নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরীচিকা ( পর্ব- ১৯ )

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:০৬


নতুন পাঠকদের লিংক পাওয়ার সুবিধার্থে রূপনারায়ণের তীরে সুসজ্জিত উদ্যান আটান্নগেটে অনির্বাণ প্রসঙ্গে গল্প করতে করতে শেফালী ম্যাডামের বর্ণনার পরবর্তী অংশ -

কলেজ ক্যান্টিন, সিনেমা হল, কিংবা অন্যত্র কোথাও আড্ডা মারতে মারতে হঠাৎ কোন খাবারের দরকার হলে সবার আগে আমি পার্টস থেকে টাকা বের করতাম । প্রথম দিকে বন্ধুরা মুখে সামান্য টাকা-পয়সা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতে চাইলেও দেখতাম তাদের শেয়ার করার মানসিকতার বড্ড অভাব । অথচ আগবাড়িয়ে খরচ করার ফলে ওদের মধ্যে একটি প্রবণতা তৈরি হয়েছিল যে আমার বাবার বিরাট অর্থ ; মহাসমুদ্র আরকি। সেখান থেকে সামান্য কিছু খরচ হলেও তেমন কিছু অসুবিধা হবে না । আসলে ছোটথেকে বাবা আমাকে কখনো অন্যের কাছ থেকে কিছু নিতে শেখায় নি । বাবাকে প্রায়ই বলতে শুনতাম দেওয়ার হাত উপরে, নেওয়ার হাত নিচে। বড় হয়ে সারাক্ষণ বাবার কথাটি আমার মাথায় থাকতো । স্কুলে উপরের ক্লাশে পড়াকালীন আমার বন্ধুদের কাছ থেকে কিছু খেতে কেমন যেন অস্বস্তি হত । অথচ মুখ ফুটে বলতে পারতাম না যে খাব না । যাইহোক বন্ধুদের পেছনে এইভাবে অকাতরে খরচ করে একটা সময় আমি বুঝতে পারি যে আমি বেশ লুজার হচ্ছি । উল্টে আমার বন্ধুদের আমাকে ঝেড়ে খাওয়ার অদ্ভুত একটা মানসিকতার বহিঃপ্রকাশে আমি অত্যন্ত ব্যথিত হয়ে ছিলাম । আরো একটি অভিজ্ঞতা আমাকে বন্ধুদের প্রতি মনটাকে প্রচণ্ড বিষিয়ে তুলেছিল । ওদের সঙ্গে খোলা মনে মেশার ফলে আকার-ইঙ্গিতে ওরা আমার চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল । প্রথম দিকে বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব না দিয়ে ওদেরকে বোঝানোর রাস্তা নিয়েছিলাম । কিন্তু উল্টে ওরা আমার যুক্তিগুলো নিয়ে এমন উপহাস করত যে পরে নিজের কাছে নিজেই যেন খুব ছোট হয়ে যেতাম । বাস্তবে তখন আমি হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করতে শিখেছি ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে খোলা মনে মেশার কুফল ।

সদ্য কলেজে ভর্তি হয়ে আমি অনেকটা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম । বুঝতে পারলাম যে বাবা-মায়ের শৃঙ্খলা বোধের মধ্যে গার্লস স্কুলের গন্ডির মধ্যে বেড়ে ওঠা আমার পরাধীন জীবন থেকে মুক্ত হতে চাওয়ার বাসনাতেই কুসঙ্গে পড়ে গেছি । নিজেকে এবার আস্তে আস্তে লাগাম পড়াতে লাগলাম । যদিও ওরা তখনও আমার পিছু ছাড়েনি । কাজেই হঠাৎ করে বন্ধ না করে আড্ডা দেওয়ার সময়টা ধীরে ধীরে কমাতে লাগলাম । আমার মনমরা ভাব লক্ষ্য করে একসময় যাকে গাঁইয়া বলে মনে অবজ্ঞা করেছি, সেই অনির্বাণই একদিন হঠাৎ এগিয়ে আসে এবং জিজ্ঞাসা করে ,
- গত কয়েকদিনে আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করছি । জানিনা আমার এভাবে আগবাড়িয়ে তোকে জিজ্ঞাসা করাটা উচিত হবে কিনা । কিন্তু যদি কিছু মনে না করিস , তাহলে একটা প্রশ্ন করব?
- আমাকে নিয়ে তোর এতটা গৌরচন্দ্রিকা করার কি আছে? মনে যদি কোন প্রশ্ন জেগে থাকে তাহলে নির্দ্বিধায় জিজ্ঞেস করতে পারিস।
- ধন্যবাদ তোকে। কলেজে এতদিন তোকে যেভাবে দেখে আসছি সেখানে গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করে তোর গুটিয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে না ।
- না না! রিজার্ভের কি আছে? অনেকদিন পড়াশোনা তেমন করিনি। এখন বইপত্র খুলে দেখছি অনেকটা পিছিয়ে পড়েছি। এই নিয়ে একটু দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। সে জন্য হয়তো তোর এমন মনে হতে পারে ।
- ওকে,ফাইন! যদি পড়াশোনা সংক্রান্ত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আমার কাছে যথেষ্ট নোটপত্র আছে দরকার হলে বলতে পারিস ।
- অশেষ ধন্যবাদ তোকে। প্রয়োজন হলে নিশ্চয়ই বলবো তখন কিন্তু না করতে পারবি না ।


উল্লেখ্য ওটাই ছিল অনির্বাণের সঙ্গে আমার প্রথম কথোপকথন।ইতিমধ্যে ক্লাসে সবার সঙ্গে কথাবার্তা টুকটাক হয়েছিল।যাদের মধ্যে বিশেষ কয়েকজন ছিল অত্যন্ত কাছের।সে দিক থেকে দেখলে কথা হয়নি শুধু অনির্বাণের সঙ্গে। অথচ যেদিন প্রথম কথা হল,সেই দিনেই ছেলেটির মিষ্টি আচরনে বেশ খুশি হয়েছিলাম। ওর সম্পর্কে আমার ভিন্ন মানসিকতার কারণে তখন নিজেকে বেশ লজ্জিত লাগছিল। একটা গাঁইয়া ,ছেলে কারো সঙ্গে মেশে না কথাও বলেনা, সারাক্ষণ হাই পাওয়ারের চশমা পড়ে নিজেকে বিদ্বান বলে জাহির করে, সেই ছেলেটির মধ্যে যে একটি সুন্দর হৃদয় আছে এবং সে যে অন্যের মুখায়ব দেখে মনের ভাষা বুঝতে পারে সেটা ভেবে আমার বেশ আশ্চর্য লাগছিল। এরপর থেকে অনির্বাণের সঙ্গে ক্লাসে টুকটাক কথাবার্তা হতো তবে কখনোই বন্ধুসুলভ নয়,নিতান্ত সহপাঠীর পর্যায়ে সীমাবদ্ধ ছিল।বেশ কিছুদিন পরে হঠাৎ করে অনির্বাণকে পরপর কয়েকদিন কলেজে না আসতে দেখে খুব অবাক হয়েছিলাম। ও ছিল প্রচণ্ড রকম সিরিয়াস স্টুডেন্ট।বন্ধুবান্ধব না থাকার কারণে হোক বা পড়াশোনার প্রতি একাগ্রতার কারণেই হোক অনির্বাণ কোন ক্লাস মিস করত না। আড়ালে আবডালে আমরা এজন্য ওকে স্কুলবয় বলেও কত উপহাস করেছি । এহেন স্কুলবয়ের হঠাৎ অন্তর্ধান সপ্তাহ অতিক্রম করে যখন মাসে পড়লো তখন প্রত্যেক স্যার ম্যাডামের মুখে মুখে ওর অনুপস্থিত নিয়ে দুশ্চিন্তা আমাকেও বেশ ভাবিয়ে তুলেছিল অথচ ক্লাসের কেউ কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি ।

