নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরীচিকা (পর্ব -২০ )

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:০৬


মরীচিকা (পর্ব-২১)

সেদিন কলেজের বড় বাবুর ডাকে অফিস রুমের উদ্দেশ্য পা বাড়ানোর সময় মনের মধ্যে হাজারো কু ডাক ডাকতে থাকে। শ্রেণিকক্ষ থেকে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিং এর মাঝে বেশ কিছুটা ফাঁকা জমি আছে যেখানে পাইন দেবদারু অর্জুনরা সুবিন্যাস্ত ভাবে মিলেমিশে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ মর্মর ধ্বনিতে আমার কল্পনার জগতে ছেদ পড়ে। পাশ দিয়ে শুকনো পাতার উপর দিয়ে একটি কুকুরের বিদ্যুৎ গতিতে বিড়ালকে তাড়া করে নিয়ে যাওয়ার কারণে। দুরু দুরু বুকে পা ঘষতে ঘষতে অনুমতি নিয়ে বড় বাবুর ঘরে ঢুকতেই জানিয়ে দিলেন,
-অনির্বাণের মা আজ সকালে মারা গেছেন। একটু আগে ওর বাড়ি থেকে ফোন করে খবরটি দিয়েছে।
খবরটি এক্কেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল। নিজের কানকে যেন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না । সেদিন মাসিমাকে অসুস্থ্য দেখে এসেছিলাম ঠিকই কিন্তু চলে যাওয়ার মত অবস্থায় উনি একেবারেই ছিলেন না । মুনিয়ার মুখের ছবি বারবার চোখের সামনে ভেসে উঠলো । চূড়ান্ত অসহায়ত্বের মধ্যে পড়লাম । আমার এখন করনীয় কি বা এই অসময়ে ওখানে যাওয়া ঠিক হবে কিনা নানান প্রশ্ন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে লাগলো । কলেজে এমন কেউ নেই যে বিষয়টা তাদের কারও সঙ্গে শেয়ার করবো অথবা বাড়িতে বাবাকেও যে জানাবো সে সাহসও পাচ্ছি না । এক পা দু পা করে শরীরটাকে কোনোক্রমে টানতে টানতে আবার ক্লাস রুমে গেলাম । আমার বিষন্নদশা দেখে কলেজের কয়েকজন জিজ্ঞাসা করলে, খবরটি দিলেও তাদের মুখের ছবির তেমন কোনো পরিবর্তন চোখে পড়লো না । ব্যাগটি কাঁধে ঝুলিয়ে ক্লাস করতে ভাল লাগছে না বলে রুমের উদ্দেশ্যে পা বাড়ালাম ।

রুমে ফিরে বেশি সময় নষ্ট না করে সামান্য কিছু জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে বাড়িওয়ালাকে রাতে ফিরব না, জানিয়ে বেরিয়ে এলাম । লক্ষ্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওখানে পৌঁছে যাওয়া । এমন অসময়ে বার হলেও যেতে অবশ্য কোনো সমস্যা হয়নি । সন্ধ্যার কিছু পরে আমি ওদের বাড়িতে পৌঁছে যাই । ওখানে গিয়ে শুনলাম ত্রাণ সংগঠন থেকে দ্রুত অনির্বাণকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। ও এখন রাস্তায় আছে । হয়তো রাতের দিকে এসে পড়বে , তা না হলে আগামীকাল সকালে । বাড়িতে লোকে লোকারণ্য। গোটা গ্রামের লোক ওদের বাড়িতে চলে এসেছে । ভিড়ের মধ্যে সামান্য খোঁজাখুঁজি করে মুনিয়াকে খুঁজে পেলাম । শুনলাম মুনিয়া সেই সকাল থেকে একভাবে কেঁদে চলেছে। কেউ ওকে শান্ত করতে পারছে না । আমিও একটু দূরে দাঁড়িয়ে অসহায় ভাবে ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। হঠাৎ পাশ থেকে অপরিচিত একজন আমার পরিচয় জানতে চাওয়াতে অনির্বাণের বন্ধু পরিচয় দিতেই, দেখনা মেয়েটাকে একটু শান্ত করতে পারো কিনা । আমি মুখ কাচুমাচু করে এগিয়ে গিয়ে ওর গায়ে হাত দিতেই, মুনিয়া উচ্চস্বরে হাউমাউ করে আমার কোলে ঝাপিয়ে পড়ল। সদ্য মাতৃহারা ছোট্ট একটি মেয়ের আর্তনাদে আমার বুক ফেটে যেতে লাগলো । সমাজের অনেক না পাওয়ার সান্ত্বনা আছে, কিন্তু স্বজন হারানোর কি কোন সান্ত্বনা আছে? অসহায় মেয়েটির চুলের বিলি কাটতে কাটতে নানান উপায় খুঁজতে থাকি । সকাল থেকে এক গ্লাস জল পর্যন্ত স্পর্শ করেনি । খাওয়ানোর বারকয়েক ব্যর্থ চেষ্টা আমিও করে এভাবেই বসে রইলাম । সেদিন অনেক রাতে অনির্বাণ বাড়ি ফেরে এবং গভীর রাতে মায়ের অন্তেষ্টি কার্য সম্পন্ন হয় । পরদিন সকালে ছোট্ট মুনিয়াকে অনেক বুঝিয়ে আমি রওয়ানা দিই।

এরপর থেকে অনির্বাণের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব অত্যন্ত গাঢ় হয়েছিল। আমি সত্যিকারের একজন ভালো বন্ধু পেয়েছিলাম। ওকে নিয়ে আমার ভাবজগতে বিরাট প্রভেদ লক্ষ্য করলাম । অত্যন্ত সৎ পরিশ্রমী ছেলেটি অসম্ভব মূল্যবোধের অধিকারী । যেহেতু আমি ওর পারিবারিক বা আর্থিক অবস্থার নিদর্শন পেয়েছি। কিছুটা সহানুভূতিশীল হয়ে ছোটখাটো আর্থিক সাহায্য বা টিফিন শেয়ার করার প্রস্তাব দিলে ও বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করত। ওর হাসি বাচনভঙ্গির মধ্যে এমন মধুরতা মেশানো থাকতো যে কখনো ওর প্রত্যাখ্যান আমাকে রুষ্ট করেনি। অস্বীকার করবো না যে ওর আচরণের মধ্যে একটা মাদকতা মেশানো থাকতো যা একপ্রকার আমাকে পাগল করে তুলেছিলো ।

