নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুমারী মা ই যে গ্রামে বিবাহের জন্য অগ্রগণ্য

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭




আলিপুরদুয়ারের আদিম ক্ষুদ্রতম উপজাতি হল টোটোরা । ভূটানের ছোট ছোট পাহাড়তলির গা ঘেঁষে নদী নালা পেরিয়ে এদের বাস । বর্তমানে ছিন্ন হয়ে আসা আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট থানার অন্তর্গত টোটো গ্রামই হল বর্তমানে এদের বাস । জলদাপাড়া অভয়ারন্য থেকে সাত / আট কিমি গেলে এদের গ্রামটি দেখতে পাওয়া যাবে ।



হাউড়ি, কাংদুংতি, দাতিংতি দীপ্তি, চয়াতিং, নিতিংতি, জৈপ্তি, গোয়াতি, নামামতি, কিতিংতি, মুটি, উদিংতি, মোরমতি এই নদীগুলি আর পদুয়া , হিসপা, দাম্পি, দ্রপুংলাকা এই চারটি পাহাড় ঘিরে রেখেছে টোটো উপজাতিকে । কিন্তু পাহাড়ে বৃষ্টি মানে এরা বিচ্ছিন্ন বাদামি রঙের কালো চুলের উপজাতি । প্রচলিত ধারনা অনুযায়ী ভূটান - ব্রিটেন যুদ্ধের সময় বন্দুকে টোটা বয়ে নিয়ে যেত এরা । পরে গো মাংস ভক্ষনের জন্য সমস্যা হলে কোচবিহারের মহারাজা এদের তাড়িয়ে দেন । তখন থেকেই এরা বিচ্ছিন্ন হয়ে বসবাস করছে এবং টোটো নাম বহন করছে ।



এদের বিয়ের আচারটি একটু অন্যরকম । ছেলে মেয়েকে পছন্দ করলে ছেলের বাবা দুহাড়ি মিষ্ট জাতীয় বা ইউ আর একটি মুরগি নিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিতে মেয়ের বাড়ি যাবে । একে বলা হয় বাগদান । তবে বিয়ে এখানে দুপ্রকার । ছোট বয়সে বা সাত/ আট বছর বয়সে এই বাগদানের মাধ্যমে বিয়ে হয় । আর বড় বিয়ে হল কোনও মেয়েকে ছেলে তার বাড়ি নিয়ে যাবে । পরে গর্ভবতী হলে দুজনেই বিয়ের কথা বলবে । যাকে বলে নিয়াংকোষ । তবে এদের সমাজে কোনও পনপ্রথা বা ব্যাভিচারের নমুনা নেই। অনেকটা সাবলীল ও সংস্কারমুক্ত । উপজাতীয় প্রথা মেনে এরা মৃতদেহ সমাধীস্থ করে ।



আধুনিক শিক্ষা চালু হলেও এরা মনের দিক দিয়ে অনেকটা উদার । সমাজপতিরা বেশ কড়া । এরা খুব পরিশ্রমী । প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে এরা এগিয়ে চলেছে । যেকোনও বয়সে বাদিলনওয়া বা অন্নপ্রাশনে এরা বিশ্বাসী । এদের যৌনতা নিয়ে উদার মনোভাব এক অন্য স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে ।



বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার টোটোগ্রামকে পর্যটন মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করেছে । এখানে অনেকের বাড়িতে হোমস্টের ব্যবস্থা করায় জলদাপাড়া ঘুরতে গেলে খুব সহজেই ঢুঁ মারা যায় ভারতের অন্যতম একটি আদিম উপজাতিদের গ্রামকে ।

ছবি ও তথ্য - ক্রিডিট ২৪ ঘন্টা ওয়েভ পেজ।

মন্তব্য ৮১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বউয়ের সাথে বাচ্চা ফ্রি। এর চাইতে মজার আর কি হতে পারে।

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই পাঠ ও মন্তব্যে খুশি হলাম। আর যেটা বলেছেন একেবার সত্য ।

অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।

২| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সে রকম তো মনে হয়না।

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: না না, আপনার ধারনাটা সঠিক। ওটাই ওদের বিয়ের পদ্ধতি ।

শুভেচ্ছা নিয়েন ভাই।

৩| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: টোটেরা উপজাতিদের সম্পর্কে জানানোর ধন্যবাদ পদাতিক ভাই।

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: তারেক ভাই আপনাকেও ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যের জন্য।

অনেক শুভ কামনা আপনাকে।

১৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পোষ্টটি লাইক করার জন্য তারেক ভাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই ।

