নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
মরীচিকা (পর্ব-২৩)
( গত পর্বের শেষ কথা -রমেনদা কয়েনটি শূন্যে তুলতেই অমনি শান্তনু বেশ জোরে কল করলো.. )
- টেল ।
কয়েনটি নিচে পড়ে বেশ কিছুটা দূরে গড়িয়ে গেল। সবাই নিচু হয়ে ঝুঁকে পড়লো ফলাফল দেখতে। আমি বেশ উপভোগ করতে লাগলাম বিষয়টি নিয়ে । শান্তনুও উঠে দাঁড়াল। মুহূর্তেই সবাই চিৎকার করে উঠলো। রমেনদা আনন্দে শান্তনুকে জড়িয়ে ধরলো। টসের ফলাফল বুঝতে তখন আমার আর বাকি থাকলো না। আমি শান্তনুকে হ্যান্ডশেক করে অভিনন্দন জানালাম। আমার দেখাদেখি উপস্থিত প্রায় সকলেই ওর মাথায় ও গায়ে হাত বুলাতে লাগলো। চিৎকারের প্রাবল্যে আশপাশের কয়েকজন ছুটে এলো । ছুটে এলেন শেফালীম্যাডামও । মুহূর্তেই বিষয়টি অনুধাবন করে উনিও শান্তনুর মাথায় হাত বুলাতে লাগলেন। উপস্থিত কয়েকজন মজা করে শান্তনুর কাছে ছোলা বাদাম খাওয়ার অগ্রিম বায়না করল। বায়না করার উদ্দেশ্য যে আমি তা বুঝতে বাকি রইল না। আমিও বেশ মজা করেই ঘোষণা করলাম ঠিক আছে ফেরার পথে শান্তনু তোমাদের সকলের জন্য ছোলা বাদাম নিয়েই আসবে। হঠাৎ শেফালীম্যাডাম একটু আসছি বলে এক ছুটে রুমে চলে গেলেন। কিছুক্ষণ পরে ফিরে এসে একটি একশো টাকার নোট শান্তনুর হাতে গুঁজে দিতে দিতে বললেন,
- টাকাটা তুমি তোমার মতো করে খরচ করবে।
শান্তনু টাকাটা প্রথমে নিতে চাইছিল না। হাত দুটি কোলের মধ্যে টেনে নিয়ে আরো গুটিয়ে গেল। কিন্তু পরক্ষণেই চোখ তুলে আমার দিকে তাকাতেই,
-শান্তনু টাকাটা নাও । দিদিমণি ভালোবেসে তোমাকে দিচ্ছেন। বরং প্রণাম করে আশীর্বাদও নাও।
- এই না না না না না..... প্রণাম-ট্রণাম নয়। আমাদের আশীর্বাদ সবসময়ই তোমাদের উপর থাকে।
শেফালীম্যাডাম বললেও শান্তনুর চোখে মুখে বেশ অস্বস্তি ফুটে উঠলো। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আমি আবার বললাম,
- দিদিমণি ঠিকই ইঙ্গিত করেছেন শান্তনু। প্রণাম লোক দেখিয়ে করার প্রয়োজন নেই, অন্তরে শ্রদ্ধা রাখলেই হবে।
এবার আমি আবার ঘোষণা করলাম, শান্তনু এখন আমাদের জানাবে আজকে আমাদের গন্তব্যস্থল কোথায় হবে। কিন্তু ও মুখে কোন উত্তর দিল না। আমরা সবাই বেশ কিছুক্ষণ ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম । আমার দেখাদেখি অনেকেই ওকে জানতে চাইল কি হল? চুপ করে বসে রইলে কেন? জানাও কোথায় যাবে? তবুও ওর মুখে কোন উত্তর নেই। হঠাৎ বলে উঠলো,
-আমার বাইরে কোথাও যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না।
-বেশ তো! বাইরে যেতে ইচ্ছে না হলে আশপাশে কোথাও চলো।
এবারে দেখলাম মুখে কোন শব্দ না করে মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো। আমি আবার বললাম,
-তুমি তাহলে রুমে গিয়ে তোমার ড্রেসটা বদলে এসো, আমিও এই ফাকে একটু তৈরী হয়ে আসি।
আমার কথা শুনে ও তেমন আগ্রহ দেখালো না। আমি ওর মনোভাব বুঝতে পারলাম। আর ঘা না দিয়ে নিজে দ্রুত রুমে এসে কিছু টাকা নিয়ে ওকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে এলাম।
স্কুল থেকে বার হয়ে শাখাচুকিয়া বাজারে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার উদ্দেশ্যে বসলাম। শান্তনু চা- বিস্কুট খাওয়ার ব্যাপারে কোন আগ্রহ দেখালো না। ও খেতে অস্বীকার করাতে আমি একটু অস্বস্তিতে পড়লাম। হোস্টেলে মাঝে মাঝে সকাল- সন্ধ্যায় একটু চা হয় ঠিকই কিন্তু দিনের পর দিন হস্টেলের চা খেয়ে একটা একঘেয়েমি চলে এসেছিল । কাজেই আজ বাইরের চা খাওয়ার সুযোগ হওয়াতে, একটু রেলিশ করে খাওয়ার ইচ্ছা ছিল। যদিও আমার সে সাধ আর পূরণ হলো না । চায়ে চুমুক দিতে দিতে ওর দিকে দুটি বিস্কুট এগিয়ে ধরলাম। ও বিস্কুট নিতেও অস্বীকার করল । আমি হাতটি না টেনেই,
- শান্তনু বড়দের কথা কখনও অমান্য করতে নেই, বাবা।
ও মুখ নিচু করে বসে রইল। হাতে ধরা বিস্কুট নিয়ে আমি আবার বললাম,
- বাড়িতে বাবা মাকেও কি তুমি এভাবে অমান্য করো?
বাবা-মায়ের নাম করতেই হঠাৎ ও খুব জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলো। মেরুদন্ড সোজা করে কাট কাট হয়ে বসে চোখগুলো বড় বড় করে কি যেন একটা বলতে গিয়েও আটকে গেল। ওর চোখে মুখের হঠাৎ পরিবর্তন দেখে আমি বেশ ঘাবড়ে গেলাম । মুখের পেশির ক্রমাগত কম্পনে বুঝলাম মনের মধ্যে প্রবল একটা দোলাচল শুরু হয়েছে । আমি ওর মাথায় হাত দিয়ে আবার প্রশ্ন করতে যাব এমন সময় বেশ জোরে কেঁদে উঠলো। আমি বেশ হতভম্ব হয়ে গেলাম। কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠলো,
- আমার কোনো আত্মীয়-স্বজন নেই। আমাকে কেউ ভালোবাসে না, আমাকে কেউ ভালোবাসে না।
চায়ের দোকানে তখন বেশ ভিড়। উপস্থিত আট-দশ জন লোক সকলে ওর কান্না দেখে উতলা হয়ে উঠলেন । সত্যিই তো! এত বড় একটা ছেলে চোখের সামনে এমন করে কাঁদছে, তা দেখে যেকোন লোকেরই এমন বিহ্বল হওয়ারই কথা । একটু আগে যারা নিজেদের মধ্যে গল্পে ব্যস্ত ছিলেন, এখন সকলের লক্ষ্য ওর দিকে। দু-একজন সরাসরি আমার দিকেও একবার দেখে নিলেন । আমি পড়লাম বেশ অস্বস্তিতে। বাধ্য হয়ে ওনাদের সামনে নিজের পরিচয় তুলে ধরে ওকে শান্ত করার চেষ্টা করতে লাগলাম। পকেট থেকে রুমাল বার করে চোখের জল মুছতে মুছতে বললাম,
-তুমি যদি আমাকে তোমার বন্ধু ভাবো, তাহলে নির্দ্বিধায় তোমার মনের কষ্ট আমাকে শেয়ার করতে পারো। চলো আজ আমি তোমার এই মনের কথা শুনবো। পাশাপাশি তোমার সঙ্গে তো আমার মাত্র কয়েক দিন আগেই পরিচয়। আমি কোন কষ্ট দেওয়ার জন্য তোমার বাবা-মায়ের প্রসঙ্গ তুলি নি বাবা। পাশাপাশি একজন ছাত্র হিসেবে তুমি কি বুঝতে পারছো না আমি তোমাকে কি চোখে দেখছি?
