নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরীচিকা (পর্ব -২১)

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:১৭

মরীচিকা (পর্ব-২২)

আটান্নগেট থেকে ফিরতে সেদিন আমাদের বেশ সন্ধ্যা হয়ে গেছিল। তবে আশানুরূপ সময়ের আগেই পৌঁছে গেছিলাম। হোস্টেলে পৌঁছে ড্রেস বদল করে চোখে - মুখে সামান্য একটু জল দিয়ে আমি সোজা শান্তনুর রুমে চলে গেলাম। ঘরে ঢুকেই বেশ অবাক হলাম। প্রচন্ড জ্বরে ও কাতরাচ্ছে। এ দৃশ্যের জন্য আমি একেবারেই প্রস্তুত ছিলাম না। ওর রুমমেট অর্ঘ্যকে জিজ্ঞাসা করতেই বললো, সন্ধ্যা থেকেই ও এমন করছে । চোখের সামনে এমন দৃশ্য দেখে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়লাম। গায়ে হাত দিয়ে দেখি গা জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে। নিজেকে নিজের কাছে খুব অপরাধী মনে হলো। সকালে অসুস্থতার কথা শুনেও নিজে হাতে এমন কোনো ব্যবস্থা না করার জন্য বিবেকের দংশনে পড়ে গেলাম। আর কাল বিলম্ব না করে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গেলাম স্কুলের অফিস রুমে । গিয়ে শুনলাম ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক ( টি আই সি) একটি কাজে বাইরে গেছেন; রাতে নাও ফিরতে পারেন। উনি কাউকে আগে থেকে শান্তনুর কথা জানিয়ে রেখেছিলেন কিনা খোঁজ নিয়ে কোনো সদুত্তর পেলাম না। আর কথা না বাড়িয়ে উপস্থিত কয়েকজনকে শান্তনুর শারীরিক অবস্থার কথা জানালাম। রাত বিরাতে অসুখ বিসুখ হলে স্কুলের অফিসে সব সময় কিছুনা কিছু ওষুধ মজুদ করা থাকে । অনেকেই ওখান থেকে ওষুধ নিয়ে সেবন করানোর পরামর্শ দিল। অ্যালোপ্যাথি ওষুধ না জেনে এভাবে খাওয়ানোটা আমার কাছে আধুনিক এলোপ্যাথারি চিকিৎসা বলেই মনে হয়। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার দরুন ,ভালো করতে গিয়ে যদি খারাপ হয়- এ আশঙ্কা আমার মধ্যে সব সময় কাজ করে । কাজেই আমি ওদের কথায় কর্ণপাত না করে রমেনদাকে তড়িঘড়ি বাজারে পাঠালাম ডাক্তারবাবুর উদ্দেশ্যে । এমন অসময়ে বাজারে যেতে রমেনদাও যে খুব একটা রাজি ছিল তা নয়। এরকম অজ পাড়াগাঁয়ে অন্যান্য দোকান পসরা ইতিমধ্যে বন্ধ হলেও ডাক্তারের চেম্বার আর পাঁচটা সাধারণ দোকানের মত নয় যুক্তি দিয়ে একপ্রকার জোর করেই তাকে বাজারে পাঠালাম। আর মিলিদিকে বললাম ছেলেটির মাথায় একটু জলপট্টি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে ।

আমার ব্যস্ততা দেখে আশপাশের অন্যান্য রুম থেকেও ছেলেরা চলে এলো । উৎসুক্য মুখে তারা শান্তনুর কপালে জলপট্টি দেওয়া দেখতে লাগলো। একসঙ্গে এতজনের ভীড়ে জায়গাটি মুহুর্তের মধ্যে বেশ গরম ও অস্বস্তিকর হয়ে উঠল। বাধ্য হয়ে ওদেরকে অযথা ভিড় না করে বরং রাতের খাওয়ার পর্ব মিটিয়ে নিজ নিজ কক্ষে চলে যেতে বললাম। প্রথমে আমার কথায় সায় না দিয়ে ওরা একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগলো। আমি আরো একবার বললাম ওদেরকে চলে যেতে। এবার অবশ্য ওরা আমার কথা আর অমান্য করল না। দু- একজন করে চলে যাওয়ায় কিছুক্ষণের মধ্যে ঘরটি ফাঁকা হয়ে গেল। মিলিদি একভাবে জলপট্টি দিয়ে যাচ্ছে। আমি উৎকণ্ঠিত হয়ে বারে বারে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে যাচ্ছি ডাক্তার নিয়ে রমেনদা কখন আসবেন সে আশায় । মিলিদির সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে, কেন ওর আসতে দেরি হচ্ছে এই নিয়ে কথা বলতে বলতেই হঠাৎ দরজায় ঠক ঠক শব্দ পেলাম। ডাক্তারবাবুকে নিয়ে রমেনদা হাজির।

গ্রামে ডাক্তারের অপ্রতুল। স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে দিনের বেলাতেও ডাক্তার থাকে না , রাতের বেলা তো দুরের কথা। এরকম গায়ে গঞ্জে রাতের বেলা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, পাশ করা ডাক্তারবাবুর আসাটা স্বপ্নেরও অতীত । এক্ষেত্রে বাজারের একমাত্র কোয়াক ডাক্তারই এলাকার একমাত্র ভরসা। আমার সঙ্গে অবশ্য ওনার অনেকদিন আগেই পরিচয় হয়েছিল। কোন এক সকালে অসুস্থতার কারণে আমিও গিয়েছিলাম ওনার চেম্বারে। তার পরে মাঝে এতগুলি মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এহেনো ডাক্তারবাবু সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে শুকনো মুখে নিতান্ত সৌজন্য সূচক কুশল বিনিময়ের পরে উনি ওনার কাজে লেগে পড়লেন। জ্বর, নাড়ি পরীক্ষা করতে লাগলেন। জ্বরটা অবশ্য আমি আগেই দেখেছিলাম 102 এর সামান্য বেশি।বুকে কফ্ তেমন নেই দেখে গত দুদিন ধরে কি কি খেয়েছে সেসব খোঁজ খবর নিতে লাগলেন। মিলিদি তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিতে লাগলো। উনি আরো খোঁজ নিতে লাগলেন বাইরের কোন খাবার শান্তনু খেয়েছে কিনা। গত কয়েকদিনে আমি ওকে যেটুকু চিনেছি তাতে হোস্টেলের বাইরে যে কোন খাবার যে ও খাবে না সে বিষয়ে আমি এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে ডাক্তারবাবুকে তার পরিচয় দিলাম। দুপুরে একবার পটি করেছে জানতে পেরে পেট ইনফেকশনের তত্ত্বও উড়িয়ে দিলেন। অবশেষে কিছু প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ দিয়ে নিতান্ত ভাইরাল ফিভার, দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই জানিয়ে উনি বিদায় নিলেন।

ডাক্তারবাবুর পরামর্শ মত নিজে দাঁড়িয়ে থেকে হালকা কিছু খাবারের সঙ্গে নির্দিষ্ট ওষুধগুলো খাইয়ে দিলাম। অবশ্য খাওয়ানোটা খুব সহজ ছিল না। বেশ অনেকক্ষণ ধরে ডাকাডাকির পর কোন এক সময় উপস্থিত আমাদের সকলের দিকে একটু তাকিয়ে নিল। কি বুঝলো কিংবা বুঝলো না- সেটি আমি বুঝতে না পারলেও হঠাৎ একসময় দুম করে উঠে বসে বাধ্য ছেলের মত কিছুক্ষণ মাথা নিচু করে করে বসে থাকল। আমি আবার বার কয়েক ডাকাডাকি করে মাথায় হাত বুলিয়ে খাবারটি এগিয়ে ধরতেই, হাত বাড়িয়ে থালাটি ধরে পায়ের উপর রেখে বিছানায় বসে বসে খেতে লাগলো। খাওয়া শেষ হলে যথারীতি ওষুধটি এগিয়ে ধরতেই জল মুখে নিয়ে সেটিও খেয়ে নিল এবং চার হাত পা এক জায়গায় করে গুটিসুটি মেরে আবার শুয়ে পড়লো। শান্তনু শুয়ে পড়তেই মিলিদিও ব্যস্ত হয়ে পড়লো; বার দুয়েক আমার চোখের দিকে তাকালো। আমি ওর চোখের ভাষা বুঝতে পারলাম,
-তোমাকে বোধহয় এবার একটু ডাইনিং রুমের দিকে যেতে হবে। এতগুলো ছেলেমেয়ে চাপ সামলাতে ওরা হিমশিম খেয়ে পড়বে .... আমার মুখের কথা তখনও শেষ হয়নি,
-হ্যাঁ! দাদা, এবার একটু ওদিকে যেতে হবে।
-ঠিক আছে, তুমি তাহলে আর দেরি করো না । এখনই যাও, বাকিটা আমি সামলে নেব।