নিরন্তর শুভেচ্ছা রইল, প্রিয় তারেক ভাইকে।

৪| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

বনসাই বলেছেন: আহ! আলীপুরদুয়ার- সেখানে এক সময় আমার এক বন্ধু ছিল।
টোটোরা নিয়ে লেখাটি আরো দীর্ঘ করা যেতো। লেখাটি থেকে কোনো স্পষ্ট তথ্য পেলাম না।

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ, বনসাই ভাই আলিেুরদুয়ার আমার দেখা সুন্দর জায়গা। আলিপুরদুয়ার শহরটা আহামরি কিছু না হলেও জওগাঁও -ফুন্টসেলিং বর্ডারটা অনেক বেশি আকর্ষনীয়। আর পোষ্টটির মূল অংশটা নিয়ে এখানে দিয়েছি। সামাজিক ক্ষেত্রে এরা অনেক উদার যেটা এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ধর্মীয় ক্ষেত্রে উপজাতাীয় রীতিনীতি অনুসরণ করলেও বৌদ্ধ ধর্মের অনেকটা প্রভাব রয়েছে। বুদ্ধ পূর্ণিমা ওরাও উৎসব করে পালন করে। আবার হিন্দু ধর্মের অনেক আচারও ওরা অনুসরণ করে।

শিক্ষা দীক্ষায় ওরা অনেকটা পিছিয়ে। বছর পাঁচেক আগে সরকার এক টোটো কন্যার মাধ্যমিক পাশ করায় তাকে সংবর্ধিত করেছিল
মূলত উত্তর বঙ্গের চা শিল্পই ওদের জীবিকা তবে পাহাড়ি মাছ ও কৃষিকাজও এখন ওরা করছে। পর্যটন শিল্পে যুক্ত হওয়ায় এখন বহু পর্যটক টোটো গ্রাম দর্শনে যাওয়ায় মহিলারা হোমস্টে করেও উপার্জন করছে।

অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।

৫| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এই জাতীয় লেখা আমাদের জানার পরিধিকে বাড়িয়ে তুলে। ব্লগে এমন লেখা খুব দরকার।

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই আপনার কমেন্টে মুগ্ধ হলাম। আমার মত এক ছোট্ট ব্লগারের পোষ্ট আপনাদের জানার পরিধী বাড়াচ্ছে জেনে আমি সত্যিই অনুপ্রাণিত। আগামীতেও সেই চেষ্টাই করবো , দোয়া করবেন ভাইজান।

অনেক অনেক ভাল লাগা আপনাকে।

৬| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: এদের সম্পর্কে আমি আগে কিছুই জানতাম না।

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সামান্য হলেও কিছুটা জানাতে পেরে আমিও খুশি ছোট ভাই।

অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।

৭| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: জায়গাটার অর্থনৈতিক মুল উৎস কি চা বাগান ?

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ঢাবিয়ান ভাই আশাকরি ভালো আছেন। মূলত চা শিল্পই উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জনগোষ্ঠীর মত এদেরও প্রধান জীবিকা। তবে কৃষিকাজ, মাছধরা, সামান্য ব্যবসাও এখন ওরা করছে। আর মহিলাদের পর্যটন শিল্পে সরকারি অনুদান দিয়ে হোম স্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যটন মরশুমে ওরা এসব থেকেও উপার্যন করে। আশপাশে বিভিন্ন অভয়ারন্যে গাইডের ভূমিকা পালনও এদের বর্তমামের একটি পেশা।

অনেক অনেক ভাল লাগা প্রিয় ঢাবিয়ান ভাইকে ।

৮| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

হাঙ্গামা বলেছেন: গর্ভবতী হলে তারপর বিয়ের কথা বলবে ;)
এহ !! মজ্জাই মজ্জা.... :P

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ ভাই, ওটাই যে ওদের বিয়ের রীতি।

শুভেচ্ছা রইল।। ভাল থাকা নিরন্তর ।

৯| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: দাদা, আমি ভারত ঘুরতে গেলে আপানাকে জানাবো কিন্তু

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অবশ্যই প্রান্ত, তুমি আমার বাড়িতে এসে কোলকাতা শহর দেখবে। আমি তোমার অপেক্ষায় থাকলাম। বেশি দেরি করবে না কিন্তু । আর পোষ্টটি কেমন হয়েছে প্রান্ত বললে নাতো।


অনেক অনেক শুভ কামনা আমার ছোট্ট ভাইটিকে।

১০| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

খালেদা শাম্মী বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম পদাতিক ভাই। ধন্যবাদ এমন লেখার জন্য।

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আশাকরি ভাল আছেন। আপনি নুতন কিছু জেনেছেন শুনে আমি আনন্দিত ।