অস্বীকার করবো না যে শেষের বেশ কিছুদিন ওর সঙ্গে টুকটাক কথাবার্তা হওয়াতে ও কিছু নোটস আদান প্রদান করাতে আমি হয়ে উঠেছিলাম ক্লাসে ওর একমাত্র বন্ধু। যে কারণে ওর এই অন্তর্ধান আমাকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছিল। কলেজের দুই বন্ধুকে ওর সম্পর্কে একটু খোঁজখবর নেওয়ার কথা বললে তারা তো পাত্তাই দেয়নি উল্টে এমন হাসাহাসি শুরু করেছিল যে মনে হল বুঝি আমি কোনো অপরাধ করে ফেলেছি । একদিন কি একটা প্রসঙ্গে শুনেছিলাম ও গড়িয়ায় একটি মেসে থাকে। বাড়ি কোথায় খোঁজ নিয়ে জেনেছিলাম, বাসন্তীর অন্তর্গত উচ্ছেডাঙা গ্রামে ওদের বাড়ি।মেসে থাকলে কলেজে আসবে না - এটা হতেই পারে না । ধরে নিয়েছিলাম বাড়ির কেউ বা নিজে হয়তো অসুস্থ হয়ে পড়েছে ; যে কারণে গ্রামে চলে যাওয়াতে কলেজে সাময়িক অনুপস্থিত হয়ে যাওয়া।যাই হোক আরো কিছুদিন অতিক্রান্ত হল কিন্তু ও না আসায় বা ওর সঙ্গে যোগাযোগ করার কোন মাধ্যম না পেয়ে এক প্রকার নিরুপায় হয়ে একদিন সকালে বালিগঞ্জ থেকে ট্রেন ধরে সোজা রওনা দিলাম ওর গ্রামের উদ্দেশ্যে। ট্রেন ধরে ক্যানিংএ পৌঁছালাম। ওখান থেকে মাতলা নদী সহ পরপর দুটি নদী পার হয়ে অবশেষে বাসন্তী থেকে একটি অটো রিজার্ভ করে যখন ওদের গ্রামে পৌঁছালাম তখন দুপুর একটা বাজে । অনির্বাণকে গ্রামের সবাই এক বাক্যে ভালো ছেলে বলেই জানে । বাড়িতে গিয়ে জানতে পারলাম ও বাড়িতে নেই । ওর মায়ের প্রচন্ড অসুখ । বাড়িতে চৌদ্দ- পনের বছরের একটি ছোট বোন আছে। সেই-ই মায়ের দেখাশোনা করছে । আমি অনির্বাণের কথা জিজ্ঞেস করতেই বারান্দা থেকে নিচে নেমে পায়ের দিকে চোখ রেখে হাত কচলিয়ে যন্ত্রের মত একটার পর একটা উত্তর দিয়ে গেল । নাম জিজ্ঞাসা করতেই,
-আজ্ঞে ! সংঘমিত্রা মুখার্জি। ডাকনাম মুনিয়া।
মনে মনে ভাবলাম এমন দাদার এমন বোন হওয়াটাই স্বাভাবিক। কথা বলতে বলতে কিছুক্ষণের মধ্যে ওর বাবা এসে হাজির হলেন। চেহারার মিল দেখে বুঝতে বাকি থাকলো না যে উনি অনির্বাণের বাবা। মানুষটির বেশভূষার মধ্যে চূড়ান্ত দারিদ্রতার ছাপ স্পষ্ট। মুখভর্তি কাঁচা- পাকা দাড়ি। মাথাভর্তি বিশালাকার টাক। একটি পুরনো সাইকেল হেঁটে হেঁটে চালিয়ে উঠোনের এক প্রান্তে জিওল গাছের গায়ে দাঁড় করিয়ে সরল মিষ্টি একটি হাসি নিয়ে যখন সামনে এলেন আমি সৌজন্যে নমস্কার করে পরিচয় দিতেই ,
- আহারে! মা লক্ষ্মীকে কোথায় যে বসতে দিই। মুনিয়া ! মা তুই, দিদির সঙ্গে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছিস? যা শিগগির গিয়ে টুলটা নিয়ে আয়।
- আপনি একদম ব্যস্ত হবেন না মেসোমশাই। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলতেই আমি বেশ স্বচ্ছন্দবোধ করি।
- না ,মা! তুমি সে বাইরে যেমন করে আরাম পাও করো। কিন্তু আমার বাড়িতে যখন এসেছো তখন আমার নিজেরও তো একটি ভাল লাগা এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ।
মুনিয়ার এগিয়ে দেওয়া কাঠের টুলে বসতে বসতেই,
- মেসোমশাই ! অনির্বাণ দীর্ঘদিন কলেজে না যাওয়াতে প্রায় সব স্যার ম্যাডাম ওকে নিয়ে দুশ্চিন্তিত । আমার সঙ্গে টুকটাক কথাবার্তা হতো তাই খোঁজ নিতে এলাম । ওর কাছ থেকে শোনা গড়িয়ার মেসের সন্ধান জানা না থাকায় আপনাদের গ্রামেই চলে এলাম ।
- হ্যাঁ মা ! তুমি কষ্ট করে কতদূর থেকে এসেছ।কি বলে যে তোমাকে ধন্যবাদ দেব ,তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। তবে অনির্বাণ একটা মস্ত বড় কাজে বাইরে গেছে।
- মস্ত বড় কাজে বাইরে?কি কাজে মেশোমশাই ?
- সুপার সাইক্লোনের পর উড়িষ্যার পারাদ্বীপ বন্দর ও তৎসন্নিহিত এলাকায় যে বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেখানে ত্রাণ সরবরাহের কাজে একটা সেবা সংঘের হয়ে ওখানে ত্রাণ নিয়ে গেছে।
- অনির্বাণ তাহলে এখন উড়িষ্যার পারাদ্বীপ বন্দরে ত্রাণের কাজে আছে?
- হ্যাঁ মা !
- কিন্তু বাড়িতে যে মাসিমা খুবই অসুস্থ।ও কি জানে মাসিমার অসুস্থতার খবর?
- কিছুটা জানে।যখন গেছিল তখন এতটা বাড়াবাড়ি ছিল না। কিন্তু গত কয়েকদিনে তোমার মাসিমার অসুখটা বড্ড বেড়ে গেছে।ত্রাণের কাজে অনির্বাণ এর আগেও অনেক জায়গায় গেছে। এবার বরং মায়ের অসুস্থতার জন্য প্রথমে রাজি ছিল না। কিন্তু তোমার মাসিমা এক প্রকার জোর করেই পাঠিয়েছেন। তোমার মাসিমা স্বপ্ন দেখেছিল হাতের দু গাছ সোনার বাউটি উনি যেন ত্রাণের জন্য দান করেছেন । মায়ের স্বপ্নকে সার্থক করতেই অনির্বাণের ত্রাণ কাজে অংশ নেওয়া। আমিও তোমার মাসিমার যুক্তিকে খন্ডন করতে পারিনি। ভাবলাম মুনিয়া আছে , আমিও আছি, সামলে নিতে পারব ।

এতক্ষণ বাইরের বারান্দায় কাঠের টুলের উপর বসে কথা বলছিলাম।অসুস্থ মায়ের আদেশ পালন করতে ছেলেকে এমন ত্রাণকাজে সুদূর পারাদ্বীপে যেতে হয়েছে শুনে মনের মধ্যে শ্রদ্ধার আধারটি ভরে উঠলো।এমন মানুষের পদধূলি যে নিতেই হবে, ভেবে উঠে দাঁড়িয়ে সোজা ঢুকে গেলাম কিছুটা স্যাতসেতে টালির ঘরের মধ্যে।পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতেই উনি আঁতকে উঠলেন। কোনোক্রমে যন্ত্রণাক্লিষ্ট শরীরটাকে টানতে টানতে উঠে বসলেন ।
- হ্যাঁ, মা ! আমি তোমাদের সব কথা শুনেছি । কি আর করব ,এত বড় একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের উদ্ধারে শামিল হওয়ার সৌভাগ্য সবার কপালে জোটে না।আমি সুস্থ থাকলে তোমার মেশোমশাইকেও পাঠাতাম। কিন্তু অতটা সাহস পেলাম না । মুনিয়া ছোট মানুষ। একা সামলাতে পারবে না । আর তাছাড়া ওকে এতটা চাপ দেওয়াও ঠিক হবে না ।
- আপনার ঠিক কি ধরনের অসুখ মাসিমা ?
- মা রে! আমি হাঁটা চলাচল করতে পারি না। এমন কি বেশিক্ষণ দাঁড়াতেও পারিনা । জোর করে একটু দাঁড়ালে সঙ্গে সঙ্গে বসে পড়তে হয় । ডাক্তার বলছে জয়েন্ট থেকে তরল নিঃসরণ কমে গেছে,যার ফলে দাঁড়ানো বা হাঁটাচলার সঙ্গে সঙ্গে জয়েন্ট ফুলে ঢোল হয়ে যায়। যে কারণে আমাকে সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকতে হয় ।
- মাসীমা! আপনার অসুখটাও তো যথেষ্ট কঠিন, তা সত্ত্বেও ওকে বাইরে পাঠালেন?
- হ্যাঁ, মা! আমি তবু যন্ত্রণা নিয়ে দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে আছি । কিন্তু ওখানে কত লোক মারা গেছে । চারিদিকে শুধু বীভৎস ধ্বংস লীলা, ,মৃত জীব জন্তুর স্তুপ । তোমার মেসোমশায়ের কাছে পেপারে ছবিগুলো দেখে আমি শিউরে উঠেছিলাম। আমার অসুস্থতার কারণে তাই প্রথমের অনির্বাণ যেতে রাজি ছিল না। আমি একপ্রকার জোর করেই ওকে পাঠিয়েছে । বলেছিলাম তুমি বাড়ি থাকলে যত বেশি না আনন্দ পাব তার চেয়ে শতগুণ বেশি খুশি হব ঐ সমস্ত পীড়িত মানুষের ত্রাণের কাজে হাত লাগালে ।

সেদিন আমার হাতে আর সময় না থাকায় অটো নিয়ে ফেরার রাস্তা ধরি । ওদের বাড়ি থেকে ফেরার চতুর্থ দিন ঠিক আড়াইটা নাগাদ কলেজের একজন গ্রুপ ডি স্টাফ শ্রেণিকক্ষে এসে আমাকে খোঁজ করে অফিস রুমে দেখা করতে বলেন । প্রথমে বেশ অবাক হয়েছিলাম । কলেজে আবার আমাকে কেই বা ফোন করবেন শুনে । বাবা তো প্রায় সপ্তাহের রবিবার আসেন নতুবা আমি নিজে যায় বাড়িতে । তাহলে এমন কে আছেন যিনি আমাকে ফোনে খোঁজ নিবেন?
যাইহোক এরকম ভাবতে ভাবতে অফিস রুমের উদ্দেশ্যে পা বাড়ালাম ।

চলবে .....


মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:২৫

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: বেশ লম্বা লেখা। একটু ব্যস্ত আছি। পড়বো পরে..

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হোসাইনভাই ,

বহুদিন পর আপনাকে কমেন্টে পেয়ে আনন্দ পেলাম। প্রথম মন্তব্য মানে আলাদা ভালো লাগা। ধন্যবাদ আপনাকে। পোস্ট দীর্ঘ হওয়ার কারণে পড়েননি সমস্যা নাই । যদি পরে সময় পান তাহলে আসবেন আশা করি ; অন্যথায় এমন উপস্থিতি কাম্য ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৪১

মা.হাসান বলেছেন: বড় বেশি সাসপেন্স রেখে গেলেন। । অনির্বাণ কে কাবাব মে হাড্ডি ভেবেছিলাম কিন্তু এখন পর্যন্ত তার সম্পর্কে যা লিখলেন, তাতে তার ব্যাপারে শুধু সহানুভূতিই জেগে উঠে। সুপার সাইক্লোন কি ১৯৯৯ সালে হয়েছিল? বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে বড় ঘূর্ণীঝড়ে দেড় লাখের মতো মানুষ প্রাণ হারায়। ৯৯ সালে কিছু হয়েছিল কি না মনে নেই । শান্তনুর বিষয়ে প্রতীক্ষায় থাকলাম ।
অনেক শুভ কামনা।

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা. হাসানভাই,

আপনার সুন্দর মন্তব্য প্রীত হলাম । আপনার কমেন্ট থেকে পরিষ্কার অনির্বাণ সম্পর্কে আগে যে ধারণা তৈরি হয়েছিল বর্তমান ধারণার সঙ্গে তার বিস্তর অমিল । আগে অনির্বাণ অজ্ঞাত ছিল কিন্তু বর্তমানে অনির্বাণ জ্ঞাত । কাজেই পার্থক্যটা হওয়াটাই স্বাভাবিক । হ্যাঁ সুপার সাইক্লোন সম্পর্কে আপনার ধারণা একেবারে সঠিক । 1999 সালে সালে উড়িষ্যার পারাদ্বীপ উপকূলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় বহু মানুষের প্রাণ নিয়েছিল । কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছিল ।ঝড়ের পর যত্রতত্র মৃত পচা জীবজন্তুর দেহাবশেষ থেকে শুরু হয়েছিল মহামারী । ঘন্টায় 270 /80 কিলোমিটার বেগে সুপার সাইক্লোন এখনো পর্যন্ত ভারতের সমুদ্র উপকূলের সবচেয়ে দ্রুততম ঝড় ।
অনির্বাণের প্রসঙ্গটিও বেশ বড়। ‌ আগামী দিনে অনির্বাণের প্রসঙ্গটি শেষ হবে আর শান্তনু পর্বটি সামনে আসবে । পোষ্টটিকে লাইক করাতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম । কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন। ‌


৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৪৮

আরোগ্য বলেছেন: ৩য়।
নৌকাডুবি দেখছিলাম তাই দেরি হয়ে গেল। পরে আসছি।

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,

তুমি নৌকাডুবি দেখছিলে ? আর নৌকাডুবি প্রসঙ্গে আমার রবীন্দ্রনাথের 'দেবতার গ্রাস' মনে পড়ে । নিশ্চয়ই খুব এনজয় করেছো , যে জন্য ব্লগিং এর কথা মাথায় ছিল না । তবে এদিকেও চাপ নেওয়ার কোনো কারণ নেই । ফার্স্ট ,সেকেন্ড না হতে পারলেও তৃতীয়ও কিন্তু সম্মানীয়। পোস্ট পড়ে পূর্ণাঙ্গ কমেন্ট করবে ; আমি তোমার অপেক্ষায় রইলাম ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা স্নেহের আরোগ্যকে।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:২৪

মা.হাসান বলেছেন: বড় বেশি সাসপেন্স রেখে গেলেন। । অনির্বাণ কে কাবাব মে হাড্ডি ভেবেছিলাম কিন্তু এখন পর্যন্ত তার সম্পর্কে যা লিখলেন, তাতে তার ব্যাপারে শুধু সহানুভূতিই জেগে উঠে। সুপার সাইক্লোন কি ১৯৯৯ সালে হয়েছিল? বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে বড় ঘূর্ণীঝড়ে দেড় লাখের মতো মানুষ প্রাণ হারায়। ৯৯ সালে কিছু হয়েছিল কি না মনে নেই । শান্তনুর বিষয়ে প্রতীক্ষায় থাকলাম ।
অনেক শুভ কামনা।

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা .হাসানভাই,

পোস্ট হয়ে গেছে। ধন্যবাদ আপনাকে ।‌ শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন ।

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:৪১

বলেছেন: একটানে পড়ে ফেললাম --

ভাবছিলাম অর্ণিবান মনে হয় প্রেমের দ্রোহ ছড়াবে না সে তো মানবতার জন্য অনিবার্য সময়ে প্রজ্জ্বলিত হয়ে গেলো।

চরিত্রগুলো বেশ চিত্তাকর্ষক ও খুব সুন্দরভাবে ফুটেে উঠেছে।


শুভ কামনা প্রিয় গল্পকার।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিফভাই,

আমাদের মতো ক্ষুদ্র লেখকের ছোট্ট প্রয়াস যে আপনি এক নিমিষে পড়ে ফেললেন এতে অনেক আনন্দ পেলাম । ধন্যবাদ আপনাকে।অনির্বাণ যে প্রেমের দ্রোহ ছড়াবে তা না করে মানবতার জন্য অনিবার্য সময়ে প্রজ্বলিত হলো, আপনার সুন্দর কমেন্টের মুগ্ধতা ।
চরিত্রগুলো চিত্তাকর্ষক ও সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে মনে করাতে অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে । পোস্টটিকে লাইক করাতে অনেক প্রেরণা পেলাম । কৃতজ্ঞতা জানাই প্রিয় কবিভাইকে ।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন ।


৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:৪৪

মুক্তা নীল বলেছেন: প্রেস্টিজ ইস্যু, পারিবারিক শিক্ষা, নিজের ভদ্রতা ও চালচলন কাজকর্ম যেকোনো মানুষের ভেতর ও বাহিরে আভিজাত্যপূর্ণ ছাঁপ সৃষ্টি করে । বাবার কথাই ধরুন --- দেওয়ার হাত উপরে, নেয়ার হাত নিচে। শেফালী ম্যাডাম এর ব্যাক্তিত্বের চমৎকার প্রতিফলন ফুটিয়ে তুলেছেন ।

আচ্ছা দাদা, একটা মেয়ে যখন ঐ বয়সে নতুন কারো প্রেমে পড়ে এই সিচুয়েশনে কিভাবে ধাপিত করলেন? মারাত্মক বুদ্ধিদাতা আপনার মস্তিষ্ক ।
 অনির্বাণ ও তার মা, বাবার প্রতি পাঠকদের ভালোবাসা ফুটিয়ে তুলেছেন নিদারুণ ভাবে। বিবেকের তাড়নায় ত্রানের কাজে বাড়ি থেকে ভালো যাওয়া --- এটাই ঘুরিয়ে দিলো পুরো গল্পের মোড়।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম । তাড়াতাড়ি দিবেন কিন্তু আপনার কাছে পাওনা রইলো ।
গল্পে ভালো লাগা জানিয়ে শ্রদ্ধাসহ শুভ রাত্রি।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মুক্তাআপু,

বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী । আপনার অত্যন্ত সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম।
" প্রেস্টিজ ইস্যু,
পারিবারিক শিক্ষা, নিজের ভদ্রতা ও চালচলন,
কাজকর্ম যেকোনো মানুষের ভেতরে ও বাইরে আভিজাত্যপূর্ণ ছাপ সৃষ্টি করে। " কমেন্টের এই অংশে ভীষণ মুগ্ধ হলাম ।
আর যৌবনের শুরুতে নতুন প্রেমে পড়ার যে সিচুয়েশনটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে মুগ্ধ হলাম। তবে আমার দৃষ্টিতে পর্বটি এখনো নিখুঁত হয়নি । ঠিক শান্তি পায়নি এই অংশটুকু তৈরি করে । তবে আপনার ভালো লেগেছে এটা আমার যথেষ্ট খুশির ।
গল্পে অনির্বাণের ত্রাণ পর্বটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আবারো খুশি হলাম। এই অংশটি নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে রচিত । এখানে একেবারেই জল মেশানো নাই । কাজেই এমন একটি সিচুয়েশন যে গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে সেটি আমার কাছে যথেষ্ট অনুপ্রেরণার বা আনন্দের বিষয় ।