মিলিদি চলে যেতেই আমি শান্তনুর মাথার কাছে বসে আরো কিছুক্ষণ জলপট্টি দিলাম। ইতিমধ্যে অনেকক্ষণ জলপট্টি দেওয়ায় কপালটি বেশ ঠান্ডা হয়ে গেছে; যে কারণে কিছুক্ষণ জলপট্টি দেওয়া বন্ধ রেখে এমনিই বসে রইলাম। এখন অবশ্য ওর মধ্যে কোনো অস্থিরতা বা অস্বাভাবিকত্ব দেখছি না। এক্কেবারে স্বাভাবিক ভাবেই যেন ঘুমাচ্ছে। অর্ঘ্য খেয়ে এলে আমি ওকে কিছুক্ষণের জন্য বসিয়ে রেখে ডাইনিং রুমের উদ্দেশ্যে পা বাড়ালাম। যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শান্তনুর সর্বশেষ অবস্থা জানার জন্য সকলেই আগ্রহভরে ছুটে এলো।

কিচেন স্টাফদের সম্পর্কে আগেও বলেছি , সেদিন ওদের চোখে- মুখের ভাষাই যেন বলে দিচ্ছিল নিতান্ত অশিক্ষিত মানুষগুলোই যেন শান্তনুদের আপনজন। তাদের সেই আকুতি, সেই উৎসুক্যের মধ্যে কোন কৃত্রিমতা নেই; নেই কোন ভনিতা। ওরাই যেন আত্মীয়-স্বজন থেকে বিচ্যুত ছেলেমেয়েগুলোর আপনজন। অনাত্মীয় ছেলেমেয়েগুলোর সুখ-দুঃখের সর্বক্ষণের সাথী। এমন কি অভিভাবকের মতো গুরু দায়িত্বও এই গরিবগুর্বো মানুষগুলো যেন নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে। প্রায়ই দেখি হোস্টেলের একঘেঁয়েমি খাবারে বিরক্ত হয়ে, কোনো না কোনো বাচ্চা এসে তাদের কাছে বায়না করছে, ডিম টোস্ট বা ডিমের ওমলেট কিংবা স্পেশাল কোন ডিস তৈরি করে দিতে । দিনের পর দিন সন্তানসম বাচ্চাদের এমন আবদার হাসিমুখে পালনের মধ্যে এক ধরনের প্রশান্তি ওদের চোখে-মুখে লক্ষ্য করতাম। অথচ অসুস্থ হয়ে পড়লে স্পেশাল কেয়ারের দায়িত্ব যাদের উপর সেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সামান্য কিছু ঔষধ বা প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রেখে জাহির করে যেন নিজস্ব ভবনের মধ্যে বাচ্চাদেরকে তারা ফাইভ স্টার নার্সিংহোমের পরিষেবা দিয়ে থাকে। এমন কি নিজেদের ব্যবস্থাপনা নিয়ে এডমিশনের সময় তারা গালভরা প্রচারও করে থাকে।

আমি ডাইনিং রুম থেকে ফিরে গিয়ে দেখি শান্তনুর জ্বর কমে গেছে। গা ঘামতে শুরু করেছে। একজ্যাক্ট সময় মনে নেই তবে ওষুধ খাওয়ানোর মিনিট চল্লিশেক পরে ওর শারীরিক অবস্থার এই পরিবর্তন আমার কাছে বেশ আশাব্যঞ্জক লাগলো। ওরই একটা গামছা দিয়ে গলা মুখের ঘাম মুছে দিলাম। তবুও কোন সাড়াশব্দ নেই, একেবারে বেঘোরে ঘুমিয়ে যাচ্ছে। আরও কিছুক্ষণ ওর মাথার কাছে বসে থাকলাম। সারা দিনের ক্লান্তিতে আমারও চোখ মুদে আসছে। পাশের টেবিল ল্যাম্প জালিয়ে অর্ঘ্য নিঃশব্দে পড়ে যাচ্ছে। ওকে উদ্দেশ্য করে,
- অর্ঘ্য! তোমার তো পড়াশোনায় আজ মারাত্মক ক্ষতি হয়ে গেলো।
-না না স্যার! আপনি এভাবে কেন বলছেন? আমরা যে কেউ তো, যে কোন সময় অসুস্থ হতেই পারি। টুকটাক অসুস্থ আমরা মাঝে মধ্যে হয়েই থাকি। তবে আজ শান্তনুর অসুস্থতা নিঃসন্দেহে অনেকটা বাড়াবাড়ি হয়ে গেছিল। চোখের সামনে আমি নিজেই খুব অসহায় বোধ করছিলাম। আপনি এভাবে ওর পাশে এসে দাঁড়ানোয় যে কারণে আমি খুব স্বস্তি পেলাম ।
-যাক বাবা! তোমার যে সুন্দর একটা হৃদয় আছে। সহমর্মিতার মানসিকতা আছে, এটা একজন বড় মানুষ হওয়ার পক্ষে মস্ত বড় গুন। তুমি এমন নির্মল হৃদয়ের অধিকারী হও, অনেক বড় হও এবং মানুষের মত মানুষ হও।
-হ্যাঁ, স্যার! আশীর্বাদ করবেন।
- অর্ঘ্য আমি এখন উঠছি। তুমি পড়ছো পড়ো, তবে দরজাটা ভেতর থেকে ছিটকিনি দিও না। আমি মাঝ রাতে আর একবার এসে শান্তনুকে দেখে যাব। ইতিমধ্যে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই আমাকে জানিও।
- ঠিক আছে স্যার, সমস্যা হলে অবশ্যই আপনাকে ডাকতে যাব।

সারাদিনের ক্লান্তির সঙ্গে রাতও বেশ বাড়তে থাকায় শেষের দিকে শরীরকে যেন আর টানতেই পারছিলাম না। ফলে শুয়ে পড়তেই সেদিন ঘুমিয়ে গেছিলাম। তবে মনে দুশ্চিন্তা নিয়ে ঘুমালে সাউন্ড স্লিপ বিঘ্ন ঘটে। সেদিনও মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেল। ঘাড় ঘুরিয়ে জিরো বাল্বের অস্পষ্ট আলোয় দেওয়াল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম দুটো বেজে পনের মিনিট হয়েছে । উঠে বসলাম এবং শান্তনুর রুম থেকে একবার ঘুরে আসার মনস্থির করলাম । এমন নিস্তব্ধ নিশীথে একটা জনপ্রাণী কোথাও জেগে আছে বলে মনে হলো না। টেবিলে রাখা বোতল থেকে দুঢোক জল খেয়ে নিয়ে টর্চটি সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পরলাম শান্তনুর রুমের উদ্দেশ্যে। চারিদিকে শান্ত নিরবতার মধ্যে কিছু ঝিঁঝিঁ পোকার বিরামহীন শব্দ কানে ভেসে এলো । অদ্ভুত একটা গা ছমছম পরিবেশে মনে মনে বেশ অস্বস্তি বোধ করলাম। আরো দু পা বাড়াতেই হঠাৎ দূর থেকে ভেসে এলো একদল শিয়ালের হুংকার যা আমার মনের অস্বস্তিকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিল। অস্বীকার করবো না যে এতদিন হোস্টেলে থাকলেও রাতের বেলায় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকায় এরকম পরিবেশের সঙ্গে ইতিপূর্বে কখনো পরিচয় ঘটেনি । অবশেষে এক পা দু পা করে দরজার মুখে এগিয়ে গেলাম। দরজায় আলতো করে চাপ দিতেই আর্মেনিয়ান গীর্জায় একটা বাজার ঘন্টার মতোই কব্জায় বিকট একটা শব্দ হলো। আমি বেশ ঘাবড়ে গেলাম। আশপাশে একবার তাকিয়ে দেখলাম কেউ জেগে আছে কি না। তেমন কিছু না পেয়ে আরো দু এক পা এগিয়ে শান্তনুর কপালে হাত দিয়ে দেখলাম জ্বর একেবারে নেই। আমি এক প্রকার চিন্তা মুক্ত হয়ে আবার নিজের রুমে চলে আসি।