অনেক অনেক শুভ কামনা আপনাকে।

১১| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আলীপুর দুয়ারের এ টোটোরা জাতি সম্বন্ধে এই প্রথম শুনলাম। পড়ে মনে হল এরা উপজাতি হলে মন মানসিকতার দিক দিয়ে আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। এদের বিয়ের প্রথাটা অদ্ভুত। তবে তাদের সমাজে সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা এখনো আছে। ব্যবিচার নেই শুনে অবাক হলাম।

পশ্চিমবঙ্গরাজ্য সরকার টোটোগ্রামকে পর্যটন মাচিত্রে অন্তর্ভূক্ত করেছে জেনে ভাল লাগলো। এতে এসব দরিদ্র পরিবারগুলো আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবে।

অনেক ভাল লাগার একটি পোস্ট প্রিয় পদাতিক চৌধুরী ভাই।

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার প্রিয় কাওসার ভাই,আপনার সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। উপজাতি হলেও ওরা অত্যন্ত সহনশীল ও উদার মনের। সব সময় হাসিখুশি স্বভাবের টোটোরা অত্যন্ত সরলও। রাজ্য সরকার ওদের আর্থিক উন্নয়নে যথেষ্ট যত্নশীল। তবে চা বাগানের সমস্যাটি সার্বিক । সেখানে গোটা উত্তরবঙ্গ অনেকটাই নেগলেক্টেড ।

অনেক অনেক শুভ কামনা আমার প্রিয় কাওসার ভাইকে।

১২| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

কুহুক বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো

১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ছোট্ট মন্তব্যে ধন্য হলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই প্রিয় কুহুককে।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৩| ১৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ওরা চা বাগানে কাজ করে পরিবার চালাতে পারে ঠিক মতো?

১৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুধুমাত্র চা বাগানের উপর নির্ভর করে সংসার ভাল না চললেও করার তো কিছুই নেই। তবে সহকারী কিছু জীবিকা এখন ওরা অভ্যস্ত হচ্ছে।

অনেক শ্রদ্ধা আপনাকে।

১৪| ১৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: টোটো উপজাতির নাম টা খুব সম্ভবত ক্লাস ৮ এর বাংলা পাঠ্য বই এ আছে। আমার এক ছাত্রী কে পড়ানোর সময় দেখেছিলাম, তবে সেখানে এতকিছু ছিলনা। যাই হোক আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে বিস্তারিত জানা গেল।
পৃথিবীর বিভিন্ন জাতি উপজাতির বিভিন্ন রকম সংস্কৃতি। এদের সম্পর্কে জানলে অনেক অদ্ভুত কিছু বিষয় জানা যায়। ভালই লাগে তাতে।
ধন্যবাদ পোস্ট টির জন্য।

১৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আশাকরি উপরওয়ালার কৃপায় আপু ভাল আছেন। আমরাও ভাল আছি। আপনার স্টুডেন্টের মাধ্যমে টোটেদের প্রাথমিক পরিচয় জেনেছেন শুনে খুশি হলাম। আর আজ আরও একটু জেনেছেন দেখে অনুপ্রাণিত হলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

অনেক অনেক শুভ কামনা আপু আপনাকে।

১৫| ১৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: আপনি দুর্দান্ত গতিতে বিভিন্ন উপজাতিদের নিয়ে সুন্দর সুন্দর পোস্ট দিচ্ছেন, গোগ্রাসে খাচ্ছি, অন্যান্য উপজাতিদের নিয়ে দারুণ দারুণ পোস্ট দিবেন।
অপেক্ষায় রইলাম।
পোস্টেরর জন্য ধন্যবাদ।

১৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার মন্তব্যে মুগ্ধতা ছুঁয়ে গেল। আপনার পরামর্শ আমার আগামীর পথ চলা। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

অনেক অনেক ভাল লাগা প্রিয় যুক্তিদাতা ভাইকে।

১৬| ১৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শুরু না হতেই শেষ!!!!!

বেশ লাগল অজানা সম্পর্কে জানতে। জানানোয় ধন্যবাদ :)

+++

১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সরি, আপনার মনের চাহিদা না মেটাতে পারার জন্য ভৃগু ভাই। তবে কৃতজ্ঞতা জানাই এটুকুতেই আপনি +++ দিয়েছেন দেখে।

অনেক শ্রদ্ধা আপনাকে।

১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পোষ্টটিকে লাইক দেওয়ার জন্য ভৃগু ভাইকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।