আর আপনাদের ভালোবাসাই আমার দিশারী। নিশ্চয়ই পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই পোস্ট করব ! সঙ্গে থাকবেন আশা করি।

পোস্টটিতে like' করাতে অনেক প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় আপুকে।

৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১:১৭

আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় ভাইটি ,
নৌকাডুবি ছবিটি আগেও কয়েকবার দেখেছি, আজ মন চাইলো তাই ল্যাপটপে দেখছিলাম, পাশাপাশি দুইবার সামুতে গিয়ে মরীচিকা চেক করেছি। কারণ তোমাকে দীর্ঘসময় অনলাইনে দেখেই সন্দেহ করেছি। আরও দুই বার চেক করতে গিয়ে সামুতে যেতে পারছিলাম না।

পরে একবারে ছবি শেষ করে মোবাইল দিয়ে সামুতে যেয়ে দেখি দীর্ঘ প্রতিক্ষিত মরীচিকা।

আগের পর্ব পড়ে কখনো ধারণা করিনি অনির্বাণ মুখার্জি এতো পরোপকারি হবে, স্যালুট। পুরো ঘটনা জানার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। জানিনা পরের পর্বের জন্য কতদিন অপেক্ষা করতে হবে। আজকের পর্ব পুরোটাই একতরফা বক্তৃতা ছিলো, মাস্টারদার কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার সুযোগ হয় নি। নিশ্চয়ই সামনের পর্বে অনেক তথ্য পাবো।

পরের পর্বের জন্য অনেক শুভ কামনা করছি। শুভ রাত্রি।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,

বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত। নৌকাডুবি যে তোমার প্রিয় একটি ছবি কমেন্ট থেকেই টের পেলাম। । আমি টাইটানিক তিনবার দেখেছিলাম। দুবার অনেকগুলি বই দেখেছি । দীর্ঘক্ষন অনলাইনে দেখেই বুঝে ছিলে যে মরীচিকা দিচ্ছি। সত্যি কথা বলতে কি যেদিন তুমি বললে প্রিয় ভাইটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মরীচিকা দাও ,সেটি দেখেই পোস্টটি এত দ্রুত দেওয়া । না হলে হয়তো আরও এক দুই দিন পরেই দিতাম ।
মরীচিকা পাওয়ার জন্য তোমার সামুর সঙ্গে লুকোচুরি পড়ে মুগ্ধ হলাম। মরীচিকা কত ভালো হচ্ছে জানিনা, কিন্তু ভাইয়ের প্রতি তোমার যে অসম্ভব টান সেটা দেখেই আমার আনন্দ, আমার ভালো লাগা ।
" আজকের পর্ব পড়ে কখনোই ধারণা করিনি অনির্বান মুখার্জী এত পরোপকারী হবে, স্যালুট।"
বহু ক্ষেত্রে আমাদের জীবনে এটা হয়ে থাকে যে আমরা মানুষের বহিরঙ্গ দিয়ে বিচার করি। কিন্তু অন্তরঙ্গে যখন আমরা তার মহত্ত্বের পরিচয় পাই তখন কিন্তু আমরা নিজেদের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হই । কাজেই তোমার এরকম ভাবাটা একেবারে অসহায়ের নয়।
পরের পর্ব খুব শীঘ্রই দেব, কথা দিলাম।
আর শেফালী ম্যাডামের একতরফা বক্তৃতা প্রসঙ্গে এমনতর অত্যাচার আরও একটু সহ্য করতে হবে। হা হা হা ...

তোমার শুভকামনা গ্রহণ করলাম। তোমার জন্যও রইল আমার বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও অফুরান শুভেচ্ছা।



৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১:২৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: শেফালী ম্যাডামের গল্পের এই অংশও অনেক যত্নকরে বর্ননা করেছেন। দেখতে বসে আছি পরের পর্বে শেফালী ম্যাডামের আরো সংলাপ ও ইচ্ছার সারাংশ।
ভাল থাকবেন দাদা। লিখা সম্পর্কে নতুন করে কোন প্রশংসা করছি না। এতো দিনে সবাই চিনে গেছে দাদাকে। সাথেই আছি, থাকবো। পড়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন এর জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সুজনভাই ,

আপনার সুন্দর মন্তব্য প্রীত হলাম । গল্পে এই অংশটি আপনার কাছে খুব যত্ন করে বর্ণনা করা, মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।পরের পর্বে শেফালী ম্যাডামের আরো সংলাপ আরো ইচ্ছার অপেক্ষায় আছেন জেনে পুলকিত হলাম। তবে কতটা যে আপনার মনোবাসনা পূর্ণ করতে পারব সে বিষয়ে যথেষ্ট চিন্তাগ্রস্থ হয়েও পড়লাম ।
আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম। লেখা সম্পর্কে আপনার প্রশংসা বাক্যে প্রচণ্ড লজ্জা পেলাম। কি যে বলেন ! আমি নিরন্তর শিক্ষানবিসের মত লিখে যাচ্ছি। ব্লগে অনেক সুধী বা গুনি ব্লগার আছেন। যাদের চোখে পড়লে বিষয়টা আমার পক্ষে যথেষ্ট বিব্রতকর হবে ।
সাথে আছেন ,থাকবেন এটাই আমার সেরা পুরস্কার। এমন সহমর্মিতা বা সহযোগিতার পরশ থাকলে মনে যে টুকু হাবিজাবি আছে সব কলমের ডগায় আনার উৎসাহ পাবো - সেকথা হলফ করে বলতে পারি ।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন ।

৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১:৩০

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: অনেক পর আপনার পোস্ট মন্তব্য...

আসকে দেখুন, আমার ব্লগ স্ট্যাটিক দেখলে খেয়াল করবেন এখনো হয়তো আমি ১০০০ মন্তব্য করিনি।

এখন চেক করলাম। ১০৭২ টি মন্তব্য এই পর্যন্ত করেছি। অথচ আমার ব্লগের বয়স ১ বছর ৯ মাস। অনেককে তো দেখি মাত্র বয়স ২-৩ মাসেই মন্তব্য করে ২-৩ হাজার।

মন্তব্য করাটা সময় সাপেক্ষ। তাই খুব একটা মন্তব্য করি না। তাছাড়া আরেকটি কারণ আছে। কেউ মন্তব্যের প্রতিউত্তর দিলে তা খুঁজে পাই না। মোবাইল দিয়ে চালাই তো , নোটিফিকেশন এ এখনো ৯২ লেখা আছে। কিন্তু ক্লিক করলে আসেনা। তাই আমার প্রোফাইলে গিয়ে কোথায় কোথায় মন্তব্য করেছি সেখানে গিয়ে কে কি রিপ্লাই করল তা চেক করতে হয়। এটা খুবই বিরক্তিকর। তাই মন্তব্য সহজে করিনা আমি।


কিন্তু সামহোয়ারইনব্লগ বন্ধ করার ফলে মনে খুব কষ্ট পাই। সিদ্ধান্ত নিই যতই ব্যস্ত থাকি প্রতিটা পোস্টে কমেন্ট করব। এবং করছিও। মাঝে মাঝে ভুলে হয়তো দুই একটা পোস্ট বাদ পড়ছে। হয়তোবা হাসবেন। কিন্তু এটাকে প্রতিবাদ হিসেবে ধরে নিয়েছি আমি। তাছাড়া, ব্লগে যে হাহাকার চলছে। আজকেও ফেসবুকে এক ভাই আমাকে নক করেছে সামুতে ঢুকতে পারছে না কোনভাবেই। ওই ব্লগারটির নাম তানিম। তাঁকে একটা নিয়ম পাঠিয়েছি। এতেও নাকি কাজ হচ্ছে না।সকালে আরেকটা নিয়ম পাঠাবো বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেছি আপাতত।

পোস্ট তেমন নেই। নেই কমেন্ট। ফলে ব্লগাররা লিখতে নিরুৎসাহিত হতে পারে। এজন্য প্রতিটি পোস্টে কমেন্ট করা যুক্তিযুক্ত।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হোসাইনভাই,