পরের দিন সকালে সবে ব্রাশ করে হাতমুখ ধুয়ে সমরেশ মজুমদের উত্তরাধিকারে চোখ বুলাচ্ছি এমন সময় অর্ঘ্য এসে জানালো,
- স্যার! শান্তনু প্রচন্ড কাঁদছে।
-কেন? কেন কাঁদছে? ওর গায়ে কি তাহলে আবার জ্বর এসেছে?
-না স্যার! গায়ে হাত দিয়ে দেখলাম জ্বর নেই, তবে কেন কাঁদছে সে বিষয়ে কিছু বলছে না।
- চলো! চলো! আমি এখনই দেখছি, বলে ছুটে গেলাম শান্তনুর রুমে।
-কি হয়েছে তোমার? কাঁদছো কেন? বলে কপালে হাত দিয়ে দেখলাম গায়ে জ্বর নেই। আমার প্রশ্ন শুনেও শান্তনু নির্বিকার ভাবে কেঁদে চলেছে।আমি আরো একটু মাথায়, পিঠে হাত বুলাতে কান্না থামাল কিন্তু মুখ নিচু করে থাকল। আমার কোন কথাতেই ও উত্তর দিচ্ছে না।এরপর আমি ওকে এক প্রকার জোর করে ব্রাশ করার উদ্দেশ্যে বেসিনে নিয়ে গেলাম। হাত মুখ মুছিয়ে সঙ্গে করে ডাইনিং রুমে নিয়ে এলাম ।গতকাল থেকে এক প্রকার না খেয়ে আছে। মিলিদিকে বললাম একটু দ্রুত গরম দুধ ও বিস্কুটের ব্যবস্থা করতে । গতকাল রাতে হোস্টেলের প্রায় সবাই ওর অসুস্থতার কথা জেনে গেছে। ও ডাইনিং রুমে আসাতে অন্যান্যরাও যে যার রুম থেকে ছুটে আসতে লাগলো। সবাই উৎসুক ভরা চোখে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। আর ও যেন কোন অপরাধীর মতো এক দৃষ্টিতে মাটির দিকে তাকিয়ে আছে। আমি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে,
- শান্তনু দেখো তোমার কত বন্ধু এসেছে তোমার খোঁজ নিতে। কাল রাতে ওরা প্রায় সবাই গেছিল তোমার রুমে খোঁজ নিতে । এখন কেমন ফিল করছো ওদেরকে জানাও। ওরা তোমার মুখ থেকে শুনতে চাইছে, তুমি কেমন আছো।
তবুও ওর মুখে কোন প্রতিক্রিয়া নেই। আমি এবার ছেলেদের উদ্দেশ্যে বললাম,
-দেখতো বাবুরা, তোমরা ওকে কথা বলাতে পারো কিনা।
ওরা সাধ্যমত ওকে কথা বলানোর চেষ্টা করতে লাগল। কয়েকজনকে রীতিমতো তোষামোদ করতেও দেখলাম। কিন্তু তবুও শান্তনুর মুখে কোন উত্তর নেই, নেই কোন প্রতিক্রিয়াও । অস্বীকার করবো না যে ওর এই কথা না বলা প্রসঙ্গে আমিও বেশ বিরক্ত হয়ে পড়ছিলাম। কথা বলতে বলতে রমেনদা একটা বড় মগে করে এক মগ দুধ ও একটি ট্রেতে বিস্কুট নিয়ে টেবিলে রাখল। খিদেটা বোধহয় একটু বেশিই পেয়েছিল। টেবিলে খাবারটি রাখতেই একবার মাত্র বলাতে বাধ্য ছেলের মত খাওয়া শুরু করলো। ও খাওয়া শুরু করলে ছাত্ররা যে যার মত কাজে চলে গেল। খাওয়া শেষ হলে শান্তনু উঠতে যাচ্ছিল। আমি তখন ওর হাত ধরে বসালাম,
-শান্তনু,আজ সকালে তোমাকে আর পড়তে হবে না। সক্কালবেলা প্রেসিডেন্ট সাহেব নিজে এসেছিলেন এবং আমাকে ধন্যবাদ জানিয়ে গেছেন। আর তোমার প্রয়োজনে আমাকে পাশে থাকার কথা জানিয়ে গেছেন । ওনাকে জানিয়ে রেখেছি যে প্রয়োজনে তোমাকে নিয়ে আমি একটু ঘুরতেও যেতে পারি।
ঘুরতে যাওয়ার কথা বলতেই এবার দেখলাম ও চোখ তুলে তাকালো।
-কি যাবে না?
-কোথায়?
-দেখো, ঘুরতে যাওয়ার প্রসঙ্গটি যেহেতু আজ প্রথম উঠেছে কাজেই দুজনের দু'রকম পছন্দের জায়গা থাকতে পারে। অথচ আমরা একে অপরকে জোর করব না। এখন ঠিক করতে হবে যে আজ কার পছন্দ প্রাধান্য পাবে। এক্ষেত্রে আমার প্রস্তাব টস এর মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা যেতে পারে।
টসের প্রসঙ্গ তুলতেই এই প্রথম ওর মুখের মধ্যে একটা ছোট্টো হাসি চিকচিক করে উঠলো। কিছুটা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি হাসতে হাসতে রমেনদাকে বললাম একটি কয়েনের ব্যবস্থা করতে। রমেনদা সঙ্গে সঙ্গে পকেট থেকে এক টাকায় একটি কয়েন বার করে দিল। আমাদের টসের ফলাফল দেখতে উপস্থিত কিচেন স্টাফরারা সকলে হৈ হৈ করতে করতে ছুটে এল। রমেনদা কয়েনটি শূন্যে তুলতেই অমনি শান্তনু বেশ জোরে কল করলো....

মরীচিকা (পর্ব-২০)

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ১ম B-)

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহাহা একেবারে প্রথমে তোমাকে পেয়ে ভীষণ খুশি হলাম। পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম! কৃতজ্ঞতা জানবে।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: যুগে যুগে এরকম শিক্ষকেরাই ছাত্রদের শ্রদ্ধার পাত্র হয়।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঢাবিয়ান ভাই,

আপনার সুন্দর অনুভূতি মূলক মন্তব্যে প্রীত হলাম। পোষ্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৭

মুক্তা নীল বলেছেন: দাদা,
শান্তনুর জ্বর। এই শান্তনুর অসুস্থ কালীন সময়ে শিক্ষকের উপস্থিতি ও মানবতা দৃঢ় দৃষ্টান্ত। যেখানে ছাত্রের প্রতি এতো ভালোবাসা ও দ্বায়িত্ব অনেকটাই পিতৃসুলভ। জলপট্টি, ডাক্তার বাবু, ঔষধ সব কিছু মিলিয়ে ভালো লিখেছেন।

কিছু কিছু সম্পর্ক আছে যার কোন উপাধির প্রয়োজন হয় না, আত্নানিহিত বিবেক ও মনের টান-ই সেই উপাধি তৈরী করে ।
ঠিক যেমন শান্তনুর প্রতি শিক্ষকের ।
ভালো লেগেছে দাদা। আপনার প্রতি আমার শুভকামনা জানবেন ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মুক্তা আপু,

বরাবরের মতো আপনার উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। দেশের তিন ধরনের আবাসিক বিদ্যালয় কথা আমরা মোটামুটি জানি। প্রথমত দুন স্কুলের মত আবাসিক বিদ্যালয় যেটা সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের ব্যবস্থাপনাও সর্বোৎকৃষ্ট ধরনের। এমন বিদ্যালয় নিয়ে আলোচনায় যাব না । এরপরে রইল পয়সাওয়ালাদের জন্য আবাসিক বিদ্যালয় যেখানে বাবা-মায়েরা পয়সা খরচ করে সন্তানকে রামমোহন বিদ্যাসাগর তৈরিতে বিভোর থাকে। শিক্ষক দিবসে ছাত্রদের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা হয় স্কুলের আন্টিকে কে কত দামী উপহার প্রেজেন্ট করবে - তা নিয়ে। এরূপ স্কুল গুলি কমপাউন্ডের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখে । তবে একেবারেই ঝুঁকি নেয় না সামান্যতম আঁচ পেলেই শহরের নামীদামি নাসিংহোমে এডমিশন করিয়ে দেয়। যেগুলিতে এদের সঙ্গে আগে থেকেই যোগাযোগ থাকে। বাচ্চারা অসুস্থ হলেও এই সমস্ত শিক্ষা ব্যবসায়ীদের লাভ। পছন্দমত নার্সিংহোমে ভর্তি করাতে পারলে তাদের ব্যাংকের একাউন্টের কলেবর বৃদ্ধি পাবে বলে। তৃতীয়তঃ আর এক ধরনের আবাসিক স্কুলের কথা আলোচ্য গল্পের আলোচনা করা হল। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া বাবা মায়ের সন্তানরা এমন বিদ্যালয়গুলোতে পড়ার সুযোগ পায়। এরা শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয় খুবই কম। এমন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জোয়ারের জলের মতো আসে আর ভাটার মতো চলে যায়। 6 মাস কাজ করিয়ে তিন মাসের বেতন দেওয়া এই বিদ্যালয়গুলির একটা অঘোষিত নীতি। শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করে যে বাজারের সবজি বিক্রেতারাও একদিন হয়তো এমন বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুযোগ পাবে। যদিও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গালভরা বিজ্ঞাপন দিতে কম করে না । তবে প্রকৃতপক্ষে পরিষেবা থাকে যৎসামান্য। তারই একটি খণ্ডচিত্র আজকের পোস্টে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এরকম স্কুলগুলিতে থাকে দোষারোপের পালা। একজন আরেকজনের উপর দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলে দায়িত্ব মুক্ত হয়। এইরে! পোস্ট বহির্ভূত অনেকগুলো কথা বলে ফেললাম যে।
পরিশেষে গল্পটি ভাল লাগায় ও পোস্টে লাইক দেওয়াতে দারুন প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই প্রিয় আপুনিকে।
আপনার শুভকামনা হৃদয় থেকে গ্রহণ করলাম।
আপনার জন্যও অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।


৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১০

আরোগ্য বলেছেন: ইশ্ আজকেও দেরি হয়ে গেল।

খানিকবাদে আবার আসছি।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: নো ঈস! নো দুঃখ! ব্যস্ততা সবারই থাকতেই পারে । তোমার নিজস্ব পড়াশোনার জগত আছে ; সঙ্গে আছে ভাই বোনদের প্রতি দায়িত্ব ও মমত্ববোধ। সবকিছু সামলিয়ে তারপরেই তো ব্লগে আসা না? কাজেই এতোটুকু টেনশন নেবে না । ব্লগিং করবে সম্পূর্ণ স্পোর্টিং মাইন্ডে। যদি সময় পাও তাহলে আবার কমেন্টে আসবে। যত দেরি হোক আমি অপেক্ষায় রইলাম...