অনেক শ্রদ্ধা আপনাকে। ভাল থাকা নিরন্তর ।

১৭| ১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:০৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ কবি ভাই। আপনার + মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৮| ১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:০১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: @"ছোট বয়সে বা সাত/ আট বছর বয়সে এই বাগদানের মাধ্যমে বিয়ে হয় । আর বড় বিয়ে হল কোনও মেয়েকে ছেলে তার বাড়ি নিয়ে যাবে । পরে গর্ভবতী হলে দুজনেই বিয়ের কথা বলবে ।"
--- আচ্ছা ওদের শারিরিক সম্পর্ক কি বিয়ের আগেই হয়???B:-)

১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা আমি খুব ছোট বেলায় এমন ভাবতাম , প্রত্যেকটা ধর্মের মধ্যে উপরওয়ালার এমন কোনও প্রভাব থাকে যেকারনে সব ধর্মের বিয়েতে বংশ বৃদ্ধি হয়। আমি তখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ি,এমন প্রশ্নের কারন ছিল জৈন, বৌদ্ধ ধর্ম পড়াতে গিয়ে শ্রীযুক্ত লালমোহন দাস স্যার আমাদের বুঝিয়েছিলেন যে কোনও ধর্ম মতে বিয়ে করলে বাচ্চা হবে। অনেক পরে এই গুঢু রহস্য বুঝেছি। আজ আমিও আপনাকে আমার লালমোহন স্যরের উত্তরটি দিয়ে দিলাম।

অনেক শুভ কামনা প্রিয় মন্ডল ভাইকে।

১৯| ১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:১১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: উপজাতিদের জীবন আসলেই বিচিত্র।

পোষ্টটি পড়ে অনেক কিছু অজানা জানা হল ।।


পোষ্টটি ভিন্নমাত্রার পোষ্ট বলা যেতে পাড়ে ।

গল্প আকারে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।।

১৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল কবির ভাই। পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানাই । অনেক কিছু জানা ও ভিন্ন মাত্রার পোষ্ট বলে মনে হওয়ায় আলাদা আনন্দ পেলাম। পেলাম অনুপ্রেরণাও।

রইল অনেক অনেক শুভ কামনা প্রিয় কবীর ভাইকে।

২০| ১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমি বলি আদিবাসী - যদিও অনেকে তাদের উপজাতী বলে থাকেন, আমি ব্যাক্তিগত ভাবে আদিবসীদের কাছে কৃতজ্ঞ ।

১৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল মাহমুদ ভাই। আপনি ওদের কেন উপজাতি না বলে আদিবাসী বলেন, আমরা তা জানতে চাই। অবশ্য যদি শেয়ার করার মত বিষয় হয়। পাশাপাশি আপনার ওদের প্রতি মূল্যবোধকে স্যালুট করি। বয়ে বেড়ান এই সম্মানবোধ ।

অনেক অনেক ভাল লাগা প্রিয় ঠাকুরমাহমুদ ভাইকে ।

২১| ১৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

সনেট কবি বলেছেন: নতুন কিছু জানা হলো।

১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল কবিভাই। আপনি নুতন কিছু জানলেন শুনে খুশি হলাম। আমি আপনার দোয়া প্রার্থী ।

আপনাকেও রইল আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

২২| ১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: পদাতিক চেীধুরী ভাই,
আমরা ভারত উপমহাদেশের মানুষের এক এক জনের চেহাড়া গড়ন এক এক রকম আমরা মিশ্রজাতী, আমরা জাতী হিসেবে শংকরজাতী।
উইকিপিডিয়া শুত্র মতে: আদিবাসী জনগণকে প্রাথমিক দিকে প্রথম জাতি, পাহাড়ি জনগোষ্ঠী, আদিম মানুষ, উপজাতি প্রভৃতি নামে চিহ্নিত করা হত। আদিবাসী শব্দটির প্রকৃত সংজ্ঞা ও তাদের অধিকার নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিতর্ক প্রচুর। জাতিসংঘের বিভিন্ন পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার পরেও আদিবাসীদের ব্যাপারে সাধারণভাবে গ্রহণযোগ্য কোন সংজ্ঞায় উপনীত হওয়া সম্ভব হয় নি। সাধারণত কোন একটি নির্দিষ্ট এলাকায় অণুপ্রবেশকারী বা দখলদার জনগোষ্ঠীর আগমনের পূর্বে যারা বসবাস করত[১] এবং এখনও করে; যাদের নিজস্ব আলাদা সংস্কৃতি, রীতিনীতি ও মূল্যবোধ রয়েছে; যারা নিজেদের আলাদা সামষ্টিক সমাজ-সংস্কৃতির অংশ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যারা সমাজে সংখ্যালঘু হিসেবে পরিগণিত, তারাই আদিবাসী। আদিবাসীদের উপজাতি হিসেবে সম্বোধন করা একেবারেই অণুচিত, কারণ তারা কোন জাতির অংশ নয় যে তাদের উপজাতি বলা যাবে। বরং তারা নিজেরাই এক একটি আলাদা জাতি।