আজ আমার পরম সুখের দিন, আনন্দের দিন । আপনি আজ আপনার ভালোবাসার থলি আমার জন্য উজাড় করে দিয়েছেন । এত সুন্দর তিনটি কমেন্ট যা আজ দিয়েছেন তা বহুদিন মনে রাখব। আপনি ব্যস্ত মানুষ ; বিদেশ বিভুঁয়ে থাকতে হয়। সব সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না ব্লগে আসার । তবুও মাঝে মাঝে আপনাকে পেয়ে আনন্দ পাই। আর এ কারণেই সম্ভবত এক বছরের অধিক কাল ব্লগে থাকলেও আপনার কমেন্ট তুলনামূলকভাবে কম। কোন সমস্যা না , ব্লগিং ব্যাপারে আমার পরামর্শ আপনি কোনো চাপ নেবেন না ।যখন যেমন সময় পাবেন তেমনি ব্লগিং করবেন । মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করার অভিজ্ঞতাটি পড়ে আমি দুশ্চিন্তিত হয়ে পড়লাম। আমি যদিও আমিও লগ ইন মোবাইল দিয়ে করি তবে আমার এতটা সমস্যা হয় না আর নোটিফিকেশনে আমার যেমন 112 দেখায় ,ওটাকে আমি ধরার মধ্যে রাখি না। তবে ওই স্থানে টাচ করলে মাঝে মাঝে দুটি বা তিনটি কমেন্ট বা প্রতিমন্তব্য নোটিফিকেশনে দেখায়।

আর সামু ব্লগ বন্ধ করার ব্যাপারে আমার আপনার সকল অভিযোগে কি প্রচন্ড দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছিলাম। আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা প্রথম যখন খবরটি শুনি তখন আপনজন হারানোর মতো শোক পেয়েছিলাম। যদিও আজ সেই অবস্থা থেকে অনেকটাই উন্নতি করতে পেরেছি । আমার মতো অনেকেই ব্লগিং এ লগইন করার সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছে । আগামীতে সামু ব্লগ তার সমস্ত রকম বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করে স্বাভাবিক হবে এই প্রত্যাশা রাখি ।

ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও ফেসবুকে পছন্দ করতাম না। কিন্তু সামুতে সমস্যা হওয়ার পর থেকেই ফেবুতে বেশ সক্রিয় হয়ে ছিলাম। সামুতে অপেরা ব্রাউজার ইউজ করার পর থেকে সামুতে লগইন আমার পক্ষে একেবারে সহজ হয়ে গেছে। যে কারণে ফেবুতে যাও আমার অনেকটাই কমে গেছে। আপনার ফেবুর মাধ্যমে আপনার সমস্যাটি র অবসান হওয়াতে আনন্দ পেলাম ।

কমেন্টের একেবারে লাস্ট অংশে আপনার সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করছি।ব্লগিং কে পুনরুজ্জীবিত করতে গেলে আমাদের যথেষ্ট ভূমিকা আছে আমাদের যত সম্ভব এই মুহূর্তে ব্লগে নিয়ে আসতে হবে যতটা সম্ভব বেশি বেশি করে কমেন্ট করতে হবে আর এর ফলে ব্লগিং মিথস্ক্রিয়ায় শামুক আর কোনদিন ফিরে পাবে।
শুভ ব্লগিং .....

বিমুগ্ধ ভালোবাসা জানবেন।


১০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১:৪১

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: এবার আসি, আপনার লেখাটার বিষয়ে।

এক নিঃশ্বাসে পড়লাম। ধারুণ হয়েছে। অনির্বাণ এর মতো হতে আমার ইচ্ছা হয়েছে। আপনি নিজেও হয়তো অনির্বাণ এর বন্ধু হতে পেরে গর্ববোধ করেন।

এই হল আমার এক সমস্যা। উত্তম পুরুষে কিছু লেখা হকে আনি দ্বিধায় ভুগি। এটা কি লেখক/লেখিকার সাথে ঘটে যাওয়া বাস্তব কাহিনী নাকি কেবল একটি গল্পই...


যাকগে, উপরে ১৮তম পর্ব লেখাটি দেখি নিশ্চিত হলাম এটা একটি উপন্যাস। গল্প আকারে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করছেন।

মন্তব্য পড়লাম। আপনার এই লেখার ভক্তও আছে অলরেডি। আর আজ আমিও আপনার লেখাকে ভালবেসে ফেললাম। এটা বোধ হয় পুরোপুরি সত্য না। আরো কিছু লেখা পড়লে বলা যাবে আপনার লেখা সম্পর্কে।

তবে এই লেখাটা ভাল লেগেছে। অনির্বাণ এর মত হতে ইচ্ছা জেগেছে। এটা তো আপনার স্বার্থকতা। পাঠক যখন গল্পের কোন চরিত্র নিজের মাঝে ধারণ করতে চায় তখন লেখক/লেখিকা স্বার্থক। এটা আমার অপিনিয়ন।

এই দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি স্বার্থক। শুভকামনা রইল।

ভালবাসা অশেষ.......

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হোসাইনভাই,

আশা করি ভালো আর কুশলে আছেন । লেখাটা দারুন হয়েছে ও এক নিঃশ্বাসে পড়েছেন জেনে আনন্দ পেলাম। অনির্বাণ এর মত হতে আপনার ইচ্ছে হচ্ছে বা আমি অনির্বাণে বন্ধু হতে পেরে আনন্দিত হলাম । সত্যিই আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে অনির্বাণের মত একটি বিশেষ সত্তা আছে। যেটা বিশেষ সময় সেটি জেগে ওঠে । জীবনে বহু ক্ষেত্রে আমরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি । আমাদের প্রত্যেকের চলার পথে এমন সুযোগ আসে। কিন্তু আমরা সেসব ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। পারিনা নিজেদের মতো নিজেদের তুলে ধরতে। ক্ষেত্রে অনির্বাণরা আমাদের দিশারী । আগামীতেও যদি এমন কোন সুযোগ আছে তাহলে আমরা সামান্য অনির্বাণ হয়ে ওঠার চেষ্টা করব । প্রত্যেকটা গল্পের মধ্যে একটা সঠিক বার্তা থাকে। এই পর্বে সেই সামাজিক বার্তাটি হলো এটাই।

কমেন্ট এর পরবর্তী দুটি অংশে মুগ্ধ হলাম। আপনি খুব বেশি আমার লেখা পড়েন নি। আমি আপনাকে ভক্ত হয়ে ওঠার কথা একেবারেই বলবো না। তবে আমি আপনার কমেন্টের অন্ধ ভক্ত হয়ে উঠলাম।এমন মধুর কমেন্ট পেতে হাবিজাবি যা লিখি না কেন সে সম্পর্কে একটু মন্তব্য করার অনুরোধ রাখব। আগামীতেও যেন এই অবলা পোস্টদাতাকে এমন মধুর কমেন্ট থেকে অভুক্ত রাখবেন না প্লিজ ।

আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যোও রইল হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা ও শুভকামনা ।


১১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: ব হু দি ন প ড়ে।
মনে মনে এই পোষ্টটির অপেক্ষায় ছিলা দাদা।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিলম্বিত উত্তর দেয়ার জন্য ছোট ভাইয়ের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী । ছোট্ট আন্তরিক কমেন্টে ভীষণ আনন্দ পেলাম। পোষ্টের জন্য ভয়ের তৃষ্ণার্ত মন যে শান্তি পেল এটা জেনেও পরম তৃপ্তি পেলাম । ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো ।

১২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৩৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: দরিদ্র পরিবারের ছেলে অর্নিবান এবং তাদের পরিবারের সকলের এমন পপরোপকারী মানষিকতা সত্যি মনটাকে নাড়া দেওয়ার মত, অসাধারণ লিখনিতে চিত্রগুলো জীবন্ত হয়ে চোখের সামনে ধরা দিয়েছে। গল্পে ভাললাগা লেখকের জন্য অনেক অনেক ভালবাসা।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তারেকভাই,

বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।অনির্বাণ এবং তার পরিবার সম্পর্কে আপনার মন্তব্যটি পড়ে মুগ্ধ হলাম । ধন্যবাদ আপনাকে।
চিত্রগুলি জীবন্ত বলে মনে হওয়াতে ও লেখনি ভালো লাগাতে আবারো মুগ্ধতা ।

পোস্টটিতে লাইক করার জন্য প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন ।

১৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মরিচিকা ভেবেছিলাম মরিচিকা হয়েই বুঝি রয়ে যাবে ;)

না আলো হয়ে আবার জ্বলে উঠেছে স্ব-মহিমায় :)
সামুর এ দু:সময়ের আপনার দারুন প্রত্যাবর্তনেও আশার আলো খুঁজে পাই।

কেটে যাক সামুর দু:সময়!