যাই হোক পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করে, চায়ের দোকানের পেমেন্ট দিয়ে রাস্তায় নামতেই একটি অটো পেয়ে গেলাম। ঝটপট উঠে পড়লাম অটোতে।
সেদিনে আমাদের যাত্রাটি ছিল একটু আলাদা, কারণ আমরা নিজেরাই জানিনা আমরা ঠিক কোথায় যাচ্ছি। অটো -ড্রাইভার যখন জানতে চাইলো,
-দাদা কোথায় যাবেন?
আমি শুনেও না শোনার ভান করে বাইরের প্রকৃতি দেখতে লাগলাম। ড্রাইভার আবার জিজ্ঞাসা করলো,
-আপনারা কোথায় যাবেন?
-কোথায় যাব তা সঠিকভাবে জানিনা । তবে কোনো একটা ফাঁকা মাঠ বা বড় পুকুর কিংবা খাবারের দোকান পেলে গাড়ি থামাবে । আমরা একটু ঘুরতে বের হয়েছি।
-না না খাবারের দোকান নয়! আমি কিছু খাব না। এই প্রথম আমি শান্তনুর কোন স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া পেলাম। আমার কথা অটো -ড্রাইভার বুঝতে পারল। সে পাল্টা বলল,
-দাদা আপনি যদি একটু বেশি ভাড়া দেন, তাহলে মন্দিরতলাতে নিয়ে যাই। জায়গাটা একবার দেখে রাখতে পারেন।
- ভাড়া নিয়ে ভেবোনা। তবে কি আছে মন্দিরতলায়? আমি পাল্টা প্রশ্ন করলাম।
-একটা পুরানো মন্দির; সঙ্গে আছে একটি পুরানো বটগাছ, যার কোন গুঁড়ি নেই ; পাশে আছে বহু পুরাতন একটি জলাশয়ও।
-মন্দিরটি কত দিনের পুরানো? এখন আর পূজা-অর্চনা হয় না?
-সে অনেক কথা! আপনি বোধহয় বাইরে থাকেন?
- হ্যাঁ! তোমার অনুমান সঠিক।
-আমরা ছোট থেকেই বাপ-ঠাকুরদার মুখ থেকে শুনে আসছি , প্রচলিত কথা অনুযায়ী মন্দিরের বিগ্রহটি নাকি কোন এক সময় খুব জাগ্রত ছিল। খুব ধুমধাম করে এখানে পূজা-অর্চনা হত। পাশের বটগাছ তলায় সপ্তাহব্যাপী মেলাও বসতো। খুব ধুমধাম করে এসময় মায়ের নামে পূজা দেওয়া হতো, ছিল বলির ব্যবস্থাও । পরের দিকে মেলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ বৃদ্ধি পায়। আমিষ- নিরামিষের কোন বাদ বিচার ছিল না। মাংসের গন্ধে নাকি ম-ম করতে থাকতো মন্দির চত্বর। পুরোহিত মশাই বেশ কয়েকবার স্বপ্নে দেখেন মা কালী নাকি ওনাকে মেলায় সব অনাচার বন্ধ করতে বলেছিলেন । কিন্তু কে শোনে কার কথা! একবার মেলা চলাকালীন সকালে বটগাছে একসাথে দুজনকে ঝুলতে দেখা যায়। তারপরে পুরোহিত মশাই সেই যে কোথায় চলে গেলেন তার কেউ কোনো সন্ধান দিতে পারেননি । সেই থেকে মন্দিরে পূজা-অর্চনা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় । তেমনি বহু বছর ধরে চলে আসা মেলাটিও হয়ে যায় বন্ধ। আশপাশে কয়েকটি বাড়ি ঘর ছিল। ওই ঘটনার পর তারাও অন্যত্র চলে যায়।
গ্রাম্য রাস্তায় শান্ত প্রকৃতির মাঝে আঁকাবাঁকা পথ দিয়ে আমরা ক্রমশ এগিয়ে চলেছি । শান্তনুকে দেখলাম ভীষণ আগ্রহ নিয়ে ড্রাইভারের কাছ থেকে গল্প শুনতে। ড্রাইভার থেমে যেতেই ও পাল্টা প্রশ্ন করল,
-তারপর?
-তারপর আর কি? সেই থেকেই মন্দিরটি পোড়ো হয়ে পড়ে আছে।
-তুমি কি ছোট বেলায় এখানকার মেলায় আসতে?
-আমি আসবো কি করে? ঘটনাটির তো বহু আগের, আমাদের বাবা- ঠাকুরদার মুখ থেকে শোনা।
আমি ড্রাইভারের নাম জিজ্ঞাসা করতেই,
-আজ্ঞে! আমার নাম রোহিত পান্ডে।
-আচ্ছা রোহিত, ওখানে যেতে তুমি কত নেবে?
-আজ্ঞে! ইতিমধ্যে অনেকটা রাস্তা চলেও এসেছি। আমি যদি ওখানে আপনাদের নামিয়ে দিয়ে চলে আসি সেক্ষেত্রে আপনাদের ফিরতে বেশ সমস্যা হতে পারে। ওদিকটা গাড়ি-ঘোড়া একেবারেই নেই, লোক বসতি না থাকলে যা হয় । তবে আপনারা যদি এক ঘন্টার মতো কাটান, তাহলে বিবেচনা করে একটা দেবেন দাদা।
-দেখো! আমার বিবেচনার উপর না ছেড়ে তুমি কত নেবে পরিষ্কার করে বলো।
- আসলে দাদা এখনো সকালে বৌউনি হয়নি বলে বলতে একটু অসুবিধা হচ্ছে।
- দেখো রোহিত ওসব একঘন্টা- দুঘন্টা বলে কথা নয়। আমাদের ভালো লাগলে আমরা অনেকক্ষণ থাকবো, আর ভালো না লাগলে সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসবো। তোমাকে আমি দুশো টাকা দেবো, তুমি ভাই আর না করো না।
- ঠিক আছে দাদা, তাই দিবেন।
-জায়গাটি তুমি আমাদের ভাল করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাবে কিন্তু।
রোহিত মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো।
- জানেন দাদা, কিছুদিন আগে এখানে একটা ঝামেলা হয়ে গেছে।
- হ্যাঁ! বল কি? কিসের ঝামেলা?
