নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

**আমি একজন দেশ প্রেমিক**আমার পরিচয় অত্যন্ত সরল, কিন্তু গর্বের। আমি একজন দেশ প্রেমিক। আমার হৃদয়ে সবসময় আমার প্রিয় দেশ এবং এই দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গল চিন্তা দানা বাঁধে।

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ

**আমি একজন দেশ প্রেমিক** আমার পরিচয় অত্যন্ত সরল, কিন্তু গর্বের। আমি একজন দেশ প্রেমিক। আমার হৃদয়ে সবসময় আমার প্রিয় দেশ এবং এই দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গল চিন্তা দানা বাঁধে। তাদের উন্নতি, সুখ-শান্তি এবং সুরক্ষা নিয়ে আমি সারাক্ষণ ভাবিত থাকি। এদেশের প্রতিটি কণা, প্রতিটি মানুষ আমার কাছে অনন্য। আমার ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, এবং দায়িত্ববোধ সবসময় আমার দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিবেদিত। নিজের সম্পর্কে বলার মতো আর কিছু নেই, কারণ আমার অস্তিত্বের প্রতিটি নিঃশ্বাস, প্রতিটি ভাবনা আমার দেশ এবং সাধারণ মানুষের জন্য।

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনা মামার স্বপ্নের আমেরিকা!

১৪ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

শুরুটা যেভাবে



মনা মামা ছিলেন একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তার বাবা একজন ব্যবসায়ী ছিলেন, আর মনা মামা তার বাবার ব্যবসা-বাণিজ্য দেখাশোনা করতেন। ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল অনেক টাকা কামানো। ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি তিনি রাজনীতির সাথেও জড়িত ছিলেন।

বাংলাদেশের অন্যতম দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে তিনি বিরোধীদলের একজন কর্মী ছিলেন। রাজনীতির প্রতিহিংসার কারণে তিনি অনেকবার নির্যাতিত হয়েছেন। তার পরিবার তাকে রাজনীতি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিলেও, মনা মামা তাদের কথা শুনতেন না। রাজনীতি তার নেশার মতো হয়ে গিয়েছিল। রাজনীতির জন্য তাকে ২-৩ বার জেলেও যেতে হয়েছিল।

মনা মামার এই রাজনীতির জন্য তার পরিবার অনেকভাবে হয়রানির শিকার হয়। ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে, বিরোধীদলের কর্মী হওয়ায়, আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাকে কঠোরভাবে দমন করতে চায়। সরকার দলীয় লোকেরা তাকে আক্রমণ করে, যার ফলে তিনি দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকতে বাধ্য হন। তার পরিবার থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলাটি নিতে আগ্রহী ছিল না।

পরিবারের সিদ্ধান্তে তাকে দেশ ত্যাগ করার কথাবার্তা চলতে থাকে। মনা মামা শুনেছিলেন যে অবৈধ পথে আমেরিকা যাওয়া যায়। ঢাকার নাটু নামক এক দালালের সাথে যোগাযোগ হয়। দালাল তাকে আমেরিকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৩০-৩৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরিবার থেকে সম্পত্তি বিক্রি করে প্রথমে তিন লাখ টাকা প্রদান করা হয়।

দালাল মনা মামাকে ইন্ডিয়া পাঠিয়ে ব্রাজিলের ভিসার জন্য চেষ্টা করে। এক মাস ইন্ডিয়াতে অবস্থানের পর ব্রাজিলের টুরিস্ট ভিসা ব্যবস্থা করে তাকে কলকাতা পাঠানো হয়। দিল্লিতে এক হোটেলে রাখার পর তাকে ইতুপিয়া এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল পাঠানো হয়।

ব্রাজিলে পৌঁছানোর পর নান্টু দালাল তাকে পেরুর বর্ডারের কাছে একটি ফ্লাইটে পাঠায়। পেরু থেকে তাকে ইকুয়েডর পাঠানো হয়। ইকুয়েডরের বর্ডারের কাছে তাকে দুইদিন বিশ্রাম দেওয়ার পর কলম্বিয়া নিয়ে যাওয়া হয়।