বরাবরের মতোই মুগ্ধতা। ++++++++++

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবিভাই,

গ্রাম সম্পর্কের এক আত্মীয়ের মৃত্যুর কারণে গতকাল সারাদিন গ্রামে কেটেছে যে কারণে সঠিক সময়ে প্রতিমন্তব্য করতে পারিনি ।
হা হা হা মরীচিকা শেষ পর্যন্ত যে মরীচিকা হয়ে ওঠেনি- এটাই আমাদের প্রত্যাশা। সামরিক বাধা বিঘ্ন আমরা পেয়েছি ঠিকই , কিন্তু আমরা সবাই যেন তেন প্রকারে আবার সামুর পতাকার তলায় জমায়েত হব- এই দীর্ঘ বিশ্বাস আমাদের সকলেরই । অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে এই সাফল্য আমাদের নৈতিক জয় বৈকি ।
কাজেই এহেন সময়ে আমাদের যে কারো পোস্ট আমাদের সার্বিক সাফল্য। আমরা সেই সাফল্য কড়ায়-গণ্ডায় আদায় করতে চাই। পোস্টটি ভাল লাগাতে আনন্দ পেলাম। লাইক করাতে পেলাম প্রেরণা ; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় কবিভাইকে।

১৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: প্রিয় ভাই এই যে উপন্যাসটা লিখছেন এটা কি আপনার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে?
কেননা আমার কাছে কেমন যেন সত্য বলেই মনে হচ্ছে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহমুদুরভাই,

এবার আপনি আমাকে বেশ সমস্যায় ফেলে দিয়েছেন।উপন্যাস বা গল্পের প্রতিপাদ্য বিষয় আমাদের সামাজিক মধ্যেই নিহিত আছে।সেটা কখনো আমাদের নিজেদের জীবনে ঘটে থাকে , কখনো বা পারিপার্শ্বিক অন্য কোনো ব্যক্তির জীবনে ও ঘটে। প্রতিনিয়ত সমাজের যে ঘটনাগুলো আমাদেরকে দাগ কাটে আমরা সে গুলোকে পান্ডুলিপি আকারে জমা করে রাখি।

১৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথমদিকে কয়েকটা পর্ব পড়েছিলাম, এরপর আর পড়ি নাই। এভাবে ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ে মজা পাই না। আর কয়টা পর্ব আছে আনুমানিক? শেষ হলে সবগুলো একসাথে পড়বো।

বই আকারে বের করার কোন পরিকল্পনা আছে? তাহলে একবারে বইটাই সংগ্রহ করে ফেলতাম! :)

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মফিজভাই ,

বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী । আপনার সুন্দর চাঁছাছোলা মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। হ্যাঁ , আপনার মত অনেকেই আছেন যারা এরকম ছোট ছোট পর্ব গুলির মধ্যে কোন বিষয় খুঁজে পান না । সে ক্ষেত্রে গোটা পর্ব ভুলে একসঙ্গে উপন্যাস টাকা দিলেই বেশি ভালো লাগতো। কিন্তু এরকম সুযোগ সুবিধা আমার জানা নেই। কাজেই কোনদিন উপন্যাস আকারে দিতে পারব কিনা সন্দেহ থেকেই যায় । আপনার প্রশ্নের উত্তর বলি ,এখনো অনেক গুলি পর্ব আছে । শেষ হতে বেশ টাইম লাগবে। সেক্ষেত্রে শেষ হয়ে এলে যদি আপনি পড়েন সেটাই আমার কাছে হবে যথেষ্ট আনন্দের।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।



১৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:২০

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: খুব ব্যস্ত ছিলেন বোধ হয়।

যাহোক, অবশেষে ফিডব্যাক পেয়ে খুশি হলাম।

আমার সম্পর্কে আপনার একটি ভুল ধারণা। আমি বিদেশে থাকি না। দেশেই আছি। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধিভুক্ত একটি কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে আছি। পড়ালেখা একদমই করি না। খেলাধুলো, আড্ডা, খাওয়া দাওয়া, ঘুম আর প্রার্থনা। এভাবেই সময় কাটছে। এর বাইরে সময় সুযোগে ফেসবুকিং কিংবা ব্লগিং করি।

মন্তব্য অবশ্যই করবো। অবশ্যই করবো। এমন সুন্দর প্রতিউত্তরের টানেই মন্তব্য করতে হবে আমায়। হাহহা।


ভালো থাকবেন। ভালো রাখবেন।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হোসাইনভাই,

আপনার আবার কমেন্টে আসাতে আনন্দ পেলাম। আপনি ফিডব্যাক পেয়ে খুশি হয়েছেন, এটা জেনে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ ,সত্যিই আপনার সম্পর্কে আমায় ভুল ধারণা ছিল। পড়াশোনা যেহেতু করছেন কাজে একটু মন দিতেই হবে ।খেলাধুলা নিশ্চয়ই করবেন কিন্তু সে পড়ার দিকেও একটু লক্ষ্য রাখতে হবে। পরে মাস্টার ডিগ্রীর কাছে সুযোগ পাওয়াটা এর উপর নির্ভর করছে। উপযাচক হয়ে জ্ঞান দিয়েছি প্লিজ এই দৃষ্টিতে দেখবেন না।

আপনার ব্রাইট ফিউচার ও সুস্বাস্থ্যের কামনা করি।

১৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম সব সময়ে আগ পার্স বের করে বিল মেটানো বন্ধুদের অনেকেই, ক্যাশিয়ার ভেবে থাকেন। যাইহোক শেফালী ম্যাডামের কলেজ জীবন ভালোলাগছে, ভালোলাগছে উনার পরিস্থিতি অনুধাবন! পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা ! বলতে বলতেই আপুকে পেয়ে গেলাম। হা হা হা ...

আপু আপনি আমার সঙ্গে সহমত হবেন কিনা জানিনা তবে কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের যদি বাবার একটু টাকা- পয়সা থাকে, তাহলে কিন্তু একটু অহংকার ভাব দেখানোর একটা প্রবণতা থাকে । সেজন্যই সবার আগে পার্টস বার করে নিজেকে জাহির করতে চাই । তুলনামূলকভাবে কলেজ পড়ুয়া ছেলেদের তুলনায় কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের ব্যাপারে বাবা মায়েরা অনেক বেশি সজাগ থাকে। সেজন্য তাদের কাছে টাকা-পয়সাটা তুলনামূলকভাবে অনেকটা বেশি থাকে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বয়সের পরিণতির কারণে এই আচরণটি যথারীতি লোপ পায় । ব্যক্তিত্বে একটা পরিশীলিত বোধ তৈরি হয় । যদিও সবার ক্ষেত্রে যে এমন নয় তা নয় । তবে এমনটি সাধারনত চোখে পড়ে। গল্পে শেফালী ম্যাডামের সেই অবস্থাটাকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ।

পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই পোস্ট করব । আপনি সঙ্গে আছেন জেনে আনন্দ পেলাম। পোস্টটিতে like' করাতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুনিকে।


১৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,



ঝুলিয়ে রাখলেন!
অনির্বাণ চরিত্রটি ভালো লেগেছে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই,

আপনার পদচারণায় ধন্য হলাম । আর পার্বিক হওয়ার জন্য একটু যে ঝুলিয়ে রাখতেই হবে । হা হা হা ....

অনির্বাণ চরিত্রটি ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম । ধন্যবাদ আপনাকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

১৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: দাদা,
- ৫৮ গেটে .........শুরু লাইনটা একদম ভালো লাগে নি। কেমন যেন মেডিক্যাল রিপোর্টের মতো লাগছে। আপনাকে এই লাইনটা আবার নতুন করে লিখতেই হবে।
-বিরাম চিহ্ন এদিক ওদিক হয়ে গেছে। আপনি একবার ভালো করে পড়লেই বুঝবেন। কমা বা সেমি কোলনের পর অযথা স্পেছ এসেছে বার বার।
- অনির্বানের সাথে পরিচয়ের অংশটা আমার কাছে প্রয়োজনের চেয়েও অযথা বড় মনে হয়েছে। প্রথম ২টা প্যারা ঠিক করলে ভালো হয়।
- সবশেষে চলবে দেয়ার কি কোন প্রয়োজন আছে?? হেডিং এ তো বলেই দিয়েছেন পর্ব!!

দেরী করে মন্তব্য করার জন্য দু:খিত। বেশ কয়েকবার না পড়ে আমি কোন ভাবেই মন্তব্য করি না।
শুভ কামনা রইল!!

২১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় নীল আকাশভাই । গতকাল ফেবুতে অপেরা দিয়ে ব্লগে ঢোকার কথা বেশ গর্ব করে বলেছিলাম । তারপর যতবার এই ব্লগে ঢুকতে গিয়েছি ততবারই লগ আউট হয়ে গেছি । অন্যের পোস্টে অফলাইন থেকে লগইন হচ্ছে কিন্তু নিজের পোস্টে কিছুতেই হয়নি । যে কারণে কালকে একপ্রকার প্রতিমন্তব্য করার হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম । সকালবেলা অবশ্য যথারীতি লগইন হলো। আপনার সুন্দর সাজে শুনে মুগ্ধ হলাম। আসলে নতুন পাঠকদের লিংক পাওয়ার সুবিধার জন্যই প্রথম লাইনটির অবতারণা। আপনার সুন্দর সাজেশনে চমৎকৃত হলাম এবং বিষয়টি কিছুটা ঠিক করার চেষ্টা করেছি ।

আর বিরামচিহ্নের মাঝে স্পেস দেওয়াটা ব্লগের অনেকেই দেখি পছন্দ করে। আমার প্রথম দিকের পোস্টে এরকম স্পেস না দেওয়াতে চিহ্নগুলি আগের শব্দের গায়ে লেপ্টে থাকাতে বেশ কয়েকজনের সাজেশনে এই পদ্ধতি অবলম্বন করি । ব্যক্তিগতভাবে আমারও স্পেস দেওয়াটা বেশ দৃষ্টিনন্দন বলে মনে হয় ।