বিশেষ দ্রষ্টব্য :- আজকের পর্বটি ব্লগে আমার ছোট্ট আপু মুক্তাপুকে উৎসর্গ করলাম। আপু খুব সুন্দর লেখেন। উনি প্রথম পাতায় লেখার সুযোগ পেলে আনন্দ পাব।
মরীচিকা (পর্ব-২১)
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই,
প্রথম কমেন্টদাতা হিসেবে আজ আমার ভাইকে পেয়ে ভীষণ আনন্দ পেলাম। সঙ্গে এত সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধতা মুগ্ধতা আর মুগ্ধতা। হাহাহা..... শেফালীম্যাডামের টাকা দেওয়ার মধ্যে যে একটা গভীর টান আছে। জীবনে এরকম কিছু ঘটনা জনসমক্ষের মধ্যেও একে অপরের গভীর প্রেমানুভূতির তুলে ধরে। যে গভীরতা কখনো মারিয়ানা খাতে অবস্থান করে আবার কখনো বা তার গন্তব্যস্থল হয় উত্তুঙ্গ এভারেস্টের চূড়া-যা কেবল দুটি মন-ই মাপতে পারে।
হ্যাঁ!এরকম পুরানো মন্দির সম্পর্কে প্রত্যেকটা এলাকায় একটা মিথ চালু আছে। খোঁজ নিলে দারুন মজাদার গল্প বেরিয়ে আসবে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় ছোট ভাইকে।
।
২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যা বাবা! ভাবলাম আজ পেয়েছি দাদার গপ্পো এক্কেবারে ফাস্টু হয়েই ছাড়ব!
অমা রাজিব ভায়া যে মধ্যিখানে ঢুকে পড়লেন!!!!!
হা হা হা
হুম । শান্তনু জট খুলতে শুরু করেছে।
একটা আদর একটা যত্ন একটু ভরসা যে শিশু মনে কত বেশি প্রভাব ফেলে! বলার বাইরে!
কিন্তু আমরা টানাড়োপেনেই বলুন আর অভ্যস্ততা বা অবহেলাই বলুন এ দিকটা ভীষ এড়িয়ে যাই!
ফলে দূরত্ব বাড়তেই থাকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে!
বদলে যায় সমাজ সভ্যতা!
চলুক আপনার দারুন সিরিজ
অটোতে আছি কিন্তু সাথে সাথে
+++
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,
হা হা হা হা হা আজও তাহলে অধরাই রয়ে গেল প্রথম হওয়া!! তবে এমন আন্তরিক মন্তব্য যে হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নিলেন সে দিক থেকেও কিন্তু আমার কাছে আপনার কমেন্টটি একটি বিরাট পাওয়া। যে পাওয়ার জন্য হাজার মাইল পথ অতিক্রান্ত করাই যায়।
হ্যাঁ!শান্তনু জট আস্তে আস্তে কাটবে, ঠিকই ধরেছেন। আগামীতে বিষয়টি আরো পরিস্ফুটিত হবে। কমেন্টে পরবর্তী অংশে মুগ্ধতা। এমন কাব্যিক চেতনাই পারে মানুষকে সুন্দর করে কাব্যের গাঁথুনিতে আবেগের ডালা সাজাতে ।
সিরিজে বরাবরই আছেন এবং থাকবেন জেনে উল্লসিত। আগামীতেও এইভাবে পাশ থেকে আপনার সাপোর্ট পেতে চাই।
পোস্টটি লাইক করতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আর অটোতে আপনিও আছেন জেনে আনন্দ পেলাম। কারণ আমারও যাতায়াতের বহু সময় কাটে অটোতে। আর বসার ভালো জায়গা পেলে সাথে সাথে চলে ব্লগিং। কাজে এদিক থেকে আপনি আমার যাত্রাপথের গুরু!
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
শুভ রাত্রি।
৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: পড়ে ফেললাম পর্বটি। এখন পর্যন্ত প্রথম কমেন্ট দাতা ছিলাম জানিনা অন্তরালে কারোর কমেন্ট গ্রহন করা হচ্ছে কিনা? সুন্দর সবসময় সুন্দর।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৩৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় মাহমুদুর ভাই,
হা হা হা প্রথম হতে পারেননি, তাই বলে দুঃখ করবেন না। প্রত্যেকটা কমেন্টই আমার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ন সমান আকাঙ্খিত। পোস্ট সম্পর্কে আপনার সুন্দর কমপ্লিমেন্টে মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ জানবেন।
বৈশাখী শুভেচ্ছা ও ভালবাসা নিবেন।
৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫৭
হাবিব বলেছেন: এখনও পড়িনি পর্বটি। সারাদিন অফিসের কাজে বাইরে ছিলাম। মাত্রই ফিরলাম। ফিরেই দেখি আপনার পোস্ট। আর কোন দিকে না তাকিয়ে মন্তব্য লিখতে শুরু করলাম। উপরের মন্তব্যকারী সুজন ভাইয়ের জন্য সমবেদনা যে তিনি প্রথম হতে পারেন নি। সাথে আমার জন্যও একটু সমবেদনা জানালাম নিজেই। আবার আসবো। ভৃগুদার মন্তব্য খুব ভালো লাগলো। রাজীব ভাইয়ের মন্তব্যটিও বেস্ট। আজকে ওনি পড়ালেখা করেই মন্তব্য করেছেন।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় হাবিবভাই,
হা হা হা হা..... না পড়ে মন্তব্য! বুঝতেই পারছি সারাদিন অফিসের কাজে তাহলে কতটা ব্যস্ত ছিলেন। ঠিক আছে সময় করে পড়ে মন্তব্য করবেন; অপেক্ষায় রইলাম। সুজন ভাইয়ের সঙ্গে সমব্যথী হওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমিও ঠিক একথাই ওনাকে বলেছি। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি বিষয়টি ঠিক ওভাবে দেখতে রাজি নই। আমার কাছে আপনাদের প্রত্যেকেরই পদার্পণ অত্যন্ত কাম্যের, অত্যন্ত আনন্দের । সুজন ভাই নিশ্চয়ই কোনো না কোনো দিন প্রথম কমেন্টদাতা হতে পারবেন- সে আশা রাখি। আর বিদ্রোহী ভাইয়ের মন্তব্য তো মহাকাশ লেভেলের, অত্যন্ত উচ্চাঙ্গ মানের। তবে আমার ছোট ভাইয়ের সম্পর্কে আপনার মতামতটিতে কষ্ট পেলাম। এই যেমন উনি আজ সুন্দর মন্তব্য করলেন। সব মিলিয়ে আপনাদের আগমন অত্যন্ত আনন্দের বৈকি। হা হা হা ...
বৈশাখী শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা আপনার গোটা পরিবারবর্গকে।
৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৮
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: রাতে আসছি..... গভীর রাতে...
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হোসাইনভাই,
আপনার পরবর্তী মন্তব্য আমি ইতিমধ্যে পেয়েছি। সকালে দেখলাম 1:40 এ মন্তব্য। আমি তখন রীতিমত স্বপ্নের দেশে। হা হা হা ...
বৈশাখী শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৩
ঢাকার লোক বলেছেন: ভেবেছিলাম শান্তনুর না বলা গল্প শুনবো, রোহিতের "ঝামেলা"ও মনে হচ্ছে একই সমান কৌতূহলোদ্দীপক, না শুনলেই নয় ! অপেক্ষায় রইলাম আগামী পর্বের জন্য।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঢাকাবাসী ভাই,
বেশ কিছুদিন পর আপনার কমেন্ট পেয়ে ভালো ভালো লাগলো।শান্তনুর না বলা গল্পের অপেক্ষায় আছেন জেনে খুশি হলাম। কিন্তু ওরকথা বলতে গেলে পোস্টটির দীর্ঘ হওয়ার আশংকা ছিল যা পাঠকের পক্ষে বিরক্তির কারণ হতো।
আগামীতেও এভাবে আপনাকে পাশে পেতে চাই।
বৈশাখী শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩৩
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: কোন পরিবহনে ওঠার আগে ভাড়া ঠিক করে নেয়া খুবই ভালো কাজ। অনেকে এই কাজটা করেনা, পরে মনোমালিন্য হয়। ভালো লাগলো লেখাটি।
গত পর্বগুলো ভালো করে পড়ে ফেলতে হবে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৪৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় প্রান্ত,
গত কয়েকদিন ধরে দেখেছি দাদার পোস্টে কমেন্ট করার সময় তোমার ব্যস্ততা তুঙ্গে থাকে । একটা করে লাইক দিয়ে তারপর তো গোটা এশিয়া মহাদেশেই খুঁজে পাওয়া যেত না । সেদিন আমি বাধ্য হয়ে তোমাকে ব্ল্যাক হোল থেকে ধরে নিয়ে এলাম এবং তারপর আজ তোমাকে সশরীরে পেলাম। হা হা হা .....