১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা! ভীষণ সুন্দর বিশ্লেষণ দিলেন মাহমুদ ভাই। সত্যিই ভাবাবেগের কাছে আমরা একপ্রকার অপরাধী বৈকি । আমরা প্রতিদিন নাজেনে কতসহজেই দুজনকে এভাবে আলাদা করি। আমরা তাদের অন্তরে ঢোকার চেষ্টা করি না। এপ্রসঙ্গে ভূপেন হাজারিকার একটা কথা মনে পরলো। না থাক, পরে অন্য একদিন বলবো।

অনেক অনেক শুভ কামনা প্রিয় ঠাকুর মাহমুদ ভাইকে।

২৩| ১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: পদাতিক চৌধরী ভাই,
আপনি তো দিলেন মন খারাপ করে ? ভাই ভূপেন হাজারিকার একটি গান যদি আন্তজার্তিক ভাবে স্বৃকিত পায় তাহলে তো পৃথিবীর যুদ্ধ খুনাখুনি বন্ধ হয়ে যাবে ৫০% - মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য - আহা আফসোস আমরা এমন কথার এমন গানের মুল্য দিতে পারিনি, এই লজ্জা কার ?

এখন ভুপেন হাজারিকা নিয়ে পড়তে হবে কারণ তার জন্মস্থান আসাম, তার পিতা, পিতামহ আসাম - তারা কি আদীবাসী ? দিলেন মন খারাপ করে এমন একজন মানুষের কথা বলেছেন যিনি আমার প্রিয় গানের মানুষ অথচ তাঁর সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না আমি এই অধম, দিনের পর দিন গান শুনেছি ভালোবেসেছি আজ যখন ইন্টারনেট হাতের মুঠোয় অথচ প্রিয়জন সম্পর্কে জানার আগ্রহ হয়নি, মনে পড়ে নি এই ব্যার্থতা আমার নিজের ।

১৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মাহমুদ ভাই আপনার সঙ্গে এখানে আমার ১০০ শতাংশ মিল। আমি ওনার একজন গুনমুগ্ধ ভক্ত। তারও একটি ইতিহাস আছে। কলেজে দ্বিতীয় বর্যে পড়ি। সেবার ফেস্টের প্রধান শিল্পী ছিলেন স্বর্গীয় ভূপেন হাজারিকা। একঘন্টার পোগ্রামিং এ গান ও কথা মিলিয়ে দেড়ঘন্টা হয়ে গেল। তার মধ্যে আজ একটি কথা বলবো, ছোট বেলায় ওনাকে তিনদিন পাওয়া যাচ্ছিল না। ঐ তিনদিন আবার বাড়ির আদিবাসী পরিচারিকাও বেপাত্তা। শিল্পীর বাবামা এখানে ওখানে অনেক খোঁজ করে না পেয়ে থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। উল্লেখ্য পরিচারিকার ঠিকানাও ওনাদের অজানা ছিল। এমতাবস্থায় যখন সন্তান ফিরে পাবার আশা এক হিসাবে ছেড়ে দিয়েছিলেন ঠিক সেই সময় তিনদিন পরে হাসতে হাসতে ছেলে কোলে নিয়ে পরিচারিকা হাজির। বাবামা অবাকও হলেন আবার আনন্দে আত্মহারাও হলেন।

যাইহোক সামান্য বকাবকির পরে বানামা জিজ্ঞেস করলেন, তিনমাসের বাচ্চাকে কী খাওয়াছে? উত্তরে সরল মানুষটি জানিয়েছিলেন, কেন গো দিদি আমাদের পাহাড়ি মায়েদের বুকের দুধ খাইয়ে তোমার বাচ্চাকে রেখেছি। আসলে আমাদের পাহাড়ে একটি উৎসব চলছিল, তোমাকে বললে বাবুকে ছাড়তে না, তাই তোমাদের না জানিয়ে নিয়ে গেছি '। শিল্পীর উপলব্ধি যেহেতু তিনমাস বয়সে আদিবাসী মায়ের দুধ তিনি খেয়েছিলেন, তাই বোধহয় ওনার আদিবাসীদের প্রতি এত টান বা দরদ।


অনেক ভাল লাগা প্রিয় মাহমুদ ভাইকে।

২৪| ১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

শাহিন বিন রফিক বলেছেন: আপনি কি ভারতে থাকেন ( প্রবাসী), নাকি ভারতীয়?