পার্ট টু পরীক্ষার পরে হঠাৎ একদিন অনির্বাণ আমাকে বললো,
-শেফালী একটা উপকার করবি?
-এই হাদা! তোকে উপকার আমি কেন করতে যাব? আগে উপযাজক হয়ে বহুবার তোকে উপকার করতে চেয়েছি কিন্তু তুই ফিরিয়ে দিয়েছিস। আজ আমিই তোকে প্রত্যাখ্যান করলাম।
সঙ্গে সঙ্গে আমার ডান হাতটি চেপে ধরে বলল,
-তোকে বাধ্য হয়ে বলেছি রে! আমার যে অন্য কোন উপায় নেই ।
- কেন আগে কি তোর কোনো উপায় ছিল ?
একটা বড় দীর্ঘশ্বাস ফেলে,
- আগে মা ছিল। মায়ের কিছু গয়না গাটিও ছিল। আর আমার কিছু টিউশনিও ছিল । এরকম ক্ষেত্রে আগে মাকে বললে মা যে করেই হোক ব্যবস্থা করে দিত। কিন্তু এখন তো আর মা নেই । আর বাবার সামান্য জর্জমানি। বাবার কাছে কোনদিন মুখ ফুটে কিছু চাইতে পারিনি। এখনো কিছু চাইতে মন সায় দিচ্ছে না । পাশাপাশি আমার সিদ্ধান্ত যে বাবাকে ভীষণ মনঃক্ষুণ্ণ করবে সেটাও বিলক্ষণ জানি ।
কথাগুলি বলার সময় ওর গলা ধরে এল । আমি সঙ্গে সঙ্গেই বললাম,
-ঠিক আছে! হেল্প তোকে করবো। কত টাকা লাগবে?
-পাঁচশ টাকা।
-পাঁচশো টাকা! মাত্র পাঁচশো টাকা লাগবে? কি এমন রাজকার্য করবি শুনি?
- আমার না অনার্স পড়তে আর ভালো লাগছে না । ঠিক করেছি বিদেশী ভাষা শিক্ষার কোর্সে ভর্তি হব । জাপানি ভাষাকে আপাতত লক্ষ্য স্থির করেছি । আগামীকালই ভর্তি হওয়ার লাস্ট ডেট ।
- সে কি! তুই পাগল নাকি? অনার্সে এত ভালো রেজাল্ট করলি অথচ সব বাদ দিয়ে অন্য লাইনে যাবি?
-হ্যাঁ রে! মন থেকে সায় দিচ্ছে না । পড়ছি ঠিকই ,পরীক্ষা দিলে হয়তো পাশ করবো, ডিগ্রী পাবো । বাবা খুশি হবে ,পাড়া পড়শিও খুশি হবে। কেবল খুশি হব না আমি । মনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করে আর পারলাম না।
- ঠিক আছে তোর যা ভাল লাগে কর ।

অনির্বাণ গোলপার্কে জাপানি ভাষা শিক্ষার কোর্সে ভর্তি হল । প্রথম দিকে মাঝে মাঝে কলেজে আসতো আমার সঙ্গে দেখা করতে । ইতিমধ্যে ওর ধার করা টাকাটাও আমাকে একদিন পরিশোধ দিয়েছে। সেদিন অবশ্য ওর আচরণে খুব ব্যথা পেয়েছিলাম । আসলে চেয়েছিলাম টাকাটা ওর কাছেই রাখুক। ওর বাবা আমার খোঁজ খবর নেন বা আমাকে সঙ্গে নিয়ে ওদের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলতেন । কিন্তু এ দিনের পর সবকিছুর মধ্যে কেমন যেন একটা প্রাণহীন সম্পর্ক অনুভব করলাম । একদিন আমাকে পাওয়ার জন্য আমার কলেজের অন্যান্য বন্ধুদের যে তীব্র প্রতিযোগিতা ছিল সেখানে কারো কাছে ধরা না দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যখন সফল হয়েছি। যদিও কাউকে ঠিক নিজ মনের উপযুক্ত বলে মনে করিনি, ঠিক তখনই আরেকজনকে কাছে পেয়েও না পাওয়ার হতাশা আমাকে তখন সদ্য গ্রাস করেছে । যাকে তিল তিল করে মনে ধারণ করেছিলাম। তৈরি করেছিলাম পৃথক একটি সত্তা, তার কাছ থেকে এমন শীতল আচরণ পেয়ে আমার অন্তরাত্মা হতাশায় ভরে গেল । যদিও অনার্স কমপ্লিট করে মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার সময় ও খুব সহযোগিতা করেছিল। ফর্ম তোলা ও জমা দেওয়ার থেকে ভর্তি হওয়ার সময় পর্যন্ত ও পাশে ছিল। ওটাই ছিল অনির্বাণকে আমার করে পাওয়া । এম এ পার্ট ওয়ানের রেজাল্টের পর বেশ কিছুদিন কেটে গেছে হঠাৎ একদিন ওকে হন্তদন্ত হয়ে ইউনিভার্সিটিতে দেখে অবাক হয়েছিলাম।
- শেফালী আমার না আর দেশে থাকা হবে না। আমার একটা যোগাযোগ হয়েছে । মনের দিক দিয়ে অনেক লড়াই করেছি বিদেশে যাব না বলে, কিন্তু আমাদের যা পেশা তাতে আর ঠেকাতে পারলাম না। আপাতত আমাকে দোভাষীর কাজে জাপানে যেতে হবে। পরবর্তী কর্মসূচি ওখানে গিয়ে স্থির হবে, মুখ নিচু করে কথাটি বলে আমার চোখের দিকে না তাকিয়েই চলে গেল।
আমি ওর পিছন পানে চেয়ে রইলাম। ইতিমধ্যে আমার মনে অনেক উত্থান-পতন হয়েছে তবুও ওকে মনের অনেক গভীরে স্থান দিয়েছিলাম ।লালন করা স্বপ্নটা মুহূর্তে যেন চোখের সামনে ভেঙে চুরমার হয়ে গেল । ও চলে যেতেই ইউনিভার্সিটির লনে আমি ধপাস করে বসে পড়লাম। পরে কি ঘটেছিল আর আমার মনে নেই। যখন সেন্স আসে দেখি বেঞ্চের উপরে আমি শুয়ে আছি। আমার মাথা চোখ মুখ সব জলে ভেজা। পরিচিত মুখ একটিও নেই । উৎসুক সকলে জানতে চাইছে আমি সকাল থেকে কিছু খেয়েছি কিনা বা আগে কখনো এরকম ঘটনা ঘটেছে কিনা । মাথা নেড়ে আকার ইঙ্গিতে ওদের সব প্রশ্নের উত্তর দিলাম । ব্যাগের খোঁজ করতেই সামনে একজন এগিয়ে দিল । ব্যাগ থেকে বোতলটি খুলে ঢক ঢক করে সামান্য জল খেয়ে সোজা হয়ে বসলাম । উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করলাম । ওটাই ছিল অনির্বাণের সঙ্গে আমার শেষ সাক্ষাৎ ।

শেফালী ম্যাডামের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের কাহিনী শুনতে শুনতে সময়ের দিকে খেয়াল ছিল না। কথা শেষ হতেই ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা বেজে গেছে। দ্রুত পা চালিয়ে বাসস্ট্যান্ডে উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম । ফেরার সময় অবশ্য সেদিন বেশি সময় লাগেনি ,পৌনে আটটার মধ্যে আমরা হোস্টেলে পৌঁছে গেলাম । সেদিন রাতে ফিরে আগে থেকে ঠিক করে রাখা আমার প্রথম কাজ ছিল শান্তনুর সঙ্গে দেখা করা। যথারীতি এক পা -দু পা করে ওর রুমের দিকে এগোতে লাগলাম । ছাত্ররা সবাই এ সময় গভীর পড়াশোনায় ব্যস্ত । আলতো করে ভেজানো দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে বার দুয়েক কেশে নিলাম। ভেতর থেকে পড়াশোনার শব্দ বন্ধ হয়ে গেল। শান্তনুর নাম ধরে একটু জোরে ডাকতেই সকালে ক্লাসে খবর দেওয়া ওর রুমমেট অর্ঘ্য বেরিয়ে এসে বলল,
- স্যার! শান্তনুর প্রচন্ড জ্বর । ও আজ সারাদিন বিছানা ছেড়ে ওঠেনি।
- সেকি! সারাদিন কিছু খাইনি তাহলে?
-জানি না স্যার।
আমি ওর বিছানার কাছে গিয়ে কপালে হাত দিয়ে দেখলাম জ্বরে একেবারে গা পুড়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতেই চোখে পড়লো প্রচন্ড জ্বরে অদ্ভুত আচরণ করছে । আমি ছুটে গেলাম অফিসের দিকে ..



মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:১৮

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: গল্প পড়ে মন্তব্য করছি।

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হোসাইনভাই,

আপনাকে প্রথম কমেন্টে পেয়ে আনন্দ পেলাম । প্রথম কমেন্ট মানে আলাদা ভালো লাগা । ইতিমধ্যেই পোস্ট পড়ার পর আপনার মন্তব্যটিও পেয়ে গেছি । ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন ।

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:২০

জুন বলেছেন: ভয়ে ভয়ে পোষ্ট দিলেও আমি অনেক মন দিয়েই পড়েছি পদাতিক আপনার অন্যান্য পর্বের মতই ।
সত্যি একটি উপন্যাসে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে গল্পটা । লিখতে থাকুন সাথেই আছি ।
প্রথম +

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আপুনি,

অনেকদিন পর আপনার কমেন্টে আনন্দ পেলাম। সকাল থেকে প্রচন্ড ব্যস্ততার জন্য কোন ক্রমে টাইপ করলেও এডিট করার সময় ছিল না যে কারণে কোনোক্রমে পোস্টটি শেয়ার করা। আর এ কারণেই কিছু টাইপো থাকার আশংকা করেছিলাম । আপনি মন দিয়ে পড়েছেন জেনে খুশি হলাম। আর উপন্যাস বা ওই জাতীয় কিছু হচ্ছে কিনা সেটা আপনারাই বলবেন । যাই হোক একজন হাতুড়ে লেখকের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা বৈকি। কাজেই আপনাদের পদচারণায় মুগ্ধ হই। আপনাকে সাথে পাওয়া এ কারণে আমার কাছে পরম প্রাপ্তি । পোস্টে লাইক ও প্লাস দেওয়াতে অনুপ্রাণিত হলাম ; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।


৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:২৫

মা.হাসান বলেছেন: বড় ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পেয়ে। অনির্বান সম্পর্কে অনেক ধোঁয়াশা কেটে গেল। চরিত্রটি ভালো লেগেছে। তবে যথারীতি সাসপেন্স বজায়ে রাখলেন। বোর্ডিং স্কুলে কি সার্বক্ষনিক ডাক্তারেব কোন ব্যবস্থা থাকে? নাকে বেশি প্রয়োজন হলে কল দিয়ে আনা হয়?
কলেজের বড়বাবু শেফালী ম্যাডামকে অনির্বানের মা মারা যাবার খবর কেন দিলেন বুঝলাম না।

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা হাসানভাই,

আশা করি উপরওয়ালার কৃপায় ভাল আছেন । আমরাও কুশলে আছি।আপনার ব্যস্ততার খবর কি ? খাতা দেখা কি শেষ হয়েছে ?

পোস্টটি ভাল লাগাতে ও অনির্বাণ চরিত্রটির ধোঁয়াশা কেটে যাওয়া - উপলব্ধি হওয়াতে আনন্দ পেলাম । ধন্যবাদ আপনাকে। সাসপেন্স যে একটু রাখতেই হয়, হা হা হা...
না আমাদের এখানে এরকম বোর্ডিং স্কুলে সারাক্ষণ ডাক্তার থাকেনা। যেখানে ডাক্তার থাকে সেসব স্কুলের ডোনেশন ফিজ আকাশ ছোঁয়া । কনভেন্ট স্কুলে মিশনারীর নিজস্ব ডাক্তার থাকে। সেটা আলাদা কথা। কিন্তু নর্মাল বোর্ডিং স্কুলে পার্শ্ববর্তী হাতুড়ে চিকিৎসক দিয়েই কাজ চলে যায়। আলোচ্য গল্পে সেরকমই চিকিৎসার কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। গল্পের একটি প্রাসঙ্গিক বিষয় উত্থাপন করার জন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ ।

আর মন্তব্যের শেষ অংশের জন্য গত পোস্টের এক্কেবারে শেষ অংশে বড়বাবুর ঘরে অচেনা কোনো নম্বরের ফোন আসার প্রসঙ্গটি উল্লেখ করা হয়েছে । আশা করি ওখান থেকে আপনার কৌতুহল নিরসন হবে ।

পোস্টটিতে like'করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন ।

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:২৬

মা.হাসান বলেছেন: শেষ থেকে ৩য় প্যারার শেষ লাইনটা এডিট করতে হবে। মন্তব্যটা মুছে ফেলার অনুরোধ থাকলো।

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা. হাসানভাই,

সকালে একটু ব্যস্ততা ছিল । যে কারণে পোস্টটির প্রিভিউ দেখার সময় হয়ে ওঠেনি ।আপনি পোস্টটি অত্যন্ত খুঁটিয়ে পড়েছেন এবং ত্রুটি যুক্ত স্থান চিহ্নিত করেছেন, এ জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন। বিষয়টা আমি ঠিক করে দিয়েছি। পাশাপাশি এরকম সংশোধন মূলক কমেন্ট ডিলিট করার প্রয়োজন বোধ করছি না । এরকম কমেন্ট পোস্টের মাধুর্য বাড়ায় বলে আমার বিশ্বাস।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন ।

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৩৫

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: সামুতে কিছু বিষয় আমার ভাল লাগে।
যেমন: প্রতিটি লেখকের আলাদা প্যাট্রন আছে।
গল্প গুলোতে তাই, যার মধ্যে আপনি অন্যতম।
গল্প অনেক ভালো লাগছে। শেষটা কেমন হবে আন্দাজ করা কঠিন।
-শুভ কামনা রইল দাদা।

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হোসাইনভাই,

আপনার পোস্ট পাঠ পরবর্তী মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম। সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। আপনি একজন ভালো পাঠক। পাঠকের নিজস্ব অবজারভেশন থেকে এমন সুন্দর মন্তব্যটির লোভে আমাদের ব্লগে লেখার প্রয়াস আরকি। আগামীতেও আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকবো।

শেষষটার জন্য কৌতুহলী হয়েছেন জেনে খুশি হলাম । তবে তার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটু অপেক্ষা করতে হবে । আগামীতেও এভাবে সঙ্গে থেকে উৎসাহ দিবেন আশা করি।

৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৩৭

আরোগ্য বলেছেন: মোবাইলটা অসুস্হ, ল্যাপটপে কাজ শেষে হাত দেই, রিফার মোবাইল দিয়ে লগইন করে উপস্থিতি জানান দিলাম ।
তাড়াতাড়ি দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ ভাই।

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,

হা হা হা হা হা মোবাইল অসুস্থ ,ল্যাপটপ অসুস্থ , কিন্তু মনটা সুস্থ হওয়ার জন্যই আমি তোমার উপস্থিতি টের পেলাম । ঠিকই তো সমস্ত বাঁধা বিঘ্ন অতিক্রম করে আমরা মিলিত হবে ব্লগের পাতায় পাতায় । আশা করি দ্বিপ্রাহরিক আহারের পর কিছুটা সময় বার করে পোস্টে ফিরবে । আমি তোমার অপেক্ষায় রইলাম ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবে ।

৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: শেফালী নামটা মনের মধ্যে গেঁথে গেছে।

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইয়ের ছোট্ট আন্তরিক মন্তব্য আমারও মনে গেঁথে গেছে ।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় ছোট ভাইকে ।

৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
শেফালী ম্যাডামের কাহিনীটা বিষাদময় হলেও ভাল লেগেছে।
++++

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাইদুলভাই,

সামুর ক্রান্তিকালে এই প্রথম আপনার কোন কমেন্ট পেলাম। ভীষণ ভালো লাগছে আপনাকে পেয়ে। শেফালী ম্যাডামের বিষাদময় কাহিনী যে আপনার ভালো লেগেছে তা জেনে আনন্দ পেলাম । পোস্টে এতগুলো প্লাস পেয়ে অভিভূত, কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৫২

মুক্তা নীল বলেছেন: দাদা,
শুভ অপরাহ্ন । প্রথমেই ধন্যবাদ রইলো এবারের মরিচীকা -১৯ একটু তাড়াতাড়ি দিয়েছেন ।
শেফালী ম্যাডামের আচরণে আমি মুগ্ধ। কেমন যেন মনে হচ্ছে আমি উনার ভক্ত হয়ে গেলাম। শেফালী ম্যাডামের বিবেক ও বিচার ক্ষমতা মারাত্মক। একটা কথা আছে, যাকে ভালবাসা যায় অন্তর থেকে, তার সবকিছুই ভালোলাগে। মুনিয়া বুকে টেনে নেয়া, অনির্বাণ মায়ের মৃতু্্যর খবরে বাড়িতে চলে যাওয়া...