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা স্নেহের আরোগ্যকে ।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২৯

করুণাধারা বলেছেন: মানুষের মনের সুন্দর দিকগুলো, যেমন ভালোবাসা, দায়িত্বজ্ঞান এইসব ফুটে উঠেছে শিক্ষকের আচরণে। একটা অসুস্থ ছেলেকে ঘিরে শিক্ষাঙ্গনের ছাত্র ও কর্মচারীদের উদ্বেগ, কিন্তু কোন শিক্ষকের বা যাদের দায়িত্ব নেবার কথা তাদের কারো দেখা পাওয়া গেল না। চমৎকার বর্ণনা। +++++

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপুনি,

সমগ্র পোস্টের একটা সারমর্ম আপনার কমেন্টে ফুটে উঠেছে। বাস্তবিক আমাদের চারপাশটা যেন একেবারে বদলে গেছে।ভালোবাসা দায়িত্ব-কর্তব্যবোধ এগুলো যেন কাগজের পাতার মধ্যেই রয়ে গেছে। শিক্ষাঙ্গনের তো তার ভয়ানক অনুপস্থিতি সমাজের একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৃথিবীতে যেন সম্পূর্ণ হতে হতে 'আমি তুমি ও আমাদের বাচ্চা'র মধ্যেই কেন্দ্রীভূত হয়ে গেছে। আমরা একটা ভয়ঙ্কর সামাজিক সংকটের দিকে এগিয়ে চলেছি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকাটি তুলে ধরায আজকের পোস্টের মূল উদ্দেশ্য। অথচ তারা নিশ্চিন্তে নিশি যাপন করে অন্যের কথা না ভেবেই।

পোষ্টটিতে লাইক করাতে এবং সঙ্গে এতগুলো প্লাসে দারুন অনুপ্রাণিত হলাম । কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।


বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো পড়লাম।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে। শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এক দয়াবান আন্তরিক মানবিক শিক্ষকের রুপ দেখতে দেখতে তারে জমিন পর এর আমির খানের কেয়ারিং টিচার চরিত্রের কথা মনে ভেসে উঠলো।!

আমাদের অজান্তে এরকম কত মেধা যে অকালে ঝড়ে গ্যাছে বেখেয়ালে কে রাখে তার খবর!
অথচ একটু কেয়ার, একটু আদর, একটু সোহাগে হয়তো বদলে যেত তার জীবন।
পৃথিবী পেতো এক অনন্য মেধা!

আমাদের খুব দ্রুত ফেরা দরকার এই কেয়ারিং শেয়ারিং চেতনায়।
যদিও কর্পোরেট বিষে নিল হয়েই আছি। তবু রিকভারির চেষ্টা শুরু কা করলেতো কখনোই শেষ হবে না!
আমাদের মাষ্টার মশাইতো শুরু করেই দিয়েছেন :)

আগামীর অপেক্ষায়

++++++++

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবিভাই,

'তারে জমিন পর'এর ঘটনাটি মনে করাতে আনন্দ পেলাম। আসলে সিনেমাগুলি গড়ে ওঠে সমাজ কে একটি বার্তা দিতে। পাশাপাশি এমনও ঘটনা দেশের কোথাও না কোথাও ঘটে থাকে সেটাও তুলে ধরতে। অস্বীকার করব না যে তারে জমিন সিনেমাটি দেখে আমি ভীষণ মানসিক কষ্ট পেয়েছিলাম। আসলে আবেগের প্রাবল্য সবার এক নয় ।ব্যক্তিগত হবে এরকম আবেগময় ঘটনা আমাকে বেশ ভাবিয়ে তোলে। সুন্দর একটি মুহূর্ত তুলে ধরার জন্য আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
"আমাদের অজান্তে এরকম কত মেধা যে অকালে
ঝড়ে গ্যাছে বেখেয়ালে কে রাখে তার খবর!" সম্পূর্ণ সহমত আপনার সঙ্গে। ঠিকই তো একটু কেয়ার, একটু আদর একটু সোহাগ এর অনেকেই জীবন বদলে যায়। বদলে যায় চারপাশটা ,বদলে যায় পৃথিবীটিও। পরিবর্তে আমরা হয়ে উঠেছি অত্যধিক স্মার্ট। আবেগ অনুভূতি প্রভৃতি শব্দ গুলি একেবারে ব্যাকডেটেড হয়ে গেছে। কে কত বেশি উদ্ধত উশৃংখলতা দেখাতে পারবে সেই হবে সমাজের পক্ষে ততবেশি সপ্রতিভ, ততবেশি অনুকরণীয়। আর সঙ্গে তো আপনার কর্পোরেটের ক্যাপসুল আছেই হা হা হা হা হা...

পোস্টটি লাইক করাতে ও সঙ্গে এতগুলো প্লাসে দারুন অনুপ্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।


৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: আগের পর্বগুলো পড়া হয়নি। এটা পড়লাম, একজনের সত্যিকারের দায়িত্বশীল শিক্ষকের ভুমিকা ফুটিয়ে তুলেছেন। ++

আমার ভাল লাগা রইল।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কাছের মানুষভাই,

অনেকদিন পরে আপনার কমেন্ট পেয়ে ভীষণ আনন্দ পেলাম। ব্যস্ততার কারণে বা ব্লগিং এর সমস্যার কারণে আপনি আগের পর্বগুলো পড়ে উঠতে পারেননি। তবে অনুরোধ করবো যদি সময় পান তাহলে একবার চোখ বুলিয়ে যেতে। পোস্টটিতে শিক্ষক এর মানবিক দিক টি আপনার চোখে ধরা পড়াতে পুলকিত হলাম। পোস্টটি ভাল লাগাতে ও ডাবল প্লাসে প্রেরণা পেলাম;কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

আনু মোল্লাহ বলেছেন: এক জন্য মানবিক ও কেয়ারিং শিক্ষকের নির্মান ভাল লেগেছে।
অনেক শুভেচ্ছা রইল।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আনু ভাই,

আমার কোন পোস্টে এটাই আপনার প্রথম কমেন্ট। সু -স্বাগতম আপনাকে। পোস্টে শিক্ষকের মানবিক ও কেয়ারিং দিকটি আপনার ভালো লাগাতে চমৎকৃত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার শুভ কামনা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইল হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা ও শুভকামনা।

১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৩

আরোগ্য বলেছেন: যাক অবশেষে শান্তনুর জ্বর কমে যাওয়াতে স্বস্তি পেলাম। মাস্টারদা যে পরোপকারী মানুষ আবারও তা প্রমাণিত হল। জ্বরের ঘটনায় ছোটবেলায় সিফাতের জ্বরের কথা মনে পড়ছিল।

দেখা যাক টসে জিতে কে। আজকের পর্বেে শেফালী ম্যাডামকে মিস করলাম।

পরের পর্বের জন্যে শুভ কামনা ভাইটি।

আর তোমার বাড়ির কাজের কি অবস্থা? প্ল্যান কি পাস হল?

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,

সাংসারিক ও পড়াশোনার ঝুট-ঝামেলা সামলিয়ে তুমি যে আজ আবার মন্তব্যে এলে এতে ভীষণ আনন্দ পেলাম।
পোস্টটি খুঁটিয়ে পড়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ জানাই।‌ হ্যাঁ ঠিকই ধরেছ শান্তনুর জ্বর সে রাতেই কমে গেছিল। বহু ক্ষেত্রে এরকম জ্বর আবার কাম ব্যাক করে। এ ক্ষেত্রেও সেই আশঙ্কা ছিল। কিন্তু সে যাত্রায় জ্বর আর না আসাতে একটা বিরাট স্বস্তি পেয়েছিলাম।
শেফালী ম্যাডামকে মিস করেছ; আশা করি সামনে কোন একদিন পেয়ে যাবে হা হা হা... পরের পর্বের অপেক্ষায় আছো জেনে আনন্দ পেলাম ; ধন্যবাদ তোমাকে। পরবর্তী পর্বের জন্য অগ্রিম শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম। অফ টপিক, বাড়ির প্লান তো দূরের কথা এখনো পৌরসভা মিউটেশনও এই হয়নি।

১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬

মা.হাসান বলেছেন: সাসপেন্স বজায় রাখার বিষয়ে অাপনি সম্রাট, পরের পর্বে কি হচ্ছে, কোথায় ঘুরতে যাচ্ছেন উৎকন্ঠায় থাকলাম।
ছাত্রদের সঙ্গে টস করার বিষয়টিও খুব কম শিক্ষকই করার উদারতা দেখাতে পারেন।
এটি অত্যন্ত সত্য যে বাংলাদেশেও অনেক বোর্ডিং স্কুল শুধু ব্যবসার নিয়তেই গড়ে তোলা হয়েছে। নিজেদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ব্যয়বহুল নার্সিং হোম লাগে কিন্তু যারা এই টাকা দেয় তাদের ভাগ্যে কম্পাউন্ডারের বেশি জোটে না। তবে এই স্কুলের ছেলেদের কপাল এর পরেও ভালো মনে হচ্ছে যে খাবার কষ্ট নেই। এদেশের কিছু প্রতিষ্ঠানে এমনও দেখেছি ছেলেদের টাকায় বাজার হয়, শিক্ষকদের আলাদা রান্না, ছাত্রদের আলাদা রান্না।
একজন ভালো, মানবিক শিক্ষক জীবন বদলে দিতে পারে।
পোস্টে অনেক ভালোলাগা। অনেক শুভেচ্ছা।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা. হাসানভাই,