আমার প্রশ্নে আবার কিছু মনে করবেন না।

১৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শাহিন ভাই আপনি আমাকে ভালবাসেন না? যে কারনে পরিচয় আপনার মনের মত না হলে একেবারে প্রশান্ত মহাসাগরে ছুঁড়ে ফেলে দেবেন । সামু আমাদের দেশ কালের সীমারেখা ঘুঁচিয়ে দিয়ে একাকার করে দিয়েছে। এটাই আমাদের বড় পরিচয় নয়কী? সর্বোপরি আপনার মনে যখন প্রশ্নটা দেখা দিল তাহলে তো আমাকে উত্তর দিতেই হবে, আমার উত্তর ২৪ পরগানার বারাসাতে বাড়ি।

অনেক অনেক শুভ কামনা প্রিয় শাহিন ভাইকে।

২৫| ১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ !!
বিচিত্র জীবন বিচিত্র মানুষ ।
লেখায় ভালোলাগা ভাইয়া।

১৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আমি খুব রাগ করেছি। পোষ্ট দিয়ে যে কজনের আসার জন্য আমি সারাদিন অপেক্ষা করি, আপনি তাদের অন্যতম। আমার বুঝি মান হয়না? যাক আপনার মন্তব্য মানে আমার এক্সট্রা অনুপ্রেরণা।

অনেক অনেক ভাল লাগা আপু। শুভেচ্ছা নিরন্তর ।

১৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু পোষ্টটিকে লাইক করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই ।

অনেক অনেক ভাল লাগা প্রিয় আপুকে।

২৬| ১৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আদীবাসিদের নিয়ে আমার নিজের জীবনের অনেক গল্প আছে তাছাড়া আপনি ইতিহাস পড়লে প্রমাণ পাবেন আদীবাসিদের কাছে আমরা সবাই ‍নানা ভাবে ঋণী । খুব ভালো লেগেছে আদীবাসিদের নিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ

১৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মাহমুদ ভাই অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে অমন সুন্দর মনের ভাব বিনিময়ের জন্য । আমি তো এদিকে সামান্য লেখালেখি করছি, আপনিও ওদিকে ওদের কিছু নিয়ে লিখুন না। আপনি সিলেট বা চিটাগাংএ প্রচুর এহেন সম্প্রদায় পাবেন, যাদের নিয়ে কাজ করতে পারেন। আর যদি রিসার্চ করেন তাহলে অবশ্য এভাবে আগেভাগে দেওয়া একটু সমস্যা আছে বৈকি। যাক আমরা একে অপরের পাশে পাবো, এটাইও আমাদের একটা বড় প্রাপ্তি ।

অনেক অনেক ভাল লাগা ও শুভেচ্ছা ভাই আপনাকে।

২৭| ১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:০৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ব্যতিক্রমী বিষয়টা জানলাম

১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ সাদা মনের ভাই।


অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।

২৮| ১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

শামচুল হক বলেছেন: আলীপুর দুয়ার আমার কাকা থাকেন যেতে চেয়েও যাওয়া হয় না।

১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শামচুল ভাই খুব ভাল জায়গা। পারলে একবার চলে আসুন। সঙ্গে বক্সা জলদাপাড়া রাজাভাতখাওয়া ভূটান বডার্র ফুন্টসেলিং একটু দূরে ঝালং মূর্তি বিন্দুর অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগের হাতছানি। পাবেন তিস্তার বেড়িলি মাছ। এবার বলুন কবে আসছেন। তবে কোলকাতায় এলে আমার এখানে আসার আমন্ত্রণ থাকলো।

অনেক অনেক ভাল লাগা প্রিয় শামচুল ভাইকে।

২৯| ২০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১

কাইকর বলেছেন: গল্প পড়ে জায়গাটিতে যেতে মন চাইছে।খুব গুছিয়ে লিখেছেন।

২০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশতো, চলেই আসুননা। অসম্ভব ভালো জায়গা, সঙ্গে খাওয়াদাওয়া। একেবারে শান্তপ্রকৃতি, মন ভালো হবার আদর্শ জায়গা।

অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।

৩০| ২০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১

কাইকর বলেছেন: গল্প পড়ে জায়গাটিতে যেতে মন চাইছে।খুব গুছিয়ে লিখেছেন।

২০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গল্পটি পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। নিয়েত করুন, একদিন উপরওয়ালা নিশ্চয় নিয়েত পূর্ণ করবেন।

শুভেচ্ছা নিয়েন ভাইয়া।

৩১| ২০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৪

পবন সরকার বলেছেন: অনেক অজানা নিয়ম সমাজে চালু আছে যা আমরা জানি না জানানোর জন্য ধন্যবাদ দাদা।