অনির্বাণ কি, শেফালী ম্যাডামে কে out of side out of mind করে দিলো? কেন??
অনেক ভালো লাগে আপনার এই মরিচীকা। শ্রদ্ধা জানবেন , দাদা।

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মুক্তাআপু,

প্রথমে আপনার শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম । ধন্যবাদ আপনাকে। মরীচিকার নতুন পর্ব তাড়াতাড়ি দেওয়াতে ও শেফালী ম্যাডামের আচরণে মুগ্ধ হয়েছেন জেনে আনন্দ পেলাম। হা হা হা হা আপনি তাহলে শেফালী ম্যাডামের ভক্ত হয়ে পড়েছেন । শুনে আমোদিত হলাম। শেফালী মন্ডল মে বিবেক ও বিচক্ষণতা মারাত্মক মনে হওয়াতে পুলকিত হলাম । পাঠক হিসেবে আপনার মধুর মন্তব্যে একরাশ মুগ্ধতা । শেফালী ম্যাডামের মধ্যে যে একটা সুন্দর হৃদয় আছে সে বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার পরিচয় পেয়ে খুশি হলাম । তাই সদ্য মাতৃহারা মুনিয়াকে বুকে টেনে নেওয়া বা মাতৃ বিয়োগের পর পর অনির্বাণদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো তার সূক্ষ্ম হৃদয় অনুভূতির প্রকাশে বৈকি ।‌

অনির্বাণ চরিত্রটিকে একটু অন্যভাবে অংকন করার চেষ্টা করেছি ।‌ যাদের হৃদয়ে মায়া মমতায় পরিপূর্ণ। আছে প্রেম প্রবণ একটি মানসিকতাও। সেই সঙ্গে আছে বৃহত্তর সমাজের জন্য তার সেবা করার মহানুভবতা। যে মহানুভবতার জন্য বারে বারে তার নিজের স্বার্থ নিজের ভালো লাগা গুলোকে জলাঞ্জলি দিয়ে বেরিয়ে পড়ে নিরুদ্দেশ যাত্রায় । আর এমন অনির্বাণদের যারা হৃদয়ে ধারণ করে তাদের ভবিষ্যৎ হয়ে ওঠে সত্যিকারের ট্রাজেডিময়। দুঃখিত অনির্বাণ চরিত্রটিকে ঠিক সে ভাবে আমি ফুটিয়ে তুলতে পারিনি ,সেজন্য আপনার কমেন্টের জন্য আলাদা করে প্রতিমন্তব্য করতে হয়েছে ।

মরীচিকা আপনাদের ভালো লাগে, আর আপনাদের ভালো লাগার কারণে আমরা আনন্দিত হই । পাই অনুপ্রেরণা । কলম তুলে নিয়ে লিখতে বসি এবং আগডুম বাগডুম লিখে নিজেদেরকে প্রকাশ করার চেষ্টা করি।

বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা প্রিয় আপুনিকে।

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: বেচারা শান্তনুরের সুস্থতা কামনা করি।

বরাবরের মতই ভালো লিখেছেন।এ ধারা অব্যহত থাকুক।

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহমুদুর ভাই,

বরাবরের মতই আপনার আন্তরিক মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। বেচারা শান্তনুর সুস্থতা কামনা করেছেন জেনে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। আগামীতেও আপনাকে এভাবে পাশে পাবো আশা করি।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

১১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেকদিন পর, আপনার সিরিজের এই পর্বটি পড়লাম; আপনি নিজকে বেশ গুচিয়ে নিয়েছেন, ভালো

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল শ্রদ্ধেয় মান্যবরেষু,

বেশ কিছুদিন পর আপনাকে কমেন্টে পেয়ে ভালো লাগলো । আপনার পর্যবেক্ষণ ধর্মী কমেন্টে আনন্দ পেলাম । ধন্যবাদ আপনাকে। ‌

শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

১২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: পড়লাম, মাঝখানে কিছু লেখা পড়িনি, তাই প্রথমে ধরতে সমস্যা হচ্ছিল, তবে লেখা খুব ভালোই এগুচ্ছে দাদা
চলবে... লিখেননি :)
শুভকামনা জানবেন

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট্ট প্রান্ত,

হা হা হা আজকে তোমাকে ধরে ফেলেছি । এর আগে মাঝে মাঝে লাইক বাটনে তোমার নামটা দেখে বুঝেছি চুপ করে ঢুকে পুট করে পালিয়ে গেছে । কিন্তু আজ লাইকও করলে আবার কমেন্টও করলে কাজেই নিজেই ধরা হয়ে গেলে হা হা হা ... তোমার পড়াশোনার খবর বল । আশা করি সব ঠিকঠাক এগোচ্ছে।
চলবে লেখাটা না লেখার মধ্যে নীল আকাশ ভাইয়ের কথাটি মাথায় রেখেছি । ওনার পরামর্শে চলবে লেখাটা এবার আর লিখলাম না ।
তোমার শুভকামনা হৃদয় থেকে গ্রহণ করলাম । তোমার জন্যও রইলো অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা ।


১৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫১

আরোগ্য বলেছেন: শুরুতেই অনির্বাণের মায়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ব্যথিত হলাম। কারো মা বাবার মৃত্যুর খবর আমার ভালো লাগে না।

অনির্বাণকে নিয়ে স্বপ্ন দেখাটাই স্বাভাবিক। সেও শেফালী ম্যাডামকে পছন্দ করেছিল তাই শেষদিন চোখের দিকে তাকাতে পারেনি। শেফালি ম্যাডামের জন্য সমবেদনা রইলো। মাস্টারদার কোন প্রতিক্রিয়া তো জানলাম না।

শান্তনুর ব্যাপারটার ইংগিত আমি শায়মা আপুর পোস্টে পেয়েছি। ওর সার্বিক মংগল কামনা করছি।

আশা করি পরের পর্বও তাড়াতাড়ি পাবো। শুভ কামনা রইল ভাইটি।

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট্ট আরোগ্য,

তোমার ফাইনাল কমেন্টের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম তুমি আবার মন্তব্য করাতে আনন্দ পেলাম। হ্যাঁ মৃত্যু আমাদের কারো ভালো লাগে না ঠিকই কিন্তু আমাদের তো মেনে নিতেই হয় । জীবনে কোনো না কোনো ক্ষেত্রে স্বজন হারানোর ব্যথা আমরা প্রত্যেকে পেয়ে থাকি । তাই গল্প-উপন্যাস যে কারণে তার বাইরে যেতে পারে না ।