হা হা হা এ আপনি কি বললেন? আমাকে সম্রাট বলেছেন! লজ্জা লজ্জা লজ্জা!
ঘটনা একটা ঘটতে যাচ্ছে। ছাত্রকে সঙ্গে নিয়ে মাস্টারমশাই কোথায় যাবেন সে বিষয়টি টসের উপর নির্ভর করছে। আগামীতে সেই বিষয়টি জানতে পারবেন। কাজেই সে পর্যন্ত অপেক্ষা করিয়ে কষ্ট দেওয়ার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। অস্বীকার করছি না যে ভালোবাসার নামে এক প্রকার অত্যাচার আপনাদের উপরে প্রয়োগ করেছি কিন্তু আপনারা যে আমাকে ছেড়ে যাবেন না সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত।
আর উপমহাদেশের বোর্ডিং স্কুলের ব্যবসা একটি সর্বজনবিদিত সমস্যা। কিন্তু আমরা অদ্ভুত এক মায়া জালে আবদ্ধ হয়ে আছি। কিছুতেই এর খপ্পর থেকে আমরা মধ্যবিত্তরা বের হতে পারছি না। এডুকেশনের নামে মধ্যবিত্তের গোলকধাঁধায় আমরা আবদ্ধ। আপনার কমেন্ট এর পরবর্তী অংশ পড়ে শিউরে উঠলাম। একটা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-শিক্ষকদের আলাদা খাবার এটাতো কল্পনার অযোগ্য। যেখানেই ঘটুক বিবেক জাগ্রত হোক। এই তমনীষার অবসান ঘটুক।
আর কমেন্টের শেষ অংশে সম্পূর্ণ সহমত আপনার সঙ্গে যে একজন আদর্শ শিক্ষকই পারে ছাত্রদেরকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাতে ;তাদের মেধা ও মননের সঠিক বিকাশ ঘটাতে।
পোস্টটি আপনার ভালো লাগাতে চমৎকৃত হলাম। সঙ্গে পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬

বলেছেন: বাস্তবতার মিশেলে মানবিক ও যুগোপযোগী লেখা +++

বর্তমান ডিজিটাল প্রেক্ষাপটে ছাত্র- শিক্ষক সম্পর্ক এমনটাই দেখতে চাই?

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় লতিফভাই,

আপনার সুন্দর আন্তরিক মন্তব্যের প্রীত হলাম। আপনি কবি মানুষ ; এমন কাব্যিক মন্তব্যে প্রলুব্ধ হই বারে বারে। সহমত আপনার সঙ্গে যে বর্তমান ডিজিটাল বিশ্বে ছাত্র- শিক্ষক সম্পর্ক এমনটা হওয়াই কাম্য। কিন্তু সব সময় সেটি নির্দিষ্ট পথ ও মত অনুযায়ী চালিত হয় না। কি আর করার, আমরা কপালকে যুক্তি দিয়ে ভবিতব্যকে মেনে নিই।

পোস্টে লাইক দেওয়াতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো ‌।

১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

জুন বলেছেন: এমন মহানুভব সাথে দায়িত্ববান শিক্ষক আজকের যুগে দেখা মেলা ভার পদাতিক। হাবিব স্যারের আমার শৈশব লেখাটি পড়েছেন নিশ্চয়। কি নির্মম আচরণ সেই শিক্ষকদের। ভালোলাগা রইলো এই পর্বেও।
+

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি,

আপনার সুন্দর আন্তরিক মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। অস্বীকার করবো না যে আজকের দিনে এমন শিক্ষকের দেখা মেলা ভার। কিন্তু তবুও যে আমরা আশা ছাড়তে পারি না। হাবিব স্যারের পোস্টটি পড়েছিলাম। সত্যিই অতীব বেদনার, দুর্ভাগ্যজনক বটে। এমন লোকেরা শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক। কিন্তু কি আর করার, আমাদের যে সব কিছু মেনে নিতে হয়। শিক্ষকের অসহনীয় অত্যাচারকে প্রতিবাদ করা সাধারণ ছাত্রদের পক্ষে সব সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। ব্যক্তিগত জীবনে আমারও একবার এরূপ দুর্বিসহ যন্ত্রনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। সেই শিক্ষক মহাশয়কে আমি আজও ক্ষমা করতে পারিনি।
এইমাত্র তারেক ভাইয়ের পোস্টে দেখলাম আপনি ওরকম একটি গল্প লিখতে চলেছেন। অফটপিক হলেও আপনার গল্পের অপেক্ষায় রইলাম।

পোস্টটি ভাল লাগাতে ও লাইক করাতে এবং প্লাসে দারুন অনুপ্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

১৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২৪

নীলপরি বলেছেন: খুবই মানবিক লাগলো । উপস্থাপণা তো বরাবরের মতোই টান টান । এক কথায় অসাধারণ ।
+++++

শুভকামনা

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় পরি আপু,

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। গল্পটি আপনার মানবিক ও অসাধারণ মনে হওয়াতে সঙ্গে এত্তগুলি প্লাসে এবং পোস্টটিকে লাইক করাতে অনুপ্রাণিত হলাম । কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

আপনার শুভ কামনা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্য রইল অনিঃশেষ শুভেচ্ছা।

১৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্প যদি শুধুই গল্পের জন্য না হয়ে সে যদি হয় শিক্ষনীয় সেতো কয়েকগুন মাত্রা যুক্ত। আগেও বলেছি আপনার সিরিজ গল্পের ভেতরের গল্পগুলোর প্রাণ এমন ভাবে সঞ্চার করাচ্ছেন প্রতিটি গল্প জীনকে একাকার করে মানুষকে জীবনদর্শনের সোপান উপলব্ধি করাতে সক্ষম।
শান্তনুর প্রতি স্নেহশীষ একজন মহান মানুষের পরিচয় লোকানো দায়। মানুষ চরিত্রটি কতো সুন্দর কের একেঁছেন! আমি নিজেও সেলুট করি এই মানুষদের যারা সমাজের দর্পণ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সুজন ভাই,

আপনার অত্যন্ত বিচক্ষণ মন্তব্যে চমৎকৃত হলাম। ঠিকই তো,
"গল্প যদি শুধুই গল্পর জন্য না হয়ে সে যদি হয় শিক্ষণীয় সে তো
কয়েকগুণ মাত্রা যুক্ত।"- সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম।
আর গল্প সম্পর্কে বা আমার লেখা সম্পর্কে আপনার বিশ্লেষণ মূলক মন্তব্যে প্রেরণা পেলাম। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত কথাটি আপনার মনটা বেশ কয়েকবার স্মরণ করি,
" মানুষের মরণ দেখলে তোমায় দুঃখ হয় না, দুঃখ হয় মনুষত্বের মরন দেখলে।" বাস্তবে মানব সভ্যতার এমন ব্যক্তিত্বের জন্য অন্তর স্যলুট এ যেন সর্বজন গ্রাহ্য।


অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

১৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,



ছাত্র শিক্ষকের একাধারে মধুর ও স্নেহের সম্পর্ক খুব বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেছেন।
বাজীতে আপনি জিতবেন..............

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই,

পোস্টের সারাংশ, ছাত্র- শিক্ষকের মধুর ও স্নেহের সম্পর্ক আপনার চোখে ধরা পড়াতে আনন্দ পেলাম। তবে কমেন্টের পরবর্তী অংশে এই অবলাকে বাজিতে ধরে জোর করে জেতানোর যে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তা একেবারে অপাত্রে গেল বৈকি। এই বান্দা জীবনে কোনদিন জেতেনি। পরাজয়ই নিত্যসঙ্গী । কাজেই আজও তার অন্যথা হবে না। হেরে পথ বাওয়ার মধ্যে যে আনন্দ আছে, এই বান্দা সেটা নিয়েই চলতে চাই, হা হা হা হা...

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

১৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৮

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: কেমন আছেন ভাই...

আপনার অরিজিনাল নামটা কি...? ফেসবুকেরটা নাকি সামুরটা...?

কিছুদিন বই পড়া হয় নাই। এক প্রকার রডার্স ব্লকে আটকা পড়ে গেছিলাম। তাইই এই কয়দিন বই পড়েছি। আপনারা কিভাবে সামুতে সময় দিন, আবার সেই সাথে লেখালেখি এবং অন্যান্য কাজ করেন আমার মাথায় ধরে না। আমি সামুতে আসলে বই পড়া হয় না। আসলে মানে পোস্ট করলে বা মন্তব্য করলে। আবার বই পড়লে সামুতে আসলেও মন্তব্য করতে পোস্ট করতে পর্যাপ্ত সময় পাই না।


যাহোক, রিডার্স ব্লক ভেঙ্গেছি। সামুতে আসলাম। এসেই সর্ব প্রথম আপনার প্রোফাইলে আসলাম মরীচিকা ২০ এসেছে কিনা। পেয়ে গেলাম। আপাতত হাজিরা রেখে গেলাম। পরে পড়ে মন্তব্য জানাবো।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হোসাইন ভাই,

আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশা করি আপনিও কুশলে আছেন।আপনার পরবর্তী কোশ্চেন সম্পর্কে বলি, সামুতে এটি আমার নিক।

হাহাহা.... আপনি তো দারুণ প্রশ্ন করেছেন, আমরা কিভাবে সময় বার করি। কিন্তু এর সিক্রেট যে আপনাকে বলা যাবে না।তাহলে আপনিও সে ক্ষেত্রে সংসার, অফিসের কাজ ও ব্লগিং করবেন। আর বাড়ির লোক সাইবার ক্রাইমে গিয়ে আমাদের নামে কমপ্লেন করবে, যে ভুলভাল পরামর্শ দিয়ে আপনাকে সামুতে এ্যাডিক্ট করে দিয়েছি বলে। স্যরি! আপনাকে এই রসায়নটি বলে আপনার সংসার ভাঙতে পারবো না হা হা হা হা....