রিক্সাওয়ালার সঙ্গে আগে ভাড়া না মিটিয়ে নেওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা কোন এক সময় আমার হয়েছিল। তারপর থেকে অবশ্য যেখানে যাই বিষয়টি মাথায় রাখি। পোষ্টের এই সূক্ষ্ম বিষয়টি তোমার নজরে পড়েছে জেনে খুশি হলাম ; ধন্যবাদ জানবে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; আবারো ধন্যবাদ তোমাকে।
তোমার পড়াশোনা কেমন চলছে? সম্প্রতিককালে তোমাকে বেশ একটিভ দেখছি। এটা কিন্তু খুব ভালো লক্ষণ নয়।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা আমার ছোট্ট ভাইটিকে।
৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪০
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম----
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় রহমান ভাই,
হা হা হা... পরের পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে খুশি হলাম। কিন্তু এই পর্বে আপনার প্রতিক্রিয়া না পেয়ে যারপরনাই আমি কিঞ্চিৎ ব্যথিত । হয়তো পরবর্তী কোনো দিন পোস্ট ভালো হলে, ভালো মন্তব্য পাবো আশা রাখি ।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২৮
মুক্তা নীল বলেছেন: দাদা,
শুভেচ্ছা জানবেন। মরীচিকা পেয়ে ভীষণ আনন্দিত। পুরোটা পড়ে কিছু সময় চুপ হয়ে গেলাম । চুপচাপ হওয়ার কারণটা পরে। এখন আগে গল্পে আসি।
কয়েন দিয়ে টস খেলে শান্তনুর জিতে যাওয়া এতো মহা আনন্দের।
শান্তনুর কাছে ছোলা বাদাম খাওয়ার আবদার বেশ উপভোগের। এতে মানুষের সাথে মানুষের আত্মার সম্পর্ক, ঘনিষ্ঠতা ও মন উদারতা শেখায়। তারপরে শেফালী ম্যাডাম ভালোবেসে দিয়েছেন ..........এ বিষয়গুলো শিক্ষনীয় ।
সবকিছু মানুষ পরিবার থেকে শিখে না, অবশ্যই শ্রদ্ধা ও ভালোসার মানুষের কাছ থেকে গ্রহণ করে । আর উনারা যদি শিক্ষক হোন তাহলে কোন দ্বিমত নেই ।
শেফালীদি ভালোবেসে শান্তনুকে যে টাকা দিয়েছেন, তা'তে আর কিছুই বলার অপেক্ষা রাখে না। আগের কোন এক পর্বে বলেছিলাম, আপনি তো শেফালী ম্যাডামের প্রতি আগ্রহ ও মায়া জন্মেছে। ভুল চিনি নাই (হা হা হা)....
শান্তনুকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো, চা-টা খাওয়া, মন্দিরে নিয়ে যাওয়া --- ঠিক যেনো পিতৃস্নেহ পেলো শান্তনু। কিন্তু নিজের বাবা/মা 'র প্রতি এতো ক্ষোভ কেন?এতটুকু অবুঝের চোখে জল, এতো কষ্টের ব্যাপার । শান্তনুকে নিয়ে আবারও শুধুমাত্র শান্তনুর মন ভালো করার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়ে গ্রামের আঁকাবাকা রাস্তা আর প্রকৃতির সাথে মিশে গিয়েছেন, এতো গভীর অনুভব শান্তনুর জন্য । শান্তনুর জন্য একটা সফট কর্ণার আছে , বুঝেছি আগেই।
পরের পর্বে অপেক্ষায় রইলাম।
দাদা , কি যে ভালো লাগছে পড়তে, সত্যি শুধুই ভালোলাগা। সামুতে এতো অল্প সময়ের মাঝে আপনার কাছ থেকে মরীচিকা উৎসর্গ পাওয়া সত্যিই ভাগ্যর। সেই সাথে আনন্দতো আছেই । আপনার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই, আর সঠিকভাবে প্রকাশের ভাষাও নেই।
আপনার ও পরিবারের প্রতিটি মানুষকে নিয়ে ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা ও শ্রদ্ধা জানবেন।
পোস্টটি অবশ্যই প্রিয়তে নিবো।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট্ট বোন,
অত্যন্ত সুন্দর মন্তব্য তার প্রতিমন্তব্যটিও যেমন তেমন দেওয়া যায় না। আর যে কারণে একটু বেশি সময় নেওয়া।আর সময়টা একটু বেশিই নিয়ে ফেলেছি যে কারনে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আমি অত্যন্ত গর্বিত এবং আনন্দিত যে মরীচিকা পড়ে যে কয়েকজন গুণমুগ্ধ পাঠকের মন্তব্য পেয়েছি বা আন্তরিকতার পরিচয় পেয়েছি আপনি তাদের মধ্যে অন্যতম। বারে বারে বিভিন্ন পোষ্টের কমেন্টে তার প্রতিচ্ছবি আমি পাই। ব্লগের এমন সম্পর্ক সারা জীবন তুলে রাখার মত। যে আন্তরিকতার জন্য কোন ধন্যবাদই যথেষ্ট নয়। পাশাপাশি এটাও জানিয়ে রাখি যে আগামী দু-একদিনের মধ্যে মরীচিকার পরবর্তী পোস্ট প্রকাশ করায় নিয়ত আছে। আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী আর চার পাঁচটি পর্বের মধ্যেই মরীচিকা শেষ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে তিন চারটি পর্বকে ব্লগে না দেওয়ার প্লান নিয়েছি। মলাটবদ্ধ উপন্যাসের জন্য কিছু পর্ব হিডিন রাখার পরিকল্পনা।
আলোচ্য পর্বে টসে শান্তনুর জিতে যাওয়াটা মহাআনন্দের মনে হওয়াতে এবং তার কাছে ছোলা বাদাম খাওয়ার আবদারটি উপভোগ্য মনে হওয়াতে আমিও আনন্দ পেলাম। পাঠকের এমন সদর্থক প্রতিক্রিয়া যেকোনো লেখককে অনুপ্রেরণা দিতে বাধ্য। সাথে সাথে শেফালী ম্যাডামের টাকা দেওয়ার বিষয়টি শিক্ষণীয় মনে হওয়াতে এবং যার মধ্যে পারিবারিক ঐতিহ্য জড়িত- এমন টুকিটাকি বিষয় গুলি আপনার সূক্ষ্ম নজরে পড়াতে আনন্দ পেলাম ।আবারও ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
শুরুতে শেফালী ম্যাডামের শুষ্ক ও রুক্ষ আচরণ অনেকের কাছে খুব খুব কাট কাট মনে হলেও ক্রমশ তার মধ্যে হতাশাজনক অধ্যায়টি পরিষ্কার হওয়াতে অন্য শেফালী ম্যাডামের পরিচয় পাওয়া গেলো। ফলে আজকের শেফালী ম্যাডাম অনেক বেশি আন্তরিক ,অনেক বেশি মানবিক। মায়া মমতার স্নেহের পরশে মাখা এক যথার্থ মানবী বটে। আর এমন মানুষকে চিনতে যে আমার বোন ভুল কোন ভুল করেনি তা বলাই বাহুল্য। হা হা হা হা হা....