মন্তব্যের পরবর্তী অংশটি খুবই প্রাসঙ্গিক লাগলো । তারা একে অপরকে পছন্দ করত যে কারণে অনির্বাণ শেষ দিন কথা বলার সময় শেফালী ম্যাডামের চোখের দিকে তাকাতে পারিনি । ঘটনাটা তাকে এতোটা বিমর্ষ করে যে সে নিজেকে সামলাতে না পেরে অচৈতন্য হয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে । পরবর্তী অংশটি তো গল্পে উল্লিখিত হয়েছে ।
আর মাস্টারদার প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য তোমাকে পরবর্তী আরেকটি ডেটিংয়ের জন্য ওয়েট করতেই হবে । এডিটিং টা ছিল পিওর অনির্বাণ পর্বটি মাস্টারদাকে শেয়ার করার জন্য ।

হাহাহাহা শায়মা আপুর পোস্টে আমার কমেন্টটি তাহলে তোমার চোখে পড়েছে? তোমাদের মঙ্গল কামনায় শান্তনুর দ্রুত আরোগ্য প্রার্থী ঘটুক । পরের পর্বে শান্তনুর সেই বিষয়গুলি সামনে আসবে ,সঙ্গে থাকবে - আশা করি।
হ্যাঁ! ইচ্ছা আছে, তোমাদের ভালোবাসায় পরবর্তী পর্ব খুব তাড়াতাড়ি দেব।

ভালোবাসা ও শুভকামনা প্রিয় ছোট্ট আরোগ্যকে।

১৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,




হাঁটছেন তো হাঁটছেনই। আমরাও হাঁটছি, সাথে শেফালি ম্যাডামকে নিয়ে.............

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জি এস ভাই,

আপনার ছোট্ট পর্যবেক্ষণমূলক মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম । আনন্দ পেলাম যে শেফালী ম্যাডামকে নিয়ে আপনি এভাবেই আমাদের লং মার্চের সাথী হবেন জানতে পেরে ।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

১৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৫৫

নীলপরি বলেছেন: এই পর্বটা দুঃখের । খুব ভালো লিখেছেন ।

+++++

শুভকামনা

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপুনি। পর্বটি দুঃখজনক হলেও ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম।
পোস্টে লাইক করাতে ও এতগুলো প্লাসে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

১৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৩:৪৯

বলেছেন: সমাজে অনেক না পাওয়ার সান্ত্বনা আছে কিন্ত স্বজন হারানোর কি কোন সান্ত্বনা আছে --- পদাতিক চৌধুরী


এই কোটেশন টাই এই পর্বের সারাংশ মনে হলো ---


হারানোর বেদনা কঠিন কিন্ত সেটা খুব প্রকট আকারে অনুধাবন করা যায় যখন প্রিয়জন হারায় --( রহমান লতিফ)

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় লতিফ ভাই। পোস্টের বিশেষ লাইনটিকে উদ্ধৃত করে সারাংশ হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
" হারানোর বেদনা কঠিন কিন্তু সেটা খুব প্রকট আকারে অনুধাবন করা যায় যখন প্রিয়জন হারায়। " - রহমান লতিফ।
যথার্থই বলেছেন। হে!কবি ভাই, আপনাকে জানাই সালাম। হা হা হা হা হা...

পোস্টে লাইক করার জন্য প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন‌।

শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় কবি ভাইকে।

১৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:০৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সবগুলো পড়া হয়নি, আজকেরটা পড়লাম সত্যি মনে হচ্ছে গল্পটা ভালই এগুচ্ছে। শুভেচ্ছা ও ভালবাসা।

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তারেকভাই,

পাঠ ও মন্তব্যে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।সময় অভাবে সব পর্ব গুলি পড়েন নি , ক্ষতি নেই। আজকের পর্বটি পড়তে যে টাইম পেয়েছেন সেটাই অনেক । গল্প ভালো লাগাতে প্রীত হলাম। ‌
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আপনার শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইল আমার হৃদয়ের অকৃত্রিম শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা ।

১৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭

নীল আকাশ বলেছেন: দাদা,
কিছু মনে করবেন না। উপরে অনেকই অনেক রকম মন্তব্য করেছেন। আমি একটু ভিন্ন ভাবে করব।
অনির্বাণ কে নিয়ে শেফালীর আবেগ প্রকাশ ভালো ভাবে হয় নি, যথাযথ হয় নি।
অনির্বাণ গোলপার্কে .........অংশে শেফালির আবেগের বহি:প্রকাশ এমন কোন বড় দেখান নি যে পরে যেয়ে উনি অগ্গান হয়ে গেলেন। X(( আবেগের জায়গা গুলি আপনাকে অবশ্যই কাজ করতে হবে। এত ব্যস্ত আমি, শুধুই আপনার পোস্ট দেখে এসে বলে গেলাম। আপনি একটানে পড়ে দেখুন। বুঝতে পারবেন। আর বিড়াল দ্র‌ুত গতিতে বললেই চলত, বিদ্যুত গতির দরকার নেই।
ধন্যবাদ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসন্ধ্যা প্রিয় নীল আকাশ ভাই। আপনার ভীষণ সুন্দর আন্তরিক মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম । মনে করব কেন? আমিতো জানি, সবার থেকে আপনি এখানেই ব্যতিক্রম । আপনার কাছে যে এমন মূল্যায়নই আমি আশা করি। আগামীতেও আপনি এভাবেই কমেন্ট করবেন অপেক্ষায় থাকবো। অনির্বাণ কে নিয়ে শেফালির আবেগের বহিঃপ্রকাশ যথাযথ হয়নি মনে হওয়াতে খুশি হলাম। কোন লেখকের লেখার কোনো পারফেকশন হতে পারে না। সুনীল গাঙ্গুলীর জীবদ্দশায় একটি সাক্ষাৎকারে দেখেছিলাম, বান্ধবগড়ের নির্জন প্রকৃতিতে বসে যে গল্পটি লেখা হবে সেই গল্পটিই কলকাতার কংক্রিটের জঙ্গলে বসে লিখলে ভিন্নতর হতে বাধ্য । কাজেই প্রত্যেক লেখক এর একটা নিজস্ব পরিশীলতা ,ভোকাবুলারি ,ভাবের বহিঃপ্রকাশ প্রভৃতি বিষয়গুলো তার সৃষ্টির উপর প্রভাব ফেলে । যেগুলি আবার স্থান-কাল-পাত্র অনুযায়ীও ভিন্ন হতে বাধ্য।
আর বিড়াল প্রসঙ্গে আগামীতে অবশ্যই আপনার কথা মাথায় রাখবে। এই যেমন আজ আপনার পরামর্শের পোস্টের শেষে চলবে কথাটি লিখিনি।
আপনার ব্যস্ততার অবসান ঘটুক। দ্রুত ব্লগিং মিথস্ক্রিয়ায় স্বাভাবিক হোন কামনা করি।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

১৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১:৩৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: লিখার গতি আপনার লিখনীর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এগুয়ে যাচ্ছেন। চমৎকার শৈলী শিল্পীর একটা খেলা মনন আর মন দুইয়ের ধাঁধা যে অনেক একেক জনের একেক চাওয়া পাওয়া হয় ভিন্ন। গল্প আরো সামনে যাবে। গতি নিবে, মোড় গল্পের সাতেই থাকবো কান্নায় বুক বাসাব আবার হাসবো এই আমার পাঠ। আপনার লিখা আমার অসম্ভব ভালো লাগে সমালোচনা করতে যে পারবোনা, এর জন্য ক্ষমা করবেন। পরের পর্ব কি আসবে তার অপেক্ষায়।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় সুজন ভাই। আপনার সুন্দর আন্তরিক মন্তব্য প্রীত হলাম । তবে অস্বীকার করবো না যে এমন প্রশস্তি মূলক কথা শুনতেও বড় অস্বস্তি লাগে বৈকি। কিন্তু হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে বলা এমন কমেন্টস আমার বড় পুরস্কার । এমন পুরস্কারের লোভে ব্লগে আমাদের লেখা জোখা প্রচেষ্টা । আপনাদের পদার্পণ না পড়লে সে পোস্ট প্রাণহীন হতে বাধ্য । আগামীতেও এভাবে পাশে থেকে উৎসাহ দেবেন আশা রাখি