২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সত্যিই তো আমাদের চারপাশে যে লোকগুলি থাকে তাদের এমনও অনেক আচার আচরণ আমরা জানিনা বা জানার চেষ্টাও করি না। অথচ একবার খোঁজ নিলে পারস্পরিক সম্পর্ক মধুর হয় বা বাড়ে একে অপরের প্রতি সম্মানবোধ । যেটা আজ আমাদের বেঁচে থাকার জন্য ভীষণ জরুরি। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, পবনদা।

অনেক অনেক শুভ কামনা প্রিয় দাদাকে।

৩২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছোট বেলায় নিয়মিতভাবে আকাশবাণী কোলকাতা থেকে রাতে প্রচারিত "অনুরোধের আসর" শুনতাম। দিনে প্রচারিত একই ধরণের অনুষ্ঠান "গীতিকা"ও শুনতাম। ষাটের দশকের শেষের দিকের কথা বলছি (৬৮-৭০)। এছাড়া আকাশবাণী কার্সিয়াং থেকে প্রচারিত বাংলা ও হিন্দী উভয় প্রকার গানের অনুরোধের আসর শুনতাম। গান শুরু করার আগে কিংবা পরে অনুষ্ঠান ঘোষিকা গানের অনুরোধকারীর নাম এবং ওনার এলাকার নাম উল্লেখ করতেন। তখন প্রায়ই শুনতাম এই আলীপুরদুয়ারের নাম। তখন থেকেই নামটা মনে গেঁথে আছে। তখন আমার মনে হতো, ঐ এলাকার লোকগুলো বোধহয় খুব সঙ্গীতপ্রিয়।
২৩ নং প্রতিমন্তব্যটিতে একটা চমৎকার তথ্য পেলাম, ধন্যবাদ এ তথ্যটুকু এখানে শেয়ার করার জন্য।
সমাজের অনগ্রসর, সুবিধাবঞ্চিত একটি জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার উপর আলোকপাত করেছেন, এজন্য অশেষ ধন্যবাদ।
আপনার এর ঠিক আগের পোস্টটি পড়েও (একদিন ঝড়ের রাতে) একটা মন্তব্য রেখে এসছিলাম। :)
ভাল থাকুন, শুভকামনা---
( কি কারণে যেন আমার মন্তব্যটা উপরে একটু বিকৃতরূপে প্রকাশিত হয়েছে, এজন্য দুঃখিত। এ মন্তব্যটি ঠিকমত গেলে এর উপরের আমার মন্তব্যটি মুছে দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি)

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,

গতকাল থেকে একটা বিশেষ কাজে একটু রিমোট এলাকায় ছিলাম ; যেখানে আবার অন্তর্জাল পরিষেবা টুজি হয়ে চলছিল। বেশ কয়েকবার ব্লগে ঢুকে বিরক্ত হয়ে আবার চলে যায়। যে কারণে আপনার কমেন্টের উত্তর দেওয়াতে এতটা বিলম্ব আরকি।

আপনি অত্যন্ত সুন্দর ভাবে আপনার শৈশবের দিনগুলোকে শেয়ার করেছেন। আমিও আমার শৈশবে আর বার্ষিক পরীক্ষা হয়ে গেলে রেডিওতে নাটক বা এধরনে অনুরোধের আসর গুলো খুব শুনতাম । এমনকি পোস্টকার্ডে নিজের নাম ঠিকানা লিখে বিভিন্ন গানের অনুরোধের জন্য পাঠাতাম। দুয়েক নিজের নাম ঘোষিতও হয়েছিল । সে এক অদ্ভুত রোমাঞ্চ অনুভব করেছিলাম । মনে আছে সেসময় বানস বানস পোস্ট কার্ড কিনতাম । আমারদের কাজই ছিল এভাবে অনুরোধের আসরে গানের অনুরোধ করে চিঠি পাঠানো । আপনি এ সময় থেকে আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন শ্রোতাদের নাম ঠিকানায় বারংবার তাদের স্থানের নাম শুনে এক অদ্ভুত ভালো লাগা অনুভূতি তৈরি হয়েছিল। বাস্তবে আলিপুরদুয়ারব জায়গাটি একেবারে ছবির মতন । হিমালয়ের তরাই অঞ্চলের এক বিস্তীর্ণ এলাকায় যে আলিপুরদুয়ারের অবস্থান তার এক বৃহৎ অংশ বনজ সম্পদে পরিপূর্ণ মধ্যে অনেক নদী, হাজার রকমের পাখি, একদিকে চিতাবাঘ ,পাইথন, বাইসন, অপরদিকে জলদাপাড়ার রাইনো, মূর্তি ঝালং এর অপূর্ব সৌন্দর্য, পাহাড়ি ভুটিয়ারা তাদের দেশ থেকে নেমে ঈষৎ সমতলের দিকে নেমে আসা সঙ্গে বাঙালি জনবসতির অদ্ভুত মেলবন্ধন আলিপুরদুয়ারকে গড়ে তুলেছে অপরূপ রূপে মহিমান্বিত । অত্যন্ত সুস্বাদু স্থানীয় নদীর বোরোলি মাছ পর্যটককে বারংবার আলিপুরদুয়ার মুখে করবেই।
২৩ নং প্রতি মন্তব্যটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে মুগ্ধ হলাম। হ্যাঁ ,স্যার ভূপেন হাজারিকার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা ; যে কারণে উনি নিজেই বলেছিলেন শিশুকালের এই কৃতজ্ঞতার জন্য আদিবাসীদের প্রতি ওনার এতট দরদ থাকতে পারে।