আর ছোট্ট হৃদয় শান্তনুর করুন কাহিনী যেকোনো মানুষের চোখে জল আনতে আনতে বাধ্য। ছেলেটির আচার-আচরণ সমসাময়িক ছাত্রদের সঙ্গে তুলনায় নিঃসন্দেহ আলাদা। কিন্তু আগামী পর্বে বিষয়টি পরিষ্কার হবে এত পাহাড় প্রমাণ চাপ নিয়েও অমানুষিক মনে কষ্ট নিয়ে সে যে এখন বেঁচে আছে । কাজেই ব্যতিক্রমধর্মী আগামী পর্বটি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের আশেপাশে এমন অনেক জানা/অজানা চরিত্র আছে যাদের অসহায়ত্ব নিয়ে আমরা প্রায় হাসাহাসি করি। কিন্তু যদি একটু খোঁজখবর নিই তাহলে দেখব প্রত্যেকেরই নেপথ্যে উঠে আসবে চমকপ্রদ ঘটনা যা পাঠক হিসেবে আমাদের অন্তরে ঘা দিতে বাধ্য। এমনই এক ঘটনার সন্ধান আগামীতে আপনাদের দেবো বলে আশায় আছি।
সবশেষে উল্লেখ করি, মন্তব্যের এক্কেবারে শেষ অংশটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার। সামুতে দেখতে দেখতে এক বছর দুই মাস অতিক্রান্ত হল, কিন্তু এমন প্রাণখোলা আন্তরিক মন্তব্য খুবই কম পেয়েছি। আর এমন মন্তব্য পেলে যে আমাদের অন্তরে আশায় বুক ভরে যায়, হৃদয় অনুভব করি একটা অনুপম শান্তি। আবারো একবার স্মরণ করিয়ে দিই, আগামী দুই-একদিনের মধ্যে মরিচিকার সম্ভবত সর্বশেষ পোস্ট পাবেন। এমন লোভনীয় মন্তব্যের জন্য আমিও অপেক্ষায় থাকবো।
বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা স্নেহের ছোট বোনকে।
১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৪৮
ল বলেছেন: # প্রণাম লোক দিখিয়ে করার প্রয়োজন নেই, অন্তরে শ্রদ্ধা রাখলেই হবে ---- পদাতিক চৌধুরী।।
আসলেই তো তাই শ্রদ্ধা প্রদশর্নের কোন দরকার নেই অন্তরে রাখলেই হয় তা আসতে হয় মন থেকে।
সুন্দর ও সাবলীল লেখা...
এখনো।সকালে বৌউনি হয়নি -- এই বাক্যটা বুঝি নাই দাদা।
উৎসগ সার্থক আসলেই উনি ভালো লেখেন।
শুভ কামনা।।।।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিফভাই,
বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ঠিকই তো প্রণাম লোক দেখিয়ে করার প্রয়োজন নেই। অন্তরের শ্রদ্ধা বড়ো কথা।
লেখা সুন্দর ও সাবলীল মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম। আবার ধন্যবাদ আপনাকে।
ব্যবস্থা বা গাড়ির লাইনের ক্ষেত্রে ধূপ-ধূনো দিয়ে প্রথম খরিদ্দার বা যাত্রীর কাছ থেকে টাকা নেওয়াকে বৌউনি বলে । এটা মূলত একটা আঞ্চলিক শব্দ। দক্ষিণবঙ্গে শব্দটি প্রচলিত আছে।
উৎসর্গ ভালো লাগাতে আবার ধন্যবাদ জানাই।
পোষ্টটিতে লাইক করতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
বৈশাখী শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৫৫
আরোগ্য বলেছেন: আষাঢ়ে গুড়েবালি। গত কয়েকবার ধরে প্রথম হতে পারছি না অথচ তুমিও জানো ভাইটি মরীচিকায় আমি প্রথম মন্তব্যকারী হতে চাই। এক ধরনের ভালোলাগা কাজ করে , অনেকটা শিশুদের দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ার মতন। যাক পরের বার ইনশাআল্লাহ।
শান্তনুর টাকা না নিতে চাওয়ার দৃশ্যে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়লো। শেফালী ম্যাডামের টাকা দেয়ার অভ্যাসটা ভালো লাগলো। ভেবেছিলাম শান্তনুদের সাথে মন্দিরটা ঘুরে দেখবে কিন্তু এই রোহিত পান্ডে আবার কি ঝামেলা পাকালো। দেখি কি হয়।
মুক্তানীল আপুকে অভিনন্দন। আপু আমার অন্যতম প্রিয় ব্লগার।
পরের পর্বের জন্য শুভ কামনা ভাইটি।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,
বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। না না না আসলে গুড়ে বালি কেন হবে? আমি বরং তোমাকে প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে দেখতে চাই না। তোমার এত সুন্দর মন্তব্য, ভবো দেখি প্রথমে করলে কি সম্ভব হতো? আমি বরং সময় নিয়ে ধীরে সুস্থে সুন্দর মন্তব্য করার পক্ষপাতী। এক্ষেত্রে প্রথমে মন্তব্য না করতে পারার জন্য কোন রকম অনুশোচনা বা দুঃখ কষ্টের বিরোধী। তবে বাসনা যখন আছে তখন নিশ্চয়ই একদিন সাফল্য পাবে। সেদিনের জন্য তোমার স্পেশাল পুরস্কারটি তোলাই রইল। এখন কিন্তু এ সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করবেনা। হা হা হা হা....
শান্তনুর মধ্যে তুমি তোমার শৈশবের ছায়া পেয়েছে শুনে ও শেফালীম্যাডামের টাকা দেওয়ার বিষয়টি ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম।
আবারও ধন্যবাদ জানাই তোমাকে। রোহিত পান্ডের ঝামেলাটি দেখার জন্য তোমাকে আরো একটু অপেক্ষা করতেই হবে। হা হা হা...
উৎসর্গে ভালো লাগাতে আবারো খুশি হলাম; ধন্যবাদ জানাই তোমাকে।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা ছোট্ট আরোগ্যকে।
১২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০০
নীলপরি বলেছেন: কয়েকদিন বাদে ব্লগে এসেই আপনার পোষ্টটা পড়তে পেরে খুব ভালো লাগলো ।
বরাবরের মতোই আগ্রহ থাকলো পরের পোষ্টের ।
++++++
শুভকামনা
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় পরিআপু,
কয়েক দিন পরে ব্লগে এসে আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মনের পরিচয় জানতে পেরে আনন্দ পেলাম। পোস্টটি ভাল লাগাতে খুশি হলাম; ধন্যবাদ জানবেন।
পোস্টে লাইক করাতে ও সঙ্গে এতগুলো প্লাসে দারুন অনুপ্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা রইল।
১৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৮
নীল আকাশ বলেছেন: আমার বোনকে উৎর্সগ করার জন্য ধন্যবাদ দিয়ে গেলাম।
লেখাটা পড়ে আমার মন্তব্য করব।
শুভ রাত্রী এবং শুভ কামনা রইল!
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশভাই,
আপনার বোনকে লেখাটা উৎসর্গ করাতে খুশি হলেন জেনে আমিও আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্যের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার শুভ কামনা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইল অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
১৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:৪০
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: শান্তনু তো খুব কঠিন ছেলে.... আজকের পর্বে আরাম পেয়েছি। ঝামেলা শব্দটা দেখেই আরো আকর্ষণ বেড়ে গেলো। কিন্তু হতাশ হলাম। সামনে কি সেই ঝামেলা তার অপেক্ষা ছাড়া কোন গতি নাই।
মুক্তা আপুর লিংকটা দিলে ভালো হতো... সবাই তার প্রোফাইল ঘুরে আসত। আপনি যেহেত প্রশংসা করেছেন আপুটি নিশ্চয় ভাল লেখে। আশা করি খুব শীঘ্রই প্রথম পাতায় আপুনিকে দেখতে পাব।
এক দুইটা টাইপিং মিসটেক আছে। দেখে নিয়েন...