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১:৪৩

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ওহ, লেখাটা মিস করে ফেললাম কিভাবে যেন।

ভালোই একটিভ ছিলাম কয়েকদিন ধরে। তারপরও কিভাবে যেন লেখাটা মিস করে ফেললাম। সকালে গল্প পড়ব। তারপর মন্তব্য করতে আসব আবার। শুভ রাত্রি।

২৭ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হোসাইন ভাই,

রাত ১ টা ৪৩ এ কমেন্ট করছেন, তাহলে কি সারারাত ঘুমান না ? আমি তখন ঘুমের দেশের মাঝে মাঝে পৌছে গেছি।ব্যস্ততার কারণে কোনভাবেই মিস হতেই পারে। আপনি যে মনে করে এসে উপস্থিতির জানান দিলেন এতে আপ্লুত হলাম । পরে পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করবেন সেই অপেক্ষায় রইলাম ।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

২১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪৪

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: সমাজে অনেক না পাওয়ার সান্ত্বনা আছে কিন্ত স্বজন হারানোর কি কোন সান্ত্বনা আছ???

আসলেই। এটা নিয়ে আমিও বহু ভেবেছি। কেউ যখন মারা যায় তাঁর আত্মীয় স্বজনদের কখনোই আমি সান্ত্বনা দিতে যায় না। কি সান্ত্বনা দিব। স্বজন হারানো মানুষের কান্না দেখলে আমি নিজেই কেঁদে ফেলি। এই যে এখনো কথাগুলো লিখছি , আমার চোখের কোণায় ইতোমধ্যে জল জমতে শুরু করেছে।

স্বজন হারানো মানুষদের সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা না করলেও সুমহান আল্লর কাছে প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন ধৈর্য দান করেন তাঁদের।


এবার আসি গল্প প্রসঙ্গে।

ব্লগে মাঝে গল্প পড়ি। ফেসবুকেও মাঝে মাঝে গল্প পড়ি। কিন্তু কোন পর্ব গল্প পড়ার অভ্যাস আমার নেই। ফেসবুকে একবার একটা পর্বের গল্প পড়েছিলাম। সেটাও ভুলে। শেষে গিয়ে দেখি লেখা আছে 'চলবে'। মাথা নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হল আমার। এরপর থেকে লেখা পড়ার আগে শেষে যাই প্রথমে । চলবে লেখা দেখলেই সেই লেখা আর পড়ি না।


কিন্তু আপনার মরিচীকা গল্পটির ১৮ তম পর্বটি কিভাবে পড়লাম নিজেও জানিনা। গল্পটা ভালো ছিল। অনির্বাণ কে নিজের মাঝে দারুণ করার ব্যাকুলতা মনের মধ্যে চলে এসেছিল।

তাই গল্পটির অপেক্ষা করেছিলাম। আপনার প্রোফাইলে মাঝে মাঝে এসে দেখতামও গল্প এসেছে কিনা।

এই পর্বটি দুঃখের। গল্পের মান মোটামুটি মানের মনে হয়েছে তবে ভাল লেগেছে খুব। ইচ্ছে হচ্ছে সবগুলো গল্প পড়ে ফেলি এক সাথে।

উপন্যাস হয়ে যাচ্ছে। লেখা তাড়াতাড়ি দেয়ার প্রয়োজন নেই। আমি ছোট্ট মানুষের পড়ামর্শ, ধীরে সুস্থে লিখুন, সময় নিয়ে লিখুন যাতে উপন্যাসটা সর্বজন প্রিয় হয়ে উঠে আর আপনিও সর্বস্থরের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পান।

এক আকাশ ভালবাসা..


শুভ রাত্রি।

২৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হোসাইনের ভাই,

হ্যাঁ! ঠিকই বলেছেন, সমাজে অনেক কিছুই সান্ত্বনা আছে ; কিন্তু স্বজন হারানোর সান্ত্বনা কোন কিছু দিয়ে হতেই পারে না। তবুও এমন দুর্দিনে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াই সঙ্গ দিই আর এটা দিতেই আমাদের আপন জনের বিপদে পাশে দাঁড়ানো।
আপনি অত্যন্ত কোমল হৃদয় একজন মানুষ। কমেন্ট এর দ্বিতীয় অংশ আপনার অত্যন্ত আবেগ অনুভূতির প্রকাশ পেলাম। বাস্তবে আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা মৃত বাড়িতে গিয়ে আত্মীয়-স্বজনের সান্ত্বনা দেওয়ার সময় তাদের সঙ্গে চোখের জলে ভাসিয়ে দেয়। আর এর ফলে মুহূর্তের মধ্যে গোটা এলাকা টা অসম্ভব রকমের একটা ভারী আবহাওয়ায় পূর্ণ হয়ে যায়।আমার নিজেরও বাস্তবে এমন অভিজ্ঞতার মধ্যে বেশ কয়েকবার করতে হয়েছে। যে কারণে আপনার এই সুন্দর অনুভূতির জন্য মুগ্ধ হলাম। এমন মনের অধিকারী মানুষরা কোন রকম কৃত্তিমতা জানে না ।অন্যের দুঃখে তারা অন্তর থেকেই দুঃখ অনুভব করে থাকে।

আপনি পার্বিক গল্প পড়তে পছন্দ করেন না। কিন্তু আমি সৌভাগ্যবান যে করেই হোক আমার মরীচিকার কয়েকটি পর্ব আপনার চোখকে আটকে দিয়েছে। আগামীতেও যদি এরকম তাৎক্ষণিকভাবে কিছু ঘটে থাকে তাহলে নিজেকে ধন্য বলে মনে করব। ব্লগে তো আর গোটা উপন্যাস ডাউনলোড করার সুযোগ নেই। কাজেই ছোট ছোট পর্ব করে দেওয়া ছাড়া আমাদের অন্য কোন উপায় নেই। কিন্তু আপনার মতো আবেগপ্রবণ মানুষ যারা গল্পের পরবর্তী ঘটনাটি জানতে সর্বদা উদগ্রীব থাকেন, তাদের এরকম পার্বিক গল্প ভালো লাগে না জানলেও তবু আমরা অপেক্ষা করব আপনাদের আপনাদের পদচারণের ।

এই পর্বটি দুঃখের এবং পর্বের মান মোটামুটি হয়েছে জানতে পেরে অত্যন্ত আনন্দ পেলাম। ব্লগে বহু ক্ষেত্রে আমরা বিরাগভাজন হওয়ার ভয়ে নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করতে পারি না। এক্ষেত্রে আপনার এই আন্তরিক মন্তব্য আমাকে আগামী দিনের পথ চলার সঠিক দিশা দেখাবে, সে কথা বলা বাহুল্য। যদি সময় থাকে বা সম্ভব হয় তাহলে মরীচিকার অন্যান্য পর্বগুলিও পড়ার অনুরোধ রইল।

মন্তব্যের একেবারে শেষে আপনার পরামর্শটি হৃদয়াঙ্গম করলাম। আপনাদের পরামর্শ নিয়েই ধীরে ধীরে লিখব। এমন পরামর্শ বা সহযোগিতা যদি পাশে থাকে তাহলে আগামী দিনে অপেক্ষাকৃত ভালো লেখার চেষ্টা করব ।
আপনার আন্তরিক ভালোবাসায় সিক্ত হলাম। আপনার জন্যও রইল আমার হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা ও শুভকামনা ।


২২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩

করুণাধারা বলেছেন: বরাবরের মতই ঝরঝরে ভাষা আর আকর্ষণীয় উপস্থাপন- বরাবরের মতই লাইক! যদিও দেরি করে এসেছি!

