![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গর্ভের বীভৎস গন্ধে বমি আসে. বমি আসে যখন উড়ন্ত এক
মাতাল নারীর ব্যর্থ উরুদ্বয়
একক গীটার থেকে ছেঁকে তোলে গাঢ় প্রতিধ্বনি,
আর অন্ধকারের কুহক থেকে ছিটকে বেরোয় স্পর্শকাতর স্মৃতি,
বমি আসে-যখন লঙ্কার উর্বর ঝাঁঝে পুড়ে যায় ক্রীরকের ক্ষুধা।
এখন শুধু দেহই আছে, দেহই থাকবে, যেহেতু থাকবে না
(মৃত্যু তো মুধুই এক নিঃসঙ্গ ঘটনা--
একটা গীটারের জন্য আক্লেশে যে দিয়ে দেবে তার ব্যর্থ উরুদ্বয়!)
-এখন আরো দেহসর্বস্ব কিছু চাই; আরো মৃত্যুসর্বস্ব কিছু!
ফুলে-ফুঁশে উঠছে ক্রোধে সমুদ্রের উদ্ধত কুহেলি
অসংখ্য মোষের শিং-ঢেউয়ের বিহ্বল ওঠাপড়া
নির্বাসিত আমি সেই সহজ পাতালে; সেই জলজ
গভীরে।...সবুজ চাঁদ
চুমু খেলো এখন অন্ধকার জলের স্ফীতগর্ভে : মৃত্যুর
নরম প্রচ্ছায়া...
যেন এই স্বপ্নবলয়ের মতো মৃতপিণ্ডে, হৃৎপণ্ডিময়।
(মৃত্যু, তোমার ভক্ষ্য শুধু ঝকমকে উজ্জ্বল জুনিপোকা
আর জুনিপার-বনের ব্যাপ্ত উর্বর স্তব্ধতা--
স্বপ্ন যেম্নি নিদ্রিতার নিঃসঙ্গ বিকার।)
গুমরে-গুমরে উঠছে, ঝড়ের শব্দ, ছেঁড়া মেঘের
নাস্তিকারী বিলুপ্ত আক্রোশ--
আমি বজ্জাত বিদ্রোহী, বিকারগ্রস্তের মতো হেগে-মুতে
মৃত্যুর শয্যায় শুয়ে অবিরত মৃত্যুকেই অস্বীকার করি
পেঁয়াসের খোসা-চাড়ানোর মতো তবু এই-শুধু এই
শূন্যস্রাবী জ্বালাময় ভ্রষ্ট বেঁচে থাকা
অন্ধনিয়তির অক্ষিগোলকের মতো বীভৎস ফ্যাকাশে।
মৃত্যু এক চুক্কিকলা, ব্যাজস্তুতি, নিরভিসন্ধির পরিহাস।
সাপের মেধাবী ফণা, ছোবল, রক্তপাত, মর্ষকামী স্খলিত
অন্যায় নই আমি
আমি নই লিপস্টিক, জন্ম-নিয়ন্ত্রণ ব্যাধি, ঈশ্বরের মতো নপুংসক--
আমি, আনন্দের বিনিময় মৃত্যুকেও হিপ্নোটাইজ করে ফেলতে পারি!
(আলোর অপেরা{মুখোশ-মহাভারত}/অনন্য রায় প্রণীত)
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:০১
ভাস্কর চৌধুরী বলেছেন: ..........................+