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হোসাইন ভাই,
পূর্ব ঘোষণা মত দ্বিতীয় বার কমেন্টে আসাতে ভীষণ খুশি হলাম। শান্তনুকে কেমন চিনলেন তার জন্য আরো একটু অপেক্ষা করতেই হবে । আজকের পর্বে আরাম পেয়েছেন, ঝামেলার জন্য পরবর্তী পর্বের আগ্রহ বাড়ছে শুনে চমৎকৃত হলাম । হা হা হা .. অনাকাঙ্ক্ষিত দুঃখ দেওয়ার জন্য যে দুঃখিত ।
আর মুক্তাপুর জন্য সত্যিই খুব দুঃখিত। নয় নয় করে নয় মাস হয়ে গেছে উনার ব্লগিং জীবনের। কিন্তু এখনো উনি সেফ হতে পারেন নি। সেদিন কথা হচ্ছিলো, বেশ হতাশ হয়ে পড়েছেন উনি ।কাজেই উনি প্রথম পাতায় স্থান পেলে ভীষণ আনন্দ পাব।
টাইপোর কথা উল্লেখ করাতে খুশি হলাম । ধন্যবাদ আপনাকে। গোটা তিনেক ঠিক করে দিয়েছি। এরপরেও যদি থাকে প্লীজ একটু উল্লেখ করবেন।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
১৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: দাদা আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই,
প্রতি মন্তব্যটি ভাইয়ের পছন্দ হয়েছে জেনে খুশি হলাম। অশেষ ধন্যবাদ ভাইকে।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
১৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫৮
নীল আকাশ বলেছেন: শাখাচুকিয়া নামটা বেশ পছন্দ হলো।
যা বলতে চেয়েছিলাম মুক্তা আপু উপরেই বলে দিয়েছেন দেখে আর কপি করলাম না।
এই পর্বেও শেফালী ম্যাডামকে নিয়ে আমাকে ডছ দিলেন?
না জানি আর কত পর্ব ঘুরতে হবে??
ফিনিস আরও সাস্পেন্স দিয়ে শেষ করতে পারতেন। ঘটনার ১ বা ২ লাইন দিয়ে..
শুভ কামনা রইল!
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশভাই,
শাখাচুকিয়া নামটি পছন্দ হয়েছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার বক্তব্যটি ইতিমধ্যে মুক্তা আপু বলে দেওয়াতে বুঝতে পারলাম আপনার মনের অবস্থাটি। জুতা আবিষ্কারের বিখ্যাত লাইনটি মনে পড়ল, " আমারও ওটা ছিল মনে, কেমনে বেটা পেয়েছে সেটা জানতে।" হা হা হা.....
শেফালী ম্যাডামকে না পেয়ে আপনি কিঞ্চিৎ হতাশ জেনে আমিও কিছুটা হতাশ হলাম। কারণ আজ বক্তা একজন শিক্ষক যিনি একজন ছাত্রের প্রতি সামাজিকতায় দায়বদ্ধ। শেফালীম্যাডাম নিশ্চয়ই আসবেন; দয়া করে আর একটু অপেক্ষা করুন।
ফিনিশিং সম্পর্কে আপনার সুন্দর সাজেশনে প্রীত হলাম। তবে পর্ব শেষ করতে গেলে ফিনিশিং টি ম্যান টু ম্যান ভ্যারি করে।ব্যক্তিগতভাবে সাসপেন্সটি শুরুতে রাখার পক্ষপাতী। সামান্য কিছু বলে মাঝপথে পর্বটি শেষ করাটা আমার কাছে পাঠকের প্রতি অবিচার বলে মনে হয়।
বৈশাখী শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
১৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫
করুণাধারা বলেছেন: একটা গল্পের দৃশ্যপট এভাবে কি করে নির্মাণ করেন, জানিনা!! আমি বাজারের চায়ের দোকান, চা খেতে শান্তনুর অস্বীকৃতি, সবকিছু যেন দেখতে পাচ্ছিলাম!!! জানিনা এখন মন্দিরে গিয়ে তার কি পরিবর্তন দেখা যাবে........
আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছি, পরের পর্বের জন্য।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপুনি,
আপনার সুন্দর আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হলাম। কি লিখেছি, কতটা নিজেকে তুলে ধরতে পেরেছি সেই বিচার বিশ্লেষণের ক্ষমতা এই বান্দার নেই। কিন্তু আপনার সুন্দর কমেন্টের এই অংশটি নিঃসন্দেহে আমার কাছে বড় পুরস্কার স্বরূপ।" বাজারে চায়ের দোকান, চা খেতে শান্তনুর অস্বীকৃতি, সবকিছু যেন দেখতে পাচ্ছিলাম!!!"হা হা হা হা হা..…
মন্দিরতলার পরবর্তী ঘটনা আগামী পর্বে উন্মোচিত হবে। আপনাকে আমন্ত্রণ জানালাম পরের পোস্টে।
পোষ্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুনিকে ।
১৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০১
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ পড়াশোনা ভালো চলছে দোয়া রাখবেন। আসলে মরীচিকার কতগুলো পরবো পড়া হয়নি দেখে শুধু লাইক দেই,
না পড়ে মন্তব্য করাটা নৈতিকভাবে সমর্থন করিনা। আমি সব গুলো পর্ব পড়া শেষ করে, ভালো মন্তব্য করবো ইনশাআল্লাহ
ভালো থাকুন
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় প্রান্ত,
যাক, তোমার পড়াশোনা ভালো চলছে শুনে খুশি হলাম। পোস্টে তোমার লাইক পেয়ে বুঝিয়ে দেয় ব্লগে তোমার উপস্থিতি। কিন্তু পোস্ট পড়ে কমেন্ট করার মত সময় যে তোমার নেই সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত। আমি ওটা জাস্ট কথার কথাই বলেছিলাম। হা হা হা....
পড়াশোনা শেষ করে যদি সময় পাও তখন মরীচিকা পড়বে। আমি না হয় ততদিন অপেক্ষায় থাকবো।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবে।
১৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৯
প্রামানিক বলেছেন: এপর্বটিও ভালো লাগল, আগামি পর্বে শান্তনুর দুঃখের কাহিনী জানার আগ্রহ দেখা দিল। ধন্যবাদ
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কবিভাই,
অনেকদিন পর আপনাকে পেয়ে খুশি হলাম। তবে আপনি যখন আসেন পর পর দুই-তিনটি পোস্টে কমেন্ট করেন। আমি ইতিমধ্যে নোটিফিকেশনে আপনার আগের দুটি পোস্টের কমেন্টে লক্ষ্য করলাম । সময় নিয়ে প্রতিমন্তব্য করে আসছি । জীবন সব সময় সবার এক খাতে প্রবাহিত হয় না, শান্তনুর জীবনটি একটু ব্যতিক্রমী। আগামী পর্বে আরো কিছু দিক উন্মোচিত হবে। সঙ্গে থাকার অনুরোধ রইল। আপনার ধন্যবাদ সানন্দে গৃহীত হল।
আপনার জন্যও রইল অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
২০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১১
হাবিব বলেছেন: আগেই জানতাম শান্তনু জিতে যাবে। শ্যাফালি ম্যাডাম টাকা দিয়ে উৎসাহিত করলেন দেখে ভালো লাগলো। শান্তনুকে নিয়ে যে কি হবে ভবিষ্যতে তা গল্পকারের উপরই ছেড়ে দিলাম। আমরা পাঠককুল শুধু গল্প পাঠেই মুগ্ধ হতে চাই। আপনার সেই দিদির কি খবর যে গ্রামের বিচারে নাজেহাল হয়েছিল?