আর অনির্বাণ প্রসঙ্গে বহু আগে পাঠক মহলে যে ধারনার অবতারণা হয়েছিল ,বাস্তবে অনির্বাণ কেমন ? কেন শেফালী ম্যাডামের মনে রস কসের অভাব - সেটা বোঝানোর জন্যই এই পর্বটিকে একটু দীর্ঘ করার চেষ্টা ।
সবশেষে 'চলবে' বলার মধ্য দিয়ে আগামীর একটা সংকেত' বজায় রাখা । আপনার বহুমুখী সাজেশনে মুগ্ধ হলাম । পোস্টটিকে লাইক করার জন্য অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

২০| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৩৫

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


প্রিয় হয়ত ভুলে গিয়েছেন,

যাইহোক এখনো এমন কোন মহৎ কর্ম করিনি যে কেউ আমাকে মনে রাখবে । আমাদের সরকার অনেক ভাল তাই আমাকে ভিপিএন ব্যবহার করতে হচ্ছে ।

অনেক দিন পর ব্লগে আবার অল্প অল্প নিয়মিত হতে হচ্ছে । ভিপিএন সব সময় কাজ করে না ।

গল্পের রেস বেশ এগিয়ে গিয়েছে । দেরি করে ফেলেছি । আরও কিছু হয়ত বলার থাকতে পারে । শোন উচিত ছিল । তবে হঠাত ফোন বিষয়টা একটু ঘোলাটে পরিবেশ তৈরি করেছে ।

আবার শান্তনুর কথা কি ভুলে গিয়েছেন নাকি ।

অপেক্ষায় থাকলাম ।

ভালবাসা আর শ্রদ্ধা রইল ।

২১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় অপুভাই,

আপনাকে আমি কেন, যে কোন ব্লগার কখনো ভুলতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। গেট টুগেদার , বইমেলা সহ একাধিক জায়গায় আপনার অসাধারণ সুন্দর গজদন্ত সম্বলিত ভুবনমোহিনী হাসি সকলের কাছে অত্যন্ত প্রিয় । ঠিক যতটা আকর্ষণীয় আমার কাছেও। সেই সঙ্গে ব্লগিং মিথস্ক্রিয়ায় আপনার মিষ্টি ব্যবহার অল্প সময়ের মধ্যে সকলকে আপন করে নেওয়ার এক সুন্দর মানসিকতায় আমরা মুগ্ধ। এমন মানুষের স্থান হৃদয়ের অন্তঃস্থলে। এবার বলুন এমন একজন সুহৃদকে কি কখনো ভোলা যায় ?
হা হা হা.....
গল্পে রেশ বেশ এগিয়ে গেছে জেনে প্রীত হলাম । তবে আপনি দেরি করে ফেলেছেন এটা আমার কাছে কোন ব্যাপারই নয় । ব্যস্ততা থাকতেই পারে । আপনি যে অবশেষে এসেছেন এটাই আমার কাছে পরম সৌভাগ্যের । ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। শান্তনুর কথা ভুলিনি। কথা দিলাম পরের পর্বে শান্তনুকে দেখা পাবেন ।
আগাম পাশে পাওয়ার বার্তা পেয়ে আনন্দ পেলাম। আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

আপনার শ্রদ্ধা হৃদয়ে ধারণ করলাম। আপনার জন্যও রইল আমার বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা।

২১| ২১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৪৮

আমি মুক্তা বলেছেন: কয়েকটি পর্ব নিয়মিত পড়েছিলাম, কিন্তু মাঝখানের পর্বগুলি মিস করেছি।

তবে এবারের পর্বটাও গতানুগতিক সুন্দর হয়েছে।

পরের পর্বগুলোতে আশা করি আগেরগুলোর লিংক দিয়ে দিবেন।

২১ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার কথা থেকে বুঝলাম আপনি আমার বেশ কিছু পর্ব ইতিমধ্যে পড়েছেন। তবে প্রথম মন্তব্য পেলাম আজ। সেদিক থেকে আপনাকে স্বাগতম আমার ব্লগে । সময় যদি পান তাহলে মিস হওয়া পর্বগুলি পড়ার অনুরোধ রইল । গতানুগতিক সুন্দর কথাটা যদি আরেকটু ব্যাখ্যা করতেন তাহলে বুঝতে সুবিধা হত ।
পর্বের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। সে ক্ষেত্রে নতুন পর্বের শুরুতে লিঙ্কগুলো দিলে দেখতে বড্ড বেমানান হত। ভাবুন দেখি আঠারোটা পর্ব মানে আঠারোটা লাইনে উপর থেকে লিংক দিলে দেখতে কতটা দৃষ্টিকটু হত। তবে সাজেশনের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।


অনিঃশেষ শুভেচ্ছা জানবেন।

২২| ২১ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:১৩

নীল আকাশ বলেছেন: লগ ইন সমস্যার জন্য এটা দেখুন: -
https://www.somewhereinblog.net/blog/MdMaidulSarker/30273194#c12555327
আমার দেয়া............

২১ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
প্রিয় নীল আকাশ ভাই,

ভীষণ ভীষণ আনন্দ পেলাম এই লিংকটি দেওয়ার জন্য । সকাল থেকে আবার স্বাভাবিক ভাবেই লগইন করছি। সমস্যা হলে আপনার দেওয়া লিংক ধরেই ঢোকার চেষ্টা করব।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।



২৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:০৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: অনির্বানদের মত মানুষ এখনও এই পৃথীবিতে আছে বলেই পৃথীবিটা এত সুন্দর। অনেক ভাল লেগেছে শেফালি ম্যডামের বিশ্ববিদ্যাল সময়ের গল্প পড়ে।

২১ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঢাবিয়ানভাই ,

আপনার সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। মায়া মমতার পৃথিবীতে অনির্বাণদের মত মানুষ এখনো আছে যে কারণে পৃথিবীটা এত আকর্ষণীয় এত মায়াময় । শেফালী ম্যাডামের এই পর্বটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

২৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮

নীলপরি বলেছেন: কয়েকদিন বাদে আসলাম । তাই পড়তে দেরী হয়ে গেলো ।
খুব সুন্দর লাগলো । আর দারুণ লাগলো রহস্য ধরে রাখাটা ।
++++

শুভকামনা

২১ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দেরিতে হলেও অবশেষে আপনাকে কমেন্টে পেয়ে আনন্দ পেলাম। পর্বটি ভাল লাগাতে খুশি হলাম। সঙ্গে রহস্যের সন্ধান পেয়েছেন জেনে আবারো ভালো লাগা।
পোস্টটিকে লাইক করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

২৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭

নীল আকাশ বলেছেন: দাদা,
তখন প্রচন্ড ব্যস্ততার জন্য বিরাম চিহ্নের ব্যাপারে বলতে পারি নি। আমি যেটা বুঝতে চেয়েছি: -
এটা ভুল:-
আমি তোমাকে ঘৃণা করি , সব সময়।
এটা শুদ্ধ:
আমি তোমাকে ঘৃণা করি, সব সময়।

'করি' শব্দের পরে আলাদা করে স্পেছ দেয়াটা ভুল। আমি সেটাই বুঝাতে চেয়েছি।
একদম প্রথম লাইনটা হাতে সময় পেলে আগের পর্বেটার সাথে মিলিয়ে আমি লিখে দেব একসময়।
খুব খুব ব্যস্ত এখন। বড় ধরনের সাট ডাউন মেইনটেনেন্স কাজ চলছে। আমার মতো প্রকৌশলীদের লাইফ শেষ কাজ করতে করত.........
টর ব্রাউজার বেস্ট। নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।
সময় পেলে ফিরব আবার।


২১ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশভাই,

আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দেবো তার ভাষা খুজে পাচ্ছি না। আপনি বিষয়টি এভাবে ধরিয়ে না দিলে একেবারেই বুঝতে পারতাম না যে স্পেস দেওয়ার মধ্যেও ভুল-ত্রুটি জড়িয়ে আছে । সাথে সাথে আপনি আগের পর্বটা কিভাবে মেলাবেন সেই অপেক্ষায়‌ রইলাম। কমেন্ট পড়ে বুঝলাম আপনি প্রচন্ড ব্যস্ত শাটডাউনের মেনটেনেন্স কাজ চলছে। কিন্তু তার মধ্যেও যে এভাবে এসে সুন্দর ভাব বিনিময় করলেন এতে মুগ্ধতা।
ব্রাউজার প্রসঙ্গে এখন অপেরা দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে টর প্রথমে ইন্সটল করেছিলাম । অভিজ্ঞতাটা ভাল হয়নি । কিন্তু আপনি বলছেন যখন তখন না হয় তেমন হলে আবার ট্রাই করবো।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৫২

রাকু হাসান বলেছেন:

কি খবর কেমন আছ । অনেক দিন কথা নেই । গল্পে পরে আসবো।

২২ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের রাকু,

আশা করি তোমার ব্যস্ততার কিছুটা অবসান হয়েছে । পোস্টে তোমার লাইক দেখে বুঝলাম যে তুমি হয়তো পোস্টটি পড়েছ কিন্তু সময়াভাবে কমেন্ট করতে পারোনি । তবে এখন খোঁজ নিতে আসতে আনন্দ পেলাম । উপরওয়ালার কৃপায় ভালো আছি । আশাকরি তুমি ও তোমরা কুশলে আছো ।
সময় পেলে গল্পে আসবে অপেক্ষায় রইলাম।

বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা আমার ছোট্ট ভাইটিকে।

২৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:৪১

প্রামানিক বলেছেন: পর্বটি পড়লাম। অণির্বানদের মত গরীব মানুষরাই সবসময় দেখি সাহায্য নিয়ে আগে আগে দৌড়ায় অথচ নিজেদের ঘরে শত অভাব দানা বেঁধে আছে। আপনার গল্পে গ্রামের একটি বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে। বর্ননা খুবই ভালো লাগল। ধন্যবাদ

২৩ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় প্রামানিক ভাই,

সামুর ক্রান্তিকালীন সময়ে যাদেরকে মন থেকে খুঁজেছি আপনি তাদের মধ্যে অন্যতম । এখনো অনেকেই ব্লগে দেখছি না। যে কারণে গতকাল আপনাকে ব্লগে পেয়ে আনন্দ পেলাম। আশা করি সংকট কিছুটা কাটাতে পেরেছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমার ও ব্লগে ঢুকতে বেশ সমস্যা হচ্ছে প্রত্যেকটা পোস্টে সেপারেট ভাবে লগইন করতে হচ্ছে। এই ক্রান্তিকাল মোচনের এর অপেক্ষায় রইলাম ।

পোস্ট প্রসঙ্গে,গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম ধন্যবাদ আপনাকে। কমেন্টের পরবর্তী অংশের জন্য আবারো ধন্যবাদ।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:০১

নজসু বলেছেন:



আমি তো ধীরে ধীরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি মনে হচ্ছে। :(

২৩ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসুভাই,

আশা করি ভাল আছেন, আমরাও উপরওয়ালার কৃপায় ভালো আছি । বেশ কিছুদিন আগে কোন একটা পোস্ট দেখছিলাম আপনি সামুতে ঢুকতে পারছেন না । পরবর্তী কয়েক দিনে অনলাইনে আপনাকে না পেয়ে আমি খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম । যে কারণে আপনাকে ব্লগে দেখে আনন্দ পেয়েছি।বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কথা কখনোই ভাববেন না। একটা অশুভ শক্তি সামু থেকে আমাদেরকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে। অস্বীকার করবো না যে আমরা সাময়িক অসুবিধার মধ্যে পড়েছি বা পড়ছি। সে সব কিছুকে ঊর্ধ্বে রেখেও বলবো দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় অথবা কাজের মধ্যে সময় পেলেই বেশি বেশি করে ব্লগে ঢুকুন । ব্লগকে আমরা আবার মিলনমেলায় পরিণত করি ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন ।

২৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৩১

মাহের ইসলাম বলেছেন: দাদা,
শেষ পর্যন্ত অপেরা দিয়ে কাজ হয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে, খাটো করতে চাই না।
আপনার কথা শুনেই আবার ফিরতে পারা।
খুব ভালো লাগছে।

এই অনির্বাণ চরিত্র কেমন হবে বুঝতে পারছি না।
তবে, এক মেয়ের একা একা এত দূর যাওয়া পছন্দ হয়নি।

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহের ভাই,

বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত। শেষ পর্যন্ত অপেরা দিয়ে কাজ হওয়াতে শুনে স্বস্তি পেলাম। আমিও প্রথম থেকেই বড় ভাই অপেরা দিয়েই ঢুকেছি। দুদিন অপেরা সমস্যা করাতে ,টর ইন্সটল করেছিলাম। সেখানে আশানুরূপ সাফল্য পায়নি। উল্টে তোর ভীষণ স্লো। প্রচন্ড বিরক্ত হয়েছিলাম। এখন অবশ্য অপেরা দিয়ে একেবারে আগের মতই ঢুকছি।।
পোস্ট প্রসঙ্গে অনিবান চরিত্রটা ইতিমধ্যে উন্মোচিত হয়েছে। গতকাল পরের পর্বের প্রতিমন্তব্যে আপনাকে সে কথা জানিয়ে এসেছে।
পরপর দুটি রিভিউ লিখলাম ঋদ্ধ তিনের উপরে। রিভিউতে আপনাকে আমন্ত্রণ জানালাম।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

৩০| ০২ রা মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩

রাকু হাসান বলেছেন:

অনিবার্ণ চরিত্রটি ভালো লাগছে । আসলে আমরা বাহ্যিক দিক দিয়ে যতই ভালো মন্দ বিবেচনা করি । প্রত্যেকের মাঝে নিশ্চয় একটা সুন্দর মন আছে । অর্নিবার্ণের ক্ষেত্রেও তাই দেখলাম । হয়তো সেই সুন্দর মনকে কাজে লাগায় বা প্রকাশ করে চারপাশের মানুষদের ভালোবাসায় আবেশিত করি না । অর্নিবার্ণের খোঁজে গ্রামে যাওয়া তারপর অর্নিবার্ণের মায়ের মহানুভবতা আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করছে । এমন মা হলে পৃথিবীটা কতই না সুন্দর হতো । সুপার সাইক্লোনের কথা উল্লেখটাও দারুণ ছিল । আবাহাওয়ার পূর্ভাবাস পেয়েই হোক বা অতীতের কোনো দুর্যোগের কারণে উল্লেখ হোক ,বিষয়টা বাস্তবতার সাথে গভীর মিল দেখে খুশি হয়েছি । চমৎকার ।

বলেছিলাম পরে আসবো । আসতে পেরে ভালো লাগছে । তবে দেরি হওয়াতে দুঃখ প্রকাশ করছি ।

০৩ রা মে, ২০১৯ দুপুর ২:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় রাকু,

বরাবরের মতই তোমার চমৎকার কমেন্টে মুগ্ধ হলাম। অনির্বাণ চরিত্রটি ভালো লেগেছে ও তার চরিত্রের মধ্যে তুমি যে গঠনমূলক দিক খুঁজে পেয়েছো-এটাই আমাদের গল্প লেখার সার্থকতা। অস্বীকার করবো না যে আমাদের মত হাতুড়ে গল্পকারের গল্পে পাঠকের এমন সদর্থক অনুভূতি আমাদেরকে আনন্দ দিতে বাধ্য। বাবা মায়ের উপযুক্ত শিক্ষার মধ্যেই সন্তান খুঁজে নেয় তার আগামী দিনের চলার পথ। অনির্বাণের মায়ের মহানুভবতার প্রতিচ্ছবি এক্ষেত্রে সন্তানের আচরণে প্রকাশ ঘটেছে। কথায় বলে সাহিত্য সমাজের দর্পণ। প্রত্যেক গল্পকারের সমাজের প্রতি বিভিন্ন আঙ্গিকে একটা সুনির্দিষ্ট ভাবনা থাকে। সে গুলোকে তারা বিভিন্ন চরিত্রের মধ্যে রূপ দান করে থাকেন। গল্পে মা ছেলের চরিত্রে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। একজন ভালো পাঠকই পারে কেবল লেখার বিভিন্ন বিষয় গুলোকে এমন সুক্ষ্মভাবে তুলে ধরতে। সে দিক দিয়ে তোমাকে আমি 10-10 দিয়ে উচ্চাসনে প্রতিষ্ঠিত করলাম।
সুপার সাইক্লোন বা ফেনী আমাদের উপমহাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত । মুহুর্তের মধ্যে লন্ডভন্ড করে দেয় আমাদের মধ্যে কারো না কারোর জীবনকে। ফলে গল্প /কবিতায় যে এরা চলে আসতে বাধ্য।
সবশেষে পূর্ব প্রতিশ্রুতি মত আবার মন্তব্যে ফিরে আসার জন্য আনন্দ পেলাম। আমি জানি ভাইটি কথা যখন দিয়েছে দেরি হলেও নিশ্চয়ই আসবে। হা হা হা....

বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা স্নেহের ছোট্ট ভাইকে।


৩১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনির্বাণ এবং তার গোটা পরিবারকে ভাল লেগেছে। অনির্বাণ এর খোঁজখবর নিতে শেফালী ম্যাডাম এর তার বাড়ী পর্যন্ত যাওয়াটাও ভাল লেগেছে।
নীল আকাশ এর ২৫ নং মন্তব্যটা ভাল লেগেছে।
পোস্টে প্লাস + +।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল স্যার। অনির্বাণ ও তার পরিবারের ঘটনাপ্রবাহ আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্য প্রসঙ্গে,
নীল আকাশ ভাই অত্যন্ত গুণী ব্লগার। বিভিন্ন পোস্টে উনি নিজের গুণের ছাপ রেখে খুব সুন্দর মন্তব্য করেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।‌

শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা নিয়েন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.