সময়ের সাথে সাথে কাহিনীতে নতুন নতুন ঘটনা, চরিত্র আসছে। আবার একেকটি পর্বের মধ্যে বেশ কিছু দিনের গ্যাপ থাকায় সব চরিত্র বা ঘটনা মনে রাখতে পারছিনা। এজন্য আপনার ব্লগে আসতে হয় আগের পর্ব পড়তে। যদি প্রতিটি পর্বের শেষে তার আগের পর্বের লিঙ্ক টা দিয়ে দেন, তবে ভালো হয়।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

২৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি,

বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী । পোস্ট দিয়ে যাদের আগমনের জন্য চাতক পাখির মতো বসে থাকি আপনি আমার কাছে তাদের মধ্যে অন্যতম। এমন আন্তরিক মন্তব্যই যে আমাদেরকে বারেবারে লোভী করে তোলে। কাজেই বরাবরের মতো আপনার অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্যে মুগ্ধতা। আর দেরি করে আসা প্রসঙ্গে হতেই পারে আমরা প্রত্যেকেই কম-বেশি কিছু না কিছু কাজে ব্যস্ত থাকি। অবসর সময় ব্লগে আসি তার উপর এখন ব্লগের ক্রান্তিকাল চলছে এমনও বহু সময় আছে ইচ্ছে করলেই ব্লগে ঢুকতে পারি না এত অসুবিধা হয়ার পর ব্লগে ঢোকা কাজেই আগের মতো ইচ্ছামতন ব্লগে ঢুকতে পারাটা এখন অনেকটাই কঠিন। সেখানে দাঁড়িয়ে দেরি করে আসা তাই স্বাভাবিক বৈকি।

পৌষ সংক্রান্ত কমেন্টের পরবর্তী অংশে মুগ্ধ হলাম। আপনি বললেন বটে লিংক দেওয়ার প্রসঙ্গটি । অনেকেই দেয় ঠিকই, কিন্তু আমার যেন ঠিক বোঝা বোঝা বলে মনে হয়। আমি @খাইরুল আহসান স্যারের মতো অনেককে দেখেছি , যারা অনেক দেরিতে পোস্ট ধরে ধরে কমেন্ট করেন। যাইহোক আপু আপনার প্রস্তাবটি মাথায় থাকলো। ধন্যবাদ আপনাকে ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:৩৪

ওমেরা বলেছেন: অনেক গুলো পর্বই পড়া হয় নি , আস্তে আস্তে সব গুলো পড়ার ইচ্ছা আছে ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার আগমনে আনন্দ পেলাম। বেশ তো! ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় ব্লগের সব পোস্ট পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না । যদি সময় পান তাহলে অবসর সময়ে পড়ার অনুরোধ রইল ।

অফুরান শুভেচ্ছা রইল।

২৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



হুম । ভাল ই এগিয়ে যাচ্ছে । শেফালী ম্যাডাম কি অর্নিবান কে ভালবাসত । আপাত দৃষ্টিতে সেটাই মনে হচ্ছে ।

শান্তনুর আবির্ভাব ভাল লাগল । তবে সে অসুস্থ জেনে খারাপ ও লাগছে ।

কেমন আছে প্রিয় ?

শুভ কামনা আর ভালবাসা রইল ।

৩০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় অপু ভাই,

আপনার পাঠ ও মন্তব্যের খুশি হলাম। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন । শেফালী ম্যাডামের হৃদয়ে অনির্বাণ একটি স্থান দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই সম্পর্ক বেশিদূর গড়ায়নি। কিন্তু শেফালী ম্যাডাম আজও তাকে মিস করে যেটা গল্পের প্রতি ছত্রে ছত্রে প্রকাশিত। এহেন শেফালী ম্যাডামকে বক্তা আগামী দিনে কিভাবে নেবে সেটাই পরবর্তী পর্বগুলোতে বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।

শান্তনু-র আবির্ভাব ভালো লেগেছে বা সে অসুস্থ- আগামী পর্বগুলোতে বিষয়গুলো সামনে আসবে ।
উপরওয়ালার কৃপায় ভালো আছি। আশা করি আপনিও কুশলে আছেন।

আপনার ভালবাসা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইল হৃদয় ভরা ভালোবাসা ও শুভকামনা।


২৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৩৭

মাহের ইসলাম বলেছেন: এই পর্বটা খুব ভালো লেগেছে, বিশেষ করে অনির্বাণের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।

তবে, শেফালি ম্যাডামের প্রতিক্রিয়া সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

অনেক দিন পরে, আপনার লেখা পড়তে পেরে ভালো লাগছে।
সামুতে আসতে পেরেও খুশী। অনেক অনেক ধন্যবাদ, আবারও।

ভাল থাকবেন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহেরভাই,

কোন কারনেই আপনার কমেন্ট দুটি চোখে পড়েনি। হয়তো নতুন পোস্ট দিয়েছিলাম যে কারণে চাপা পড়ে গেছিল। যাইহোক বিলম্ব বিলম্বই। দেরিতে উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী । পর্বটি আপনার ভাল লেগেছে, ভালো লেগেছে অনির্বাণের চরিত্রটি। সেই সঙ্গে ছেলে ম্যাডামের প্রতীক কয়টি ভালো লেগেছে জেনে প্রেরণা পেলাম আপনিও খুব সুন্দর লেখেন কাজেই আপনার কিছু ভালোলাগা কোনকিছু বাড়তি অনুপ্রেরণা পাওয়া। কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।
আপনার মত কয়েকজনকে প্রচন্ড মিস করেছি। যেমন এখনো মিস করছি শ্রদ্ধেয় সনেট কবি ভাইকে। কাজেই এক এক করে আমাদের মনের মানুষদের ফিরে পাওয়া বিরাট আনন্দের। আপনি আবার আগের মত ব্লগিং শুরু করুন। আমরা আপনার সুন্দর শুনে কষ্টে অপেক্ষায় রইলাম।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০৬

মুক্তা নীল বলেছেন: দাদা,
কেমন আছেন? মরিচীকার খবর কি? লিখছেন না কেন?
অপেক্ষায় রইলাম দাদা পোস্ট দিয়েন।
দাদা, আমার লেখাতো প্রথম পাতায় যায় না , কেন? বেশি করে লিখতে হয় কি? আমার লিখতে ভালো লাগে না। ভেবেছিলাম , লিখাটা প্রথম পাতায় গেলে গল্পটা আপনার দেয়া ডিরেকশন অনুযায়ী ঠিক করে নিতাম ।
ভালো থাকবেন দাদা আর শ্রদ্ধা জানবেন।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপু,

উপরওয়ালার কৃপায় ভালো আছি; আশা করি আপনিও কুশলে আছেন। মরীচিকা কাল পরশুর মধ্যে পোস্ট করার ইচ্ছা আছে। আপনি খোঁজ নিতে এসেছেন দেখে খুশি হলাম । ধন্যবাদ আপনাকে।
অফটপিক,আপনার এখনো পর্যন্ত প্রথম পাতায় সেভ না হওয়ার খবরে অত্যন্ত বিষণ্ণ বোধ করছি । দুঃখিত এমন অবস্থায় বিষন্ন হওয়া খুবই স্বাভাবিক । আপনার মত সময় আমিও পার করেছি। খুব খারাপ লাগে এক একটি দিন এমন প্রতীক্ষার মধ্যে অতিবাহিত হলে।
আপনি আপু আরো একটু ধৈর্য ধরুন। আরো বেশি বেশি কমেন্ট করুন। নতুন পোস্ট দিয়ে অন্যান্য ব্লগারদের কমেন্টের লিংক দিয়ে তাদেরকে আপনার পোস্টে আমন্ত্রণ করুন। আশা করি খুব শিগগিরই প্রথম পাতায় নির্বাচিত হবেন।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ২০ পড়তে গিয়ে মনে হল খাপছাড়া লাগছে কেন?