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিব ভাই,
শান্তনু জিতে যাবে এবং শেফালীমাডাম টাকা দিয়ে উৎসাহিত করছে দেখে আপনি আনন্দ পেয়েছেন জেনে আমিও খুশি হলাম; ধন্যবাদ আপনাকে। শান্তনুর পরবর্তী ঘটনা জানতে আপনাকে একটু অপেক্ষা করতেই হবে। নিজের মতো করে পরবর্তী ঘটনা কল্পনা করে একটা চিরকুট লিখে রেখে পরবর্তী কমেন্টে উল্লেখ করতেই পারেন । গল্পের ঘটনার সঙ্গে আপনার ঘটনার মিল-অমিল আগামী কমেন্টের বিষয় হতেই পারে। কাজের সব কিছু গল্পের উপর না ছেড়ে নিজের মতো করে কমেন্ট করে ভবিষ্যৎ পোস্টের জমজমাট আলোচনা করতেই পারেন।
আর দিদি এখন রমেনদার সঙ্গে বহুৎ চালাচ্ছে। কাজের দিদির মিলন এখন সময়ের অপেক্ষা।
শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় হাবিব ভাইয়ের গোটা পরিবারবর্গকে।
২১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:২২
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: আমি কিন্তু আছি দাদা, প্রতিটা পর্ব পড়ে যাচ্ছি
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় পবিত্র ভাই,
আপনাকে কমেন্ট পেয়ে ভীষণ আনন্দ পেলাম। আপনার বিদেশ বিভুঁইয়ে দিনকাল কেমন যাচ্ছে? অনেকদিন কোন খোঁজ খবর পাচ্ছি না। প্রতিটি পোষ্ট এভাবে পড়ে যাওয়ার জন্য আনন্দ পেলাম। আগামীতেও আশা করি এভাবে পাশে পাব।
বৈশাখী শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
২২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:২৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ মুহূর্তেই ভ্রমণ গল্পের গন্ধ ! দারুণ বর্ণনা।
শান্তনু কে একটু করে জানতে ভালো লাগছে ; বরাবরের মতোই শেফালি ম্যাডাম রকস !!!
সব মিলের চমৎকার পর্ব । কিন্তু বড্ড জলদি শেষ হয়ে গেল যে ।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপুনি,
বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।পোষ্টের মধ্যে ভ্রমণের গন্ধ পাওয়াতে ও দারুণ লাগাতে আনন্দ পেলাম; ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। শান্তনুর ঘটনাটি আগামী দিনে আরও বেশি উন্মোচিত হবে। প্লিজ, সঙ্গে থাকবেন। হা হা হা... শেফালীম্যাডাম রকস।
সর্বোপরি পোস্টটি চমৎকার মনে হওয়াতে আমিও চমৎকৃত হলাম। তবে খুব দ্রুত শেষ হওয়াতে দুঃখিত। পোস্টটি ছোট হওয়ার জন্য যদি খুব দ্রুত শেষ হয় তাহলে সে দুঃখের জন্য আমি দায়ী নিজে। আর পাঠক যদি গল্পের মধ্যে ডুবে থাকে এবং ঘটনা পরম্পরায় শেষে যদি মেলাতে না পারে সেক্ষেত্রে পোস্ট ছোট মনে হতেই পারে। আর এ ক্ষেত্রে দায়ী পাঠকের একাগ্রতা তার সাবকনসাস মাইন্ড যা তাকে নিবিষ্ট মনে পড়তে সাহায্য করেঊ । এমন পাঠক যেকোনো লেখকের কাছে পরম সমাদৃত। হা হা হা হা...
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
২৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫২
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে খুশি হলাম। কিন্তু এই পর্বে আপনার প্রতিক্রিয়া না পেয়ে যারপরনাই আমি কিঞ্চিৎ ব্যথিত । হয়তো পরবর্তী কোনো দিন পোস্ট ভালো হলে, ভালো মন্তব্য পাবো আশা রাখি ।
হায় হায় আমার ভাই কি বলে এই সব!
আমি কিন্তু কখনও এমন কথা ভুলেও বলি নাই।বরং আপনার লেখা আমার খুব ভালো লাগে।মূলত এই পর্বের মন্তব্য পরবর্তী পর্বের সাথে মিলিয়ে করবো ভেবে রেখেছি।প্রিয় ভাই আপনি আমাকে ভুল বুঝবেন না দয়া করে।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহমুদুর ভাই,
হা হা হা হা কি যে বলেন? আমি আপনার উপর কিছুই মনে করিনি। ব্লগে এসে আপনাদের সঙ্গে একটু জোকস করতে পারব না?
আমি স্রেফ আপনার সঙ্গে একটু জোকস করেছিলাম। আগামীতেও এ রকমই কিছু আড্ডা মারবো। প্লিজ! ঘাবরাবেন না হাহাহাহাহা...
বৈশাখী শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় মাহমুদুর ভাইকে।
২৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৫১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
খুবই চমৎকার একটি পোস্ট দিয়েছেন।
পাঠ করে বিমোহিত হলাম।
আমার ধন্যবাদ গ্রহণ করুন।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সাজ্জাদভাই,
আপনার পাঠ ও মন্তব্যের আনন্দ পেলাম। এমন চমৎকার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ধন্যবাদ সানন্দে গৃহীত হল।
আপনার জন্য রইল অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
২৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৫৬
মুক্তা নীল বলেছেন: দাদা
আমি আপনার কাছে মরীচিকার একটা মন্তব্য পাই সেটা ভুলে গেলে চলবে? আমি এতদিন অপেক্ষায় রইলাম আপনি কোন উত্তর দিলেন না, এটা কি ঠিক হলো? আমি ঠিক বললাম না ভুল বললাম জানার আগ্রহটা তো রয়েই গেল।
আপনি আমার দাদা হন, দাদার কাছ থেকে এই পাওনাটুকু বুঝে নিতে আমার মোটেও খারাপ লাগবে না।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা হা হা হা হা ....
