন জানাই। সে আমার ঠোঁটে অক্লেশে চুমো খেয়ে আমন্ত্রন গ্রহণ করে। আমি বাড়ি ফিরে অপলার জন্য রুটি, মাংস, ছাতু, মদ তৈরি করে সাজিয়ে রাখি। তার গভীর নীল চোখে আমি প্রেম দেখতে পেয়েছি। একজন আর্য নারীর প্রেম বড় বেশি বিশুদ্ধ হয়। আমার বয়স তেইশ হয়েছে। আজ পর্যন্ত সতেরোজন নারীকে মন শরীরের সবটুকু দিয়ে আদর করেছি। আমি জানি অপলাও কমবেশি তাই। কিন্তু মেয়েটাকে দেখার পর যে অনুভূতি হচ্ছে তার সাথে পরিচিত ছিলাম না আগে।
সময় ঘনিয়ে আসবার পর অপলা আমার বাড়ি আসে। জানিনা কেন সে চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারছিলোনা। সান্ধ্যকালে অনাবৃত অপলার মাধুকরী সৌন্দর্য্যে চন্দ্রভাগা নদীর তীরে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পাকা সোনালী গমের শীষগুলো হাওয়ায় দোল খাচ্ছিলো। রাত গভীর হতে থাকে। শরীর মনে মিলেমিশে একাকার হতে থাকে হাজার বছরের পুরানো সে প্রেম।
অভি আমার কপালে আলতো চুমো খেতেই ঘুম ভেঙ্গে যায়। এয়ার কন্ডিশন্ড রুমে শুয়ে আছি। নগরীর সবচেয়ে বিখ্যাত ইন্টেরিয়র ডিজাইনারকে দিয়ে সাজানো হয়েছে আমার বাড়ির বেডরুম। দেয়ালের একপাশে ঋত্বিক ঘটক, আরেকপাশে তারকোভোস্কি পোস্টারে গম্ভীরমুখে দাঁড়িয়ে আছে। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি, সবে ভোর হয়েছে। ইনারিতু জল বিসর্জন করতে বাথরুমে যায়। আমি চট করে উঠে অপলার পেটের উপর থেকে নাইটির কাপড়টা সরিয়ে নাভিতে সলজ্জ গন্ধ শুঁকি। নিখাদ গমক্ষেত থেকে উঠে আসা অতিপরিচিত সেই গন্ধ। নাভিতে কান পেতে শুনতে পাই চন্দ্রভাগা নদীতে বয়ে যাওয়া জলের কুলকুল ধ্বনি। অক্লেশে সেখানে চুমো খেয়ে আমি প্রেয়সীর ঘুম ভাঙ্গাই। আরেকবার নিশ্চিন্ত হই, আমার অভি'কে সঠিক পেটেই জন্মেছে।
অভির/গল্প

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গল্পটার অনেকগুলো অর্থ মনে আসছে! সব যে ভাল অর্থ তা নয় কিন্তু!
চমৎকার লেখা| খুব সুন্দর

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০২

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.