কলম্বিয়া থেকে পানামার উদ্দেশ্যে একটি নদী পাড়ি দিতে হয়। তারপর পানামার জঙ্গল পাড়ি দেওয়ার জন্য তিন থেকে চারদিন হাঁটতে হয়। পানামার একটি আর্মি ক্যাম্পে পৌঁছানোর পর তাকে কোস্টারিকা বর্ডারে নিয়ে যাওয়া হয়।

কোস্টারিকার ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষে তাকে নিকারাগুয়া, হন্ডুরাস ও গুয়েতেমালা পার করে মেক্সিকো নিয়ে যাওয়া হয়। মেক্সিকো থেকে আমেরিকার বর্ডারে ঢোকার চেষ্টা করার সময় আমেরিকান বর্ডার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

জেলে এক মাস থাকার পর ইন্টারভিউতে সফল হলে তাকে আমেরিকায় থাকার প্রাথমিক অনুমতি দেয়া হয় এবং দশ হাজার ডলার জরিমানা দিতে হয়। পরিবারের সহায়তায় জরিমানা পরিশোধ করে তিনি আমেরিকায় আশ্রয় পান।

মনা মামা নিউইয়র্কে একটি দোকানে কাজ শুরু করেন এবং তার নতুন জীবনের সূচনা হয়। শেষ পর্যন্ত তার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয় এবং তিনি সফল হন। মনা মামার ধৈর্য এবং স্বপ্ন তাকে নতুন জীবনে সফলতা এনে দেয়।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: এমন অনুপ্ররণার দরকার নাই।

১৪ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৩৬

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় অনেক মনা মামা এভাবে দেশ ছেড়ে অন্য দেশের আশ্রয়ের জন্য ঘুরে বেড়ায়।

২| ১৪ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৩২

কামাল১৮ বলেছেন: আমি সামনের সপ্তায় আমেরিকা যাবো।দেখি মনা মামার দেখা পাই কিনা।

১৪ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: আমেরিকায় গেলে তো হবেনা আপনাকে নিউইয়র্কে মন মামা সাথে দেখা করে আসতে হবে তাহলে হয়তো মনা মামা জীবন কাহিনী শুনতে পারবেন।

৩| ১৪ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:০৭

অগ্নিবেশ বলেছেন: অত কষ্ট করে ইহুদী নাসারাদের দেশে যাইতে হবে কেন? বাড়ির ধারে আফগানিস্তান চোহে পড়ে না?

১৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১২:১১

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: অগ্নিবেশ বলেছেন, "অত কষ্ট করে ইহুদী নাসারাদের দেশে যাইতে হবে কেন? বাড়ির ধারে আফগানিস্তান চোহে পড়ে না?"

এভাবে বলা উচিত নয়। প্রতিটি মানুষের নিজের ইচ্ছা এবং সুযোগ অনুযায়ী দেশে বা বিদেশে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। সবাইকে সম্মান এবং সহানুভূতির সাথে দেখা উচিত, বিশেষ করে যখন তারা নিরাপত্তা বা উন্নত জীবনের সন্ধানে ভ্রমণ করছে। আফগানিস্তানও একটি দেশের নাম, কিন্তু সেখানে সবার জন্য সমান সুযোগ এবং নিরাপত্তা নেই। তাই মানুষ তাদের নিজের ভবিষ্যতের জন্য যেখানে সুবিধাজনক মনে করে, সেখানে যেতে চায়।

৪| ১৪ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩২

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: উনার ভাগ্য ভাল। বেশিরভাগই মারা পড়ে স্বপ্নের দেশে পারি জমাতে গিয়ে

৫| ১৪ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

প্রহররাজা বলেছেন: এরাই আবার উঠতে বসতে আমেরিকার গুষ্টি উদ্ধার করে।

৬| ১৪ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৪২

নাহল তরকারি বলেছেন: ভালই। খারাপ না।

১৯ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৪০

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা

৭| ১৪ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:৪৯

ঢাকার লোক বলেছেন: মেঠোপথ ঠিকই বলেছেন, আপনার মামার ভাগ্য ভালো! এ পথে পদে পদে বিপদ ! অনেক লোক আমেরিকায় পৌঁছার আগেই মারা যায়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.