বোনের পাওনাটা যে কড়ায় গণ্ডায় বুঝিয়ে দিতে হবে। নইলে দাদাও যে শান্তি পাবে না। তবে আর দেরি নয় আগামীকালই নিয়ত করেছি।
বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা প্রিয় ছোট্ট বোনকে।
২৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫১
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,
চেষ্টা করেও আপনাকে বাজীতে জেতানো গেলোনা। আগের পোস্টে এমন ভবিষ্যৎবাণী করেছিলুম। এখন দেখছি জ্যোতিষ হওয়া হলোনা আমার।
স্নেহ-ভালোবাসা বঞ্চিত শিশুরা কিন্তু স্নেহ-ভালোবাসা পেলেও বুঝতে পারেনা, সন্দেহের চোখে দেখে। শান্তনু তেমন কিনা পরের পর্বে হয়তো বোঝা যাবে।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই,
দেরিতে হলেও আপনার পদচারণায় ধন্য হলাম। সুন্দর কমেন্টের জন্য মুগ্ধতা। হাহাহা আপনি ভবিষ্যৎবাণী করেও যে আমাকে বাঁচাতে পারলেন না, কি আর করব। জ্যোতিষ হিসেবে আপনার ভবিষ্যৎ বাণী না মেলাতে আমি যারপরনাই দুঃখিত। তবে পাশে থেকে আপনার ভবিষ্যৎ বাণীর অপেক্ষায় থাকবো, আজ না হলেও আগামীতে নিশ্চয়ই মিলবে সে আশায়।
"স্নেহ ভালোবাসা বঞ্চিত শিশুরা কিন্তু স্নেহ-
ভালোবাসা পেলেও বুঝতে পারেনা, সন্দেহের
চোখে দেখে।" সম্পূর্ণ সহমত আপনার সঙ্গে। ছোট থেকে ভালোবাসার কাঙাল বা ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত বাচ্চারা বড় হলেও তাদের সেই সন্দেহবাতিক মনের পরিবর্তন হয় না। যে কারণে হঠাৎ পাওয়া ভালোবাসাকে তারা সন্দেহের চোখে দেখে। গল্পে শান্তনু সেরকম কিনা আগামী পর্বে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। পাশাপাশি একটু অগ্রিম ইঙ্গিত দিয়ে রাখি, মরীচিকার পরবর্তী পর্বে আপনাকে অগ্রিম আমন্ত্রণ জানালাম।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
২৭| ০২ রা মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৫২
রাকু হাসান বলেছেন:
ভালোই তো শেফালী ম্যাডাম এসেছে । খুশি হয়েছো তো ?
ড্রাইভার কোথায় নিয়ে যাচ্ছে! ভয়টয় নেই তো । ভূত পেত ধরবে না তো । !
হায়রে মিস্টার ঝামেলা এসে শেষ অংশে হাজির । মুক্তা আপুকে অভিনন্দন । প্রথম পাতায় সুযোগ পেয়েছে কিনা জানি না । সুযোগ পাক । শুভকামনা করি মুক্তা আপুর জন্য । উনি ভালো মন্তব্য করতে পারেন । আমার যাত্রা চলুক তাহলে পরের পর্বে
০৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:২৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের রাকু,
হায় রে ভাই, এক মন্তব্য যদি দুবার করতে হয় এর চেয়ে বিরম্বনার বোধহয় কিছু হতেই পারে না। একেতো লিখেছিলাম বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত; কিছু মনে করবে না প্লিজ। মন্তব্য প্রকাশ করে দেখছি দেখাচ্ছে পেজ নট ফাউন্ড। আবার চেষ্টা করছি যায় না এক্ষেত্রে আবার কি দেখায়।
শেফালী ম্যাডামের আগমনে তুমি আনন্দ পেয়েছি শুনে আমিও খুশি হলাম। ধন্যবাদ তোমাকে।
মিস্টার ঝামেলাটা সব জায়গাতেই থাকে। তাদেরকে প্রয়োজন অনুসারে কন্ট্রোল করতে হয়। সব সময় যে তাদেরকে কন্ট্রোল করতে পারা যায় তা নয়, মাঝে মাঝে কন্ট্রোলিং পাওয়ারটি আমাদের হাত থেকে চলে যায়। তখন আমরা বিড়ম্বনায় পড়তে বাধ্য হই। এজন্য আমার পরামর্শ যত বড় ঝামেলায় হোক মাথা ঠান্ডা রাখাটা অত্যন্ত জরুরী।
উৎসর্গে ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম। আবারও ধন্যবাদ জানাই তোমাকে। মুক্তা আপু খুবই ভালো ব্লগার। অল্প দিনের মধ্যেই সুন্দর সুন্দর কমেন্ট ও নান্দনিক পোস্টের মাধ্যমে উনি তার পরিচয় তুলে ধরেছেন। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী নীল আকাশ ভাইয়ের পোস্টের পর আপু প্রথম পাতায় সেফ হয়েছেন। যেটা আমাদের অনেকের কাছে ছিল অত্যন্ত আনন্দের ।
তোমার সর্বশেষ কমেন্টের প্রতিমন্তব্য আমি ইতিমধ্যে দিয়ে দিয়েছি। সেটাও খুব সুন্দর মন্তব্য করেছিলে ।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় ছোট্ট ভাইকে।
২৮| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:২২
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
ভিপিএন দিয়ে ব্লগে আসতে কষ্ট হয় । তাই পড়া হয়নি । এক সাথে অনেক গুলো পর্ব জমে গিয়েছে ।
২০ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:০৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ফ্রি অপুভাই,
আপনার সমস্যা বুঝতে পারছি। ঠিকই তো ভিপিএন দিয়ে ব্লগে আসতে সমস্যা হয়। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে অপেরা ব্রাউজার ইউজ করি। আগে বেশ কিছুদিন টর ইউজ করেছিলাম। টর প্রচন্ড বিরক্তিকর। এখন অবশ্য অপেরা ইউজ করি একেবারে নির্ঝঞ্ঝাটে। আপনি অপেরা ইনস্টল করতে পারেন।
শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
২৯| ০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: শেষের সাসপেন্সটা ভাল লেগেছে। গল্পের ডায়ালগ গুলোও ভাল হয়েছে।
"প্রণাম লোক দেখিয়ে করার প্রয়োজন নেই, অন্তরে শ্রদ্ধা রাখলেই হবে" - চমৎকার একটি ডায়ালগ।
শাখাচুকিয়া নামে কি আসলেই কোন বাজার রয়েছে সেখানে?
আজকে ওনি পড়ালেখা করেই মন্তব্য করেছেন (৪ নং প্রতিমন্তব্য) -
এ পর্বটি মুক্তা নীল কে উৎসর্গ করাতে খুশী হয়েছি। আমিও ওনার পোস্টগুলো প্রথম পাতায় প্রকাশিত দেখতে চাই। ওনাও ৯ নং মন্তব্যটাও ভাল লেগেছে। মন্তব্যের প্রতিটি লাইনে মানবিক স্নেহ ভালবাসার প্রকাশ দেখতে পাই।
পোস্টে ভাল লাগা + +
০২ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার, আপনার বিলম্বিত পদচারণে মুগ্ধতা। গল্পের শেষের সাসপেন্স ও ডায়লগগুলো এবং গল্পের বিশেষ অংশটি কোটেশন আকারে উল্লেখ করাতে পুলকিত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার জানা একটি বাজারের নাম হলো সাকচুড়া।সেই নামটিকে একটি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে শাখাচুকিয়া হিসেবে ব্যবহার করেছি। 4 নম্বর মন্তব্যে হাবিব ভাইয়ের ওই বিশেষ কথাটি বেশ মজাদার। গল্প বা কবিতা পাঠের সঙ্গে সঙ্গে ব্লগারদের একে অপরের এমন মিথস্ক্রিয়া বা রসবোধ আমাদের মাঝে মাঝে আলাদা আনন্দে ভরিয়ে দেয়। অচেনা অদেখা মানুষগুলো সম্পর্কে ভালোবাসায় ভরিয়ে তোলে।
9 নম্বর মন্তব্যকারী প্রিয় ছোট বোন মুক্ত নীল সম্পর্কে আপনার সুন্দর অভিব্যক্তিতে মুগ্ধ হলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
সবশেষে পোষ্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: শেফালী ম্যাডাম আত্মাওয়ালা মানুষ। মুহুর্তের মধ্যে এক শ' টাকা দিয়ে দিলেন।
বাজারের নামটা খুব সুন্দর শাখাচুকিয়া।
ড্রাইভার আপনাদের যে মন্দিরে নিয়ে গেলেন, পুরাতন মন্দির এরকম মন্দির আমাদের বাংলাদেশেও অনেক ছিল একসময় বেশ জমাট ছিল। আজ আর তার কিছু অবশিষ্ট নেই।