আজকের পোস্টটি আপনি এখনো পড়েননি, আশা করি সময় নিয়ে কোনো এক সময় পড়বেন এবং মন্তব্য করবেন। আমি আপনার কমেন্টের অপেক্ষায় রইলাম।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।


১৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:০১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে। শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।


ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকুন।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কমেন্টে এসে ভাইয়ের ধন্যবাদ জ্ঞাপনে মুগ্ধ হলাম। কিন্তু প্রতি উত্তরে আমিও যে কি জিনিস দেবো,ধন্যবাদ।

বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল।

১৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাচ্চাদের জন্য টস একটি উৎসাহের ব্যাপার!

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সহমত আপনার সঙ্গে যে বাচ্চাদের জন্য টস করাটা একটি উৎসাহের ব্যাপারে। পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে।

শ্রদ্ধা ও শুভকামনা সতত।

২০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বরাবরের মতই সুন্দর, শিক্ষকের দায়িত্বশীলতার মনমুগ্ধকর গল্প।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় তারেক ভাই,

আপনার ছোট্ট আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হলাম। পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।

২১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২১

নজসু বলেছেন:




সব শিক্ষকদের মন এমনটা হওয়া উচিত।
তবেই না তাঁরা মানুষ গড়ার প্রকৃত কাড়িগর হবেন।

প্রিয় ভাই, আগের দুটো পর্ব না পড়েই আজকের পর্বটা পাঠ করলাম।
কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলেছি।


১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসু ভাই,

শিক্ষক মাত্রেই এমন হওয়া উচিত; কিন্তু সবাই যে এমন হতে পারে না বা হওয়ার চেষ্টাও করেনা। তবে এই পেশাটা সম্পূর্ণ আলাদা । ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তৈরি করার গুরুদায়িত্ব যাদের হাতে তাদের দায়িত্ব কর্তব্যবোধ প্রণিধানযোগ্য।
বুঝতে পারছি আপনার কমেন্টে, আগের দুটি পর্ব না পড়াতে কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলেছেন। যদি সময় পান তাহলে পর্ব দুটি পড়ার অনুরোধ করবো।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: দাদা, শুভ রাত্রী,
আমি আপনার আগের ২টা পোস্ট দেখেছি। সুনির্দিস্ট কারনে ঐ পোস্ট গুলিতে আমি যাই নি। সেজন্য দুঃখিত।
শেফালী ম্যাডাম কই? ম্যাগ্নিফাইং গ্লাস দিয়েও তো উনাকে পেলাম না এখানে? আমি তো আসিই এই সিরিজে শেফালী ম্যাডাম আর নায়কের রসায়ন পড়ার জন্য!!!
২য় প্যারায় ৪র্থ লাইনে আবার একবার লেখা হয়েছে, সম্ভবত আপনি আবার লিখতে চেয়েছেন। ঠিক করে দিন।
শান্তনুর অসুস্থ কালীন সময়ে শিক্ষকের উপস্থিতি ও মানবতা দৃঢ় দৃষ্টান্ত। কিন্তু চরম হতাশার হলেও আজকাল এটা দুর্লভ হয়ে গেছে।
সিরিজের সাথে আছি আর শেফালী ম্যাডাম নিয়ে পড়ার অপেক্ষায় আছি।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশভাই,

অবশেষে আপনাকে পেয়ে শান্তি পেলাম। গত কয়েক দিন ধরে আপনার ব্লগে ঢুকতে অসুবিধা হচ্ছিল কোন একটা পোস্ট মারফত সেটা জানতে পেরেছিলাম । যে কারণে আপনার আগমনের প্রতীক্ষায় থাকা আর কি।
পোস্ট প্রসঙ্গে, হা হা হা .....আপনি ম্যাগনিফাইং গ্লাস নিয়ে শেফালী ম্যাডামকে খুঁজে চলেছেন????? কিন্তু আমার এটা তো স্কুল! এমন পরিবেশে সর্বক্ষণ শেফালী ম্যাডামকে নিয়ে পড়ে থাকলে আপনারাই যে আমার পিঠের চামড়া আস্ত রাখবেন না। তখন উল্টো প্রশ্ন করবেন, এ কেমন মাস্টার রে বাবা সারাক্ষণ প্রেম নিয়ে পড়ে থাকে। আমি আর যায় কোথায়? মনের খিদে তো আছেই যে একটু আধটু ইয়ে- টিয়ে করি। কিন্তু জনগণের কথা ভেবে যে সারাক্ষণ ইয়ের কথা বলতে সাহস পাই না। হা হা হা.....

দ্বিতীয় প্যারার 8 লাইনে বিষয়টি চিহ্নিত করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি বলার পরে ওটা ঠিক করেছি। গল্পে ছাত্র- শিক্ষক সম্পর্কের সঙ্গে বাস্তবে চিত্রটি মধ্যে যে বিস্তর প্রভেদ বা হতাশাজনক সে বিষয়ে আমি আপনার সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। কিন্তু এটাই তো আমাদের লেখার উদ্দেশ্য। সমাজের ভুল ভ্রান্তি অবক্ষয়ের চিত্রগুলি তাইতো আমরা কলমের সাহায্যে চিত্রিত করতে পারি যাতে সুধী পাঠকবৃন্দ পড়ে তার কিয়দংশের বাস্তবে প্রয়োগ ঘটাতে পারে।

সিরিজের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আগামী পর্বে দেখি আপনার প্রিয় শেফালী ম্যাডামকে সামনে আনতে পারি কিনা।

আপনার শুভ কামনা গ্রহণ করলাম । আপনার জন্যও রইল অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

২৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:৩৬

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ১। হাহাহা.. আপনার প্রতিউত্তর মন্তব্য পড়ে হাসির সীমা নেই আমার।

২।
কাজেই আমি ওদের কথায় কর্ণপাত না করে রমেনদাকে তড়িঘড়ি বাজারে পাঠালাম ডাক্তারবাবুর উদ্দেশ্যে

তড়িঘড়ি শব্দটার পরে সম্ভবত 'করে' শব্দের ব্যবহার হয়। হয়তো মনের ভুলে টাইপিং হয়নি। তবে এটা ভুল না সঠিক আমি নিশ্চিত না। অনুমানে বললাম।


৩। আদর্শ শিক্ষকের গল্প। গল্পের প্লট নিঃসন্দেহে ভালো। খুব ভালো

৪। এই গল্পটা বলার ধরণ সহজ সুন্দর ও সাবলীল ছিল না। পড়তে বেশ সময় লেগেছে যেহেতু আমি প্রথম শ্রেণীর পাঠক না

৫। টসের ব্যাপারটা দেখে আমারো খুব হাসি পেল আমার।


এখন ২ টা বেজে ৩০ মিনিট।এখন ঘুমাই। শুভ রাত্রি।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হোসাইনভাই,

পোস্টটি পাঠ করে আবার কমেন্টে আসার জন্য ভীষণ আনন্দ পেলাম; ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

১- প্রথম কমেন্টের প্রতিউত্তর ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম। আবারও ধন্যবাদ জানাই ।

২-তড়িঘড়ি শব্দটির পরে 'করে' বসানো প্রসঙ্গে দুই রকম ব্যাখ্যা আছে।
তড়িঘড়ি, তাড়াতাড়ি, জোরে টোরে , টানা হ্যাচরা- এগুলোকে অনুকার শব্দ বলে। যাদের প্রথমটার অর্থ থাকলেও পরেরটি শব্দের সৌন্দর্যে ব্যবহৃত হয় । আর ক্রিয়ার কালকে গুরুত্ব দিতেই এমন অনুকার শব্দের ব্যবহারের চল। কাজেই তড়িঘড়ি বাজারে পাঠালাম এটি ভুল নয়।
এবার আসি আপনার সাজেশন প্রসঙ্গে,
অনুকার শব্দের সঙ্গে যৌগিক ক্রিয়া বসিয়েও বাক্য গঠন করা হয়।
যেমন- তড়িঘড়ি করে বাজারে পাঠালাম। এখানে একটি বাক্যের মধ্যে 'করা' এবং 'পাঠানো' দুটি ক্রিয়াপদ থাকায় যৌগিক ক্রিয়া যুক্ত বাক্য বলা হয়। এটিও ব্যাকরণ সিদ্ধ।

৩-গল্পটি পড়ে একজন আদর্শ শিক্ষকের গল্প মনে হওয়াতে ও প্লট ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম। আবার ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

৪-আজকের গল্পটি আপনার কাছে সাবলীলতার অভাব মনে হওয়াতে ভীষণ খুশি হয়েছি। অস্বীকার করবো না যে, সব দিন সবার সব কিছু ভাল হয় না, আবার পাঠকের সবকিছু সমান ভালোলাগাও লাগেনা। আপনার এমন আন্তরিক বা অকৃত্রিম অনুভূতির প্রকাশে মুগ্ধ হলাম ; প্রেরণা পেলাম-আগামীতে আরও ভাল কিছু লিখতে পারি এই আশাতে।