আবার দুঃখিত স্যার ! আগের পোস্টে আপনি যে মন্তব্যটি করেছেন যে কারণেই হোক কমেন্টটি এখনও আমার চোখে পড়েনি । আজ না হলেও আমি কালকে যথারীতি প্রতিমন্তব্য করব আশা করছি।


৩৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: জানলাম....

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পুরনো পোস্ট আপনার বিলম্বিত আগমন মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ জানবেন ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

৩৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: জানলাম....

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্য ধন্যবাদ প্রিয় আর্কিওপ্টেরিক্স ভাইকে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন ।

৩৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: জানলাম....

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ আপনাকে ।

নববর্ষের প্রীতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবে

৩৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সামুর এই বাগটা দেখছি রয়েই গেল X(( X((

কি আর করা.....

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা ক্ষতি কি! আসে যখন থাক না ।. তবে আপনা আপত্তি থাকলে যদি বলেন তাহলে ওগুলো ডিলিট করে দেব।

৩৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: নাহ.... আপত্তি নাই.....
থাকুক ওগুলো.....

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় আর্কিওপ্টেরিক্স ভাই,

আপনি অনুমতি দিয়েছেন জেনে খুশি হলাম; ধন্যবাদ আপনাকে ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

৩৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
ভালো একট বিষয় নিয়ে লিখেছেন। পড়ে মজা পেলাম।
বউয়ের সাথে বাচ্চা ফ্রি। এর চাইতে মজার আর কি হতে পারে।
আরেকটু বড় করে লেখা যেত না?
ধন্যবাদ।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা প্রিয় নীল আকাশভাই ,আপনি দুঃসহ যন্ত্রণার মধ্যেও কিছুটা যে আনন্দ পেলেন এতেই আমি খুশি । গতকাল থেকে যেখানে আপনার মন ভালো নেই, সেখানে একটু আনন্দ বা শান্তির ঝিলিক নির্মল প্রশান্তি বৈকি। হা হা হা বৌয়ের সাথে বাচ্চা ফ্রি ! তবে এই বাচ্চাটি অবশ্যই অন্যের নয়। ওই ব্যক্তিরই ঔরসজাত।

শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় নীল আকাশভাইকে।

৩৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:০৯

বলেছেন: পিয়াংকোষ --


অনেকেই বউয়ের সাথে বাচ্চা বলেছেন *--- আর আপনি লেখাতেই বলেছেন যৌনতা নিয়ে ওরা উদার।


সমাজে আজ চার সন্তানের মাকে ধর্ষিত হতে হয় তার চেয়ে এক উপজাতীরা আসলেই আমাদের তথাকথিত শিক্ষিত সমাজের থেকে অনেক ভালো।


অনেক কিছু জানলাম।
শিক্ষানীয় পোস্ট প্রিয় শিক্ষক।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিফভাই,

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন । যৌনতার বিষয়ে এরা অনেকটাই উদার। আর এ কারনেই ওদের সমাজে ধর্ষণ নামক শব্দটি একেবারেই নেই। সামাজিক আর্থিক ক্ষেত্রে যদি বা ঝুট ঝামেলা হয় নিজেরা আপস-মীমাংসার মাধ্যমে সেটি সমাধান করে। অসম্ভব একটা কম্মুনিটি ফিলিংস ওদের মধ্যে আছে। অনেক কিছুই ওদের কাছ থেকে আমাদের শেখার আছে। কিন্তু আমরা ওদেরকে উপজাতির তকমা দিয়ে আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে কিছুটা ভিনগ্রহের প্রাণীর মত করে রেখেছি।

এই পোস্ট থেকে আপনি কিছু জানলেন এটা জেনেই আমি মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ হে কবিবরকে।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.