ব্যাক টু ব্যাক!
দেখি ১৯ পড়াই হয় নি :-/

কি কান্ড! কি কান্ড!

আগে পড়ে নিলাম। যাই এবার কুড়ির ঘরে
দেখী আছে কি মুক্তো পরে! নেই কুড়িয়ে :)

দারুন হৃদয় ছোঁয়া সিরিজে
+++++

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহাহা.... । অবশেষে আপনার পদধূলিতে ধন্য হলাম । অনেকদিন থেকেই আপনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সঙ্গে এমন হৃদয় ছোয়ানো মন্তব্যে মুগ্ধতা বললে খুবই কম বলা হয়। আমিও আপনার কমেন্টের জন্য মরীচিকা(পর্ব-২০)তে অপেক্ষায় রইলাম। পোস্টে ভাললাগাতে ও লাইক করাতে এবং সঙ্গে এতগুলো প্লাসে দারুন অনুপ্রাণিত হলাম । কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

২৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৫০

প্রামানিক বলেছেন: একে একে প্রত্যেকটি পর্বই পড়ে যাচিছ। এখন আর গল্প মনে হয় না এটা যে একটা উপন্যাস আস্তে আস্তে প্রকাশ পাচ্ছে। কাহিনীও খুব ভালো লাগছে। ধন্যবাদ

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় প্রামানিক ভাই,‌

আপনার অপঠিত পোস্টগুলো পরপর পড়ে যাওয়াতে আনন্দ পেলাম ;ধন্যবাদ জানবেন। পরপর পোস্টগুলি আপনার কাছে উপন্যাস বলে মনে হলেও বাস্তবে কতটা যে উপন্যাস হবে সে বিষয়ে একটা সন্দেহ থেকেই গেছে। তবে জগা খিচুড়ি যে একটা হচ্ছে, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত। হা হা হা....
কাহিনী খুব ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম; আবার ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

২৯| ০২ রা মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮

রাকু হাসান বলেছেন:

প্রথম অংশে কুকুর বিড়ালকে তাড়া করা ,শুকনা পাতার শব্দ যেন জীবন্ত চিত্র কল্প । একদম ক্লিয়ার । যেন দেখতে ও শুনতে পাচ্ছি । সহজ হচ্ছে বুঝতে ।
প্রশ্ন কেনই বা ডেকে ছিল সেই কারণ বুঝিনি ?
না,স্বজন হারানোর কোনো সান্ত্বনা নেই । যা আমরা দিই নিশ্চয় মিথ্যে সান্ত্বনা ছাড়া কিছুই না । এই পর্বে অনিবার্ণের ব্যক্তিত্ব সত্যিই মুগ্ধ করলো 8-| আভাস গত পর্বেই পেয়েছিলাম । মনে হচ্ছে অনিবার্ণ এবং শেফালী ম্যাডামের মধ্যে কিছু একটা প্রকৃতিগত ভাবে চলতে ছিল । দেখা যাক সামনে কি হয় । শেষ সাক্ষাত !! ওদরে দেখা হত ! কথা হত ! :(
আহ! শান্তনু প্রসঙ্গ আসছে :) আশা করছি দারুণ কিছু জানতে পারবো । শুরু না হতেই শান্তনু কাহিনী শেষ B:-) !

০৪ ঠা মে, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় রাকু,

তোমার সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। মর্মরধ্বনির শব্দটি তুমি বুঝতে পারছো বা টের পাচ্ছো জেনে আপ্লুত হলাম। ধন্যবাদ জানবে। অফিসের বড়বাবু উনাকে ডেকেছিলেন যেহেতু অনির্বাণের বাড়ি থেকে ফোন করে মায়ের মৃত্যু সংবাদটি ওনাকে জানানোর জন্য অফিসে ফোন করেছিল, সেই খবরটি পৌঁছে দিতে।
সহমত আছ জেনে খুশি হলাম। সত্যিই তো আমরা প্রিয়জন হারানোর কোন সান্ত্বনা বাস্তবে দিতে পারিনা। কিন্তু তবুও আমরা কাছে গিয়ে বা পাশে দাঁড়াই। একে অপরকে পাশে থেকে প্রিয়জনক হারানোর সময় মানসিক সাপোর্ট দিয়ে কিছুটা মানবিক কাজ করে থাকি।
অনির্বাণ ও শেফালী ম্যাডামের কেমিস্ট তুমি ইতিমধ্যে পড়ে নিয়েছো। কারণ আমি তোমার পরবর্তী কমেন্টে তার পরিচয় পেয়েছি। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে সঠিক সময়ে প্রতিমন্তব্য করে উঠতে পারিনি। এজন্য দুঃখিত, প্লিজ রাগ করোনা।

সবশেষে শান্তনুর বিষয়টি তুমি সর্বশেষ পোস্টে অনেকটা জানতে পেরেছো । ওই পোস্টের পরবর্তী অংশওই পর বাকি অংশে লম্বিত বিষয়টি সম্পূর্ণ উন্মোচিত হবে আশা করি তোমার খুব খারাপ লাগবে না।

অনিশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা স্নেহের রাকুকে ।



৩০| ০২ রা মে, ২০২০ রাত ৮:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনির্বাণ চরিত্রটি ভাল লেগেছে।
অনির্বাণ-শেফালী ম্যাডামের অনুচ্চারিত প্রণয়ানুভূতি এ পর্বের প্রধান আকর্ষণ।
শেফালী ম্যাডামের হৃদয়ে অনির্বাণ একটি স্থান দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই সম্পর্ক বেশিদূর গড়ায়নি। কিন্তু শেফালী ম্যাডাম আজও তাকে মিস করে - এই শূন্যতাবোধ গল্পকে উপন্যাসের পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে।
২২ নং প্রতিমন্তব্য প্রসঙ্গেঃ আমি সবার লেখা পোস্ট ধরে পড়িনা। যাদেরগুলো পড়ি, তাদের মধ্যে আপনি একজন।
পোস্টে প্লাস + +

০৩ রা মে, ২০২০ সকাল ৭:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
শুভ সকাল স্যার। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য প্রীত হলাম ধন্যবাদ আপনাকে। গল্পের অন্যতম একটি বিষয়কে মন্তব্য যেভাবে তুলে ধরলেন তাতে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি। অপেক্ষায় রইলাম পরের দিকে উপন্যাসের আমেজটা ধরে রাখতে পারবো কিনা।

22 নম্বর মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য সম্পর্কে আপনার মনোভাবটা পড়ে আমার ভুল ধারণার অবসান হলো। তবে সাথে সাথে সৌভাগ্য মনে করছি নিজেকে আপনার মত গুণী ব্যক্তির কাছে আমার লেখা পাঠের যোগ্য মনে হয়েছে বলে। মন্তব্য ও প্লাসে দারুণ অনুপ্রেরণা বোধ করছি। কৃতজ্ঞতা আপনাকে।

শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা নিয়েন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.