৫-টসের ব্যাপারটিও আপনার ভালো লাগাতে খুশি হলাম ধন্যবাদ জানবেন।
কমেন্টের প্রকাশনা কাল যেহেতু রাত দুটো বেজে 30 মিনিট(২:৩৬) দেখাচ্ছে, কাজেই এমন রাত জেগেও যে আপনি আমার পোস্টে কমেন্ট করেছেন দেখে আবারও মুগ্ধতা । এক্ষেত্রে ধন্যবাদ দিয়ে আর ছোট করবো না।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

২৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:৪৩

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা,
আপনি নতুন আরও কিছু লিখছেন কি? এতো রাতে আপনি তো থাকেন না? হটাৎ আপনাকে দেখে অবাক হলাম।
শুভ রাত্রি।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মুক্তা আপু,

আপনি ঠিকই দেখেছেন। আমি ঘুম কাতুরে । অত রাত জেগে সারা জীবন পড়াশোনাও করেনি; কাজেই ব্লগিং করা তো দূরের কথা। আসলে গত কয়েকদিন ধরে ব্লগে অনলাইনে ব্লগার কম থাকায় ব্যক্তিগতভাবে আমি একবার লগইন করলে ব্লগিং না করলেও লগ আউট করি না। ব্যক্তিগতভাবে আমার বিশ্বাস আমার অনুপস্থিতিতেও লগ আউট না হওয়ায় অন্তত একজন ব্লগারের সংখ্যা বৃদ্ধি দেখাবে। তবে সব সময় যে এই নীতি মেনে চলতে পারে তা এমন নয়। আপনি গতকাল রাতে ঠিক সেটাই আমাকে দেখেছেন, আমি লগইন কিন্তু ব্যক্তি আমি তখন স্বপ্নের দেশে হা হা হা হা হা.....
আর নতুন কিছু লিখলে, আপনাদের আগমন আমার পক্ষে অত্যন্ত জরুরি। কারণ পোস্টটির সার্থকতা নির্ভর করছে আপনাদের পদচারনার উপর।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় আপুনিকে।

২৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৪৬

হাবিব বলেছেন: শেফালী ম্যাডামের অনুপস্থতি আদর্শ শিক্ষকের গল্পটি অনেকটাই ভুলিয়ে রেখেছে পাঠককে। আশা করি তিনি ভালো আছেন।

আশা করি প্রিয়জনদের সাথে কুশলেই আছেন। আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিব ভাই,

অবশেষে আপনার দেখা পেয়ে আনন্দ পেলাম। আমি সেই কোন সক্কাল থেকে আপনার অপেক্ষায় বসে আছি। এবার পোস্ট প্রসঙ্গে,
যাক শেফালী ম্যাডামের উজ্জ্বল/অনুজ্জ্বল অনুপস্থিতি যে আপনাদের বেদনার কারণ হয়নি শুনে খুশি হলাম। ছাত্র -শিক্ষকের গল্পে যে আপনারা ভুলে আছেন- এটা আমার পক্ষে যথেষ্ট প্রেরণার এবং আশা ব্যঞ্জনার কারণ।
পোস্টটি লাইক করতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
হ্যাঁ ভাইজান! প্রিয়জনদের সঙ্গে কুশলেই এই আছি। আশা করি আপনিও পরিবারবর্গ নিয়ে কুশলে আছেন।
আপনি ও আপনার পরিবারের উপর রহমত বর্ষিত হোক।

২৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ চমৎকার এক আদর্শ শিক্ষকের গল্প !
ভালোলাগা।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি,

কতবছর পর আপনার কমেন্ট পেলাম। মনে হল যেন মাঝে এক যুগ কেটে গেছে। যে কারনে আজ আপনার কমেন্ট পেয়ে বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছি।
আপনার ছোট্ট চমৎকার মন্তব্যে চমৎকৃত হলাম। পোস্টের লাইকটি অবশ্য গত রাতেই পেয়েছিলাম। তারপর থেকে আপনার কমেন্ট খুঁজে গেছি এই আসে এই আসে ভেবে। অবশেষে পেলাম একটা চল্লিশ মিনিটে। হা হা হা হা হা.....
পোস্টটি ভাল লাগাতে ও লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুনিকে ।

২৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৬

আকতার আর হোসাইন বলেছেন:
-তড়িঘড়ি শব্দটির পরে 'করে' বসানো
প্রসঙ্গে দুই রকম ব্যাখ্যা আছে।
তড়িঘড়ি, তাড়াতাড়ি, জোরে টোরে ,
টানা হ্যাচরা- এগুলোকে অনুকার শব্দ বলে।
যাদের প্রথমটার অর্থ থাকলেও পরেরটি
শব্দের সৌন্দর্যে ব্যবহৃত হয় । আর ক্রিয়ার
কালকে গুরুত্ব দিতেই এমন অনুকার শব্দের
ব্যবহারের চল। কাজেই তড়িঘড়ি বাজারে
পাঠালাম এটি ভুল নয়।
এবার আসি আপনার সাজেশন প্রসঙ্গে,
অনুকার শব্দের সঙ্গে যৌগিক ক্রিয়া
বসিয়েও বাক্য গঠন করা হয়।
যেমন- তড়িঘড়ি করে বাজারে পাঠালাম।
এখানে একটি বাক্যের মধ্যে 'করা' এবং
'পাঠানো' দুটি ক্রিয়াপদ থাকায় যৌগিক
ক্রিয়া যুক্ত বাক্য বলা হয়। এটিও ব্যাকরণ
সিদ্ধ।


যাক, নতুন কিছু শিখলাম। কৃতজ্ঞতা রইলো।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হোসাইনভাই,

হা হা হা হা হা ......

শুভকামনা ও ভালোবাসা সততা।

২৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৪

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার এই কাহিনি তো গঙ্গার জলের মতো গড়ে পদ্মার বুকে আছড়ে পড়েছে। আমি টেরও পাইলুম না। :D

শান্তনুর প্রতি উদারচিত্তে ভালোবাসা ভালোলাগল। শেফালিদিকে দেখলুম না। :)

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আখেনাটেনভাই,

ঠিকই বলেছেন যে কাহিনী গঙ্গার জলের মতো গড়ে পদ্মার বুকে আছড়ে পড়ছে। কিন্তু আপনাকে আর পেলাম কোথায়? আপনি যদি জাতিস্মর হয়ে পূর্ব জন্মের কথা মনে করে সারাক্ষণ পিরামিডের দেশে কাটান, তাহলে আপনার পদধূলি আমরা পাই কি করে? জানি যে পিরামিডের দেশের প্রতি আপনার অদ্ভুত টান রয়ে গেছে। ‌কিন্তু গরিব উপমহাদেশে যে আমরা আপনার সহচর্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তবে আপনি প্রজাবৎসল রাজা। মাঝে মধ্যে প্রজাদের দিকেও একটু আধটু লক্ষ্য দেন। আর তারই ফলে আমরা আপনার পদধূলি পাই, যেমনটি পেলুম আজ। আগামীতেও আপনার এমন আগমনের অপেক্ষায় থাকবো।

শান্তনুর প্রতি ভালোবাসা ভালো লাগাতে খুশি হলাম তবে শেফালী ম্যাডামকে আজ একটু ব্যাক সাইডে রাখতেই হলো । দেখি ম্যাডামকে রাজি করাতে, পরের দিন আপনাদের সঙ্গে মিট করতে পারে কিনা ।

পোস্টটিতে like' করাতে ও সুন্দর ইমোতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।


২৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কয়েকবার না পড়লে আমি ঠিক বুঝতে পারি না।
আমি একজন গাধা টাইপ মানব।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সাজ্জাদভাই,

হা হা হা হা হা...... কি যে বলেন!
প্রকৃত সাধু জন যে সেই তো নিজেকে এমন ভাবে তুলে ধরে।
আপনার পদচারণায় ধন্য হলাম। পোস্টটি লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

৩০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১৬

হাবিব বলেছেন: দাদা, আপনি আসলেই খুব আন্তরিক।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিবভাই,

আপনার সঙ্গে তো আমার ছয় সাত মাসের পরিচয়। তাতে কি মনে হয়েছে আমি আন্তরিক ? এত বড় একটা গালি এই বান্দাকে দিতে পারলেন? আপনার বিবেকে একটুও বাঁধলো না? শুনুন যা বলেছেন বলেছেন, আর কখনো যেন মুখে এমন অবান্তর কথা না শুনি। সেদিন কিন্তু ভয়ংকর ঝামেলা হবে আপনার- আমার মধ্যে হা হা হা....
এই মুহূর্তে আপনার পাসপোর্টের ঝামেলাটা মিটাতে না পারার জন্য যারপরনাই দুঃখিত। কাজেই মাথায় অন্য কোনো চাপ নিতে রাজি নই।
পরিবারের সকলকে নিয়ে আনন্দে থাকুন, সুখে থাকুন।

৩১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১

মুক্তা নীল বলেছেন: দাদা,
নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইলো আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য। সব সময়ই ভালো থাকুন
সবাইকে নিয়ে। মরিচীকার অপেক্ষায় রইলাম।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা হা হা..... দাদার বাড়িতে এসে বোনের এভাবে খোঁজ নেওয়াতে মুগ্ধতা! মুগ্ধতা !আর মুগ্ধতা। এই এক্ষুনি আখতার হোসাইন ভাইয়ের পোষ্টের মাধ্যমে 'অমানুষ' উপন্যাসটি শেষ করলাম। ছুটির দিনের সব কাজ কারবার পন্ড হয়ে গেল ; যেমন আসতে পারিনি ব্লগেও । আপনার নববর্ষের শুভেচ্ছা পত্রে প্রীত হলাম। এমন মধুর সম্পর্ককে কখনো ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করবো না। উপরওয়ালার আশীর্বাদে আমরা ভালো আছি। আশা করি আপনি ও আপনার পরিবারের সদস্যরা কুশলে আছেন। মরীচিকার অপেক্ষায় আছেন জেনে মুগ্ধ হলাম। তবে দুই-একদিনের মধ্যে ঋদ্ধ তিনের রিভিউটি পোস্ট করবো। সপ্তাহের শেষে মরীচিকা পাবেন বলে আশা রাখি।

বৈশাখী শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় আপুনিকে।

৩২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন:

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মন্ডল ভাই,

এই মুহূর্তে নুরু ভাইয়ের পোষ্টে আপনার কমেন্ট দেখে যে কি আনন্দ পেয়েছি তা বলে বোঝাতে পারব না । বলতে বলতেই আমার পোস্টে আপনার পদচারণায় মুগ্ধ হলাম। আশা করি বাকি বিধি নিষেধগুলোও খুব শীঘ্রই উঠে যাবে। আপনার জন্যও নববর্ষের প্রীতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল।

পরিবারের সকলের সঙ্গে সুখে-শান্তিতে কাটান কামনা করি।

৩৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৪৩

আরোগ্য বলেছেন: ভাইটি তোমার বর্ষবরণ কেমন গেল?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: উপরওয়ালার আশীর্বাদে খুব ভালো কেটেছে। তোমার ভাইপোকে আজ সকালে প্রথম মাছ ভাজা দিয়ে পান্তা খাওয়ালাম । দুপুরে মাংস খাওয়ার বায়না করল । গেলাম বাজারে মাংস আনতে। বাড়িতে এলে আবার বলল তরমুজ খাব। আবার গেলাম বাজারে। ফেরার পথে সঙ্গে কিছু ডাব নিয়ে নিলাম। 11 টার সময় সাঁতার শেখাতে নিয়ে গেলাম দূরের একটি পুকুরে। বাড়ি এসে খেয়ে দেয়ে একটু রিভিউ এর কাজে হাত দিলাম। এখন তারই টাইপ চলছিল। আগামীকাল এটি কমপ্লিট করার ইচ্ছা আছে।

বৈশাখী শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা স্নেহের আরোগ্যকে।

৩৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০৭

প্রামানিক বলেছেন: এরকম শিক্ষকদের ভালোবাসায় অনেক মন্দ ছাত্রও অনেক সময় ভালো হয়ে যায়, অনেক অসুস্থ্য ছাত্রও সুস্থ্যতাবোধ করে। চমৎকার কাহিনী, খুব ভালো লাগল।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় প্রামানিকভাই,

আপনার সুন্দর কমেন্টে মুগ্ধ হলাম। সহমত আপনার সঙ্গে যায় শিক্ষকের চারিত্রিক গুনাবলী একজন দুষ্টু বা বদ ছাত্রকেও সঠিক লাইনে আনতে পারে। ভালো ছেলেকে তো সবাই ভালো করবেই, কিন্তু একজন শিক্ষকের কাছে সারা জীবনে এটাই চ্যালেঞ্জ যে অন্তত একটি দুষ্টু বাচ্চাকে সঠিক পথ দেখানো। ছাত্র শিক্ষকের সুস্থ সম্পর্ক বা শিক্ষার আদর্শ পরিমণ্ডলই পোস্টের মূল বক্তব্য।
কাহিনী ভালো লাগাতে আবার আনন্দ পেলাম; ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

বৈশাখী শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

৩৫| ০২ রা মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৫১

রাকু হাসান বলেছেন:

রমেন দা টা অমানুষ কেন ! মেয়েটা এত অসুস্থ্য ,কাতরাচ্ছে । সে নাকি তখনও যেতে আপত্তি করছে । রমেন দার এমন অমানবিক আচরণে ব্যয়িত আমি । শান্তনুর হঠাৎ পরিবর্তনে ভয় হচ্ছে । এত জ্বর এত তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে য়ায় কিভাবে! সামনে কি ধাক্কা খাব ? এই পর্বে শান্তনুর সুস্থ্য হয়ে উঠাটা স্বস্তি দিল । টসের ব্যাপারটাও ভালো লাগছে । ভেরি গুড । পাঠকদের খালি কষ্ট দিতে নেই । প্রশান্তিও দিতে হইবে ভাইয়া । এখানে প্রশান্তি পেলাম । পরের পর্বে যাই ।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ১০:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের রাকু,

বরাবরের মতো সুন্দরভাবে পড়ে, সুন্দর কমেন্ট করাতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ তোমাকে। রমেনদারা সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকে। সন্ধ্যার পর তাদেরো একটু ইচ্ছা হয় রেস্ট নিতে। এমতাবস্থায় উপরে উল্লেখিত কাজ গুলির মধ্যে তারা কিছুটা এনার্জি হারিয়ে ফেলে। ওদের কি এতটা দোষ দেওয়া যায়না। শান্তনু চাপা স্বভাবের, কাউকে কিছু বলে না। সাধারণত ভাইরাল ফিভার হলেও দু-তিন দিন থাকে। তবে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি তোমার ভাইপোর এমনও জ্বর আসে যে রাতের প্রবল জ্বরে আমাদের ঘুম ছুটে যায়। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি একেবারে ফ্রেস। কাজেই এক রাতে জ্বরে ভোগা অস্বাভাবিক কিছু নয়। টসের ব্যাপারটি ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম। তাহলে বোঝা, কেন তোমার উপর আমার একটা অধিকার আসবেনা? সঠিক সময়ে ভাইয়াকে যদি এভাবে পরামর্শ না দাও তাহলে ভাইয়া দিশা পাবে কেমনে করে? হা হা হা হা হা....

বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা আমার ছোট্ট ভাইটিকে।


৩৬| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:১৮

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



হুম ।

আপাতত পরের পর্ব পড়ে তারপর বিস্তারিত লিখছি ।

২০ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় অপুভাই । যদি আমার প্রতিমন্তব্যটি পরের পর্বে আগে দিয়ে দিয়েছি।
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

৩৭| ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: একজন আদর্শ শিক্ষকের কাজটিই করেছেন আপনি (মানে গল্পের শিক্ষক মহাশয়)। অসাধারণ স্নেহ ও মানবিক গুণাবলী প্রকাশ পেয়েছে আপনার আচরণে। ঠিক যেমনটি মুক্তা নীল বলেছেন ৩ নং মন্তব্যেঃ এই শান্তনুর অসুস্থ কালীন সময়ে শিক্ষকের উপস্থিতি ও মানবতা দৃঢ় দৃষ্টান্ত। যেখানে ছাত্রের প্রতি এতো ভালোবাসা ও দ্বায়িত্ব অনেকটাই পিতৃসুলভ। জলপট্টি, ডাক্তার বাবু, ঔষধ সব কিছু মিলিয়ে ভালো লিখেছেন। ---- কিছু কিছু সম্পর্ক আছে যার কোন উপাধির প্রয়োজন হয় না, আত্নানিহিত বিবেক ও মনের টান-ই সেই উপাধি তৈরী করে। ---- ঠিক যেমন শান্তনুর প্রতি শিক্ষকের।
আপনার প্রতিমন্তব্যটির এই অংশটুকুও ভাল লেগেছেঃ
এমন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জোয়ারের জলের মতো আসে আর ভাটার মতো চলে যায়। 6 মাস কাজ করিয়ে তিন মাসের বেতন দেওয়া এই বিদ্যালয়গুলির একটা অঘোষিত নীতি।

০৭ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
রেসপেক্টটেড স্যার,

প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই মূলত আপনার জন্যেই এই সিরিজের বাকি পর্বগুলোতে লিংক দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। যে কারণে সু-স্বাগতম আপনাকে। আশাকরি কিছুটা হলেও এখন থেকে পোস্টগুলো খুঁজে পেতে সমস্যা হবেনা।
পোস্ট সম্পর্কে-
গল্পে শিক্ষক মহাশয়ের স্নেহ মায়া-মমতার মতো চরিত্রের বিশেষ গুণাবলীর প্রকাশ আপনার নজরে আসায় পুলকিত হলাম। হ্যাঁ স্যার মুক্তা নীলের ওই কমেন্টটি আমারও খুব ভালো লেগেছিল।
একই সঙ্গে সহমত আপনার সঙ্গে যে," কিছু কিছু সম্পর্ক আছে যার কোন উপাধির প্রয়োজন হয়না, ও মনের টান-ই সেই উপাধি তৈরি করে।" চমৎকার অনুধাবন।

সবশেষে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান একটি সমস্যাকে মন্তব্যটি উল্লেখ করাতে খুশি হয়েছি। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.